অবুঝ ছাত্রী পর্ব-০৭

0
2302

#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_7

স‍্যার আপনি আমাকে কালকে পড়াতে আসবেন।যদি না আসেন তাহলে আপনার বাসায় গিয়ে আপনার মায়ের কাছে বিচার দিবো আর বলবো আপনি আমাকে ভয় দেখিয়ে জোড় করে বিয়ে করেছেন।

আল্লাহ্ এটা কি বলো রাফিজা।আমি আবার কবে তোমাকে বিয়ে করলাম।মিথ‍্যা বলতেছো কেনো।

বিয়ে করেন নাই কিন্তু যদি কালকে আমাকে পড়াতে না আসেন তাহলে মিথ‍্যা বলবো আপনার মাকে।

ঠিক আছে যাবো।কিন্তু এগুলো কাউকে বলিও না প্লিজ।তোমার একটা মিথ‍্যা বলাতে আমার জীবন চলে যাবে।তোমার বাবার গুলি খেয়ে।

ঠিক আছে কালকে তারাতারি আসবেন আর আমার জন‍্য আইসক্রিম আনবেন।

ওকে পুরো আইসক্রিম এর দোকান নিয়ে গিয়ে দিবো তাও মিথ‍্যা বলো না।(মিথ‍্যা বললাম কারন টাকা তো বেশি নাই আমার কাছে।ফির দোকানেন সব আইসক্রিম নিয়ে যেতে চাচ্ছি )

না আপনাকে দোকানের সব আইসক্রিম আনতে হবে না আইসক্রিম শুধু দুইটা আনবেন ওকে।

ঠিক আছে।(অবুঝ হলেও স‍্যার এর দুঃখ বুঝো এটাই অনেক)
তাহলে এখন ফোন রাখলাম।আম্মু ডাকতেছে।

ওকে যাও।তারপর কিছু রাস্তা হাটার পরে বাসায় আসলাম।বাসায় গিয়ে প্রতিদিনের মতো আজও খাবার খেয়ে রূমে রেস্ট করতে যাচ্ছি।ভাবতেছি এটু পড়তে বসি।বই খুলে বসে আছি প্রায় পনেরো মিনিটের মতো কিন্ত কিছুতেই পড়াতে মন বসতেছে না।কারন অনেক দিন ধরে বই নিয়ে পড়তে বসি নাই।দেশে যে করোনা ভাইরাস এর জন‍্য পড়লেখা করার আর ইচ্ছা করে না।স্কুল কলেজ সব বন্ধ।কিভাবে পড়ালেখাটা হবে বলেন।তাই কি আর করার বই পড়া বাধ দিয়ে ভাবতেছি একটু ঘুমানোর দরকার।পড়াতে মন না বসলে তো আর প ড়া হবে না।তারপর ঘুমাই গেছি কখন আমি নিজেই জানি না।
ঘুম থেকে উঠলাম মার ডাকে।
গোসল করে নামাজ পড়তে যা।
মা কখন আজান দিয়েছে।
একটু আগে।তুই গোসল করে তারাতারি মসজিদে যা।
ওকে মা।গোসল করে নামাজ পড়তে যাইতেছি আর ভাবতেছি,,

জীবনে তো আমরা অনেক পাপ করলাম।কিন্ত তাও আমরা আল্লাহ্ কে ভয় করতেছিনা।কারনটা কি?শুধু শুধু পাপের ভার বেশি করতেছি।খেলতেছি ভালোবাসার নামে ধর্ষন নিলা।এটা কি আমাদের ইসলাম না, এটা হচ্ছে ইসলামের বিপরীত।ইসলাম বলে পর্দা করো কিন্তু আমরা দিন দিন ভাবতেছি আর কতো সট কাপড় পড়লে ভালো লাগবে।মানুষ আমাকে দেখবে।এগুলো করে কি লাভ আমাদের কিছুই লাভ নাই বরং আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।আমাদের ভাবতে হবে একদিন আমাদের সবাইকে মরতে হবে।কিনতু মরার পরে আল্লাহ্ কে কিদিবো।কিছুই দিতে পারবো না পাপ ছাড়া এটার জন‍্য জাহান্নাম পেয়ে যাবো।আমরা ত এটা চাই না,চাই আমরা চিরশান্তির স্হান জান্নাত।এটা পেতে হলে নামাজ পড়তে হবে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।করোনা এটা তো আল্লাহ্ তৈরি তাই মানুষ এই রোগ মুক্ত করতে পারবে না যদি আল্লাহ না চায়।তাই আল্লাহ্ কাছে বেশি বেশি করে দোয়া করি যেনো এই রোগ আমাদের দেশ থেকে মুক্ত হয়।আগের মতো যেনো আমাদের দেশটা হয়।
অনেক কিছু ভেবে ফেলেছি এদিকে নামাজের টাইম আছে আর এক মিনিট তাই তারাতাররি মসজিদে গেলাম।
নামাজ শেষ করে মসজিদের গেট দিয়ে বাহির হতে এক বন্ধুর সাথে দেখা।তার সাথে কথা বলতে বলতে আবার বাসায় আসলাম।
(আর একটা কথা বন্ধুরা যে আমার গল্প কেউ কপি করে নিজের গল্প নামে চালাচ্ছে আর পাঠকরা আমাকে বলতেছে আমি কপি করতেছি।তাই আমার আইডির লিং দিলাম।)
https://www.facebook.com/profile.php?id=100046302910344
বাসায় এসে মাকে বলতেছি
মা ভাত দাও খুব খুদা লেগেছে।
ওকে বস বাবা।
তারপর মা খাইতে দিলো খেয়ে আবার রূমে আসলাম।ভাবলাম একটু ফেসবকে ঢুকি।ঢুকার সাথে একটা নোটিফিকেশন আসলো ফেরেন্ট রিকুয়েস্ট এর।দেখতেছি একটা মেয়ের আইডি নাম হচ্ছে #অচেনা_মেয়ে ভাবতেছি একছেফ করবো না।কিন্তু দেখতেছি ওই আইডি থেকে মেসেজও দিয়েছে।মেসেছে লেখা
আসসালামু লাইকুম
ও হেলো কথা বলেন না, কেনো।
আরে আপনার এতো ভাব কেনো হে।আপনি গল্প লিখেন দেখে ভাব দেখাতে হবে।
আরো অনেক কিছু মেসেজে বলেছে সেগুলো আপনাদের বললাম না।তারপর আমিও মেসেজের উত্তর দিলাম,,,
ওলাইকুম আসসালাম
কিছুক্ষণ পরে রিপ্লে আসলো

কেমন আছেন।আর আপনার এতো ভাব কেনো।

আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো কিন্তু আমি আবার কখন আপনাকে ভাব দেখালাম।

কেনো আমি মেসেজ দিয়েছি আপনাকে কালকে আর মেসেজের রিপ্লে দিচ্ছেন আপনি আজকে।আমার ফেরেন্ট রিকুয়েস্ট টা কি একছেপ করবেন একটু।

ও আমি ফেসবুকে কালকে আসি নাই তো তাই।আর ফেরেন্ট রিকুয়েস্ট একছেপ করতেছি।তারপর আমি তার রিকুয়েস্ট টা একছেপ করলাম।কিছুক্ষন পরে আবার সেই আইডি থেকে মেসেজ আসছে,,,
মেসেজে ঢুকে দেখতেছি আমাকে বলতেছে

ধন‍্যবাধ আপনাকে আমার রিকুয়েস্ট একছেপ করার জন‍্য।
its ok.
ত কি করেন এখন।
এই তো আপনার সাথে কথা বলতেছি।আপনি?
আমী বসে আপনার সাথে চ‍্যাট করি।
ও এভাবে অনেক কথা হলো সেই মেয়েটার সাথে।তার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক হলো।তার সাথে কথা বলতে বলতে বিকাল হয়ে গেছে তাই আমি তাকে বলতেছি
ওকে বায় ভালো থাকবেন।
কেনো কি কথা বলবেন না আর।আমার তো আপনার সাথে কথা বলতে ভালো লাগতেছে।
পরে কথা হবে বায়।এই বলে আমি ফেসবুক থেকে বাহির হইলাম।তারপর একটু খেলা দেখতে বাহির হলাম।
(আমার বাড়ির সামনে একটা বিশাল বড় মাঠ আছে সেখানে প‍্রতিদিন খেলা হয় তাই প্রতিদিন বিকালে খেলা দেখতে যাই।)
খেলা দেখে মাগরীবের নামাজ পড়ে আবার বাসায় আসলাম।
তাতে মা বলতেছে
ঈমান তুই তো আর পড়তে বসিস না কেনো।কলেজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে তো একদিন ও পড়তে বসিস নাই তাই এখন গিয়ে পড়তে বস।

সোজা রূমে আসলাম।কিছু বললাম না কারন কলেজ বন্ধ হওয়ার পর থেকে আর পড়তেই বসি নাই।তাই আবার বই খুলে বসে আছি।পড়াতে তো মন নাই,খালি বই খুলে বসে আছি।না হলে মা আবার বকা দিবে।তারপর এশার আজান দিলো তাই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছি।নামাজ পড়ে এসে বাসায় দেখি মা খাত ধরে বসে আছে।ভিতরে ঢুকতেই মা বলতেছে
ঈমান ভাত খেয়ে একবারে রূমে যা।
ওকে মা দাও তাহলে।তারপর খেয়ে রূমে আসলাম।শুয়ে শুয়ে রাফিজার কথা ভাবতেছি।ভাবতেছি ফোন দিবো নাকি।আজকে কেনো যেন খালি ওর কথা মনে পড়তেছে।প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি আরে ভূল বলতেছি কেনো প্রেমে তো পড়েই গেছি।রাতে আর ফেসবুকে ঢুকলাম না।তারপর ঘুমাই গেলাম।প্রতিদিনের মতো সকাল 7 টার সময় ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে রাফিজাকে পড়ার লক্ষে বাসা থেকে বাহির হলাম।রাফিজার বাসার সামনে আসলাম ঠিক 7:55 মিনিটে।আরো পাচমিনিট টাইম আছে।তারপর ওদের বাসার কলিংবেলে চাপ দিলাম।প্রায় তিনবার দেওয়ার পরে দেখতেছ এক অচেনা মেয়ে গেট খুললো

আমি ত এই মেয়েকে দেখে অবাক?কারনটা পরের পর্বে বলবো।

চলবে,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে