EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার পর্ব-১৪

0
2449

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ১৪শ

সামিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললোঃ ও( সিহাব কে দেখিয়ে দিয়ে) বলতেছে আমি যেন তোমাকে ছেড়ে ওর কাছে চলে যাই। সে নাকি আমাকে তোমার থেকে বেশি সুখে রাখবে। তুমি নাকি আমাকে সুখ দিতে পারো না।

সামিয়ার বলা কথা গুলো শুনে মাথায় রক্ত উঠে গেল মন চাচ্ছে সিহাবকে জীবিত অবস্থায় মাটিতে পুতিয়ে রাখি।

আমি সামিয়া কে মিমি আর নীলিমার কাছে রেখে আবিরের কাছে চলে গেলাম। সিহাব আর তার কয়েকটা ফ্রেন্ড মাঠে বসে ছিলো। আমি আমার ফ্রেন্ডের একজনকে কয়েকটা হকস্টিক নিয়ে আসতে বললাম।

আমার সাথে রাফি আর সিফাতও এসেছে। আমি সিহাবের কাছে যায়ে বললামঃ তুই সামিয়া কে কি বলেছিস?

সিহাব হাসতে হাসতে বললোঃ সেদিন রাতে তুই তাকে আমাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলি । কিন্তু আমরা জানতাম না যে ঐ শালি তোর ওয়াইফ। যাই বলিস মালটা কিন্তু সেই রকম। তাকে বলেছিলাম সে যেন তোকে ছেড়ে দিয়ে আমার কাছে চলে আসে। তাকে বিয়ে করার পর আমি তাকে দিয়ে ব্যবসা করবো।

সিহাবের কথা শুনে আমার প্রচন্ড রকম রাগ উঠলো। আবির কে আর কিছু না বলে হকস্টিক দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করলাম।

সিহাবকে মারা দেখে তার পাশে বসে থাকা বন্ধুরা আমাকে মারার জন্য আসলো। কিন্তু রাফি আর সিফাত যায়ে তাদের দুজনকে মারতে লাগলো। আমাদের কাছে হকস্টিক থাকায় তারা আমাদের সাথে পেরে উঠতে পারতেছে না। সিহাবদেরকে মারা দেখে তাদের ব্যাচের কয়েক জন ছেলে হকস্টিক নিয়ে আমাদেরকে মারার জন্য দৌড়ে আসলো।

তাদেরকে আর আসতে না দিয়েই আমার টিমের কয়েকটা ছেলে তাদেরকে সেখানেই পিটাতে লাগলো।

আর এদিকে আমি সিহাবকে পিটাতে পিটাতে আধা মরা করে ফেলেছি। কারণ সে আজকে আমার কলিজাতে হাত দিয়েছে। ওর সাহস কি করে হয় সামিয়ার সম্পর্কে এসব কথা বলার।

হঠাৎ করেই কয়েক টা পুলিশ এসে আমাকে সিহাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। সিহাব কোনো মতো দাঁড়িয়ে রক্ত মাখা মুখে বললোঃ তোদের সংসারে আমি অশান্তি সৃষ্টি করে দিবো। আর যার জন্য তুই আজ আমাকে এইভাবে মেরেছিস তাকে আমি তোর জীবন থেকে কেড়ে নিবো।

সিহাবের কথা শুনে হকস্টিক হাতে নিয়ে মারতে যাবো তখনই পুলিশ আমার হাত ধরে বললোঃ প্লিজ স্যার আপনি অযথা ঝামেলা করবেন না। আমরা এদেরকে দেখে নিচ্ছি। এই মাসুদ সাহেব ( অন্য পুলিশ) এদের কে অ্যারেস্ট করুন।

পুলিশ গুলো সিহাব আর তার বন্ধুদেরকে থানায় নিয়ে চলে গেল।
আমি মিমি আর নীলিমার কাছে চলে আসলাম। কলেজের সব স্টুডেন্ট একটা ঘোরের মধ্যে আছে। তারা হয়তোবা আমার আজকের এই রাগটা আগে কখনো দেখেনি। আর তাদের সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো আমি বিয়ে করেছি তা কেউ জানে না। আর যার যাকে বিয়ে করেছি সে হলো পুলিশ অফিসার।

সামিয়া কে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কলেজে আর ভালো লাগতেছে না। আর সামিয়াও আজকে আর থানায় গেল না। বাইক বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই মামি এসে দরজা খুলে দিল। আমাদের দুইজনকে এমন সময় দেখে মামি জিজ্ঞাসা করলোঃ কি ব্যাপার আব্বু তোমরা দুইজনে এখনি চলে আসলে যে?

আমিঃ আসলে মামি,,,

আমাকে বলতে না দিয়ে সামিয়াঃ আসলে মামি আমার থানায় থাকতে মন চাইছিলো না তাই সাহিদ কে নিয়ে বাসায় আসলাম।

মামিঃ ঠিক আছে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও।

রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বেডে বসে টিশার্ট টা খুলে দেখি শরীরের বেশ কয় জায়গা কেটে গেছে। সামিয়া ফার্স্ট এইড বক্স টা নিয়ে এসে আমার পিঠে এবং বুকের কাটা জায়গায় মলম লাগিয়ে দিলো।

আমি শুয়ে পড়তেই সামিয়া আমার বুকের উপর মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললামঃ এই কলিজা তোমার কি হয়েছে কান্না করতেছো কেন?

সামিয়া ফুঁপিয়ে কান্না করেই যাচ্ছে। আমার বুক থেকে মাথাটা একটু উঁচু করে চোখের পানি মুছে দিয়ে বললামঃ কি হয়েছে বলো। তোমার কান্না যে আমার সহ্য হয়না।

সামিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ তুমি আমাকে এতো ভালবাসো? আমার জন্য তুমি ছেলেটার সঙ্গে মারামারি করতে গেলে।

আমিঃ আমার কলিজাই কেউ হাত দিলে তার হাত কেটে ফেলবো।

সামিয়াঃ ছেড়ে যাবে না তো কখনো?

আমিঃ না কলিজা,,, তোমাকে ছাড়া বাঁচবো কেমন করে বলো?

সামিয়া আমার বুকে মুখ গুঁজে বললোঃ হুঁ।

শুয়ে থাকতে থাকতে যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বলতেই পারবোনা। ঘুম থেকে জেগে ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে দুপুর একটা বেজে গেছে। সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি এক পা আমার পেটের উপর দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। মনে হচ্ছে আমি কোলবালিশ।

আমি সামিয়ার গায়ে হাত দিয়ে বললামঃ সামিয়া ।

সামিয়াঃ হুঁ,,।

আমিঃ ওঠো দুপুর হয়ে গেছে তো।

সামিয়া কিছু না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে আবার ঘুমিয়ে পড়লো।একটু পরে দুজন উঠে গোসল করে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করার জন্য ডাইনিং টেবিলে গেলাম। যায়ে দেখি মামা আর মামি বসে আছে। তিশা আর সাফিয়া একটু বাইরে গেছে।

লাঞ্চ করে মামা মামীর সাথে বসে থেকে আড্ডা দিতেই সামিয়া আর সাফিয়া আসলো। মামি ওদেরকে লাঞ্চ করার জন্য নিচে আসতে বললে ওরা বললো, রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চ করে এসেছে।

আমি আর সামিয়া রুমে আসলাম।

বিকেলে রুম থেকে বের হতেই সাফিয়া এসে বললোঃ ভাইয়া কোথায় যাচ্ছো?

আমিঃ একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাচ্ছি। কেন কিছু বলবি?

সাফিয়াঃ না। কখন আসবে?

আমিঃ সন্ধ্যায়।

সাফিয়াঃ ঠিক আছে এসো।

আমি বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য একটা পার্কে গেলাম। সেখানে রাফি আর সিফাত আসতে চেয়েছিলো। পার্কে পৌঁছে দেখি রাফি আর সিফাত বসে আছে।

আমি বাইক রেখে ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। এরপরে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে কফি খেলাম। রাফি বললোঃ আজকে তোদের দুজনকে নীলিমা যেতে বলেছে।

আমিঃ কেন কোনো কিছুর আয়োজন আছে নাকি?

রাফিঃ আজকে নীলিমার আব্বু আম্মু এসেছে । আর সেই জন্য তোদের যেতে বলেছে। বিশেষ করে নীলিমার আম্মু তোদের কে দেখতে চেয়েছে।

আমির ঠিক আছে চল।

রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে বাইক নিয়ে রাফির বাসায় চলে আসলাম। রাফি কলিং বেল বাজাতেই নীলিমা এসে দরজা খুলে দিলো। আমাদের কে দেখে নীলিমা বললোঃ আরে ভাইয়ারা আসুন বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?

আমিঃ যাচ্ছি এতো তাড়াহুড়ো কিসের।

বাসায় ঢুকে দেখি রাফির মা বাবার সামনের সোফায় একজন পুরুষ আর একজন মহিলা বসে আছে। পুরুষ লোকটা হলো নীলিমার বাবা আর তার সাথে যেই মহিলা বসে আছে সেটা নিশ্চয় নীলিমার মা হবো। আমি রাফির মা বাবাকে সালাম দিলাম।

নীলিমা এসে আমাকে আর সিফাত কে ভদ্র মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললোঃ ভাইয়া এটা হলো আমার আম্মু। আর আম্মু এটা হলো( আমাকে দেখিয়ে দিয়ে) সাহিদ ভাইয়া আর এটা হলো (সিফাত কে দেখিয়ে দিয়ে) সিফাত ভাইয়া।

আমি আর সিফাত আন্টির সাথে মানে নীলিমার আম্মুর সাথে পরিচিত হলাম। খুবই নম্র ভদ্র মহিলা। একেবারে নীলিমার মতো। মনে হচ্ছে নীলিমার কপি। ওহহ সরি নীলিমায় ওনার কপি।

আন্টি আংকেল দের সঙ্গে কথা বলতে রাত হয়ে গেল। বাসায় আসতে চাইলে নীলিমা আর রাফি ডিনার না করে আসতেই দিবে না। সকলে মিলে একসাথে ডিনার করে বাসায় আসার জন্য তাদের থেকে বিদায় নিয়ে রাফির বাসা থেকে বের হলাম।

বাইরে এসে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি রাত আটটা বেজে গেছে। আর সাফিয়া, তিশা আর সামিয়ার অনেক গুলো কল।

আমি সামিয়ার কাছে ফোন করলাম। ফোন রিসিভ করে সামিয়া বললোঃ এই তুমি কোথায় আছো?

আমিঃ একটু রাফির বাসায় এসেছিলাম। এখন বাসায় যাচ্ছি।

সামিয়ার একবার তো ফোন করে জানতে পারতে। তোমার জন্য কতো চিন্তা করেছিলাম আর কখন থেকে ওয়েট করতেছি?

আমিঃ ঠিক আছে যাচ্ছি কলিজা।

ফোন রেখে আমি আর সিফাত যে যার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় এসে রুমে ঢুকে দেখি রুমে সামিয়া নেই। ফোনটা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে দেখি সামিয়া ফোন দিয়েছে। আমি রিসিভ করে বললামঃ কোথায় আছো তুমি?

সামিয়াঃ ছাদে আছি। তুমি ছাদে চলে এসো।

আমিঃ একাই ছাদে কি করতেছো। আর আমি ছাদে যায়ে কি করবো?

সামিয়াঃ আহহ, এসো না। এখানে সবাই আছে।( করুন ভাবে)

আমিঃ ঠিক আছে যাচ্ছি।

সবাই রাতে ছাদে গেলো কি কারণ থাকতে পারে? আজকে কি
কোনো অনুষ্ঠান নাকি? নাহহ অনুষ্ঠান থাকলে আমি জানতে পারবো তো।

ভাবতে ভাবতে ছাদে পৌঁছে দরজা খুললাম। দরজা খুলে ছাদে যেতেই সকলে একসাথে বলে উঠলোঃ হ্যাপি বার্থডে টু ইউ,, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ সাহিদ।

আমি তো শুধু অবাকের উপর অবাক হয়ে চারিদিকে দেখতে লাগলাম। ছাদের একপাশে একটা টেবিলে রেখে তার উপর বার্থডে কেক রেখেছে আর টেবিল সহ আশেপাশে সব কিছু লাইটিং করা হয়েছে। আকাশেও তেমন তারারা মিটিমিটি করতেছে। টেবিলের বামপাশে দাঁড়িয়ে আছে সাফিয়া, তিশা আর সামিয়া। ডান পাশে দাঁড়িয়ে আছে আব্বু-আম্মু আর মামা-মামী। আজকের দিনে এইরকম একটা সারপ্রাইজ পাবো ভাবতেই পারিনি। অথচ আজকে যে আমার বার্থডে সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম।

আমি ফুঁ দিয়ে সব বাতি নিভিয়ে দিয়ে প্রথমে সামিয়া কেক খাইয়ে দিলাম। সামিয়াও আমাকে খাইয়ে দিলো। এরপরে একে একে সবাইকে কে খাইয়ে দিলাম।

কেক খাওয়া শেষ হতেই তিশা আমার হাতে গিটার ধরিয়ে দিয়ে বললোঃ ভাইয়া আজকের দিনে গান না হলে কেমন হয়?

আমি তো অস্বস্তি বোধ করতে লাগলাম। আব্বু আম্মুর সামনে এর আগে কখনো গান গাওয়া হয়নি। আমি তিশাকে বললামঃ আমি গান গাইতে পারিনা।

তিশাঃ তুমি পারো আমি জানি।

আব্বু বিষয় টা বুঝতে পেরে বললোঃ সাহিদ গাও সমস্যা কি শুধু আজকের দিনেই তো ।

আমি গিটার টা হাতে নিয়ে সুর তুললাম। এরপরে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে গাওয়া শুরু করলাম,,,,,,,,,,

ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা•••••

ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা।

এই জীবন ছিলো
নদীর মতো গতিহারা•••
এই জীবন ছিলো
নদীর মতো দিশেহারা গতিহারা।

ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা••••

আগে ছিলো শুধু পরিচয়
পরে হলো মন বিনিময়••••
আগে ছিলো শুধু পরিচয়
পরে হলো মন বিনিময়।
শুভ লগ্নে হয়ে গেলো
শুভ পরিনয়•••
শুভ লগ্নে হয়ে গেলো শুভ পরিনয়।

আজ যখনি ডাকি
জানি তুমি তুমি দেবে সারা••••
এই জীবন ছিলো
নদীর মতো দিশেহারা গতিহারা।

ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা•••••
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে
আমি হয়ে গেছি তারা।

গান গাওয়া শেষ হতেই সবাই হাত তালি দিলো। আর সামিয়া একনজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি সামিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললামঃ এই যে ম্যাম এতো দেখার কি আছে? আমাকে এভাবে দেখলে আমার ওয়াইফ তো রেগে যাবে।

সামিয়া আমার কথা শুনে একটা মিষ্টি হাসি দিলো। যাইহোক, ছাদ থেকে নিচে এসে সকলে একসাথে ডিনার করলাম। ডিনার শেষ করে আব্বু আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে রুমে আসলাম।

সামিয়া আম্মু আর আব্বুর সঙ্গে কথা বলেছে। খাটে হেলান দিয়ে ফোন টিপতেছি তখন তিশা, সাফিয়া আর সামিয়া রুমে আসলো। আমি তিশাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ তিশা আজকে আমার বার্থডে ছিলো তা তুই কি করে জানলি? আর কয়েকবছর ধরে তো আমার বার্থডে সে’লিব্রিট করা হয় নি।

তিশাঃ আমরা কেউ জানতাম না বা এসব কিছুই আমরা করিনি।

আমিঃ তাহলে কে করেছে এসব?(উত্তেজিত হয়ে)

সাফিয়া বললোঃ আমাদের ভাবি এসব করেছে। বলতে পারো আব্বু আম্মুকে এখানে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যকলাপ সব কিছু ভাবিই করেছে।

আমি অবাক হয়ে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললামঃ কিহহ ।

সামিয়া আমাকে চোখ টিপি দিয়ে বললোঃ জ্বি মশাই।

সামিয়ার এইরকম কাহিনী দেখে সাফিয়া আর তিশা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হয়ে গেল। আমি সামিয়ার কাছে যায়ে সামিয়া কে জড়িয়ে ধরে বললামঃ তুমি আমার কাছে কি চাও বলো?

সামিয়া আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললোঃ আমি শুধু চাই তোমার এই বুকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত ঠাঁই নিতে। আর আমাকে ছেড়ে দূরে কোথাও না চলে যেতে।

আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে,,,,,

( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে