Love At 1St Sight Season 3 Part – 28

0
5712

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 28

writer-Jubaida Sobti

রাহুল : [ হেসে মার্জানের কাছে এসে ] ইউ আর এ জিনিয়াস্ মার্জান [ বলেই আবার নেহার ফেইস রিয়েকশন মনে করে কিটকিটিয়ে হাসতে থাকে ] ওর চেহেরা কেমন বানিয়ে ছিলো…আই কান্ট এক্সপ্লেইন!

মার্জান : ইয়েস্ ইয়েস্ [ হেসে ] বাই দ্যা ওয়ে, ওকে তো আমি আরো বাড়িয়ে দিতাম শিক্ষা! এই স্নেহা আমার হাতই ছাড়ছিলো না! [ বলতেই আসিফ, মার্জান, রাহুল তিনজনই আবার হেসে উঠে ]

রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে দেখে সবাই হাসছে অথচ স্নেহা টেনশন চেহেরা বানিয়ে রেখে মার্জানের দিক চেয়ে আছে,

রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে ] কি হয়েছে?…

স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যা?.. না কক..কই কিছুনা! [ বলেই ঢোগ গিলে মুখটা আবার গোমড়া করে অন্যপাশ ফিরে যায় ]

মার্জান : [ চেঁচিয়ে ] ঐ স্নেহা! তোর চেহেরাটা এভাবে বানিয়ে রেখেছিস কেনো?…আরে আপসে্ট তো ও হবে…সবার সামনে যে সুন্দরীর চেহেরায় কালো চান লেগে গেছে [ বলেই কিটকিটিয়ে হাসতে লাগলো হঠাৎ আসিফের দিক চোখ পড়তেই হাসি বন্ধ করে মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায় আসিফ ও হেসে অন্যপাশ তাকিয়ে ফেলে ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে ] কাম!

স্নেহা : কোক…কোথায়?…

[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে স্নেহার হাত ধরে নিয়ে চলে গেলো ]

মার্জান ব্যাগটা কাধে ঠিক করে নিয়ে আসিফের দিক তাকালো আসিফ তাকাতেই মুখটা ভেংগিয়ে চলে যাচ্ছিলো,

আসিফ : [ হেসে উঠে ] বাই দ্যা ওয়ে!মানতে হবে,

[ মার্জান অবাক হয়ে ফিরে তাকালো ]

আসিফ : সাহস আছে তোমার!

মার্জান : [ এগিয়ে এসে ] You know! আমি না! এখনো আমার আসল সাহস দেখায়নি!

আসিফ : [ হেসে ] তাই নাকি?..

মার্জান : [ হালকা একটু মুচকি হেসে ] এই যে আপনি নিজেকে নিজে যে ওভার স্মার্ট মনে করেন না! হাহা…ওটা না প্লিজ আমার সামনে দেখাবেন না…[ নাক ফুলিয়ে ] নাহলে তো দেখলেনই কেমন হাল করি,

আসিফ : আমি কি কিছু ভুল বলে ফেলেছি?..

মার্জান : [ কাধের পাশ থেকে চুলটা ] সরিয়ে দিয়ে ] ক্লাস ফাইভে ক্যারাটিতে পিংক এবং গোল্ডন বেল্ট মিলেছিলো আমার!

– এক চুটকিতে ধুল জমিয়ে দিতে পারবো মিষ্টার!

আসিফ : [ অবাক হয়ে চোখ বড় করে ] ওহ! ওয়াও এক্সিলেন্ট! তো এটাই তোমার ফিগারের রাজ?..

মার্জান : [ তাড়াতাড়ি ওড়না আর ব্যাগ ঠিক করে নিয়ে নাক ফুলিয়ে ] Listen! চোখ একদিকেই রাখেন বুঝলেন.. বেশি উড়লে না চোখটা টপাক করে গেলে নিয়ে ফেলবো!

আসিফ : আমাদের কি তোমরা দেখিয়ে রাখলে চোখ তো যাবেই [ বলেই হেসে পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলো, ]

মার্জান : [ দৌড়ে সামনে এসে পথ আটকিয়ে ] এক্সকিউজ মি! হোয়াট ডো ইউ মিন?…

আসিফ : আহা! আমি আজকের কথা বলছি না! [ মার্জানের কাছে মাথা এগিয়ে নিয়ে ফিসফিসিয়ে ] যখন ড্রাংক ছিলে!

[ বলেই হেসে চলে যায়, আর মার্জান স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, ধীরেধীরে পাশ মুড়ে তাকিয়ে দেখে, আসিফ ও পেছন মুড়ে একটা হাসি দিয়ে আবার সোজা তাকিয়ে চলে যাচ্ছে ]

মার্জান : যয…যখন ড্রাংক ছিলাম মানে? [ বিরক্তি হয়ে চেঁচিয়ে ] মানে সে কি বুঝালো? [ নাক ফুলিয়ে ] আর এভাবে হাফ বলে চলে গেলো! আই মিন ওর বুঝিয়ে বলতে হবে না ড্রাংক অবস্থায় কি কি দেখেছে! [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] ছিঃ ছিঃ মার্জান কিসব আজেবাজে ভাবছিস! [ বলেই হনহনিয়ে হেটে ক্লাসে চলে গেলো ]
________________________________

এইদিকে, গার্ডেনের কোণায় গাছতলার চৌকাটে বসে আছে রিদোয়ান আর জারিফা,

রিদোয়ান : আমি আজ ভার্সেটিতে কটা বাজে এসেছি জানো?

জারিফা : যতোটাই না আসেন আমার কি?..হাহা আমার জন্য তো আর আসেননি! [ বলেই নাক ফুলিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায় ]

রিদোয়ান : [ হেসে ] আব…এখন আর রাগ করোনা বলেদিলাম! মানে আমি সরি! তো গতকাল থেকেই বলে যাচ্ছি!

– মাই গড! সকালে লেইটে গুড মর্নিং বলায় এতোবড় শাস্তি, না জানি আমার আরো কতো রকমের শাস্তি অপেক্ষা করছে!

[ রিদোয়ানের কথা শোনে জারিফার হাসি পাচ্ছিলো তাও হাসি কন্ট্রোল করে রাখে ]

রিদোয়ান : চাও তো সবার সামনে এইদিকে কান ধরে উঠবস করতে রাজি তাও এভাবে কথা না বলে থেকো না প্লিজ!

জারিফা : [ কোণা চোখে তাকিয়ে ] আব..আসলে আইডিয়া খারাপ না…

রিদোয়ান : [ মুখ গোমড়া করে হেসে ] হিহি…হ্যা! আস…আসলেই!

জারিফা : সো্…. [ বলেই চোখ দিয়ে ইশারা করলো ]

রিদোয়ান : [ কাদো কন্ঠে ] সস..সত্যি জারিফা?…

জারিফা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!

[ রিদোয়ান মুখ গোমড়াকরে ধীরেধীরে উঠে দাঁড়াতে চাইলো হঠাৎ জারিফা আবার হাত টেনে বসিয়ে হেসে গালটা টেনে দেই, রিদোয়ান অবাক হয়ে তাকালো ]

জারিফা : [ রিদোয়ানের হাতে হাত পেঁচিয়ে কাধে মাথা রেখে ] মজা করছিলাম!

রিদোয়ান : [ হেসে ] হুম হুম! করে নাও মজা আমাকে নিয়ে! সবই তো আমার আগের করুণার শাস্তি! [ আকাশের দিক তাকিয়ে কাদো কন্ঠে ] হে আল্লাহ তুমি বেশী দূরে না সবই তো দেখছো এই বাচ্চা ছেলেটার উপরে হওয়া অবিচার, তুমি এতোটাও নিষ্টুর নও I know!

জারিফা : [ হেসে জোড়ে একটা চিমটি দিয়ে ] চুপ!

[ রিদোয়ান ও ব্লাশিং হয়ে হেসে জারিফার মাথার সাথে মাথা টেকিয়ে রেখে হাতটা আরো শক্ত করে পেঁচিয়ে নেই, জারিফা চোখ বন্ধ করে রাখে ]

রিদোয়ান : তাহলে লাঞ্চ একসাথে করছি?…

জারিফা : উম!হুম!

রিদোয়ান : আবার?..

জারিফা : [ হেসে ] ওকে হুম!
________________________________

হলরুমে, রাহুল আর স্নেহা এক বেঞ্চে বসে আছে,…স্নেহা মুখ গোমড়া করে চুপ হয়ে রয়েছে…রাহুল স্নেহার চুল গুলো একবার কানে গুজে দিচ্ছে…আরেকবার সরিয়ে আনছে,

রাহুল : ব্যাস,স্নেহা! আর কতোক্ষণ এইভাবে সাইলেন্ট মুড নিয়ে বসে থাকবা?..

[ স্নেহা চুপ করেই রইলো ]

রাহুল : [ স্নেহাকে তার দিক ফিরিয়ে ] আমাকে খুলে বলোতো কি নিয়ে এতো ভেবে যাচ্ছো?…

স্নেহা : কিছুনা রাহুল! ব্যাস…এটাই ভাবছি…

রাহুল : বলো?…

স্নেহা : আসলে রাহুল নেহার সাথে আজ যা হয়েছে তা মোটেও ভালো হয়নি!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] তুমি এতোক্ষণ ধরে এসব ভাবছিলে?…Unbelievable স্নেহা এটা কোনো মানে হয়?…

স্নেহা : কিন্তু রাহুল সবার সামনে এইভাবে…

রাহুল : সবার সামনে ওর সাথে যা হয়েছে ভালোই হয়েছে! আর তুমি ভুলে গেছো ও তোমার সাথে কি কি করেছে?…

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] সেটাই তো ভাবছি… [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] রাহুল! ও যদি… মার..মার্জানকে কিছু করে?…

রাহুল : [ স্নেহার হাত তার হাতের উপর নিয়ে ] ডোন্ট ওয়ারি স্নেহা! ও মার্জানকে কিছুই করতে পারবে না!

স্নেহা : তাও রাহুল! আমার খুব ভয় করছে!

রাহুল : [ স্নেহার কপালটা টেনে তার কপালের সাথে লাগিয়ে ] আমি বলছি তো!
– ও কিছুই করতে পারবে না! রিলেক্স থাকো…ওকে?…

[ স্নেহা মাথা নাড়ালো ]

রাহুল : স্মাইল করো!

[ স্নেহা চোখ নামিয়ে একটু হাসলো,রাহুল ও তেডি স্মাইল দিতে থাকে ]

রাহুল : এনিওয়ে স্নেহা! একটা কথা বলার ছিলো!

[ স্নেহা কৌতুহলি হয়ে তাকালো..]

রাহুল : [ স্নেহার দুহাত তার হাতের মুঠোই ধরে ] গতকাল তোমাকে ড্রপ করে মায়ের কাছে গিয়েছিলাম!

– আর আমাদের কথা বলেছি! এন্ড মা আমাদের বিয়ের কথা বললো!

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে রাহুলের হাতটা আরো শক্ত করে চেপে ধরে ]

রাহুল : স্নেহা আমি সারারাত ভেবেছি ইনফ্যাক্ট! আজ সকালে দাদী ও আমাদের বিয়ের কথায় বলছে!

– স্নেহা?…

স্নেহা : হুম?…

রাহুল : তুমি খুশী তো? হুম?..

স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!

[ রাহুল উঠে দাঁড়িয়ে স্নেহাকে ও টেনে দাড় করায় স্নেহার দু-হাত মুঠি বেধে ধরে তার একদম কাছে টেনে নেই! ]

রাহুল : সো্ মিস্ স্নেহা! উইল ইউ মেরি মি?… [ With tedi smile ]

[ স্নেহা শকড হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত নাড়িয়ে দিয়ে ] স্নেহা?…

– উইল ইউ মেরি মি?…

স্নেহা : [ একটু হেসে ] রাহুল! আই কান্ট এক্সপেক্ট দিস্ বাট, আপনার মনে হচ্ছে না খুব..একটা তাড়াতাড়ি হচ্ছে?…

রাহুল : [ কনফিউজড হয়ে ] আমার কথা এতোটাও কমপ্লিকেটেড ছিলো না স্নেহা! সোজা প্রশ্ন করছি সোজা আন্সার দাও!

স্নেহা : [ রাহুল থেকে তার হাত ছুটিয়ে রাহুলের জ্যাকেটটা ঠিক করে দিয়ে কাছে টেনে নেয় ] রাহুল! আই এম নট সেয়িং নো!, বাট আই এম সেয়িং….. আপনি যে ডিসিশনটা নিয়েছেন…

– আ..আই থিং ইউ আর হায়ার ইমোশোন…

রাহুল : ওকে ! স্নেহা..আই গেট ইট!

– স্নেহা যখন আমি রিলেশনে পড়ার জন্য তৈরী, আমাদের রিলেশন আগে বাড়ানোর জন্য তৈরী…বাট ইউ আর বেকিং অফ হোয়াই?…

স্নেহা : রাহুল! প্লিজ আপনি ভুল বুঝছেন…

রাহুল : নো স্নেহা! আই থিংক আমিই ভুল বলে ফেলেছি!

স্নেহা : Listen to me রাহুল!

রাহুল : [ তার জ্যাকেট থেকে স্নেহার হাত ছুটিয়ে দিয়ে ] দ্যাটস্ ওকে স্নেহা! আই আন্ডারস্ট্যান্ড! [ বলেই হেটে চলে যেতে যেতে ] ক্লাসে যাও স্নেহা! লেইট হচ্ছে তোমার!

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] রাহুল! Listen to me প্লিজ!

চলে গেলো রাহুল নিস্থব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্নেহা, চোখে জল এসে জমে যাচ্ছে! কিভাবে বোঝাবে সে রাহুলকে…রাহুল যা বলেছে তা আনএক্সপেক্টেড ছিলো তার কাছে..এতোটাই খুশির খবর ছিলো যে সে বোঝাতে পারবে না তার কেমন লাগছিলো ঐ মুহুর্তটা, রাহুলকে তো সে না বলছে না! রাহুল এমন বিহেভ করছে কেনো? [ কেঁদে কেঁদেই চোখ থেকে পানি ফেলছে স্নেহা ]

আর এইসময় তো স্নেহা তার ফ্যামিলিতে ও বিয়ের কথা বলতে পারবে না, এমন অবস্থা হয়ে আছে ফ্যামিলির,

– মাকে বলবে?..মা তো অলরেডি ডিপ্রেশনে আছে…

– বাবা?.. বাবা তো লোনের টেনশনে আধমরা হয়ে আছে! এই সময় বাবাকে ও সাহস করে গিয়ে বলাটা ইম্পসিবল, এইদিকে ১মাসের মধ্যে এতোটাকা জমা করাটা ও মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে! না পারছে রাহুলকে এই ব্যাপারে কিছু বোঝাতে না পারছে ফ্যামিলির জন্য কিছু করতে,

কি করবে এইসময় কিছুই মাথায় আসছে না স্নেহার!

[ চোখ মুছে ধীরেধীরে বেড়িয়ে পড়লো হলরুম থেকে, ক্লাসে যাবে ভাবছে…কিন্তু এখন আর ক্লাসে ও মনটা বসবে না তাই এক্কেবারে ভার্সেটি থেকেই বেড়িয়ে পড়লো স্নেহা! হেটে হেটে চলছে…আর ভাবছে! ]
________________________________

এইদিকে মার্জান ক্লাসে বসে আছে, স্যার লেকচার দিয়ে যাচ্ছে…কিন্তু তার মাথায় আসিফের বলে যাওয়া কথাটাই ঘুরঘুর করছে…

মার্জান : [ মুখে হাত দিয়ে মনে মনে ] একতো মাথার মধ্যে ঐ ইডিয়ট টার কথাটা ঘুরপাক খাচ্ছে তার উপর ইনার বাকওয়াস্ লেকচার উফফ! [ বলেই ব্যাগটা কাধে নিয়ে ধীরেধীরে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে পড়লো, এবং হাটতে হাটতে ক্যান্টিনের দিক এগিয়ে গেলো, না স্নেহাকে দেখতে পাচ্ছে না জারিফাকে…যাক ভেতরে ঢুকে একটু পেট পুজো করলে খারাপ হয়না এই ভেবেই ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকে পড়লো এবং একটা চেয়ারে গিয়ে বসলো… ]

মার্জান : [ মনে মনে ] ওহো! অর্ডারই তো করলাম না! [ বলেই উঠে এগিয়ে যায় অর্ডার করতে ]

– ভাইয়া একটা সেন্ডুইচ! আর একটা..উমম! হ্যা কোল্ড ড্রিংক্স ওকে!

[ বলেই পাশ মুরে আবার টেবিলে এগিয়ে আসতে গেলে দেখে ঐ টেবিলে আসিফই বসে আছে, নাক ফুলিয়ে এগিয়ে গেলো ]

আসিফ : [ হঠাৎ মার্জানকে দেখে ] হেইই! তুমি?..

মার্জান : ওটা আমার সি্ট ছিলো!

আসিফ : এক্সকিউজ মি!

মার্জান : ও হ্যালো! আপনাকে আগেও বলেছি আমার সামনে আপনার ওভার স্মার্টগিরি দেখাবেন না!

আসিফ : তুমি আমার পিছু নিচ্ছিলে?..

মার্জান : [ চেঁচিয়ে ] হোয়াট?.. মাথা ঠিকাছে আপনার?.. আমি আপনার পিছু নিবো?..

আসিফ : ওকে! আই আন্ডারস্ট্যান্ড!

মার্জান : Listen! এইখানে আরো অনেক সি্ট আছে আপনি ঐখানে গিয়ে বসতে পারতেন…মানে আপনার আমার মেটারে দখলবাজি করা ছাড়া পেটের ভাত হজম হয়না রাইট?…

আসিফ : আরে এইখানে কি তোমার নাম লিখা ছিলো?..আমি খালি পেয়েছি তাই বসেছি! সো্ হোয়াট?.. তোমার এতোটাই প্রবলেম হলে তুমি নিজেই গিয়ে অন্যসি্টে বসে পড়ো!

মার্জান : [ রেগে ] ইউ! ইডিয়ট

হঠাৎ,

ওয়েটার : মেম! আপনার সেন্ডুইচ! [ বলেই টেবিলে রেখে দিলো, আসিফের দিক তাকিয়ে ] ভাইয়া আপনার জন্য কিছু?..

আসিফ : [ একটু হেসে ] ইয়াহ! ওয়ান কফি!

ওয়েটার : ওকে থেংক ইউ! [ বলেই চলে গেলো ]

[ মার্জান রাগান্বিত ভাবে নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে আসিফের দিক ]

আসিফ : [ একটু হেসে ] যদি চাও তো আমি তোমার সাথে টেবল শেয়ার করতে পারি! মাইন্ড করবো না আমি! বসতে পারো! নো প্রবলেম..

মার্জান : আপনি আমার সাথে শেয়ার করবেন?..ও হ্যালো এই চেয়ারে আমি আগে এসে বসেছিলাম..আপনি তো উড়ে এসে কাবাব মে হাড্ডি হয়ে বসলেন! কিন্তু আমি ও এতো সহজে হার মানছি না! ওকে [ একটু হেসে ] আমিই শেয়ার করে দিলাম! আপনাকে..

[ বলেই মুখ ভেংগিয়ে চেয়ার টেনে বসে পড়লো,এবং সেন্ডুইচের প্লেটটি সামনে টেনে নিলো ]

আসিফ : চিজি সেন্ডুইচ খেলে তো এই ফিগার এর ১২টা বাজবে!

মার্জান : হুম! ১২টা না ১৩টা বাজুক…পারলে ১৪টা বাজুক, এবং খেয়ে এতোটাই মোটা হবো যে আমার পাশে লিটল এলিপেন্ট এর ফিগার ও হার মানবে… সো্ হোয়াট?..হুম [ চেঁচিয়ে ] তাতে আপনার প্রবলেম কি?…

আসিফ : এমনিতেই ও এখনো লিটল এলিপেন্ট থেকে কম না!

মার্জান : [ খেতে খেতে ] এক্সকিউজ মি!

আসিফ : না নাহ! ঐ দিন তোমাকে উঠাতে হলো না?..তখন বুঝেছি বাব্বা আমার একমাসের এনার্জি লস্ট হয়ে গিয়েছিলো!

[ মার্জান হাত থেকে সেন্ডুইচটা থপাস করে প্লেটে রেখে দিলো,আসিফ একটু হেসে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

ওয়েটার : স্যার কফি!

আসিফ : ইয়াহ! থেংক ইউ! [ ওয়েটার চলে গেলে ]

মার্জান : [ নাক ফুলিয়ে ] এক্সুলি না! আপনি এতোটাই লুজার যে আপনার অতোটাই অকাত ছিলো না,

– [ একটু হেসে ] এনার্জি লষ্ট ছাড়া উঠিয়ে রাখতে,

আসিফ : [ এক চুমুক কফি খেয়ে ] তুমি একজেটলি ভুলে গেছো হয়তো ঐদিন আমার এনার্জি কতোটুকু ছিলো! ইনফ্যাক্ট লুজার তো তুমিই হয়েগিয়েছিলে তাই আমার উঠিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিলো [ বলেই চোখ টিপ মারলো ]

[ মার্জান কনফিউজড হয়ে তাকিয়ে আছে আসিফের দিক ]

আসিফ : আরে কি হলো খাচ্ছো না কেনো?.. ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো!

মার্জান : [ আড়চোখে তাকিয়ে বিড়বিড় করে ] ইডিয়ট উফফ! কেনো যে ঐদিন ড্রিংক্স করতে গেলাম, নাহলে আজকে ওকে হাড়ে হাড়ে জবাব দিতাম শয়তান একটা,

আসিফ : [ হাত দিয়ে ইশারা করে ] হ্যালো!

মার্জান : [ দাতকিলিয়ে হেসে ] ইয়াহ! খাবো! [ বলেই ওয়েটারকে ইশারা করলো কাছে আসতে ]

ওয়েটার : জি!

মার্জান : আপনাদের কাছে আইস্ক্রিম আছে?..

ওয়েটার : জি! আছে…

মার্জান : আপনি লিখেন আমি বলছি [ ওয়েটার লিখার জন্য কলমটা পকেট থেকে নিয়ে খাতায় ধরলো ] ওকে সো্ যতোটা ফ্লেভারের আইস্ক্রীম আছে সব গুলো থেকে একটা একটা করে নিয়ে আসেন!

ওয়েটার : ওকে!

মার্জান : আচ্ছা শুনেন! আপনাদের কাছে সুপ আছে?..

ওয়েটার : জি! অনলি মাশরুম সুপ!

মার্জান : নো প্রবলেম! ওটাও ডান! বাট এক ফ্লেভারের খেয়ে মন ভরবে নাকি?..

– উমম! আচ্ছা আপনি এক কাজ করেন! ঠান্ডা ঠান্ডা একটা লাচ্চি ও নিয়ে আসবেন, আর কিছুক্ষণ পর তো এমনিতেই লাঞ্চের টাইম হয়ে যাবে আপনি একটা ফ্রাইড রাইস্, এক প্লেট চিকেন, এক প্লেট ক্যাশোনাট সালাদ উমম, ও হ্যা সাথে চিলি চাটনি আর টক দই, আরে হ্যা মিষ্টির মধ্যে তো ভালো কিছু অর্ডারই করা হলো না, আপনি এক কাজ করেন আপনাদের কাছে যতো ফ্লেভারের পেষ্টি আছে সব গুলো থেকে একটা একটা নিয়ে আসবেন ও হ্যা! সাথে কুকিজ থাকলে কুকিজ ও নিয়ে আসবেন!

ওয়েটার : [ একটু ঢোগ গিলে ] ওকে মেম! আর কিছু?…

মার্জান : [ একটু হেসে ] হ্যা! একটা মিনারেল ওয়াটার প্লিজ!

ওয়েটার : ওকে! [ বলেই চলে গেলো ]

[ মার্জান আসিফের দিক তাকাতেই দেখে আসিফ হা করে তাকিয়ে আছে তার দিকে ]

মার্জান : আরে কি হলো?…আপনি কিছু অর্ডার করবেন নাকি?…

আসিফ : [ ঢোগ গিলে ] নাহ! আমার পেট ভরে গেছে!

মার্জান : এক কাপ কফিতেই?…[ কিটকিটিয়ে হেসে ] আরে আমার মতো খেতে শিখুন! বাচবেনই আর কয়দিন?…

[ আসিফ একটু হেসে অন্যপাশ ফিরে গেলো, চুপ করে রইলো দুজন, আসিফ কিছুক্ষণ পর পর মগে চুমুক কেটে কফি খাচ্ছিলো আর মার্জানের দিক তাকাচ্ছিলো, মনে মনে ভাবছে এতোগুলো খাবার ও একা খাবে কি করে…দেখতে তো ফুল ফিট ফিগার, এসব ডেইলি খায়? নাকি আজ খাচ্ছে?..নাজানি মাথায় কি খিচুড়ি পাকিয়েছে ]

[ কিছুক্ষণ পরেই ওয়েটার অর্ডার অনুযায়ী সব খাবারই এনে দিলো ]

মার্জান : [ চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে ঘ্রাণ নিয়ে ] ওয়াহ! কি স্মেল! [ বলেই ফ্রাইড রাইসের প্লেটটা এগিয়ে নিয়ে দু-তিন চামচ খেয়ে নিলো, [ আসিফের দিক তাকিয়ে ] চিকেনটা খুব স্পাইসি্ মনে হচ্ছে তাই না?..[ বলেই রাইসে্র বাটি রেখে একটা চিকেন এগিয়ে নিয়ে এক কামড় খেলো এবং সাথে সাথেই আআহ বলে চেঁচিয়ে উঠলো ]

আসিফ : [ তাড়াতাড়ি পানির বোতোল খুলে গ্লাসে ঢেলে এগিয়ে দিলো ] আরে কেয়ারফুল গরম-ঠান্ডা দেখে খাও,

মার্জান : [ মুখে হাত দিয়ে ] আই এম ওকে! [ একটু হেসে সুপের বাটিটা এগিয়ে নিলো ] You know আই লাভ মাশরুম, [ বলেই নেড়ে এক চামচ ফু দিয়ে ঠান্ডা করে মুখে দিলো ]

[ আসিফ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে ]

মার্জান : [ এক্সাইটেড হয়ে ] আরে কেশোনাট সালাদ! [ বলেই প্লেটটা এগিয়ে নিয়ে এক চামচ মুখে দিলো ] ওয়াহ! কি টেষ্ট এটার যতোই তারিফ করি কম হবে, ওহ হ্যা! আইস্ক্রিম গুলো তো টেষ্টই করা হলো না [ বলেই সব গুলো থেকে এক চামচ এক চামচ কেটে নিয়ে খেয়ে সাধ নিলো ] আসলে আমি পেষ্টি তেমন খায় না…সব ফ্লেভারের পেষ্টি শুধু শুধু অর্ডার করেছি বাট চকলেট ফ্লেভার ওয়াও ওটা কিভাবে বাদ দিবো [ বলেই চকলেট ফ্লেভারের পেষ্টিটা এগিয়ে নিয়ে দু-চামচ কেটে খেলো ] আই লাভ কুকিজ, [ বলেই একটা কুকিজ মুখের ভেতর ঢুকিয়ে দিলো ] আসলে ফ্যাট কমানোর জন্য টক দই খাওয়া খুবই জরুরী, আর খাওয়ার পর টক দই খাওয়ার মজাটাই আলাদা [ বলেই টক দইয়ের প্লেটটা নিয়ে একচামচ খেলো ] আরে! ওনাকে বললাম টক দই দিতে এতো দেখি মিষ্টি দই উফ! [ বলেই বাটিটা পিছে ঠেলে দিলো, একটু হেসে লাচ্ছির গ্লাসটা এগিয়ে নিয়ে হাফ খেয়ে আবার টেবিলে রেখে দিলো, জোড়ে একটা শাস ফেলে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো, আসিফ একটু হাসলো, মার্জান ও একটু হেসে ব্যাগের ভেতর হাত দিয়ে মোবাইলটা বের করে নিলো ] আহা টাইমতো অনেক পেড়িয়ে গেছে,আসলে লাস্ট ক্লাসটা করা আমার জন্য খুব জরুরী! আমি আসি হ্যা! [ বলেই ব্যাগটা কাধে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো ওয়েটার এর দিক তাকিয়ে ] এক্সকিউজ মি ভাইয়া,

ওয়েটার বিল পেইজ টা নিয়ে এগিয়ে আসলো!

[ মার্জান হেসে কাগজটা এগিয়ে নিয়ে আসিফের কফির মগের নিচে চেপে রাখলো আসিফ মার্জানের দিক তাকাতেই মার্জান একটা চোখ টিপ মেরে মুচকি হেসে হাটা শুরু করে,এবং কিছুদূর হেটে গিয়ে আবার মোড় ফিরে তাকালো, তা দেখে আসিফ ও একটা মুচকি হেসে অন্যপাশ ফিরে গেলো,]

মার্জান : [ মনে মনে হেসে ] এভারেস্ট জয় করলেও বোধহয় আমার এমন খুশি লাগতো না যা এই মিষ্টার ওভার স্মার্টকে শিক্ষা দিয়ে লাগছে, [ হাসতে হাসতেই ক্লাসের দিক চলে গেলো ]

ওয়েটার : ভাইয়া! ভার্সেটি কেন্টিনে এই অবস্থা, না জানি রেষ্টুরেন্টে ডেটে নিয়ে গেলে আপনার কি হাল করতো,

আসিফ : [ একটু হেসে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে টেবিলের উপর টাকা রেখে বিল প্রেমেন করে দিলো ] এক্সুলি এটা রিভেঞ্জ ছিলো! ব্রো,

ওয়েটার : রিভেঞ্জ?..

আসিফ : [ ওয়েটারের কাধে বারি দিয়ে ] বুঝবিনা! [ বলেই একটু হেসে বেড়িয়ে গেলো ]
________________________________

ভার্সেটি ছুটি,

মার্জান : [ স্নেহাকে ফোন দিয়ে ] কোথায় তুই?..রাহুলের সাথে নাকি?..

স্নেহা : আব…না আস..আসলে আমি ডান্স ক্লাসে চলে এসেছি,

মার্জান : হোয়াট?…কিন্তু তুই তো বলেছিস ভার্সেটি ছুটির পর যাবি!

স্নেহা : হ্যা তাই তো করলাম!

মার্জান : ও হ্যা! কিন্তু একটু দেখা করে যেতে পারতি! আচ্ছা বুঝেছি রাহুল পৌছে দিয়েছে বুঝি?..হুম হুম?..

স্নেহা : নাহ! একাই এসেছি,

মার্জান : অহ!

স্নেহা : আচ্ছা আমি এখন রাখি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে!

মার্জান : আচ্ছা ওকে বাই! রাখি [ বলেই ফোন বেগে ঢুকিয়ে হেসে বেড়িয়ে পড়ছে ভার্সেটি থেকে হঠাৎ পার্কিং এর দিক চোখ যেতেই দেখে রাহুল বাইকের উপর একা বসে আছে,]

মার্জান : [ এগিয়ে গিয়ে টিচ্ করে ] হোয়াট হ্যাপেন রাহুল! এতো আপসে্ট কেনো?..

রাহুল : [ একটু হেসে ] নো! নাথিং! আব…তুমি একা? আই মিন স্নেহা কোথায়?…

মার্জান : কেনো আপনাকে বলে যায়নি?..

রাহুল : বলে যায়নি মানে?..কোথায় গেছে?…

মার্জান : আরে ডান্স ক্লাস গেছে!

রাহুল : কিন্তু ওর ডান্স ক্লাস তো বিকেল ৫টা থেকে তাই না?…

মার্জান : ও হ্যা! আজ থেকে ওভারটাইম করবে ও! তাই…

রাহুল : [ নাক ফুলিয়ে ] এতোটাই কি দরকার ছিলো যে ওর ওভারটাইম জব করতে হচ্ছে?…

[ মার্জান টেনশনে পড়ে গেলো রাহুলকে কি জবাব দিবে তাই সে এদিকওদিক তাকাতে শুরু করলো ]

রাহুল : [ দাতকিলিয়ে ] Damn it! আমাকে একবার বলে যাওয়াটা ও ইম্পরট্যান্ট মনে করলো না! [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] এনিওয়ে, তুমি বাসায় যাচ্ছো?..

মার্জান : [ হেসে ] হ্যা! বাসায় যাচ্ছি

রাহুল : জারিফা?..

মার্জান : আর কোথায় হবে?..

রাহুল : [ একটু হেসে ] ওহ! আচ্ছা চলো তোমাকে পৌছেদি,

মার্জান : না নাহ! ইটস্ ওকে আমি বাসে্ই যাবো! আর এমনিতেও আমার বাইকে অনেক ভয় করে!

রাহুল : অহ! এক্সুলি গাড়ী সব সার্ভিসিং এ দিয়ে দিছে ড্রাইভার, তাই বাইক আনতে হলো!

পেছন থেকে,

আসিফ : নো প্রবলেম চাইলে আমার গাড়ী থেকে লিফট নিতে পারে!

মার্জান : [ নাক ফুলিয়ে পেছন তাকিয়ে ] থেংক্স বাট নো নিড!

রাহুল : ইয়াহ! হি ইজ রাইট! তুমি আসিফের সাথেই যাও ও গাড়ীইই এনেছে বাইক না! [ with tedi smile ]

আসিফ : [ কাছে এগিয়ে এসে মার্জানের দিক তাকিয়ে ] ভয় পাচ্ছো নাকি?..

মার্জান : এক্সকিউজ মি! ভয় কেনো পাবো?…

আসিফ : তাহলে?..

মার্জান : [ মনে মনে ] বোধ হয় ইনার শিক্ষা পাওয়াটা কম হয়ে গেছে ডোজ আরেকটু বাড়াতে হবে! বুঝেছি!

– [ একটু হেসে ] ওকে!

আসিফ : ওকেই!

মার্জান : বাই রাহুল!

রাহুল : বাই!

[ আসিফ গিয়ে গাড়ীর দরজা খুলে দিলে মার্জান নাক ফুলিয়ে হেসে হেসে উঠে বসে, তা দেখে আসিফ ও হাসতে থাকে ]

মার্জান আর আসিফ চলে যাওয়ার পর,

রাহুল : [ ভাবতে লাগলো ] কি হলো এই স্নেহার?…ও আমাকে বলে যেতে পারতো এনিওয়ে না বললে অন্তত একটা ফোনকল করতে পারতো, ঐদিন স্যারের বার্থডে বলেও ডান্স ক্লাস চলে গেছে আর আমাকে একটু ও বললো না আর আজ ও সেইম ওভারটাইম ডান্স ক্লাস, [ মুখটা গোমড়া করে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আই মিস্ ইউ স্নেহা!

[ হঠাৎ একটু হেসে সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে বাইকে উঠে স্টার্ট দিলো স্নেহার ডান্স ক্লাসে যাবে বলে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পরই ফোনটা বেজে উঠলো, বাইক থামিয়ে ফোনটা রিসি্ভ করলো ]

রাহুল : হ্যা বল?.. [ বলতেই ফোনের ওপাশ থেকে যা শুনলো তা শুনে রাহুল শকড হয়ে গেলো ] হোয়াট?… ওকে ওকে আমি এক্ষুণি আসছি!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে