তোমার জন্য সাইকো পর্ব-০৫

0
2602

তোমার জন্য সাইকো
লেখক: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৫

মধবয়ক লোকটি আরুশ এর রুমে ঢুকে বলে
শফিকুর জামান: কি ব্যাপার দাদুভাই কি নিয়ে এতো হাসি।
মধবয়াকো লোকটি আরুশ এর দাদু হয়
আরুশ: আরে buddy তুমি কখন এলে ?( কিছু টা ঘাভরে গিয়ে)
শফিকুর জামান: এই তো এখন আসলাম কিন্ত তুমি কি নিয়ে হাসছিলে কাউকে কি মনে ধরেছে দাদুভাই ( মুচকি হেসে)
আরুশ: আরে buddy কি যে বলো না আমি ওয়াসরুম এ গেলাম
( কথা টা বলে আরুশ চলে গেলো)
শফিকুর জামান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো কবে যে ছেলেটা একটু সুখের মুখ দেখবে ছোটো বেলায় মাকে হারিয়ে তারপর আর কাউকে তো ভালোবাসতে শিখল না কবে যে আমার দাদুভাই এর জন্য এমন মেয় আসবে যে ওকে জীবন দিয়ে ভালোবাসবে ওর সব কষ্ট দূর করে দিবে ।
কথাটা বলে শফিকুর জামান চলে গেলেন।
হ্যা আরুশ এর মা ওকে দুনিয়াতে আনতে গিয়ে পৃথিবীর মায়া তাগ করেন আর বাবা ব্যাবসা সামলাতে গিয়ে ওর দিকে তাকানোর ও টাইম পায়না । ছোটো বেলা থেকে আরুশ ওর দাদুর কাছে বড়ো হয়েছে ভলোবাসা বলতে ওর buddy কে বোঝে।

( আমি কনফিউজ নায়ক কাকে দেবো রোদকে ও ভালো লাগে আবার আরুশকে ও ভালো লাগে )

মুন ঘুম থেকে উঠে সোজা ছাদে চলে আসে ।
প্রতিদিন ওর ছাদে আসা একটা অভ্যাস ।
মুন ছাদে এসে কফি হাতে দাড়িয়ে আছে
আর একটু পর পর কফির ক্যাপে চুমুক দিচ্ছে
হটাৎ কে যেন মুনকে পিছন থেকে জড়িয়ে
ধরলো এমন ঘটনায় মুন ভয় পেয়ে
যায় আর হাতে থাকা কফি টা পরে যায়
মুন কিছুক্ষণ পর বুঝতে পরলো এটা কে এটা আর কেউ না সয়ন রোদ।
রোদ মুনকে ছাদে এসে পিছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মুন এর কাঁধে থুতনি রেখে বললো
রোদ: আরে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে আমিই তো আমি ছাড়া কেউ তোমাকে টাচ করতে পারবে না ( নেশা ভরা কণ্ঠে)
মুন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে
মুন: এসব এর মানে কি?
রোদ: কোন সব এর কথা বলছো বলো তো ( না জানার ভান করে)
মুন: কি সব বলছি আপনি বুঝতে পারছেন না নাকি বুজে ও না বুঝার ভান করবে
রোদ: আরে কি বলছ আমি সত্যি বুঝতে পারছি না
মুন: আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেনো চারেন আমাকে ( নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করে)
রোদ: আমি আমার জান কে ধরেছি তাতে তোমার কি।
আর এতো নড়লে ছাদ থেকে ফেলে দেবো
মুন: আপনি কি পাগল হলেন কি সব বলছেন ?রোদ: আমি একদম ঠিক আছি । তুমি ওতো কথা বলো কেনো দেখো ওই গেছে ২টা পাখি কি সুন্দর প্রেম করছে ঠিক আমাদের মতো।
মুন রোদের হাতের ইশারায় তাকিয়ে দেখে
একটা ডালে ২তো পাখি বসে আছে কি সুন্দর
লাগছে ওদের।
রোদ: দেখছ কত সুন্দর লাগছে ।
২জন কি সুন্দর প্রেম করছে আর তুমি
একটা আনরোমান্টিক মানুষ
মুন: আমি কি সেটা আপনাকে বলতে হবে না আপনি আমাকে ছাড়েন (বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রোদ: উফফ এতো ছার ছার করছ কেনো । আমাকে রাগিও না নাহলে কিন্ত
মুন: নাহলে কি করবেন
রোদ: দেখাচ্ছি( বলে ঘাড়ে একটা জোরে কামর দিলো)
মুন: আহহ
রোদ: এবার বুজলে তো কি করতে পারি এটা just ডেমো ছিল আমাকে রাগলে কিন্ত ফল ভালো হবে না।( বলে ছেড়ে দিল)
মুন: আপনি একটা সাইকো।
রোদ: শুধু তোমার জন্য সাইকো(বলে চোখ টিপ মারলো )
মুন: 😒😒
রোদ: অভাবে তাকিও না আমার কিন্ত অনেক কিছু করতে মন চাসছে। যাই হোক
পড়াশোনা করতে দিছি ওটাই শুধু করবে
কোথাও যেতে ইসচা করলে
আমায় বলবে তোমার প্রতিটি নিশ্বাসে আমি থাকবো শুধুই আমি( কপালে কপাল রেখে)
মুন চোখ বন্ধ করে শুধু শুধু রোদের কথা শুনছে।
দোজনের মধ্যে কিছুক্ষণ নিরবতা হলো
তারপর রোদ আবার বললো আমি আমার
ব্যাবহার করা কলম কাউকে দিতে
চাইনা আর সেখানে তো তুমি আমার
সব কিছু। উড়তে দিছি উরো কিন্ত
এমন কিছু করোনা যাতে তোমার
পায়ের শিকল পরিয়ে রাখতে হয়।
আর রোদ আহমেদ চৌধুরী সেটা খুব ভালো
করে পারে সেটা তো তুমি জানোই।
মুন: কিসের এতো অধিকার আমার উপর
আপনার ? কি হই
আমি আপনার?
রোদ: your my heart ,soul, life everything জানি তুমি বুজবে না যদি বুঝতে তাহলে
সেদিন ছেড়ে চলে যেতে না।
মুন: রোদ আমি
রোদ: আমি কোনো এক্সকিউজ চাইনি
(মুন কে থামিয়ে দিয়ে) যা বলছি
সেগুলো মনে রেখো
( বলে চলে গেলো)
আর মুন রোদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে
সেদিন এর জন্য কি রোদ এখন ও
আমার উপর রেগে আছে ।
আর রোদ এসব কি বলে গেলো
আমি ওর (তখনই নিচে থেকে রোদের আম্মুর ডাক পরলো)
মুন আর দেরি না করে চলে গেলো।
রাইমা চৌধুরী: কিরে কই ছিলি?
মুন: এই তো মামনি ছাদে ছিলাম।
কোনো কিছু কি দরকার?
রাইমা চৌধুরী: হা রে মা আমার বান্ধবীর মেয়ের বিয়ে সেখানে আমাদের সবাইকে
যেতে হবে তাই কিছু কিনাকাটা করতে যাবো
তোকে নিয়ে
মুন: মামনি তুমি যাওনা আমার কোথাও
যেতে ভালো লাগছে না
রাইমা চৌধুরী: ওসব বললে তো শুনবো না
আমার সবাই যাবো তুই না গেলে হয়
তোকে যেতে হবে আমার সাথে আর কাল
আমরা শপিং এ যাবো তুই ও
যাবি আমার সাথে।
মুন: আসছ মামনি ।
আমি এখন আসি
রাইমা চৌধুরী: কি হয়েছে রে মা তোর
কি কোনো কারণে মন খারাপ
মুন: আরে না এমনি ভালো লাগছে না তুমি
শুধু শুধু চিন্তা করো না
রাইমা চৌধুরী: আচ্ছা শোন এই নে তোর পছন্দের পকরা
মুন তোর পকোড়া দেখে সেই খুশি
খুশিতে রাইমা চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরে গালে একটা চুমু দেয়।
রাইমা চৌধুরী: আরে ছার পাগলী মেয়ে
মুন: তুমি না খুব ভালো।
রাইমা চৌধুরী: কার মামনি দেখতে হবে না
বলে দোজনে হেসে দিল
রাইমা চৌধুরী: এই কফি টা একটু রোদ কে
দিয়ে আয়না মা
মুন: মামনি কাজের লোকে বলো
রাইমা চৌধুরী: তুই রোদকে এতো ভয়
পাশ কেন বলতো
মুন: কি ভয় পাই
আচ্ছা তুমি দাও আমি দিয়ে আসছি
বলে কফির কাপ টা নিয়ে রোদের রুম এর দিকে গেলো।

আরুশ: উফফ আর কতক্ষন এভাবে দাড়িয়ে থাকবো( বিরক্তি ভাব নিয়ে)
বাঁধন: ধুর আমার ও ভালো লাগছে না
রেহান: আজকে আসুক ওর খবর
করছি।
কিছুক্ষণ এর মধ্যে ওখানে আবির চলে আসলো।
সবাই আবির এর দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে।
আবির: সরি রে একটু দেরি হয় গেলো
সবাই: একটু
আবির : আরে একটু না মেলা হয়ছে এবার চল
কেউ আর কথা না বাড়িয়ে ৪ বন্ধু মিলে ঘুরতে
চলে গেলো
এরা সবাই আরুশ এর বেস্টু । এক সাথে পড়ে
আর আরুশ কিন্ত মুনের ভার্সিটিতে পড়ে
তবে মুনের সনিয়র।

মুন রোদের রুমের সামনে দাড়িয়ে আছে
কি করবে বুঝতে পারছে না
শেষে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো
কিন্ত কোথাও রোদ কে পেলো না ফিরে আসার সময় হটাৎ কারোর কন্ঠ শুনে থেমে গেলো
কন্ঠ টা বারান্দা দিয়ে আসছে মুন উকি
মেরে দেখে রোদ ফোনে কার সাথে যেনো
কথা বলছে মুন ধির পায়ে এগিয়ে গেলো
রোদকে ডাকতে যাবে কিন্ত এমন
কিছু শুনলো যা শুনে মুনের মাথায়
আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
মুনের হাত থেকে কাপটা পড়ে গেলো

নিচের কথা গুলো সবাই পড়বেন plz♥♥

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে