নীলাময়ীর প্রেমে পর্ব ৩

0
1159

#নীলাময়ীর_প্রেমে

#Written_by_Tarin_Jannat
#পার্ট০৩

অতীতে…!!

রাহা ভার্সির্টিতে ডুকেই দেড়ি না করে সোজা ওয়াসরুমে ডুকে পরে।মিয়ানও রাহার পেছন পেছন ওয়াসরুমে ডুকে পরে…

–কি হয়েছে রাহা এভাবে চলে এলি কেন দৌড়ে?(মিয়ান)

— মি মি মিয়ান ওকে দেখ দেখেছি। আবার যদি আমাকে… ( প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে)

–নো রাহা বেবি তোর মনের ভুল ওসব কিছু না, আমাদের না পিকনিকে যাওয়ার কথা ছিলো,,লেট হয়ে যাবো জলদি চল..(মিয়ান)

পিকনিকের কথা শুনে কিছুটা চুপ হয়ে যায় কিন্তু ভয়টা এখনো মনে মধ্যে গ্রাস করে আছে..কিছু একটা ভেবে আবার নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ গভীরভাবে শ্বাস নিতে নিতে একসময় শান্ত হয়ে যায় রাহা..মিয়ানের দিকে তাকিয়ে একটা মুছকি হাসি দেয়..যার অর্থ এখন সে স্বাভাবিক…

-তাহলে চল (মিয়ান)

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায় রাহা..একটু এগিয়ে গিয়ে আবারও দাড়িয়ে যায় রাহা কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত তা মুখের চিন্তিতভঙ্গী দেখে বুঝা যাচ্ছে…

–কী হয়েছে রাহা??

–আন্টিকে পিকনিক কয়দিনের বলেছিলি??

–১ দিনের!! এর চায়তে বেশি আর থাকা যাবে না..

–(কিছু একটা ভেবে) হুম রাইট…আচ্ছা চল…

–এক সেকেন্ড তুই আবার কোনো জামেলার চক কষছিস নাকি মাথায়?? যদি তাই হয় তাহলে সব ঝেড়ে ফেলে দেয়..নয়তো তোর হিটলার বাপ আমার কি করে??

–এখন আমি উনার টাকায় খেলেও উনার টাকায় চলি না..একবার যখন বের হতে পেরেছি নিজের মর্জিতেই ফিরে যাবো।

–তাই কী রাহা?? দেখ সোজাভাবে যাচ্ছি সোজাভাবে চলে আসবো..আচ্ছা একটা কথা বলতো?? একদিনপর পিকনিক?? তোর কথায় সেখানে দুইদিনের কথা বললাম?কিন্তু তোর কাঁধের ব্যাগ তো অন্য কিছু বলছে??(মিয়ান)

— দেখতে যাও..টেনশান নিস তুই কিছুতেই ফাঁসবি না.. শুধু আমি যেভাবে বলবো ঠিক সেভাবেই তুকে সব বাসায় সবার সামনে উপাস্থাপন করতে হবে পারবি তো??

–বুঝতে পারছি..আমাকে ‘বলির পাঠী ‘ বানাতে চায়ছিস..?

–মেহু আধত সে মজবুর..(বলেই চেখ টিপ মারে)

–??? চল লেট হয়ে যাচ্ছি…

দুজনে বাসের দিকে রওনা দেই উদ্দেশ্য ‘কাপ্তায় নেভি ক্যাম্প’
!
!
!
!
!

— আচ্ছা আমরা আর কতো দূর?? এক্সাটলি কোথায় যাচ্ছি আগে..(ফাহান)

–“”জুম রেস্তোরাই”” সেখানেই তো কনসার্ট অর্গানাইজ হবে ভাপ্পি দা তো বলে দিয়েছে বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে কনসার্ট শুরু,,তো এখন আমরা মাত্র ‘চন্দ্রঘোনা’ এসেছি এরপর “”শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক”” এরপর
“”জুমুর” সেখান থেকে কাল জেরিঘাট যাবো…দেন আরো কোথায় কোথায় যাবি নাকি বলছিলি তুই সেখানে যাবো…(আবির)

আবির আর নোভা হচ্ছে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড মাঝখানে ফাইরাজ মাহমুদ ফাহান একজন সিঙ্গেল। দেখতে বেশ সুন্দর,ফর্সা,সুদর্শন যুবক ও বটে,,উচ্চতা ৬ ফুট,দেহের সুন্দর গঠনটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় তার মেয়ে ফ্যানদের কাছে..আপাততে মাস্টার্স করছে চিটাগং ভার্সিটি থেকে..চকবাজারে একটা ফ্ল্যাট কিনে ফাহান আর আবির থাকছে।

………………….
(কলেজের পুরো নাম হাইড রেখে শর্টফর্মে নামটা দিলাম)

RGA কলেজ এন্ড ভার্সিটির সব স্টোডেন্টরা সে অনেক আগেই কাপ্তাই নেভি ক্যাম্পে চলে যায়..অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা..

পাহাড়ের উপর দৌড়ে উঠে যায় রাহা..দু’হাত মেলে দিয়ে শ্বাস গ্রহন করছে..মিয়ান ও চুপটি করে রাহার কান্ড দেখছে এমনিতে ও কখনো তেমন বাড়ি থেকে বের হতে পারতো না তার উপর একটা বছর পুরো ঘরবন্ধি ছিলো মেয়েটা।অন্য কেউ হলে সেখানেই দম বন্ধ হয়ে মারা যেতো..তাই যা করছে করুক বাঁধা দিবে না এই ভাবনায় মিয়ানের মনে আনাগুনা করছে..

পাহাড়ের উপর থেকে রাহার চিৎকার শুনলেই সেদিকে তাকায় মিয়ান।

–মিয়ান তুই না বলছিলি আকাশ কোথায় মেঘলা দেখাইতে? ‘দেখ আকাশ এখন মেঘলা’ (হেসে)

রাহার কথায় মিয়ান সবখানে তাকিয়ে দেখে আসলেই মেঘলা.. রাহার পাশে আসতেই রাহা মিয়ানের হাত ধরে বলে উঠে…

–মিয়ান আমি আর ওই বাড়িতে যেতে চায়না এভাবে পাহাড়ে পাহাড়ে বাঁকিটা জীবন কেটে যেতে চায়..এই পাহাড়কেই নিজের ঘর বানাতে চায়..আচ্ছা আমি কী কখনো মুক্ত পাখির মতো আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারবো না…(রাহা)

বলেই মিয়ানকে নিয়ে মাটিতে বসে যায় রাহা..প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে এই মুহুর্তে.. কান্না যখন আরো ভেগপেতে চলে তখন রাহা চারপাশটা দেখে নেই..সবাই সবার মতো আনন্দে মেতে উঠতে ব্যাস্ত…তখনি আর চোখের পানি আটকে রাখা সম্ভব হয়নি ছেড়ে দেই…

মিয়ান রাহাকে কাঁদতে দেখে কিছু না বলে জড়িয়ে ধরল..কাঁদুক গত একবছর পাথরের মূর্তির মতো ছিলো।অনুভূতিহীন,বোধহীন এক মেয়েের মতো হয়ে ছিলো..এবার যদি মনটা হালকা হয়…

কাপ্তাই ঘুরাপেরা শেষ হলে তারা ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নেই.. এখান থেকে তারা আগে “”জুম রেস্তোরাই”” ফাইরাজ ফাহানের পারফর্ম দেখতে নামবে।যার পারফর্ম এতোদিন মোবাইল লাইভে দেখে এসেছে…। সবাই বাসে উঠলেই বাস ছেড়ে দেয়..
!
!
!
!
“”জুম রেস্তোরাই”” পৌছানোর পর ফাহান আর আবির একটা কটেজে উঠে..আর নোভা অন্য একটা কটেজে..
কাঠ দিয়ে তৈরি কটেজ গুলো দেখতে অসাধারন সুন্দর।মন কেড়ে নেওয়ার মতো…

ফাহান বসে বসে গভীর এক ভাবনার চক্করে পরেছে তা আবির বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে..

–কি ভাই কি এতে ভাবছিস.??

–কিছু না..

–কি তুই এতো বোরিং হয়ে গেলি কিভাবে…তোর কী..

আর কিছু বলার আগেই কলের টুন বাজতে লাগে তাকিয়ে দেখে ভাপ্পির ফোন.. তারমানে সব রেডি..আর কথা না বাড়িয়ে ফাহান একটা এ্যাশ কালারের শার্ট, এবং এ্যাশ কালারে কোর্ট,,ব্ল্যাক পেন্ট পরে নেই। ওয়াচ,শো পরে। পায়ের নিচে পেন্ট ফোল্ড করা। সিল্কি চুল স্পাইক করে নেই..ভয়ংকর সুন্দর লাগছে

–আজকেও তো ভয়ংকর সুন্দর লাগছে ভাই।আর সিঙ্গেল থাকিস না,, আজকেই একটা জিএফ খু্ঁজে নিস এইখান থেকে…

–আমার এসবে টাইম কই..!! এসব নিরর্থক কাজের সময় নেই আমার.চল….

–আহহা!! যাই বল কিসমাতের খেলের সাথে তুই কখনো পেরে উঠবি না..কেননা কিসমাত তার ন্যায়ায়ে চলে…

–দেখা যাক। (তারপর মোডি একটা ভাব নিয়ে বেরিয়ে যায় কটেজ থেকে)

সবাই বাস থেকে নেমে যায়..আশে পাশে যারা ছিলো সবাই সারিবদ্ধভাবে সিঁরি দিয়ে নেমে একেবারে সোজা নিচে চলে যায় কর্ণফুলী নদীর পাশেই ‘জুম রেস্তোরা’ অবস্থিত,,বড় করে স্টেজ করা হয়েছে….চারপাশে লাইটিং..!! বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অনুষ্টান শুরু,ভিবিন্ন ধরনের গান বাজছে,,ফাহানের পারফর্ম এখনো স্টার্ট হয় নি,,সবাই সবার আসন গ্রহন করে…

–তুই যাবি না রাহা?? কনসার্টে ??

–না তুই যা আমার ক্ষৃধা পেয়েছে,,এখান থেকে আগে চটপটি আর চিকেন-পোলাও খাবো,,যা আমি কখনোই মিস দিবো না,,তুই খেলে আয়। (রাহা)

–না খেতে বসলে আমি কনসার্ট মিস করে ফেলবো। তুই খেয়ে নে আমি যায়।আর হে খেয়ে সোজা নিচে চলে আসিস।আসলে আজ প্রথম ফাহানকে দেখবো,,সরাসরি দেখার জন্য কোনোদিন মোবাইল লাইভে দেখিনি,,আম সো এক্সাইটেড নাউ..(মিয়ান)

–আচ্ছা যা তাহলে….(রাহা)

মিয়ান নিচে চলে যেতেই রাহা চট করে তার পরিচিত এক আংকেলের কাছে যায়।এবং একটা কটেজ বুক করে নেই।লোকটি রাহাকে চেনে তার কারন রাহার নানা এর আত্বীয়। কটেজটি ফাহানের পাশেই রাহা কটেজে গিয়ে থ্রি-পিছ চেঞ্জ করে একটা হালকা নীলরঙের স্কার্ট হুয়াইট কালারের শার্ট,,সাথে হালকা নীল রঙের স্কার্ফ মাথায় দিয়ে গলার সাথে পেছিয়ে নেয়। তারপর কাঁধের জুলানো ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে পরে কটেজ থেকে।হাঁটতে হাঁটতে ব্যাগ থেকে ফোন বের করতে নিলেই দেখে ব্ল্যাক কালারের ফোনটা আছে ব্লু কালারেরটা ফোনটা নেই,,আবারো কটেজে গিয়ে হন্যহন্য হয়ে ফোনটা খুঁজতে লাগে এটা রাহার ফেভারিট ফোন এবং তার মায়ের দেওয়া শেষ স্মৃতি এটা,,একবছর আগে কিনে দিয়েছিলো রাহার মা।নিজের অন্য ফোন দিয়ে নীলরঙের ফোনটির নাম্বারে ডায়াল করে। রিং হচ্ছিলো কিন্তু সেটা কোথায় বুঝতে পারছে না। মন খারাপ করে কটেজ থেকে বেরিয়ে পরে আবারও।

সোজা কাঠের তৈরি সে রেস্টোরেন্টে যায় এবং চটপটি ওর্ডার দেয় খাওয়ার জন্য। চটপটি এলেই চটপটির বাক্সটা এবং চামচটা নিয়ে নিচে নেমে একেবারে রেস্তোরার বাইরে চলে আসে এবং রাস্তার অপরপাশে চলে যায়।প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে এই মুহুর্তে যা গলার ভেতরে আটকে আছে,,চায়লেও কান্না করতে পারছে না। কিছুক্ষন পর পাশে থাকাতেই ”স্বর্গ সিঁড়ি”’ লেখা একটা সাইনবোর্ড দেখে এবং তার পাশে বড় একটা সাদা হাঁস যার মুখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছে,,আর কিছু না ভেবে সেদিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়। ”স্বর্গ সিরি ” এর ১০০ থাক পার করার পর সাইডে বড় করে একটা জায়গা দেখে যেখানে গোল টেবিল রয়েছে চেয়ার রয়েছে উপরে বড় একটা ছাতাও রয়েছে। রাহা সেখানে গিয়ে বসে পরে। আকাশ মেঘলা তাই চারপাশে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে,ঠান্ডা মেঘমেদুর বাতাসে শরীরকে শিহরিত করে তুলছে। মনে হচ্ছে এক্ষনি বৃষ্টি নেমে আসবে মুশলধারার।

সেখানে বসে রাহা চটপটি খেতে শুরু করে।কয়েকটা সেলফিও তুলে নেই।উপর থেকে পুরো ”জুম রেস্তোরা”’ কর্ণফুলী নদী,,,পাশে আরো দু’ইটা পিকনিক স্পট দেখা যাচ্ছে,,,,

এমন সুন্দর একটা পরিবেশে রাহার যেকোন মন খারাপের কারনটা অন্তিম হয়ে যাবে। ফোনের কথাটা মাথা থেকে চলে যায়। পাশে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে আরো অনেকটা থাক বেয়ে উপরে যেতে হবে,, চটপটি খেয়ে যেই উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়,,, তখনি একটা গানের টিউন ভেসে আসে কানে,,,এটা রাহার সব প্রিয় গানগুলোর মধ্যে একটা,,,চেয়েছিলো উপরে যেতে কিন্তু নিজের মনকে ধমাতে পারে নি। ছুটে চলল সেই গানের উৎসের খুঁজে। সাবধানে “”স্বর্গ সিঁড়ির”” পাহাড় থেকে নেমে যায়।

আশেপাশে না তাকিয়েই দৌড় দেয় রাহা। রেস্তোরার গেইট দিয়ে ডুকেই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে হঠাৎ মাঝপথে থেমে যায়। মনে পড়ে যায় সেই একবছর আগের কথা।সেদিনো এভাবে কারো গানে মুগ্ধ হয়ে ছুটে চলেছিলো সে গান শুনার জন্য,,,আবারে সেই ভয়ংকর অতীত কড়া নেড়ে উঠে মনের ঘরে।

মুুহুর্তে চোখ মুখ খিচে ফেলে রাগ মাথায় উঠে যায়। জোরো জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করে নেয়।আশেপাশে তাকাতেই দেখে কেউ কেউ ঔত্সুখ্য দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিক।

তাদের তাকানো উপেক্ষা করে রাহা। সোজা হয়ে গভীরভাবে নিশ্বাস গ্রহন করে ছেড়ে দেয়। চুলগুলা হাতে ব্রাশ করে নেয়। স্কার্ফ মাথায় দিয়ে নেমে পরে অজানা গতীতে কারন এ গান শুনার পর রাহা কি আদৌ নিজেকে পুনরায় দ্বিতীয় ভুল করা থেকে বিরত রাখতে পারবে কী না জানে না…???

রাহা ”ভুতের গুহার”’ পাশেই দাড়িয়ে দেখছিলো সবার পেছন থেকে। কিন্তু পেছন থেকে দেখা যাচ্ছিলো না। বিধায় সামনে এগোতে লাগে।যতই সামনে এগোচ্ছে ততোই রাহা অনুভূব করছে তার হৃদপিন্ডের গতী যা এ মুহুর্তে উচ্চরবে প্রবহন করছে।

তবে মুখটা স্কার্ফ দিয়ে ডেকে ফেলে আগে।সামনে যেতেই বড় একটা ঝাটকা খায়।

–“একি এতো সকালের সেই ছেলেটা”এখানে?? (রাহা)

ফাহানকে দেখে রাহা নাক-মুখ চিটকাতে লাগলো।তার কারন ফাহান তখন রাহাকে ধমক দিয়েছিলো।এই ধমক জিনিটাই রাহা বেশি ক্ষেপ্ত,,যদিও তার মা মারা যাওয়ার পর এই জিনিসটায় সবার থেকে পেয়ে এসেছে।তবুও ধমকানিকে বেশ ভয় পায়। রাহা এসব ভাবছিলো। তখনি ফাহান গিটার বাজাতে লাগে। গাওয়া স্টার্ট দিতে যাবে সাথে সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। নিরানন্দ মেঘমেদুরে হয়ে যাওয়া আকাশের বুক ছিড়ে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি! উপরের দিকে কথাটি মনেমনে বলে নিলো ফাহান। মৃদু হাসি দেয়….

CEHRE MAIN TERE…..

KHUDKO MAIN DHOONDU…

AANKHON KI DHARMIYAN…

TU AB HAI IS TARAAH……

KHABOON KO BHI JAGAH NA MILEY…..

YEH MOSAM KI BAARISHH….??

YEH BAARISH KI PAANI…..?

YEH PAANI KI BOONDHEIN……?

THUJEY HI TOH DOONDHEIN….

[গান গায়তে গায়তে ফাহানের চোখ যায় গলায় নীলরঙের স্কার্ফ জুলানো মেয়েটির দিকে। ফাহানের তাকানোর কোনো ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু নীলরঙটা দেখে নিজের দৃষ্টিকে প্রশান্ত রাখতে পারেনি। তাকাতেই চমকিত হয়ে যায়।কারন ফাহান রাহাকে দেখতে পায় এবং রাহাকে এখানে আশাও করেনি।আবার কিছু একটা মনে আসতেই নিজের অজান্তে মুখ জেন্টাল স্মাইল চলে আসে]

YEH MINE KI KHWAAISHH…

YEH KHEAAISHH PURAANI….

HO POORI THUJI SE……

MERI YEH KHAHANI….

[চারপাশে তাকিয়ে গান গাওয়ার পর আবারো রাহার দিকে তাকায়]

KHABI TOOH MEIN UTHEOON…

JO SASOON SE GHUJROON…

TO AAYE DILKOO RAATH…..

MAIN HOO BE THIKANA…

PANAAH MOJKO PANAA..

HAIN TOJME DEI IJAAJATH..

NA KHOI DHAARMIYAN…

HUM DONO HAIN YAAHAIN…

PHIR KYIU HAIN TOH BATAAH FAASLEIN…

[রাহা ফাহানের গানে এতো মুগ্ধ হয়েছিলো যে মুখ থেকে স্কার্ফ সরে গেছে সেটার খেয়ালি করে নি।ফাহান তাকাতেই হুস আসে,,তড়িঘড়ি করে আবারো মুখ ডেকে নেই তাতে ফাহান ভ্রু কোচকে রাহার দিকে তাকিয়ে আবারো গায়তে লাগে]

YEH MOSAM KI BAARISHH….??

YEH BAARISH KI PAANI…..?

YEH PAANI KI BOONDHEIN……?

THUJEY HI TOH DOONDHEIN

❣❣

YEH MINE KI KHWAAISHH…

YEH KHEAAISHH PURAANI….

HO POORI THUJI SE……

MERI YEH KHAHANI??

হঠাৎ গান শেষ হতেই সবাই চিৎকার করে উঠে..রাহা তাকাতেই দেখে ফাহান নেমে ওর দিকে এগিয়ে আসছে,,,বুঝতে পারলোই রাহা পেছন দিকে ফিরে দৌড় দেয়…আর ফাহানের পেছন থেকে ডাকার আওয়াজ কানে আসছে….

–হেই মিস ওয়েট। হ্যালো মিস.. লিসেন টু মি।

রাহা না থেমে দৌড়ে সিঁড়ির উপর চলো যায়…

ফাহানের মুখ থেকে হঠাৎই একটা শব্দ বেরিয়ে যেটা তার মস্তিকের কারনে মুখে প্রকাশিত হয়..আর শব্দটা হচ্ছে #নীলাময়ী….

যেতে গিয়েও রাহা থেমে যায় আচমকা ডাকটা উপেক্ষা করার সাহস রাহার হয়নি। পেছন ফিরতেই দেখে ফাহান এগিয়ে আসছে…

–নো নো এই সিঙ্গারদের মায়ায় আমি আর পড়তে চায়,, না আমাকে এখান থেকে যেতেই হবে…(মনেমনে)

এতক্ষন সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো তাদের দিকে।ফাইরাজ ফাহান এই ফার্স্ট টাইম কোনো মেয়েকে এতো প্রেয়রিটি দিচ্ছে যেটা সবার ভাবনাকে দ্বিগুন করে তুলে দেখার জন্য যে এর পরে কী হবে???

সবার এই দৃষ্টি রাহার কাছে অস্বস্তি হচ্ছিলো বলে কোনোদিক নির্ধারন না করেই আবারো একটা দৌড় দেয়।এবং মুহুর্তে উধাও হয়ে যায়। আর রাহার এই দৌড়ানোটা চুরির আঘাতের মতো ফাহানের গায়ে গিয়ে বিধে.. আশেপাশে না তাকিয়ে কটেজের দিকে পা অগ্রসর করে সবার ঔত্সুখ্য দৃষ্টি উপেক্ষা করে।রাগটা কী নিয়ে? কাকে নিয়ে করবে বুঝতে পারছিলো না…

?(চলবে)?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে