Dangerous_Villain_Lover
Part 19
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
ছিটকে দূরে সরে গেল ছোঁয়া কি বলছে এসব রাহুল। ও কিভাবে এখন আমাকে বীয়েয কথা বলতে পারছে কি করে আমি আগেই বলেছি পরিবারের সবাইকে ছাড়া কিছু তেই বিয়ে করবো কিন্তু ও এগুলো ভাবছে কিভাবে। রাহুল আবার আমার কাছে এসে বলতে লাগল…
— কি হলো জান তুমি আমায় ভালোবাস না? এমন রিয়েক্ট করছো কেন একদিন আগে পড়ে তো তুমি আমার বউ ই হবে তাই না জান তাহলে সেটা আজ হলে সমস্যা কি?
— সেদিন আর আজ অনেক পার্থক্য আপনি কি বুঝতে পারছেন না। আমি আববু আম্মু সবাইকে জানিয় বিয়ে করতে চাই এভাবে একা করে তাদের ঠকাতে চাই না।
— আমরা যে বিয়ে করছি এটা তাদের জানাবো না তাহলেই তো হবে। এই বিয়ের ব্যাপারে শুধু আমি আমার তুমি জানবো আর কেউ না। সবাইকে জানিয়ে আবার বিয়ে করবো। প্লিজ মায়াবতী রাজি হয়ে যাও আজ তোমাকে নিজের করতে না পারলে আমি অশান্তি তে ভুগবো মনে শান্তি আনতে পারবো না।
রাহুল আমার হাত ধরে এক মনে না না কথা বলে চলেছে। রাহুলের মুখটা ছোট হয়ে গেছ। হঠাৎ বলে উঠলো… ছোঁয়া তুমি আমায় ভালোবাস না তাই না ভালোবাসলে সামান্য বিয়ে র জন্য এমন করতে পারতে। তুমি কি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাও।
রাহুল এমন কথায় রেগে গেলাম কতো কষ্ট করে বিয়ে আটকালাম এখন বলছে ভালোবাসি না। রেগে রাজি হয়ে গেলাম তার জন্য সে কি খুশি? রাহুল যে অনেক খুশি হয়েছে ওর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে আমাকে জরিয়ে ধরে চুমু খেলো সারা মুখে একেক সময় এতো পাগলামো করে মনে হয় বাচ্চা।
রাহুল আমাকে এই প্রথম ওর বাসায় নিয়ে এলো গাড়ি একটা বড় গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুএ এলো আমি হা করে তাকিয়ে আছি এটা তো আমাদের বাসার থেকে ও অনেক বড়। গাড়ি থেকে নেমে ভ্রু কুচকে তাকালাম এতো লোক কি করছ সবাই কালো পোশাক পড়া আমি সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছি রাহুলের হাত খামচে ধরে বললাম…
— রাহুল এরা কারা? এভাবে দাড়িয়ে আছে কেন?
–জান তুমি ভয় পাচ্ছো ভয় পেয়ো না এরা তোমার কিছু করবে না।
— এরা আপনার বাসায় কি করছে এভাবে হায়ে রিভলবার নিয়ে?
— আমার তো অনেক শএু তাই পাহারা দিচ্ছে।
তবুও ছোঁয়া সন্দেহ গেল না এরা এতো গুলো লোক ভিতরে এসে ও অবাক এতো বড় বাসা কিন্তু মানুষ নেই। ছোঁয়া আশে পাশে মানুষ খুজছে রাহুলের আত্মীদের দেখার জন্য কিন্তু কেউ নেই। একটা মহিলা আসলো বয়স্ক। খাবার দিয়ে গেল খাবো না তবুও জোর করে রাহুল নিজের হাতে খাইয়ে দিলো। কিছু ক্ষণ পর একটা হুজুর টাইপের লোক এলো সাথে দুজন কালো পোশাকের লোক। এমন পোশাকের লোক কোথায় যেন দেখেছি দূর মনে পরছে না।
অবশেষে শেষ কঠিন মুহূর্ত আসলো আমাকে কবুল বলতে বলছে তখন রেগে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু এখন তো সবার কথা মনে পরছে আমি কি ঠকাচ্ছি তাদের। রাহুল তো বলেছে এই বিয়ের ব্যাপারে কাউক কিছু বলবে না।
আমি কিছু বলছি না রাহুল আমার দিকে হাত এগিয়ে দিয়ে এক হাতে জরিয়ে ধরে জিগ্গেস করলো কি আর রাহুল মুখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম চোখ বন্ধ করে।
রাতে
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো হাতে নিয়ে ধরবো তার আগেই কেউ পেছনে থেকে জরিয়ে ধরলো আমি চমকে পেছনে তাকিয়ে দেখি রাহুল।
— একি আবার আসছেন বলছি না রাতে আসবে না।
— ওফ জান রাতে আসবো না কি বলছো আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে আর রাতে বাসর না করবো না। রাতে না আসলে তা হবে কি ভাবে।
— এই বিয়েটা কিন্তু আমি জাস্ট আপনার জন্য করেছি বাসর করতে না। সবাই কে জানিয়ে যেদিন বিয়ে হবে সেদিন সব হবে এখন ছারুন আর চলে জান।
কিন্তু রাহুল কথা শুনলো না। আমাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরলো। ফোনের কথা ভুলে গেলাম। আমি ছুটতে চাইছি রাহুল ছারছে না।
–জান নরচরা কর না আমি কিছু করবো না জাস্ট তোমাকে জরিয়ে ধরে শান্তি তে গুমাতে চাই অনেক দিন ধরে ঘুমাতে পারি না।
আর কিছু বললাম না কথা টা শুনে চুপ করে রইলাম।
পরদিন ফোনের শব্দ জেগে উঠলাম তাকিয়ে দেখি রাহুল নেই। ফোন হাতে নিয়ে ওপেন করতে ই এমন একটা জিনিস দেখলাম যা দেখে আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেল।
চলবে❤