pyar_tho_hona_hi_tha Part-08

0
1889

#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব-৮


আরশির খুশিতে চোখে জল চলে এসেছে। নিরবকে পাওয়ার একটা রাস্তা ওর সামনে। আরশি একটু জোরেই বললো,”অত্রভাইয়া আপনি এখানে?”

অত্র অবাক হয়ে আরশিকে দেখছে। বাকি সবাই ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না। আরশি অত্রকে আগে থেকে কি করে চেনে?

একটা মেয়ে বললো,”অত্র তুই ওকে আগে থেকে চিনিস?”

অত্র কিছু বললো না। আরশি আবার বললো,”ভাইয়া নিরব কোথায়। আপনি তো ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড। ওর খবর তো আপনার জানার কথা। প্লিজ বলুন না নিরব কোথায়। ওর কোনো খুজ কেনো পাচ্ছি না।”

আগের মেয়েটি এবার অবাক হয়ে বললো,”নিরব…..”

মেয়েটি আর কিছু বলার আগেই অত্র ঝাড়ি মেরে বললো,”ওহ রামিশা একটু চুপ থাকবি।”

নিলয় না জানার ভান করে বললো,”অত্র তুই নিরবকে চিনিস?”

আরশিঃনিরব তো উনার বেষ্টফ্রেন্ড। নিরবের সাথে তো উনি অনেকবার এসেছিলেন আমার সাথে দেখা করতে। ১বছর আগে উনি ইউএসএ চলে যান। তারপর আর উনার সাথে দেখা হয় নি।

অত্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,”নিরবের সাথে তো আমার ৩মাস ধরে কোনো যোগাযোগই নেই। অনেক কন্টাক করার চেষ্টা করেছি। বাট পারি নি।”

আরশিঃআপনি ও জানেন না নিরব কোথায়? এবার ওকে কোথায় খুজবো আমি। ৩মাস ধরে আমি ও ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।

অত্রঃআরশি লিসেন, তোমার সাথে নিলয়ের এখন বিয়ে হয়ে গেছে। নিলয় তোমার হাজবেন্ড। এখনো কেনো নিরবকে নিয়ে পরে আছো। নিরবকে ভুলে নিলয় এর সাথে ভালোভাবে সংসার করো।

আরশি রেগে বললো,”আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এই বিয়ে মানি না। আমি নিরবকে পেলে ওর কাছে চলে যাবো। এখানে থাকবো না কিছুতেই।”

সবাই অবাক হয়ে অত্র আর আরশির কথা শুনছে। কেউ কিছুই বুঝতে পারছে না।

পলকঃঅত্র তুই…..

অত্রঃপরে তদের সব বুঝিয়ে বলবো।

নিলয়ঃআমি তো বলেছি নিরবকে পেলে তোমাকে ওর হাতে তুলে দেবো তাহলে…..

অত্রঃনিলয়!

নিলয়ঃএখন তুই কিছু বলিস না প্লিজ।

আরশিঃআমি আপনাকে বিশ্বাস করি না।

অত্রঃআমাকে তো করো। আমি খুজে দেবো।

আরশি কিছু বললো না। চোখের জল মুছে ফেললো।

নিলয়ঃতরা দারিয়ে আছিস কেনো? বস। আর তুমি ওদের জন্য নাস্তা নিয়ে এসো।

রাজঃএই না। তার প্রয়োজন নেই। তুমি ও এখানে বসো।

আরশিঃআমি ২মি এ আসছি। আপনারা বসে গল্প করুন।

আরশি কিচেনে চলে গেলো। অত্র নিলয়কে বললো,”এসব কি নিলয়। তুই আরশিকে কেনো বিয়ে করেছিস?”

নিলয়ঃওর বাবার জন্য।

পিয়াঃআমি কিছু বুঝতেছি না। কি হচ্ছে।

রামিশাঃআমি ও।

দিপ্তঃআমরা কেউই বুঝতেছি না। তরা একটু খুলে বলবি।

অত্রঃপরে সব বলবো। বাট নিলয় এটা ঠিক হচ্ছে না। তর সব কিছু আরশিকে বলে দেওয়া উচিৎ। আমি তো এখনি সব বলে দিতাম। বাট তর কথা শুনে বুঝতে পারলাম আরশিকে তুই কিছু বলতে চাস না। তাই কথা ঘুরালাম।

নিলয়ঃতুই তো সব জানিস। আরশি সত্যিটা জানলে কি হবে।

আরশিঃকিসের সত্যি?

আরশির কথা শুনে নিলয় চুপ হয়ে গেলো। অত্র মুখে হাসি এনে বললো,”কিছু না আরশি। তুমি এসে এখানে বসো।”

আরশিঃকিছু তো অবশ্যই আছে। আমি আমার নাম শুনেছি।

দিপ্তঃআরে ভাবিজান। আপনি এখানে বসে গল্প করুন আপনার সাথে আমাদের প্রথম দেখা। এসব বিষয়ে পরে না হয় ডিসকাস করবেন।

আরশি কিছু বললো না। রামিশা আর পিয়া আরশিকে টেনে ওদের কাছে বসিয়ে দিলো। আরশি সার্ভেন্টকে নাস্তা নিয়ে আসার জন্য বলে এসেছে।

অত্রঃওর সাথে তো কারো পরিচয় করিয়ে দিলি না নিলয়।

নিলয়ঃএখন কি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। নিজে নিজেই পরিচয় হওয়া যায়।

পলকঃহয়েছে তর আর কিছু বলতে হবে না। আমরা নিজেরাই পরিচয় হয়ে নিচ্ছি। ভাবিজান আমি পলক নিলয়ের ভার্সিটি ফ্রেন্ড।

রাজঃআমি রাজ। আমি ও ওর ভার্সিটি ফ্রেন্ড।

দিপ্তঃআমার নাম দিপ্ত। নিলয়ের সাথে আমার ইউএসএ গিয়ে দেখা হয়েছে। পলক আমার কাজিন প্লাস ফ্রেন্ড। ওর থ্রোয়ে নিলয় এবং বাকিদের সাথে পরিচয়।

পিয়া নিলয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,”আমি পিয়া। নিলয় আমার সেই স্কুল লাইফ থেকে ফ্রেন্ড। শুধু ফ্রেন্ড না। বেস্টফ্রেন্ড।”

রামিশা আরশিকে জরিয়ে ধরে বললো,”আমি তোমার ননদের মতোই। নিলয়ের থেকে একটু ছোট। আমার নাম রামিশা।”

রাজঃনা না রিক্সা😁।

রামিশাঃ😡কুত্তা।

দিপ্তঃওর কিন্তু আর একটা পরিচয় আছে।

আরশিঃকি?

রামিশা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে পেললো। নিলয় বললো,”পলকের উড বি।”

দিপ্তঃআমার ফিউচার ভাবিজান।

রামিশাঃদিপ্তর বাচ্চা। আমাকে ভাবি ডাকবি না।

দিপ্তঃকেনো ভাবিমা😜

রামিশাঃ😡

পলকঃহয়েছে। এবার চুপ থাক তরা। ভাবি তুমি….

আরশিঃভাইয়া আপনারা আমার থেকে অনেক বড়। আমাকে প্লিজ নাম ধরেই ডাকবেন। আমি আপনাদের ছোট বোনের মতো।

পলকঃওকে আরশি।

অত্র কিছু বলছে না। তাই আরশি অত্রকে বললো,”আপনার পরিচয়টা তো দিলেন না ভাইয়া। আমি আপনাকে নিরবের থ্রো জানি। এবার মি.চৌধুরির সাথে আপনার কিরকম পরিচয় সেটা বলুন।”

আরশির কথা শুনে অত্র আর নিলয় ২জন ২জনের দিকে তাকাচ্ছে। অত্র কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় বললো,”বিজন্যাস এর মাধ্যমে।”

আরশিঃউনার সাথে আপনার বিজন্যাস এর মাধ্যমে পরিচয়। বাকি সবার কিভাবে পরিচয়। এত ক্লোজ সবার সাথে। সবার তো আর বিজন্যাস এর মাধ্যমে পরিচয় হতে পারে না। বাকিদেরটা বলুন। আপনাদের দেখে খুব পুরোনো ফ্রেন্ড মনে হয়।

এবার নিলয় কি বলবে বুঝতে পারতেছে না। কারো মুখে কোনো কথা নেই। উওর না আসায় আরশি আবার কিছু বলতে যাবে তখনি সার্ভেন্ট নাস্তা নিয়ে আসে। এনে ট্রিটেবিলে রাখে।

রাজ কথা ঘুরানোর জন্য বললো,”এবার কথা না বলে গরম গরম চা খাও। ঠান্ডার মাঝে গরম চা খাওয়ার মজাই আলাদা।”

সবাই একটা করে কাপ উঠিয়ে নিলো। আরশি নিলো না বলে রামিশা বললো,”বউমনি তুমি নিচ্ছো না কেনো? তুমি ও আমাদের সাথে খাবে।”

আরশিঃআমার খেতে ইচ্ছে করছে না।

রাজঃতা বললে তো হবে না। রিক্সার কথা শুনো। আমাদের সাথে একটু তো খেতেই পারো।

রামিশাঃকুত্তা তর বউ রিক্সা।

রামিশা একটা কাপ আরশির হাতে তুলে দিলো। আর নিলয়ের সাথে কি কি করেছে। নিলয়ের ভার্সিটি লাইফের সব ঘটনা ওরা আরশিকে বলছে। কোন কোন মেয়ে প্রপোজ করেছে। আর প্রপোজ পেয়ে নিলয় কি করতো এসব বলছে। একবার তো রাজের ক্রাস এসে ও নিলয়কে প্রপোজ করে নেয়। এটা বলার সাথে সাথে রাজ ছাড়া সবাই হাসি শুরু করে দিছে।

রাজঃ😑এসব আবার বলছিস কেনো?

পিয়াঃকেনো বলবো না। সেদিন খুব মজা হয়েছিলো। আহা কি সিন!!

রাজঃআমার কষ্টে তো তোরা মজা পাসই।

নিলয়ঃসময় থাকতে প্রপোজ না করলে এমনই হয়😂।

রাজ একটা ভেংচি কাটে। ওরা আবার আগের দিনের কথা বলা শুরু করলো। পিয়া হঠাৎ মুখ ফুসকে বলে ফেলে,”একদিন তো আমি নিরব আর নিলয় নদিরধারে…….”

আর কিছু বলার আগেই আরশি একটু জোরে বললো,”তুমি নিরব আর নিলয় মানে?”

অত্র রাগি গলায় পিয়াকে বললো,”এসব কি পাগলের মতো কথা বলছিস তুই। নাম ও ঠিকভাবে বলতে পারিস না। নিরব না নেহার। আমাদের আর এক ফ্রেন্ড। ভুল করে নিরব বলে ফেলেছে। তুমি নিরবের নাম আগে বার বার বলছিলে তো তাই ওর মাথায় ওই নামটা হয়তো রয়ে গেছে।”

পিয়া অত্রর রাগি ফেইস দেখে ভয়ে ভয়ে বললো,”হ্যা হ্যা তাই। সরি।”

আরশিঃআমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে আপনারা আমার থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছেন?

নিলয়ঃকি লুকাবে ওরা তোমার থেকে। অত্র ছাড়া তো কেউ তোমাকে চিনে না। তাহলে লুকানোর প্রশ্ন আসছে কেনো?

আরশিঃআমাকে চিনেন না। বাট নিরবকে?

দিপ্তঃওহ আরশি তুমি বার বার নিরব কেনো বলছো? কে ও? আমরা তো ওই নামে কাউকেই চিনি না। তাই এসব কথা বাদ দাও। অত্রর সাথে এটা নিয়ে পরে কথা বলে নিও। এখন আমাদের সাথে গল্প করো।

আরশি আর কিছু বললো না। বাট ওর মনে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেলো। কি হচ্ছে এখানে কিছুই বুঝতে পারছে না। নিরবের বেস্টফ্রেন্ড অত্র। তাহলে ও নিলয়ের ফ্রেন্ড হয় কি করে? তাহলে কি নিরবের সাথে নিলয়ের কোনো কানেকশন আছে। ভাবছে আরশি।

রাত ১০টা,,
পলকঃআজ আরশির জন্য আবার পুরোনো স্মৃতিগুলো তাজা হয়ে গেলো। আসলেই মনটা ভালো হয়ে গেলো আগের কথা মনে করে।

রাজঃঠিক বলেছিস।

নিলয়ঃঅনেক আড্ডা হয়েছে। এবার ডিনার করা উচিৎ। আমার তো খুব খিদে পেয়েছে।

অত্রঃতুই এখনো পেটুকই রয়ে গেলি। বাট এতো খাবার কোথায় যায়। মোটা তো হস না। একদম পার্ফেক্ট বডি।

পিয়াঃবেশি খেলে কি হবে। জিম জগিং ব্যায়াম যা যা আছে সব করে। কিছুই মিস যায় না। তাই এত সুন্দর বডি।

নিলয়ঃতরা আমার বডি নিয়ে পরেছিস কেনো? তরা ও কম নাকি। এবার খেতে আয়।

দিপ্তঃচল। আমাদের আবার বাসায় ফিরতে হবে।

আরশিঃআজ থেকে যান।

পলকঃপসিবল না। নয়ত থেকে যেতাম।

নিলয়ঃচল।

সবাই একসাথে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলো। গল্প করতে করতে ডিনারটা সেরে নিলো।

ডিনার সেরে সবাই আবার ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসলো। কিছুক্ষণ পর রাজ বললো,”এবার আমাদের যাওয়া উচিৎ। অনেক রাত হয়েছে।”

পলকঃঠিক বলেছিস।

আরশি একটু দুরে দারিয়ে ছিলো। অত্র গিয়ে আরশির পাশে দারালো তারপর বললো,”নিলয় খুব ভালো ছেলে। পারলে সবকিছু ভুলে নিলয়কে নিয়ে হ্যাপি থাকো।”

আরশি অবাক হয়ে অত্রর দিকে তাকিয়ে বললো,”নিরব না আপনার বেস্টফ্রেন্ড। নিরবও তো আমাকে খুব ভালোবাসতো। ওকে ওর ভালোবাসার মানুষের থেকে আলাদা হতে বলছেন। বেস্টফ্রেন্ড হয়ে। আপনার তো উচিৎ নিরব আর আমাকে এক করে দেওয়া।”

অত্রঃনিরব আমার বেস্টফ্রেন্ড। তেমনি নিলয় ও আমার খুব ভালো ফ্রেন্ড। তোমার ভাগ্য অনেক ভালো আরশি তোমাকে ভালোবাসার মতো এত মানুষ আছে। নিলয় সব জেনে ও তোমাকে এক্সেপ্ট করেছে। এরকম মানুষ খুব কম আছে। প্লিজ ওকে কষ্ট দিও না।

আরশিঃমানে আপনি এসব কি বলছেন কিছুই বুঝতেছি না। কি জানেন উনি? কি করেছি আমি?

অত্রঃতুমি কিছু করো নি। এসব বাদ দাও। নিলয়কে শুধু কষ্ট দিও না। ও খুব একা। ছোট বেলায় মা বাবাকে হারিয়েছে। বড় হয়ে………এখন নিলি আর ওর কাকু মামনিই সব। বাট কোনো এক প্রবলেম এর কারনে ওদের থেকেও আলাদা থাকতে হচ্ছে ওকে। এখন তুমি ছাড়া আর ওর কেউ নেই।

আরশিঃভাইয়া আমি…….

অত্রঃআমি জানি তুমি নিরবকে ভালোবাসো। তোমাকে বলছি না নিরবের জায়গা নিলয়কে দিতে। বাট একটু নিলয়ের জন্য তোমার মনে জায়গা তো তৈরি করতেই পারো। একটু তো মানিয়ে চলতেই পারো। নিরব কোথায় কেউ জানে না। কেনো একজন হারিয়ে যাওয়া মানুষের পথ চেয়ে বসে আছো?

আরশি ছলছল চোখে অত্রর দিকে তাকালো।

অত্রঃআজ ৩মাস হলো নিরব নিখোজ। হতে ও তো পারে ও তোমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে সুখে আছে।

আরশিঃনা!! এসব আপনি কি বলছেন?

অত্রঃইটস ট্রু আরশি। তাই বলছি নিরবকে ভুলে যাও। নিলয়ের সাথে নতুন জীবন শুরু করো। খুব হ্যাপি থাকবে। পাস্ট নিয়ে না ভেবে প্রেসেন্ট আর ফিউচার নিয়ে ভাবো। নিলয়ই এখন তোমার প্রেসেন্ট এন্ড ফিউচার। নিলয় কখনো কারো ভালোবাসা পায় নি। যাকেই ভালোবাসতো সেই ওর থেকে দুরে চলে যেতো। নিলয়কে বাইরে থেকে তুমি যতটা হ্যাপি দেখো ভেতরে ও ততটাই কষ্টে থাকে। কাউকে বুঝতে দেয় না। এখন একমাত্র তুমিই পারবে ওকে সুখে রাখতে। প্লিজ আমার কথাটা একবার ভেবে দেখো।

পিছন থেকে নিলয় বললো,”কি এত কথা বলছিস। সবাই চলে যাচ্ছে তুই কি যাবি না।”

অত্রঃনা না আসছি।।। আসি আরশি আমার কথাটা একটু ভেবে দেখো।

এটা বলেই অত্র চলে গেলো। সবাই আরশির থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। নিলয় বাইরে পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে। আর আরশি রুমে গিয়ে অত্রর কথাগুলো ভাবতে থাকে আর কাদতে থাকে।

আরশিঃনিরব আমাকে সত্যিই ভুলে গেছে😭 অন্য কাউকে পেয়ে। না না এটা কিভাবে হতে পারে।

তারপর অত্রর বলা নিলয়ের কথাগুলোও আরশি ভাবছে। বাট নিরবকে কিছুতেই ওর মাথা থেকে বের করতে পারছে না। নিলয়কে দেখে যেনো আরো বেশি নিরব এর কথা মনে পরে ওর।

কিছুক্ষণ পর নিলয় রুমে আসে। ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে যায়। ফ্রেস হয়ে বাইরে বের হয়। তারপর বালিশ নিয়ে সোফায় যাবে তখনি আরশি বললো,”আজ আপনি বিছানায় শুয়ে পরুন। আমি সোফায় শুবো।”

নিলয়ঃকেনো?

আরশিঃএটা আপনার রুম। প্রতিদিন কেনো আপনি সোফায় শুবেন। আজ আপনি বিছানা শুয়ে পরুন।

নিলয়ঃনা আমি এখানে ঠিক আছি। আর একটা মেয়েকে সোফায় ঘুমাতে দিয়ে আমি বিছানায় আরাম করে ঘুমাতে পারবো না।

আরশি একটু ভেবে বললো,”বিছানা তো অনেক বড়। মাঝখানে বালিশ রেখে কি ঘুমানি যায় না।”

নিলয় অবাক হয়ে বললো,”আজ হঠাৎ তোমার কি হলো। একসাথে ঘুমাতে চাচ্ছো কেনো?”

আরশি মাথা নিচু করে বললো,”এমনি। আপনি না চাইলে জোর করবো না।”

নিলয় কিছুক্ষণ আরশির দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর মুচকি হেসে মাঝখানে একটা কোলবালিশ রেখে একসাইডে শুয়ে পরলো। আরশি অন্যসাইডে শুয়ে ভাবতে লাগলো ও যা করছে ঠিক করছে কিনা।
এসব ভাবতে ভাবতেই একসময় আরশি ঘুমিয়ে পরলো।


চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে