সাপলুডুর সমাপ্তিতে পর্ব-১০

0
627

#সাপলুডুর_সমাপ্তিতে
তন্বী ইসলাম

১০

“তুমি বিয়ে করে নিয়েছিলে তনু?
আমি ভেজা গলাতেই শক্ত করে বললাম
“কেন, আপনি বিয়ে করেন নি? আপনিও তো করেছেন..
“আমি বিয়ে করিনি তনু, সত্যিই করিনি।

আমি অবাক হলাম। প্রশ্ন করলাম
“মানে?
সে কয়েক সেকেন্ড চুপ রইলো। এরপর নিরীহ গলায় বললো
“তোমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার কিছুদিন পরই আমার চাকরিটা চলে গেছিলো। বর্তমানে চাকরি হারানো মানে আস্ত একটা সোনার হরিণ ই হারিয়ে ফেলা। আমি দিশেহারা হয়ে গেছিলাম। চাকরিটা ফিরে পাওয়ার অনেক চেষ্টাই করছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না। তোমার কথা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরতো। বার বার মনে হতে থাকলো, আমি বেকার শুনে তুমি আমাকে ভুলে যাবে না তো!

একটা সময় যখন সব চেষ্টা বৃথা হলো, তখন আমার মনে হলো আমার এই বেকার জীবনে তোমাকে না জড়ানোই ভালো। এমনিতে বললে হয়তো তুমি মানতে না, কিন্তু বিয়ের কথা বললে তুমি নিজে থেকেই আমাকে ছেড়ে যেতে। তাই আমি এমনটা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস করো, তোমাকে ভুলতে পারিনি কিছুতেই। কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেক চেষ্টার পর আমি আবারও আমার জবটা ফিরে পাই। তখন তোমার সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করেছি, অনেক বার কল দিয়েছি, মেসেজ করেছি। কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হয় নি। বার বার মনে হয়েছে, আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি, সারাজীবনের জন্যই হারিয়ে ফেলেছি।

আমি মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম উনার কথা, কিন্তু মনের মধ্যে তেমন কোনো কষ্টের অনুভুতি আসলো না। সে আবার বললো
“আমি অলটাইম তোমার এই নাম্বারে ডায়াল করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। এবারে যাও পেলাম, কিন্তু….
আমি একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বললাম
“কিন্তু কি?
“তুমি বিয়ে করে নিলে। তবে বিশ্বাস করো, আমি এখনো তোমাকে অনেক ভালোবাসি, এখনো আমার জীবনে আমি তোমাকেই চাই।

আমি হাসলাম, তবে খুশির নয়.. তাচ্ছিল্যের হাসি। সে খানিক অসহায় ভরা গলায় বললো
“তুমি হাসছো তনু? আমার কথায় তোমার হাসি পাচ্ছে?
আমি এবার শান্তভাবে গম্ভীরমুখে বললাম
“আপনার এইসব কথার বিন্দুমাত্র মূল্য নেই আমার কাছে, একবার যে সাপের মুখে পড়েছি, দ্বিতীয় বার সেই সাপের আশেপাশেও আমি থাকতে চাই না। আপনি আপনার মতো থাকুন, আর আমাকেও আমার মতো থাকতে দিন।
“তনু..!!

আমি আর কথা বাড়ালাম না। মুখের উপর ফোনটা কেটে দিলাম। খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলাম ফোনের দিকে। কল আসছে আবারও, বিরক্ত লাগছে খুব। এই সিমটা আমি লাগিয়েছিলাম তার জন্য নয়, আমার বাবা মায়ের জন্য। এই নাম্বারটা তাদের জানা, যদি ভুল করে হলেও তারা একবার আমায় কল দিতো, একবারের জন্যও আমার বাবা আমায় মা বলে ডাকতো.. একবারের জন্য হলেও মায়ের গলাটা শুনতে পেতাম।
তবে আমি নিরাশ হলাম, সেই রকম কিছুই হলো না, উলটো এক উটকো ঝামেলা এসে হাজির হলো। হ্যাঁ উটকো ঝামেলা, যাকে একটা সময় জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতাম, সে এখন আমার কাছে উটকো ঝামেলাই বটে।

আমি বুকভাঙা ব্যাথা নিয়েই ফোনের সিমটা খুলে ফেললাম৷ শোনা হলো না মায়ের কন্ঠ, শোনা হলো না বাবার মুখে স্নেহভরা গলায় মা ডাক। আমি আবারও কাঁদলাম, অঝোরে কাঁদলাম। ফোনের দিকে তাকিয়ে ভাঙ্গা গলায় বললাম
“আমি মরবো, বার বার মরবো.. তবে আমাকে মারার জন্য নিজে থেকে কাউকে আর আহবান করবো না।

রাতের খাওয়া আর হলোনা, ভাত ছ্যাকা বসিয়েছিলাম তখন, ফায়াজ নামের সেই ব্যক্তির কারণে আর নামাতে পারি নি, চুলাতে থেকেই পুড়ে গেছে। তরকারি রান্নার মানসিকতাও মরে গেছে।

রাতের শেষভাগে ঘুম ভেঙ্গে গেলো হঠাৎ। একটা স্বপ্ন দেখলাম.. আমার মেয়ে। হ্যাঁ, আমার কলিজার বৃষ্টিকে দেখেছি। সে আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করছে, আমায় ডাকছে। হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমি দৌড়ে যেতে চাইলাম মেয়েটার কাছে, জড়িয়ে ধরতে চাইলাম দুহাত চেপে। কিন্তু পারলাম না, তার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেলো। বসে বসে কান্না করছি আমি, আফসোস হচ্ছে খুব। কেন পারলাম না তাকে জড়িয়ে ধরতে? এই জীবনে তো আর তাকে জড়িয়ে ধরতে পারবো না, স্বপ্নেই নাহয় ধরলাম। কিন্তু সেটা আর হলো কই।

সকাল সকাল অফিসের জন্য রেডি হতেই হঠাৎ শিহাব এসে হাজির হলো বাসায়। আমি কিছুটা অবাক হলাম, ওর মুখটা মলিন দেখাচ্ছে তাই। তাকে নরম গলায় প্রশ্ন করলাম
“হঠাই এতো সকালে তুই? তোর মুখটা এমন দেখাচ্ছে কেন? কি হয়েছে তোর?
“আমার একটা কথা রাখবি?
ওর শান্ত গলার আওয়াজে আমি অন্যরকম কিছুর ঘ্রাণ পেলাম। বললাম
“কি হয়েছে?
“আমার কথা রাখবি কিনা বল।
“আগে বল তুই কি বলতে চাস, রাখবো কি রাখবো না সেটা পরে বুঝা যাবে।
সে এবার নরম গলায় বলল
“তুই দরজার বাইরে যা।
আমি অবাক হয়ে বললাম
“কেন?
“যা না তুই, গেলেই দেখতে পাবি।

আমি সন্দিহান চোখে শিহাবের দিকে তাকালাম। কিন্তু কিছু না বলে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম ঠিকই। শিহাবের দিকে আরেকবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই সে আমাকে চোখের ইশারায় বাইরে বেরোনোর জন্য অনুরোধ জানালো। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়েই বাইরে গেলাম। দরজার বাইরে গিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে গেলাম আমি। গতকাল রাতেই যে মায়ের গলা শোনার জন্য এতটা ব্যাকুল ছিলাম সেই মা এই মুহূর্তে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এ কি? মায়ের চোখের নিচটা এতো কালো হয়ে আছে কেন? মুখটা এতো মলিন কেন? যে মা এত হাসিখুশি থাকতো, সেই মায়ের মুখটা কালো আধারে ছেয়ে আছে। আমি খুটে খুটে মাকে দেখছি, অন্য কোনো হুশ আমার নেই।

এক পর্যায়ে মা আর্তনাদ করে কেঁদে উঠলেন, আমার হুশ এলো। আমিও কেঁদে উঠলাম মায়ের সাথে। মা জড়িয়ে ধরলো আমাকে। আমার মাথাটা চেপে ধরলো মায়ের বুকের সাথে। আমি কাঁদছি, কিছু বলার মতো ভাষা আমার মুখে নেই। মা আমার সারা গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন
“কেন আমার কাছে গেলি না রে মা? তোর জীবনে এতো বড় একটা অঘটন ঘটে গেলো, কেন আমায় একবার জানালি না? কেন এভাবে বনে বাদারে পরে আছিস? মা কি এতোই পর হয়ে গেছি? এতো কিছু হয়ে যাবার পরেও মাকে একটাবার মনে পরলো না রে তোর? এতটা পাষাণ কিভাবে হলি তুই?

আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম
“তোমরাও তো পাষাণ হয়ে গেছিলে মা। একটাবার কেউ আমার খবর নাও নি কেন? তোমাদের একটা কলের আশায় কত যে বুক বেধেছিলাম, কিভাবে বুঝাবো তোমায়? অনেক অপেক্ষা করেছি, প্রহর গুণেছি, কেউ আমার খবর নাও নি। আমি ভুল করেছি তাই? ভুল তো সবাই করে মা, আমি নাহয় একটু বড় ভুলই করেছিলাম। কেন আমাকে মাফ করে আমায় আপন করে নাও নি?

মা আমায় আবারও জড়িয়ে ধরলো। দীর্ঘবছর পর মায়ের সাথে দেখা৷ ইচ্ছে করছে মায়ের কোলে মাথা রেখে কাটিয়ে দেই বাকিটা জীবন। শিহাবের কথায় মা মেয়ের ঘোর ভাঙ্গলো। আমরা দুজনেই শিহাবের দিকে তাকালাম। সে হাসিমুখে বললো
“মাকে নিয়ে রুমে তো আসবি নাকি।
আমি মুচকি হেসে মায়ের দিকে তাকালাম। মান অভিমানের পালা শেষ এবার, মাকে নিয়ে ঢুকলাম ঘরে। অফিসে যাওয়া আর হলো না। মা আমাকে অনুরোধ করে বললো
“এবার বাড়ি চল তনু, অনেক তো হয়েছে।
আমি মাথা নোয়ালাম, অপরাধীর গলায় বললাম
“মুখ নেই মা, বড় মুখ করে ভাইয়া আর বাবাকে বলে এসছিলাম ও বাড়িতে আর পা দিবো না। কি করে যাই বলো সেখানে?

মা আমার হাত চেপে ধরলো। করুন গলায় বললো
“সব কথা ভুলে যা মা, জীবনটাকে নতুন করে শুরু কর। এখনো তোর জীবনের কিছুই শেষ হয় নি। আর যদি কিছু শেষ হয়েও থাকে, তাহলে বুঝে নিবি এই শেষটাই আরেকটা শুরুর সুচনা।
আমি মৃদু হেসে বললাম
“আর কিছুই শুরু করতে চাই না মা। এই জীবনে যা পেয়েছি তার তুলনায় অনেক বেশি কিছুই হারিয়েছি। এই পাওয়া আর হারানোর খেলায় আর যেতে চাই না আমি।

মা আবারও কিছু বলতে যাবে তার আগেই শিহাব মাকে কিছুটা ধমকে বলে উঠলো
“আহ মা, এইসব কথা এখন রাখো তো। যেটার জন্য এসেছো আগে সেটা করো।
মা এবার মমতাভরে আমার দিকে তাকালেন। বললেন
“এক্ষুনি আমার সাথে বাড়ি চল তনু।
“সেটক কিভাবে হয় মা? ভাইয়া বাবা.. তারা কি আমাকে মেনে নিবেন?
“সেটা আমি বুঝবো।
“তা হয় না মা। আমি যেভাবে আছি, সেভাবেই ভালো আছি। তুমি নাহয় মাঝেমধ্যে এখানেই চলে এসো। মা মেয়ে দুজন দুজনকে মন ভরে দেখব।।

শিহাব সামান্য ক্ষোভ নিয়ে বললো
“বেশি কথা বলবি না তো। মা যা বলছে সেটা কর।
আমি অসহায়ের চোখে মায়ের দিকে তাকালাম। মন থেকেই ইচ্ছে করছে বাড়ি যেতে, কিন্তু এই মুখটা বাপ ভাইকে গিয়ে কিভাবে দেখাবো?

মা আর শিহাবের অনেক জোরাজোরিতে এক সময় বাড়ি যেতে রাজি হলাম। কিন্তু মাকে জানিয়ে দিলাম এখন যাবো না, আর কিছু দিন পর যাবো। কিছুদিন পর আমার স্যালারি হবে। সেই স্যালারিটা আমি একটা পূন্যের কাজে লাগিয়ে তারপরই বাড়ি যেতে চাই। এ পূণ্যের জোরে বাবা আর ভাই যদি আমাকে ক্ষমা করেন।
মা বিস্ময়ে বললেন
“কি এমন করতে চাস তুই?
“আগে বেতনটা পাই, তারপর নাহয় দেখা যাবে কি করি।

সেদিন মা বিদায় নিয়ে চলে গেছিলো। মাকে তেমন কিছু খাইয়ে দিতে পারিনি। ঘরে যা ছিলো তার থেকেই কিছুটা জোর করে খাইয়েছি। সেদিন অফিস মিস হয়েছে তাই পরের দিন অফিসে অনেক বকুনি শুনতে হয়েছে আমাকে। তবে আজকের বকুনিটা আমার কাছে খারাপ লাগেনি, মাকে পাওয়ার আনন্দে সেই বকুনিটাও আমার কাছে মধুর মতো মনে হয়েছে।

সারাটা দিন কাজ করলাম খুশ মেজাজেই। আমার অফিসের কলিগেরাও আজ অবাক। সবার বক্তব্য একটাই, অফিসে জয়েন হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র আজকের দিনটাই তারা আমাকে প্রফুল্ল মেজাজে দেখেছে। আমিও তাদের কথায় সায় দিলাম। সত্যিই আজ আমি অনেক খুশি।

সারাদিন অফিস শেষে বাসায় ফিরলাম, ফোনে মায়ের সাথেও কথা হলো। যদিও এখনো পর্যন্ত বাবা কিংবা ভাই কারো সাথেই কথা বলার সাহস হয়ে উঠেনি। তবে মনে মনে পণ করলাম এটা ভেবে যে, বাড়ি গিয়ে বাবা আর ভাইয়ের পা দুটো শক্ত করে জড়িয়ে ধরবো। নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা না করে পারবে না তারা।

দিন যাচ্ছে রাত পোহাচ্ছে। বেতনের দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছি। ইদানিং একটা স্বপ্ন বারবারই দেখছি। আমার মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে কাঁদে, আমাকে বার বার তার দিকে ডাকে। আমিও এগিয়ে যাই, তাকে কোলে নিতে চাই। কিন্তু পারিনা, ঘুম ভেঙ্গে যায়। এক স্বপ্ন বার বার দেখার কারণটা আমার অজানা। তবে এটা আমাকে ভাবায়। বার বার একই স্বপ্ন দেখার মানেটা কি!

এক এক করে দিন পার হয়ে বেতনের দিন ঘনিয়ে আসে। আমি অতি আগ্রহে সেদিন আগে আগেই অফিসে চলে যাই। সারাদিন পর বিকেলে স্যালারি হাতে পাই। সেদিনই রিজাইন দিয়ে আসি। যেহেতু বাড়ি চলে যাবো, তাই চাকরির আর প্রয়োজন হবে না। বাড়িতে থাকা কালীন আমার বাবা আর ভাই ও চাকরি করতে দিবেনা এটা নিশ্চিত।। ফেরার আগে কলিগের সাথে পরামর্শ করি, এই টাকাটা দিয়ে কি করা যায়। কি করলে এই দুনিয়াতে মানুশের উপকার হবে আর স্বয়ং আল্লাহ পাক খুশি হবেন। আমার কলিগ আমাকে পরামর্শ দেয়, এখান থেকে কয়েকটা মহল্লা পেরিয়ে গেলেই একটা বৃদ্ধাশ্রম আছে। সেখানে অনেক অসহায় বাবা মায়েরা আছেন। তাদের কিছু সাহায্য করলেও করতে পারি।

মনে মনে ভাবলাম, এটা করলে মন্দ হয়না। আমি সেদিনই মার্কেটে চলে যাই। যদিও রাত হয়ে গেছে, তাও আমার তর সইছে না। টাকাটা দিয়ে আমি আমার সাধ্যমতো কিছু কাপড় আর লুঙ্গি কিনলাম। পরের দিন সকাল সকাল রওনা করলাম বৃদ্ধাশ্রমের উদ্দেশ্যে। কয়েকটা মহল্লা বললেও ঠিকানা নিয়ে যখন গেলাম, তখন মনে হলো, এটা ঠিক ততটাও কছে নয়। যেতে যেতে প্রায় বারোটা বেজে গেলো। সেখানকার মেডামের সাথে গিয়ে দেখা করে আমি আমার সাহায্য করার আকুতি জানালাম। তিনি খুশি হলেন, দেখাশোনা করার জন্য যে আয়া রাখা হয়েছে তার মাধ্যমে আমাকে প্রথমে পুরুষ লোকেদের কাছে পাঠানো হলো। আমি সকল বাবাদের হাতে একট করে লুঙ্গি তুলে দিলাম। খুব খুশি হলেন উনারা। আমাকে প্রানভরে দোয়া করলেন সবাই। আমি তাদের কাছ থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে চলে এলাম মহিলাদের নিকট।

আয়ার সাহায্য নিয়ে আমি কিছুজনের হাতে কাপড় তুলে দিলাম। আরো কিছু বাকি আছি। আমি সেগুলো দেওয়ার জন্য বাকিদের কাছে এগিয়ে যেতে থাকলাম। নির্দিষ্ট যায়গায় পৌছুনোর আগেই কোনো এক অতি পরিচিত মুখ আমার সামনে ভেসে উঠলো। আমি হতবাক হলাম, বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। স্বপ্ন নাকি সত্যি… সেটাও বুঝতে পারছিলাম না তখন। এক পর্যায়ে খেয়াল করলাম, অতি পরিচিত মুখটা আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। তার চোখের কোনে পানি চিকচিক কছে। আমি তার দিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। এক পা, দু পা করে এগিয়ে গেলাম তার দিকে….

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে