Dangerous_villain_Lover part 17

0
3167

Dangerous_villain_Lover
part 17
#writer_Tanjina_Akter_Misti

আসিফ ছোঁয়ার পাশে বসে পরলো। ছোঁয়া কে অনেক সুন্দর লাগছে কিন্তু কাদছে কেন ছোঁয়া বুঝতে পারছে না।আসিফ আর একটু কাছে গিয়ে জিগ্গেস করলো….

—কি রে কাদছিস কেন? কি হলো কথা বল তুই কি ভাবছিস আমি তোকে এখন ই নিয়ে যাবো সাথে করে আরে না। এখন জাস্ট আংটি পরাবো। আজ শুক্রবারে আমাদের এনংগ্রেজমেন্ট হবে মামু মামির জন্য কষ্ট পাচ্ছিস তুই চাইলে বিয়ের পর এখানেই থাকতে পারিস।

আমি কিছু বলছি না রেগে আছি সাথে কষ্ট ও আববু আম্মু এভাবে আমাকে ঠকালো। শেষে কিনা রিফাত ভাইয়ার সাথে বিয়ের কথা হচ্ছে আর এখন আবার আংটি পরাবে কিছু বলতে পারছি না আববু কষ্ট পাবে ফুফুর তো খুশি যেন ধরছে না কি বলল ভাবতেই রাগ হচ্ছে আবার রাহুল জন্য ও কষ্ট হচ্ছে ও যদি জানে কি যে করবে। এখন এটা আটকাবো কি করে। ভাইয়া আমার হাত ধরে আংটি পড়াতে গেলেই আমি ঢলে পরলাম যা আমার অভিনয় এটা আটকাতে। সবাই তো পাগল প্রায় অবস্থা।

—কি হলো রিফাত ছোঁয়া এমন পরে গেল কেন?

—জানি না মামা কি হলো এখন তো ঠিক ই ছিলো।

আমি ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে আছি যাতে সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে আর এইকথা মাথা থেকে চলে যায়। আমি কোন ভাবেই এই বিয়ে করতে পারবো না প্রচুর ভালোবাসি রাহুল কে তাকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে ও পারি না। আর ভাইয়া কে তো ভাই ছাড়া অন্য কিছু অসম্ভব এতোক্ষন কেদে কেদে কিছু হয় নি কেউ আমার কান্না বুঝে না। এইটাই করতে হবে। সবাই আমার চিন্তা মুশগুল হয়ে গেছে রুমে এনে পানি দিতে লাগলো আববু তো ডাক্তার কে ও কল করতে যাবে না না ডাক্তার আসা যাবে না তাহলে তো ধরা পরে যাবো। সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেলে তাকালাম সবাই নানা কথা জিগ্গেস করছে আম্মু তো বলছে পরিক্ষা দিয়েছি কেবল ঠিক মতো খাই নি ঘুমাই নি তাই হয়তো আমি র্দূবল হয়ে গেছে তাই নিয়ে কদা বলছে সবাই বিশ্বাস ও করছে ।

হঠাৎ আববু আমার পাশে বসে বললতে লাগল আমার এখন কেমন লাগছে ঠিক লাগছে কিনা আমি মাথা নেরে বললাম… ভালো লাগছে না। এতেই আমি আর ও বললাম…. আমার এখন ভালো লাগছে না আববু ঘুমাবো।
আববু কি আর পায় কে সবাইকে নিয়ে চলে গেল।
উঠে নিজের বুদ্ধির জন্য নিজেই খুশিথে নাচানাচি করতে লাগলাম কিন্তু কিছক্ষণ আগে কি কান্না টাই না করছিলাম। ভেবেই আফসোস করতে লাগলাম। কিন্তু এই বিয়ের ভূত বের করতে হবে আমি তো বলতে পারবো না বাড়িতে। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে।

[ আগেই একটা কথা বলে নিচ্ছি আসিফ আর রিফাত এক জন। ছোঁয়া বাড়ির সবাই ওকে রিফাত বলে আর আসিফের বাড়ির সবাই ওঈএ আসিফ বলে]

বিয়েটা যে করেই হোক আটকাতে হবে। ভাইয়াকে সব বলল হয়তো বুঝবে হয়তো সে ও রাজি না আমার মতো জোর করছে। রাহুল কে কিছু জানানো যাবে না। কথা গুলো ভাবছি হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখে রাহুল।

–হ্যালো?

— আমার মায়াবতীটা কেমন আছে?

–ভালো আপনি কেমন আছেন?

–ভাল না জান আজ তোমাকে একবার ও দেখে নি?

–একদিন দেখেননি তাই ভালো নেই?

–কি বলছো জান একদিন তুমি ভাবতে পারছো আমার তো মনে হচ্ছে এক বছর তোমায় দেখি না।তাই তো চলে এসেছি।

–মানে

আর কিছু না বলে ফোন রেখে দিল। আমি ভাবছি কি বলল চলে এসেছি মানে কি আমাদের বাড়ি এসেছে ভেবে যেই যাবো বারান্দায় দিকে তার আগেই রাহুল রুমে ঢুকে এলো।

–কি ব্যাপার আপনি এখানে কেন?

— তোমাকে দেখতে জান?

–হুয়াট আপনি কেন এসেছেন রুমে সবাই দেখলে কি হবে ভাবতে পারছেন।

— কিছু হবে না।

বলেই রাহুল এসে আমাকে বুকে জরিয়ে নিলো।

— ওফ রাহুল ছারেন আমাকে এসব কি হচ্ছে ছারুন বলছি এগুলো আমার ভালো লাগে না।

কে শুনে কার কথা।সে তো শুনছেই না। জোরে করে ধরে রেখেছে বুকের মাঝে।

চলবে

ছোট হয়েছে জানি তার জন্য সরি কাল আরেক পার্ট বড় করে দেবো। বুঝি না লিখতে বসলেই হাত ব্যাথা হয়ে যায় কেন?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে