প্রণয় বর্ষণ পর্ব-১৫

0
827

#প্রণয়_বর্ষণ (১৫)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
_________________

সারাটাদিন বাড়িতে বসে বোর হয়েই কাটালো স্পর্শী। আজ বিয়ের পরেরদিন হওয়ায় রেহেনা বাড়ি থেকে বের হতে দিলো না৷ রেণু আপা আর তানিয়াও চলে গেছে। তারা ২/১ দিনের মধ্যেই নতুন ফ্ল্যাটে উঠবে। রাইমা স্কুল গেছে। রুদ্র সারাদিন বাড়ির বাহিরেই ছিলো। স্পর্শী রুমে বিছানার ওপর পা তুলে বসে রুদ্রের অপেক্ষা করছিলো। সে সময় স্ব শব্দে ফোন বেজে ওঠে। একবার উকি দিয়ে ফোন দেখে নখ কামড়াতে থাকে। আজ সারাদিন নিম্নে ১০০ বার কল দিছে তার বন্ধুমহল। সে ভয়েই ফোন তোলেনি। কারণ তাদের না জানিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে স্পর্শী এটা যে কত বড় অ’পরাধ তা একমাত্র সে আর তার বন্ধুমহল জানে। ফোন বেজে বেজে কেটে গেলে স্পর্শী ফোনটা নিয়ে টুক করে বালিশের নিচে রেখে দেয়। একটা বালিশ কোলে নিয়ে নখ কামড়াতে থাকে। কিছুক্ষণ বাদেই রুদ্র রুমে আসে। স্পর্শীকে এই অবস্থায় দেখে ভ্রু কিঞ্চিত কুঁচকায়৷

‘তোর এই অবস্থা কেন? আর মুখে আঙুল কেন বাচ্চাদের মতো? আঙুল বের কর মুখ থেকে।’

স্পর্শী মুখ থেকে আঙুল বের করে দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসে রুদ্রের কাছে। রুদ্র কপালে ভাজ ফেলে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

‘কি হয়ছে?’

‘আপনি সারাদিন কই ছিলেন? জানেন আপনার জন্য কত বড় বিপদে পড়ছি আমি!’

‘মানে! আমি কি করছি?’

‘কি করেননি এটা বলেন! কেন আমাকে এভাবে বিয়ে করে নিলেন? আমার বন্ধুমহল এই খবর পাওয়ার পর থেকে সারাদিনে ১০০+ কল & টেক্সট দিছে। আল্লাহ সামনে পাইলে না জানি আমারে চান্দের দেশে আউট করে দেয়!’

রুদ্র স্পর্শী কথার ধরণে শব্দ করে হেঁসে দেয়। বি’দ্রুপ করে বলে, ‘আহারে! না জানি তোর সাথে ওরা কি করে! তো তোর বন্ধুমহলের সবাইকে এ তাজা, গরম খবর দিলোটা কে?’

স্পর্শী কপালে ভাজ ফেলে। সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘এদিকে আমার কান্না করার মতো দশা আর আপনি ৩২ টা দাঁত বের করে আমারে দেখাচ্ছেন! আপনার জন্যই তো বি’পদে পড়ছি।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে আমি আর হাসবো না।’

স্পর্শী আর কিছু না বলে বসে থাকে। রুদ্র ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে একবার ঘড়ির দিকে তাকায়। রাত প্রায় ১০ টা বাজে। শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করে,

‘খেয়েছিস?’

‘আপনার যে হি’ট’লার মা তাতে করে আপনি না আসলে আমাকে খেতে দিবে বলে মনে হয়!’

রুদ্র ফোঁস করে শ্বাস নেয়। দরজার দিকে হাঁটা লাগিয়ে বলে, ‘আয়! খেতে হবে তো। কাল থেকে আবাার ভার্সিটিও শুরু করবি।’

স্পর্শী কিছু না বলে রুদ্রের পিছু পিছু নামে। দুজনে খেয়ে এসে শুয়ে পড়ে। দুজন দূরত্ব রেখে শুয়ে পড়লেও রুদ্র ঘুমায় না। স্পর্শী সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে। স্পর্শী যখন গভীর ঘুমে তখন রুদ্র স্পর্শীকে টেনে নেয় নিজের প্রশস্ত বুকে। স্পর্শী ঘুমের মধ্যেই মুখ গুজে দেয় রুদ্রের বুকে। রুদ্র প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিয়ে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে থাকে তার পর্শীকে।

___________
স্পর্শী আজ সকাল সকালই উঠে। নিজেকে কারো হাতের বন্ধনে অনুভব হতেই ফট করে মাথা তুলে উপরে তাকায়। রুদ্রর মুখ দেখে একবার নিজের অবস্থা দেখে নেয়। মানুষটা কি শান্তিতে ঘুমাচ্ছে! স্পর্শী হেসে নিজেও শক্ত করে একবার জড়িয়ে ধরে। তারপর কোনো মতে নিজেকে ছাাড়িয়ে ওয়াশরুমে যায়। ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে যেতেই দেখে সকাল সকাল রাইমাও উঠে গেছে। স্পর্শী হেঁসে বলে,

‘বাব্বাহ এতো সকাল সকাল উঠে পড়েছিস!’

‘হ্যাঁ। সামনে তো ফাইনাল এক্সাম ভোরে উঠে পড়তে হয়।’

‘তুই তাহলে পড়াশোনাও করিস!’

রাইমা ভ্রু কুঁচকে বলে, ‘কেন? তুমি কি ভাবছিলা ভাবিজান!’

স্পর্শী হেঁসে বলে, ‘ভাবছিলাম তুই শুধু পাকনামিই করিস।’

রাইমা ফোঁস করে ওঠে। স্পর্শী শব্দ করে হাসে। বলে, ‘চা খাবি নাকি কফি?’

‘ভাবি চলো আজ দুজন মিলে কফি বানাই।’

‘মোটেও না। তোরে রান্নাঘরে নিয়ে গেলে নিশ্চিত শ্বাশুড়ি আম্মা আমার গো’ষ্ঠীর পি’ন্ডি করে দিবে।’

রাইমা চোখ মে’রে হেঁসে বলে, ‘তোমার গো’ষ্ঠী তো আম্মুরও গো’ষ্ঠী তাই কিছু বলতে নিলে সেইটা মনে করিয়ে দিবে। ব্যাস কাহিনী শেষ! তাছাড়া ভাইয়া বাড়িতে আছে না এখন কিছুই বলবে না তোমাকে।’

দুজনেই হেঁসে ওঠে। একসাথে রান্নাঘরে ঢোকে কফি বানানোর জন্য। একসাথে কফি বানিয়ে কেবল মগে ঢেলে নিয়েছে সে সময় হাজির হয় রেহেনা। রাইমাকে কিচেনে দেখে গম্ভীর গলায় বলে,

‘রাইমা তুই রান্নাঘরে কেন?’

রাইমা দাঁত বের করে বলে, ‘কফি খেতে আসছি আম্মু৷ ভাবি বানায়ছে। খাবা!’

রেহেনা চোখ মুখ কুঁচকে স্পর্শীকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘তোর দ্বারা কি কোনো কাজ হয় না? আমার মেয়েকেও নিজের পেছন পেছন রান্নাঘরে ঢুকিয়েছিস!’

রাইমা কিছু বলার আগেই স্পর্শী বলে, ‘আরেহ শ্বাশুমা ননদিনী কে আজ না হয় কাল বিয়ে তো দিতেই হবে তাই আগে থেকেই ট্রেনিং দিচ্ছি। ঠিক না ননদিনী!’

রাইমা হেঁসে তাল মিলিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ ভাবি ঠিক।’

রেহেনা কটমট দৃষ্টিতে তাকায়। তারপর স্পর্শীকে বলে, ‘তোকে বলেছিলাম না শাড়ি পড়তে! পড়িস নাই কেন?’

‘আসলে কি শ্বাশু মা আমি তো শাড়ি পড়তে পারি না। এখন হয় আপনি পড়িয়ে শিখিয়ে দেন নয়তো শাড়ির কথা ভুলে যান।’

রেহেনা দাঁতে দাঁত চেপে বলে, ‘বে’দ্দ’ব!’

রাইমা আর স্পর্শী ৩২ টা দাঁত বের করে একসাথে বলে, ‘তোমারই গো’ষ্ঠী।’

রেহেনা জ্ব’লে ওঠে, ‘আবার মুখে মুখে তর্ক করছিস! আর ওকেও তর্ক করা শিখাচ্ছিস!’

‘নাহ আম্মু। ভাবি কেন শিখাবে! আমিই তো অনেক পারি।’

রেহেনা কটমট করতে করতে বিড়বিড় করে বলে, ‘ভাবি নেওটা!’

রাইমার আবার দারুণ গুণ। কারো ঠোঁট নাড়ানো দেখেই বুঝতে পারে সে কি বলছে! তেমনই এটাও বুঝে গেলো। লাফিয়ে উঠে বলে, ‘হ্যাঁ আম্মু ঠিক বলছো। আমি আসলেই ভাবি নেওটা!’

স্পর্শী ঠোঁট চেপে হাসে। রেহেনা রাগী লুক দিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হতে নিয়েও আবার ফিরে আসে। স্পর্শীর কাছে এসে গলার পেনডেন্ট ভালো করে দেখে বলে,

‘এটা ডায়মন্ডের?’

স্পর্শী হেঁসে মাথা নাড়ায়। তার শ্বাশুড়িকে জ্বা’লানোর জন্য এই ৩২ পাটির দাঁত দেখালেই হয়। রেহেনা কপালে ভাজ ফেলে বলে, ‘এটা তুই কবে কিনেছিস!’

‘আরেহ শ্বাশু মা! কিনবো কেন? আপনার ছেলে আছে না! সে আমাকে ফার্স্ট নাইট হিসেবে গিফ্ট করেছে। ফার্স্ট নাইটে নাকি বউকে কিছু দিতে হয় তাই সেও দিয়েছে আর কি!’

রেহেনা দাঁতে দাঁত চেপে রাগী কন্ঠে বলে, ‘নি’র্লজ্জের মতো আবার শ্বাশুড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলছে ফার্স্ট নাইট ফার্স্ট নাইট। একদম বে’হায়া!’

স্পর্শীকে হাজারটা বকা দিতে দিতে রেহেনা নিজের রুমের দিকে চলে যায়। পেছন থেকে রাইমা চেঁচিয়ে বলে, ‘ওহ আম্মু ভাবি অনেক ভালো কফি বানিয়েছে। খাবে নাকি? মাথা ঠান্ডা হবে।’

রেহেনা পিছু ফিরে রা’ক্ষুসে দৃষ্টিতে তাকায়। রাইমা কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে কফিতে চুমুক দেয়। রেহেনা চোখের আড়াল হতেই দুজনে শব্দ করে হাসে। রাইমা হাসতে হাসতে বলে,

‘কি দিলে ভাবি! তোমার শ্বাশু মা তো এখনই কন্ট্রোলে চলে আসতেছে।’

______
রুদ্র অফিস যাওয়ার সময় নিজেই স্পর্শীকে ভার্সিটি নামিয়ে দিয়ে যায়। স্পর্শী ভয়ে ভয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে ভার্সিটিতে ঢোকে। তানিয়াও আসবে আজ। কিন্তু সামিরা, সাফিন, নীরব, নাহিদ এদের হাত থেকে তাকে বাঁচাবে কে! সবগুলো বন্ধুকে বাদ দিয়ে সে বিয়ে করে নিয়েছে। মোটেও তার বন্ধুরা তাকে ছাড় দিবে না। কোনোমতেই না। ‘আল্লাহ আল্লাহ’ করতে করতে ভার্সিটিতে ঢুকতেই সামিরা আর সাফিন দৌড়ে আসে। স্পর্শী ভয়ে দোয়া পড়ে বুকে ফু দেয়। ততক্ষণে তানিয়া, নীরব, নাহিদও হাজির। সামিরা ভ’য়ং’কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

‘তোর সাহস দেখে আমার এক গ্লাস পানিতে ডু’বে ম’রে যেতে ইচ্ছা করছিলো। একে তো একা একা বিয়ে করে নিয়েছিস তারওপর আবার আমরা কল দিলাম তুই সেটাও ইগনোর করলি!’

স্পর্শী কাঁচুমাচু করে দাঁড়ায়। আমতা আমতা করে বলে, ‘আসলে দেখ! আমি তো বিয়ে করতে চাইনি। এ’ক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে। এখানে আমার কি দো’ষ?’

‘তোর নাক ফা’টিয়ে বডি বিল্ডারকে নাক ছাড়া বউয়ের জামাই বানিয়ে দিবো। মানলাম বিয়ে এ’ক্সিডেন্টলি হয়ে গেছে তাই বলে তুই জানাবিও না! আবার বড় বড় কথা বলতেছিস!’

সাফিনের ধমকে স্পর্শী ঢোক গিলে৷ আড়চোখে তানিয়ার দিকে তাকাতেই তানিয়া হাত দিয়ে বোঝায় ‘আজ তুই শেষ স্পর্শী।’ পাশ থেকে তানিয়াকে উদ্দেশ্য করে নাহিদ বলে,

‘শুধু ওটারে বকছিস কেন? এই যে এই মীর জাফরকেও কিছু বল!’

তানিয়া ঢোক গিলে চোখ বন্ধ করে গড়গড় করে বলে, ‘আমি কিছু জানি না। আমারে কিছু বলিস না।’

নীরব পাশ থেকে ভাবুক সুরে বলে, ‘কিন্তু বডি বিল্ডার ওকে বিয়ে করলো আমাদের জানালো না কেন?’

সামিরা বলে, ‘দেখ যা হওয়ার হয়ে গেছে। আজ ট্রিট না দিলে তোর সাথে আমরা ব্রেকআপ করমু। আই মিন বন্ধুত্ত্বের ব্রেক আপ।’

সাফিন, নীরব, নাহিদও তাল মেলায়। সাফিন তানিয়ার মাথায় গা’ট্টা মে’রে বলে, ‘কিরে তুই কস না ক্যা? ট্রিট চা।’

তানিয়াও ট্রিট চায়। স্পর্শী লাফিয়ে বলে, ‘এটুকু ব্যাপার! আরেহ তোদের আমি ট্রিট দিমু না তো কে দিবে? তোরা তো বড়লোক দুলাভাই পাইছোস তার পকেট ফাঁকা করে ফেল। হাজার হলেও তোরা একমাত্র শা’লা/শা’লি বলে কথা।’

বলেই দাঁত কেলায় স্পর্শী। নীরব হাত বগলদাবা করে বলে, ‘এসব বলে লাভ নেই। আমরা সবাই এখনো রেগে আছি।’

স্পর্শী কাঁদো কাঁদো দৃষ্টিতে তাকায়। সবাই তা পাত্তা না দিয়ে চলে যায়। স্পর্শী কপাল চাপড়ে নিজেও ক্লাসের দিকে যায়।

ভার্সিটি শেষ করে সবাই মিলে ঘুরতে বের হয়। রুদ্রকে ফোন করে বলে দিয়েছে স্পর্শী। রুদ্রও দ্বিমত করেনি। সবাই মিলে প্রথমে লেকের পাড় যায়। সেখানে ফুসকা, ভেলপুরি, ঝালমুড়ি খায়। সাফিন তো আবার খেতে পছন্দ করে। তাই সবাই ১ টা খেলে সে ঠিক ২ টা খাচ্ছেই। সামিরা সাফিনের পিঠে কি’ল বসিয়ে বলে, ‘এমন রা’ক্ষসের মতো খাস কেন তুই? তোর খাবার কি কেউ চু’রি করে নিয়ে যাবে!’

সাফিন রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘তুই তোরটাা খা গা’ধী। আমি রা’ক্ষসের মতো খাবো নাকি দা’নবের মতো খাবো আমার ব্যাপার। তোর কি হু তোর কি?’

স্পর্শী হেঁসে বলে, ‘নাহ রে ওর কিছু না। দোস্ত তুই খেতে থাক। বাড়ি গিয়ে যখন ওয়াশরুম টু বেডরুম হবে তখন বুঝবি!’

সাফিন মুখ কুঁচকে বলে, ‘ইয়াক ছিঃ খেতেই পারলাম না নজর লাগিয়ে দিলো!’

সবাই শব্দ করে হেঁসে দেয়। এই বন্ধুমহল গুলো একেকটা ছোট ছোট খুশির কারণ। এই যে সাফিনের খাওয়া নিয়ে বাহিরের লোকজনের সমস্যা থাকলেও স্পর্শীরা কেউ এটাতে বিরক্তবোধ করে না। সামিরাা এমনিও সাফিনকে সারাদিনই জ্বালায়।

খাওয়ার ফাঁকে নাহিদ, তানিয়া টুকটাক ছবি তোলে। একেকজনের পিক একেকরকম মজার। কেউ বড় হা করে আছে তো কেউ চোখ বন্ধ করে আছে। কেউ মুখে ফুচকা পু’রে মুখ ভম্বলের মতো করে আছে। এসব পিক দেখে তানিয়া আর নাহিদ হাসতে হাসতে শেষ। বাকি সবাইকে সেসব দেখালে দুজনেই মোটামুটি দৌড়ানি খায়। তানিয়া হাসতে হাসতে বলে,

‘এগুলোই একদিন আমাদের সবার স্মৃতি হয়ে থাকবে তাই না!’

দীর্ঘশ্বাস ফেলে সবাই। স্পর্শী গুমোট পরিবেশ টা স্বাভাবিক করতে বলে, ‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে মন খারাপ করে কোন পা’গল? বর্তমান টা তো আগে ইনজয় করে নেই। কি বলিস!’

সবাই তাল মিলায়। ঘোরাঘুরির মধ্যেই হাজির হয় নাঈম। নাঈমকে দেখে তানিয়া আর স্পর্শী চমকায়। রুদ্র এই ছেলেকে আজ আবার স্পর্শীর সাথে দেখলে নি’র্ঘাত স্পর্শীর প্রা’ণ যাবে। ভয়ে ঢোক গিলে হাসার চেষ্টা করে৷ নাঈম বড় করে শ্বাাস নিয়ে বলে,

‘তোমরা নাকি বাড়ি ছেড়ে দিয়েছো! কেন? কি হয়ছে৷ স্পর্শী?’

তানিয়া আর স্পর্শী কিছু বলার আগেই পেছন থেকে রুদ্রের ভরাট কন্ঠ ভেসে আসে,

‘কারণ এখন থেকে স্পর্শী তার শ্বশুরবাড়িতে থাকবে।’

ভয়ে শুধু গলাতেই বিষম খায় স্পর্শী। আজ নিশ্চিত তার ইন্না-লিল্লাহ হয়ে যাবে। মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করে আর চোখ মুখ খিঁচে বিড়বিড় করে বলে,

‘ওহ আল্লাহ এবারের মতো এই বডি বিল্ডারের থেকে বাঁচিয়ে দাও প্লিজ প্লিজ প্লিজ!’

চলবে..
(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে