বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 10

0
1768

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 10
writer : Mohona

.

মেরিন তারাতারি চোখ মেলল… দেখলো চারদিকে পানি…. আর ডুবে যাচ্ছে….
মেরিন: আম্মুগো ডুবে গেলামা…..
মেরিন উঠে দারালো। দেখলে এটা ১টা ছোট্ট swimming pool… চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলো আর বুঝলো যে এটা ১টা ছোট ছাদ। ওপরে খোলা আকাশ । কুয়াশার আবরন পরে আছে। মানো ভোর।

.

আসলে নীড়ের রুমের বারান্দার ওখান দিয়ে ১টা মিনি terrace আছে।যেখানে ১টা ছোট্ট swimming pool আছে। মেরিন চোখের সামনে নাক বরাবর তাকিয়ে দেখলো নীড় পায়ের ওপর পা তুলে খবরের কাগজ পরছে। আর কফি খাচ্ছে। মেরিনের মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে। একে তো এই শীতে এতো ভোরবেলা ওর ঘুম ভাঙালো। তারওপর এই ঠান্ডা পানিতে চুবালো….. ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কিন্তু মাথা দিয়ে আগুন জ্বলছে। রেগে মেগে নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন: এএএসবের মানে কি?
নীড়: খুব সহজ… এটা খান বাড়ি না চৌধুরী বাড়ি। তুমি এই বাড়ির মেয়ে না বউ…. একমাত্র বউ। তাই এতোবেলা পর্যন্ত ঘুম তুমি আসতে পারোনা। যাও গিয়ে fresh হয়ে নাও । then যাও গিয়ে সবার জন্য চা বানাও।
মেরিন: চা my foot… নিখুজি পরেছে বউ বউ খেলার। আমি আজই আমাদের বাসায় চলে যাবো।
নীড়: সত্যি? great …. বাচা যাবে। আমার মোহ পাখিকে আনতে পারবো।
মেরিনের মেজাজ এতোই বিগরে গেলো যে কফির মগটা নিয়ে গলগল করে নীড়ের মাথায় ঢেলে দিলো। নীড় রেগে তাকালো। মেরিন দিলো দৌড়। আর ধপাস করে পরে গেলো। নীড় হাহাহা করে হেসে উঠলো।
নীড়: হাটতে না শিখে দৌড় দিতে নেই খুকি…
নীড় মেরিনকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।

.

২০মিনিটপর….
নীড় রুমে এসে দেখে মেরিন নেই।
নীড়: গেলো কোথায়?
নীড় ছাদে গিয়ে দেখে মেরিন যেখানে পরে গিয়েছিলো সেখানেই গুটিসুটি মেরে মেরিন ওখানেই ঘুমিয়ে আছে।
নীড়: এর ঘুমানোর অভ্যাস…. ভেজা কাপড়টাও শুকিয়ে গেছে। কি যে করে। এর কিছু হলে মেঘ ভাইয়া তো আমাকে ইন্নানিল্লাহ করে দিবে….

.

বেলা ১২টা…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো।
মেরিন: আম্মু….. আমার কফি & জুস… আম্মু….
( মেরিন ঘুম থেকে উঠে গরম কফি আর ঠান্ডা জুস একসাথে খায়। ?)।

মেরিন: আম্মু……
নীড় ওর হাতে ১টা গ্লাস দিলো। মেরিন মুখে দিলো। দিয়ে বুঝলো এটা করল্লার জুস। আর করল্লা মেরিন একদমই খায়না। খপ করে মুখ থেকে ফেলে দিলো। যা পরলো নীড়ের মুখে।
মেরিন: yuck থু থু… আম্মু ত…
মেরিন দেখে নীড় দারিয়ে আছে।
মেরিন: হাহাহাহা….
নীড় আর কিছু না বলে মেরিনের ঠোটজোরা দখল করে নিলো।

.

একটুপর…
মেরিন: আপনার সাহস কিভাবে হয়…
নীড়: অনেক সাহস আমার সেটা সবাই জানে।
মেরিন: আপনার কোনোদিনও ভালো হবেনা।
নীড়: good …
১০মিনিটে রেডি হয়ে নিচে আসো। না হলে কি করবো নিজেও জানিনা….
নীড় নিচে চলে গেলো। মেরিন নীড়কে হাজারটা বকা দিয়ে নিচে নামতে নিলো। তখন আবার হুট করে নীড় এলো। দেখলো মেরিন মেরুন রঙের ১টা শাড়ি পরেছে। ৫মিনিট মেরিনকে গভীরভাবে দেখে মেরিনের মাথায় ঘোমটা দিয়ে দিলো।
নীড়: নিচে আমার পুরো জাতগুষ্ঠি বসে আছে… তাই একটু মার্জিতভাবে চলো। আর যদি শাড়ি খুলে তাহলে কেয়ামত করবো।
মেরিন রেগে নিচে গেলো।

.

নিহাল: কি খবর মামনি?
মেরিন: ক্ষুধা লেগেছে… ?।
নিহাল: সে কি…. এই নীলিমা… মামনির জন্য এক্ষনই খাবারের ব্যাবস্থা করো। ৫মিনিট wait করো। মামনি।
মেরিন: thank u এত্তোগুলা শশুড়বাবা।
নিহাল: শশুড় বাবা just বাবা বলবে। ok?
মেরিন: হামম। বাবা আমি আমাদের বাসায় যাবো…
নীলিমা খাবার নিয়ে এসে
বলল: কেন এটা কি তোমার বাসা না…
মেরিন: উহু…. এটা ওই লোকটার বাসা। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের বাসা।
নিহাল: মোটেও না আজকে থেকে এটা তোমার বাসা। ওই অপদার্থের বাসা না।
নীড়: বাবা তুমি বাইরের মেয়েটার সামনে আমাকে অপদার্থ বললা?
নিহাল: তো তোমাকে কি পদার্থ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলবো না নিউটন বলবো।
মেরিন খিলখিল করে হেসে উঠলো।
নীলিমা: দেখি মামনি হা করো তো…
নীলিমা মেরিনকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
নীড়: মামনি তুমি আপুর আর আমার আম্মু আর ওই মেয়েটার শাশুড়ি…
নীলিমা: আরেকটা উল্টা পাল্টা কথা বললে তোর ১টা দাঁতও থাকবেনা।
মেরিন মনে মনে: ঠিক হয়েছে শালি বিশ্ব বখাটে …. huh…
নীলিমা: বেশি কথা বললে তোকে মেয়ের জামাই ডাকবো….
নীড়ের দাদু-দীদা, বোন-দুলাভাই সবাই মেরিনকে অনেক আদর করলে। গল্প টল্প করতে করতে মেরিনের আর ওর রুমে যাওয়া হলোনা….

.

রাতে…
recipetion এর program শুরু হলো… মেরিন কালো রঙের গাউন পরেছে। সাথে black diamondএর সব jewelry … টিপটাও কালো। লাল-খয়েরি রঙের লিপস্টিক। চুল গুলো মেসি বান করা।
একদম western look with বাঙালি touch … পুরাই মেরিনের পছন্দমতো। মেরিনের ইচ্ছা ছিলো বিয়েতে পুরাই বাঙালী সাজ দেয়ার আর বৌভাতে western-bengal mix করা সাজ দেয়ার। আর বাকী সবাই সাদা থাকবে।
মেরিন অনেক অবাক হলো। নীড়ও black suit পরেছে। একদম perfect জুটি লাগছে।
মেরিন মনে মনে :এই লোকটা dark chocolate লাগা বন্ধ করবে…. ঢং দেখিয়ে চুল dark করা হয়েছে… মনে করেছে আজও crush খাওয়াবে… নিজেকে শাহরুখ খান ভাবছে শালি হিরো আলম মার্কা আমির খান… সব black পরেছে…. মেয়ে পটাতে হবেনা ১০-১২টা…. যত্তোসব… তুই যদি শালি আজকে ১টাও মেয়ে পটাস তো আমি ১০০টা ছেলেকে পটাবো….
নীড় ফিসফিস করে বলল: আমাকে দেখা হয়ে গেলে মুখ বন্ধ করে… চোখ ঘুরাও মানুষ বেহায়া বলবে….
মেরিন: huh…
নীড়ের বন্ধুরা এসে মেরিনকে ভাবী ভাবী বলে অস্থির। এরপর ওরা খান বাড়িতে গেলো।
মেরিন: ভাইয়া….
মেঘ: হ্যা মিষ্টি বাচ্চা…
মেরিন: আমি আর ওই বাসায় যাবোনা…
মেঘ:সে কি? কেন?
মেরিন: আমার ওই লোকটাকে ভালো লাগেনা…. কি যেন নাম… নীড় না ক্ষীর…
মেঘ: তোমার strawberry ক্ষীড়…

মেরিন মনে মনে: হায় হায় ভাইয়া চিনলো কি করে উনাকে? সত্যিটা জানলে তো ভাইয়া উনাকে খুন করতেও ২বার ভাববে না…. আমার dark chocolate এর কি হবে।
মেঘ: london এ নীড়কে ১বার দেখেছিলাম। মনে আছে তুমি পরে গিয়েছিলে…
মেরিন 😕
মনে মনে: যাক অন্যকিছু জানেনা..
মেঘ: একটু রাগী হলেও ওর background ভালো…
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি? আমি আর যাবোনা…
মেঘ: না গেলে যে BMW টা পাবেনা…
মেরিন: আমার লাগবেনা…
মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা…
মেরিন: না আমি যাবোনা… আমার লাগবেনা…
মেঘ: জল্লাদ বাপ যে ক্ষেপে যাবে।
মেরিন: না আমি যাবোনা ।
মেঘ: মানুষ খারাপ বলবে সোনা…
মেরিন: না আমি যাবোনা…
কবির : তোমাকেই
যেতেই হবে।
মেরিন: কেন?
কবির: কারন আমার ছেলেটারও settle হতে হবে।
মেরিন: তো আমি করেছি না কি? আমি তো..
কবির: বিয়ের পর মেয়েরা বাসায় থাকলে সে সংসারে কখনো সুখ হয়না। এটা আমার বন্ধুর কাছে আমার সম্মানের ব্যাপার। আর তোমার জন্য এর আগেই মে…. মেরিন কিছুনা বলে দামদুম করে চলে গেলো।
মেঘ: বাবা এভাবে না বললেই পারতে বাচ্চাটা কষ্ট পেলো ।
কবির: এখন একটু কষ্ট পেলেও ওর ভবিষ্যতের জন্য ভালো… ওকে তো স্থির হতে হবে… জেদটাও কমাতে হবে। আর নীড়ই পারবে ওকে স্থিক করতে।
মেঘ: তবুও….
কবির: আমার ১টা বাচ্চার জন্য তো কিছুই করতে পারলাম না। আরেকটা বাচ্চার জীবন আর নষ্ট হতে দিবোনা।

.

মেরিন : সব হয়েছে নষ্ট হাতির ডিমের জন্য। আচ্ছা হাতি কি ডিম পারে? না পারলে আমার বাপের কি… মেরিন গিয়ে দেখলো
নীড় পরম সুখে ৪ হাত-পা মেলে ওর বেডের ওপর ঘুমিয়ে আছে। মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে check করলো যে ও সত্যিই ঘুম কি না। দেখলো সত্যি ঘুম।
মেরিন : তোর আরামের ঘুমের এখনই সারে সর্বনাশ করবো। দারা তুই।
মেরিন এসব ভাবছিলো তখন নীড় মেরিনের হাত খপ করে ধরে টেনে নিয়ে বেডে শুইয়ে ওকে চেপে ধরে ওর ওপর ভর ছেরে দিলো।
মেরিন: ও আম্মুগো আমার কোমড়….
আ….
দেখলো নীড় অদ্ভুদভাবে তাকিয়ে আছে। আর এই দৃষ্টির মানে মেরিন বোঝে। তাই বড়বড় ঢোক গিলতে লাগলো। নীড় মেরিনের গলায় মুখ গুজে দিলো…. এরপর মেরিনের ঠোট দখল করে নিলো। মেরিন ৪৪০ ভোল্টের ঝটকে খেলো। আগে নীড় এভাবে তাকানো মানে ওর ঘাড়ে ১কোনায় একটু অত্যাচার না হলে ওর চুলে। কিন্তু আজকে… মেরিন নীড়কে ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলো।

.

একটুপর…
মেরিন: এটা কি হলো?
নীড়:কোনটা?
মেরিন: মাত্র যেটা করলেন….?.
নীড়:দেখোনি? ok no problem … আবার করো দেখাচ্ছি….
মেরিন: না…?..
নীড়:?।
মেরিন: আপনি না অন্যমেয়েকে ভালোবাসেন।
নীড়: হ্যা বাসি। তো?
মেরিন; তো আপনি romance করলেন কেন?
নীড়: romance কখন করলাম… ওহ… এটা কোনো romance ছিলোনা। শাস্তি ছিলো।
মেরিন: কিসের?
নীড়: আমার ঘুম নষ্ট করার।
মেরিন: আমি কখন আপনার ঘুম নষ্ট করলাম?
নীড়: করোনি তবে করতে। i love my ঘুম। যদি কখনো কোনোদিনও আমার ঘুমের রফা দফা করার কথা কল্পনাও করো তবে আরো ভয়াবহ কিছু হতে পারে।
মেরিন : কি করবেন হ্যা কি করবেন?
নীড়: শাস্তি দিবো। romance করে। যেন তুমি কাউকে গিয়ে কিছু না বলতে পারো।
মেরিন: ?।
নীড় আবার ধপাস করে শুয়ে পরলো। এরপর মেরিনকে টেনে বুকে নিয়ে আষ্ঠেপিষ্ঠে জরিয়ে নিলো।
মেরিন: আম….
নীড়: ১টা sound করলে…..
বলেই নীড় মেরিনের তিলটাতে kiss করা ধরলো। minimum ২ঘন্টাপর ছারলো। ততোক্ষনে মেরিন ঘুমিয়ে পরেছে।
নীড় : পাগলি…

.

পরদিন ওরা আবার চৌধুরী বাড়িতে গেলো। মেরিন তো রেগে আগুন হয়ে গেলো। ঠিক করে গেলো আর কখনো খান বাড়িতে যাবেনা। সারাটা রাস্তা মেরিন কাদতে কাদতে গেছে। এমনকি বাসায় গিয়েও কান্না করছে। নীড় কান্না না থামিয়ে সেই তখন থেকে আরো ওকে নকল করছে। ভেঙাচ্ছে। যারজন্য মেরিন আরো বেশি কান্না করছে। তখন নিহাল এসে নীড়ের কান টেনে
বলল: এই অপদার্থ,, আমার মামনিটা কান্না করছে তুই থামানো তো দূরের কথা আরো বেশি কান্না করাচ্ছিস? দেখ তোর আজকে কি করি? মামনি এই অপদার্থ টাকে আজকে আমি বাদর নাচ নাচাবো। এখন তো ১টা মিষ্টি কালার হাসি দাও।
মেরিন: সত্যি?
নিহাল : হামমম। চলো আমার সাথে নিচে চলো।
মেরিন: হামম।
ওরা নিচে গেলো। নিহাল নীড়কে নিয়ে কানে ধরিয়ে ১পায়ে দার করিয়ে রাখলো। মেরিন হেসে কুটিকুটি।
পরে রাতের খাবার টাবার খেয়ে মেরিন রুমে গেলো।

.

রুমে এসে মেরিন অনেক অবাক হলো। কারন নীড়ের রুমটা ঠিক ওর রুমের মতোই সাজানো। এমনকি paint টাও ওর রুমের মতো। বিয়ের দিন তো রাত ছিলো তাই দেখা হয়নি। আর আগের দিন খেয়ালই করেনি। এখন খেয়াল করলো। মেরিন ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো। বারান্দায় গেলো। দেখলো ওর দোলনার মতোই দোলনা।
মেরিন মনে মনে: হলুদের শাড়িটাও ঠিক আমার মনের মতো ছিলো, বিয়েরটাও। পরশু রাতে ফুলগুলো দিয়ে রুমটা আমার মনের মতোই সাজানো হয়েছিলো, কালকে রিসিশনেও আমার ইচ্ছা অনুযায়ী সব decoration হলো। এমনকি আমার get upটাও… আর রুমটাও তো আমার রুমের মতো। বেডটাও। আমার wish তো কেউ জানেনা। আর আমি যে আমার রুম ছারা অন্য কোথাও comfortable না সেটাও আম্মু-বাবা-ভাইয়া ছারা কেউ জানেনা…. কেবল ১জন ছারা। সে হলো নীড়। উনি তো আমার সবটাই জানেন। মানে জানতেন… কিন্তু আমার মতো তো উনিও জানতো না যে উনার বিয়ে আমার সাথে হয়েছে… কতোটা অবাক হয়েছিলো… আর জানলেও কি এমন করবে কেন? উনি তো কোন না কোন মোহ কে ভালোবাসে। আচ্ছা মোহের নাম কি??? যাই হোক আমার বাপের কি…. হারামজাদা বাপ তোর কপালে বউ নাই দেখিস… ধুর ভালোলাগেনা…
নীড় : মেরিন….???..
মেরিন: আমার কান… এতো চিল্লান কেন?
নীড় : আধা ঘন্টা ধরে ডাকছি… বয়রা…
মেরিন: ?।
নীড়: জাদুঘর দেখা শেষ?
মেরিন: জাদুঘর? আমি তো জাদুঘরে যাইনি । আমি তো এখানেই ছিলাম….
নীড় : মাথামোটা… তোমার ঢেরশ মার্কা মাথায় কিছু ঢোকবেনা।
মেরিন : huh…. আচ্ছা আপনি নিজের রুমটা আমার রুমের মতো করে সাজিয়েছেন কেন? মিস্টার কপ ক্যাট…
নীড় : কেন পৃথিবীতে কি তুমিই একমাত্র ডিজাইনার যে তোমার মতো আর কারোটা হবেনা।
মেরিন: ?
নীড় : আমার রুম always ই এমন । huh…

.

পরদিন….
সবাই খাবার টেবিলে বসে নাস্তা করেছে। তখন নীড় রেডি হয়ে নামলো। মেরিন আরেকদফা crush খেলো। কারন এই প্রথম ও নীড়কে এমব formal lookএ দেখলো। চোখে চশমা পরা। সাদা শার্ট, কালো কোট। হাতে আরেক কালো কোট। পুরাই perfect …
মুখে চিরপরিচিত বাকা হাসি আর সেই টোলে মেরিন বারবার মরে যায়…
নিহাল: একি তুমি আজকে বের হচ্ছো?
নীড় : হামম। আজকে ১টা special meeting আছে।
দাদুভাই : তুমি তো ছুটিতে…
নীড় : ছিলাম…. but বিয়ের জন্য ছুটি কাটিয়ে ঘরে বসে থাকা ১টা ফালতু বাহানা….
নিহাল : বেশি করছো কিন্তু….
নীড় : বাবা আমার কাজ আগে। আর just ১টা মিটিং। চলেই তো আসবো।
নিহাল : তাহলে ওই কালো কোট নিয়ে যাওয়ার কি দরকার?
নীড়: বাবা… forget it
নীড় হাতে ১টা আপেল নিয়ে চলে গেলো।
নিশা ( নীড়ের বোন ) ফিসফিস করে
বলল: মিটিং না ছাই… গেছে তো ওই শাকচুন্নির সাথে দেখা করতে গেছে… ঢং.. huh…
নিশা কথাটা আস্তে করেই বলল। কিন্তু মেরিনের পাশে বসার কারনে মেরিন সবটা শুনতে পেলো।

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে