মায়াজাল পর্বঃ ০৩

0
703

মায়াজাল পর্বঃ ০৩
লেখকঃ আবির খান

রিফাত অধরাকে নিয়ে ওর রুমে যায়। অধরা এখনো ঘোরের ভিতরে আছে। রিফাত মুচকি হাসছে। অধরা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে শুধু। রিফাত অধরাকে ওর সামনে বসায়। রিফাত ওর চেয়ারে বসে অধরার দিকে তাকিয়ে আছে। ও অধরাকে এভাবে দেখে বলে,

রিফাতঃ কী হলো আপনার?
অধরাঃ স্যার আপনি এটা কি বললেন তখন?

রিফাত ফাইল একটা নিয়ে দেখতে দেখতে বলে,

রিফাতঃ যেটা সত্য তাই বলেছি। আপনি আমার…পিএস। আপনার মূল্য অনেক আমার কাছে।
অধরাঃ আচ্ছা আপনি সবার কাছে আমাকে আবিদা নামে কেন পরিচয় করালেন?

রিফাত ফাইল থেকে চোখ উঠিয়ে অধরার চোখে চোখ রেখে বলে,

রিফাতঃ অধরা বলে শুধু আমি ডাকবো আর কেউ না। তাই আবিদা বলেছি।

রিফাত আবার ফাইলে মন দেয়। অধরা রিফাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ও ভেবেই পাচ্ছে না রিফাত আসলে কেমন। সে কি চায়? কেন ওকে মাথা তুলছে? হঠাৎ করে রিফাত বলে উঠে,

রিফাতঃ যান দুইটা কফি নিয়ে আসেন। কফি না খেলে কাজ করতে পারিনা।

অধরাঃ জ্বী স্যার এখনই আনছি।

রিফাত অধরাকে একটা হাসি দেয়। অধরা কফি আনতে চলে যায়। বাইরে এসে পিয়নকে বলে,

অধরাঃ আঙ্কেল কফি কোথায় পাবো?

পিয়নঃ আসেন আমার সাথে।

পিয়ন চাচা অধরাকে নিয়ে কফি মেকার এর কাছে যায়। অধরা পুরো অবাক। একটা ছোট রুম। সেখানে কফি বানানোর অনেক কিছু আছে। অধরা অবাক হয়ে দেখছে। পিয়ন চাচা কফি বানাতে বানাতে বলছে,

পিয়নঃ আমাদের রিফাত স্যার কফি লাভার৷ তার জন্য আলাদা কফি বানাতে হয়। এটা তার কফি বানানোর স্পেশাল রুম। আমিই বানাই সবসময় তার জন্য কফি। আপনিও শিখে রাখুন কাজ ভবিষ্যতে কাজে দিবে। হাহা।

অধরা এই হাসির রহস্য বুঝে না। ও খুব মনোযোগ দিয়ে কফি বানানো শিখে। কফি বানানো হলে অধরা বলে,

অধরাঃ বাব্বাহ! এত্তো কিছু করতে হয় কফির জন্য?

পিয়নঃ জ্বী। নাহলে স্যারের মন মতো হয়না। নিন স্যার কে দিন।

অধরাঃ আচ্ছা।

অধরা কফি নিয়ে রিফাতের রুমে আসে। বাকি ইম্পোলইরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

অধরাঃ স্যার আসতে পারি?
রিফাতঃ হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই।
অধরাঃ স্যার আপনার দু’কাপ কফি।
রিফাতঃ দিন। এরপর আসার সময় আর জিজ্ঞেস করবেন না। এমনিই চলে আসবেন।
অধরাঃ আচ্ছা।
রিফাতঃ নিন এককাপ আপনার জন্য৷ আর এককাপ আমার।

অধরা আবার অবাক হয়। ও আশ্চর্য হয়ে বলে,

অধরাঃ স্যার আপনার সামনে কফি খাবো?
রিফাতঃ হ্যাঁ। তো কার সামনে খাবেন?
অধরাঃ না মানে…
রিফাতঃ মানে মানে না করে তাড়াতাড়ি খান। কাজ আছে।
অধরাঃ জ্বী জ্বী।

অধরা কফির মগে চুমুক দেয়। রিফাত আড় চোখে মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখছে। অধরা আবার আরেকটা চুমুক দেয়। রিফাত এবার বলে উঠে,

রিফাতঃ মিস অধরা, একটু হেল্প করুন না। ওই যে নীল ফাইলটা একটু নিয়ে আসুন।

অধরাঃ জ্বী অবশ্যই।

অধরা যেই ওর কফির মগটা রেখে ফাইল আনতে যায় ওমনি রিফাত ওর মগ অধরাকে দিয়ে অধরা মগটা ও নিয়ে নেয়।

অধরাঃ স্যার ফাইল।

রিফাতঃ থ্যাঙ্কিউ। এবার কফিটা শেষ করুন।

অধরাঃ ওকে।

রিফাত অধরার মিষ্টি ঠোঁটের স্পর্শটা খুব উপভোগ করছে প্রতি চুমুকে। যেন মন প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে। অধরা অসম্ভব মায়াবী একটা মেয়ে। একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে ওর ভিতরে। অধরার সবচেয়ে বেশি যে জিনিস দুটো রিফাতের ভালো লাগে তা হলো ওর নেশাকাতর চোখ আর মিষ্টি ঠোঁট। এতোটা বছর পর মনের মানুষটা ভাগ্যের জোরে একদম চোখের সামনে পেয়েছে রিফাত। প্রাণ জুড়িয়ে অধরাকে দেখছে। রিফাত ওর মনের মাঝে অনেক স্বপ্ন বুনছে অধরাকে নিয়ে। যা ও সব পূরণ করবে।

এরপর রিফাত অধরাকে কাজ গুলো সব বুঝিয়ে দিতে থাকে। অধরার কাছে এসব দুধ ভাত৷ ওরা দুজন মিলে কাজ করছে। যেন ওরা একে অপরকে কত কাল যাবৎ চিনে আসছে।

দুপুর ২ টা,

রিফাতঃ চলুন লাঞ্চ করবেন।

অধরাঃ আপনার সাথে?

রিফাতঃ কেন কোন সমস্যা?

অধরাঃ না না। কোন সমস্যা নেই।

রিফাতঃ মা রান্না করে পাঠাচ্ছে। একবার খেলে আপনি আরো খেতে চাইবেন।

অধরা একটু হাসে। এরপর পিয়ন চাচা রিফাতের খাবার নিয়ে আসে।

পিয়নঃ স্যার আপনার খাবার।

রিফাতঃ দিন দিন।…বাহ! দুটো প্লেট এনেছেন। চাচাজান তো খুব চালাক আছেন।

পিয়ন চাচা রিফাত আর অধরার দিকে তাকিয়ে হাসে। তিনি চলে গেলে রিফাত নিজ হাতে অধরাকে খাবার বেরে দেয়। অধরা খাবার দেখেই অবাক। ভুনা খিচুড়ি, বেগুন ভাজি, মুরগী, ভেজিটেবলস। এসব খাবার ওর আর একজনের খুব প্রিয় ছিল।

রিফাতঃ মিস শুরু করুন। খেয়ে বলবেন কিন্তু কেমন লেগেছে।

অধরাঃ আচ্ছা বলবো।

অধরা প্রথম লোকমা মুখে দিয়ে খায়। অধরা চুপ। একদম চুপ। রিফাত যেটা আশা করেছিল ঠিক সেটাই হলো। অধরার চোখটা হালকা ভিজে এসেছে। হয়তো কিছু একটা মনে পড়েছে। হয়তো অনেক বছর আগের কোন পরিচিত স্বাদ আবার অধরা পেয়েছে। রিফাত খেতে খেতে বলে উঠে,

রিফাতঃ কি খাওয়া অফ করলেন যে?

অধরা রিফাতের দিকে তাকায়। হঠাৎ করেই অধরা কেমন করে যেন রিফাতকে দেখছে। রিফাত স্পষ্ট বুঝতে পারছে অধরার চোখগুলো কাউকে খুঁজছে। যে ওর খুব পরিচিত। রিফাত আবার বলে,

রিফাতঃ কি হলো মিস?

অধরাঃ না না কিছু না। খাচ্ছি স্যার।

এরপর যেন রিফাত অবাক হয়ে যায়। অধরাকে এখন দেখে মনে হচ্ছে সেই ছোটকালের অধরা ওর সামনে বসে আছে। ঠিক ছোটকালে রিফাত যখন অধরার জন্য এভাবে ভুনা খিচুড়ি নিয়ে আসতো আর অধরা যেভাবে খেতো ঠিক এখনো সেভাবেই খাচ্ছে। পুরো বাচ্চা মেয়ে। রিফাত মিটমিট করে হাসতে হাসতে খাচ্ছে আর অধরাকে দেখছে। অনেক তৃপ্তি করে খাচ্ছে অধরা। খাওয়া শেষে রিফাত বলে,

রিফাতঃ কেমন লাগলো বললেন নাতো?

অধরাঃ অসম্ভব মজার হয়েছে। আমার মনের মাঝে এই স্বাদটা আটকে ছিল। আজ অনেক দিন পর ঠিক সেই স্বাদটা আবার পেলাম। কিন্তু আপনার মা..

রিফাতঃ মা খুব ভালো রান্না করে তাইনা?

অধরাঃ হ্যাঁ খুব ভালো রান্না করে।

রিফাতঃ এখন থেকে প্রতিদিন আমার সাথে খেতে হবে। কি খাবেন তো?

অধরাঃ না মানে স্যার আপনার কোন সমস্যা হবে না?

রিফাত কিছুটা রাগ করে টিফিনটা গুছাচ্ছে। অধরা হাসি দিয়ে বলে,

অধরাঃ আচ্ছা স্যার খাবো খাবো। রাগ করিয়েন না।

রিফাত রাগী ভাবেই মুচকি হাসছে। অধরা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। ওর চোখের সামনে সব যেন ভেসে উঠছে। ওর জীবনে ঠিক রিফাতের মতো কেউ একজন এভাবে রাগ করে মুচকি হাসতো যখন ও তাকে মানাতো। অধরা শুধু রিফাতের ঘোরেই পড়ে যাচ্ছে।

সন্ধ্যা ৭ টা,

রিফাতঃ আম রিয়েলি ইমপ্রেসড মিস অধরা। আপনার ডেডিকেশন খুব ভালো।

অধরাঃ থ্যাঙ্কিউ স্যার।

রিফাতঃ তাহলে চলুন এবার বাসায় যাওয়া যাক।

অধরাঃ ওকে স্যার।

রিফাত আর অধরা একসাথে নিচে নেমে আসে। রিফাত ওর গাড়ির দিকে যেতে নিলে অধরা অন্যদিকে হাঁটা দেয়। রিফাত জোরে বলে উঠে,

রিফাতঃ ও হ্যালো…ও দিকে কোথায় যাচ্ছেন?

অধরাঃ কেন বাসায়।

রিফাতঃ সেটাতো আমার সাথে যাবেন। ওদিকে কার সাথে যাচ্ছিলেন?

অধরাঃ না মানে একা সিএনজিতে করে যাচ্ছিলাম।

রিফাত রাগ করে বলে,

রিফাতঃ আপনি কার পিএস?

অধরা আস্তে করে বলে,

অধরাঃ আপনার।

রিফাতঃ তাহলে কার সাথে আপনি যাবেন?

অধরাঃ আপনার?

রিফাতঃ জ্বীইইই ম্যাম। এবার গাড়িতে গিয়ে উঠুন। উফফ! যে গরম দুজনই ঘেমে যাচ্ছি।

রিফাতের কথা অনুযায়ী বাধ্য মেয়ের মতো অধরা গাড়িতে গিয়ে বসে। রিফাতও গাড়িতে বসে এসিটা আগে অন করে দিয়ে অধরার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। অধরা তা দেখে। এসির ঠান্ডা হাওয়া এসে ওর মুখে লাগে। অধরা আড় চোখে রিফাতের দিকে তাকায়। ওর মুখে মুচকি হাসি। খুব পরিচিত লাগে এই হাসিটা অধরার কাছে। রিফাতকে কোন ভাবেই অধরা বুঝে উঠতে পারছে না।

গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। হঠাৎই অধরার খুব মন চাচ্ছে আইসক্রিম খেতে। কিন্তু এখন কীভাবে খাবে। মনটা অসহায় হয়ে আসে। ঠান্ডার ভিতর ওর ঠান্ডা খেতে খুব ভালোই লাগে। গাড়ির ভিতরটা খুব ঠান্ডা। তাই ওর আইসক্রিম খেতে খুব ইচ্ছা করছে। অধরা বাইরে তাকিয়ে আছে। আইসক্রিমের শোকে বেচারি মন মরা করে বসে আছে। হঠাৎই গাড়ি থেমে যায়। রিফাত বলে,

রিফাতঃ আপনি একটু বসুন আমি আসছি।

অধরাঃ আচ্ছা।

রিফাত চলে গেলে অধরার মন চাচ্ছে গাড়ি থেকে নেমে একটা কোণ আইসক্রিম কিনে এনে রিফাতকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবে। বাট তা আর পসিবল না। কিছুক্ষণ পর,

রিফাতঃ এসেছি। আইসক্রিম খেতে খুব ইচ্ছা করছিল তাই নিয়ে এলাম। ঠান্ডার ভিতর আইসক্রিম খেতে মজাই লাগে। তাইনা?

অধরা তড়িৎ গতিতে মাথা তুলে রিফাতের দিকে অসম্ভব খুশী হয়ে তাকায়। কিন্তু মুহূর্তেই সে খুশী হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। অধরা দেখে রিফাতের হাতে একটা আইসক্রিম শুধু। খুব মজা করে খাচ্ছে রিফাত। অধরার এই দৃশ্য দেখে মন চাচ্ছে, রিফাতের চুলগুলো সব ছিড়ে ফেলতে। অধরা খুব কষ্ট পায়৷ রিফাত আবার গাড়ি চালাতে শুরু করে। অধরা রাগে দুঃখে কষ্টে রিফাত থেকে আরো চেপে বসে একদম অন্যদিকে ফিরে দুঃখ বিলাস করছে বেচারি। ও মনে মনে বলছে,

অধরাঃ শয়তান, কুত্তা, গন্ডার, হনুমান, পাজি, বিলাই না না বিলাই বলা যাবে না। ব্যাটা আস্ত শয়তান। কফি খাওয়ায় আমাকে। আর এখন শয়তানডায় একা একা আমাকে দেখিয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। মন চাচ্ছে….

হঠাৎই অধরা ওর কাঁধে ঠান্ডা কিছুর টোকা অনুভব করে। অধরা তাকিয়ে দেখে আইসক্রিম। রিফাতের হাতে। তাও একটা না দুইটা। আর দুইওটাই ওর পছন্দের ফ্লেভারের। অধরার যেন রীতিমতো সক খায়।

রিফাতঃ বকা তো দিলেন কতো গুলো। এবার তাড়াতাড়ি খান। না হলে গলে যাবে।

অধরা আইসক্রিম দুটো তাড়াতাড়ি নিয়ে খাওয়া শুরু করে। অধরা কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। রিফাত বলে,

রিফাতঃ তা এতো গুলো বকা দেওয়ার পর আইসক্রিম খেতে কেমন লাগছে মিস অধরা?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


অধরা লজ্জায় শেষ। ও যে কি বলবে বুঝতে পারছে না। শুধু বাচ্চাদের মতো মজা করে আইসক্রিম খাচ্ছে। রিফাত মুচকি হাসি দিয়ে বলে,

রিফাতঃ লজ্জাসিক্ত আপনাকে অনেক বেশী সুন্দরী লাগে।

অধরা আরও লজ্জা পায়৷ মিটমিট করে হাসে আর আইসক্রিম শেষ করে৷ একটু পরই ওরা পৌঁছে যায় অধরার বাসার নিচে। অধরা গাড়ি থেকে নামার আগে বলে,

অধরাঃ স্যার আপনি আমার দেখা সবচেয়ে ভালো একজন মানুষ। আজকের দিনটা আমার কাছে খুব স্মরণীয় হয়ে রবে৷ আর হ্যাঁ আইসক্রিম এর জন্য অসম্ভব ধন্যবাদ। আর আমি আপনাকে কিন্তু কোন বকা দেইনি। হিহি।

রিফাত মুচকি হাসে। এরপর চলে আসে। রিফাত আজ অনেক খুশী। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। খুব ভালো লাগছে মনের মানুষটা খুশী করে৷ খুব।

অধরার বাসায়,

মাঃ এসেছিস মা। তা কেমন গেল চাকরির প্রথম দিন?

অধরাঃ মা কি যে বলবো! অসম্ভব ভালো গিয়েছে। আমার বসটা এত্তো ভালো মনের মানুষ যে আমি বুঝাতেও পারবোনা। খুব ফ্রেন্ডলি।

বাবাঃ তাই নাকি। যাক মেয়েটা আমার খুশী হলেই আমরাও খুশী।

অধরাঃ সত্যি বাবা আমি আজ অনেক খুশী। সবই তোমাদের দোয়া। আর আল্লাহ তো আছেনই।

মাঃ হ্যাঁ। যা ফ্রেশ হয়ে আস।

অধরাঃ আচ্ছা।

রাত ১১.২৩ মিনিট,

অধরা জাস্ট বিছানায় শোয়া মাত্রই হঠাৎ ওর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে। অধরা ম্যাসেজটা পড়তে শুরু করে। ম্যাসেজটায় লেখা ছিল,

চলবে…?

সবার ভালো সাড়া চাই। কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে