বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 6

0
1878

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 6
writer : Mohona

.

ইমান দৌড়ে গিয়ে ইয়াকে জরিয়ে ধরলো। নীড়-মেরিন ২জনই ওদের জায়গায় নিজেদের কে দেখছে।

.

আকাশ ফিসফিস করে
বলল : মামমা… ইমানের তো হয়ে গেলো। তোমারটা কবে হবে?
নীড়: জানিনা। আমারটাতো ১৮ বছরের বাচ্চা….
সবাই সিটি বাজালো। তালি দিলো। ইয়া-ইমানের খুশি সবাই কেক কেটে পালন করলো।
মেরিন মনে মনে: এই শালি dark chocolate কবে আমাকে propose করবে… huh এই চিড়িয়াখানার পেতনি তো অন্যকাউকে ভালোবাসে। আমাকে কেন propose করবে। ?। শালি তোকে ওই আফ্রিকান টিকটিকি বুড়িগঙ্গায় চুবাবে। তাও অমাবস্যায়…. huh….

.

একটুপর…
ইমান-ইয়াকে সবাই ঘুরতে পাঠালো। বাকীরাও তাদের নিজ নিজ gfদের নিয়ে গেলো। রয়ে গেলো নীড়-মেরিন।
মেরিন : আমার সোনা মনাকে দিন। আমি বাসায় যাবো।
নীড়: ওদের already তোমার বাসায় পৌছে দিয়েছি। বিশ্বাস না হলে ফোন করে জিজ্ঞেস করো।
মেরিন: huh…bye…
যেতে নিলে নীড় মেরিনের হাত ধরে ফেলল।
মেরিন: ….
নীড়: তুমি এখন যেতে পারবেনা।
মেরিন: কেন?
নীড়: কারনে দেখা শেষ হয়নি….
মেরিন: মানে?
নীড়: কিছুনা…. come with me…
নীড় মেরিনকে নিয়ে যেতে লাগলো।
মেরিন: আরে আরে…. আমাকে এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আমি কি গরু নাকি?
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনকে টেনে নিয়ে গেলো। ১টা ঘোড়ার গাড়ির সামনে দার করালো। যেটার ঘোড়া ২টাতো ধবধবে সাদাই সেই সাথে গাড়িটাও সাদা। সাদা গোলাপ দিয়ে সাজাো। ভীষন সুন্দর । মেরিন হা করে দেখছে।

.

নীড় আগে উঠে হাত বারিয়ে দিলো। মেরিনের মনে হচ্ছে যে ও স্বপ্ন দেখছে। কারন এটা ওর ছোটোবেলার স্বপ্ন। যে ওর prince charming আসবে। এমন সাদা ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে আসবে। ওকে নিয়ে চলে যাবে। মেরিন হা করে নীড়কে দেখছে। আর নীড়েরও স্বপ্ন ছিলো ওর dreamgirl কে নিয়ে কোনো ১দিন এভাবে ঘুরবে। তাই মেরিনকে আজ সাদা গাউন পরতে বলেছে।
নীড়: এই যে… হাত দাও। নিজেকে princess ভেবে খুশি হওয়ার দরকার নেই। হাত দাও।
নীড়ের ঝাড়িতে মেরিন টমেটো হলো। চলে যেতে নিলো। নীড় লাফ দিয়ে নেমে মেরিনকে কোলে তুলে গাড়িতে বসালো। এরপর গাড়ি চলতে লাগলো। মেরিন গাল ফুলিয়ে বসে আছে। তখন নীড় ১হাতে টেডি আর অন্য হাতে chocolate box নিয়ে মেরিনের সামনে ধরলো। মেরিন তো এত্তোগুলা খুশি হয়ে গেলো। কিন্তু ওগুলো নিলোনা।
নীড়: এগুলো তোমার। আর আমি কোনো kidnapper না।
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি? huh…
নীড় মুচকি হেসে
বলল: ধরো এগুলো।
মেরিন: আমার বাবার অনেক টাকা তাই আমি অন্যের দেয়া কিছু নেই না।
নীড়: হামম বুঝলাম।
বলেই নীড় ১টা ফুলের তোরা এগিয়ে দিলো। যেটা ভীষন সুন্দর। royal … ফুল মেরিনের অন্যতম দুর্বলতা। আর গোলাপ তো ওর কলিজা।
ফুলগুলো নিলো। আর ঘ্রাণ নিতে লাগলো। নীড় অবাক চোখে দেখছে ওর মোহ কে। খুব সুন্দর করে সেদিনটা কাটলো ।

.

৩দিনপর…
মেরিন গালে হাত দিয়ে বসে বসে কফি খাচ্ছে। কারন ইয়া তো ইমানের সাথে প্রেম করতে ব্যাস্ত। তাই মেরিন একা বসে আছে। তখন রুবেল ধপাস করে এসে বসলো। মেরিন চমকে গিয়ে আম্মু গো বলল। আর দুম করে কফিটা পরে গেলো।
রুবেল: i m so sorry…. angel ..
মেরিন: kidnapper… তোমার problem টা কি বলোতো… টেবিলের তো রফা দফা করলেই সাথে আমার চেহারারও… আর angel কে হামম?
রুবেল: আমি তোমার মুখ মুছে দিচ্ছে।
মেরিন: কেন? আমার কি হাত নেই?
রুবেল খপ করে ১টা টিস্যু ন্যাপকিন নিয়ে মেরিনের গাল পরিষ্কার করতে লাগলো। আর ঠিক তখনই নীড় এলো। আর এমন দৃশ্য দেখে নীড়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো। রেগে ওখান থেকে চলে গেলো।

.

একটুপর…
মেরিন হেটে যাচ্ছে। তখন নীড় খপ করে হাত ধরে ১টা ফাকা রুমে গেলো। মেরিনকে দেয়ালে ঠেকালো।
মেরিন : আপনার স…
আর বলতে পারলোনা। নীড়ের চোখ দেখে হয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো।
নীড়: রুবেলের সাথে এতো কিসের কথা? হ্যা? আর যেন কখনো রুবেলের সাথে কথা না বলতে দেখি।
বলেই নীড় চলে যাচ্ছিলো।
মেরিন: দারান মিস্টার strawberry ক্ষীর।
মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে
বলল: রুবেল আমার বন্ধু তাই আমি কথা বলবোই । বুঝেছেন….
মেরিন যেতে নিলে নীড় মেরিনের হাত চেপে ধরে
বলল: কি বললা আরেকবার বলো…
মেরিন:১০০বার কথা বলবো।
নীড় রাগের চোটে মেরিনের হাত আরো জোরে চেপে ধরলো। মেরিন ব্যাথার চোটে চোখ বন্ধ করে ফেলল। চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো। তখন নীড়ের হুশ হলো যে ও কি করেছে। মেরিনের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাত লাল হয়ে গেছে। রক্ত জমাট বেধে গেছে।
নীড় মনে মনে: oh no… কি করলাম।
নীড় হাত ছারতেই মেরিন দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
নীড়: দারাও মেরিন… মেরিন…
নীড় আসতে আসতে মেরিন গাড়ি নিয়ে চলেও গেলো।
রাতে নীড় চুপিচুপি গিয়ে মেরিনের হাতে অসংখ্য kiss করলো।

.

পরদিন..
মেরিন ক্লাসে ঢুকবে তখন দেখে নীড় কানে ধরে ঠোট উল্টিয়ে দারিয়ে আছে। গলায় sorry বোর্ড ঝুলিয়ে। ভীষন cute লাগছে।। মেরিন মুখ ভেংচি দিয়ে ক্লাসে ঢুকে গেলো। মেরিন ঢুকে যেতেই নীড় মনটা খাপাপ করে ফেলল। মেরিন দরজার সামনে এসে কাত হয়ে
বলল: এই সবাই দেখে যাও নার্সারীর বাচ্চা strawberry ক্ষীর কানে ধরে দারিয়ে আছে.. কেউ ললিপপ দাও… ??।
নীড়: sorry তো। আসলে…
মেরিন: huh… দাঁত ছারা বাদর।
নীড়: মোটেও না।
এভাবে ১কথায় ২কথায় মেরিন রেগে গেলো। আর রেগে গিয়ে নীড়ের হাতে দিলো ১টা কামড়। আর নীড় কেবল দেখলো।
নীড় মনে মনে: পাগলি….

.

পহেলা বৈশাখের আগের দিন…
আকাশ : ৫ ৫টা shopping mall ঘুরলি। সাথে আমাদেরকেও ঘোরালি।
নীড়: ৫০টা ঘোরাবো তোদের সমস্যা?
রাব্বি: না রে আমাদের সমস্যা না । সব সমস্যা পায়ের।
ইমান: তুই খুজছিসটা কি? সেটা বলবি তো?
নীড়: কালো পাঞ্জাবি।
সূর্য: কেন কেন?
নীড়: কালকের জন্য।
আকাশ : ভাতিজা কালকে ২১শে ফেব্রুয়ারিও না আর ১৫ আগস্ট না যে তুমমমি কাইল্লা পাঞ্জাবি পরবা। কালকে পহেলা বৈশাখ।
নীড়: হ্যা তো?
ইমান: তুই তো always লাল-সাদা কম্বিনেশনের পাঞ্জাবি পরিস। তাহলে আজকে?
নীড়: “পহেলা বৈশাখের দিন যে লাল-সাদা পরতে হবে তা কোনো শাস্র বা সংবিধানে লেখা নেই। তাই কালোই পরবো। কার বাপের কি?”
এটা মেরিনের কথা। তাই প্রতিবছর ও কালো শাড়িই পরে।
so এ বছর এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সব বছর আমিও পহেলা বৈশাখে কালোই পরবো। ?।
৪জন:??।

.

পরদিন…
আজকে পহেলা বৈশাখ। মেরিন কালো রঙের ১টা সুতি কাপড় পরেছে। সাথে পরেছে কাচা ফুলের গহনা। লাল-সাদা-কালো গোলাপের গহনা। লাল গোলাপই বেশি। লাল রঙের লিপস্টিক আর লাল টিপ। মেরিন তারাতারি ready হয়ে বের হলো। already … ১১টা বাজে।
কনিকা: আজকে ক’জনকে মারবি রে….
কথাটা শুনে কবির আর মেঘ ভীষম খেলো।
কবির: কনা… ও তোমার মেয়ে। বান্ধবি না….
কনিকা: হামম মেয়ে। সেই সাথে আমার best friend ও…
কবির: princess … এখানে আসো তো।
মেরিন গেলো। কবির মেরিনকে থুথু দিয়ে দিলো।
মেরিন: এটা কি করলা? এ্যা .. হ্যা হ্যা… ভাইয়া দেখো জল্লাদ বাপ আমাকে ঝুটা করে দিলো। আম্মু…
মেঘ মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো।
মেঘ: ওলে মিষ্টি বাচ্চালে কাদেনা… আমি তোমাকে chocolate দিচ্ছি।
মেরিন ১গাল হেসে
বলল: সত্যি?
মেঘ: হামম।
কবির: chocolate কি কেবল ভাইয়াই দিতে পারে আমি দিতে পারিনা?
বলেই কবির এত্তোগুলা chocolate box মেরিনকে দিয়ে
বলল: শুভ নববর্ষ মামনি।
মেরিন লাফ দিয়ে গিয়ে কবিরকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন: thank you বাবা… & শুভ নববর্ষ।
কবির: আরো ১টা নববর্ষ gift বাকী আছে তো।
মেরিন: কি gift? কবির চাবি বের করলো।
কবির: ta da… new red BMW car…
মেঘ মেরিনকে black diamond এর ১টা আংটি দিলো। যেটা মেরিনের ভীষন কিনতে ইচ্ছা করছিলো। কিন্তু কাউকে বলেনি। তবুও মেঘ ঠিকই বুঝতে পেরে যায়। মেরিন নতুন গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে গেলো।

.

নীড়: উফফ… এখনো এলোনা কেন? কখন থেকে wait করছি… আজকে আসুক। থাপ্পর মারবো ধরে।
নীড় বারবার ঘড়ি দেখছে । নীড় দারিয়ে অপেক্ষা করছে আর মেয়েরা ওকে দেখে আহত নিহত হচ্ছে। হবেই তো। নীড় কালো রঙের পাঞ্জাবি পরেছে। যার মধ্যে হালকা করে লাল নকশা করা। কালো রঙের ধূতি। হাতা ফোল্ড করা। কালো ঘড়ি। চুল গুলো সুন্দরভাবে সেট করা। জিম করা বডি। just wowwww… মেরিন গাড়ি নিয়ে entry নিচ্ছে। গাড়ি চালানোর style এই নীড় বুঝলো মেরিন এসে গেছে। মেরিন মনের সুখে গাড়ি চালিয়ে আসছে। হঠাৎ নীড়ের ওপর চোখ পরলো। আর নীড়কে দেখে বড় সরো ঝটকা খেলো। গাড়ি বেসামাল হয়ে গেলো। একটুর জন্য আকাশের ওপর উঠতে উঠতে বেচে গেছে।
আকাশ : আআআ…..
মেরিন: uffs…
মেরিন গাড়ি থেকে দৌড়ে নামলো।
মেরিন: আকাশ ভাইয়া ঠিক আছো…
আকাশ : আর ঠিক… বছরের প্রথম দিনেই তোমার হাতে মরতে মরতে বাচলাম সারাবছর কি আছে কে জানে… ? ।
মেরিন মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে
বলল: sorry ভাইয়া।
আকাশ দেখলো যে আসলেই মেরিনের হাসিটা মিষ্টি। আকাশ উঠে দারালো।
আকাশ : its ok…
মেরিন: শুভ নববর্ষ ভাইয়া…
আকাশ : তোমাকেও শুভ নববর্ষ। sweet ভা… আপুই… হেই পিছে ঘুরবে না।
মেরিন: কেন?
আকাশ : তুমি ঘুরলেই কেউ মরে heart attack করবে। মরেই যাবে।
আসলে পিছে নীড় দারিয়ে আছে। তাই আকাশ এই কথাটা বলল।

আকাশের কথাটা শুনে মেরিন হেসে দিলো। এরপর পিছে ঘুরলো । দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। ২জন জনকে দেখে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।
মেরিন মনে মনে: আজকে তো সত্যিকারের dark chocolate লাগছে। নজর না লাগে যেন dark chocolate এর গায়… হায়… না না মেরিন বন্যা খান কখনো 2nd hand জিনিস ব্যাবহার করেনা। থাক আমার মন তুই মন খারাপ করিস না। তোকে আমি অনেকগুলো dark chocolate খাওয়াবো। কিছুতেই এই strawberry ক্ষীরের ওপর crush খাবোনা। ভুলে যাসনা মেরিন এটা ১টা আস্ত strawberry …huh… থাক মেরিন আমার সমবেদনা তোর সাথে আছে….
নীড় মনে মনে: তোমার কোনো রূপই ignore করা সম্ভব না। তাক লাগানো । তোমার মতোই তোমার dress up ও unique … সত্যিই তোমার মতো কেউ নেই। তাই তো তোমাকে ভালোবাসি। বড় বেশি ভালোবাসি। তুমি কি কখনো বুঝবে….
নীড় এগিয়ে গিয়ে ১টা ফুলের তোরা মেরিনকে দিলো।
নীড়: শুভ নববর্ষ।
মেরিন: আপনাকেও শুভ নববর্ষ।
নীড়: these for u…
মেরিন: ….
নীড়: তোমাকে একা না.. সবাইকেই দিয়েছি।
মেরিন ফুলের তোরাটা নিলো।

.

একটুপর….
ইমান: এখন আপনাদের সামনে ১টা গান গাইবে the lover & chocolate but devil boy…
নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
আর সবাই করতালি দিতে লাগলো। মেয়েদের উৎসাহের শেষ নেই। নীড় নীড় স্লোগান দিতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: কি ঢং… নীড়…
নীড়….??…
নীড় স্টাইলে মেরে স্টেজে উঠলো। এরপর স্টাইল মেরে গিটারটা নিলো।
মেরিন মনে মনে: আহা কি ভাব… যেন শাহরুখ খান… কিন্তু শালি তুই তো ১টা হিরো আলম মার্কা আমির খান। huh… বারবার চুল ঠিক করে। যেন সে ১টা rapanzel… ঢং … huh… বেহায়া… চিড়িয়াখানার পেতনি, আফ্রিকান ডাইনি… huh…
নীড় গিটারে সুর তুলল।
নীড় মনে মনে: this one for u… মোহ…

নীড় গাইতে শুরু করলো।

???
কি করে বল… তোকে বোঝাই
হৃদয় জুরে তুই শুধু একাই
দুটি চোখে তোরই ছবি ভাসে দিবানিশি
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤ #️বড়_বেশি_ভালোবাসি ❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

চাইনাতো আর অন্যকিছু
পেয়ে গেছি তোকে আজ
নেইতো আমি আমার মাঝে
ভুলেছি রে যতো কাজ (2)

তোকে ঘিরেই স্বপ্ন সাজাই
আমি বারো মাসই…
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤️বড় বেশি ভালোবাসি❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

ছারবোনা আর কোনোদিনও
ধরেছি এই দুটি হাত
পারবোনা আর থাকতে একা
আসে যদি কালোরাত (2)

দূরে গিয়ে আবার তাই তো
ফিরে ফিরে আসি

তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤বড় বেশি ভা️লোবাসি❤️❤️
তোকে অনেক ভালেবাসি।।

কি করে বল তোকে বোঝাই
হৃদয় জুরে তুই শুধু একাই
দুটি চোখে তোরই ছবি ভাসে দিবানিশি…
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤বড় বেশি ভালোবাসি️❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

???

.

পুরো গান নীড় চোখ বন্ধ করেই গেয়েছে। কেবল তোকে অনেক ভালোবাসি কথা গুলো চোখ খুলে মেরিনের দিকে তাকিয়ে বলেছে। গান শেষে করতালি, সিটি আর ফুলের বর্ষন হলো। নীড় একটু ঘুরে চোখের পানিটা মুছে নিলো। আর মেরিন…

মেরিন মনে মনে: হায় উনার আর কতো কতো গুন আছে… থাক হোক 2nd hand… আমারই তো dark chocolate … divorce থুরি break up করিয়ে দিবো। কিন্তু আমার কেন জানি কান্না পাচ্ছে। আমার পিও গানটা গাইলো। ইশ আমিও যদি উনার সাথে গাইতে পারতাম। ধুর ভালো লাগেনা।
মেরিন উঠে গেলো। নীড়ও ওর পিছে পিছে গেলো। গিয়ে দেখলো মেরিন গপাগপ ফুচকা-ice cream খাচ্ছে।
মেরিন: আহ ভাবা যায়… london এ ফুচকা….
মেরিন মনের সুখে ফুচকা-ice cream খাচ্ছে। নীড় মেরিনের জন্যেউ ফুচকার ব্যাবস্থা করেছে। তার পাশেই ice cream … মেরিন ঝাল খায়না বলে ঝাল কম কম দিতে বলেছে। হঠাৎ মেরিনের ফুচকাতো ১টুকরো মরিচ চলে এসেছে। যেটা খেয়ে মেরিন মরে যায় মরে যায়। এদিক ওদিক ঝালের চোটে ছোটাছোটি করতে লাগলো।
যারজন্য….

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 6
writer : Mohona

.

ইমান দৌড়ে গিয়ে ইয়াকে জরিয়ে ধরলো। নীড়-মেরিন ২জনই ওদের জায়গায় নিজেদের কে দেখছে।

.

আকাশ ফিসফিস করে
বলল : মামমা… ইমানের তো হয়ে গেলো। তোমারটা কবে হবে?
নীড়: জানিনা। আমারটাতো ১৮ বছরের বাচ্চা….
সবাই সিটি বাজালো। তালি দিলো। ইয়া-ইমানের খুশি সবাই কেক কেটে পালন করলো।
মেরিন মনে মনে: এই শালি dark chocolate কবে আমাকে propose করবে… huh এই চিড়িয়াখানার পেতনি তো অন্যকাউকে ভালোবাসে। আমাকে কেন propose করবে। ?। শালি তোকে ওই আফ্রিকান টিকটিকি বুড়িগঙ্গায় চুবাবে। তাও অমাবস্যায়…. huh….

.

একটুপর…
ইমান-ইয়াকে সবাই ঘুরতে পাঠালো। বাকীরাও তাদের নিজ নিজ gfদের নিয়ে গেলো। রয়ে গেলো নীড়-মেরিন।
মেরিন : আমার সোনা মনাকে দিন। আমি বাসায় যাবো।
নীড়: ওদের already তোমার বাসায় পৌছে দিয়েছি। বিশ্বাস না হলে ফোন করে জিজ্ঞেস করো।
মেরিন: huh…bye…
যেতে নিলে নীড় মেরিনের হাত ধরে ফেলল।
মেরিন: ….
নীড়: তুমি এখন যেতে পারবেনা।
মেরিন: কেন?
নীড়: কারনে দেখা শেষ হয়নি….
মেরিন: মানে?
নীড়: কিছুনা…. come with me…
নীড় মেরিনকে নিয়ে যেতে লাগলো।
মেরিন: আরে আরে…. আমাকে এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আমি কি গরু নাকি?
নীড় কোনো কথা না বলে মেরিনকে টেনে নিয়ে গেলো। ১টা ঘোড়ার গাড়ির সামনে দার করালো। যেটার ঘোড়া ২টাতো ধবধবে সাদাই সেই সাথে গাড়িটাও সাদা। সাদা গোলাপ দিয়ে সাজাো। ভীষন সুন্দর । মেরিন হা করে দেখছে।

.

নীড় আগে উঠে হাত বারিয়ে দিলো। মেরিনের মনে হচ্ছে যে ও স্বপ্ন দেখছে। কারন এটা ওর ছোটোবেলার স্বপ্ন। যে ওর prince charming আসবে। এমন সাদা ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে আসবে। ওকে নিয়ে চলে যাবে। মেরিন হা করে নীড়কে দেখছে। আর নীড়েরও স্বপ্ন ছিলো ওর dreamgirl কে নিয়ে কোনো ১দিন এভাবে ঘুরবে। তাই মেরিনকে আজ সাদা গাউন পরতে বলেছে।
নীড়: এই যে… হাত দাও। নিজেকে princess ভেবে খুশি হওয়ার দরকার নেই। হাত দাও।
নীড়ের ঝাড়িতে মেরিন টমেটো হলো। চলে যেতে নিলো। নীড় লাফ দিয়ে নেমে মেরিনকে কোলে তুলে গাড়িতে বসালো। এরপর গাড়ি চলতে লাগলো। মেরিন গাল ফুলিয়ে বসে আছে। তখন নীড় ১হাতে টেডি আর অন্য হাতে chocolate box নিয়ে মেরিনের সামনে ধরলো। মেরিন তো এত্তোগুলা খুশি হয়ে গেলো। কিন্তু ওগুলো নিলোনা।
নীড়: এগুলো তোমার। আর আমি কোনো kidnapper না।
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি? huh…
নীড় মুচকি হেসে
বলল: ধরো এগুলো।
মেরিন: আমার বাবার অনেক টাকা তাই আমি অন্যের দেয়া কিছু নেই না।
নীড়: হামম বুঝলাম।
বলেই নীড় ১টা ফুলের তোরা এগিয়ে দিলো। যেটা ভীষন সুন্দর। royal … ফুল মেরিনের অন্যতম দুর্বলতা। আর গোলাপ তো ওর কলিজা।
ফুলগুলো নিলো। আর ঘ্রাণ নিতে লাগলো। নীড় অবাক চোখে দেখছে ওর মোহ কে। খুব সুন্দর করে সেদিনটা কাটলো ।

.

৩দিনপর…
মেরিন গালে হাত দিয়ে বসে বসে কফি খাচ্ছে। কারন ইয়া তো ইমানের সাথে প্রেম করতে ব্যাস্ত। তাই মেরিন একা বসে আছে। তখন রুবেল ধপাস করে এসে বসলো। মেরিন চমকে গিয়ে আম্মু গো বলল। আর দুম করে কফিটা পরে গেলো।
রুবেল: i m so sorry…. angel ..
মেরিন: kidnapper… তোমার problem টা কি বলোতো… টেবিলের তো রফা দফা করলেই সাথে আমার চেহারারও… আর angel কে হামম?
রুবেল: আমি তোমার মুখ মুছে দিচ্ছে।
মেরিন: কেন? আমার কি হাত নেই?
রুবেল খপ করে ১টা টিস্যু ন্যাপকিন নিয়ে মেরিনের গাল পরিষ্কার করতে লাগলো। আর ঠিক তখনই নীড় এলো। আর এমন দৃশ্য দেখে নীড়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো। রেগে ওখান থেকে চলে গেলো।

.

একটুপর…
মেরিন হেটে যাচ্ছে। তখন নীড় খপ করে হাত ধরে ১টা ফাকা রুমে গেলো। মেরিনকে দেয়ালে ঠেকালো।
মেরিন : আপনার স…
আর বলতে পারলোনা। নীড়ের চোখ দেখে হয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো।
নীড়: রুবেলের সাথে এতো কিসের কথা? হ্যা? আর যেন কখনো রুবেলের সাথে কথা না বলতে দেখি।
বলেই নীড় চলে যাচ্ছিলো।
মেরিন: দারান মিস্টার strawberry ক্ষীর।
মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে
বলল: রুবেল আমার বন্ধু তাই আমি কথা বলবোই । বুঝেছেন….
মেরিন যেতে নিলে নীড় মেরিনের হাত চেপে ধরে
বলল: কি বললা আরেকবার বলো…
মেরিন:১০০বার কথা বলবো।
নীড় রাগের চোটে মেরিনের হাত আরো জোরে চেপে ধরলো। মেরিন ব্যাথার চোটে চোখ বন্ধ করে ফেলল। চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো। তখন নীড়ের হুশ হলো যে ও কি করেছে। মেরিনের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাত লাল হয়ে গেছে। রক্ত জমাট বেধে গেছে।
নীড় মনে মনে: oh no… কি করলাম।
নীড় হাত ছারতেই মেরিন দৌড়ে বেরিয়ে গেলো।
নীড়: দারাও মেরিন… মেরিন…
নীড় আসতে আসতে মেরিন গাড়ি নিয়ে চলেও গেলো।
রাতে নীড় চুপিচুপি গিয়ে মেরিনের হাতে অসংখ্য kiss করলো।

.

পরদিন..
মেরিন ক্লাসে ঢুকবে তখন দেখে নীড় কানে ধরে ঠোট উল্টিয়ে দারিয়ে আছে। গলায় sorry বোর্ড ঝুলিয়ে। ভীষন cute লাগছে।। মেরিন মুখ ভেংচি দিয়ে ক্লাসে ঢুকে গেলো। মেরিন ঢুকে যেতেই নীড় মনটা খাপাপ করে ফেলল। মেরিন দরজার সামনে এসে কাত হয়ে
বলল: এই সবাই দেখে যাও নার্সারীর বাচ্চা strawberry ক্ষীর কানে ধরে দারিয়ে আছে.. কেউ ললিপপ দাও… ??।
নীড়: sorry তো। আসলে…
মেরিন: huh… দাঁত ছারা বাদর।
নীড়: মোটেও না।
এভাবে ১কথায় ২কথায় মেরিন রেগে গেলো। আর রেগে গিয়ে নীড়ের হাতে দিলো ১টা কামড়। আর নীড় কেবল দেখলো।
নীড় মনে মনে: পাগলি….

.

পহেলা বৈশাখের আগের দিন…
আকাশ : ৫ ৫টা shopping mall ঘুরলি। সাথে আমাদেরকেও ঘোরালি।
নীড়: ৫০টা ঘোরাবো তোদের সমস্যা?
রাব্বি: না রে আমাদের সমস্যা না । সব সমস্যা পায়ের।
ইমান: তুই খুজছিসটা কি? সেটা বলবি তো?
নীড়: কালো পাঞ্জাবি।
সূর্য: কেন কেন?
নীড়: কালকের জন্য।
আকাশ : ভাতিজা কালকে ২১শে ফেব্রুয়ারিও না আর ১৫ আগস্ট না যে তুমমমি কাইল্লা পাঞ্জাবি পরবা। কালকে পহেলা বৈশাখ।
নীড়: হ্যা তো?
ইমান: তুই তো always লাল-সাদা কম্বিনেশনের পাঞ্জাবি পরিস। তাহলে আজকে?
নীড়: “পহেলা বৈশাখের দিন যে লাল-সাদা পরতে হবে তা কোনো শাস্র বা সংবিধানে লেখা নেই। তাই কালোই পরবো। কার বাপের কি?”
এটা মেরিনের কথা। তাই প্রতিবছর ও কালো শাড়িই পরে।
so এ বছর এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সব বছর আমিও পহেলা বৈশাখে কালোই পরবো। ?।
৪জন:??।

.

পরদিন…
আজকে পহেলা বৈশাখ। মেরিন কালো রঙের ১টা সুতি কাপড় পরেছে। সাথে পরেছে কাচা ফুলের গহনা। লাল-সাদা-কালো গোলাপের গহনা। লাল গোলাপই বেশি। লাল রঙের লিপস্টিক আর লাল টিপ। মেরিন তারাতারি ready হয়ে বের হলো। already … ১১টা বাজে।
কনিকা: আজকে ক’জনকে মারবি রে….
কথাটা শুনে কবির আর মেঘ ভীষম খেলো।
কবির: কনা… ও তোমার মেয়ে। বান্ধবি না….
কনিকা: হামম মেয়ে। সেই সাথে আমার best friend ও…
কবির: princess … এখানে আসো তো।
মেরিন গেলো। কবির মেরিনকে থুথু দিয়ে দিলো।
মেরিন: এটা কি করলা? এ্যা .. হ্যা হ্যা… ভাইয়া দেখো জল্লাদ বাপ আমাকে ঝুটা করে দিলো। আম্মু…
মেঘ মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো।
মেঘ: ওলে মিষ্টি বাচ্চালে কাদেনা… আমি তোমাকে chocolate দিচ্ছি।
মেরিন ১গাল হেসে
বলল: সত্যি?
মেঘ: হামম।
কবির: chocolate কি কেবল ভাইয়াই দিতে পারে আমি দিতে পারিনা?
বলেই কবির এত্তোগুলা chocolate box মেরিনকে দিয়ে
বলল: শুভ নববর্ষ মামনি।
মেরিন লাফ দিয়ে গিয়ে কবিরকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন: thank you বাবা… & শুভ নববর্ষ।
কবির: আরো ১টা নববর্ষ gift বাকী আছে তো।
মেরিন: কি gift? কবির চাবি বের করলো।
কবির: ta da… new red BMW car…
মেঘ মেরিনকে black diamond এর ১টা আংটি দিলো। যেটা মেরিনের ভীষন কিনতে ইচ্ছা করছিলো। কিন্তু কাউকে বলেনি। তবুও মেঘ ঠিকই বুঝতে পেরে যায়। মেরিন নতুন গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে গেলো।

.

নীড়: উফফ… এখনো এলোনা কেন? কখন থেকে wait করছি… আজকে আসুক। থাপ্পর মারবো ধরে।
নীড় বারবার ঘড়ি দেখছে । নীড় দারিয়ে অপেক্ষা করছে আর মেয়েরা ওকে দেখে আহত নিহত হচ্ছে। হবেই তো। নীড় কালো রঙের পাঞ্জাবি পরেছে। যার মধ্যে হালকা করে লাল নকশা করা। কালো রঙের ধূতি। হাতা ফোল্ড করা। কালো ঘড়ি। চুল গুলো সুন্দরভাবে সেট করা। জিম করা বডি। just wowwww… মেরিন গাড়ি নিয়ে entry নিচ্ছে। গাড়ি চালানোর style এই নীড় বুঝলো মেরিন এসে গেছে। মেরিন মনের সুখে গাড়ি চালিয়ে আসছে। হঠাৎ নীড়ের ওপর চোখ পরলো। আর নীড়কে দেখে বড় সরো ঝটকা খেলো। গাড়ি বেসামাল হয়ে গেলো। একটুর জন্য আকাশের ওপর উঠতে উঠতে বেচে গেছে।
আকাশ : আআআ…..
মেরিন: uffs…
মেরিন গাড়ি থেকে দৌড়ে নামলো।
মেরিন: আকাশ ভাইয়া ঠিক আছো…
আকাশ : আর ঠিক… বছরের প্রথম দিনেই তোমার হাতে মরতে মরতে বাচলাম সারাবছর কি আছে কে জানে… ? ।
মেরিন মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে
বলল: sorry ভাইয়া।
আকাশ দেখলো যে আসলেই মেরিনের হাসিটা মিষ্টি। আকাশ উঠে দারালো।
আকাশ : its ok…
মেরিন: শুভ নববর্ষ ভাইয়া…
আকাশ : তোমাকেও শুভ নববর্ষ। sweet ভা… আপুই… হেই পিছে ঘুরবে না।
মেরিন: কেন?
আকাশ : তুমি ঘুরলেই কেউ মরে heart attack করবে। মরেই যাবে।
আসলে পিছে নীড় দারিয়ে আছে। তাই আকাশ এই কথাটা বলল।

আকাশের কথাটা শুনে মেরিন হেসে দিলো। এরপর পিছে ঘুরলো । দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। ২জন জনকে দেখে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।
মেরিন মনে মনে: আজকে তো সত্যিকারের dark chocolate লাগছে। নজর না লাগে যেন dark chocolate এর গায়… হায়… না না মেরিন বন্যা খান কখনো 2nd hand জিনিস ব্যাবহার করেনা। থাক আমার মন তুই মন খারাপ করিস না। তোকে আমি অনেকগুলো dark chocolate খাওয়াবো। কিছুতেই এই strawberry ক্ষীরের ওপর crush খাবোনা। ভুলে যাসনা মেরিন এটা ১টা আস্ত strawberry …huh… থাক মেরিন আমার সমবেদনা তোর সাথে আছে….
নীড় মনে মনে: তোমার কোনো রূপই ignore করা সম্ভব না। তাক লাগানো । তোমার মতোই তোমার dress up ও unique … সত্যিই তোমার মতো কেউ নেই। তাই তো তোমাকে ভালোবাসি। বড় বেশি ভালোবাসি। তুমি কি কখনো বুঝবে….
নীড় এগিয়ে গিয়ে ১টা ফুলের তোরা মেরিনকে দিলো।
নীড়: শুভ নববর্ষ।
মেরিন: আপনাকেও শুভ নববর্ষ।
নীড়: these for u…
মেরিন: ….
নীড়: তোমাকে একা না.. সবাইকেই দিয়েছি।
মেরিন ফুলের তোরাটা নিলো।

.

একটুপর….
ইমান: এখন আপনাদের সামনে ১টা গান গাইবে the lover & chocolate but devil boy…
নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
আর সবাই করতালি দিতে লাগলো। মেয়েদের উৎসাহের শেষ নেই। নীড় নীড় স্লোগান দিতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: কি ঢং… নীড়…
নীড়….??…
নীড় স্টাইলে মেরে স্টেজে উঠলো। এরপর স্টাইল মেরে গিটারটা নিলো।
মেরিন মনে মনে: আহা কি ভাব… যেন শাহরুখ খান… কিন্তু শালি তুই তো ১টা হিরো আলম মার্কা আমির খান। huh… বারবার চুল ঠিক করে। যেন সে ১টা rapanzel… ঢং … huh… বেহায়া… চিড়িয়াখানার পেতনি, আফ্রিকান ডাইনি… huh…
নীড় গিটারে সুর তুলল।
নীড় মনে মনে: this one for u… মোহ…

নীড় গাইতে শুরু করলো।

???
কি করে বল… তোকে বোঝাই
হৃদয় জুরে তুই শুধু একাই
দুটি চোখে তোরই ছবি ভাসে দিবানিশি
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤ #️বড়_বেশি_ভালোবাসি ❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

চাইনাতো আর অন্যকিছু
পেয়ে গেছি তোকে আজ
নেইতো আমি আমার মাঝে
ভুলেছি রে যতো কাজ (2)

তোকে ঘিরেই স্বপ্ন সাজাই
আমি বারো মাসই…
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤️বড় বেশি ভালোবাসি❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

ছারবোনা আর কোনোদিনও
ধরেছি এই দুটি হাত
পারবোনা আর থাকতে একা
আসে যদি কালোরাত (2)

দূরে গিয়ে আবার তাই তো
ফিরে ফিরে আসি

তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤বড় বেশি ভা️লোবাসি❤️❤️
তোকে অনেক ভালেবাসি।।

কি করে বল তোকে বোঝাই
হৃদয় জুরে তুই শুধু একাই
দুটি চোখে তোরই ছবি ভাসে দিবানিশি…
তোকে অনেক ভালোবাসি
তোকে অনেক ভালোবাসি
❤️❤বড় বেশি ভালোবাসি️❤️❤️
তোকে অনেক ভালোবাসি।

???

.

পুরো গান নীড় চোখ বন্ধ করেই গেয়েছে। কেবল তোকে অনেক ভালোবাসি কথা গুলো চোখ খুলে মেরিনের দিকে তাকিয়ে বলেছে। গান শেষে করতালি, সিটি আর ফুলের বর্ষন হলো। নীড় একটু ঘুরে চোখের পানিটা মুছে নিলো। আর মেরিন…

মেরিন মনে মনে: হায় উনার আর কতো কতো গুন আছে… থাক হোক 2nd hand… আমারই তো dark chocolate … divorce থুরি break up করিয়ে দিবো। কিন্তু আমার কেন জানি কান্না পাচ্ছে। আমার পিও গানটা গাইলো। ইশ আমিও যদি উনার সাথে গাইতে পারতাম। ধুর ভালো লাগেনা।
মেরিন উঠে গেলো। নীড়ও ওর পিছে পিছে গেলো। গিয়ে দেখলো মেরিন গপাগপ ফুচকা-ice cream খাচ্ছে।
মেরিন: আহ ভাবা যায়… london এ ফুচকা….
মেরিন মনের সুখে ফুচকা-ice cream খাচ্ছে। নীড় মেরিনের জন্যেউ ফুচকার ব্যাবস্থা করেছে। তার পাশেই ice cream … মেরিন ঝাল খায়না বলে ঝাল কম কম দিতে বলেছে। হঠাৎ মেরিনের ফুচকাতো ১টুকরো মরিচ চলে এসেছে। যেটা খেয়ে মেরিন মরে যায় মরে যায়। এদিক ওদিক ঝালের চোটে ছোটাছোটি করতে লাগলো।
যারজন্য….

.
.
চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে