Dangerous_Villain_Lover
Part 21
#writer_Tanjina_Akter_misti
হসপিটালে কডিডরে বসে আছে ছোঁয়া আর অনবরত কেদেই চলেছে কিছু তেই কান্না থামাতে পারছে না। একে তে আববু এই অবস্থা আবার তার জন্য দায়ী রাহুল কিছু তেই কিছু মেনে নিতে পারছেনা ছোঁয়া এতো বড় ধোকা রাহুল কি করে আমাকে দিতে পারলে। কেন আমার বিশ্বাস নিয়ে এইভেবে খেলা করলো কেন? আববুর পর আমি রাহুল কে বিশ্বাস করেছিলাম সেই মানুষটাকে ভালোবেসেছিলাম মনে প্রাণে আজ সেই ঠকালো। মনে মনে কথা গুলো আওরাচ্ছিল ছোঁয়া আর ভাবতে পারছি না মাথা ফেটে যাচ্ছে ছোঁয়ার চোখ বন্ধ করে চেয়ার এ হেলান দিয়ে বসলো কিন্তু মাথা ঠান্ডা হচ্ছে না পাশে বসে যে আরেক জন কথা বলেই যাচ্ছে।
–ছোয়া আমি তোকে কালেই বলেছিলাম রাহুল ভালো না ওর পরিচয় জানলে তুই ওকে ঘৃণা করবি। তোকে সব জানাতে চাইলাম কিন্তু তুই তো আমার কথা বিশ্বাস ও করলি না মুখের উপর ফোন রেখে দিলি। আবার ফেসবুকে প্রমাণ ও দিয়েছিলাম সেগুলো ও সিন করিস নি। এখন বিশ্বাস হলো তো রাহুল একজন মাফিয়া ওর পেশায় মানুষকে মারা আর সেটাই করেছে দেখেছিস রাস্তায় মাঝে খুনোখুনি করছিল মামু গিয়ে বাধা দেওয়াতে কি করলো এখন মামু যদি মারা যায় তার সব দোষ ওই রাহুলেও?
মারা যাওয়ার কথা শুনতেই ছোঁয়া চেচিয়ে উঠে…. চুপ করো ভাইয়া আববুর কিছু হবে না। আববু আমাকে ছেড়ে কোথায় ও যাবে না আমি জানি তুমি এইসব বাজে কথা আর বলবে না।
–আমি বলছি না তো সবাই বলছে মাথায় অনেক জোরে আঘাত পরেছে বাচবে কিনা জানি না আমি তো চাই আমার মামু সুস্থ হোক। ওই রাহুলের বাচ্চা ক আমি ছারবো না?
–নাহ তুমি কিছু করবে না ওকে?
–মানে যার জন্য তোর আববুর এই অবস্থা তাকে কিছু করতে মানা করছিস?
–হুম ভাইয়া আমার অনেক কষ্ট হবে ওকে শাস্তি দিতে আমি যে ওকে অনেক ভালোবাসি?
— কি বলছিস ভালোবাসি যার জন্য তোর আববুর এই অবস্থা যার জন্য সবাই ভয়ে থাকে কতো মানুষকে ই না মেরেছে তোর সাথে যে ভালোবাসা ওআ সব ও ওর নাটক কতো মেয়ের সাথে এই সব নাটক করেছে কে যানে। মাফিয়া কখনো ভালোবাসতে পারে না ওরা শুধু খুন করে।
— এসব বাদ দাও প্লিজ আমার মাথা ব্যাথাকরছে প্রচণ্ড মনে হচ্ছে মরে যাবো। আর কিছু বলো না?
কিন্তু আসিফ থামলো না ও ছোঁয়ার মনে রাহুল জন্য ঘৃণা তৈরি করেই ছারবে। নানা ভাবে রাহুল খারাপ কথা বলেই চলেছে কানের কাছে ছোঁয়া কাদতে ছে। বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে সবাই বলযে ছোঁয়ার মা আর কিছু আত্মীয় সজন রা চলে এসেছে ছোঁয়া মা তো কেদে কেদে অজ্ঞান হয়ে গেল এসেই তাকেও এডমিট করা হলো। এমন পরিস্থিতি হবে কখনো ভাবে নি ছোঁয়া আজ নিজে শক্ত আছে পাশে কেউ নেই বলে নাকি সব সময় ছোঁয়া অল্প তেঈ ভেঙে পরে অথচ আজ মনে সাহস করে বসে আছে ভেঙে পরছে না আববু তো বলেছিল সময় মানুষ কে সাহসী করে তুলো আমাকে ও কি তাই। হঠাৎ ডাক্তার বেরিয়ে এলো অপারেশন থিয়েটার থেকে আমি দৌড়ে গেলাম আর জিগ্গেস করতে লাগলাম ডাক্তার মুখটা ছোট করে আছে আমি জিগ্গেস করছি কিছু বলছে না।
ভাইয়া এসে আমাকে শান্ত করলো তারপর ডাক্তার যা বলল তাতে আমার পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
.
.
রাতে খাটে ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রচুর পাগলামো করছে ছোঁয়াকে কিছু তেই থামানো যাচ্ছে না বলেই ঘুমের ঔষধ দিয়ে রাখা হয়েছে।
রাহুল বারান্দায় দিয়ে ছোঁয়া রুমে এলো নিজেকে খুব অসহায় লাগলছে কি থেকে কি হয়ে গেল আমার ছোঁয়া আমাকে দেখতে পারছে না। সহ্য করতে পারে না ছোঁয়ার পাশে বসে হাত ধরে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া দিকে এক দিনে কি অবস্থা হয়েছে মেয়েটার রাহুল তাকিয়ে বুকে চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলো। এভাবে ছোঁয়া সামনে নরা পরে যাবে ভাবে নি রাহুল ভেবেছিল সব জানিয়ে দেবে ধীরে সুস্থে কিন্তু তা হলো কই।
হঠাৎ কোথায় থেকে ছোঁয়া চলে এলো আর ওই লোকটি ছোঁয়ার বাবা রাহুল জানতো ও না ছোঁয়া তখন কতোটা হিংস হয়ে গেছিলো আমার গলা চেপে ধরেছিল এতেই বুঝা গেছে ও ওর বাবাকে কতোভালোবাসে। রাহুল ছোঁয়া কপালে চুমু দিয়ে গভীর ভাবে তাকিয়ে আছে না ছোঁয়া কে ছাড়া থাকা অসম্ভব আমার ছোঁয়া কে আমি আমার কাছে খুব তারাতারি নিয়ে যাব ছোঁয়া বাবাকে ও সুস্থ হতে হবে।
চলবে❤