মায়াজাল পর্বঃ ০৪

0
711

মায়াজাল পর্বঃ ০৪
লেখকঃ আবির খান

রহস্যময় এক ম্যাসেজ অধরার ফোনে। খুব মনোযোগ দিয়ে ও পড়তে শুরু করে ম্যাসেজটা। সেখানে লেখা,

– “কি চিনতে পারো নি আমায়?”

অধরা ম্যাসেজটার দিকে তাকিয়ে আছে। সবার প্রথম ওর মাথায় যে প্রশ্নটি আসে তা হলো, “কে এই ম্যাসেজ দিল? আর কাকে ও চিনতে পারে নি? কাকে?” অধরা ম্যাসেজটার দিকে শুধু তাকিয়ে আছে। যে নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এসেছে সে নাম্বারে অধরা কল দেয়। কিন্তু কেউ রিসিভ করে না। এভাবে অনেকবার দেওয়ার পরও কেউ রিসিভ করে নি। অধরা এবার বিরক্ত হয়৷ মনে মনে বলে,

অধরাঃ কে দিল এই রহস্যময় ম্যাসেজ? কাকে আমি চিনি নি? আর কাকেই বা আমার চেনার কথা ছিল? উফফ! অসহ্য। ধুর ঘুমাই। সকালে আবার উঠতে হবে।

অধরা স্মৃতির পাতার কিছু একটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে,

সূর্য মামা তার কিরণ ছড়িয়ে গোটা শহরটাকে আলোকিত করেছে। সে আলোর কিছুটা এসে অধরার মায়াবী নয়নে পড়ে। সকালের হীম হাওয়া আর সাথে পাখির কিচিরমিচির। অধরার স্বাদের ঘুমটা এবার ভেঙে যায়। আস্তে আস্তে চোখ মিলে তাকায়। একটু আড়মোড়া দিয়ে উঠে বসে। অগোছালো ঘন মেঘের মতো চুলগুলোকে সব একসাথে করে বেঁধে নেয়। অধরার মাথার কাছে একটা জানালা। সেটা দক্ষিণা বরাবর। ফলে মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া এসে ওর কপালে পড়ে থাকা অলস চুলগুলোকে উড়িয়ে দিচ্ছে। অধরা জানালার কাছে গিয়ে মাথা ঠেকিয়ে চোখটা বন্ধ করে ফ্রেশ অক্সিজেন নিচ্ছে। খুব ভালো লাগছে ওর। এই নিঃশ্বাস যেন ওকে শক্তি দেয়। নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি দেয়। হঠাৎই অধরার কানে ভেসে আসে,

মাঃ অধরা মায়ায়া….উঠেছিস?

অধরার মা দরজার বাইরে থেকে বললেন। অধরা সাথে সাথে একটু জোরে বলে উঠলো,

অধরাঃ উঠেছি মা।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


মাঃ আচ্ছা। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আয়।

অধরাঃ আচ্ছা আসছি।

অধরা এবার বিছানা ছেড়ে আয়নার সামনে যায়। এটা ওর পুরনো অভ্যাস। অধরা নিজেকে দেখছে। একজন সুন্দরী যুবতী মেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অধরা নিজেকে দেখেই নিজের প্রেমে পড়ে যায়। আবার নিজেই লজ্জা পায়। লজ্জায় আর নিজেকে না দেখতে পেরে ফ্রেশ হতে চলে যায়। এরপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে বাবা-মাকে বিদায় দিয়ে যেই নিচে আসতেই, অধরা হা করে তাকিয়ে আছে। অধরা দেখে, আজকেও রিফাত ওর জন্য দাঁড়িয়ে আছে। বেশ হ্যান্ডসাম আর গুড লুকিং লাগছে রিফাতকে। তার ওপর চোখে ব্লাক সানগ্লাস। অধরার ক্রাশ না খেয়ে উপায় নেই। রিফাত দূর থেকে ওর হাতের দামী রোলেক্স ঘড়িটা অধরাকে দেখাচ্ছে। মানে দেরী হয়ে যাচ্ছে। অধরা দ্রুত রিফাতের কাছে যায়। রিফাতের দিকে তাকানোর আগে আশেপাশে চোখ যেতে বাধ্য। অধরা দেখে কিছু তীক্ষ্ণ চোখ রিফাতের উপর লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে আছে৷ অধরা বলে উঠে,

অধরাঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার। গুড মর্নিং।

রিফাত হাসে। বোধহয় সালামটা আশা করে নি। কিন্তু সালামটা পেয়ে বেশ খুশী হয়ে বলে,

রিফাতঃ অলাইকুম আসসালাম। গুড মর্নিং।
অধরাঃ স্যার আজও নিতে এসেছেন? কীরকম লাগে না?
রিফাতঃ কার কীরকম লাগে না লাগে আই রিয়েলি ডোন্ট কেয়ার। আই জাস্ট কেয়ার এবাউট ইউ। সো..
অধরাঃ জ্বী?
রিফাতঃ কিছু না। গাড়িতে উঠুন। আর একটা কথা।
অধরাঃ জ্বী বলুন।
রিফাতঃ লুকিং সো প্রিটি। লাইক এ প্রিন্সেস।

অধরা খুব লজ্জা পায়। উত্তরে আস্তে করে বলে,

অধরাঃ থ্যাঙ্কিউ স্যার।
রিফাতঃ হুম। চলুন যাওয়া যাক এবার।
অধরাঃ জ্বী জ্বী।

রিফাত অধরাকে বসিয়ে গাড়িতে উঠে। এরপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলতে শুরু করে। রিফাত একটু পর পর আড়চোখে অধরাকে দেখছে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে। ও যেন সত্যিই কোন প্রিন্সেস। এই মায়াবী মুখখানার মায়াজালে তো রিফাত সেই পনেরো বছর আগেই আটকে গিয়েছে। আজ যেন তা আরও ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে। রিফাত গাড়ি চালাতে চালাতে বলে,

রিফাতঃ আজ কিন্তু অনেক কাজ আছে বুঝলেন মিস অধরা। নতুন একটা ডিল করবো। যদি পাশ হয় অনেক লাভ হবে আমাদের কোম্পানির।

অধরাঃ ইনশাআল্লাহ হবে হবে।

রিফাতঃ তাহলে চলুন৷

দুপুর ২ টা,

রিফাত আর অধরা কোম্পানিতে গিয়ে পৌঁছায়। ওদের ওয়েলকাম করে। রিফাত আর অধরা সোজা মিটিং রুমে চলে যায়।

শরীফ খান(মালিক)ঃ ওয়েলকাম মিস্টার রিফাত। কেমন আছেন?

রিফাতঃ জ্বী ভালো। আপনি?

শরীফ খানঃ ভালো। তা সাথে উনি কে?

রিফাতঃ আমার ওয়াইফ।

শরীফ খানঃ ওয়াও। বেস্ট কাপল আই মাস্ট সে৷ মানিয়েছে আপনাদের।

রিফাতঃ হাহা৷ থ্যাংকস।

শরীফ খানঃ আপনি কেমন আছেন মিসেস রিফাত?

অধরাঃ জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো। (স্থীর কণ্ঠে)

শরীফ খানঃ গ্রেট। সো রিফাত তাহলে আমরা মিটিংটা শুরু করি।

রিফাতঃ জ্বী অবশ্যই। চলুন।

অধরা প্রচন্ডভাবে সক খেয়েছে। মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না। রিফাত ওকে তাঁর ওয়াইফ হিসেবে পরিচয় করালো। কিন্তু কেন? অধরার ভিতরে ভীষণ গোলমাল শুরু হয়েছে। এদিকে যে রিফাত ওকে ডাকছে তাও ওর কানে যাচ্ছে না। রিফাত এই প্রথম অধরাকে স্পর্শ করে। তাও কীভাবে? রিফাত আস্তে করে অধরার হাতটা ধরে। অধরা মুহূর্তেই অাবার সক খায়। সক খায় রিফাতও। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। রিফাত বলে,

রিফাতঃ সব কিছুর উত্তর দিব। শুধু মিটিংটা শেষ করি?

অধরাঃ আচ্ছা।

রিফাতঃ তাহলে চলুন।

এরপর টানা ১ ঘন্টা মিটিং চলে। রিফাত আর অধরা মিলে ওদের আইডিয়া আর প্রেজেন্টেশন তাদের কাছে সো করে। তারা ওদের আইডিয়াকে এপ্রুভ করে। এবং,

শরীফ খানঃ রিয়েলি ম্যান, তোমরা দুজন তো হেভি লেভেলের বিজনেস মাইন্ড এর। লাইক মেইড ফর ইচ আদার৷ আম রিয়েলি ইমপ্রেসড৷ ডিলটা ফাইনাল। আমি তোমাদেরই দিচ্ছি ডিলটা। কি আপনারা কি বলুন?

বাকিরাঃ জ্বী স্যার কোন সমস্যা নেই আমাদের। আমরা সবাই সহমত দিচ্ছি।

শরীফ খানঃ গ্রেট।

রিফাতঃ স্যার সত্যি ডিলটা আমরা পাচ্ছি?

শরীফ খানঃ অফকোর্স। অসম্ভব ভালো ছিল তোমাদের প্রেজেন্টেশন। আমার যে কোন লস নেই এই ডিলে তা স্পষ্ট। সো আমার কোন সমস্যাই নেই। ডিলটা তোমাদের।

রিফাতঃ থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ স্যার। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। (অনেক খুশী হয়ে)

শরীফ খানঃ হাহা। তাতো করতেই হবে।

রিফাতঃ তাহলে স্যার আমরা আজ আসি।

শরীফ খানঃ ওয়েট। মিসেস রিফাত এটা আপনার জন্য। আপনার উপস্থাপন বেশ ভালো ছিলো। আর আপনারা কাপল আজ প্রথম এসেছেন আমার কাছে তাই একটা ছোট গিফট আপনাদেরকে। নিন।

শরীফ খান একটা ছোট বক্স অধরার দিকে এগিয়ে দেয়। অধরা রিফাতের দিকে তাকায়। রিফাত হাসি দিয়ে ইশারায় নিতে বলে। অধরা বক্সটা নিয়ে খুলে দেখে “থ” হয়ে আছে। কারণ বক্সের ভিতর একটা ফুল গোল্ডের বিস্কুট। যার অফিসিয়ালি মূল্য অনেক। রিফাত পাশ থেকে দেখে বলে,

রিফাতঃ স্যার এর প্রয়োজন কি ছিল?

শরীফ খানঃ দেখেছেন আপনারা? ছেলেটা কি বলে? আরে তোমার জন্য আমাদের কোটি কোটি টাকার প্রফিট হবে৷ তার কাছে তো এটা সামান্য। সো টেইক ইট।

রিফাতঃ ওহ! আচ্ছা স্যার আমরা গ্রহণ করলাম এটা। আদিবা স্যারকে থ্যাংকস দেও।

অধরা ঘোর কেটে দ্রুত স্বরে বলে,

অধরাঃ জ্বী জ্বী। থ্যাংকস। খুব সুন্দর গিফটটা৷

শরীফ খানঃ ওয়েলকাম। রিয়েলি রিফাত তোমার ওয়াইফ অনেক সুয়িট। খেয়াল রেখো।

রিফাতঃ জ্বী স্যার অবশ্যই। তাহলে আজ উঠি?

শরীফ খানঃ ওকে ওকে।

রিফাতঃ চলো আবিদা।

রিফাত আর অধরা বাইরে আসে। রিফাত অসম্ভব খুশী। অধরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে শুধু রিফাতকে। রিফাত অধরার কাছে এসে খুব খুশী হয়ে জোরে জোরে বলে,

রিফাতঃ মিস অধরা অধরা…৫০০ কোটি টাকার ডিল ছিল এটা। ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। উফফ! আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না৷ আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরতে চাই।

রিফাত আর কিছু না বলে অধরাকে সত্যিইই জড়িয়ে ধরে। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং এ কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই রিফাত বুদ্ধি মতো অধরাকে এতোটা বছর পর আজ প্রথম জড়িয়ে ধরে। অধরার কেমন জানি লাগছে। মনে হচ্ছে পুরনো সেই তাঁর স্পর্শ ও অনুভব করছে। অধরা স্থীর হয়ে শুধু দাঁড়িয়েই আছে। অজান্তেই চোখ বন্ধ করে রিফাতকে অনুভব করছে। অন্যদিকে রিফাত ওর জমানো চোখের জল ছেড়ে দেয়। আজ এতটা বছর পর ভালবাসাকে খুঁজে পেয়েছে। পেয়েছে তার পরম অনুভব। পেয়েছে তার স্পর্শ। রিফাত খুব শক্ত করে অধরাকে জড়িয়ে ধরে চোখ মুছে আস্তে করে ছেড়ে দেয়। রিফাত অধরার দিকে তাকাতে পারছে না। কেমন লজ্জা পাচ্ছে। কিন্তু অধরা যেন পাথর হয়ে আছে। রিফাত নিজেকে সামলে স্বাভাবিক ভাবে বলে উঠে,

রিফাতঃ সরি আসলে খুব খুশী হলে আমি হাতের কাছে যাকে পাই তাকে জড়িয়ে ধরি।(মিথ্যা কথা) আপনাকে পেয়েছি তাই…সরিইই।

অধরাঃ না সমস্যা নেই। এবার আমার উত্তরগুলো?

রিফাতঃ হ্যাঁ দিব দিব৷ তার আগে চলুন একটা জায়গায় যাই। এখানে কথা বলা যাবে না।

অধরাঃ আচ্ছা। স্যার আপনার গিফটটা।

অধরা গোল্ড বিস্কুটটা রিফাতের দিকে এগিয়ে দেয়৷ রিফাত নিয়েও নেয়৷ পকেটে রেখে অধরাকে নিয়ে ওর পছন্দের একটা জায়গাটায় চলে আসে। গাড়ি থামায়। রিফাত বলে,

রিফাতঃ আসুন জায়গাটা দেখাই আপনাকে।

অধরা গাড়ি থেকে নামে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে। অধরার মন যেন মুহূর্তেই উৎফুল্লতায় ছেয়ে যায়। বিশাল বড় এক রাস্তা। রাস্তার দুপাশে শুধু বড় বড় কাশফুল আর কাশফুল। অনেক ঠান্ডা বাতাস। অধরার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে বাতাসের তোড়ে। রিফাত বলে,

রিফাতঃ আসুন হাঁটতে হাঁটতে আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দি।

অধরাঃ জ্বী চলুন।

ওরা পাশাপাশি হাঁটছে। বেশ ভালো লাগছে দুজনেরই। রিফাত বলতে শুরু করে,

রিফাতঃ মানুষের চোখ খুব খারাপ জানেন। একটা মেয়েকে কেউ ভালো নজরে দেখে আবার কেউ খারাপ। কিন্তু একটা বিবাহিত মেয়ের দিকে কেউ খারাপ ভাবে তাকায় না। কিন্তু সিঙ্গেল মেয়ে পেলেই লোভ লাগে দুষ্ট মানুষের। ওখানে মিটিং এ অনেকের চোখই আপনার উপর ছিল। সেসব চোখে ভালো কোন উদ্দেশ্য আমি লক্ষ্য করি নি। তাই যখন আমি বললাম, আপনি আমার স্ত্রী তখন সে চোখগুলো আপনার উপর থেকে দ্রুত সরে গেল। কারণ আমার স্ত্রীর উপর চোখ দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আপনাকে আমার পিএস হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলে অনেকের মনেই আপনাকে নিয়ে খারাপ চিন্তার সৃষ্টি হতো। যা আমি থাকতে সম্ভব না। তাই আপনাকে আমার স্ত্রী বলেছি। কি ভুল করেছি আমি?

অধরা অবাক হয়ে সবটা শুনছিলো। ও মাথা নাড়িয়ে না বলে। রিফাত হাসে। পকেট থেকে হাত দিয়ে বক্সটা বের করে বলে,

রিফাতঃ তো মিস অধরা আপনার হাতটা একটু দিন তো।

অধরা হাত বাড়িয়ে দিলে রিফাত গোল্ড বিস্কুটের বক্সটা অধরার হাতে দেয়। অধরা বলে উঠে,

অধরাঃ না না স্যার। এটা আমি নিতে পারবো না। এটা অনেক মূল্যবান একটা জিনিস। আমি এর প্রাপ্য না। সরি।

রিফাত কিছুটা রাগী ভাব নিয়ে বলে,

রিফাতঃ আপনি কীসের প্রাপ্য না প্রাপ্য সেটা আমি জানি। আজকের ডিলটা আপনার আর আমার কারণে ফাইনাল হয়েছে। সো এটা আপনার। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী এটা পেয়েছে। নিন বলছি। নাহলে কিন্তু খুব রাগ করবো। আমি কিন্তু অনেক রাগী। বেশী রাগ করলে কেঁদে দেই। এএএএএ…এমন করে।

অধরা সব ভুলে অট্টো হাসিতে ভেঙে পড়ে। এটা কি ছিল! হাসতে হাসতে মেয়েটা শেষ। এদিকে রিফাত তো এই হাসিটারই অপেক্ষা করছিলো। ও মুগ্ধ হয়ে দেখছে শুধু। আহ! এ হাসি দেখে আর শুনে যেন হাজার যুগ নিমিষেই পার করা যাবে। রিফাতকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অধরা বলে,

অধরাঃ সরি স্যার। একটু হেসে নি। হাহাহাহা।

রিফাতঃ এটা নিবেন নাকি…

অধরাঃ হাহা। দিন দিন। নিচ্ছি। কিন্তু এটা দিয়ে আমি কি করবো? অনেক দামী তো। আজ জীবনে প্রথম সরাসরি গোল্ড বিস্কুট দেখলাম।

রিফাতঃ এটা আপনার পরিবারের জন্য। কখনো বিপদে পড়লে এটা আপনাদের সাহায্য করবে। আর নাহলে আমাদের প্রথম স্মৃতি হয়েই থাকবে এটা।

অধরা অধরা আর কিছু না বলে ওটা ব্যাগে রেখে দেয়৷ হঠাৎই অধরার ফোনে কল আসে৷ ওর মা কল দিয়েছে। অধরা কথা বলে রিফাতকে দেখে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। তা ও বলে,

অধরাঃ স্যার চলুন অফিসে যাই।

অধরার ডাকে রিফাত ওর দিকে তাকায়। ও অধরার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। কিছু বলে না। অধরার রিফাতের চোখ দেখে কেমন জানি লাগছে। রিফাত হঠাৎই আস্তে আস্তে করে অধরার কাছে আসতে থাকে। ওরা বেশ ভালো দূরত্বেই ছিল। রিফাত এগিয়ে আসছে অধরার দিকে। অধরার বুকের ভেতর ধুকপুক ধুকপুক করছে। রিফাত এখন একদম অধরার কাছে চলে আসছে৷ অধরা দেখে রিফাত ওর ঠোঁটের দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে। অধরা খুব ভয় পাচ্ছে। ভয়ে ওর মিষ্টি ঠোঁটটা থরথর করে কাঁপছে। রিফাত হঠাৎই অধরার….

চলবে…

সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে