ভালোবাসার তুই পর্ব-০২

0
4007

#ভালোবাসার_তুই
#Part_02
#Writer_NOVA

—ঐ পোটকা মাছ এদিকে আয়।

আমার ডাক শুনে প্রায় গোলুমোলু দেখতে একটা ছেলে চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকালো।তাকিয়ে ভূত দেখার মতো ভয় পেয়ে গেল। চমকে বুকে দু-তিনবার ফুঁ দিলো।ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড সাইফ।
এতক্ষণ সাইফ বাইকে বসে আশেপাশে তাকিয়ে শিস বাজাচ্ছিলো।আমার কথা শুনে সামনে এগিয়ে এসে রেগে বললো।

সাইফঃ আপনার সাহস তো কম বড় না।আমাকে পোটকা মাছ বলেন।আজকালের মেয়েগুলো একটু রাস্তা -ঘাটে একটু বেশি করে।আল্লাহ আমাকে মোটা বানাইছে আমিতো হয়নি।তাই বলে আপনি আমাকে এসব কথা বলবেন।

আমিঃ সারাদিন, সারারাত শুধু খাওয়ার ওপর থাকলে তুই মোটা হবি না তো কি হবি?
সাইফঃ কে আপনি?
আমিঃ এতক্ষণে লাইনে আইছো। ঐ পোটকা মাছ, তুই আমারে চিনস না।আমি নোভা।

সাইফঃ নোভা তুই!!!! (অবাক হয়ে)তোর এই অবস্থা কেন?তুই কাদা দিয়া ভূত সাজছিস কেন?

আমিঃ আমার বিয়া লাগছে তো।সেই খুশিতে কাদা দিয়া ভূত সাইজা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি। (রেগে)

সাইফঃ কি হয়েছে আমায় বল তো?

আমিঃ ভূত কি আমি সাধে সাজছি?আমারে তো —অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ 😭।(কাঁদতে কাঁদতে)

সাইফঃ আরে কান্না করছিস কেন বলবি তো?
আমিঃ নাহ্ এই কথা পোটকা মাছেরে বলা যাইবো না।আমি সরল বিশ্বাসে সব বলে দিবো।আর পোটকায় সারা কলেজ বলে বেড়াবে।তখন আমার ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে ফেলবো।মান-সম্মান যতুটুক আছে সেটুকুও মনে হয় আকাশে উড়াল দিবো।এখন কিচ্ছু করার নাই।কোনরকম মিথ্যা কথা বলে কাটিয়ে দিতে হবে।আর ব্যাটা খাটাশ,ধলা ইন্দুর এনাজকে তো আমি পরে দেখে নিবো।(মনে মনে)

সাইফঃ কি রে কথা বলছিস না কেন?
আমিঃ কি আর বলবো রে পোটকা মাছ?কালকে রাতে তো অনেক বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে রাস্তার পাশের গর্তগুলো ভরে টইটুম্বুর হয়ে ছিল।আমি খেয়াল না করে ঠাস করে পরে গিয়ে কাদা দিয়ে ভূত হয়ে গিয়েছি।

সাইফঃ ওহ্ এই খবর।তাহলে আজ কলেজ গিয়ে তোর কোন কাজ নেই। বাসায় চলে যা।
আমিঃ সে তো যাবোই।বলছিলাম কি সাইফ তুই না আমার ভালো ভাই,মানিক চাঁদ বন্ধু আমার।
সাইফঃ পাম না দিয়ে কি লাগবে সেটা বল।
(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

আমিঃ ধূর ছাই।ওকে যে পাম মারছিলাম সেটাও বুঝে গেল।এখন সরাসরি বললে কি আমাকে রেখেই চলে যাবে নাকি।না না তা তো হতে দেওয়া যাবে না।মাথা খাটা নোভা।পোটকা মাছকে পোটানোর চেষ্টা করতে হবে।(মনে মনে)

সাইফঃ তুই থাক আমি গেলাম।

আমিঃ আরে আরে কোথায় যাচ্ছিস।সাইফ ভাই আমার তুই যদি আমাকে একটু তোর বাইক দিয়ে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসতি।দেখছিস তো কলেজের সাদা ড্রেস এখন কাদা ড্রেসে পরিনত হয়েছে।

সাইফঃ আমি পারবো না।তোর যে কাজ করতে যাবে সেটাই তুই আমাকে বাঁশ ধরিয়ে দিবি।

আমিঃ মনে রাখিস কথাটা।পরীক্ষার সময় আমিও তোকে দেখাবো না হু হু হু।(ব্লাকমেল করে)

সাইফঃ না দেখালে নাই।যা ভাগ।পরীক্ষারটা পরীক্ষার সময় দেখা যাবে।

আমিঃ প্লিজ আমাকে দিয়ে আয় না।তুই যা চাইবি আমি তোকে তাই দিবো।

সাইফঃ আমি যা চাইবো তাই দিবি।(খুশি হয়ে)
আমিঃ হুম।

🍂🍂🍂

বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।সাইফ কিছু সময় ভেবে শয়তানি হাসি দিলো।
ওর মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে ওকে পূর্বে যত বাঁশ দিয়েছিলাম আজ তা আজ ফেরত দেওয়ার তারিখ চলে এসেছে।তাই বেশি দেরী না করে পুরো বাঁশ বাগানের মালিক আমাকে করে দিবেই দিবে।

সাইফঃ যা বেশি কিছু চাইলাম না।তিনটা বিয়ার কেনার টাকা দিস।

আমিঃ জুতার বারি চিনিস।ঘুষি মেরে মুখের নকশা বদলে ফেলবো শয়তান।সুযোগ দিয়েছি বলে যে তুই ছাইপাঁশ খেতে চাইবি তাতো হবে না। (রেগে)

সাইফঃ তাহলে দিবি না।ঠিক আছে তাহলে ১০ প্লেট ফুচকা খাওয়ালেই হবে।

আমিঃ ১০ প্লেট!!!!! (জোরে চিৎকার দিয়ে)

সাইফঃ মাত্র ১০ প্লেট ফুচকাই তো খেতে চেয়েছি।

আমিঃ সবাইকে আমি খাওয়াতে পারবো না।

সাইফঃ সবাইকে কেন খাওয়াবি।১০ প্লেট তো আমি একা খাবো।
আমিঃ এ্যাঁএএএএএএএ!!!(চোখ দুটো বড় বড় করে)
সাইফঃ এ্যাঁ না হ্যাঁ।

আমিঃ তোরে কি হুদাই পোটকা মাছ কই আমি।আল্লাহ জানে পেটের মধ্যে ড্রাম ঢুকাই রাখছোস নি।

রেগে কথাটা বলে সাথে সাথে সুর পাল্টে ফেললাম।মধুর সুরে কলা করে বললাম।

আমিঃ শোন না ভাই,আমার কাছে এত টাকা নেই। তোকে আমি ৫ প্লেট ফুচকা খাওয়াবো।

সাইফঃ তাহলে হবে না।তুই থাক,আমি বিদায় হই।

আমিঃ ঐ পোটকা তুই কি মেয়ে যে এত প্লেট ফুচকা খাবি।ফুচকা বেশি খেলে অসুখ হয়।আমি কি আমার ভাই+ বন্ধুর ক্ষতি চাইতে পারি বল।আমি তো তোর ভালোর জন্য বলছি।প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর।আমি এভাবে আর থাকতে পারছি না।কিরকম খ্যাচ খ্যাচ করছে শরীর।

সাইফঃ আচ্ছা এত করে যখন বলছিস তাহলে আমি ৫ প্লেটে রাজী আছি।চল তাহলে ফুচকা খেতে।

আমিঃ তুই কি পাগল হয়েছিস? এখন এই অবস্থায় আমি যাবো।সবাই আমাকে দেখে হাসবে।আমি তোকে আগামীকাল খাওয়াবো।

সাইফঃ আগামীকালের কথা বলে তুই আমাকে কতবার এমন করেছিস তার হিসেব আছে। আমি এবার আর ভুল করছি না।

আমিঃ আগে শুনেছিলাম হাতি ফাঁদে পরলে চামচিকাও লাথি মারে।আজ আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা ঘটছে।এখন হবে চামচিকা ফাঁদে পরলে হাতিও লাথি মারে।পোটকারে তোর ব্যবস্থা আমি পরে করবো।আগে আমি কোনমতে বাড়ি তো যাই।তারপর তোর আর ঐ এনাজকে কি করে টাইট দিবো তা আমার ভালো করেই জানা আছে।এখন কি করে, কি করি?পেয়েছি!!এই পোটকা মাছকে ইমোশনাল ব্লাকমেল করতে হবে(মনে মনে)।আমি সত্যি তোকে আগামীকাল খাওয়াবো।এখন আমার হাতে এত টাকা নেই। তুই যদি চাস তোর ফ্রেন্ডকে ফুচকার স্টলের থালা-বাসন মাজাবি।তাহলে এখনি চল।(কান্নার অভিনয় করে)

সাইফঃ আচ্ছা চল।আর কান্না করতে হবে না।তবে আগামীকাল কিন্তু আমার ফুচকা না খাওয়ালে তোর খবর আছে। সত্যি খাওয়াবি তো।নাকি আগেরবারের মতো ফুচকা খাওয়ানোর কথা বলে আমাকে দিয়েই বিল ভরাবি।

আমিঃ সত্যি তোকে খাওয়াবো।আমার লিপস্টিকের কসম।তুই তো জানিস আমি লিপস্টিক নিয়ে কোন মিথ্যা কথা বলি না।

সাইফঃ নে বাইকে উঠ।

আমিঃ সাইফ একটু লড়াচড়া কম করিস কেমন।তুই আবার আমাকে ঠেলা মারিস না।তাহলে আমি সোজা নিচে পড়ে হাত-পায়ের হাড্ডি ভেঙে বিছানায় পরে থাকবো।তোর বাইকে উঠতে আমার এমনি ভীষণ ভয় করে।এই মনে হয় তুই আমাকে ফেলে দিলি।তোর বাইকে উঠলে আমি সামনে তাকিয়ে হাতি ছারা আর কিছু দেখতে পাই না।

সাইফঃ কি বললি তুই? (রেগে)

আমিঃ আমিতো যাস্ট মজা করলাম পোটকা মাছ।

কথাটা বলে আমি একটা বেক্কল মার্কা হাসি দিলাম।তাতে কাজ হলো না।সাইফ রেগে চোখ মুখ লাল করে ফেলছে।আমিতো মনে মনে অলরেডি দুরুদ শরীফ পরে ফেলছি।এই পোটকা রেগে গেলে আমি অনেক ভয় পাই।যদি আমাকে মোয়া বানিয়ে ছুড়ে মারে কিংবা ধরে গাইল্লা ফালায় সেই কারণে ওর রাগ দেখলে আমার ডর করে।

সাইফঃ তুই আবার আমাকে পোটকা মাছ বললি।

আমিঃ সরি সরি।আর বলবো না।তোকে এখন থেকে ভাই বলে ডাকবো।দয়া করে ভাই এবার আমাকে জলদী করে বাসায় দিয়ে আয়।

সাইফঃ এই তো গুড গার্ল।ঠেলার নাম বাবাজী।

আমিঃ খবরদার তুই কিন্তু আমাকে ঠেলা দিস না।তাহলে আমি ফিনিস।রাস্তা গাড়ির চাকার সাথে পিষে যাবো।এই জীবন আর থাকবে না।

আমি চুপচাপ সাইফের পেছনে উঠে বসলাম।বারবার আল্লাহর নাম জপছি।মনে মনে আরেকদফা দুই হাতিকে বকলাম।

আমিঃ সময় খারাপ গেলে সাদা কাপড়ের থেকেও রং উঠে।এই কথা আমি আগে বিশ্বাস না করলেও এখন আমায় অবশ্যই করতে হবে।(বির বির করে)

সাইফঃ আমায় কিছু বললি নোভা?
আমিঃ না তোকে কিছু বলেনি।তোকে কি আমি কিছু বলতে পারি।তুই আমার ওনলি ভালো ফ্রেন্ড।
সাইফঃ এতো পাম দিস না।তোদের পামে পামে কোন দিন জানি আকাশে উড়ে যাই।
আমিঃ তুই কথা না বলে বাইক স্টার্ট দে।

🍂🍂🍂

বাইক এসে থামলো আমারা যে ফ্ল্যাটে থাকি সে দালানের গেইটের সামনে। সাইফকে বিদায় দিয়ে আমি ভেতরে ঢুকে পরলাম।বাসার কলিং বেল চাপতেই আমার ছোট বোন ইভা এসে দরজা খুলে দিলো।দরজা খুলে আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।

ইভাঃ বোইনে তোমার এই অবস্থা কেন?
আমিঃ আমি আজকে এতো খুশি ছিলাম। তোকে আর কি বলবো?সেই খুশির ঠেলায় কাদা পানিতে কয়েকটা ডুব দিয়ে আসছি।(রেগে)

কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে আম্মু কিচেন থেকে চেচিয়ে আমার ছোট বোনকে জিজ্ঞেস করলো।

আম্মুঃ ইভা, এই অসময়ে কে আসছে রে।

ইভাঃ আম্মু বোইনে আসছে।কোথা থেকে জানি কাদা দিয়া ভূত সাইজা আসছে।

আম্মুঃ কি!!! নোভা আজকে কলেজ যায়নি।

ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে আম্মু কিচেন থেকে বের হয়ে আমার সামনে দাঁড়ালো।এসে তিনিও আমাকে ইচ্ছে মতো ধুতে শুরু করে দিলো।ইভা আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে।

আমিঃ ইভা তুই একবার রুমে আয়।তোকে যদি আমি দরজা আটকাইয়া না মারি। তাহলে—-

ইভাঃ তাহলে তোমার নামও নোভা নয়। এটাই বলবা তো।তোমার ডায়লগ আমার মুখস্থ হয়ে গেছে।
আমিঃ আবার কথা বলিস।দাঁড়া তুই। (রেগে)

ইভাঃ আম্মু দেখো কোথা থেকে কাদা মেখে ভূত সেজে এসে এখন আমার ওপর শুধু শুধু রাগ দেখাইতাছে।

আম্মুঃ তোকে আমি কিচ্ছু বলবো না।তোর যা খুশি তাই কর।রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
আম্মু কথাটা বলে কিচেনে চলে গেল।

আমিঃ পাক্কা ১৫ মিনিট বকে এখন বলে আমাকে কিচ্ছু বলবে না। তাহলে এতক্ষণ কাকে বললো?

ইভাঃ হি হি হি।একদম ঠিক হইছে।

আমি কপট রাগ দেখিয়ে রুমে এসে জামা-কাপড় নিয়ে গোসল করতে ওয়াস রুমে ঢুকে পরলাম।আমি ও ইভা ৪ বছরের ছোট-বড়।দুজনের সাথে দুজনের প্রায় সময় লেগে থাকি।তবে চোখের আড়াল হলেই দুজন দুজনের জন্য পাগল হয়ে যাই।আসলে ভাই-বোনের সম্পর্কগুলো এমনি হয়।দেখলে মনে হবে সম্পর্ক খারাপ। তবে বাস্তবে ততটা খারাপ নয়।বাবার চাকরীর সূত্রে ঢাকায় থাকা হয় ছোট বেলা থেকে। গ্রামের বাড়ি মাঝে মাঝে যাই।ঢাকার এক ছোট ফ্ল্যাটে আমাদের চারজনের ছোট পরিবার থাকি।গোসল করে টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হলাম।ডেসিং টেবিলের ওপর বিস্কুট রাখা দেখলাম।নিশ্চয়ই ইভার কাজ।আমাকে রুমে না দেখে চুপিচুপি এসে বিস্কুট রেখে পালিয়েছে। হাতের কাছে পেলে সবগুলোর রাগ এখন ওর ওপর ঝারতাম।সেটা বুঝতে পেরে আমার সামনে আসেনি।

বিস্কুট হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে এলাম।সকালের কথাগুলো চিন্তা করছি।আমি এনাজকে দেখে শয়তানি হাসি দিয়ে ওর সামনে ঠিকই গিয়েছিলাম।আমি তার সাথে ভাব নেয়া শুরু করলাম।ধলা ইন্দুরটা আমার মনের মধ্যে থাকা শয়তানি বুদ্ধি বুঝে গিয়েছিলো।আমি তাকে ডোবায় কি ফেলবো?আমাকেই সামনে থাকা বৃষ্টি পানি ভর্তি গর্তে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়েছে। আর আমি সেখানে পরে কাদা দিয়ে গা ভর্তি করে ফেলেছি।সব কথা মনে হতেই আমি হাতে থাকা বিস্কুটের প্যাকেট টাকে রাগে দুমড়ে মুচড়ে ভেতরে থাকা বিস্কুট গুড়ো গুড়ো করে ফেলছি।

আমিঃ আমি আপনাকে ছারবো না মোঃ এনাজ আহমেদ। এর প্রতিশোধ আমি প্রত্যেকটা পাই পাই করে নিবো।যাস্ট ওয়েট এন্ড সি।এই নিয়ে ১ম বার আমি আমার প্ল্যানে ফ্লপ হলাম।সেদিন ঐ খাটাশের জন্য পঁচা পানি দিয়ে সারামুখ কি বিচ্ছিরি হয়ে ছিলো। ভাগ্যিস মুখের ভেতরে যায়নি।এখনো ঐ দিনের কথা মনে হলে গা গুলিয়ে আসে।ওয়াক ছিঃ কিরকম একটা বাজে পরিস্থিতিতে পরেছিলাম।পরে যদি দোকান থেকে ভালো পানি কিনে মুখ না ধুতাম তাহলে আমার অবস্থা নাজেহাল হয়ে যেতো।আমি সব শোধ ফেরত দিবো আপনাকে।

প্রচুর রাগ উঠেছে নোভার।এখন জেগে থাকলে উল্টো পাল্টা কিছু করে বসতে পারে সে।যার কারণে পরে তার মায়ের কাছে বকা খাবে।তাই এখন রাগ কমাতে ও মাইন্ড টাকে ফ্রেশ করতে ঘুমের প্রয়োজন।রাগ কমাতে একমাত্র এই ঘুম নামক ঔষধটাই ওর জন্য পারফেক্ট।বেশি কিছু না ভেবে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমের রাজ্যে পারি জমালো সে।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে