Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তুমি এলে তাই পর্ব-০৬

তুমি এলে তাই পর্ব-০৬

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৬
.
গুঞ্জন হিঁচকি দিয়ে কেঁদেই চলেছে। গুঞ্জনের এই কান্না সোজা আবিরের কলিজায় গিয়ে লাগছে। মেঘলা নিজেও কেঁদে দিয়েছে এই দৃশ্য দেখে। আবির নিজেকে সামলে গুঞ্জনের মাথায় হাত রাখতেই গুঞ্জন হিচকি দিতে দিতে ভাঙা গলায় বলল,

— ” তুই খুব খারাপ ভাইয়া। একটুও ভালোবাসিস না আমাকে। সবার মতো তুইও কষ্ট দিস আমাকে। একটুও বুঝিস না আমায়। তুই তো জানতি তুই ছাড়া আমার খেলার কেউ ছিলোনা। একমাত্র তোর কাছেই তো থাকতাম আমি। তবুও আমাকে এখানে একা রেখে চলে গেলি। একবারও আমার কথা ভাবিসনি তুই।”

এটুকু বলে আবারও কাঁদতে শুরু করলো ও। আবির কিছু না বলে চুপচাপ শুনছে নিজের বোনের অভিযোগগুলো। এমন মনে হচ্ছে যেনো একটা বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে এসে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। গুঞ্জন কিছুক্ষণ কাঁদার পর আবারও বলতে শুরু করল,

— ” তুই জানিস আমার কতো কষ্ট হতো। তোকে কত মিস করতাম। তোর কথা খুব মনে পরতো। প্রতিদিন রাতে কাঁদতাম কিন্তু তুই একটা ফোনও করিস নি আমায়। একটুও মনে পরতো না আমার কথা তোর? প্রতিদিন একটাবার ফোন করতে কী এমন হতো হ্যাঁ? আর এখনও তুই বুঝিস না আমাকে, আমাকে এখনও কষ্ট দিস তুই। খুব খারাপ তুই, খুব খারাপ।”

এটুকু বলে আবারও শব্দ করে কাঁদতে শুরু করলো। আবির নিঃশব্দে চোখের জল ফেলছে। আর মেঘলাও চোখের জল মুছে নিজেকে সামলে দাঁড়ালো। গুঞ্জন কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে গেছে তবুও কান্না থামাতে পারছেনা। আবিরের আর সহ্য হচ্ছেনা গুঞ্জনের কান্না। আবির নিজের চোখের কোণের জলটা মুছে গুঞ্জনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

— ” চুপ কর বাবু। অনেক হয়েছে আর না। ব্যাস চুপ।”

আবিরের বুকে মাথা রেখে ফোপাতে ফোপাতে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পরলো গুঞ্জন। আবির যখন বুঝতে পারল যে গুঞ্জন ঘুমিয়ে পরেছে তখন ওকে বেডে শুইয়ে দিয়ে গায়ে ভালো করে চাদর জরিয়ে দিয়ে মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” আজ রাতটা ওর সাথেই থাকছি আমি। তোর ঘুম পেলে চলে যা।”

মেঘলা বেডের সাইডে বসে বলল,

— ” একা একা থাকতে ভালো লাগবে নাকি তোর? আমিও থাকছি।”

আবির কিছু না বলে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করল। মেঘলা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,

— ” আজকেতো রাতের খাবারটা খা? গুঞ্জনতো খেয়েছে আজ বাড়িতে। রোজ ও খায়না বলেতো তুইও খাসনা।”

আবির একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,

— ” আজ গলা দিয়ে খাবার নামবেনা। এর আগে এক্কেবারে ছোটবেলায় এভাবে কাঁদতে দেখেছিলাম ওকে আমি। আর আজ দেখলাম। কিন্তু কিছু প্রশ্ন জাগছে আমার মনে। ওকে তো আমরা রোজ ফোন করতাম। ওই আমাদের সাথে কথা বলতে চাইতোনা। তাহলে আজ এসব কী বলল ও?”

মেঘলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

— ” সেটাই তো বুঝলাম না। হয়তো জ্বরের ঘোরে বলছে।”

আবির কিছু ভাবতে ভাবতে বলল,

— ” নাহ ঘোরের মধ্যে কেউ উল্টোপাল্টা বলেনা সেটাই বলে যেটা মনে মধ্যে চাপা থাকে।”

মেঘলা আবিরের কাধে হাত রেখে বলল,

— ” এতো ভালোবাসিস তাহলে কষ্ট কেনো দিস ওকে?”

আবির চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বলল,

— ” চাইনা ওকে কষ্ট দিতে। কিন্তু নিজেকে সামলাতে পারিনা। বাবা মা কাকা কাকীর রাগটা ওর ওপর দেখাই। ওনাদের তো কিছু বলতে পারিনা তাই সেই ঝালটা ওর ওপরে গিয়ে পরে।”

মেঘলা উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

— ” হয়েছে এবার খাবার খাবার নিয়ে আসছি খেয়ে নে।”

মেঘলা গিয়ে খাবার নিয়ে এলো। আবির খাবারটা খেয়ে সারারাত গুঞ্জনের পাশে বসে ওর সেবা করলো। শেষ রাতের দিকে গুঞ্জনের জ্বর ছেড়ে দিলো। গুঞ্জনের জ্বরই ছাড়তেই আবির একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। উঠে দাঁড়িয়ে মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” তুই থাক। আমি রুমে যাচ্ছি। আর হ্যাঁ ওকে বলিসনা এসব কিছু।”

মেঘলা ভ্রু কুচকে বলল,

— ” কিন্তু কেনো?”

আবির একটা মলিন হাসি দিয়ে বলল,

— ” থাকনা। কিছু জিনিস অজানা থাকাই ভালো।”

মেঘলাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আবির চলে গেলো ওখান থেকে। আর মেঘলাও গুঞ্জনকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরলো।

______________________

আজ অফিস যাবেনা তাই টিশার্ট আর জিন্স পরেই নিচে নামলো স্পন্দন। এসে চুপচাপ টেবিলে বসল। কিছুক্ষণ সবাই চুপ ছিলো। হঠাৎ স্পন্দন খেতে খেতেই সারাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

— ” কালকে কিছু বলিনি। বাট আজ ভালোভাবে বলে দিচ্ছি। ওই মেয়েটা কী জেনো নাম? হ্যাঁ গুঞ্জন, ওর সাথে যাতে তোকে মিসতে না দেখি।”

সারা অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল,

— ” কিন্তু ভাইয়া কারণটা কী?”

স্পন্দন বিরক্ত হয়ে সারার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” আমি বলছি এটাকি যথেষ্ট কারণ নয়?”

সারা মাথা নিচু করে ফেলল। স্পন্দনের বাবা কিছু বুঝতে না পেরে বললেন,

— ” কিন্তু ব্যাপারটা কী?”

স্পন্দন একটা গম্ভীর নিশ্বাস ফেলে বলল,

— ” বাবা মেয়েটা যথেষ্ট উশৃঙ্খল , অসভ্য এবং অভদ্রও। এরকম একটা মেয়ের সাথে সারার থাকটা সেফ না।”

সারা এবারও অবাক হয়ে বলল,

— ” আরে ও করেছেটা কী বলবি তো?”

স্পন্দন ভ্রু কুচকে বলল,

— ” তুই জানিস না ও কী করেছিলো? তারওপর কাল একটা ওয়েটারর সাথে কী ব্যবহার করেছিলো দেখিস নি?”

স্পন্দনের মা বললেন,

— ” আহা। হয়তো ওয়েটারটার কোন ভূল ছিলো তাই হয়তো ওরকম করেছে।”

স্পন্দন নিজের মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” এরকম কী কারণ হতে পারে? যার জন্যে একজন ওয়েটার এর সাথে এরকম বিহেভ করবে?”

স্পন্দনের বাবা বিরক্ত হয়ে বললেন,

— ” আরে থাকতেই পারে কোন কারণ। সব কিছুতেই যে শুধু তুমি ঠিক হবে বাকি সবাই ভুল হবে তা তো হয়না?”

স্পন্দন অবাক হয়ে নিজের বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” অদ্ভুত তো? যে মেয়েটাকে আজ অবধি দেখোই নি চেনোই না তাকে নিয়ে এতো কনফিডেন্ট কীকরে তোমরা? যাই হোক ওই মেয়েকে নিয়ে বেশি কথার দরকার নেই। এন্ড সারা তোকে জেনো আমি ওই মেয়ের কাছে যেতে না দেখি। ওকে? ”

সারা কিছু না বলে মাথা নিচু করে রইলো। স্পন্দন খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে যেতে নিয়েও থেমে গিয়ে বলল,

— ” আজ সন্ধ্যায় প্রোগ্রাম আছে তো? তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে থেকো সবাই। লেট যাতে না হয়।”

এটুকু বলে স্পন্দন চলে যেতেই স্পন্দনের বাবা অবাক হয়ে বলল,

— ” আমার ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে এতো কথা বলছে? আনবিলিভএবল।”

স্পন্দনের মাও বললেন,

— ” হ্যাঁ। যদিও মেয়েটার ওপর রেগে আছে তবুও কাউকে নিয়ে তো ও এতো আলোচনা এতো মাথা ব্যাথা দেখায় না? মেয়েটাকে তো একবার দেখতে হচ্ছে। যে আমার ছেলের মনে এমনভাবে গেথে গেছে।”

সারা হেসে দিয়ে বলল,

— ” তোমরা যেটা ভাবছো সেটা পসিবল না কারণ এরা একে ওপরের টোটাল অপজিট। একজন উত্তর তো আরেকজন দক্ষিণ। এদের এক হওয়া কোনোদিন সম্ভব নয়।”

স্পন্দনের মা মুচকি হেসে বললেন,

— ” কে বলতে পারে ওপরওয়ালা কী লিখে রেখেছেন? ”

সারা চামচ নাড়তে নাড়তে বলল,

— ” তা ঠিক তবে মেয়েটাকে আজকেই দেখতে পাবে। ও আজ গানও গাইবে।”

স্পন্দের বাবা বললেন,

— ” তাহলেতো হলোই। দেখা হয়ে যাবে।”

এরপর তিনজনেই কথা ছেড়ে খাওয়ায় মনোযোগ দিলেন।

______________________

সন্ধ্যায় স্পন্দন ওর পুরো পরিবার নিয়ে ভার্সিটি এসে হাজির হলো। চিফ গেস্ট হওয়ার কারণে ওদের গেট থেকে ওয়েলকাম করা হলো। এরপর ওদের নিয়ে গিয়ে প্রোগ্রামের ফ্রন্টে সিটগুলোতে নিয়ে বসানো হলো। সারা ওদের সাথে আসেনি স্পন্দন নিজেই আসতে দেয়নি। স্পন্দনের মতে যেহেতু ও এই ভার্সিটিরই স্টুডেন্ট তাই ওকে স্টুডেন্টের মতোই থাকতে হবে। চিফ গেস্টের বোন হওয়ার এডভান্টেজ পাওয়াটা উচিত নয়। আর এদিকে গুঞ্জনের ফ্যামিলির লোকেরাও অডিয়েন্স সিটে বসে আছে। গুঞ্জন দুপুরের দিকে বেড়িয়েছে আর ওরা দেখেনি ওকে। তাই এদিক ওদিক খুজছে।

প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে বেশ অনেক্ষণ হয়েছে। অথচ গুঞ্জনের কোনো পাত্তা নেই। গুঞ্জনের বন্ধুরাও খুজে চলেছে ওকে। সারাও এদিক ওদিক খুজছে। প্রোগ্রাম অর্গানাইজার রা তো টেনশনে পরে গেছেন সবাই জানে গুঞ্জন গান গাইবে তাই অডিয়েন্স এতো বেশি। যদি মেয়েটা সময়মত না আসে তাহলে কী হবে? শেষমেস ডুবিয়ে ছাড়বে না তো? আর এদিকে আবির আস্তে করে মেঘলাকে বলল,

— ” গুটিটা কোথায় বলতো?”

মেঘলা ফোনে ট্রাই করতে করতে বলল,

— ” ফোন করছিতো বাট ধরছেনা।”

এভাবে প্রোগ্রাম অর্ধেকের বেশি শেষ বাট গুঞ্জনের পাত্তা নেই। একজন প্রোফেসর এসে বললেন,

— ” গুঞ্জন কোথায়?”

ক্লাবের একজন ইতস্তত করে বললেন,

— ” জানিনা তো স্যার আসেই তো নি এখনো।”

— ” ড্যাম ইট!”

বলে চলে গেলেন তিনি। এদিকে স্পন্দনের বাবা স্পন্দের মা কে বললেন,

— ” কী গো? মেয়েটা নাকি গান গাইবে? কোথায়?”

কথাটা স্পন্দনের কানে গেলে ও মনে মনে বলল। এই মেয়ের কাছে এর চেয়ে বেশি কী আশা করা যায়। নিজেকেতো মিস ওয়ার্ল্ড ভাবে। কারো কোনো কেয়ার নেই।ইরেসপন্সিবল গার্ল।

হঠাৎ করেই এঙ্কর গুঞ্জনের নাম এনাউস করলো। সাথেসাথেই করতালি বয়ে গেলো চারপাশে। আবির আর মেঘলা গুঞ্জনের বন্ধুরা সারা সবাই স্বস্তির নিশ্বাস নিলো। গুঞ্জনের বাবা মা খুশি হলেও সেটা প্রকাশ করলো না, আর ওর কাকা কাকী এমন মুখ করলেন যেনো কোনো অখাদ্য খেতে দেওয়া হয়েছে ওনাদের। প্রফেসররাও স্বস্তি পেলো। স্পন্দনের বাবা মা কৌতূহল নিয়ে নড়েচড়ে বসলেন। স্পন্দনের বিশেষ কিছু যায় আসলো না। তবে স্টেজে গুঞ্জনকে দেখে একটু বিরক্ত হলো। আজকেও একটা লং শার্ট, টাকনুর ওপরে ফোল্ড করা জিন্স, খোলা চুল নিয়েই স্টেজে উঠেছে। আজকে তো একটু সেজেগুজে আসতে পারতো নাকি? এসব ভেবে স্পন্দন নিজেই নিজের ওপর অবাক হলো যে কী ভাবছে এসব ও? এই মেয়ে যা খুশি করুক তাতে ওর কী? ও কেনো এসব ভাবছে? এসব ভেবে ভ্রু কুচকে ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রোল করতে লাগল,গুঞ্জনের গান নিয়ে স্পন্দনের ইন্টারেস্ট নেই। মেঘলা একটু বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” বললাম আজ একটু সাজিয়ে দেই শুনলোই না।”

আবির মুচকি হেসে বলল,

— ” ও যেরকম ওকে তেমনি ভালোলাগে।”

মেঘলাও হাসলো একটু। গুঞ্জন মিউজিশিয়ানদের কোন গান গাইবে সেটা বলে স্টেজের সেন্টারে এসে গিটারে টুংটাং করতে করতে যেই সুর তুলল। স্পন্দন অবাক হয়ে ফোন থেকে চোখ সরিয়ে স্টেজে তাকালো। এতো চমৎকার ভাবে গিটার বাজায় মেয়েটা? গুঞ্জনের বাবা মাও অবাক হলেন। বড় হওয়ার পর এই প্রথম নিজের মেয়ের গান শুনছে, আর আবির এর আগেও একবার শুনেছে। মেঘলাই রেকর্ড করে পাঠিয়েছিলো ওকে। সারা, স্পন্দনের বাবা মা নতুন যারা শুনছে সবাই গিটারের সুর শুনেই অবাক। একটু গুঞ্জন গাইতে শুরু করল,

চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন আর কবিতায় শুয়ে কাপ্লেট
আহা উত্তাপ কতো সুন্দর তুই থার্মোমিটারে মাপলে
হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল, মিঠে কুয়াশায় ভেজা আস্তিন
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস
চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন…

স্পন্দন এবার একটু নড়েচড়ে বসলো। ইন ফ্যাক্ট অডিয়েন্সের সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছে। নিজের অজান্তেই স্পন্দন নিজের থাই এর ওপর হাত দিয়ে তাল দিয়ে যাচ্ছে।

প্রিয় বন্ধুর পারা নিঝুম চেনা চাঁদ চলে যায় রিকশায়
মুখে যা খুশি বলুক রাত্তির শুধু চোখ থেকে চোখে দিক সায়
পায়ে ঘুম যায় একা ফুটপাত ওড়ে জোছনায় মোড়া প্লাস্টিক
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস
চল রাস্তায় খুজি ট্রামলাইন..

পোষা বালিশের নিচে পথঘাট যারা সস্তায় ঘুম কিনতো
তারা কবে ছেড়ে গেছে বন্দর আমি পাল্টে নিয়েছি রিংটোন
তবু বারবার তোকে ডাক দেই একি উপহার নাকি শাস্তি
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস
আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস…

সবাই জোরে হাততালি দিলো। সেই হাততালির আওয়াজে স্পন্দনের ধ্যান ভাঙলো। গুঞ্জনের বাবা মা অবাক নিজের মেয়ের এমন প্রতিভা তারা জানতেনই না? স্পন্দনের বাবা মা তো ইতিমধ্যে গুঞ্জনের ফ্যান হয়ে গেছেন। আবির আগে একবার গুঞ্জনের গান শুনলেও আজ সামনাসামনি শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে। আর স্পন্দন? ওতো এখনও শকড হয়ে আছে। ও কল্পনাও করেনি মেয়েটা এতো ভালো গাইবে। নিজেই মনে মনে বলল যে, যাক একটা ভালো গুন তাহলে আছে মেয়েটার মধ্যে।

#চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ