তোমাতে বিলীন হবো পর্ব-২২+২৩

0
235

#তোমাতে_বিলীন_হবো
#Tahsina_Arini
#পর্ব_২২
(অনুমতি ব্যতীত কপি নিষিদ্ধ)

বর পক্ষের ছেলেরা যোহরের নামাজ পড়ে আসতেই‌ বিয়ে‌ পরানো শুরু হলো। দেনমোহর এর টাকা উল্লেখ করতে যেতেই মেয়ে পক্ষ কিছুটা ঝামেলা শুরু করলো। তৌহিদ হোসেন বলেছেন তিন লক্ষ টাকার কথা। কিন্তু মিথিলার চাচা সায় না জানিয়ে বলেই বসলেন,
-“এত কম কেন! যদি ছেড়ে দেয়।”

ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনেই নাহিদের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। মিথিলা কে দেখতে আসলে তখনও ইনি ঝামেলা করছিল।
নাহিদের ছোট চাচা মনির হাসান বললেন,
-“ছেড়ে দেওয়ার কথা আসছে কেন?”

-“তো? এত কম টাকা দেনমোহর দেয় কেউ? যৌতুকের সময় তো ঠিক ই আছেন!”
মিথিলার খালু বলে উঠলেন।

-“যৌতুক নিয়েছি কে বললো আপনাকে?”
তাহসীর এক কাজিন বলে উঠলো।

তাহসীর বাবা তাকে ইশারায় থামতে বললো। এখানে এই পরিস্থিতি দেখে একজন মিথিলার বাবা কে খবর দিয়েছে। তিনি বাড়ির ভিতরে ছিলেন। এসব শুনে ঘটনা স্থলে আসলেন। সবাইকে থামতে বলে তাহসীর বাবার সাথে উনি কথা বললেন।

মিথিলার বাবা কনে পক্ষের উদ্দেশ্যে বললেন,
-“প্রথমেই একটা বিষয় ক্লিয়ার করি উনারা কোনো যৌতুক নেন নি। আর ইসলামে বলা আছে যত কম দেনমোহর করা যায়,তত কম করার কথা। এতেই ভালো। এই নিয়ে আর কেউ কথা বলবেন না।”

মিথিলার খালু ঠেস দিয়ে বললেন,
-“বিয়ের পর সেই তো সব নিবে খাট পালঙ্ক!”

-“আপনি কিন্তু আমাদের অপমান করছেন।”
তৌফিক হোসেন বললেন।

মিথিলার বাবা তৌহিদ হোসেন এর কাছে ক্ষমা চেয়ে ওনাকে নিয়ে চলে গেলেন। এরপর আল্লাহর রহমতে বিয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন হলো।

🍁🍁🍁
মিথিলা কে নিয়ে সবাই যখন বাড়ি ফিরলো তখন বিকাল পাঁচটা বাজে প্রায়। নাতাশা রহমান মিথিলার হাত ধরে বাড়ির মধ্যে নিয়ে আসলেন। তিনি বাড়িতেই ছিলেন।
মিথিলা কে নিচ তলার এক গেস্ট রুমে বসানো হলো। মিথিলার সাথে এসেছে মিথিলার ভাবী আর ছোট বোন। ওনারা এই রুমেই থাকবেন বলে জানালেন নাতাশা রহমান। মিথিলা কে নাহিদের রুমে নেওয়া হবে রাতে, তার পূর্ব পর্যন্ত সে এখানেই থাকবে।
মিথিলার ভাবী মারিয়া প্রশ্ন করলেন,
-“আপনারা বরণ করলেন না তো। আমার সময় তো করেছিল।”

-“ইসলামে বরণ করার কথা বলা নেই। এটা তো অন্য ধর্মের রীতি। আমরা যতটুকু পারি ততটুকু ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি।”
তাহসীর ফুফু উত্তর দিলেন।

তাহসী তার কাজিন দের সাথে নিয়ে বাসর ঘর সাজালো। ফুলগুলো একটা গামলা তে করে একটু পানি ছিটিয়ে ঠান্ডা মেঝের উপর রেখে দিয়েছিল যার ফলে ফুল আগের মতোই আছে।

রাত এগারোটার দিকে মিথিলা কে দোতলায় নাহিদের ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। বোন ভাইদের দাবি মিটিয়ে রুমে প্রবেশ করলো নাহিদ।

🍁🍁🍁
সবাই নিজ নিজ রুমে চলে গেল। তাহসী নিজেও রুমে প্রবেশ করলো। ভেবেছিল রুমে ঢুকে তনন কে দেখবে, কিন্তু তননের দেখা নেই। বারান্দায় আছে ভেবে তাহসী ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসলো।
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েও তনন কে দেখল না। তাহসী কয়েক পা এগিয়ে বারান্দায় যেতেই তননের দেখা পেল। বারান্দায় থাকা চেয়ারে বসে সামনে তাকিয়ে আছে সে। তাহসী তননের অগোচরে মুচকি হাসলো।

কারো উপস্থিতি টের পেয়ে তনন পাশে তাকালো। তনন কিছু না বলে তাহসী কে টান মেরে নিজের কোলের উপর বসালো। তাহসী হতভম্ব হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে তননের এমন কাজ আশা করেনি। সে তো রুমের মধ্যেই ফিরে যাচ্ছিল। এখন উদ্দেশ্য ড্রেস চেঞ্জ করে ঘুম দেওয়া। ভালোই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আজকাল। যার ফলে রাতে খুব ঘুম পায় তাহসীর। ভার্সিটি তে দৌড়াদৌড়ি করলেও এত ঘুম পায়না।

-“কি করছো?”
মৃদু স্বরে বললো তাহসী।

-“হুশ!”
তাহসী কে চুপ করিয়ে দিল তনন।

তাহসীর কাঁধে গলার কাছে তনন ঠোঁট ছোঁয়াতেই তাহসী কেঁপে উঠলো। তননের দিকে তাকানোর সাহস পেল না লজ্জায়। তনন তাহসীর টপস এর নিচে হাত গলিয়ে দিল। তাহসী সম্পূর্ণ ভর তননের উপর ছেড়ে দিল।
তনন তাহসীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমে আসলো। বিছানায় আলতো করে শুইয়ে দিয়ে তাহসীর উপর ঝুঁকে গেল। এক মুহুর্ত সময় ব্যয় না করে তাহসীর ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিল। তাহসী তননের কাঁধের শার্ট মুঠো করে ধরলো।

তৎক্ষণাৎ কিছু শ্রবণ গত হতেই তাহসী তনন কে হালকা ধাক্কা দিল। তনন উঠে ভ্রু কুঁচকে তাকালো তাহসীর দিকে। আজ তৃতীয় বারের মতো তাহসীর সাথে ঘনিষ্ঠ হয়েছে সে, আজ কেন তাহসী বাধা দিচ্ছে বুঝতে পারলো না। তাহসী কয়েক বার ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
-“কান্নার শব্দ না?”

তননের সেদিকে হুস নেই। তাহসীর কাছে পুনরায় এগিয়ে যাবে কিন্তু সেই মুহূর্তে সে নিজেও কান্নার চাপা শব্দ শুনতে পেল। তনন বার কয়েক ঘন ঘন শ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। পরে বারান্দায় যেয়ে দাঁড়াতেই শব্দ টা একটু গাঢ় হলো। তনন স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,
-“এখানে আসো। কান্নার শব্দ বেশি!”

তাহসী উঠে বসলো।
-“ভাই..য়ার রুম থে.. কে নাকি?”

-“উহু। মনে হচ্ছে নাঈমের রুম থেকে।”

তাহসী উৎকন্ঠা নিয়ে বললো,
-“কি বলো? মেয়ের কন্ঠ!”

বারান্দায় যেয়ে তাহসীর ও মনে হলো নাঈমের রুম থেকেই। তাহসী ভাবছে নাহিদ কে জানাবে কিনা। পরে ভাবলো জানাবে না। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা হজম হচ্ছে না আবার নাহিদ কে এখন ডাকাও যায় না। তননকে নিয়ে যাবে ভেবে তাহসী এগিয়ে এসে দরজা খুলল। দরজা খুলে পাশে তাকিয়ে দেখল নাহিদ ও রুম থেকে বের হয়েছে।

তাহসী কিছু বলার আগেই নাহিদ বললো,
-“তুই কাঁদছিস নাকি?”

-“কোন দুঃখে?”

-“তো কান্নার শব্দ পেলাম যে! কি শুনলাম তাহলে? আল্লাহ রক্ষা করো।”

-“তুমিও পেয়েছো? আমার মনে হলো নাঈমের রুম থেকে।”

-“তনন তোমার বউ মনে হয় পাগল হয়ে গেছে! ওয়েট ওয়েট, আমার মনে হচ্ছে এটা তোদের কোনো ট্র্যাপ আমাকে জ্বালানোর!”

-“পাগল তুমি। ওদের কাজ নেই এটা করতে যাবে। দুইজনের ফটো দেখতে ব্যস্ত সবাই।”

তাহসী নিজেই যেয়ে নাঈমের দরজায় নক করলো। আচমকা কান্নার শব্দ থেমে গেল। শুধু ফোপানোর শব্দ পেল তাহসী। রুমের মধ্যে কথা বলার আওয়াজ মনে হলো। তিনজন মোটামুটি শিওর হলো রুমের মধ্যে অবশ্যই একটা মেয়ে আছে। ঘটনা ধারণা করে নিল তিনজন।

নাহিদ নিম্ন স্বরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-“নাঈম পুরো পরিবার কে জাগাতে না চাইলে ভালোই ভালোই দরজা খুলবি!”

চলবে ইনশাআল্লাহ;

#তোমাতে_বিলীন_হবো
#Tahsina_Arini
#পর্ব_২৩
(অনুমতি ব্যতীত কপি নিষিদ্ধ)

নাহিদ নিম্ন স্বরে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-“নাঈম পুরো পরিবার কে জাগাতে না চাইলে ভালোই ভালোই দরজা খুলবি!”

কিছুক্ষণ বাদেই দরজা খুলে গেল। দরজার বাইরে থাকা তিন জনেই অনেকটা চমকালো। তাহসী ভিতরে ঢুকে মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে বিস্ময় নিয়ে বললো,
-“শশী তুই!”

শশীর চোখ বেয়ে তখনও পানি পড়ছে। নাহিদ শশীকে একবার দেখে নিয়ে দরজার পাশে দাঁড়ানো নাঈমের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“কি হয়েছে সবটা খুলে বলবি!”

নাঈম আমতা আমতা করতে লাগলো। নাহিদ পুনরায় বললো,
-“ভয় নেই।‌ বল। আমরা কেউ পুরো ফ্যামিলি জানাতে চাচ্ছি না।”
এই কথা বলে নাহিদ তাহসী আর তননের দিকে তাকালো। এই মুহূর্তে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী। তাহসী, তনন দুজনেই ইশারায় সায় জানালো। এখন পুরো বাড়ি জানিয়ে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যারা মিথ্যা গুজব ছড়াতে পারে,তাদের জানানো বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। তাদের থেকে সমাধান তো দূর খবর গোপন রেখে পাশা থাকানোও আশা করা যায় না। তার চেয়ে বরঞ্চ নিজেরা জেনে সমাধান করা যাক। এরপর বাবা মা কে জানাতে হবে। এমনটাই ভাবলো তাহসী।

তাহসী শশী কে নিয়ে নাঈমের বিছানায় বসালো। শশীর হাতে এক গ্লাস পানি দিয়ে তাহসী নরম সুরে বললো,
-“এই রুমে কেন তুই? সবটা খুলে বল।”

-“আ…..মি, আমি প্রেগ….ন্যান্ট আপু।”

-“কি-হ!”
নাহিদ আর তাহসী সমস্বরে বলে উঠলো। তনন এক্ষেত্রে নিশ্চুপ থাকায় ভালো মনে করলো।

নাহিদ নাঈমের কলার টেনে ধরলো।
-“এতো খারাপ তুই। ছিঃ!”

শশী ভয়ে ভয়ে বললো,
-“আম..রা আগেই বিয়ে করেছি ভাই…য়া।”

তাহসী নিজেকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে বলে উঠলো,
-“তোদের কি কে*টে ফেলে দিত? বাড়িতে কেন জানালি না তোরা?”

তখন নাতাশা রহমান দরজায় এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি পানি নিতে এসেছিলেন ডাইনিং রুমে। উপরের দিকে চোখ যেতেই দেখেন তাহসী আর নাঈমের রুমের দরজা খোলা আর লাইট জ্বলছে। সাথে একজনের অবয়ব দেখা যাচ্ছে নাঈমের দরজার সামনে। তাই দেখে তিনি এগিয়ে এসেছেন। দোতলায় এসে দেখলেন তনন রুমের ভিতরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। অর্থাৎ অবয়ব টা তননের। নাতাশা রহমান কে দেখে তনন দরজা থেকে সরে দাঁড়ালো।

নাতাশা রহমান প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারলেন না। তবে শশীর ফোপানো দেখে আর নাঈমের দিকে রেগে তাকিয়ে থাকা নাহিদ কে দেখে কিছুটা আন্দাজ করে নিলেন। তননকে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা চাপিয়ে থমথমে কন্ঠে প্রশ্ন করলেন,
-“কি হয়েছে?”

তনন ঘটে যাওয়া ঘটনা টুকু বললো। ঘটনার আকস্মিকতায় নাতাশা রহমান হতভম্ব হয়ে গেলেন।
-“তোরা কি মজা করছিস?”

কেউ কোনো কথা বললো না। নাতাশা রহমান ভেবে পাচ্ছেন না কি বলবেন। ওদের তিনজনেরও একই অবস্থা।
শেষ পর্যন্ত নাতাশা রহমান মুখ খুললেন,
-“বাড়িতে না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত কিভাবে নিয়েছিস তোরা? জানিস মেয়েদের অভিভাবক অনুপস্থিত থাকলে বিয়ে হয় না?”

শশী আরো শব্দ করে কেঁদে উঠলো। নাতাশা রহমান বললেন,
-“তাহসী তোর বাবা,চাচাকে ফোন দিয়ে এই রুমে আসতে বল। বাড়ির বাকি কেউ যেন না জানতে পারে।”

তাহসী নাহিদ আর তননের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকালো। বাবাকে এই কথা বলার সাহস নেই তার। আর এতক্ষণে ঘুমিয়ে পড়লে ঘুম ভাঙিয়ে বকা শোনার ইচ্ছা নেই। আর দোতলা থেকে ফোন দিয়ে চিন্তিত করার কি দরকার!
নাহিদ খেয়াল না করলেও তনন তাহসীর দৃষ্টি খেয়াল করলো। তনন আশ্বস্ত করলো তাহসী কে। এরপর সোজা নিচে নেমে গেল। আপাতত তৌহিদ হোসেন কে ডেকে আনবে সে।

তৌহিদ হোসেন উপরে উঠতে উঠতে এরমধ্যে কয়েকবার প্রশ্ন করেছেন তনন কে। তনন প্রতিবার জানিয়েছে উপরে যেয়ে বলবে। তৌহিদ হোসেন আসলে নাতাশা রহমান খুলে বললেন সব। মনির হাসান কে ফোন দেওয়া হলো। তৌহিদ হোসেন বললেন তিনি আর তার ওয়াইফ যেন এখন এই বাড়িতে আসে কাউকে না জানিয়ে।

তাহসীর ছোট চাচা-চাচি আসলে তৌহিদ হোসেন ওনাদের সব জানালেন। তাহসীর ছোট চাচী শিমুল রহমান দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই বসে পড়লেন। তার কোলে শাফিন, ওনাদের কথা বলায় ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। যার ফলে শিমুল রহমান তাকে নিয়ে এসেছেন, আবার কাউকে না বলে আসা; বাচ্চা কে একা রেখে আসা যায় না।

মনির হাসান এমনিতে ঠান্ডা মস্তিষ্কের মানুষ। তৌহিদ হোসেন যতটা রাগী,তিনি ততটাই শান্ত। কিন্তু এই কথা শুনে আর স্বাভাবিক থাকতে পারলেন না। সোজা শশীর কাছে যেয়ে দুই গালে দুই থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন। এরপর পিছনে ঘুরে নাইম কেও একটা থাপ্পড় মারলেন। শশী উচ্চস্বরে কাঁদতেই তাহসী আস্তে করে বললো,
-“চুপ, আস্তে। বাইরের মানুষ যেন না জানে। বুঝতে পারছিস কি হবে?হয়তো সমাজ দিয়ে আমার তোর যায় আসে না তবে এটা মোটেও বাইরে জানানোর বিষয় নয়। মেইন কথা আল্লাহ সব তো সব দেখছেন। ওনার কাছে কি জবাব দিবি তোরা?”

শশী হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে শুধু ফোপাতে লাগল। মনির হাসান দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
-“আমি ভাবতেই পারছি না যে তোরা! আবার নাহিদের বিয়ের দিনে জানাচ্ছিস, বাড়িভর্তি মানুষ!”

কিছুক্ষণ সবাই নিরবতা পালন করলো। তৌহিদ হোসেন বলে উঠলেন,
-“এটা নিয়ে পরে কথা হবে। যে যার রুমে যাও। নাহিদের বিয়ের কাজ সব শেষ হলে ইনশাআল্লাহ সোমবার রাতে এটা নিয়ে আলোচনায় বসা যাবে।”

শিমুল রহমান এবার প্রথম কথা বললেন। নাক টেনে উচ্চারণ করলেন,
-“তোরা এমন কেন করলি? শশী তুই জানতিস যে তোর বড় খালার ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করে রেখেছি। তাহলে? আমি বড় আপাকে কি বলবো!”

-“এইজন্যই চাচি আমরা বিয়ে করে নিয়েছি।”
ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল নাঈম।

মনির হাসান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
-“একবার শশীর থেকে মতামত নিলে তো এইদিন দেখতে হতো না। যাইহোক এখন তো আর কিছু করার দেখি না।”

তৌহিদ হোসেন, নাতাশা নিজ রুমে চলে গেলেন। তাদের পিছু পিছু শিমুল রহমান ও গেলেন। মনির হাসান শশীর কাছে এগিয়ে যেয়ে বললেন,
-“এমনটা না করলেও পারতি। সব শেষ করে দিলি। এগুলো আমাকে বলতে পারতিস। আমি তো আর জোর করতাম না! ছোট থেকে যা চেয়েছিস তাই তো দিয়েছি। তাহসী রা কেউ চাওয়ার সাথে সাথে পায়নি, কিন্তু তুই পেয়েছিস। আমি তোর বিয়ের ব্যাপারে তোর মায়ের কথায় হ্যা ও বলিনি, না ও বলিনি। এমনটা না করলেও পারতিস।”

মনির হাসান চলে গেলেন। শুধু রইল তারা পাঁচজন। তাহসী শশী কে দাঁড় করিয়ে বললো,
-“এখানে আমার কাজিন দের সাথে থাকবি নাকি বাড়িতে চলে যাবি?”

-“বা..ড়িতে।”

তাহসী শশী কে নিয়ে নাঈমের ওয়াশরুমের সামনে দাঁড় করালো। বললো ফ্রেশ হয়ে আসতে। শশী চোখ মুখে পানি দিয়ে একটু স্বাভাবিক হলো। তাহসী নাহিদ কে বললো নিজের রুমে চলে যেতে। তাহসী শশী কে এগিয়ে দিয়ে আসলো। যেতে যেতে তাহসী শশী কে বললো,
-”

চলবে ইনশাআল্লাহ;

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে