#Bestfriend
part : 24
writer : Mohona
.
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে এটাই যে সাগর মোহনাকে ভালোবাসে। রোজ মোহনাকে যে ফুলের তোরা পাঠানো হয় সেটাও সাগরও পাঠায়?
মেরিন : কি বলছেন কি ?
নীড় : হ্যা। সাগর মোহনাকে ভালোবাসে। তাও সেই ছোটথেকে।
মেরিন : কি বলছো কি?
নীড় : হ্যা ঠিকই বলছি।
মেরিন : কিন্তু ওনার সাথে তো সেদিনই ১ম দেখা হলো।
নীড় : তুমি ১দিন বলেছিলে যে শোভা ফুপ্পির কথা মনে আছে স্পষ্ট। কিন্তু অন্য ফুপ্পির ছায়া। যার জিকির হয় তোমাদের বাসায় ।
মেরিন : হ্যা।
নীড় : তোমাদের সেই ফুপ্পির নাম শিখা । যে কিনা সাগরের মা।
মেরিন : কি?
সাগর : হ্যা।
মেরিন : নীড় এগুলো কি বলছে?
সাগর : তুমি যা শুনেছো ঠিকই শুনেছো ।
মেরিন : আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।
সাগর : সব বলবো। সব বোঝাবো। এখন না। মোহো তোমার জন্য wait করছে। আরও দেরি করলে ও বেরিয়ে আসবে। কালকে মোহো ঘুমিয়ে পরলে এসো। তোমাকে সব বলবো। কথা দিলাম । এখন যাও প্লিজ ।
মেরিন : হামম।
মেরিন চলে গেলো।
সাগর : মেরিনকে বলা কি ঠিক হলো?
নীড় : হামম। মোহনার মনে ভালোবাসা জাগাতে মেরিনের বিকল্প নেই।
সাগর : হামম।
নীড় : কিন্তু আমি ১টা বিষয় বুঝিনা মোহনা ওর বাবা-ভাইয়াকে hate করে কেন?
.
মোহনা : কিরে ব্যাগ change করতে গিয়েছিলি না কি romance করতে? এতো দেরি করলি যে?
মেরিন : আসলে নীড় রুমে ছিলোনা। তাই।
মোহনা : ওহ। আচ্ছা তোর মন এমন লাগছে কেন ? ঝগড়া হয়েছে ঢোলের সাথে?
মেরিন : না আসলে journey করে এসেছি তো। তাই একটু মাথা ঝিমঝিম করছে।
মোহনা : ওহ। তাহলে তুই fresh হয়েনে। আমি ততোক্ষনে কফি আর হালকা খাবার order করছি ।
মেরিন : হামম।
মেরিন fresh হতে গেলো । আর মোহনাও order করে ফেলল।
.
একটুপর…
মোহনাতো ঘুম। কিন্তু মেরিনের তো ঘুম আসছেনা। হাজারও প্রশ্ন ওর মনে।
ওদিকে নীড়-সাগরও জেগে আছে ।
নীড় : কি মনে হয় ? মেরিন সবটা শুনে বিশ্বাস করবে তো? help করবে তো?
সাগর : জানিনা রে।
নীড় : যদি ও help না করে তো না করবে। who cares? তুই তোর কাজ করে যাবি। মেরিন যা ইচ্ছা করুক। যদি বিশ্বাস না করে তো করবেনা। ওকে অতো তেল দেয়ার কিছু নেই।
সাগর : নীড়। ভুলে যাসনা ও তোর ভালোবাসা ।
নীড় : আর তুই আমার বন্ধু। আমার #Bestfriend …
সাগর : আমার নীড় কোথায় গেলো যে বন্ধু আর ভালোবাসাকে একসাথে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। হামম?
নীড় : তুই সবার আগে আমার কাছে ।
সাগর : shut up… তুই যদি ফের এমন কথা বলেছিস না তবে কেবল ভালোবাসা না বন্ধুও হারাবি।
নীড় : রাগ করছিস কেন? আমি কি মেরিন কে ছারবো নাকি? তোকে just আলুপাম দিচ্ছিলাম। ?।
সাগর : ?। shut up…
.
পরদিন…
রাতে…
সাগর : মেরিন যে এখনও এলোনা ….
নীড় : আসবে ।
সাগর : কালকে নিজে জিজ্ঞেস করছিলি আর আজকে এতো confident ?
নীড় : হামম। কারন প্রায় ২৪ঘন্টা হয়ে গিয়েছে তবুও মেরিন মোহনাকে যখন কিছু বলেনি that means ও আসবে।
সাগর : hope so…
নীড় : see she is coming …
সাগর : thanks god…
নীড় : শোন আমি একটু রাগ রাগ ভাব দেখাবো। বুঝলি?
সাগর : সর হারামী।
নীড় : ?।
সাগর : thanks to coming …
মেরিন : আপনার thanks শুনতে আসিনি। যার জন্য এসেছি সেটা বলুন।
নীড় : how rude… এই ছারতো । একে কিছু বলতেই হবেনা।
সাগর : নীড়। চুপ।
নীড় : ok anything for you…
সাগর : বসো।
নীড় : আচ্ছা তোরা শুরু কর আমি ২মিনিটে আসছি। জ্যো..তির সাথে কথা বলে।
সাগর-মেরিন : ?।
নীড় : excuse me… ?…
নীড় ২মিনিটের জন্য একা একাই কথা বলল মোবাইলে কথা বলার ভান করে।
সাগর মনে মনে : ভাইরে ভাই কোন দুঃখে নিজের সুস্থ শরীরকে ব্যাস্ত করছিস। মেরিন তোর সাথে কি কি করতে পারে তুই কি জানিস না।
নীড় ফিরে এলো।
নীড় : কিরে? এখনও তো দেখি কথা বলা শুরুই করিসনি। আমার জন্য বসে ছিলি বুঝি?
সাগর : তুই এখন একদম চুপ থাকবি ।
নীড় : হামম ।
সাগর : মেরিন… গল্পটা friendship এর । মামনি আর মামিমনি মানে সোহানা bestfriend ছিলো। মিস্টার খান মানে মম… মামা-মামির love marriage …. মামনি-বাবারও love marriage … বাবা আর মামাও bestfriend না হলেও business এর জন্য ভালো বন্ধুই ছিলো। নানুমনি মানে মিসেস মমতা খান মামনি-বাবার সম্পর্কে কখনোই তেমন happy ছিলোনা। তিনি বাবাকে তেমন পছন্দ করতো না। আবার তোমার ছোটফুপ্পি মানে শোভা খালামনি আর আমার চাচ্চু সাফোয়ান চৌধুরীও bestfriend ছিলো। তারা এতো ভালো বন্ধু ছিলো যে , যে কেউ তাদেরকে দেখে প্রেমিক-প্রেমিকাই ভাবতো। হ্যা তবে খালমনি চাচ্চুকে just bestfriend মানলেও চাচ্চু মনে মনে খালামনিকে ভালোবাসতো। চাচ্চু খুব ভালো student ছিলো।। he was a topper…. যাই হোক বাবা চাচ্চু আর খালামনির এই বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তা করতো। বাবা খালামনিকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসতো। মানুষ খালামনিকেই খারাপ বলবে ভেবে মামার সাথে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলে। মামা বলে সমাজের কথায় কান দিয়ে কি লাভ… এরমধ্যে চাচ্চু ১দিন মামনিকে বলে যে খালামনি কারো সাথে relation এ আছে। মামনি ছেলেটার সাথে মিট করতে গেলে কোনো কারনে মিট হয়না। খালামনি সম্পর্কটাতে ব্যাপক ভাবে জরিয়ে যায়। চাচ্চু বোঝাতে গেলে চাচ্চু আর খালামনির বন্ধুত্ব ভেঙে যায়। পরে মামনি বোঝাতে গেলে মামনির সাথেও খালামনির সম্পর্ক অবনতি হয়। এরপর হঠাৎ ১দিন শুনতে চাই যে খালামনি suicide করেছে। জানা যায় যে খালামনি pregnant ছিলো । নানুমনির উসকানোতে মামা চাচ্চুকে ভুল বোঝে। যা তা কথা শোনায়। মামনি সেই অজানা লোকের কথা বলাতে মামনিকেও কথা শুনতে হয়। মামা চাচ্চুর career শেষ করে দেয়। চাচ্চুকে ভার্সিটি থেকে বের করে দেয়া হয় । চাচ্চুর মুখে কালি মাখিয়ে সারা ক্যাম্পাসে ঘুরানো হয় । এই অপমান চাচ্চু মেনে নিতে পারেনি। চাচ্চুও suicide করে। আর সেদিন বাবা রাগ করেছিলো মামার ওপর। বাবার সেই ভয়ংকর রাগ প্রথম আর শেষ বারের মতো সেদিন দেখেছিলাম। এখন রেদোয়ান চৌধুরী আর শুভ্র একে অপরের সবথেকে বড় দুশমন…
মেরিন : আপনার কথাকে সম্পুর্ন বিশ্বাস কিভাবে করি?
সাগর : দেখো সব গল্পেরই ২টা দিক থাকে। আমি আমাদের দিকটা বললাম। আমার কথা বিশ্বাস না করলে করবেনা। সেটা তোমার ব্যাপার । কিন্তু আমার ভালোবাসার মাঝে প্লিজ বাধা হয়ে দারিও না । আর নিজের ভালোবাসাও নষ্ট কোরোনা। নীড় তোমাকে ভীষন ভালোবাসে।
মেরিন : আপনার আসল পরিচয়টা যদি আমি মিষ্টুকে বলে দেই।
সাগর : সেটাও তোমার ব্যাপার । মেরিন বন্যা খান যদি কিছু করতে চায় তবে সেটাই করে। তবে হ্যা ১বার অনুরোধ করতে চাই যে প্লিজ ওকে এখন বলোনা। আজকে বা কালকে ওকে সত্যিটা জানাতে হবে ঠিকই। কিন্তু এভাবে জানাতে চাইনা।
মেরিন : …
নীড় : কি হলো কিছু বলো।
মেরিন চুপচাপ চলে গেলো ।
সাগর: এটা কি হলো?
নীড় : তোর আর আমার কপালে দুঃখ। আজীবন মেরিন-মোহনার সাথে থাকার।
সাগর : মানে?
নীড় : মেরিন তোর love story বানাতে help করবে।
সাগর : কিভাবে বুঝলি?
নীড় : ওর চোখ দেখে। ?।
সাগর : romeo… ?…
.
পরদিন…
মোহনা : মেরুন… এই মেরুন। কতো ঘুমাবি? আর আজকে তুই ঘুমাচ্ছিস কেন? ওঠ। এই মেরুন। …
মেরিন : আম্মু আরেকটু ঘুমাতে দাও…
মোহনা : এই আমি তোর কোন জনমের আম্মুরে ? ওঠ। ও…ঠ …
মেরিন : আম্মুগো …
মেরিন উঠে বসলো।
মেরিন : কি হয়েছে?
মোহনা : ঘোড়ার ডিমের মাথা ।
মেরিন : আমার জানের কসম তুই কি চাস?
মোহনা : এটাই জানতে চাই যে তুই আজকে এমন মরার মতো ঘুমচ্ছিস কেন? রোজ তো তুই আমাকে টেনে তুলিস।
মেরিন : কিছুনা। সর fresh হতে যাবো।
মোহনা : ok…
.
কিছুক্ষনপর…
সাগর : মোহো …
মোহনা : কি?
সাগর : মেরিন তোমাকে কিছু বলেছে?
মোহনা হাটা বন্ধ করে চোখ গোলগোল করে সাগরের দিকে তাকালো।
মোহনা : সেই সকাল থেকে আপনি ২৫কেজির বেশিবার ধরে এই ১টা প্রশ্নই করে যাচ্ছেন কেন? মেরিন কিছু বলেছে … মেরিন কিছু বলেছে… আরে মেরিন কি বলবে টা কি শুনি? ?। একই কথা বারবার বলছেন কেন?
সাগর : just for general knowledge … ?…
মোহনা : চুপচাপ হাটুন। মাথা খারাপের গোডাউন।
সাগর : look who’s talking …
মোহনা : কিছু বললেন?
সাগর : নাতো। চলো।
মোহনা : huh…
.
ওদিকে…
নীড় মনে মনে : ইশ ম্যাডাম ম্যাডোনা । huh… রাগ করেছি কোথায় একটু রাগ ভাঙাবে। তানা … আমাকেই উল্টা রাগ দেখাচ্ছে । ১টা কথাও বললনা । থাক আমার সাথে রাগ দেখাক। তবুও মোহনাকে কিছু না বলুক ।
মেরিন মনে মনে : বলবো না কথা। আমাকে কথাটা বুঝিয়ে বললেই তো পারতো। এতো রেগে কথাটা বলেছে যে … হাতটা কি শক্ত করে ধরেছিলো। huh… এখনও ব্যাথা করছে। তবে আসল মজা তো হবে কালকে।
নীড় মনে মনে : ধ্যাত যাইই হোক ওর চুপ থাকা মেনে নেয়া যায়না। কি করি কি করি? জ্যোতিকে ফোন করার নাটক করি । great idea…
নীড় নাটক করে নিজে নিজেই বকবক করতে লাগলো। আর মেরিনের মেজাজ বিগরাতে লাগলো । তখনই হঠাৎ নীড়ের মোবাইলে সত্যি call এলো ।
মেরিন : ?।
নীড় : ?।
মেরিন : হাহাহাহাহা।
মেরিনের হাসতে লাগলো। আর নীড় দেখতে লাগলো।
মেরিন : মেরিনকে জব্দ করা সহজ না । huh…
নীড় : আচ্ছা sorry… পরশুর জন্য।
মেরিন : huh…
নীড় : আরে এখানে huh এর কি আছে? এখন কিন্তু বেশি হচ্ছে ।
মেরিন : তো ?
নীড় : তুমি আসলেই আজব । আচ্ছা তুমি মোহনাকে কিছু বলোনি তো ?
মেরিন : জানিনা….
নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে সামনে আনলো।
নীড় : hey বনপাখি আমি কিন্তু typical lover নই difficult lover… so… আমার সাথে এমন ভাব চলবে না।
মেরিন নীড়ের হাতে কামর দিলো। নীড় react করলোনা। পরে মেরিন হিল দিয়ে নীড়ের পায়ে পারা দিলো। আর নীড় পা ধরে লাফাতে লাগলো।
মেরিন : আমিও মেরিন বন্যা ।
নীড় : তাইজন্য তো ভালোবাসি ।
মেরিন মুচকি হেসে বলল : idiot…
নীড় : sorry accepted ?
মেরিন : এতো জোরে কেউ হাত চেপে ধরে? এখনও ব্যাথা করছে ।
নীড় : কি করি বলো তো। রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা । আর সাগর আমার জান ।
মেরিন : i understand …
নীড় : তাহলে help করবে ?
মেরিন : আবার জিগায় ?
.
মোহনা :
???
আমার নাম মোহনা
কেন হলোনা গহনা
গহনা আমার ভালো লাগেনা
কিন্তু নামটাতো ভালো
তবুও আমি বিন্দাস মোহনা
মোহনা মোহনা মোহনা…
???
সাগর : ?
মোহনা: এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
সাগর : what was that?
মোহনা : গান। সুর-কথা আমার।
সাগর : সেটা তুমি না বললেও বুঝতাম। আর তুমি এই ৩ইঞ্চি হিল পরে জঙ্গলে এমন লাফিয়ে চলোনা ।
মোহনা : কিনো কিনো?
সাগর : পা মচকে যেতে পারে।
মোহনা : তাতে আমার জামাইর কি?
সাগর : আচ্ছা এই লাঠি নিয়ে হাটছো কেন?
মোহনা : কারন এই লাঠিটা একদম awwwe ki cute … তাই ।
সাগর : ?
মোহনা লাফাতে লাফাতে কিছুটা এগিয়ে গেলো ।
মোহনা : জল… সাগর … ?
সাগর ভয় পেয়ে গেলো।দৌড়ে সামনে গেলো । গিয়ে দেখে ১টা সাপ মোহনার থেকে কিছুটা দূরে ফনা তুলে বসে আছে। হয়তো ওর হাতের লাঠিটার জন্য সামনে আসতে সাহস পাচ্ছে না।
সাগর : oh no.. চলো চলো। don’t be scared ….
মোহনা : scared ? why should i? দেখুন না সাপটা কি awwwe ki cute … চলুন ২জন মিলে ওর সাথে সেলফি তুলি । কখনো তুলিনি। চলুন …
সাগর : আরে আরে আরে… পাগল হলে নাকি ? ওখানে কোথায় যাচ্ছো। ওখানে গেলে সেলফি না সাপের ছোবলও freeতে পাবে।
মোহনা : awwwe ki cute… আমি না কখনো ছোবল খাইনি।
সাগর : shut up… ?।
মোহনা : huh…
মোহনা না শুনে ছবি তুলে অনেকটা এগিয়ে গেলো। সাগর মোহনাকে ১টানে সরিয়ে নিলো। আর দুর্ভাগ্যবশত একটু ঘুরে যাওয়ায় সাগরকে সাপে কেটে দিলো।
মোহনা : সাগর। oh no… সসসাগর।
চোখ বোঝার আগ পর্যন্ত সাগর মোহনাকেই দেখতে লাগলো।
মোহনা সাগরের পায়ে ওর রুমালটা দিয়ে বাধ দিতে দিতে
বলল : কে বলেছে আজিরা ভাব করতে? সাপরা সাপ হলেও ওদের ১টা সাপত্ব আছে । ওদের আঘাত না করলে ওরা আঘাত করেনা ।
সাগরের তো খারাপ লাগছিলোই। কিন্তু মোহনার কথা শুনে সাগরের মরে যাওয়ার উপক্রম।
মোহনা : খবদার চোখ বন্ধ করবেন না।
মোহনা সাথে সাথে ব্যাগ থেকে ছোট ছুরিটা বের করে ছোবল দেয়া জায়গাটা কেটে ফেলল। আর রক্ত বের হতে লাগলো। এরপর হেক্সিসল দিয়ে ব্যান্ডেজ করতে লাগলো।
মোহনা : বেশি ভালো হওয়া ভালোনা । আমার কলিজার দেয়া রুমালটা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি….
.
২দিনপর …
সকাল…
সাগর তো হসপিটালে admit ।
সাগরের ঘুম ভাঙলো। দেখলো পাশের সোফায় মোহনা বসে ঘুমিয়ে আছে । সাগরের মুখে হাসি ফুটলো।