Love At 1St Sight Season 3 Part – 23

0
6009

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 23

writer-Jubaida Sobti

 

স্নেহা ধীরেধীরে মাথা ফিরিয়ে রাহুলের দিক তাকালো, রাহুল সাথে সাথে স্নেহাকে চোখ টিপ মারলো! স্নেহা লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি আবার অন্যপাশ ফিরে যায়,

রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কাধে স্লাইড করে সব চুল একপাশ করে রাখলো, স্নেহা শিউরে উঠলো, হার্টবিট দ্রুত বাড়তে লাগলো স্নেহার,

রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] ভয় পাচ্ছো স্নেহা! [ with tedi smile ]

[স্নেহা কোনো জবাব দিলোনা শুধু জোড়ে জোড়ে শাস ফেলছে ]

রাহুল : স্নেহা তোমার নাক!

[ স্নেহা অবাক হয়ে নাকে হাত দিলো,]

রাহুল : লাল হয়ে আছে! [ With tedi smile ]

[ স্নেহা লজ্জায় ব্লাশিং হয়ে মাথা নিচু করে একটু হেসে দেই, রাহুল ও হেসে পেছন থেকে স্নেহাকে শক্ত করে চেপে জড়িয়ে ধরে, আশেপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছে না কুয়াশায়…শীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে…দুজনেই সেই বাতাস উপভোগ করছে..]

রাহুল : [ স্নেহার কাধে মাথা রেখে ] ঠান্ডা লাগছে তাই তো ?…

স্নেহা : না..নাহ তো!

রাহুল : ওহ! রিয়েলি?..[ স্নেহাকে ছেড়ে দিয়ে ] এবার?..

[ স্নেহা হেসে উঠে, ]

রাহুল : [ আবার স্নেহাকে জড়িয়ে ] আচ্ছা তোমরা মেয়েরা এমন কেনো?..

স্নেহা : কেমন?..

রাহুল : অনেক কথায়, মনের মধ্যে জমিয়ে রাখো! যেমন এখন তোমার ঠান্ডা লাগছিলো..তাও মুখ ফুটে বলছিলেনা যে আমার ঠান্ডা লাগছে…

স্নেহা : কক..কই?… ঠা..ঠান্ডা লাগছিলো নাতো!

[ রাহুল স্নেহাকে একটানে তারদিক ফিরিয়ে নেয়, স্নেহা ঘাবড়ে উঠে রাহুলের দিক তাকিয়ে থাকে, ]

রাহুল : [ স্নেহার কপালের সাথে তার কপাল লাগিয়ে ] ইউ কান্ট লাই টু মি! স্নেহা! আই কেন্ ফিল ইউ!

[ স্নেহা রাহুলের চোখের দিক তাকিয়ে আছে, রাহুল স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে একদম কাছে টেনে নেই!…স্নেহা রাহুলের জ্যাকেট শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে ফেলেছে, স্নেহার চুলগুলো উড়ে এসে দুজনের মুখ ঝাঁপিয়ে দিচ্ছে বারবার…রাহুল ধীরে ধীরে স্নেহার নাকের সাথে নাক লাগিয়ে হাত দিয়ে স্নেহার পিঠে স্লাইড করতে লাগলো… স্নেহা তার চোখ বন্ধ করে ফেলেছে…রাহুল ও চোখ বন্ধ করে ধীরেধীরে স্নেহার ঠোটের দিক মুখ এগুতে নিলে,]

হঠাৎ,

স্নেহা : রার…রাহুল No!…

[ বলতেই রাহুল থেমে যায়, চোখ খুলে দেখে স্নেহা তার চোখ এবং ভোর কুঁচকে গুটিসুটি হয়ে আছে,…রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার কোমোড় থেকে তার হাত সরিয়ে নেয়! স্নেহা চোখ খুলে তাকালো রাহুলের দিক, রাহুল ও চুপ করে চেয়ে আছে স্নেহার দিক… ]

হঠাৎ,রাহুল কিটকিটিয়ে হেসে উঠে,

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] হা..হাস…হাসছেন কেনো?..

রাহুল : [ হেসে হেসে ] Oh my godness! স্নেহা! your expression was so cute!

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া হয়ে মাথা নিচু করে ] এক্সুলি… রাহুল!…

রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] ওকে রিলেক্স স্নেহা! It’s not a pressure!

[ Sneha blushing ]

রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে স্নেহা! তোমার মুখটা অনেক শুকিয়ে আছে দেখেই মনে হচ্ছে দুদিন ধরে..কিছুই মুখে ও দাওনি! এম আই রাইট?…

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে দু-হাত দিয়ে রাহুলের মুখ ধরে কাদো কন্ঠে ] এমন লেগেছিলো যেনো!

রাহুল : আমি ও কিছু খায়নি! তাই তো?

[ বলতেই স্নেহার চোখে পানি টলমল করছিলো,রাহুল ও তার কপাল স্নেহার কপালে লাগিয়ে জোড়ে একটি শাস ফেলে,স্নেহার চোখের দিক তাকালো,]

রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] স্নেহা! উই কুড্ হেয়ার ইচ্ আদার্, ফিল ইচ্ আদা্র কে্ন ইভেন…..

স্নেহা : [ একটু হেসে ] টক্ উইথ ইচ্ আদা্র! [ বলতেই রাহুল ও মুচকি হেসে স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে,স্নেহা ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে রাহুলকে! ]

রাহুল : আচ্ছা চলো এখন ডিনার করবে!

[ বলেই রাহুল স্নেহাকে ছুটিয়ে হুট করে কোলে তুলে নিলো ]

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] আরে রাহুল কি করছেন? কেউ…

রাহুল : ডোন্ট ওয়ারি এইখানে তুমি, আমি ছাড়া আর কেউই দেখছে না!

[ বলেই হেটে শীপের ভেতরের রুমে এগিয়ে যায়, আর স্নেহা ব্লাশিং হয়ে রাহুলের দিক চেয়ে থাকে,

ভেতরে গিয়ে দেখে টেবিলে অলরেডি ডিনার সাজিয়ে রেডি করা আছে, রাহুল স্নেহাকে নামিয়ে একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে স্নেহাকে বসিয়ে Opposite চেয়ারে সে ও বসে পড়ে,]

স্নেহা : [ চারদিক একবার চোখবুলিয়ে আবার রাহুলের দিক তাকিয়ে ] এসব ড্রাইভ করতে করতে ৫ মিনিটের জন্য মোবাইল টিপছিলেন তখনি করেছেন তাই না?..

রাহুল : ইয়েস্ [ বলেই স্নেহাকে চোখ টিপ মেরে প্লেট এগিয়ে দিলো, হঠাৎ চেঁচিয়ে ] ওহ! শিট্, ফ্রন!

– স্নেহা!

স্নেহা : হুম?..

রাহুল : তোমার ফ্রনে এলার্জি তাই না?..

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] How do you know?..

[ রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তার চেয়ারটি স্নেহার কাছে এগিয়ে এনে পাশে বসে স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ, এবং স্নেহার সামনের চুল গুলো কানে গুজে দিয়ে ধীরেধীরে মুখে স্লাইড করতে লাগলো, স্নেহার হার্টবিট আবারো দ্রুতগতিতে চলতে লাগলো রাহুলের ছোয়াতে, চোখ নামিয়ে নিচের দিক তাকিয়ে রইলো স্নেহা,]

রাহুল : তোমার হোয়াইট স্কিনের মাঝে যে রেডনেস্-টা ভেসে উঠে…ওটা দেখে বুঝেছি!

[ স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকালে, রাহুল কিটকিটিয়ে হেসে উঠে,]

রাহুল : ওকে ওকে!রিলেক্স এভাবে তাকাচ্ছো কেনো! আসলে মায়ের বার্থডেতে ঐদিন যখন তোমার সাথে লাঞ্চ করছিলাম…তখন তুমি ফ্রন রাইস্ থেকে চিংড়ি এভোয়ড করে খাচ্ছিলে,জাষ্ট ঐটা থেকে আইডিয়া করলাম!

স্নেহা : এতোকিছু খেয়াল করেছেন?…

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] ওহো! স্নেহা আমিতো তোমার সবকিছুই খেয়াল করি [ বলেই নটি মাইন্ডে স্নেহাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বারবার দেখতে লাগলো ]

স্নেহা : [ হেসে রাহুলের মাথায় একটি বারি দিয়ে ] ছিঃ রাহুল! স্টপ ইট!

রাহুল : আচ্ছা তুমি একমিনিট বসো আমি এক্ষুণি আসছি!

স্নেহা : কিন্তু কোথায় যাচ্ছেন?…

রাহুল : তোমার জন্য অন্য ডিশ আনতে!

স্নেহা : ইটস্ ওকে! রাহুল ডোন্ট ওয়ারি আমি ম্যানেজ করে নেবো!

রাহুল : নো! ওয়ে… [ বলেই উঠে বেড়িয়ে যায় ]

[ স্নেহা আর কিছু না বলে মনে মনে হেসে মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চারদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলো, আশেপাশে জানালা দিয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছে না..শিপ চলছে, চারদিক শুধু পানি আর পানি… ]

হঠাৎ, কিছুক্ষণ পর রাহুল এগিয়ে এসে টেবিলে একটি সুপের বাটি রাখলো,

রাহুল : স্নেহা! তোমার আবার চিকেনে এলার্জি নেই তো?..

স্নেহা : [ হেসে ] হাউ ফানি! রাহুল..চিকেনে এলার্জি থাকে নাকি?..

রাহুল : থেংক গড! [ বলেই চেয়ারে বসলো ]

স্নেহা : হ্যা! তবে চিকেনে ও একটা প্রবলেম আছে!

রাহুল : হুম! তা কি?..

স্নেহা : চিকেন ফ্যাট! তাই আমার ওয়াইট বাড়তে পারে!

রাহুল : হোহ হো! [ বলেই স্নেহার সামনে হাত তুলে বডি দেখিয়ে ] ডোন্ট ওয়ারি বেবি! কোলে চড়তে পারবে!

[ স্নেহা হাসতে থাকে রাহুলের কান্ড দেখে ]
________________________________
এইদিকে..আসিফ ড্রাইভ করতে লাগলো, আর মার্জান মাতাল অবস্থায় উলটা পালটা বক বক করে যাচ্ছে,

মার্জান : আমি আপনাকে….বল…বলেছি?..

আসিফ : ভালো করে দাঁড়াতে পারছো না আবার বলছো বাড়ী একা যাবা!

মার্জান : Lis…Listen! আপনার! তিতকরলার মতো কক…কথা গুলো না! আমার…সাস…সামনে বলবেন না! [ চেঁচিয়ে ] আই হেটটট তিতকরলা! ইয়াককক! [ বলেই আসিফের গায়ের দিক মুখ এনে বমি করার ট্রাই করতে লাগলো ]

আসিফ : [ তাড়াতাড়ি গাড়ী থামিয়ে চেঁচিয়ে ] হেই হেই! Listen.. কি করছো ওয়েট!

[ মার্জান আসিফের দিক তাকিয়ে কিটকিটিয়ে হেসে উঠে ]

আসিফ : থেংক গড! আমি ভেবেছি সত্যি সত্যি! [ বলেই একটি জোড়ে শাস ফেললো ]

মার্জান : উমম! আপনি ভাবলেন কেনো?.. হুম?.. আপনাকে ভা..ভাবতে?..[ চেঁচিয়ে ] বলেছি?.. আরে এভাবে ডায়নেসোর এর মতো হা কক..করে তাকিয়ে আছেন কেনো?..হুম?.. [ চেঁচিয়ে ] কামঅন! ড্রাইভিং ফাষ্ট!… [ বলেই আসিফের গাল টেনে ধরে বুমমম! উমম বুমমম! করে চেঁচাতে লাগলো ]

আসিফ : [ মার্জানের হাত সরিয়ে দিয়ে ] আর ইউ ক্রেজি?…হোয়াট আর ইউ ডোয়িং?..আমার ফেস্ দেখতে কি গাড়ীর গিয়ার মনে হচ্ছে তোমার ?…

মার্জান : [ কাদো কন্ঠে ] তাহলে আম…আমাকে ড্রাইভ করতে দেন!

আসিফ : ওহ ইয়াহ! দুনিয়া-দারি তো এখনো কিছুই দেখা হয়নি আমার, দুধের দাত পড়েছে কিনা ও এখনো সন্দেহ আছে…আর মহারাণী বলছে ড্রাংক অবস্থায় তাকে ড্রাইভিং করতে দিতে! এই যে মেম শুনুন! চুপচাপ সামনে তাকিয়ে বসে থাকুন, আর আমাকে সস্থি হয়ে একটু ড্রাইভ করতে দিন!

[ বলেই আসিফ গাড়ী স্টার্ট দিয়ে চালানো শুরু করলো, কিছুক্ষণ পর কোণা চোখে মার্জানের দিক তাকালে দেখে মার্জান তাকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে..যদি এখন ও কোনো ছোট প্রানী হতো গপ করেই গিলে খেয়ে ফেলতো! ]

মার্জান : [ সিটে্ পা তুলে বসে আসিফের দিক তাকিয়ে চেঁচিয়ে ] আইই! এইভাবে তাকাচ্ছেন কেনো?..হুমম?..[ আসিফের মাথায় হাত দিয়ে গুলি বানিয়ে ধরে ] আই উইল কিল ইউ! [ চিৎকার করে ] ডিস!

আসিফ : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] সো্ ফানি!

মার্জান : Why are you laughing?.. হ্যা?..[ চেঁচিয়ে ] Come on tell me!

[ চোখ বটে ] tell me…. tell me…

[ বলতেই মাথা ঢলে সি্টে শুয়ে পড়ে,]

আসিফ : [ তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে ] Mad girl! [ বলেই আবার সোজা তাকিয়ে ফেললো ]
________________________________
এইদিকে, রাহুল ডিনার করে মুখে হাত দিয়ে স্নেহার দিক এক পলকে চেয়ে আছে,

স্নেহা : আচ্ছা! কি হয়েছে বলুনতো কখন থেকেই তাকিয়ে আছেন!

রাহুল : [ ব্লাশিং হয়ে একটু হেসে দেই! ] আচ্ছা তুমি ডিনার করেছো এগুলো হয়েছে?..এসবে মশার পেট ও ভরবে না! [ বলেই স্নেহাকে আরো সুপ ঢেলে দিতে লাগলো ]

স্নেহা : আচ্ছা! এমনভাবে বলছেন যেনো নিজে কি খেয়ে তরিয়ে ফেলেছেন!

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আমি কিন্তু তোমার চেয়ে ও বেশী খেয়েছি!

স্নেহা : হ্যা! তা আমি ভালো করেই দেখেছি…খেয়েছিলেন নাকি আমার দিকে চেয়েছিলেন!

রাহুল : [ স্নেহার একদম কাছে মুখ এনে স্নেহার চেয়ারের কাধে হাত রাখলো ] তো কি করবো বলো?..তুমি সুন্দরই এমন না তাকিয়ে থেকে পারছিলামই না!

স্নেহা : [ একটু ব্লাশিং হয়ে হেসে রাহুলের নাক টেনে দিয়ে ] আমাকে তাকিয়ে থাকলে কি পেট ভরে যাবে মিষ্টার?..

রাহুল : পেট ভরতে হবে না, পেট অলরেডি ভরা ছিলো, [ ব্লাশিং হয়ে ] Now! মন ভরলেই চলবে, [ with tedi smile ]

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] হ্যা! পেট ভরা ছিলো…আমি দেখেছি কিভাবে ভরা হয়েছে!

[ রাহুল ভোর কুচকে কনফিউজড হয়ে স্নেহার দিক চেয়ে রইলো ]

স্নেহা : রাহুল! এভাবে ড্রিংক করলে লিভারের ক্ষতি হবে!

[ রাহুল মাথা নিচু করে স্নেহার চেয়ারের কাধ থেকে হাত সরিয়ে সোজা হয়ে বসে ]

রাহুল : স্নেহা! যখন আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম…

– বাবা-মা কেউই ছিলো না আমার পাশে, একটা অনাথ বাচ্চার মতোই বড় হয়েছিলাম!

You know! কিছুর অভাব ছিলোনা আমার কাছে…বড় বাড়ী, গাড়ী, গিটারহাউজ, রেসিং কার, [ একটু হেসে ] স্পাইডার ম্যানের সুইটার!
সব জিনিষই ছিলো আমার কাছে! [ স্নেহার দিক ফিরে ] কিন্তু স্নেহা! আমি যাদের সাথে চেয়েছিলাম, তারাই ছিলোনা!
স্কুলে সবাই পেরেন্টস্ ডে সেলেব্রেট করতো তাদের পেরেন্টসদের সাথে,

আর আমি…[ বলেই হেসে উঠে ] দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাদের এঞ্জয়মেন্ট দেখতাম! সজ্য করতে না পেরে গাড়ীতে উঠে গিয়ে ড্রাইভারকে বকাঝকা করতাম! কেনো এনেছো আজ স্কুল? তোমার মনে নেই আজ পেরেন্টস্ ডে!আমার তো পেরেন্টস্ নেই আমাকে কি এইখানে লুডু খেলতে এনেছো?.. [ একটা জোড়ে শাস ফেলে ] দাদী অনেক বুঝাতো আমাকে, রাহুল এভাবে বলেনা পেরেন্টসদের ব্যাপারে এইসেই কতো কিছু! দাদী সবসময় আমার পাশে থাকার চেষ্টা করেছে, কিন্তু জানো স্নেহা! তাও কোনো একদিকে নিজেকে খুব একা একা মনে হতো!

অনেক ট্রাই করেছি দু-জনকে এক করতে, But, their attitude! killed me [ বলেই হেসে উঠে ] মায়ের কাছে যায় হাসি মুখে, কিন্তু এটা বলার সাহস হয়না! চলে এসো মা আবার, আমাদের সাথেই থাকো!

স্নেহা! যেইদিন থেকেই এসব পেইন আর সজ্য হচ্ছিলো না…তখন থেকে এটা বেচে নিয়েছি!

i swear স্নেহা আমি Addicted না! বাট, যখনি পেইন লাগে…সজ্য হয় না..তখনি এটাকে পার্টনার করেনি!

স্নেহা : [ রাহুলের হাত কাছে টেনে জড়িয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে কাধে মাথা রেখে ] এখন তো আর একা নয়! হুম?…

[ রাহুল মুচকি হেসে স্নেহার হাত মুঠি বেধে শক্ত করে তার হাতে ধরে স্নেহার দিক তাকিয়ে মাথা নাড়ালো! ]

স্নেহা : আজ থেকে আর খেতে হবে না!ওকে?…আর যখনি এসব সামনে থাকবে…আপনি আমার কথা মনে করবেন দেখবেন! আপনার খেতে ইচ্ছেই করবে না!

রাহুল : [ স্নেহার কপালে একটি চুমু খেয়ে স্নেহাকে বুকে টেনে নেয় ] স্নেহা! আমাকে প্রমিস করো! কখনো ছেড়ে যাবা না!

স্নেহা : [ রাহুলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ] যাবো না! প্রমিস্ [ বলেই চোখ বন্ধ করে রাখে ]

হঠাৎ, স্নেহার ফোন বেজে উঠলো, স্নেহা মাথা তুলে ফোন হাতে নিয়ে রাহুলের দিক তাকালো,

রাহুল চোখ দিয়ে ইশারা করে জিজ্ঞেস করলো কে?..

স্নেহা : মা! [ বলেই ফোন রিসি্ভ করলো ] হ্যা! মা বলো!

মা : কেমন আছিস স্নেহা?..

স্নেহা : ভালো! তোমরা কেমন আছো?..রাশু এক্সাম দিচ্ছেতো?

মা : ভালোই আছি! হ্যা দিচ্ছে! [ বলেই চুপ করে রইলো ]

[ স্নেহা রাহুলের দিক তাকিয়ে আংগুল দিয়ে ইশারা করে দু-মিনিট সময় দিতে বললো ]

রাহুল : ইয়াহ! শিয়র..

স্নেহা : [ হেটে অন্যপাশ গিয়ে দাঁড়িয়ে ] কি হয়েছে মা?..সব ঠিকাছে তো?..

মা : [ কাদো কন্ঠে ] জমিটা বিক্রি করে দিয়েছি!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে চেঁচিয়ে ] কিন্তু মা কেনো?…

রাহুল স্নেহার চেঁচিয়ে উঠা দেখে অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো তা দেখে স্নেহা গোমড়া মুখে একটু হেসে অন্যপাশ ফিরে যায়,

মা : পাঁচবছর আগে যে লোন নিয়েছিলো না তোর বাবা! ওটার টাকা শোধ করা বাকি ছিলো…তাই আর রাস্তা খুজে পাচ্ছিলাম না! [ ফুফিয়ে কেদে ] এখন তো কোনো চাকরী ও নেই!

স্নেহা : কাঁদছো কেনো মা?..যাক! বিক্রি করে প্রবলেমই তো Solve করা হয়েছে! এখন আর টেনশন করো না!

মা : জমি বিক্রি করে ও পুরো টাকা মেলানো যায়নি স্নেহা! ওদের থেকে কাগজ এসেছে! একমাসের মধ্যে যদি পুরো টাকা শোধ করা না হয়, তাহলে বাড়ীটা ও নিলামে চলে যাবে!

[ স্নেহা কানে ফোন ধরে শকড হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ]

মা : স্নেহা! তুত…তুই পারলে তোর টিউশন থেকে রাশুর জন্য কিছু টা..টাকা পাঠাস! [ বলেই কেঁদে উঠে ]

স্নেহা : মা! আ..আমিতো টিট..টিউশন ছেড়ে দিয়েছি!

মা : [ ঢোক গিলে ] ছেড়ে দিয়েছিস! ওহ!

স্নেহা : কিক…কিন্তু মা! তুমি টেনশন করো না,আমি আবার জয়েন করে নেবো! আ..আমি টাকা পাঠাবো! আচ্ছা…বাবা কেমন আছে!

মা : টেনশনে অসুখ বাড়ছে আর কমছে এভাবেই!

স্নেহা : ঔষধ?..

মা : [ কাদো কন্ঠে ] যেটুকু টাকা ছিলো, রাশুর ফিস্ ভরে দিয়েছে!

[ স্নেহার চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়ছে, কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না..]

স্নেহা : [ কান্না কন্ট্রোল করে ] টে..টেনশন করো না…আম..আমার ভার্সেটি ফিসে্র টাকাগুলো রয়ে গেছে..

ওগুলো কাল পাঠিয়ে দিবো!

মা : কিক…কিন্তু তুই?…

স্নেহা : বাবার চেয়ে ও ভার্সেটিতে পড়া ইম্পরট্যান্ট না মা! আর তুমিও চিন্তা করো না, আমি আরো কয়েকটা টিউশন বাড়িয়ে যা পারি পাঠানোর চেষ্ঠা করবো!

[ স্নেহার মা কোনো জবাব না দিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে উঠে, ]

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] দেখো মা বললাম তো কেদো না! নয়তো আমি ও কাঁদতে শুরু করবো এখন!

মা : [ কাদো কন্ঠে ] পাগলী একটা! ঠিকাছে আমি কাঁদছি না! তোর ও কাঁদতে হবে না!

স্নেহা : মা! তুমিই তো বলেছিলে কাঁদলে সব ঠিক করা যায় না মনে সাহস রাখতে হয়! [ চোখ মুছে হেসে ] সো্ গুড গার্লের মতো হেসে দাও! নাহলে আমি যেদিন আসবো না ঐদিন এমনভাবে শুরশুরি দিবো হাসি থামাতেই পারবে না!

মা : [ একটু হেসে উঠে ] খেয়েছিস?..

স্নেহা : হ্যা! তোমরা?..

মা : খেয়েছি! আর শোন রাতে একা কোথাও বের হবি না! তোর ফ্রেন্ডসরা কেমন আছে?

স্নেহা : হ্যা! মা সবাই ভালো!

মা : আচ্ছা তাহলে ঘুমিয়ে পড়! কাল ক্লাস আছে?..

স্নেহা : হ্যা! আছে!

মা : সাবধানে যাস! রাস্তাঘাট দেখে শুনে পাড় হবি!

স্নেহা : আচ্ছা মা! ঠিকাছে!

মা : আচ্ছা!

স্নেহা : গুড নাইট!

[ ফোন রেখে স্নেহা ভালো করে চোখ মুছে, মুখে হাসি ফুটিয়ে রাহুলের দিক এগিয়ে এসে বসলো, রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক ]

স্নেহা : [ মুচকি হেসে ] সরি! ওয়েট করানোর জন্য! এক্সুলি মা ফোন করেছিলো, তাই….

রাহুল : এমনভাবে একটিং করছো স্নেহা! যেনো আমি তোমার ফেইস্ পড়তে জানিনা!

[ স্নেহা অবাক চোখে রাহুলের দিক তাকালো ]

রাহুল : তোমার হাসিটা আমাকে দেখানোর জন্যই ছিলো! তোমার ফেইস বলছে কিছুতো একটা হয়েছে!

স্নেহা : [ একটু হেসে ] কক..কই নাতো! কিছুই হয়নি…জাষ্ট!

রাহুল : [ স্নেহার হাত কাছে টেনে নিয়ে ] স্নেহা! You know আই লাভ ইউ সো্ মাচ্! আমাকে বলতে প্রবলেম কি?…

স্নেহা : সত্যি রাহুল কিছুই হয়নি! [ বলেই অন্যপাশ ফিরে যায় ]

রাহুল : [ স্নেহার গালে রয়ে যাওয়া পানির ফোটাটি আংগুল দিয়ে নিয়ে ছিটকে মারে, ] আগেও বলেছি স্নেহা! ইউ কান্ট লাই টু মি!

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আবার রাহুলের দিক ফিরে হেসে ]
আচ্ছা রাহুল! আমার না ঠান্ডা লাগছে অনেক!

রাহুল : বলো!

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ] আসলে..বাবার শরীরটা তেমন ভালো না..আর উনিও কিনা ঠিক মতো ঔষধ নেই না! তাই আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে! মা এটাই বলছিলো! [ রাহুল স্নেহাকে তার দিক ফেরালে দেখে স্নেহার চোখে পানি টলমল করছে ]

স্নেহা : আই মিসিং দেম! রাহুল!

[ বলতেই চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো, রাহুল স্নেহার চোখের পানি মুছে দিয়ে বুকে টেনে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখলো,]

স্নেহা : [ মাথা তুলে ] ডোন্ট ওয়ারি! আই এম ওকে রাহুল!

রাহুল : শিয়র!

স্নেহা : হুম! [ বলেই হেসে মাথা নাড়ালো, রাহুল ও একটু সস্থি হয়ে হেসে স্নেহার কপালে একটি চুমু খেয়ে আবার জড়িয়ে ধরলো ]

হঠাৎ,

রাহুল : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে ] হেই!

স্নেহা : হুম?..

রাহুল : চলো ডান্স করি!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] ডান্স?..

রাহুল : ইয়েস্

[ বলেই হুট করে উঠে এগিয়ে গিয়ে মোবাইলের সাথে কানেক্ট করে মিউজিক ছেড়ে দিলো, আর স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো রাহুলের কান্ড, রাহুল স্নেহার দিক এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে স্নেহাকে টেনে দাড় করিয়ে কাছে টেনে নিলো…]

স্নেহা : সিস্ সি্রিয়াসলি রাহুল ডান্স?..

[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে তার নাক স্নেহার নাকের সাথে লাগিয়ে স্নেহাকে অন্যপাশ ফিরিয়ে দিলো এবং ধীরেধীরে স্নেহার মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে দাড়ি দিয়ে ঘষে দিলো,স্নেহা শিউরে উঠে একটু মুচকি হাসে,]

রাহুল : [ স্নেহার কানের দিক মাথা এনে ফু দিয়ে চুল সরিয়ে ] Now ওকে?..[ with tedi smile ]

[ স্নেহা কোনো জবাব দিলো না রাহুল এর জ্যাকেটটা শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে রইলো… রাহুল স্লাইড করে স্নেহার একহাত তার হাতে মুঠি বেধে ধরে…আরে হাতে স্নেহার কোমোড়ে স্লাইড করে ধরে, ধুলিয়ে ডান্স করাতে লাগলো স্নেহাকে, কিছুক্ষণ পর রাহুল…তার হাত স্নেহার কোমোড় থেকে স্লাইড করে পিঠের দিক এগিয়ে নিয়ে সব চুল এক পাশে এনে রাখলো,

স্নেহার হার্টবিট বাড়তে লাগলো…তবে ভালোই লাগছে তার রাহুলের ছোয়াতে…ধীরেধীরে স্নেহা তার মাথা রাহুলের কাধে নুয়ে রাখলো…রাহুল চোখ বন্ধ করে স্নেহার খালি কাধে স্মেল নিয়ে একটি চুমু বসিয়ে দিলো..স্নেহা কেপে উঠে চোখ বন্ধ করে রাহুলের জ্যাকেটটা আরো শক্ত করে চেপে ধরলো…

রাহুল স্নেহার হাত জ্যাকেট থেকে ছুটিয়ে নিয়ে হাতে স্লাইড করতেই স্নেহা তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে গিয়ে জোড়ে জোড়ে শাস ফেলতে লাগলো…রাহুল পেছন থেকে এগিয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরতেই স্নেহা হুট করে দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে শিপের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো…স্নেহা চোখ বন্ধ করে তার বুকে হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে ওড়না আর চুলগুলো বাতাসে বিলিয়ে দিচ্ছে..

রাহুল : [ ধীরেধীরে স্নেহার পাশে এগিয়ে এসে রিলিং ধরে পানির দিক তাকিয়ে ] আম সরি! স্নেহা…

স্নেহা : [ চোখ খুলে শক্ত করে শিপের রিলিং ধরে ] আপনি বলেছিলেন আমাদের টাইটানিক পোজটা কমপ্লিট করা হয়নি!

রাহুল : হ্যা! হয়নি!

স্নেহা : আপনি হয়তো শুনতে পাননি আমি বলছি আমাদের টাইটানিক পোজটা কমপ্লিট করা হয়নি!

রাহুল : ইয়া! You say টাইটানিক [ বলেই শকড হয়ে স্নেহার দিক তাকালো ] অওও! [ বলেই তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে ]

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে, রাহুল ও ব্লাশিং হয়ে অন্যপাশ ফিরে যায়, ]

কিছুক্ষণ পর, স্নেহার বুকটা ধুপ করে উঠলো…শরীরের লোম গুলো শিউরে উঠছে….কারো ছোয়ায়, রাহুল পেছন থেকে স্নেহার কোমোড়ে হাত দিয়ে স্লাইড করে দাঁড়ালো, এবং স্নেহার কাধের দিক মাথা এনে [ কানে কানে ] ইউ শিয়র স্নেহা?…

স্নেহা মাথা ঘুড়িয়ে রাহুলের দিক তাকালো…রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহাকে…

স্নেহা রাহুলের বুকে মাথা ঢলে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো, রাহুল একটু হেসে ধীরেধীরে স্নেহার মুখের কাছে মুখ এনে…স্নেহার ঠোটে তার ঠোট মিশিয়ে দিলো,…পানি বয়ে চলছে…ঠান্ডা বাতাস গা ছুয়ে যাচ্ছে…রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার উড়ন্ত ওড়নাটা তাদের মুখের উপর ঝাঁপিয়ে দিলো…

সময়টা এমনই লাগছিলো তাদের যেন,হার্টবিটের সাথে সাথে শিপটা ও দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করে দিয়েছে..

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে