Bestfriend part : 23

0
2370

#Bestfriend
part : 23
writer : Mohona

.

মেরিন : i love you 2…
নীড় ঝট করে পিছে ঘুরলো।
নীড় : কি???
মেরিন পেছনে ২হাত দিয়ে নীড়ের দিকে এগিয়ে এলো। এরপর নীড়ের ২কাধে হাত রাখলো।
মেরিন : কানে সমস্যা আছে। তাইতো এতো বড় কথাটা শুনলেন না। ok আবারও বলছি । i love you too…
নীড় মুচকি হাসলো।
মেরিন : just ১টা হাসি ? no reaction ???
নীড় : তুমি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো সেটা আগেই বুঝেছি । তোমার মুখে শোনার অপেক্ষা ছিলো। তুমি ভাবতেও পারবেনা এই মোমেন্টটা আমার কাছে কি ? but i have something for you…
মেরিন : কি ?
নীড় : ১মিনিট।
নীড় ছোট্ট ১টা ফুলের তোরা বের করলো। যেটাতে সব রঙের ১টা করে গোলাপ আছে ।
নীড় সেটা হাতে নিয়ে মেরিনের সামনে হাটু গেরে বসলো।

নীড় : প্রতি রঙের গোলাপ জীবনের প্রতিটা বিশেষ কিছু নির্দেশ করে। ১টা ভালোবাসা , ১টা বন্ধুত্বের , ১টা বিশ্বাসের… এমন করে সব রঙের গোলাপেরই অর্থ আছে। commitment আছে। আর এই সব commitment ই আমি তোমাকে দিতে চাই … আর আরও ১বার বলতে চাই যে …. i love you…
মেরিনের চোখের কোনে পানি চলে এলো।
নীড় : ফুলগুলো নাওনা। হাটু ব্যাথা হয়ে গেলো ।
মেরিন মুচকি হেসে ফুলগুলো নিলো। নীড় দারিয়ে ২বাহু প্রসারিত করলো। মেরিনও দেরি না করে নীড়ের বুকে হামলা চালালো….

.

একটুপর…
নীড়-মেরিনের আভাস পেয়ে সাগর মোহনাকে দেখা বাদ দিয়ে সোজা দারিয়ে রইলো। দেখলো হাতে হাত দিয়ে নীড়-মেরিন হেটে আসছে ।
সাগর মনে মনে : কুছ তো গারবার হ্যা সাগর… কুছ তো গারবার হ্যা। তোর জান জান পেয়ে গিয়েছে। lovely … thank you আল্লাহ।
নীড় : বডিগার্ড ঠিকমতো পাহারা দিয়েছো?
সাগর : ১টা মশাও ভেতরে যেতে দেইনি…
নীড় : good…
সাগর : thank you sir…
নীড় : good night জানপাখি… বনপাখি…
মেরিন : good night…
বলেই মেরিন ভেতরে চলে গেলো ।

সাগর : congratulations আমার ভাই…
নীড় : আমি তো কিছু বললামই না।
সাগর : এখন তোর বলার পর আমাকে বুঝতো হবে??
নীড় : lets celebrate …?
সাগর : আবার জিগায় ।
২বন্ধু সারারাত celebrate করলো।

.

পরদিন…
মেরিন : মিষ্টু … শোন..
মোহনা : বল…
মেরিন : আমারনা তোকে কিছু বলার ছিলো …
মোহনা : তুই আবার কবে থেকে কথা বলার permission নিচ্ছিস বলতো…
মেরিন : না মানে আসলে…
মোহনা : ওই নিজেকে সিরিয়ালের হিরোইন মনে করিস ? যে এতো ভনিতা করছিস।
মেরিন : আসলে i love নীড়। & i confessed…
মোহনা : what?
মোহনা আশেপাশে কিছু খুজতে লাগলো।
মেরিন : কি খুজছিস?
মোহনা : লাঠি…
মেরিন : কেন?
মোহনা : কারন তোকে পিটাবো… তুই আমাকে ১বারও বললিনা। এই আমাকে #Bestfriend বলিস…?
মোহনা লাঠি পেয়েও গেলো। লাঠি নিয়ে দৌড়ানি মারলো। মেরিনও দৌড় মারলো।
মেরিন : আরে আমি নিজেও জানিনা যে আমার মুখ দিয়ে কিভাবে বেরিয়ে গেলো… please ক্ষমা করে দে…
মোহনা : আমাকে বললে কি আমি না করতাম? হ্যা…
মেরিন : sorry তো…
মোহনা থামলো।
মোহনা : তোর জন্য হুদ্দাই এতোক্ষন দৌড়ালাম।
মেরিন : ?।
মোহনা : এখন চল…
মেরিন : কোথায়?
মোহনা : ডেভিল ঢোলের কাছে। তুই তাকে accept করলি আর তার থেকে ট্রিট নেবোনা ? চল ট্রিট নিবো। awwwe ki cute….
মেরিন মুচকি হেসে
বলল : চল…

.

সারারাত হৈ-হুল্লোর করে ২বন্ধু মরার মতো ঘুমাচ্ছে ।
মোহনা : ঢোল…. মিস্টার ডেভিল ঢোল…
২জনের ১জনও উঠলোনা।
মোহনা : ডেভিল ঢোল…. উঠুন… ???
মোহনার চিল্লানোতে নীড়-সাগরের ঘুম তো ভাঙলোই। সেই সাথে ওখানে অনেকে এসে ভীর করলো।
মেরিন : কি হলো তোমরা এখানে কেন? আমাদের কিছু কাজ আছে তাই এসেছি। আসতে পারেন।

সবাই চলে গেলো।
নীড় : oh no… মেরিন-মোহনা বাহিরে। এখন ?
সাগর : আমি তোকে আগেই বলেছিলাম। কিন্তু তুই…
নীড় : এখন খোচা না মেরে কিছু কর।
সাগর : ?।
মোহনা : এর তো মহাঘুম। ঢো………ল…. ???
সাগর : কানের পর্দা ফেটে গেলো গো…
নীড় : তোরটা আমারটার থেকেও বেশি চিল্লায়…
সাগর : হামমম।
নীড় : আসছি মোহনা… ওই তুই এই কর্নারে দারা। আমি ঠুস করে বেরিয়ে যাই ।
সাগর : okkk…
নীড় বেরিয়ে গেলো।
নীড় : হাই। good morning …
মোহনা : good নাকি bad সেটা জানিনা। কতো ঘুম ঘুমান আপনি? হামম?
নীড় : না মানে আমার ঘুমটা একটু বেশি।
মোহনা : একটু না অনেক বেশি। এতো ঘুমানো শরীরের জন্য ভালোনা। বুঝেছেন দুলাভাইয়া…
মেরিন মনে মনে : look who’s talking …
নীড় : হামম। মনে রাখবো। by the way দুলাভাইয়া শুনে ভালো লাগলো।
মোহনা : এখন খারাপ লাগবে। কারন আমি ডাবল ট্রিট নিবো। ১টা আমাদের relation শুরু হওয়ার খুশিতে। আর আরেকটা হলো এতোক্ষন ধরে গলা ফাটিয়ে ডাকার পর আপনি এলেন সেটার শাস্তির দুঃখে।
নীড় : হাহাহা। ok… as your wish mam… আজকে সন্ধ্যায় এখানে back করে fresh tresh হয়ে বের হবো। awwwe ki cute ওয়ালা ok?
মোহনা : হামম হামম। awwwe ki cute ok।
নীড় : পাগলি।

.

রাতে…
নীড় গাড়ির সামনে দারিয়ে আছে। সাথে সাগর। ছদ্মবেশে of course । মেরিন-মোহনা এলো।
মেরিন : এটা কে? এটা তো সেই বডিগার্ড । তাইনা?
নীড় : হামম। বডিগার্ড প্লাস আমার খুব ভালো বন্ধু। ওকে ছাড়া আমি আর আমাকে ছারা ও থাকতে পারবেনা। তাই ও এখানে।
মেরিন : ও।
নীড় : lets go..
নীড়-মেরিন সামনে বসলো। আর সাগর-মোহনা পেছনে। গাড়ি চলতে শুরু করলো । সবাই মিলে অনেক মজা করলো ।

.

২দিনপর…
সাগর : মন খারাপ নাকি?
মোহনা : কেন আমার মন খারাপ হবে কেন?
সাগর : এই যে তোমার সামনে নীড়-মেরিন চুটিয়ে প্রেম করছে। আর তুমি single ..
মোহনা : oh hello… আমি enough happy … কারন আমি awwwe ki cute single …
সাগর : দেখে তো মনে হয়না । তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুমি upset …
মোহনা : আরে ধ্যাত না। আমি মোটেও upset নই।
সাগর : তোমার মনে হয়না যে তোমারও উচিত কাউকে জীবনে আনা।
মোহনা : no..
সাগর : why??
মোহনা : আপনাকে বলবো কেন?
সাগর : ভালোবাসায় জরাতে চাওনা কেন?
মোহনা : আমার ইচ্ছা ।
সাগর : আচ্ছা ১টা কথা বলো তো। তোমার কাছে ভালোবাসা মানে কি?
মোহনা : ধোকা…
সাগর : …

সাগর : ধোকা? কেউ তোমাকে ভালোবেসে ধোকা দিয়েছে বুঝি?
মোহনা : ?।
সাগর : ok sorry … কালকে তো আমরা বরিশাল যাবো । do you excited ?
মোহনা : জানিনা….
সাগর মনে মনে : মনে হয় তোমাকে hurt করে ফেললাম।

.

রাতে…
১২টা পর্যন্ত মেরিন নীড়ের সাথে কথা বলার পর মেরিন ঘুমিয়েছে। মোহনা এতোক্ষন ঘুমের ভান ধরেছিলো। মেরিন ঘুমাতেই মোহনা উঠে বসলো।
মোহনা মনে মনে : প্রেম করে ফাটিয়ে দিলো। ?। প্রেম করলো এ আর ঘুম আসছেনা আমার। ১কাজ করি বাহিরে গিয়ে একটু হাটি। tentথেকে দূরে যাওয়া যাবেনা। মেরুন তো ঘুম। suffocation হচ্ছে i need some fresh air..
মোহনা tent থেকে বের হলো । tent থেকে কিছুটা সামনেই বসলো । tent এর ওপরও নজর রাখতে লাগলো।

সাগর : ঠিক জামতাম যে মেয়েটাকে hurt করে ফেলেছি। পুরোনো কথা মনে করিয়ে। কিন্ত ওর তো এসব থেকে বের হতে হবে…

মোহনা ঘাষের মধ্যে আকিবুকি করছে । তখন ওর সামনে ice cream হাজির হলো।
মোহনা : মেরুন তুই ঘু… একি আপনি ?
সাগর : হামম আমি। এই নাও ice cream খাও।
মোহনা : কেন আপনার টা কেন খাবো?
সাগর : কি তোমার-আমার শুরু করলে বলো তো। যা আমার তাই তো তোমার। afterall we are friend ।
মোহনা : সেটা কবে হলাম?
সাগর : হয়ে যাবো।
মোহনা : huh…
সাগর : নাও ice cream খাও।
২জন ice cream খেতে লাগলো।

সাগর : মোহো… মেরিনকে ওই নীড় থেকে দূরে থাকতে বলো।
মোহনা : কেন কেন?
সাগর : কারন নীড় মানুষটা ভালোনা। মেরিনকে ধোকা দিবে।
মোহনা : না। নীড় ভাইয়া মেরুনকে অনেক ভালোবাসে। আপনি নীড় ভাইয়াকে dislike করেন তাই এই কথা বলছেন। নীড় ভাইয়া মেরুনকে সত্যিই ভালোবাসে।
সাগর : আচ্ছা তাই? তাহলে তুমি যে বললে ভালোবাসা মানে ধোকা… তো ? নীড়ও তো তবে ধোকা দিচ্ছে।
মোহনা : সব ভালোবাসা ধোকা হয়না…
সাগর : really ? তবে তুমি কাউকে ভালোবাসছোনা কেন ?
মোহনা : আমার ইচ্ছা।
সাগর : মনে করো আমি যদি তোমাকে i love you বলি তুমি কি করবে?
মোহনা : ?।
সাগর : তুমি বলবা আপনি awwwe ki cute ধোকাবাজ।
মোহনা : হ্যা বলবোই তো।
সাগর : কেন আমার সাথে এই অবিচার কেন ?
মোহনা : কারন আপনি জল্লাদ তাই।
সাগর : ?।
মোহনা : bye… good morning …
বলেই মোহনা চলে গেলো।

সাগর : যাহ এ তো চলে গেলো। তবে মোহোকে জানাতে হবে not just জানাতে হবে ওকে প্রমান দিতে হবে যে চাচ্চু খালামনিকে মানে ওর ফুপ্পিকে ধোকা দেয়নি। সবটাই ছিলো ভুল বোঝাবোঝি।

.

in বরিশাল…
মোহনা : ভালোই হয়েছে এখানে আর tent এ থাকতে হবেনা।
মেরিন : হামম। ঠিক বলেছিস। oh no…
মোহনা : কি হলো?
মেরিন : দেখনা ডেভিলটা কি করেছে…
মোহনা : কি করেছে ?
মেরিন : ভুল করে আমার ব্যাগ নিয়ে গিয়েছে আর নিজোর ব্যাগ এখানে রেখে গিয়েছে।
মোহনা : ভুল করে না। ওই শালি ইচ্ছা করেই করেছে ।
মেরিন : হতেও পারে। দারা আমি আমার ব্যাগ নিয়ে আসি।
মোহনা : okkk।ততোক্ষনে আমি fresh হয়েনি।
মেরিন : হামম।

মেরিন নীড়ের রুমের ওখানে গেলো। নীড় ভুল করে দরজা লাগায়নি। দরজা চাপানো দেখে মেরিন অবাক হলো। তবুও নক করতে নিলো তখন সাগরের কন্ঠ শুনতে পেলো। ২ বন্ধু হাসাহাসি করছে আর কথা বলছে।
মেরিন : এরা এতো হাসছে কেন? আর নীড় কার সাথে কথা বলছে? কন্ঠ টা চেনা চেনা লাগছে।

নীড় : তো আলাদা থাকবো তোর থেকে?
সাগর : মেরিন-মোহনা দেখে নিলে বের হবে।
নীড় : relax সাগর। কিছু হবেনা। এতো ভয় পাস কেন?
মেরিন : সাগর?
মেরিন দরজা পুরোটাই খুলে দিলো । ২বন্ধু কথা বলতে এতোটাই ব্যাস্ত যে মেরিনকে notice ই করলোনা।

সাগর : দেখ ভয় পাওয়ার কারন আছে। ওই ২ bestfriend যদি জানতে পারে যে তুই আমি bestfriend হয়েও দুশমন হওয়ার ড্রামা করছি তাহলে তো আমরা শেষ।
নীড় : কিছু হবেনা।
সাগর : আমার না হলেও তোর হবে। আর আমার ভয়টাও তোকে নিয়ে। মেরিন যদি তোকে ভুল বোঝে? break up করে?
নীড় : দেখ আমি তো ধোকা দিচ্ছিনা। আর মেরিনের ভালোবাসা অতো ঠুনকো নয় যে কোনো কারন ছারাই break up করবে।
সাগর : ভুলে যাস না মেরিনের দুনিয়ে মোহো।
নীড় : হ্যা জানি। but মোহনাকে তো আমিও বোনের মতোই ভালোবাসি।
সাগর : তবুও আমার মনটা কেমন যে… মমমেরিন?
নীড় ঘুরে দেখে মেরিন দারিয়ে আছে। চোখ ২টা আগুনের গোলার মতো লাল হয়ে আছে।

মেরিন : আসলেই আমার ভালোবাসা অতো ঠুনকো নয়যে আপনাকে ভালোবাসবো মিস্টার নীড়। i hate you…. আমি জানিনা আপনারা কোন বন্ধু হয়ে শত্রু শত্রু খেললেন। তবে এটা বেশ বুঝতে পারছি যে এর পেছনে কোনো গভীর সরযন্ত্র আছো।
নীড় : মেরিন বিশ্বাস করো আ…
মেরিন : বিশ্বাস তাও আপনাকে। আপনাদের সাথে কোনো কথা নেই।
বলেই মেরিন নীড়ের ব্যাগ রেখে নিজের ব্যাগ নিয়ে চলে যেতে নিলো।

সাগর : নীড় really loves you মেরিন।
মেরিন : i don’t care… got it?
নীড় : মেরিন তুমি সাগরের সাথে এভাবে কথা বলতে পারোনা।
সাগর : নীড় চুপ। let me handle this… মেরিন নীড় তোমাকে ভালোবাসে। আর আমি মোহোকে । মোহোপাখিকে…
মেরিন হাহা করে হেসে উঠলো ।
মেরিন : আপনারা কি ভালোবাসি ভালোবাসি খেলা খেলছেন ? ১বার মিষ্টুকে বাচিয়েছেন তাই বলে আমি কৃতজ্ঞ । কিন্তু এখন ভুলটা ঢাকার জন্য উটপটাং ভালোবাসার কথা বলে সে দোষ ঢাকতে পারবেন না।

বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।

.

মেরিন : এখনই মিষ্টুকে সব বলবো।
মেরিন just রুমে ঢুকবে তখন নীড় এসে মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
মেরিন : ছারুন আমার হাত।
নীড় : ছারবো। তবে আগে আমার কথা শোনো।
মেরিন : কোনো কথা শুনবোনা।
নীড় : তোমাকে শুনতে হবে। সত্যিটা জানতে হবে। আর সত্যটা হলো এই যে সাগর মোহনাকে ভালোবাসে। তাও আজকে থেকে না । অনক আগে থেকে । যখন থেকে ও ভালোবাসা কি সেটা বুঝতোও না তখন থেকে ।
মেরিন : মানে?

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে