EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার পর্ব১০

0
2828

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# ১০ম

সিফাত সামিয়া কে উদ্দেশ্য করে বললোঃ কী ব্যাপার ম্যাম আপনি বারবার সাহিদের দিকে তাকাচ্ছেন কেন?( আমার দিকে তাকিয়ে)

সামিয়া সিফাতের কথায় হকচকিয়ে যায়ে বললোঃ ক ক ই ন নাতো।

রাফি আমার দিকে তাকিয়ে বললোঃ কি ম্যাম সামথিং সামথিং নাকি?(জানার পরেও)

সামিয়ায় কিছু না বলে মুচকি হাঁসি দিয়ে মাথা নিচু করে খেতে লাগলো। জান্নাত সামিয়া কে বললোঃ ম্যাম আমাদের সাহিদের আশা করেন না। কারণ, সামিয়া নামের কোনো এক মেয়ের ছ্যাঁকা খাওয়ার পর থেকে সে কোনো মেয়ের সাথে রিলেশনে জড়ায়নি। আপনি অযথা মায়া সৃষ্টি করেন না।

জান্নাতের কথা শুনে আমার বন্ধুরা মুচকি মুচকি হাসতেছে। আর তিশা তার হাসিকে আটকিয়ে রাখতে না পেরে জোরে জোরে হাসতে লাগলো। তিশাকে এভাবে হাসতে দেখে জান্নাত অবাক হয়ে বললোঃ তিশা তুমি এইভাবে হাঁসতেছো কেন?

তিশা কোনো ভাবে তার হাসি আটকিয়ে বললঃ আপনি যেই সামিয়ার কথা বলতেছেন সেই আপনার সামনেই বসে আছে।

জান্নাত আশ্চর্য হয়ে বললোঃ আমার সামনে বসে আছে মানে।

রাফি জান্নাতকে বললোঃ হ্যাঁ আমাদের পুলিশ ম্যাম হলো সাহিদের সামিয়া।

এই কথা শুনে জান্নাত আমার পিঠে চড় থাপ্পড় মারতে মারতে বলতে লাগলোঃ এই শয়তান তুই আমাকে আগে বলিস নি কেন যে,এটাই তোর সেই সামিয়া যার কথা তুই,,,,

আমি জান্নাতকে আর কিছু বলতে না দিয়ে ওর মুখ আমার হাত দিয়ে চেপে ধরলাম। কারণ, এর পর যে গুলো বলবে সেগুলো শুনে সামিয়া বুঝতে পেরে যাবে যে, আমি তাকে এখনো ভালোবাসি।

জান্নাত আমার হাত ওর মুখ থেকে সরানোর চেষ্টা করতেছে আর আ আ করতেছে। আমি হাত টা ওর মুখ থেকে সরিয়ে নিয়ে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললামঃ দোস এসব বলিস না প্লীজ।

জান্নাত মাথা নেড়ে হ্যাঁ সম্মতি দিলো।

কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সাফিয়া আমাদের কথার কিছুই বুঝতে পারতেছে না। সাফিয়া আমাকে বললোঃ ভাইয়া তুমি কি সামিয়া আপুকে আগে থেকেই ভালোবাসতে?

আমি কি বলবো তা ভেবে পাচ্ছি না। জান্নাতকে তো আটকিয়ে রাখলাম। কিন্তু আমার বোনকে কীভাবে আটকিয়ে রাখবো? আমি বললামঃ না আমি কাউকে ভালোবাসি না। এসব বাদ দে। বাসায় যাবো চল।

সিফাতঃ বাসায় যাবি মানে এইতো আসলি?

আমিঃ নারে আমার ভালো লাগতেছে না। তোরা বসে থেকে আড্ডা দে আমি বাসায় যাবো। তিশা আর সাফিয়া তোরা এখন বাসায় যাবি?

ওদেরকে আর কিছু বলতে না দিয়ে জান্নাত বললোঃ তুই যা আমি ওদেরকে বাসায় নেমে দিয়ে আসবো নি।

আমিঃ ঠিক আছে। সাফিয়া আর তিশা তোরা ভালো ভাবে আসিস?

সাফিয়াঃ ঠিক আছে ভাইয়া।

আমি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে এসে বাইক নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কারণ, সেখানে বসে থাকতে আর আমার ভালো লাগতেছে না। সামিয়ার সাথে কাটানো অতীত টাকে মনে পড়তেছে। দুই জনে ঘোরাফেরা করে একসাথে কতবার রেস্টুরেন্টে যায়ে কপি খেয়েছি? ফুচকা খেয়েছি? আমার যদি খেতে মন না তাইতো তাহলে সামিয়া আমাকে জোর করে খাইয়ে দিতো। কথা গুলো ভাবতেই চোখের কোণায় পানি চলে আসলো। বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই মামা দরজা খুলে দিল। কি ব্যাপার মামা আজকে একটু আগেই তার অফিস থেকে এসেছে নাকি?

রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে নামাজ পড়ে লাঞ্চ করার জন্য নিচে আসলাম। নিচে এসে দেখি মামা আর মামী সোফায় বসে থেকে টিভি দেখতেছে। আমিও যায়ে ওদের পাশে বসলাম। কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে লাঞ্চ করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।

_-_-_-_-_-_-_-_-_-

জান্নাত প্লেটে থেকে খাবার মুখে দিতে দিতে বললোঃ তো ম্যাম সাহিদ তো আপনাকে খুব ভালোবাসতো তাহলে আপনি তার সঙ্গে এমন বিহেভ করেছিলেন কেন?

সামিয়াঃ আমি সেদিন ভুল করেই এমনটা করেছি তার সাথে। কিন্তু সেটার জন্য তো তার কাছে অনেকবার ক্ষমাও চেয়েছি কিন্তু সে আমাকে বার বার ফিরিয়ে দিয়েছে।

সিফাতঃ কি হয়েছিলো সেদিন আপনাদের মাঝে?

রাফি,মিমি, নীলিমা, সিফাত, জান্নাত, তিশা আর সাফিয়া সবাই সামিয়ার দিকে উৎসুক জনতার মতো তাকিয়ে আছে। সামিয়া কি বলবে তা শোনার জন্য। যদিও তিশা সামিয়া আর সাহিদের মধ্যে কি হয়েছিলো সব কিছুই জানে। কিন্তু সাফিয়া প্রতি মুহূর্তে একটা করে শক খাচ্ছে। তার ভাইয়া যে সামিয়া কে শুধু পছন্দ করতো সে ধারণা ভুল। তারা একে অপরকে ভালোও বাসতো।

সামিয়াঃ তাহলে শোনো তোমরা, কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন থেকেই আমি সাহিদ কে ভালোবেসে ফেলি। সেটা কিন্তু বলা হয়নি কয়েক দিন পর বুঝতে সাহিদ আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এর পর থেকে সাহিদ কে ভুল বুঝাবুঝি পর্যন্ত সব কিছু সামিয়া ওদের কে বললো।

সামিয়ার কথা শেষ হতেই জান্নাত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললোঃ বুঝেছি, কিন্তু আপনার উচিত ছিল সাহিদের সাথে ঐ বিষয় টা নিয়ে কথা বলা। আপনি জানেন সাহিদ আপনার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে তাকাই নি।

সামিয়া অবাক হয়ে প্রশ্ন করলোঃ আমার জন্য মানে বিষয় টা ঠিক বুঝলাম না।

রাফিঃ হ্যাঁ আপনার জন্যই সে কোনো মেয়ের দিকে তাকাই নি কারণ, সে আপনাকে এখনো ভালোবাসে। কিন্তু আপনার দেওয়া কষ্টের জন্য সে তার ভালোবাসাকে প্রকাশ করে না ।

সামিয়া কিছু না বলে চুপ করে বসে আছে। এটা ভেবে খুশি হচ্ছে যে, সাহিদ এখনো তাকে ভালোবাসে। তবে কষ্টও হচ্ছে সাহিদের জন্য।

ওরা আরো কিছুক্ষণ রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেওয়ার পর যে যার বাসায় চলে গেল। সামিয়া তার গাড়ি নিয়ে চলে গেল। জান্নাত তার গাড়িতে করে তিশা আর সাফিয়া কে তিশার বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেল।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে থেকে তিশা সাহিদ আর সামিয়ার সম্পর্কে সব কিছু সাফিয়া কে বলে।

_-_-_-_-_-

বিকেলে সাফিয়ার ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম। আজকে বিকালে সাফিয়া বাসায় যাবে। ফ্রেশ হয়ে আসরের নামাজ পড়ে তিশার রুমে গেলাম। রুমে যায়ে দেখি সাফিয়া রেডি হয়ে বসে আছে। আমি ওকে নিয়ে মামা মামির কাছে গেলাম।

সাফিয়া মামা মামির কাছে থেকে বিদায় নিয়ে তিশাকে বলে বাসা থেকে বের হলো। বাইরে এসে দেখি ড্রাইভার আংকেল আব্বুর গাড়ি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সাফিয়া কে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে চলে আসবো এমন সময় সাফিয়া বললোঃ ভাইয়া ভাবিকে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতেছি তুমি চিন্তা করো না।

আমিঃ তোর ভাবিকে?

সাফিয়া মুচকি হেসে বললঃ সামিয়া আপু।

আমি সাফিয়ার মাথায় একটা চুটকি মেরে বললামঃ মার খাবি কিন্তু? আব্বুকে বলে তোর ব্যবস্থা করতেছি দাঁড়া।

যাইহোক, শেষ মুহূর্তে ভাই বোনের ভালোবাসার মাধ্যমে কাটিয়ে সাফিয়া বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে বাইক নিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বের হলাম।

আড্ডা দিয়ে বাসায় আসতে সন্ধ্যা নেমে গেল। বাইক আসতেই চালাচ্ছি। হঠাৎ বুঝতে পারলাম কেউ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতেছে। আওয়াজটা শুনে বুঝলাম কোনো মেয়ের।আর জায়গাটা ছিলো নির্ঝর। শহরের বুকে এমন জায়গা পাওয়া টা বেশ মুশকিলের ব্যাপার।

বাইক টা রাস্তার সাইটে রেখে সেই চিৎকার অনুসরণ করতে করতে হাঁটতে লাগলাম। যতই যাচ্ছি ততই চিৎকার বেশি হচ্ছে। তবে চিৎকারের কন্ঠ টা মনে হচ্ছে আমার বেশ পরিচিত। দ্রুত হাঁটা দিলাম। চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নিলাম কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না।

একটু সামনে যায়ে তাকিয়ে দেখি একটা বাসার কাজ চলতেছে। সন্ধ্যা কাটিয়ে রাত না হওয়ায় বাসাটা আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে। আরেকটু সামনে যায়ে দেখি কয়েক টা ছেলে কারো সাথে জবরদস্তি করতেছে। কি আছে সেখানে বুঝতে পারলাম না। ওদের কাছে যায়ে দেখি ওরা একটা মেয়েকে রেপ করার চেষ্টা করতেছে কিন্তু পারতেছে না। আমি পাশে পড়ে থাকা একটা রড দিয়ে পিছন থেকে একটা ছেলের মাথায় বাড়ি দিলাম।

সাথে সাথে সে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়লো। এটা দেখে আর দুইটা ছেলে মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়ে আমার দিকে তাকালো। মেয়েটা ছাড়া পেয়ে দৌড়ে আমার কাছে আসলো। মেয়েটাকে দেখার পরে আমার গা শিউরে উঠলো ঠিকই কিন্তু ছেলে গুলোকে দেখার পরে আমার ভেতরের অন্যায়ের প্রতিবাদ কারি রক্ত গুলো জেগে উঠতে লাগলো। ছেলেগুলো হলো সিহাব আর তার বন্ধু।

মেয়েটি আর কোনো কথা না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। মনে হচ্ছে এই বুকটা তার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। আর হ্যাঁ মেয়েটি হলো সামিয়া।আমি সামিয়া কে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রড টা হাতে নিয়ে ছেলেটা সিহাবের মানে কাছে গেলাম।

আমাকে দেখে সিহাব বললোঃ দেখ সাহিদ তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। এই শালি আমাদের নামে রেপ কেস লিখেছে তাই আজকে আমরা ওকে রেপ করতে চাই। তাকে বুঝিয়ে দিতে চাই আমরা কে। তুমি ওকে আমাদের হাতে,,,

সিহাবকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রড দিয়ে মাথায় একটা বাড়ি দিলাম। বসে পড়লো। তাকে মারা দেখে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটা মানে সিহাবের বন্ধু আমাকে মারার জন্য কিছু খুঁজতে। তাকেও আর খুঁজার সময় না দিয়ে পায়ে একটা সজোরে বাড়ি দিলাম।

তারপরে ওদের দুজনকে ইচ্ছা মতো পিটাইলাম। মারতে মারতে তাদের মুখ দিয়ে রক্ত বের করিয়ে ফেলেছি। সামিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার হাত থেকে রড ফেলে দিয়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বললোঃ প্লিজ ওদেরকে ছেড়ে দেও ওরা মারা যাবে তো।

আমি সামিয়া কে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলামঃ আপনার গাড়ি কোথায়?

সামিয়াঃ গাড়ির এখানে এসে বাস্ট হয়ে যায়। আমি গাড়ি থেকে নামতেই এই ছেলে গুলো আমাকে জোর করে এখানে নিয়ে আসে। তুমি না আসলে ওরা আমাকে,,,

বলেই কান্না করতে লাগলো। আমি সামিয়া কে বললামঃ এখন কান্না করে লাভ নেই চলুন আমি আপনাকে আপনার বাসাই নেমে দিয়ে আসি।

এরপরে বাইক নিয়ে সামিয়া কে সামিয়ার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি আমার বাসায় চলে আসলাম। বাইকে বসার পর থেকে সামিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে ছিল। আমিও আর না করিনি। কারণ, মেয়েটা এমনিতেই এখন একটা সকের মধ্যে আছে। এখন তাকে হার্ট করাটা উচিত হবে না।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে স্টাডি করে ডিনার করতে গেলাম। ডিনার করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। শুয়ে থেকে ভাবতে লাগলাম, আজকে যদি আমি সেখানে না যেতাম তাহলে আমার সামিয়ার কি হতো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম। ক্লাস শেষ করে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে আড্ডা দিতে বসলাম।

লেখা পড়া করে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে, সামিয়া আর তিশার সাথে ঘোরাফেরা করে (যদিও সামিয়ার সাথে ঘোরাফেরা করার ইচ্ছা টা নেই), একবছর কেটে গেল। এবার আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষে। আর হ্যাঁ এই কয় দিনে সামিয়া আমার সাথে বেশ ক্লোজ হয়ে পড়েছে। আমিও মনে হয় তার মায়ায় নিজেকে জড়িয়ে ফেললাম।

কয়েক দিন কলেজ ছুটি আছে তাই ভাবলাম আমার বাসায় ( নওগাঁয়) থেকে একটু ঘুরে আসি। আজ থেকে চার বছর হয়ে গেল আমি আমার শহর ছেড়ে এখানে চলে এসেছি।

আমি আর তিশা বের হলাম নওগাঁর উদ্দেশ্যে। দীর্ঘক্ষণ ধরে জার্নি করে পৌঁছে গেলাম আমার সেই চিরচেনা শহর নওগাঁয়। পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর হয়ে গেল। দরজার কাছে যায়ে কলিং বেল বাজাতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো আম্মু আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেতে খেতে বললোঃ বাবা তুই এসেছিস?

আমিঃ হ্যাঁ আম্মু আমি এসেছি।

এরপরে আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে সাফিয়ার সাথে কথা বলে আমি আমার রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করার জন্য নিচে আসলাম। এসে দেখি আব্বুও বসে আছে। তিশা আর সাফিয়া সোফায় বসে থেকে টিভি দেখতেছে। আমি আব্বুকে সালাম দিয়ে ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করলাম।

বসে থেকে আড্ডা দিয়ে একসাথে লাঞ্চ করতে বসলাম। লাঞ্চ করতে বসে মনে পড়ে গেল আজ থেকে চার বছর আগের কথা। এখানে বসে থেকে কতই আম্মুর হাতে তুলে খেয়েছি। কতদিন পরে আজকে এই চেয়ারে বসতেছি। আজকেও আম্মু আমাকে ,সাফিয়াকে আর তিশাকে তুলে খাওয়াচ্ছে। অনেক আনন্দের মধ্যে দিয়ে লাঞ্চ করা টা শেষ করলাম।

লাঞ্চ শেষ করে সোফায় বসে থেকে আম্মুর সাথে গল্প করার সময় আব্বু আমাকে বললোঃ সাহিদ আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আমি অবাক হয়ে বললামঃ কি সিদ্ধান্ত আব্বু?

আব্বুঃ আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

( চলবে)

?? কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে