বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 9

0
2009

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 9
writer : Mohona

.

রাতে…
মেরিন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সে তো আবার ১১টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পরে। তাই প্রতিদিনের মতো টি-শার্ট আর থ্রী কোয়ার্টার পরে এলো আর এসেই
মেরিন: আআ…..??…..
বাসার সবাই দৌড় এলো। আর নীড় বিপদে পরে গেলো। আসলে মেরিন washroom থেকে এসে দেখে নীড় ওর বিছানায় পায়ের ওপর পা দিয়ে শুয়ে আছে। মেরিন ওকে দেখেই চিৎকার।
নীড় ফিসফিস করে
বলল: উফফ… খালি বিপদ বারাও। এখন কি করবো?
মেরিন: আমমম আমম….
নীড়: যাও গিয়ে ওদের ভাগাও….
মেরিন: আমম আমম…..
নীড়: কি বলো? আম খাবে? উফফ… sorry sorry …
নীড় মেরিনের মুখ ছারলো।
মেরিন : শালি ফকিন্নি, শাকচুন্নির স্বতীন, অজগরের…
মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা দরজা খুলছো না কেন?
কবির: princess কি হয়েছে? দরজা খোলো…..

মেরিন: হায় হায় এখন কি হবে? আমি কি করবো? ওরা আপনাকে দেখে নিলো….
নীড়: তুমি এতো ভয় পাও?
মেরিন: ভয় পাবো কেন?
নীড়: তাহলে ঘাবরাচ্ছো কেন?
মেরিন: ওরা আপনাকে দেখে নিলে আমি পালিয়ে বিয়ে কিভাবে করবো?
নীড়: মানে?
মেরিন: আরে আপনাকে ওরা দেখে নিলে আমি পালিয়ে আপনার সাথে বিয়ে করে ওদেরকে surprise দিবো কি করে? আমার কতোদিনের স্বপ্ন….. হায়…..
নীড় ভাবতেও পারেনা এমন তরো স্বপ্নও কারো থাকতে পারে। but যেহেতু মেরিন সেহেতু সবই সম্ভব।
নীড়: এখন গিয়ে দরজা খোলো। আমি লুকাচ্ছি….
মেরিন: হামম।
মেরিন কোনোরকমে ওদের ভুলিয়ে ভালিয়ে পাঠালো।

.

মেরিন: এ আবার কোথায় গেলো? মনে হয় চলে গিয়েছে। যাক আমার বাপের কি?
মেরিন গিয়ে শুয়ে পরলো। আর শুতেই ১টানে কেউ মেরিনকে বুকে টেনে নিলো। মেরিন তো চিল্লাতে নিবে। কিন্তু আগেই নীড় মেরিনের মুখ আটকে দিলো।
নীড়: এতো চিল্লাও কেন? মুখ ছারবো but চিল্লাবানা…. ok?
মেরিন:হামম।
নীড় ছারলো।
মেরিন: আপনি এতো রাতে এখানে?
নীড়: হামম। তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছিলো।
মেরিন: সারাদিনই তো দেখলেন… ?…
নীড়: তোমাকে দেখে মন ভরবে না….

.

২দিনপর…
মেরিন সেই কখন থেকে বকবক করছে আর নীড় দেখছে। তবে আজকে নীড় মেরিনের গালের সেই তিলটাকে দেখছে।
মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড় তাকিয়ে আছে।
মেরিন: কি দেখছেন?
নীড় উত্তর না দিয়ে টেনে মেরিনকে কোলে বসিয়ে মেরিনের তিলটাতে kiss করে বসলো। মেরিন তো জমে বরফ। আর নীড় তো দিন দুনিয়া ভুলে ওই তিলটাতে kiss করেই চলেছে। কারন এটাতে নীড়ের অনেক দিনের নজর….
মেরিন: ?। এটা কি করলেন? আমার ভার্জিনিটি নষ্ট করে দিলোরে… ?।
নীড়: shut up…
মেরিন:??।
নীড়: এখন থেকে এটা আমার সম্পত্তি। regular এটাকে আমি kiss করবো। বাধা দিলে তোমার কপালে কি আছে তা আমি নিজেও জানিনা।
মেরিন: শালি…
নীড়: শালা…
এভাবেই ওদের দুষ্টু মিষ্টি প্রেম শুরু হলো। নীড়ের ফোন মেরিনের ধরতে দেরি হলে বা না ধরলে নীড় রেগে বোম্ব হয়ে যেতো। মেরিনেরটা না ধরলে মেরিন তেমন react করতোনা। পরে নীড় বলেছে যে আমি রাগ করি তুমি কেন করোনা এটা তোমার অধিকার। এরপর থেকে নীড় যদি ১বার রিং হতেই না ধরতো অবস্থা খারাপ করে দিতো।

.

৬মাসপর…
এই ৬মাসে মেরিন দিনে ২বার করেও break up করেছে নীড়ের সাথে। ২জনের ভালোবাসা আরো গভীর হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নীড় মেরিনের কামড় খেয়েছে। অনেক সময় নীড় ইচ্ছা করে মেরিনকে রাগিয়ে দিয়েছে কামড় খাওয়ার জন্য। ?। মেরিনের পাগলামি তে নীড় আসক্ত হয়ে গেছে। আর নীড়ের ভালোবাসায় মেরিন আসক্ত হয়ে গেছে। ২ ১ দিন পরপর নীড় দিন দুনিয়া ভুলে মেরিনের তিলটাকে kiss করে। আশেপাশে কি ঘটলো তাতে নীড়ের কোনো মাথা থাকেনা যখন ও মেরিনের তিলে kiss করে। আর মেরিনের আজব ঘুমের সাক্ষী হয়েছে নীড়। কথা বলতে বলতে ঘুম। বসে বসে ঘুম। এমনকি দারিয়ে থেকেও ঘুম। এতো ঘুম কেউ আসতে পারে তা নীড় জানতো না।
মাঝেমাঝে ২জন ভোর পর্যন্ত ফোনে কথা বলে। যেদিন কথা বলতে বলতে মেরিন অনেক তারাতারিই ঘুমিয়ে যেতো তখন নীড় মেরিনেক রুমে এসে ওকে বুকে জরিয়ে ঘুমাতো।

.

নীড় কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশে গেছে। আর আজকে মেরিনরা অধরাদের বাসায় এসেছে। অধরা-মেঘের বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে। নীড় মেরিনকে ফোন করলো। তাই মেরিন কথা বলতে গেলো।
অধরার বাবা লতিফ: দেখেন কবির ভাই… অধরার মুখে শুনে যা বুঝেছি যে আপনাদের কাছে আর মেঘের কাছে মেরিনই সব। আপনার নিজস্ব সম্পত্তির অর্ধেকের বেশি মেরিনের নামেই । মেঘের ব্যাবসাটাও পুরোটাই মেরিনের নামে। আমি এও বুঝতে পারছি যে মেঘ ওর নামে থাকা সম্পত্তিও মেরিনের নামে করে দিবে।
অধরা: বাবা এসব কি বলছো?
লতিফ: চুপ থাকো তুমি। আমার মেয়ের ভবিষৎ কি?
মেঘ: আপনার কি মনে হয় আপনার মেয়ে না খেয়ে মরবে…
কবির: বড়দের সাথে এটা কেমন ব্যাবহার?
মেঘ: বাবা তিনি…
কবির: চুপ থাকো। শুনেন ভাই… আপনি যদি insecure feel করেন তবে আমার বাকী property আমি মেঘের না অধরার নামে করে দিবো।
লতিফ: আমাকে আর আমার মেয়েকে কি ভিখিরি মনে হয়? যে অবশিষ্ট জিনিষ দিবেন আমার মেয়েকে।
কবির: আরে আমি আপনার সাথে ভালোভাবে কথা বলছি আর আপনি এমন করে…
লতিফ খুব বাজে ব্যাবহার করতে লাগলো। যারজন্য কবির-মেঘ ক্ষেপে গেলো। সবাই বেরিয়ে এলো। মেরিন আগা
মাথা কিছুই বুঝলোনা।

.

২-৩দিন ধরে মেরিন দেখছে মেঘের মন ভালোনা।
মেরিন: আপুদের বাসাতেই কিছু হয়েছে। আমার ভাইয়ার চোখে পানি….? যদি ওদের জন্য কিছু হয়ে থাকে কি যে করবো ওদের নিজেই জানিনা।
মেরিন গেলো অধরাদের বাসায়। ওখানে গিয়ে যা শুনলো তাতে মেরিনের মাথায় আগুন লেগে গেলো। অধরার হাজার বারন করার সত্তেও লতিফ মেরিনকে অনেক কথা শোনালো।
মেরিন: হয়ে গেছে আপনার ভাষন? শেষ? এখন আমার কথা শুনুন… কালকেই আমি আমার নামের সব সম্পত্তি আপুর নামে করে দিবো ।
লতিফ: তাতে কি? ভবিষ্যতের সব তো তুমিই পাবে.. সেটা আটকাবে কি করে?
মেরিন: তাহলে আপনার সাথে deal করবো যে খান সম্রাজ্ঞের চুল পরিমান সম্পত্তিও আমি নেবোনা। কারন সম্পত্তির চেয়ে আমার ভাইয়ের মুখের হাসি আমার কাছে বেশি মূল্যবান ।
কালকে পেপার ready করে রাখবেন…. আসছি…
মেরিনর তেজ দেখে অধরা অবাক। মেরিন বেরিয়ে এলো। মাথা ঠান্ডা করার জন্য ওর এখন নীড়কে চাই। তাই নীড়কে ফোন করলো। কিন্তু কোনো ১টা কারনে নীড় ধরতে পারলোনা মেরিনও আর দিলোনা। কারন হয়তো পরিবারের সাথে ব্যাস্ত।

.

পরদিন…..
মেরিন অধরাদের বাসায় গেলো। deal paper এ sign করবে। ঠিক তখনই মেঘ ঝড়ের বেগে এসে পেপারটা নিয়ে টুকরো টুকরো করে লতিফের মুখে ছুরে মারলো।
মেরিন: ভা…
মেঘ: চুপ… আদর করি বলে যা ইচ্ছা তা করবে সেটা না। বড় হয়ে যাওনি অতোটা…
মেরিন: আ…
মেঘ: কোনো কথা না মানে কোনো কথা না…
মেরিন ভয়ে চুপ করে রইলো।
মেঘ: কখনো ভাবিনি যে ভালোবাসা আর বোনের মধ্যে থেকে ১জনকে বেছে নিতে হবে।
আমার বোন আমার দুনিয়া। জীবন ছারতে পারবো বোনকে না। আপনার মেয়ে আমার জীবনে আসার অনেক আগে আমার বোন আমার জীবনে এসেছে। যে ভালোবাসার প্রমান ভালোবাসা না টাকা দিয়ে দিতে হয় সে ভালোবাসা ভিত্তিহীন। ক্ষমা করে দিও অধরা… আমাদের ভালোবাসার সফর এখানেই সমাপ্ত। আমার মনের রানী সর্বদা তুমিই থাকবে… mr. লতিফ আপনার মেয়ে মুক্ত। ভালো কারো সাথে বিয়ে দিবেন….
মেরিন: তুমি কি পাগল হলে….
মেঘ: আমার কসম লাগে এ বিষয়ে তুমি চুপ থাকো।
মেঘ মেরিনকে নিয়ে চলে এলো।

.

২দিনপর…
ভার্সিটিতে …
মেরিন বসে আছে। হঠাৎ কেউ পেছন থেকে এসে জরিয়ে ধরলো। মেরিন জানে এটা নীড়।
নীড়: sorry কলিজা পাখি…. এই ৭দিন তোমাকে ছারা যে কিভাবে দেশে ছিলাম তা কেবল আমিই জানি ।
মেরিন:….
মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিতে চাইলো…
নীড়: বুঝেছি আমার কলিজা পাখি রাগ করেছে…
মেরিন আসলে রাগ করেনি। o just mentally disturbed … সেই সাথে অপরাধ বোধ কাজ করছে।
নীড়: এখন রাগ ভাঙাতে হবে….
বলেই নীড় মেরিনের তিলটাতে kiss করতে লাগলো। মেরিন ধাক্কা দিয়ে নীড়কে সরিয়ে দিলো ।
মেরিন: সমস্যাটা কি আপনার …. always এতো চিপকে থাকেন কেন?
নীড়: কারন তুমি magnet … আমাকে টানো।
মেরিন: রাখেন তো আপনার ফালতু কথা।
নীড়: তাহলে কি বলবো? i love u….
মেরিন: দেখি সরুন যেতে দিন। এখানে থাকলে ঝামেলা হবে।
নীড়:হোক । তাতে আমার বাপ & শশুড়ের কি….
মেরিন:….
নীড়: বাবারে ১বার ফোন তুলিনি বলে এতো রাগ…. না কোনো ফোন ধরা হয়েছে আর না কিছু। sorry তো।
মেরিন : কারো ওপর রাগ করিনি….
নীড় মেরিনের কোমড় টেনে সামনে এনে
বলল: তাহলে কি হামম?
মেরিন আবার ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো।।
বলল: সমস্যাটা কি আপনার ?
নীড়: হয়েছে তো…
মেরিন রাগের মাথায় নীড়কে অনেক কিছু বলল। যাতে নীড়ের অনেক রাগ উঠলো। তাও কিছু বলল না। ও চায়না রাগের মাথায় মেরিনকে কিছু বলে ফেলতে যাতে মেরিন কষ্ট পায়। তাই মেরিনের কপালে ১টা চুমু দিয়ে
বলল: এখন রেগে আছো।
তাই এখন কথা বারানোর দরকার নেই । রাগ ঠান্ডা হওয়ার আগ পর্যন্ত তুমি তোমার মতো থাকো আর আমার মতো থাকি…. we need time…
বলেই নীড় চলে যেতে নিলো।
মেরিন: দারান।
নীড় দারালো। মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে
বলল: sorry …. &&& break up…
বলেই মেরিন চলে গেলো। নীড়ের মাথা আরো গরম হয়ে গেলো।

.

পরদিন…
নীড় রাগ কমলো। মেরিনকে ফোন করলো। বন্ধ পেলো। রাতে মেরিনদের বাসায় গেলো। মেরিনের রুমে ওকে পেলোনা। নীড় জানে break up করা মেরিনের জন্য কিছুই না। তবে পরদিন থেকে মেরিন নীড়কে ignore করতে লাগলো। নীড় কিছুতেই মেরিনকে একা পাচ্ছেনা।
নীড়: বাপরে আমার পিচ্চি কলিজার রাগটা বেশি হয়েছে। কিছু তো করতে হবে। হেই ৪দিনপরই তো new year… 31night… surprise plan করতে হবে। তবে তার আগে ম্যাডামকে একটু জ্বালাতে হবে।
মেরিন: অনেক তো হলো… আর কতো dark chocolate এর সাথে রাগ করে থাকবো। ভালো লাগেনা। ১কাজ করি new year eve এ উনার জন্য ১টা cute gift নেই.।☺️।

.

31 night….
আজকে ভার্সিটিতে grand party…. নীড় তো timely এসেছে আর মেরিন late… যখন মেরিন এলো বরাবরের মতো নীড়ের নজর মেরিনেই আটকে গেলো। আর মেরিনের নীড়ে…. ঘোর কাটতেই নীড় ভাব নিয়ে চলে গেলো। মেরিনের তো মেজাজ খারাপ হয়ে গরম হয়ে গেলো।
নীড় টেবিলে কয়েকটা মেয়ে নিয়ে বসলো। মেয়েরা নীড়কে মৌমাছির মতো ঘিরে রেখেছে। যা দেখে মেরিনের মনে আগুন জ্বলতেছে। ঠিক বারোটায় লাইট নিভে গেলো। firework হলো। এরপর আলো জ্বললো। মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড়ের মুখে ৬-৭টা লিপস্টিকের দাগ। যা দেখে মেরিন রেগে বোম্ব হয়ে গেলো। ও রেগে গিয়ে রুবেলের কলার ধরে সামনে এনে রুবেলের গালে kiss করে দিলো। আর কি লাগে? নীড়ের মাথায় রক্ত উঠে গেলো।

.

সবার নজর একটু ঘুরতেই নীড় মেরিনকে টেনে নিয়ে গেলো। যেখানে কেউ নেই। নীড় মেরিনকে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে পাগলের মতো kiss করতে লাগলো। শুরুর দিকে রেগে নীড় কামড় দিলেও ধীরে ধীরে ভালোবেসে kiss করতে লাগলো। নীড় কখনো ভাবেনি ও মেরিনকে 1st এভাবে kiss করবে। আর মেরিনও কখনো ভাবেনি যে নীড় ওর সাথে এমন করবে। নীড় ওকে ছারতেই ও নীড়কে ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো। নীড় আরো রেগে গেলো।
মেরিন: অসভ্য , characterless…
নীড় মেরিনের গাল চেপে
বলল: আমি characterless…
মেরিন: হ্যা।
নীড়: কেন মনে হলো….
মেরিন: এক্ষন যা করলেন সেটাই কি যথেষ্ট না….
নীড়: ৭মাসের relationএ কি এটা common না?
মেরিন: আপনাদের মতো ছেলেদের কাছে common হতেই পারে but আমার কাছেনা ।
নীড়: আমার মতো ছেলে মানে?
মেরিন: characterless …..
নীড়: আমি characterless হই আর যাই হই…. তোমার মতো না। ভালোবাসতে পারি । মনমতলবি করিনা… বাচ্চামো করিনা…. u know what…. আমার কি মনে হয় তুমি আমাকে ভালোইবাসোনা। তুমি কাউকেই ভালোবাসতে পারোনা। তুমি কেবল মনমতলবি করতে পারো। তোমার মতো মেয়ে কাউকে ভালোবাসতে পারেনা….
নীড়ের কথায় মেরিন অনেক কষ্ট পেলো। চোখে পানি টলমল করতে লাগলো। মেরিনের চোখের পানি দেখে নীড় মেরিনকে ছারলো। নীড়ের বুকটা কচকচ করছে।
মেরিন: break up করেছি… কাল থেকে আর এই মেয়েটাকে দেখতে হবেনা…..
বলেই মেরিন চলে যায়। বাসায় ফিরে মা-বাবা-ভাই কে বলে দেশে ফিরবো। সবাই জিজ্ঞেস করলে বাড়ির সব কিছু ভাঙচুর শুরু করে। অনেক কষ্টে মেঘ থামায়।
মেঘ: কি হয়েছে মিষ্টি বাচ্চা?
মেরিন: কিছুনা। আমি দেশে যেতে চাই। চাই মানে চাইই চাই। চাই চাই চাই… কালই যেতে চাই…. না হলে নিজেকে শেষ করে দিবো।
মেঘ: আচ্ছা যাবো। কালই যাবো। এখন ঠান্ডা হও….
মেরিন ঠান্ডা হলো। কবির-কনিকা-মেঘ রাতারাতি সবটা গুছিয়ে নিলো।

পরদিন বিকালবেলা ওরা flight এ বসলো। আসার আগে মেরিন ইয়াকে নিজেদের বন্ধুত্বের কসম দেয় যেন ইয়া কখনো নীড়কে ওর ঠিকানা না দেয়। আর ওদিকে নীড়ের রাগ কমতেই বুঝতে পারে যে ও কতো বড় ভুল করেছে। দৌড়ে যায় মেরিনদের বাসায়। গিয়ে দেখে মেরিনরা নেই। আলাদা হয়ে যায় নীড়-মেরিন…..
]]].

.

বর্তমান….
সকালে…
মেরিনের মনে হলো যে ও পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পানির মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে। তারাতারি চোখ মেলল।

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে