তোমার জন্য সাইকো পর্ব-১০

0
2332

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১০

মুন ভার্সিটির ভিতরে গিয়ে লামিয়া আর রুমাকে নিয়ে ক্লাস রুমের দিকে যেতে থাকে তখনই আরুশ সামনে এসে দাঁড়ায়। আরুশকে দেখে তো মুন এর মেজাজ সেই রকম হয়ে গেছে ।
আরুশ: কাল আমাকে না বলে চলে গেলে কেনো যানো আমি তোমাকে কতো মিস করছি
মুন: আপনি কি আমার গার্জিয়ান যে আপনার পারমিশন নিয়ে আমাকে চলতে হবে।
আরুশ: আমি আমি তোমার গার্জিয়ান শুধু গার্জিয়ান না তোমার সব কিছুতে শুধুই আমি তোমার নিশ্বাস পশ্বাস সব কিছুতে আমি
মুন: এ ভাই কেউ একে পাবনায় রেখে আয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে যতসব
আরুশ: যাই বলো কিছু মনে করবো না বলছো তো তুমি আর হা আমি সত্যি তোমার পেমে পাগল এবার থেকে কোথাও গেলে আমাকে বলে যাবা আর তোমার নাম্বার টা দাও তো
মুন: আমার নাম্বার কেনো দেবো লিসেন
আরুশ: (মুনকে বলতে না দিয়ে) তোমার কথা সারাজীবন শুনবো আগে আমার কথা শুন
লামিয়া: আরে ভাই আমাকে সেই থেকে বুঝানো হচ্ছে কেনো বুঝছেন না আজব মানুষ তো
আরুশ : তোমরা ওকে কেনো বুজাছো না
মুন: আলতু ফালতু মানুষদের কাছ থেকে কিছু আশা করাই বেকার
বলে মুন চলে গেলো
রুমা: শুনেন ভাই আমাদের বান্ধবীর পিছন ছেড়ে দিন সেটাই আপনার জন্য ভালো হবে না হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না
আরুশ: দেখা যাক কে কার পায়ে না দাড়ায় আমি নাকি ( বলে রহস্য ময়ী হাসি দিল )
লামিয়া: নাকি কি
আরুশ : ওতো প্রশ্ন করো কেনো এখন তোমার বান্ধবীর নাম্বার দাও
লামিয়া : দেবো না
আরুশ : না দিলে কিন্ত বাঁধন কে অন্য মেয়ের
লামিয়া ভাবে যদি বাধনকে অন্য মেয়ের সাথে রিলেশন করিয়ে দেয় তাহলে থাকবো কি করে এই ভেবে ভয়ে নাম্বার দিয়ে দেয়।

এদিকে রোদ অফিস এ এসে কাজ করছে আজকে একটা খুব বড়ো কন্টাক্ট পেয়েছে রোদ আজ খুব খুশি মুনকে নিয়ে আজ ঘুরতে যাবে ।
রোদ মুনকে ফোন দেয় ।

মুন শুনে যে আজ ক্লাস হবে না শুধু প্রাক্টিস তাই বাগানে বসে আছে তখনই রোদ ফোন করলো
মুন ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবে
মুন: আজ হটাৎ ফোন দিল ও তো ফোন দেয়না
তাহলে
এসব ভাবতে ভাবতে ফোন টা ধরে
মুন কিছু বলার আগে রোদের ঝাড়ি শুনে
রোদ: কি হলো এতক্ষণ লাগে ফোন ধরতে কি করছিলা?
মুন: ঐই তোর কথা মত চলতে হবে সালা যখন তখন শুধু ঝাড়ি দেবে কেন রে আমি তোর বিয়ে করা বউ লাগি জিবনটা তেজপাতা বানিয়ে দিলো। সব সময় বলে যে ভালোবাসি ভালোবাসি এই তোর ভালোবাসা তোর থেকে তো আমার ফ্রেন্ডদের বিফ ভালো(এক দমে)
রোদ তো মুনের কথা শুনে শকড মুন কখনো রোদের সাথে চোখ তুলে কথা বলেনি আর আজ সোজা তুই।
রোদ নিজেকে সামলে বলে
রোদ: খুব সাহস বেড়েছে তোমার তাইনা তোমার সাহস কিভাবে কুমাতে হয় সে আমার জানা আছে রেডী থেকো
বলে ফোন কেটে দেয়
মুন তো বসে বসে ভাবছে কি করবে আজ তো সে রোদ কে খুব খেপিয়ে দিছে
আসলে আরুশ এর জন্য মেজাজ টা গরম হয়ে ছিল তারপর রোদের ঝাড়ি মুন হজম করতে পারেনি তাই যা মনে আসছে বলে দেছে।
মুন: এবার কি হবে রোদ তো আমাকে ছাড়বে না ইসস কেনো যে বলতে গেলাম ধুর ভালো লাগে না। আবার ফোন দিয়ে দেখি।
মুন ফোন দিল কিন্ত রোদ ফোন ধরলো না
মুনের তো এবার কেদে দেওয়ার মতো অবস্থা
একটু পর লামিয়া আর রুমা এসে মুনকে প্রাক্টিস এর জন্য নিয়ে গেলো ।

রোদ বসে বসে মুনের কথা ভাবছে আজ মুন যা করলো তাতে রোদের রাগ না হাসি পাচ্ছে
রোদ: এই মেয়েকে নিয়ে আমায় খুব ঝামেলায় পরতে হবে এই মে এতো অবুঝ কেনো একদম বাচ্চা । একে সামলাতে হলে আমার জীবন শেষ
বেটা রোদ টু তো গেয়া
বলে হাসি দিল তখনই রোদের অল্ড ফ্রেন্ড নেহা আসলো রোদ নেহা কে দেখে সেই খুশি।
রোদ: হেয় what’s up
নেহা: অল গুড কিন্ত তোর তো কোনো খবর নেই আমাদের ভুলেই গিলি
রোদ: তোদের কি ভুলতে পারি আসলে কাজে এতো ব্যাস্ত যে দেখা করার টাইম পাইনা
তারপর ২জন মিলে গল্প করতে লাগলো

মুনের তো আজ কোনো কাজে মুন বসছে না শুধু রোদের কথা ওর মাথায় আসছে ।
মুন বসে আছে তখন ওর মাথায় আসলো
মুন: প্রাক্টিস তো শেষ আর আছে শুধু নাচ ওটা ওরা করুক আমি এখন রোদের অফিস এ যাই।
মুন লামিয়া রুমাকে বলে ওখানে থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা তোদের অফিস এ গেলো
মুন: এসে তো গেলাম কিন্ত যদি রোদ রাগ করে যা হবার হবে গিয়ে দেখি
মুন অফিসের ভিতরে ঢুকে মেনেজার এর কাছে যায়
মুন: আসসালামওয়ালাইকুম
ম্যানেজার: ওয়ালায়কুম সালাম আরে মুন মামনি যে
মুন: হা আংকেল একটু রোদের কাছে এসে ছিলাম।
ম্যানেজার: ওহ আচ্ছা চলো তোমাকে রোদের কেবিন এ নিয়ে যাই
ম্যানেজার মুনকে রোদের কেবিনের সামনে দিয়ে চলে গেলন
মুন ভাবছে কি করবে যাবে কি না শেষে ভিতরে ঢুকে পড়ে
ঢুকে দেখে রোদ একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে ।মুনের খুব খারাপ লাগলো কিন্ত কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো তখনই রোদের ডাক পড়ে
রোদ: মুন তুমি এখানে ?
নেহাকে ছেড়ে দিয়ে
মুন: না মানে আজ ক্লাস হবে না তাই ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই ( নিচে তাকিয়ে)
রোদ: ওহ আচ্ছা তো চলে যাচ্ছিল কেনো?
মুন: আপনাদের প্রাইভেসি নষ্ট করতে চাইনি তাই আচ্ছা আমি যাই (বলে চলে যাচ্ছিলো)
রোদ বুজলো যে মুন ওদের এভাবে দেখে ভুল ভাবছে
রোদ: দাড়াও তোমাকে কি আমি যেতে বলছি এদিকে এসো
মুন ওভাবেই দাড়িয়ে আছে দেখে রোদ ওর কাছে গিয়ে হাত ধরে নিয়ে আসলো।
মুন: কেমন লোক নিজের গার্লফ্রেন্ড এর সামনে অন্য মেয়ের হাত ধরছে ( মনে মনে)
রোদ: এ হলো আমার কলেজ লাইফ এর ফ্রেন্ড নেহা(নেহার দিকে দেখিয়ে)
নেহা: হাই
মুন: হেলো
রোদ: আর এ হলো মুন আমার লাইফ heart breat everything ( এক হাত দিয়ে মুনকে জড়িয়ে)
মুন তো রোদের দিকে তাকিয়ে আছে
রোদ কিছু না বলে একটা চোখ টিপ দেয়
নেহা: ওহ এই তাহলে আমাদের ভাবি খুব মিষ্টি দেখতে একদম পুতুল
রোদ: দেখতে হবে না কার কলিজা
নেহা: হুম এখন আমাকে যেতে হবে এনগেজমেন্ট এ তোদের ২জন কে আসতে হবে
রোদ: কেনো না তখন আমরা জোড়া হয়ে যাবো
( হালকা হাসি দিয়ে)
নেহা : আচ্চা আমি এখন আসি
বলে চলে গেলো

রোদ মুনকে ছেড়ে দিয়ে পকেটে হাত দিয়ে বললো
রোদ: কি এখন তো সব clear হয়ে গেছ হুম(ভূ নাচিয়ে)
মুন: এ বুজলো কি করে (মনে মনে)
রোদ: আমি অবুঝ না যে বুজবে না আমার জানটা রাগ করছে
রোদ: কখনো আমাকে অবিশ্বাস করবা না ভালোবাসা মানেই কিন্ত বিশ্বাস আর সেই বিশ্বাস যদি না থাকে তাহলে ভালোবাসা থাকে না । আমাকে নিয়ে কিছু মনে হলে সোজা বলে দিবা ।
এখন বলো লাঞ্চ করেছ
মুন: না
রোদ: ওহ তাহলে চলো
মুনের হাত ধরে বেরিয়ে পরলো ।
একটা রেস্টরেন্টে ঢুকে খাবার অর্ডার দিলো
রোদ মুনকে খাটিয়ে দিচ্ছে আর মুনকে চুপচাপ
খেয়ে যাচ্ছে মুনের ভীষণ লজ্জা করছে কিন্ত রোদের উপর কথা বলার সাহস যে কারোর নেই
খাওয়া শেষে রোদ বিল দিয়ে মুনকে নিয়ে একটা জায়গায় গেলো ।জায়গায় টা খুব সুন্দর
২পাশে গাছপালা আর মাজখানে নদী মুনের তো খুব ভালো লাগছে।
রোদ:কি ভালো লাগছে
মুন: খুব এতো সুন্দর জায়গা
রোদ: নৌকায় উঠবা
মুন: হুমম
বলে মুন রোদ কে টেনে নিয়ে গেল
মুনের যে নদী খুব পছন্দের।
রোদ আর মুন নৌকায় বসে আছে মুন পানিতে পা ঝুলিয়ে বসে আছে রোদ ও মুনের পাশে এসে বসলো ।
মুন: জানেন আমার না নদী খুব ভালো লাগে আর যদি এখন বৃষ্টি হতো তাহলে আর ভালো হতো কিন্ত আপসোস এটা শীত কাল( বাচ্চাদের মত ঠোঁট উল্টিয়ে)
রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে আছে আজ যে ওর ভালোবাসার মানুষ ওর সাথে মন খুলে কথা বলছে ।
রোদের ইচ্ছা করছে সময় টাকে বেঁধে রাখতে ।
মুন: আমাকে আবার নিয়ে আসবেন জায়গা টা আমার খুব ভালো লাগছে
রোদ: নিয়ে আসবো যখনই বলবে তখনই
মুন খুব খুশি হলো
অনেকক্ষণ পর
ওরা বাড়ি চলে আসলো বাড়ি এসে মুন নিজের ঘরে ফ্রেশ হয়ে আজকের দিনের কথা ভাবতে থাকে কি সুন্দর আজকের দিনটা হলো
মুন: আজকে ওকে একদম আলাদা মনে হয়ছে ঠিক প্রথম দিনের মতো।
এমন থাকলেই তো ভালো লাগে তবে যাই বলো সাইকো তো সাইকো ই
কি যেনো বলে হা তোমার জন্য সাইকো
বলে মুন মুচকি হাসি দিল

চলবে,

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
Extra part

মুন এসব ভাবছিল তখন নিচ থেকে রোদের ডাক পরে রাতে খাওয়ার জন্য মুন দেরি না করে নিচে যায় জানে দেরি করলে রোদ যা করবে।
মুন নিচে এসে দেখে রোদ বসে আছে আর কাউকে না দেখে মুনের মন টা খারাপ হয়ে গেলো। মুন একটা চেঁয়ার টেনে বসে খেতে লাগে তখন ওর মনে পরে যে ওর মামনি আর পাপাই ওকে খায়িয় দিত। মুনের খেতে ইচ্ছা করছে না কিন্ত রোদের সামনে উঠে যাওয়ার সাহস নেই।
রোদ: ওতো ভাবতে হবে না আমি খায়িয়ে দিচ্ছি
মুন: না আমি নিজে খেতে পারব
রোদ: আজ কাল তুমি বেশি কথা বলছো না ( মুনের মুখের সামনে ভাত ধরে)
মুন কিছু না বলে খেয়ে নিল।
মুনের খুব কান্না পাচ্ছে শেষে নিজে কে ধরে রাখতে না পেরে কেদে দিলো রোদ মুনকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো
রোদ: কি হয়চে কিছু দিন পর তো সবাই এক সাথে হবো এভাবে কাদলে হয়
মুন শুধু কেদেই যাচ্ছে ।
কিছুক্ষণ পর মুন স্বাভাবিক হয়
রোদ: আব্বু আম্মুর কথা মনে পড়ছে
মুন আবার কেদে দিলো।
রোদ তো বলেই বিপদে পরে গেলো সব সভামেন্ট তাকিয়ে দেখছে ।
রোদ কোনো উপায় না পেয়ে হাত ধুয়ে নিল হাত মুন তো রোদের বুকে কেদে যাচ্ছে ।
রোদ মুনকে কোলে নিয়ে নিজের রুম এ গেলো।মুনকে বসিয়ে দিয়ে মুনের মুখে হাত দিয়ে বললো
রোদ: কি হয়েছে এভাবে কেউ কাদে তুমি জাননা তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারিনা।
মুন তো কেদে যাচ্ছে
রোদ: আর একবার যদি কাদ তো আজ তোমার খবর আছে ।
মুন কান্না অফ করলো
রোদ: আজ তুমি আমার সাথে আমার ঘরে ঘুমাও চিন্তা করো না এমন কিছু করবো না যাতে তোমার অসম্মান হয় আর নিজের চোখে নিজে ছোটো হয়ে যাই ।
মুন কিছু বললো না মুন রোদকে নিজের থেকে ও বেশি বিশ্বাস করে মুন জানে যে রোদ ওকে যতই কষ্ট দিক কখনো ওর ক্ষতি চাবে না।
মুন শুয়ে পরলো পাশে রোদ ও কিছুটা দূরত্ব রেখে।
মুন: রোদ
রোদ: হুম
মুন: তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না তো?(করুন কণ্ঠে)
রোদ কিছু না বলে মুনের কাছে এসে মুনকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো
রোদ: তুমি তো আমার লাইফ আমার সব কিছু আমার নিশ্বাস আর মানুষ নিশ্বাস ছাড়া কি বাঁচতে পারে
মুন রোদের কথায় হালকা হাসি দিয়ে
মুন: সত্যি তো কখনো ছেড়ে যাবে না তো আব্বু আম্মুর মতো । তোমাদের ছাড়া কিন্ত আমি মোর
আর কিছু বলতে পারলো না
রোদ: অনেক সাহস বেরেছে তোমার তাইনা তোমাকে কিন্ত এসব বলতে বারন করছি আমার অনুমতি ছাড়া তুমি কিছু করবা না এখন
চুপ চাপ ঘুমাও (ধমক দিয়ে )
মুন কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলাতে থাকে ।
মুন যখন ঘুমিয়ে পরে তখন রোদ মুনের গায়ে কম্বল দিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে শুয়ে পরে
রোদ চায়না মুনকে কেউ খারাপ বলুক আর রোদের ভালোবাসা পবিত্র সেই পবিত্র ভাবে রোদ মুনকে পেতে চায় ।

আর এই দিকে
আরূশ মুনকে সারারাত ফোন দেয় কিন্ত মুনকে পায়না ।

সকালে মুনের ঘুম ভাঙ্গা তাকিয়ে দেখে রোদ রেডী হচ্ছে রোদ মুনকে উঠতে দেখে একটা হাসি দিয়ে বলে
রোদ: গুড মর্নিং
মুন: মর্নিং
রোদ: উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো।
মুন উঠে নিজের ঘরে গিয়ে রেডী হয় তারপর নিচে আসে ।
নিচে এসে রোদ আর মুন নাস্তা করে চলে যায়
ভার্সিটির সামনে এসে মুন নেমে যাই
রোদ: মুন
মুন:জী
রোদ: কোনো সমস্যা হলে আপনাকে বলবে এখন যাও
মুন: আচ্ছা
বড়ো সমস্যা তো আছেই কিন্ত কি করে বলি( মনে মনে)
মুন ভার্সিটির ভিতরে গিয়ে দেখে সবাই সবার মত ব্যাস্ত আজ নাকি কোনো স্পেশাল কেউ আসবে তাই এত আয়োজন ।
মুন ওদের আড্ডা খানায় গেলো
মুন: কিরে আজ কে আসবে ভার্সিটিতে
লামিয়া: জানিনা রে স্যার বললো সারপ্রাইজ
রুমা: যাই হোক আমাগো কি ক্লাস হবে না এটাই অনেক।
মুন: তোরা আর
তখনই মুনের ফোন বেজে উঠে মুন ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে unknown number
মুন ধরবে কি না ভাবছে শেষে ধরে
মুন: হেলো কে বলছেন?
আরুশ: কি ব্যাপার কাল থেকে ফোন দিচ্ছি ধরছো না কেনো?
মুন বুজে যায় কে ফোন দিছে।
মুন: আপনি কে যে আপনার ফোন আমি ধরবো দেখে বেশি বাড়াবাড়ি করছেন কিন্ত
আরুশ: বাড়াবাড়ি তো তুমি করছো দাড়াও কাল ভার্সিটিতে আসি তোমার হচ্ছে । আর আজ আসতে পারবো না বাড়ি মেহমান আসছে
মুন: তো আমাকে কেনো বলছেন আজব ।
আরুশ : তোমাকে ছাড়া কাকে বলবো।
মুন কিছু না বলে কেটে ফোন টা বন্ধ করে দেয়
মুন: এই সালা কে আমার নাম্বার কে দিলো
রুমা কালকের সব কথা বললো
মুন: তোকে তো আমি।
লামিয়া: ভাই দেখ আমার দোষ না
মুন কিছু বলতে যাবে তখনই ওখানে বাঁধন আসে আর লামিয়া কে বলে
বাঁধন : কাল তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম ধরো নি কেনো
লামিয়া: ইচ্ছা তাই
বাঁধন : অনেক নিজের ইচ্ছায় চলছে এবার থেকে আমি যা বলব তাই করতে হবে
বলে বাঁধন চলে গেলো
মুন+রুমা : আহা কি অধিকার।
লামিয়া: চুপ করো তো
তারপর ওরা ক্লাস এ গেলো

কিছুক্ষণ পর স্যার সবাই কে ডাক দেয় স্পেশাল মানুষ আসছে তাই ।
মুনের তো কোনো ইচ্ছা নেই
মুন: বুঝিনা এতো স্পেশাল মানুষ ফানুস এখানে কি করতে আসে একে তো দেশের এই অবস্থা তারপর এসব ফালতু মানুষ ভালো লাগে না
লামিয়া: টা ভালো লাগবে কেন তোর তো শুধু রোদ ভাইয়াকেই ভালো লাগবে
মুন: কিসের মধ্যে কি
রুমা: এই তোরা চুপ করতো যদি স্পেশাল মানুষ হ্যান্ডসাম হয় তো ওকে আমি পটিয়ে ফেলবো
লামিয়া+ মুন: হ্ন সে মনে হয় তোর সামনে এসে ডান্সে করবে
রুমা: আমায় দেখে জলস তাই না তোমার কেনো জলে রে বন্ধু তোমার কেনো জলে
তখনই স্যার মাইকে বলা শুরু করলেন
মুন: ওরে ভাই এরে কেউ পাস টাকা দিয়ে চুপ করে
লামিয়া: সেম
রুমা: উফফ চুপ কর এখনি স্পেশাল মানুষ আসবে
মুন: এমন ভাব করছে যেনো আমার জামাই আসবে লুচু ছেমরি
হেড স্যার: এখন আপনাদের সামনে আসতে চলেছে সেই স্পেশাল মানুষ
..

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে