ধারণার অতীত পর্ব-০৯ এবং শেষ পর্ব

0
1196

#ধারণার_অতীত [০৯]

মুনমুন মেয়েটার চোখেমুখে কোনো দ্বিধা নেই, যেন তার কোনো কথাই মিথ্যে নয়। অন্যদিকে আমি রাফানকে খুব খারাপ অবস্থায় দেখতে পেলাম, তার মুখটা ভয়ে একদম কুঁচকে গেছে।
তবুও আমি সবদিক ভেবেচিন্তে মুনমুন মেয়েটার উদ্দেশ্যে বলে উঠলাম,
‘ আরে আপনি ছাড়েন তো এসব। এসব প্রেম কাহিনী বিয়ের আগে টুকটাক থাকেই। আপনার আর রাফানের যাবতীয় অতীত ভুলে যান। আমার সাথে বিয়ে হচ্ছে মানে আমিই রাফানের সব। আপনি এখান থেকে চলে যান।

আমার শাশুড়ী আমার দিকে অবাক ভঙ্গিতে তাকালো। আমি থতমত করে বললাম,
‘ আমি কি ভুল কিছু বললাম?

তিনি হেসে বললেন,
‘ না না একদম ঠিক । বিয়ের আগে থাকতেই পারে, কিন্তু আমার ছেলেকে তো আমার পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে তাইনা?

এরপর উনি রাফানের দিকে চোখ ঘুরিয়ে বললেন,
‘ তবে রাফান… তোকে দিয়ে আমি এমনটা আশা করিনি।

রাফান দৃষ্টিনত করে চুপ রইলো। তার চুপচাপ মুখটা আমাকে বিষিয়ে তুলছিলো, আমি বারবার শুনতে চাচ্ছি, রাফান বলুক যে এই মেয়েকে সে চিনেনা, তার সাথে তার কখনোই কিছু ছিলোনা। কিন্তু রাফানের নিরবতা আরো গাঢ় হচ্ছে। যা আমার ভেতরে ঝড় তুলছে, সত্যিই কিছু ছিলোনা তো? রাফান আমার থেকে দূরে থাকে, আমার অজান্তে তার আরো কোনো সম্পর্ক থাকলে তা আমি জানবোনা, সে অন্য আট-দশটা ছেলের মতো প্রতারক হতে পারে?
এমন অদ্ভুত সব ভাবনা আমার মাথায় চেপে ধরেছে, বুঝতে পারছিলাম রাফানের মুখে কিছু না শোনা অব্দি আমি আর স্থির হতে পারবোনা।

এদিকে রাফানের মা মেয়েটার কাঁধে হাত রেখে বললো,
‘ দেখো মা, আমার ছেলেকে আমি খুব ভালোবাসি, আর আমার ছেলেও আমাকে খুব ভরসা করে। তুমি যেই হও না কেন, প্রিয়তমা কিংবা প্রিয়জন, আমি জানি রাফান আমার কথামতোই বিয়ে করবে!

মেয়েটা জোরে বলে উঠলো,
‘ হ্যাঁ হ্যাঁ রাফান এই কথা নিজের মুখে বলুক, আমি রাফানের মুখে শুনতে চাই। আপনারা আপনাদের কথাবার্তা বন্ধ করুন, রাফানকে কিছু বলতে দিন।

রাফান দ্রুত একবার চোখ উপরে তুলে আবার নামিয়ে ফেললো, আমি খেয়াল করছি সে ঘনঘন ঢোক গিলছে । আমার শাশুড়ী রাফানের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে উঠলো,
‘ রাফান তুই বলে দে! এই মেয়েকে তুই চাস না। আমার পছন্দই তোর পছন্দ।

রাফান চুপ করে রইলো। আর তার এই চুপ থাকা দেখে আমার বুকের মধ্যে হাতুড়ি পেটার আওয়াজ তীব্র হচ্ছে, রাফান এমন করছে কেন? সে কিছু তো বলুক!

সেসময় ভীড় ঠেলে রাদিফ ভাই আসলো। উনাকে দেখে আমি আশার সঞ্চয় করলাম। উনি রাফানের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আন্টিকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
‘ এসব কি খালামনি? আপনাকে রেখে এখানে ঝামেলা হবে কেন?

রাফানের মা রাদিফ ভাইয়ের কথায় আমতা আমতা করে করে জবাব দিলো,
‘ আরে এখানে এতলোকের সামনে একটা মেয়েকে তো অপমান করতে পারিনা। সে দাবী করছে সে রাফানে প্রেমিকা, তুমি তাকে প্লিজ বুঝাও যে আমি যাকে পছন্দ করেছি রাফান তাকেই বিয়ে করবে। আমরা এভাবে সব আয়োজন করে এখন তো বিপরীত কিছু করতে পারবোনা। আর রাফান নিজের বিরুদ্ধে বিয়ে করছেনা, সে এই বিয়েতে খুশি।

এইটুকু শুনতেই রাদিফ ভাইয়া বলে উঠলো,
‘ আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন খালামনি?

রাদিফ ভাইয়ের কথা শুনে আমিও আৎকে উঠলাম। উনিও আমার দিকটা ভুলে গেলেন? আরে রাফান আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করছে, সেখানে এতকিছু বলার প্রশ্নই খুঁজে পাচ্ছিনা। উনি সরাসরি মেয়েটাকে বিতাড়িত করতেও পারতেন। কিন্তু তা না করে বিরক্তিকর আচরণ করছেন, সবাই করছে।

রাফান এবার মাথা নেড়ে রাদিফ ভাইয়াকে ফিসফিস করে কিছু বললো। আমি দুই পা এগিয়ে শোনার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কিছুই শুনতে পেলাম না। রাদিফ ভাই আন্টির দিকে এগিয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে একটা কথা বললো, ঠোঁট নাড়ানোর ভঙ্গিতে এই কথার অর্থ বুঝতে আমার একটুও অসুবিধা হয়নি।

এরপর মেয়েটাকে রাদিফ ভাই কিছু বললো, মেয়েটা তাতে সায় দিয়ে সেখান থেকে আস্তে আস্তে সরে গেলো। আন্টিও হাসিখুশি, আর রাফানও এখন শঙ্কামুক্ত চাহনিতে আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমাদের পরিবারের সাথে থাকা অন্য লোকজনের ভুল ভাঙলো। শুধু আমি খুশি হতে পারলাম না, সাথে আমার আম্মুও। আব্বু এখানে উপস্থিত নেই,নাহলে নির্ঘাত সত্য প্রকাশ হয়ে যেতো, বাবা এতো ড্রামা সহ্য করতেন না। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় আমার মুখটা পেঁচার মতোই থাকলো, ভেতরে চাপা ব্যথা তো আছেই। এর মধ্যে রাফান আমার কাছাকাছি থাকলেও ব্যক্তিগত কথা বলার কোনো সুযোগই পেলাম না।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো। শেষ রাতের দিকে সবাই একটু আধটু শোয়ার জন্য যার যার সুবিধামতো জায়গা বেছে নিলো। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে আমি রাফানের সাথে কথা বলতে চাইলাম, তাকে ম্যসেজ করলাম, কয়েকবারের ফোনও দিলাম। কিন্তু কোনো রেসপন্স পেলাম না। আমার ঘুম উবে গেলো, আমার সকাল হলো মন খারাপ করে বসে থেকে। বিয়ে নিয়ে যাবতীয় আনন্দ আমার মাটি হয়ে গেছে, বারবার মনে হচ্ছে এতদিনেও আমি মানুষ চিনতে পারিনি, অবশেষে ভুল কাউকেই বেছে নিচ্ছি। সে যে যেকোনো সময় আমাকে ঠকিয়ে যা-তা কান্ড করে বেড়াবেনা তার নিশ্চয়তা কি?

বেলা গড়ানোর সাথে সাথে সবাই এক এক করে জাগতে লাগলো। গোছগাছ নিয়ে আশেপাশে শোরগোলও হচ্ছে।
আরো কিছু সময় পেরুতেই সবাই নিজেদের সাজগোজে ব্যস্ত হয়ে উঠলো।
আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সব ভাবনাচিন্তা দামাচাপা দিলেও আমার সাথে রাফানের আলাদা সময়গুলো যে খুব খারাপ যাবে তা আমি নিশ্চিত করে ফেললাম। তাকে একটা একটা করেই প্রশ্নের জবাবদিহিতা করতে হবে, প্রয়োজন হলে আমি তার মাকে সবকিছু জানিয়ে দিয়ে হলেও ওর প্রতারণার শাস্তি দিবো। এই বিয়ের পেছনে আমার বহু ত্যাগ, বহু সংগ্রাম! যদি মানুষটাই উপযুক্ত না হয়, দরকার হলে সব পেয়েও বিসর্জন দিয়ে দিবো।

যা ভেবেছিলাম তাই হলো, রাফান বিয়ে পরবর্তীকালীন সব কাজকর্মেও আমার থেকে দূরে দূরে অবস্থান করে চলেছে। বিষ্ময়কর হলেও সত্য, মুনমুন আর বিয়েতে বাঁধা হলোনা,জানিনা রাদিফ ভাইয়া কি মন্ত্র জানে, একবার প্রয়োগ করতেই মেয়েটা চোখের পলকে উধাও হয়ে গেলো, আর এলোনা। বিয়েটা সম্পন্ন হওয়ার পরে একটা ঝামেলা থেকে চিন্তামুক্ত হলেও, মুনমুনকে নিয়ে চিন্তারা শুধু জমাটই বেঁধে যাচ্ছে৷

রাত সাড়ে বারোটা। অতীতে এই সময়টা নিয়ে বহু জল্পনা কল্পনা ছিলো। যেমন, আমি লজ্জামাখা চেহেরাটা ঘোমটায় আড়াল করে বরের জন্য অপেক্ষা করবো, সে আসবে অনেককিছু বলবে আর আমি লজ্জায় সহজ কথাও বলতে ভুলে যাবো।

অথচ আজকে এই মূহুর্তে সেসবের কিছুই আমার মধ্যে নেই, আমি শাড়ীর আঁচল কোমরে গুঁজে দুইহাত পেটের উপর ভাঁজ করে রাফানের জন্য অপেক্ষা করছি, ও আসবে আর ওকে আমি প্রশ্নের চাদরে মুড়ে ফেলবো, একটু নড়বড়ে জবাব পেলেই তার প্রতি আমার অনূভুতি বদলে যাবে।

পৌনে একটা বাজে, দরজায় আওয়াজ হলো। আমি দেখছিলাম এখনি রাফান রুমে প্রবেশ করে কিনা। এক এক সেকেন্ড করে গুনছিলাম, কিন্তু কেউ প্রবেশ করছেনা, আমি দরজার নিচে পায়ের ছায়া দেখতে পাচ্ছিলাম। অপেক্ষা কর‍তে না পেরে নিজেই এক ধাক্কা দিয়ে দরজাটা খুলে ফেললাম।
দরজা খুলতেই দেখি সামনে আমার শাশুড়ী দাঁড়িয়ে আছে। উনাকে দেখেই আমি চমকে উঠলাম, উনার পেছনে আবার রাফানও দাঁড়িয়ে আছে। আমি নিজের দিকে খেয়াল করেই তাড়াহুড়ো করে কোমর থেকে শাড়ীর আঁচল খুলতে লাগলাম। আর বাংলার পাঁচ বানানো চেহেরাটা হাসিমুখে রূপান্তর করলাম।

আমার এই অবস্থা দেখে আমার শাশুড়ী অবাক হওয়ার বদলে হেসে বলে উঠলো,
‘ আরে আরে ব্যপার না। এভাবেই থাকো, তোমাকে বেশ লাগছে।

আমি আমার শাশুড়ীর কথায় আরো চমকালাম। তিনি পেছন থেকে রাফানকে টেনে সামনে এনে বললো,
‘ এই ছেলে দুই ঘন্টা ধরে আমার পায়ে পড়ে আছে, তার বাসরঘরে নাকি তার মা এনে দিয়ে যেতে হবে। তার ভয় লাগছে!

রাফান আমার দিকে একবার চোখে রেখেই চোখ সরিয়ে ফেললো, আসলেই সে যে ভয় পাচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছিলো। আমার শাশুড়ী হাসতে হাসতে বললো,
‘ তোমরা নিজেদের বেশিই স্মার্ট ভাবো বাচ্চারা। কিন্তু ভুলে যেওনা, চুল কিন্তু এমনি এমনি না, বয়সেই পাকে। এই যে এতভাবে আমাকে বোকা বানালে, পারলেনা তো সত্য ঢেকে রাখতে। আমি রাদিফের বিয়েরদিন তোমাদেরকে একসাথে দেখেই বুঝে গেছিলাম তোমাদের মধ্যে কিছু একটা আছে। এরপর ওর একটা না, তিন চারটা বন্ধুর কাছ থেকে আমি তোমাদের পূর্ব সম্পর্কের কথা শুনেছি। এতকিছুর ভীড়ে আমি কি অন্ধ যে তোমাদেরকেই আবার বিশ্বাস করবো? তার জন্যই আমি মুনমুনকে এনেছি। আমার মনে হয়েছিল মুনমুন উল্টা পাল্টা বললে রাফান তোমাকে নিয়ে তার সত্যটা বলে দিবে, তাহলে আমিও জেনে যাবো। কিন্তু মুনমুন যখন রাফানের পেছনে ঘুরতে লাগলো তখন বিষয়টা রাদিফের চোখে পড়লো, সে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইলো। সে রাফানকে বলে দিয়েছে মেয়েটা যাই বলে যাক সে যেন চুপচাপ তাই মেনে নেয়, সম্পর্কের সন্দেহের তীড় যেন সব ওই মেয়ের দিকেই যায়, আর মুনতাহা নির্দোষ থাকে। তারপর তারপর কি হলো? মেয়েটা সবার সামনে এসব বললো, সব ঠিকঠাকও হলো। কিন্তু তুমি তাকে ভুল বুঝলে, ভাবলে সত্যিই তোমাকে রেখে তার অন্যত্র আরো সম্পর্ক ছিলো কিনা। আর গতদিন থেকে তোমার আচরণ রাফানকে আরো ভয় পাইয়ে দিয়েছে, মেয়েটা যে আমার পরিকল্পনায় এসেছিলো সেটাও আঁচ করতে পেরেছে সে। এরপর সে বুঝতে পারছে সত্য সামনে আনতে তার মাকে সত্যটা বলতে হবে, নাহলে তুমি কিছুই বিশ্বাস করবেনা। আর সেই সময়ের জন্যই আমি অপেক্ষা করছিলাম, আমার মনে হচ্ছিলো তাও যদি তোমরা আমার কাছে সব স্বীকার করো আমি ক্ষমা করে দিবো, কিন্তু তোমাদের অভিনয়ের সময়সীমা যদি আরো দীর্ঘ হয় সেটা আমার ধৈর্যের বাইরে চলে যাবে। তোমরা সত্য ঢাকতে আর যদি কোনো মিথ্যা বলো, আমি সত্যিই প্রচন্ডরকম রেগে যেতাম। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আমার ছেলে আমার কাছে আত্মসমর্পন করেছে। আমি ভাবতেই পারছিনা তোমরা কিভাবে পারলে আমার সাথে এমন করতে? হ্যাঁ রাফানের সাথে মুনতাহার সম্পর্কের কথা শুনে আমি কষ্ট পেয়েছি তবে পরবর্তীতে যা করছো তাতে আরো বেশি পেয়েছি। কিন্তু এরপরও যদি করে যেতে ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যেতে।

উনার কথাগুলো আমার অবিশ্বাস্য লাগছিলো, তবুও কিছু না ভেবে আমি উনার হাত ধরে বিনয়ের সাথে বলে উঠলাম,
‘ আমরা ভেবেছিলাম আপনি জানলে আমাদেরকে কখনোই মেনে …

উনি হেসে আমার মাথায় হাত রেখে বললেন,
‘ আমি এতটাও নির্বোধ নই মা। তোমার সম্পর্কে আমি যা ধারণা করেছিলাম তা হয়নি ঠিকি, কিন্তু পুত্রবধূ করার সাধটা কখনোই পরিবর্তিত হতোনা। আর সময় নষ্ট না করি, থাকো তোমরা। পরে এসব কথা হবে। আর হ্যাঁ ওকে কিন্তু অনেক বকা দিবে, সব শুনে রাগটাগ ভুলে যেওনা। যত দোষ রাফানের, সে আমাকে তোমার সামনে ভয়ংকরভাবে উপস্থাপন করেছে বলেই তো আমাকে ভয় পাও। যাই হোক, তোমাকেও যেন ভয় পায়, খেয়াল রেখো।

বলেই তিনি আমাদের ছেড়ে আড়াল হয়ে গেলেন। আমি খুব করে রাগী রাগী একটা চেহেরা রাফানের সামনে প্রদর্শন করতে চাইলাম,কিন্তু কেন জানি হেসে ফেলতেছি। রাফান আমাকে আর কোনো রকম ভয় না পেয়ে কাঁধ ধরে ভেতরে প্রবেশ করালো। শাশুড়ী যাওয়ার পরে রাফানের দিকে তাকাইনি, এখন মনে হচ্ছে আমি লজ্জা পাচ্ছি, অবশেষে লজ্জা আমাকে ঠিকি ঘিরে ধরেছে। আমার অনূভুতিরা অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি পেছনে তাকাতে পারছিনা। রাফানের উপর এতক্ষণ নিজের উল্টা পাল্টা ভাবনাগুলো এখন আমাকে আরো বেশি লজ্জা দিচ্ছে। যা হচ্ছিলো আর যা হয়েছে সবকিছুই আমার ধারণার অতীতে ছিলো। আমি কোনোদিন কল্পনা করিনি রাফানের মা কখনো এতটা স্বাভাবিক হবে। আর রাফানকে নিয়ে গত একদিনের সম্পূর্ণ ভাবনাই এতো সহজ ধাঁধায় মিথ্যা হয়ে যাবে।
রাফান শুধু আমার, আমারই আছে। সে ভীষণ সাবলীল ভাষায় লিখিত উপন্যাস, যাকে একবার পড়লেই বুঝে ফেলা যায়, তবে পড়ার আগে সবটা ধারণা করা যায়না।

(সমাপ্ত)

লেখাঃ #তাজরীন_খন্দকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে