সাপলুডুর সমাপ্তিতে পর্ব-১৪

0
809

#সাপলুডুর_সমাপ্তিতে
তন্বী ইসলাম

১৪

সামনে তাকানো মাত্রই যাকে দেখতে পেলাম তাকে দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। আমার বুকে মোচড় দিয়ে উঠলো, মাথায় যেনো বাজ পরলো বিশালাকারের। বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।

আমার মুখ থেকে আকস্মিক আর্তনাদের স্বরে বেরিয়ে এলো
“আপনি?
আমি নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তার দিকে, তার দৃষ্টিও আমার দিকে নিক্ষেপ করা। বাকিরা অবাক হয়ে দেখছে আমাকে। এর মধ্যে একজন বলে উঠলো
“তোমরা কি আগে থেকেই দুজন দুজনকে চেনো?
উনার কথার ফিরে তাকালাম আমি। নিজেকে ধাতস্থ করে স্বাভাবিক হলাম। মাথা নাড়িয়ে বললাম
“নাহ।
উনি আবারও বলে উঠলো
“তাহলে ওকে দেখে এভাবে চমকে উঠলে যে?
আমি আরেকবার সেই লোকটার দিকে তাকালাম।।এর পর চোখ ফিরিয়ে শান্ত গলায় বললাম
“হঠাৎ করে একজন পরিচিত লোকের মিল পাচ্ছিলাম তার সাথে।
“ওহ!

আরো কিছু কথা হবার পর আমাকে নিয়ে আসা হলো রুমে। ফ্যানের নিচে বসেও সারা শরীর প্রচন্ড পরিমাণে ঘামছে আমার, চোখমুখ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। গলা শুকিয়ে কাট হয়ে গেছে আমার। পাশেই কিছুটা দুরে একটা টেবিলে পানির জগ আর গ্লাস রাখা আছে৷ আমি কোনো মতে হাতড়ে হাতড়ে সেখানে গেলাম। জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে গ্লাসটা হাতে নিতে যাবো, তখনই আচমকা আমার হাত থেকে গ্লাসটা পরে গেলো নিচে। গ্লাস ভাঙ্গার শব্দে দৌড়ে এলেন আমার মা আর ভাই। আমাকে উদ্ভ্রান্তের মতো লাগছে। মা আমাকে এসে ধরে ফেললেন। বিছানায় বসিয়ে দিয়ে বললেন
“কি হয়েছে তোর? এমন করছিস যে!

আমি মায়ের দিকে তাকালাম। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বললাম
“আমি ঠিক আছি মা। হাত ফসকে পরে গেছে গ্লাসটা।
“ওহ, তাই বল। আমি তো ভয় পেয়েই গেছিলাম।
আমাকে সুস্থ দেখে ভাইয়া আবার চলে গেলো বাইরে মেহমানদের কাছে। প্রায় অনেক্ষন যাবৎ কথা হলো উনাদের সাথে আমার বাবা আর ভাইয়ের। কিছুটা সময় পর উনারা ডিসাইড করে পাত্রের সাথে আমাকে আলাদা ভাবে কথা বলাবে। আমার মা এসে বলতেই আমি না করে দেই। মা আমাকে বার বার বুঝায়। অবশেষে ভাইয়া আসে, সে আমার না শুনে সামান্য রাগারাগি করে। এক পর্যায়ে মা আমাকে বুঝায় বাবার মুখের দিকে চেয়ে যেনো পাত্রের সাথে কথা বলি। বাবা নাকি বেশ বড় গলায় উনাদের দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।

আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, যে আমার মনে সেই প্রথম ভালোবাসা জাগিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো, তার সাথে বিয়ে, আলাদা করে কথা.. কিভাবে সম্ভব? আর সে এলোই বা কি করে এখানে? ঠিকানা পেলো কোথায়? মনের মধ্যে কথাগুলো বার বার বাজতে লাগলো। আর এর উত্তর গুলো জানতে হলে তার সাথে আলাদা করে কথা বলতেই হবে। আমি রাজি হলাম। আমার রাজি দেখে মা খুশি, ভাইয়াও খুশি। সে বাইরে চলে গেলো আমার রাজি হওয়ার ব্যাপারটা জানাতে।

খাটের কোনায় শক্ত মুখ নিয়ে বসে আছি আমি। আমার ঠিক সামনেই বসে আছে ফায়াজ। বার বার নড়াচড়া করছে সে, হয়তো কি বলবে না বলবে সেটাই মনে মনে ভাবছে। আমি নড়ছি না, কিছু বলছিও না। আগে শুনতে চাই তার কথা, জানতে চাই সে কি বলতে চায়।

খানিক্ষন বাদে সে করুণ স্বরে আমায় ডাকলো
“তনু..
আমি চোখে তুলে তাকালাম তার দিকে। দেখলাম সে চোখে অজস্র আকুলতা। আমি নিরবে আবারও চোখ নামিয়ে নিলাম। সে আবারও বললো
“আমায় এখনো মাফ করতে পারোনি তনু? আমি যা করেছি, তা অন্যায় করেছিলাম সেটা আমিও মানি। কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি এটা করতে চাই নি। আমি চাই নি, আমার বেকার জীবনে তোমাকে জড়াতে।
আমি মৃদু হাসলাম। বললাম
“আমার বাড়ির ঠিকানা পেলেন কোথায়?
সে কিছুক্ষণ হতভম্বের মতো আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো
“আমি আসাতে তুমি খুশি হও নি?
আমি আগের ন্যায় শক্ত গলায় বললাম
“এ বাড়ির ঠিকানা পেলেন কোথায়?
সে মলিন গলায় বললো
“তোমার ফোন নাম্বার ট্র‍্যাক করেছি।

আমি সবাক হলাম। বললাম
“আমার সিম তো খোলা!!
“তাতে কি? সিম অফ থাকলেও ট্র‍্যাক করা যায়।
আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। সে বললো
“তুমি আগের চেয়ে অনেক বেশিই সুন্দর হয়ে গেছো তনু।
আমি হাসলাম। বললাম
“যে মেয়েটা তার দুই বছরের মেয়ের মৃত লাশ পানিতে ভেসে থাকতে দেখেছে। যে মেয়েটা তার সন্তান হারানোর সাথে সাথেই ডিভোর্সি হয়েছে। দিনের পর দিন দুঃখে কষ্টে থেকে না খেয়ে থেকে চোখের নিচে কালি পড়েছে, তাকে ঠিক কোন এঙ্গেল থেকে আপনার কাছে সুন্দর লাগছে?

দেখলাম, ফায়াজ গভীর চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। উনার এমন তাকানোতে আমি ইতস্তত বোধ করলাম। অস্বস্তিতে চোখ সরিয়ে নিলাম। সে হেসে বললো
“যেখানে ভালোবাসা আছে, সৌন্দর্য সেখানে ধরা দিবেই। আমি তোমায় ভালোবাসি তনু, ভালোবাসার মানুষটা সবসময় সুন্দরই হয়ে থাকে।
“ফালতু ভালোবাসার দোহাই আমার সামনে দিবেন না। এ ভালোবাসা বার বার আমায় ঠকিয়েছে।
“আর একবার বিশ্বাস করো। ঠকবে না প্রমিস।
আমি তাচ্ছিল্যের সাথে হেসে বললাম
“বিশ্বাস শব্দটাকেই তো এখন আর আমি বিশ্বাস করি না।

সে নিরাশ গলায় বললো
“আমি সত্যিই তোমায় অনেক ভালোবাসি তনু।
“আমি বাসিনা। আপনারা যে কারণে এসেছেন, সেটা কখনোই হবে না। বাড়ি চলে যান, আর এই ভালোবাসার নাম মন থেকে মুছে ফেলুন।
“মুছা সম্ভব নয়।
“চেষ্টা করলেই সম্ভব।
এবারে আমাকে অবাক করে দিয়ে সে হাসলো। বললো
“তুমি যতই আমাকে মানা করো না কেন, বিয়ে আমি তোমাকেই করবো। বেশিদিন নয়, এই কিছুদিনের মধ্যেই। সবকিছুর ফাইনাল আজই হবে।

আমি ফ্যালফ্যাল চোখে তাকালাম তার দিকে। সে মুচকি হেসে উঠে চলে গেলো আমার সামনে দিয়ে। আমি ডিপ্রেশনে পরে গেলাম, কি হবে না হবে ভাবতে থাকলাম। বাবার পছন্দের অন্য কোনো ছেলে হলেও আমি বিয়ে করতে রাজি হতাম, কিন্তু যে আমার সাথে এর আগেও বেইমানি করেছে, তাকে দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করি কি করে? এইসব ভাবতে ভাবতে হাত পা অবস হয়ে আসছে আমার, চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি।

রাতে মায়ের সাথে একদফা হয়ে গেলো আমার। পাত্র মায়ের খুব পছন্দ হয়েছে। একে তো দেখতে শুনতে অনেক ভালো, তার উপর সরকারি চাকরি, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডটাও ভালো। পছন্দ না হয়ে উপায় আছে। বাবা আর ভাইয়েরও বেশ পছন্দ হয়েছে। তবে তারা এই মুহূর্তে বাড়ি নেই। বিয়ে নাকি ঠিক হয়ে গেছে, দুদিন বাদেই তারা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে যাক জমক হীন ভাবে। ঘরোয়াভাবে বিয়েটা সাড়তে চায় তারা। তবে টুকটাক বাজার তো লাগবেই। সে জন্য মেহমান বিদায় করেই তারা বাজারে চলে গেছে কেনাকাটার জন্য। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, এতটা তারাহুড়ো করবেন তারা। এতো তাড়া কিসের সেটাও বুঝছি না।

মা তো কিছুতেই এ পাত্র হাতছাড়া করবেন না। সে আমি যাই বলি, বেশ রাগারাগি হলো আমার মায়ের সাথে। আমার রাগকে উপেক্ষা করে মা নিজের কাজে ব্যস্ত। শুধুমাত্র বাবার মুখের দিকে চেয়ে দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি হয়েছি, তার মানে এই নয় যে তারা যাকে বলবে তাকেই আমার বিয়ে করতে হবে। আমি মা’কে বুঝাতে অক্ষম। আমি চিন্তায় পরে গেলাম, কি করবো না করবো বুঝতে পারছিলাম না। অতিরিক্ত চিন্তায় মাথা ঘুরে পরে গেলাম।

মা আবারও আমাকে নিয়ে টেনশনে পরে গেলো। বিছানায় শুইয়ে মাথায় পানি ঢেলে যাচ্ছে একভাবে। বাবাকে ফোন দিয়ে ডাক্তার আনার জন্যও বলা হয়ে গেছে। খানিক বাদে বাবা একজন হাতুড়ে ডাক্তারকে সাথে করে বাড়ি নিয়ে আসে। উনি উনার যন্ত্রপাতি দিয়ে আমাকে চেকাপ করতে থাকে। চেকাপ করা শেষ হলে মা উদগ্রীব হয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করে
“আমার মেয়েটার কি হয়েছে ভাই’সাহেব? একটু কিছু হলেই ওর মাথা ঘুরে, শরীর খারাপ করে। এর কারণ কি?

আমার বাবাও প্রশ্ন করে একই কথা জিজ্ঞাসা করে। আমি তখন সম্পুর্ণ সজ্ঞানে আছে। সকল কথাবার্তাই আমার কানে স্পষ্ট।
ডাক্টার সাহেব জড়তা ছাড়াই আমার বাবা মাকে বললেন
“দেখুন, চেকাপ করে যা বুঝলাম.. মেয়ের শরীরের কন্ডিশন খুবই খারাপ। ওর ব্রেইনের উপর দিয়ে অনেক চাপ যাচ্ছে। অতিরিক্ত চাপে যেকোনো সময় একটা খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে।

উনার কথা শুনে মা আঁতকে উঠল। আতংকিত গলায় বললো
“খারাপ কিছু মানে?
“এই ধরুন স্ট্রোক করার সম্ভাবনা টাই বেশি।
মা আতংকিত চোখে আমার দিকে তাকালো। উনার চোখের কোনে পানি। বাবার কপালেও চিন্তার ভাজ। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে গম্ভীর গলায় বাবা প্রশ্ন করলেন
“এখন উপায়?
“উপায় একটাই, মেয়েকে মানসিক ভাবে চাপ দেওয়া যাবে, চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে। আর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়াতে হবে।

বাবাকে দেখলাম আমার দিকে একবার তাকালো। আমিও তাকিয়ে রইলাম বাবার দিকে। মা সামান্য আর্তনাদ করে বলে উঠলো
“আমার মেয়েটারেই কেন আল্লাহ এতো খারাপ খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে?
বাবা সামান্য ধমকের গলায় মাকে বললো
“আহ থামো তো তুমি। এমন কিছুই হবে না।
“আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, এমন কিছু যেনো না হয়।

ডাক্তার চলে যাওয়ার পর আমি বিছানায় উঠে বসি। মা আমাকে নিষেধ করে বসার জন্য। আমি মায়ের কথায় গুরুত্ব দেই না। ডাক্তারকে এগিয়ে দিয়ে এসে বাবা দেখে আমি বসে আছি। আমাকে বসে থাকতে দেখে বাবা এগিয়ে আসেন আমার কাছে। আমার ঠিক পাশেই বসে বাবা। আদুরে গলায় বলেন
“মা রে, আমি কি তোরে বেশিই চাপের মধ্যে ফেলে দিছি?
সত্যিই আমি চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু বাবার এমন আদুরে প্রশ্নের বিপক্ষে কি করে এমন শক্ত কথা বলবো আমি? এতে বাবা হয়তো নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী ম মনে করবেন। আমি মাথা নাড়িয়ে জানান দিলাম
“না।

বাবা হাসলো। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো
“পুরোনো চিন্তাভাবনা সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল মা। দেখলি তো ডাক্তার কি বলে গেলো। আগের চিন্তাগুলো মনে করে করে নিজেকে আর কষ্ট দিস না মা। মনের মধ্যে জিদ চাপ, যার জন্য তুই কষ্ট পাচ্ছিস, সে তো দিব্বি সুখে সংসার করছে। তবে তুই কেন সেসব ভেবে কষ্ট পাবি?
বাবার কথায় আমি হাসলাম, কিন্তু কিছু বললাম না। মনে মনে বুঝতে পারলাম ঠিকই যে বাবার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু এই অবুঝ মনটাকে তো আর বুঝাতে পারি না।।

সেদিন রাতে আর কোনো সমস্যা হয় নি আমার। সকালে শুনলাম ছোট ভাই শিহাব ফিরছে বাড়িতে। আগামীকাল আমার বিয়ে, হয়তো তাই। আমি চুপচাপ বসে রইলাম নিজের ঘরে। মা মায়ের মতো করে কাজ করছে। বাবা আর ভাইয়া দুইজনই খুব ব্যস্ত। কিছু কাজের লোক রাখা হয়ছে বাড়িটাকে সুন্দর করে পরিষ্কার করার জন্য। বিয়ে বলে কথা। আশপাশটাকে সুন্দর দেখাতে হবে তো। খানিক বাদে হাতে একটা ফোন নিয়ে মা এলো রুমে। ভাবলাম হয়তো কারো নাম্বার বের করে দিতে হবে। তবে আমি ভুল ছিলাম

মা ফোনটা আমার দিকে এগিয়ে বললো
“ফোনটা তোর কাছেই রাখ তনু।
“কেন? আমার কাছে আমার নিজের ফোনই তো আছে মা।
মা হেসে বললো
“তোর নাম্বার তো আর জামাইবাবাজি জানে না।
আমি ভ্রু বাকিয়ে বললাম
“জামাইবাবাজি কে?
“ফায়াজ। ফোন দিবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।

আমার রাগ হলো। সবাই এর মধ্যে পেয়েছেটা কি? শুধুমাত্র সরকারি চাকরি করে আর অবিবাহিত হয়েও আমার মতো বিবাহিত এক বাচ্চার মাকে বিয়ে করছে তাই?

মা চলে গেলে কিছুক্ষণ বাদে ফোন এলো ঠিকই, কিন্তু আমি ধরলাম না। ফোনটা সাইলেন্ট করে ফেলে রাখলাম। খানিক বাদে দেখি শিহাবও চলে এসেছে।। ঘরে ঢুকে ব্যাগটা রেখে সে আগে আমার কাছে এসেছে। তার চোখমুখে চিন্তা স্পষ্ট। সে অন্য কোনো কথা না বলে আগে আমায় প্রশ্ন করলো
“এ বিয়েতে তোর মত আছে তো?
আমি হেসে বললাম
“মাত্র বাড়ি ফিরলি, এইসব কথা তো পরেও বলা যাবে।
সে খানিকক্ষণ নিরব থেকে বললো
“বাবা আর ভাইয়া তোকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে তাইনা?
” কাউকে কি ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করা যায় শিহাব?
“তার মানে তোর ইচ্ছে আছে? তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে তোকে যদি জোর করে বিয়ে করাতে চাইতো..
“তাহলে কি করতি তুই?
আমি আগ্রহভরে তাকিয়ে রইলাম শিহাবের দিকে। শিহাব এক নজরে আমাকে দেখলো। এরপর চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো
“প্রতিবাদ করতাম, বিয়েটা ভেঙ্গে দিতাম। এটা যদি না পারতাম তবে তোকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে