স্নিগ্ধ অনুভব পর্ব-১৪

0
1155

#স্নিগ্ধ_অনুভব
#পার্ট:১৪
#পিচ্চি_লেখিকা

পিটপিট করে চোখ মেলতেই দেখি আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি। আমার পাশে একজন নার্স দাঁড়িয়ে আছে। সামনে ১ জন ভদ্র মহিলা আর ১ জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের কাউকেই চিনি না আমি। আমাকে চোখ মেলতে দেখে পাশ থেকে ডক্টর বললো,,
“ফাইনালি মিস আপনি চোখ মেললেন।”
আমি ডক্টরের দিকে তাকাতেই উনি মৃদু হাসলেন। আমি উঠে বসতে যাবো তখনই ওই মহিলা আমাকে ধরে বললেন,,
“আরে আরে কি করছো? ব্যাথা পাবে তো।”
আমি উনার দিকে এক পলক তাকিয়ে বললাম,,
“আমি ঠিক আছি। কিন্তু আমি হসপিটালে কি করে এলাম? আর আপনারাই বা কে?”
উনার পাশে যে লোক ছিলো উনি বললো,,
“তুমি তো আমাদের চিনবা না মা। অবশ্য আমরাও তোমাকে চিনি না। সেদিন তুমি আমাদের গাড়ির সাথেই এক্সিডেন্ট করেছিলে তাই আমারই তোমাকে নিয়ে এসেছি।”
‘”অনেক ধন্যবাদ আঙ্কেল।”
“ইটস ওকে মামুনি। বাট তুমি হঠাৎ করে গাড়ির নিচে কিভাবে আসলে? ঘটনা হঠাৎ হয়ে যাওয়ায় আমরাও ব্রেক করতে পারিনি।”
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে ডক্টর বললো,,
“থামুন থামুন। এতদিন পর উনি কোমা থেকে ফিরেছে উনাকে এখনি এত চাপ দিবেন না নয়তো উনার শরীর আরো খারাপ করবে।”
ডক্টরের কথার আগা মাথা না বুঝে জিজ্ঞেস করলাম,,
“কোমা থেকে ফিরেছে মানে? আর এতদিন? বুঝলাম না কিছু।”
পাশ থেকে আন্টিটা বলে উঠলো,,
“মানে তুমি এতদিন কোমাতে ছিলে। আজ দীর্ঘ ৮ মাস পর তুমি স্বাভাবিক হলে!”
উনার কথা শুনে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। এসব কি বলে? আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো ২ বা ৩ দিন হবে এর বেশি না। এ তো পুরোই উলটো!
“আপনার ভাগ্য ভালো যে এত মারাত্মক ভাবে আঘাত পাওয়া স্বত্বেও শুধুমাত্র ৮ মাস কোমায় ছিলেন।এমন অনেক মানুষ আছে যারা সামান্য আঘাত পাওয়ায় কোমায় চলে যায়। কেউ কেউ ৮ বছর ৬ বছরও কোনো রেসপন্স করে না। বাট আপনার কেস টা অনেকটা আলাদা। আপনি কয়েকদিন বেড রেস্ট নিলেই সুস্থ হয়ে যাবেন। আর হ্যাঁ মাথায় বেশি চাপ নিবেন না। এমনিতেই আপনার মাথায় স্নায়ুর পাশে ক্ষত হয়েছে একটু এদিক ওদিক হলেই মেমোরি লস হতে পারে। হোপ ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড!”
ডক্টরের কথায় মাথা নাড়িয়ে বুঝালাম “হুম”
“এক্সকিউজ মি!”
ডক্টর চলে গেলেন। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না ৮ টা মাস জিবন থেকে চলে গেছে। এজন্যই হয়তো বলে সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। সময় স্রোতের মতো বয়ে চলে গেছে। আচ্ছা অনুভব কেমন আছে? ও কি মনে রেখেছে আমাকে? নাকি ভুলে গেছে? ও কি আমাকে খুজেছে? দুরে চলে এসেছি বলে কি ভুল বুঝেছে? আর মামুনি? তারা কেমন আছে? আজও কি মামুনি আমাকে অপয়া ভাবে? মামুনির কথা ভাবতেই চোখ থেকে ২ ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। সাথে সাথে ওই আন্টিটা বললো,,
“একি তুমি কাঁদছো কেন?”
আমি চোখের পানি মুছে বললাম,,
“কাঁদছি না আন্টি। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা আমাকে চেনেন না জানেন না অথচ প্রায় ৮ টা মাস আমার খেয়াল রেখেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ দিলেও কম হবে।”
“ধুর পাগলি। কে বলেছে এসব? জানো তোমার মুখ দেখলে আমার মেয়ের কথা মনে পড়ে যায়। তোমার মুখে স্নিগ্ধ ভাবটা আমার মেয়েটার মুখেও ছিলো।”
আন্টিটা কথা বলার সময় তার চোখ ছলছল করছিলো। সেইটা আমার চোখ এড়ায়নি। ভিষন মায়াময় মুখ আন্টি টার। ইসস উনার মেয়ে উনার থেকে দুরে,,কিন্তু কেন? থাক এখন আর জিজ্ঞেস করবো না। তাই চুপ করে মাথা নিচু করে বসে রইলাম।
“বাদ দাও এসব। তুমি একটু বসো আমি তোমার জন্য খাবার আনি।”
আন্টি খাবার আনতে গেলো আর আঙ্কেল টা আমার পাশেই বসে ছিলো। আঙ্কেল আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,,
“এখন কেমন লাগছে মামনি?”
আমি মৃদু হেঁসে বললাম,,
“জ্বি আঙ্কেল ভালো।”

খাওয়া দাওয়া করে বেডে হেলান দিয়ে বসে আছি। এক মুহূর্তে জিবনের সমীকরণ পালটে গেলো। আজ সব ঠিক থাকলে আমি আর অনুভব এক সাথে থাকতাম। আচ্ছা অনুভব আমাকে না পেয়ে কি আবারও বিয়ে করে নিয়েছে? এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়েছি্।

কেটে গেছে আরো ৪ দিন। এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। আজকেই রিলিজ দিয়ে দেবে। কিন্তু যাবো কোথায়? জানি না। আমি গেলে যদি মামুনি আবারও কিছু বলে সহ্য করতে পারবো তো? অনুভব? সে কি মানবে আমায়? নাকি নতুন করে কাউকে নিজের জিবনে জড়িয়েছে সে? আর যদিি জড়ায়? তাহলে? তাহলে আমি কি করবো? ওদের মাঝে কিভাবে আসবো?
আমার ভাবনার মাঝেই কেউ আমার মাথায় হাত রাখলো। তাকিয়ে দেখি আন্টি দাঁড়িয়ে আছে। আন্টিকে দেখেই মুখে হাঁসি ফুটলো। এখন এই আঙ্কেল আন্টিই আমার অনেক আপন হয়ে গেছে। কি অদ্ভুত জিবন? যারা চেনে না তারাই আপন করে নিয়েছে আর যারা চেনে তারা নিজের স্বার্থ বোঝে।
“কি ভাবছিস মামনি?”
“না আন্টি কিছু না। বসো।”
“হুম। আচ্ছা মামনি কোথায় যাবি তুই? বাড়ি কই তোর?”
আন্টির কথায় মলিন হেঁসে বললাম,,
“কোথায় যাবো জানি না। নিজের ঘর নেই যাদের কাছে ছিলাম তাদের কাছে অপয়া তাই তাদের কাছে তো যেতে পারবো না।”
আন্টি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বললো,,
“এসব কি বলছিস? নিজের ঘর নেই মানে? কাদের কাছে থাকিস তুই? আর অপয়া মানে? ক্লিয়ার বল তো মামনি সবটা!”
“হুম বলছি…………

তারপর আঙ্কেল আর আন্টি কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই বললাম। শুধু অনুভব যে মারতো এটাই বলিনি। আমি চায় না আমার অনুভবকে কেউ খারাপ বলুক। আঙ্কেল আন্টি আমার কথা শুনে থ মেরে গেছে। হুট করেই আন্টি আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলো। এতক্ষণ নিজেকে শক্ত রাখলেও এখন আর না পেড়ে ডুকরে কেঁদে উঠলাম। আপন মানুষদের থেকে পাওয়া কষ্ট কত বড় হয় তা তারাই জানে যারা পেয়েছে! আন্টি আমাকে শান্ত করে বললো,,
” কাঁদিস না। যা হয়েছে ভুলে যা। তুই যদি ওখানে ফিরতে না চাস তো তুই আমাদের সাথে আমাদের বাড়ি চল।”
“না আন্টি তোমরা আমার জন্য অনেক করেছো আর না। আমি ঠিক কোথাও না কোথাও চলে যাবো। একটা জব খুজে নিয়ে কোথাও থেকে যাবো।”
পাশ থেকে আঙ্কেল মাথায় হাত দিয়ে বললো,,
“আমি জানি মামনি সবারই আত্মসম্মান থাকে তোমারও আছে। তুমি চাইলে জব করতেই পারো বাট তোমার সার্টিফিকেট? সেইটা ছাড়া কোথাও জব পাবে না।”
“তবুও আঙ্কেল চেষ্টা তো করতেই পারি!”
আঙ্কেল আমার কথা শুনে কিছুক্ষণ কি যেনো ভেবে বললেন,,
“আমি তোমাকে জব দিলে করবে?”
আমি আঙ্কেলের কথায় চমকে তাদের দিকে তাকায়। এই মানুষগুলো কত করছে আমার জন্য! এখন আবার জবও দিতে চান।
“কিন্তু আঙ্কেল…..
” কোনো কিন্তু আমি জানি না। তুমি জব করতে চাও আমার অফিসে করতে পারো। বাট থাকতে তোমার আমাদের বাড়িতেই হবে!”
আঙ্কেল আর আন্টির জোড়াজুড়িতে তাদের সাথে থাকতে বাধ্য হলাম। হসপিটাল থেকে সোজা তাদের বাড়ি চলে এলাম। বাহিরে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা “চৌধুরী মঞ্জিল”। বিরাট বড় বাড়ি। বাড়ির সামনে একটা বাগান। তার সাথেই মাাঠের মতো ছোট একটা জায়গা। সেখানে ৪ বছরের একটা শিশুর সাথে বড় একটা মেয়ে খেলা করছে। পিচ্চি বাবুটা বার বার মেয়েটাকে ধরার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। আমি ওদের কান্ড দেখে ওদের কাছে একটু এগিয়ে গেলাম। আমাকে দেখেই বাবুটা ছুটে ওই মেয়েটার কাছে গিয়ে বললো,,
” ফুতুমনি দেকো কে এতা?”
বুঝলাম মেয়েটা এই বাবুর ফুপি হয়। মেয়েটা একবার আমার দিকে পূর্ণ দৃষ্টি দিয়ে বললো,,
“কে আপনি? কাউকে চায়?”
মেয়েটা ভিষন নরম স্বরে কথা গুলো বললো। অন্য কেউ হলে হয়তো অচেনা কাউকে দেখে রাগ দেখাতো। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আন্টি ডেকে বললো,,
“এই স্নিগ্ধা ভেতরে আয়।”
আমি একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললাম,,
“আন্টির সাথে এসেছি আপু।”
এটুকু বলেই ভেতরের দিকে পা বাড়ালাম। মেয়েটাও আমার পিছু পিছু আসলো। আন্টি আমাকে নিয়ে ভেতরে এসে সোফায় বসালো। লিভিং রুমে কয়েকজন ছিলো তারাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। হয়তো চিনার বুঝার চেষ্টা করছে। এনাদের সবাইকে দেখে মনে হলো এবাড়িতে বেশি কেউ থাকে না। হাতে গুনে ৫ বা ৬ জন। আন্টি সবাইকে বললো,,
“আজ থেকে স্নিগ্ধা এবাড়িতেই থাকবে।”
আন্টির কথা শুনে একটা ছেলে ভ্রুকুচকে বললো,,
“বাট ও কে আম্মু?”
আঙ্কেল বললো,,
“ও আমার বন্ধুর মেয়ে। ওর বাবা আর মা মারা গেছে তাই ও এখন থেকে এখানেই থাকবে।”
আঙ্কেলের কথা শুনে হা করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। আঙ্কেলের কথা শুনে ভাইয়াটা বললো,,
“ওকে আব্বু নো প্রবলেম। আমি অফিস যাচ্ছি।”
ভাইয়াটা যাওয়ার সময় ওই পিচ্চি বাবু টা কে আূর করে গেলেন। উনারই বোধহয় ছেলে। আঙ্কেল আন্টি আমাকে আমার রুমে দিয়ে চলে আসলো। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে বারান্দায় গিয়ে এক কোণে বসে পড়লাম। খুব মনে পড়ছে সবাইকে। সবাই কি আমাকে ভুলে গেছে? কিছুক্ষণ বসে থাকতেই মনে হলো কেউ দরজায় নক করলো৷ উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলাম ওই মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে। হাঁসি মুখে বললো,,
“ভেতরে আসতে পারি?”
“আপনাদের বাসাই আপনিই পারমিশন নিচ্ছেন?”
মেয়েটা ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো,,
“এটা আমাদের বাসা হলেও এটা তো তোমার রুম। তাই পারমিশন নিয়েই ঢুকলাম। যায় হোক ছাড়ো সেসব। তোমার নাম স্নিগ্ধা তাই না?”
“হুম।”
“এটা কি হলো? জাস্ট হুম! আমি তোমার নাম বললাম আর তুমি আমার নাম জিজ্ঞেস করলে না?”
আমি মৃদু হেঁসে বললাম,,
“আচ্ছা আপনার নাম কি?”
“আমার নাম! আইদা।”
“মানুষটার মতোই নামটাও সুন্দর।”
“ওই তুমি ছেলে মানুষ যে আমাকে পাম দিচ্ছো?”
“এমা আমি আপনাকে পাম কেন দিতে যাবো?”
“ধুর আপনি আপনি কেন করছো? আমি তো তোমার ছোট। মাত্র অনার্স ১ম বর্ষে। তুমি করেই বলতে পারো।”
“আচ্ছা।”

বেশ কিছুক্ষণ আমি আর আইদা আড্ডা দিলাম। বেশ মিল হয়ছে দুজনের। আইদার থেকে জানলাম ওরা এই বাড়িতে ৬ জন থাকে। আঙ্কেল,আন্টি, ভাইয়া-ভাবি, উনাদের ছেলে সিফাত আর আইদা।

কেটে গেছে আরে ১০ দিন। এখন আমি অফিসে যায় প্রতিদিন। এই বাড়ির সবার সাথেই অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। হয়তো এনাদের থেকেই শিখা উচিত একটা অচেনা মেয়েকে কিভাবে ভালোবেসে বাড়ির মেয়ের মতো করা যায়। যেহেতু একই শহরে থাকি তাই এই ১০ দিনে একবার সাহস করে অনুভবের হসপিটালে গেছিলাম বাট সেখানে ওকে পায়নি। মুখ ঢেকে গেছিলাম যাতে কেউ চিনতে না পারে। বাড়ির দিকটাইও গেছিলাম বাট অনুভবকে না দেখে নিরাশ হয়ে ফিরেছি। আচ্ছা ওই এক্সিডেন্টে অনুভবের কিছু হয়নি তো? জানি না। বুঝতে পারছি না কিছু্। আজকে অফিস যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম তখনই ভাবি আর আইদা আসে আমার রুমে,,
“কি ব্যাপার ২ নাম্বার ননদিনী? অফিস যাচ্ছেন বুঝি?”
“জ্বি ভাবি।”
“এই স্নিগ্ধা আপু ছাড়ো এগুলা! চলো আজ একটু হসপিটাল যাবো!”
আমি আইদার দিকে ভ্রুকুচকে তাকাতেই বললো,,
“আরে আরে এভাবে তাকিয়ো না। সিফাত কে নিয়ে যাবো। ভাবি আর আমি যাচ্ছি তুমিও চলো।”
“তোমরা তো ২ জন আছো। তোমরাই চলে যাও।”
“আরে তুমি গেলে কি সমস্যা? আমি আব্বুকে বলে দিয়েছি আজ তুমি অফিস যাচ্ছে না। আমাদের সাথে যাচ্ছো। সো ঝটপট যা করার করো আমরা আসছি।”
এটুকু বলেই ২ জন গটগট করে বেরিয়ে গেলো। আমাকে কিছু বলার সুযোগও দিলো না। অগত্যা ওদের সাথে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে মুখ আটকে নিলাম।

আইদা, ভাবি, সিফাত আর আমি হসপিটালে এসেছি। সিফাতের কি যেনো টেস্ট করাবে তাই ওরা ভেতরে গেছে। হসপিটাল টা খুব বেশি বড় না। তবে শহর থেকে প্রায় অনেকটাই দুরে। আঙ্কেলদের বাড়ি থেকে এটাই কাছে। তাই এখানেই আসলো। আমি ঘুরে ঘুরে হসপিটাল দেখছিলাম। যদিও হসপিটাল দেখার কিছুই নেই তবুও দেখছিলাম। দেখতে দেখতে একটা কেবিনের কাছে যেতেই একটা পাগল টাইপের লোক এসে আমাকে ধরলো..ভয়ে তো আমিই চিৎকার দিতে লাগছিলাম কিন্তু লোকটা আমাকে কিছু না বলে এসে আমার পেছনে লুকালো। আর কয়েকটা নার্স তার পিছে আসছিলো……..

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে