চোখের আড়ালে পর্ব-১৫

0
477

#চোখের আড়ালে
#Maishara_jahan
Part………15

এটা শুনে ফারহান আবার উঠে যায়। আরাব রিমানের দিকে তাকিয়ে একটা লাথি দিয়ে রিমানকে খাট থেকে ফেলে দিয়ে বলে _ আমি আছি আমার দুঃখে তোদের রং শেষ হয় না। চুপচাপ শুয়ে ঘুবামি। মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হলে রুম থেকে বের করে দিবো, বলে দিলাম।
এটা বলে আরাব ফারহানের দিকে তাকায়। ফারহান চুপচাপ শুয়ে পড়ে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুপুরে তারা বাসায় চলে আসে। সবাই রিমানদের বাসায় যায়। গিয়ে গোসল করে সবাই খেতে বসে। ফারহান খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে _ আন্টি রিমি কোথায়?

রিমানের মা _ মাহুয়াদের বাসায়, সকাল থেকে ঐখানেই আছে।
রিমান জুস খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে _ কেনো, পরীক্ষা এসেছে নাকি সামনে?
মা _ না, মাহুয়ার আজকে রাতে কাবিন হবে তাই।

এটা শুনার সাথে সাথে রিমানের মুখ থেকে সব জুস বেরিয়ে যায়। সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বলে _ কিহহহ, মানে? মানে কি একদিনের জন্য বাহিরে কি গিয়েছি এখানে কাবিন হয়ে যাচ্ছে। আর এক দিন থেকে আসলে না জানি কি হয়ে যেতো।

ফারহান ও দাঁড়িয়ে বলে _ আরে এভাবে কি করে বিয়ে করতে পারে? কোনো অনুষ্ঠান নেয় কিছু নেয়।
রিমান ফারহানের দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলে _ এখানে আমাদের জানানো ছাড়া বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তুই অনুষ্ঠান নিয়ে পড়ে আছিস?

ফারহান ছোট করে একটা হাসি দিতে নেয়, রিমান আবারো শান্ত গলায় বলে _ তোর একটা দাঁত বের হলে ঐটাই আমি ভেঙে ফেলবো।
ফারহান সাথে সাথে মুখ বন্ধ করে ফেলে। আরাব দাঁড়িয়ে বলে _ তোরা দুজন চুপ কর। আচ্ছা মামনি এতো তাড়াহুড়ো করে বিয়ে কেনো দিচ্ছে?

মা_ বিয়ে হচ্ছে না তো, কাবিন হচ্ছে।
রিমান _ দুটোর মধ্যে পার্থক্য কি?
আরাব _ রিমান এক মিনিট চুপ কর।
মা _ আমিও জিজ্ঞেস করেছিলাম হঠাৎ করে কেনো। ভাবী বললো মাহুয়া নাকি তাই চাই।

রিমান রাগে বলে _ ও চাওয়া আমি মিটাচ্ছি।

মা_ তুই এতো হাইপার হচ্ছিস কেনো? আর তাছাড়া কাবিনে শুধু পরিবারের লোকেরা থাকবে। পরে অনুষ্ঠান করে জমজাট করে বিয়ে হবে।

রিমান হাত ধুয়ে যেতে নিয়ে আবার ফিরে এসে ফারহানের দিকে তাকায়। ফারহান ও তাকিয়ে আছে। রিমান জোর করে রাগে ফারহানের হাত ধোয়াতে ধোঁয়াতে বলে _ তোরে কি নিমন্ত্রণ দেওয়া লাগবে যাওয়ার জন্য।

ফারহানের হাত ধুয়ে আরাবের দিকে তাকায়। আরাব তাড়াতাড়ি নিজের হাত ধুয়ে ফেলে। তৃষাও হাত ধুয়ে বলে _ আমিও যাবো।
মা_ সবাই খাওয়া ফেলে এভাবে কেনো চলে যাচ্ছিস? কি আজব।

সবাই মাহুয়ার বাসায় পৌঁছে যায়। মাহুয়ার আম্মু দরজা খুলতেই সবাই ডুকে যায়। ঢুকে হাসতে হাসতে বলে _ আন্টি মেয়ের বিয়ে আর আমাদের বলেন নি? এটা কেমন হলো?

মাহুয়ার মা _ আরে, তোমাদের কথা তো বলেছিলাম কিন্তু রিমি বললো তোমরা নাকি ইন্ডিয়া গিয়েছো কাজে।

আরাব _ আন্টি আমাদের ছাড়াই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। নাকি সুযোগ খুঁজছিলেন যে, আমাদের থেকে লুকিয়ে বিয়ে দিয়ে দিবেন?

মাহুয়ার মা হাসতে হাসতে বলে _ তোমাদের ছাড়া কি আর বিয়ের জমবে। আমি তো মানায় করেছিলাম। মাহুয়ায় বললো এখন না করালে আর কখনো করবে না, জেদি মেয়ে।

তখনি রিমি উপর তলা থেকে নিচে আসতে আসতে বলে _ তোমরা এসে গেছো। জানতাম তাড়াতাড়ি এসে যাবে।

রিমান রিমির দিকে তাকিয়ে নরম গলায় হাসি দিয়ে বলে _ মাহুয়ার আজকে কাবিন হবে কথাটা তুই আমাকে কালকে বলতে পারলি না? এমনিতে তোহ তোর মুখ বন্ধই হয় না। কাজের সময় মুখ থেকে কথা বের হয় না হুমম।

রিমি আরাবের দিকে তাকিয়ে বলে _ বলেছিলাম আমি আরাব ভাইকে।

রিমান রাগী ভাবে আরাবের দিকে তাকায়। আরাব একটু পিছিয়ে বলে _ বলেছিলো বাট আমি এতো টেনশনে ছিলাম যে ভুলে গেছি।

রিমান হাসতে হাসতে আরাবের কাছে এসে তার কাঁধে হাত দিয়ে বলে _ মানুষ বলতেই ভুল। ভুল তো আর গরু ছাগল করে না, মানুষেই করে তাই না।
আরাব হাসতে হাসতে বলে _ ঠিক , ঠিক বুঝতে পেরেছিস তাহলে।
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে বলে _ কালকে কথা বলার সময় তুমি এটা আমাকে বললে কি হতো?

রিমি একটু মন খারাপ করে বলে _ জানি না কেনো বলতে ইচ্ছে হয় নি।
ফারহান _ কেনো, তুমি এটা তো চাওনি যে মাহুয়ার বিয়ে অন্য কারো সাথে হয়ে যাক?

রিমি সবার দিকে এক নজর তাকিয়ে কিছু না বলে চলে যায়। রিমান আরাবের কাঁধে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে বলে _ চল আরাব তোর সাথে কিছু কথা আছে।
রিমান আরাবকে উপরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আরাব শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বলে _ কি বলার এখানে বল না। আমি শুনছি তো।

ফারহান ও আরাবের কাঁধে হাত দিয়ে হেঁসে বলে _ চল বন্ধু, জরুরি কথা আছে।
দুজনে প্রায় আরাবকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আরাবকে নিয়ে উপরে গিয়ে, আরাবকে ছেড়ে দুজন তার দিকে রাগে তাকিয়ে আছে। আরাব একটু পিছিয়ে বলে _ সরি মনে ছিলো না। আমি নিজেই কতো জামেলাতে ছিলাম জানিস তো।

রিমান _ তোর জামেলা, জামেলা আর আমাদের জামেলা কিছু না৷ সব তোর কারনে হয়েছে।
ফারহান _ আরে ভাবছিস কি মার শালারে।

ধরে দুজনে পিটাতে থাকে। আরাবো শুরু করে দেয় মার। তিন জনে মারামারি লাগিয়ে দেয়। মাহুয়া তার রুমের দরজা খুলে দেখে তিনজন মারামারি করছি। মাহুয়া একটু জোরে বলে _ কি হচ্ছে? আপনারা মারামারি করছেন কেনো?

তিনজন সাথে সাথে নরমাল হয়ে যায়। রিমান হেঁসে বলে _ তোমার বিয়ে বলে কথা তাই নাচের প্রেকটিস করছি।
মাহুয়া _ দেখে তো অন্য কিছু মনে হচ্ছিল।
রিমান _ বিয়েটা যেমন নাচ ও তেমনি হবে।

রিমিও বের হয়ে আসে। রিমিকে দেখে ফারহান বলে _ রিমি আমার তোর সাথে কিছু কথা বলার আছে। একটু আমার সাথে আয় জরুরি কথা ছিলো।
রিমি একটু অস্থির হয়ে বললো _ আমার একটু কাজ আছে। আন্টি অনেক ক্ষন আগে ডেকেছিলো। আচ্ছা আমি শুনে আসি।

বলে রিমি তাড়াতাড়ি চলে যায়। রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে বলে _ মাহুয়া তুমি কি ঐ শানকে ভালোবাসো?
মাহুয়া _ কেনো?
রিমান _ হঠাৎ করে বিয়ে করে ফেলছো যে?
মাহুয়া _ বিয়ে না কাবিন হচ্ছে শুধু।
রিমান _ ইউ ইস্টুপিট, কাবিন মানেই অফিসিয়ালি বিয়ে হয়ে যাওয়া।

মাহুয়া অন্য দিকে তাকিয়ে বলে _ হুমম তো?
_ তো মানে, পছন্দ না হলে কি কেও এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কথা বলে?
_ আমি বলি, তাছাড়া শান কোনো দিক দিয়ে কম নাকি।

ফারহান সামনে এগিয়ে এসে বলে _ কোন দিক দিয়ে না সব দিক দিয়েই কমি কম।
মাহুয়া _ আচ্ছা কোন দিক দিয়ে কম?
ফারহান কিছু ক্ষন এ এ করে বলে _ শক্তি দিয়ে আমাদের তেকে অনেক কম।

রিমান ফারহানের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে বলে _ কিরে তুই কেমনে জানলি?
ফারহান _ আরে ঐ রাতেই তোহ জানতে পারলাম৷

আরাব আর রিমান ফারহানের থেকে সরে গিয়ে বলে _ রাতে মানে, কোন রাতে? আর রাতেই বা কেনো? আর কেমনে জানলি? কি হয়েছে তোদের মাঝে?

ফারহান দুজনকে থাপ্পড় দিয়ে বলে _ নেগেটিভ মাইন্ডের মানুষ সব। আরে যে রাতে আমরা মাতাল ছিলাম ওই রাতে আমাদের দেখে কতোটা ভয় পেয়েছিলো শান। আর কিভাবে আমাদের থেকে বেঁচে পালিয়ে ছিলো। ভিতুর ডিম।

রিমান _ ও ভিতুর ডিম না, ডিমের বাচ্চা। পুরাই ছাগল। আর তাছাড়া আমাদের মতো এতো হেন্সাম না হুহহহহ।

মাহুয়া সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে _ হয়েছে?

রিমান_ না এখনো হয়নি।
মাহুয়া_ আর কি বলার আছে বলেন,আমি শুনছি।
রিমান কিছু ক্ষন, আআ, হুহহ, এএ করে বলে _ না আর কিছু বলার নেয়।

মাহুয়া _ তাহলে আমি আসি। আজকে আমার জন্য অনেক বড়ো একটা দিন, তাই আমাকে রেডি হতে হবে।

রিমান কিছু বলার জন্য আঙুলটা আগে বাড়িয়ে যেই বলতে নেয় অপনি মাহুয়া ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। রিমানের কথা রিমানের মুখেই থেকে যায়। রিমান কিছু ক্ষন চুপ থেকে আস্তে করে বলে _ এতো বড় অপমান?

ফারহান _ তাও মুখের উপর। আহারে।
আরাব _ কাটা গায়ে লবনের ছিটা দিস না। বিচারার মুখের সামনে দরজা বন্ধ করেছে। কতো কষ্টই না হয়েছে।

রিমান _ আরাব
_ হুম
_ কাটা গায়ে লবনের ছিটা তুই ও খারাপ দিস না৷
_ তোর থেকেই শিখেছি।
_ আমি আরো অনেক কিছু করি, শিখার মতো।
_ ভালো কোনটা?

ফারহান _ দুররর চল নিচে যায়। শান আসুক পরে ওরে এমন মজা শিখাবো যে আর জীবনে বিয়ের নামও নিবে না৷ এতো সহজে মাহুয়াকে বিয়ে করতে দিবো নাকি।

রিমান ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারহান রিমানকে জিজ্ঞেস করে _ কি হয়েছে এভাবে কেনো তাকিয়ে আছিস?
রিমান কিছু একটা ভেবে বলে _ কিছু না। চল দেখি কি ড্রামা হচ্ছে নিচে। আর হ্যাঁ আরাব বাবু আপনার জন্য একটা শাস্তি আছে।

আরাব _ শাস্তি, কিসের শাস্তি ? আর কেনো?
_ এতো বড় কথা ভুলে যাওয়ার জন্য। আর শাস্তিটা হলো যতো ক্ষন না এসব ঠিক হচ্ছে তুই তৃষা ভাবীর আশেপাশে যাবি না।
_ হেহহ এটা কেমন শাস্তি। মানি না আমি এটা।
ফারহান _ তুই মানবি তোর ঘাড় ও মানবে। না হলে তোর সাথে কোনো কথা নেয়।
আরাব _ ঠিক আছে বলিস না।

ফারহান _ ছিঃ ছিঃ ছিঃ, বউ আসতেই বন্ধুদের ভুলে গেলি?
রিমান _ আমি জানতাম এমনি কিছু হবে। তুই যা তৃষা ভাবীর সাথে মিশ। আমি আর ফারহান গিয়ে ভাবীকে বলবো তুই মাহিকে কল দিয়ে বলছিলি ওকে নাকি মিস করছিস। দেখা করতে ইচ্ছে করছে। এক দিন দেখা হয় নি, মনে হচ্ছে কতো বছর দেখা হয়নি।

আরাব _ ও ভাই, এমন বললে আমার দিকে আর ফিরেও তাকাবে না। এমনি ভাবে আমি নাকি ওকে ভালোবাসি না। এই মূহুর্তে তৃষা সব কথা বিশ্বাস করবে।

রিমান _ জানি তাই তো বলবো। এখন যা তৃষা ভাবির কাছে।

রিমান আর ফারহান হাইফাই করে চলে যায়। আরাব মন খারাপ করে বলে _ তোদের বিয়ে হোক তারপর বুঝাবো মজা৷

নিচে গিয়ে দেখে রিমি, তৃষা মাহুয়ার আম্মুকে সাহায্য করছে। ফারহান রিমিকে যতো বারি ডাকে রিমি কোনো না কোনো কাজের বাহানা দেয়। আরাব তৃষার সাথে কথা বলতে চাইলে রিমান আর ফারহান শুধু চোখ দেখায়। আর ঐ বিচারা কিছু করতে পারে না। একটু পর রিমি রিমানকে ডেকে রুমে নিয়ে যায়। কিছু বলার জন্য। একটু পর রিমান মন খারাপ করে নিচে এসে দেখে শান ওরা চলে এসেছে।

তিনজন হাসি দিয়ে শানের পাশে বসে। তিন জনে মজা করার বাহানায় রিমান শানের পিঠে জোরে থাপ্পড় মেরে বলে _ আজ তোমাকে অনেক হেন্সাম লাগছে।
ফারহান ও মেরে বলে _ ওয়াও ইয়ার তোর চুল গুলো তো সুন্দর ।
আরাবও মেরে বলে _ বিয়ে হচ্ছে, ফিলিং এক্সাইটেড।
তিনজন এভাবেই কিছু ক্ষন পর পর মারছে। শানের পিঠ বেঁকে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।

একটু পর রিমান মাহুয়ার রুমে লুকিয়ে গিয়ে বসে আছে। মাহুয়া ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে বলে _ সিনিয়র আপনি এখানে কেনো? জান এখান থেকে।
_ চলে যাবো শুধু একটা কথা বলার ছিলো।
_ কি?
_আগে লম্বা নিশ্বাস নাও, পরে বলছি।
_মানে কেনো?
_ আগে নাও, আর না হলে বলবো না।

মাহুয়া বিরক্ত হয়ে লম্বা নিশ্বাস নেয় আর রিমান বেহুশ হওয়ার স্প্রে মেরে দেয়। মাহুয়া কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না সোজা অজ্ঞান।

ফারহান ও আসে এসে বলে _ ওকে অজ্ঞান করে দিলি? ভালো করেছিস আমিও এটাই ভাবছিলাম। এখন নিয়ে যাবি কিভাবে?

রিমান_ আমিও এটাই ভাবছিলাম, মাহুয়াকে না হয় বোরকা পড়িয়ে রিমি নিয়ে যাবে। তোকে কে নিয়ে যাবে?
_ মানে?
_ মানে, বুঝাচ্ছি দাঁড়া।

বলে রিমান রাগে আগে ফারহানকে দুইটা ঘুষি মারে তারপর স্প্রে মারে ফারহানের নাকের সামনে। ফারহান ও অজ্ঞান হয়ে যায়। রিমি এসে বলে _ ভাইয়া দাঁড়াও আমি বোরকা নিয়ে আসছি। আমি মাহুয়াকে নিয়ে যাবো, তুমি আর আরাব ভাইয়া ফারহানকে।
_ হুম ঠিক আছে।
______
কিছু ক্ষন পর ফারহানের মুখে এক গ্লাস পানি ঢেলে দেয় রিমান। আর মাহুয়ার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগানো হয়৷

দুইজনেই অভাক হয়ে বলে _ আমাদের কেনো বেঁধে রেখেছো?
ফারহান _ মাহুয়ারটা না হয় বুঝলাম বাট আমাকে কেনো বেঁধে রেখেছিস ভাই।

রিমান রাগে বলে _ অনেক হয়েছে দুজনের। আর ভালো লাগছে না৷ আজকেই তোদের দুজনের বিয়ে হবে। একটু পরেই। পাগল বানিয়ে দিয়েছে দুজনে। বিয়ে আজকেই হবে। আর বিয়ে পর ১ বছর তোদের চেহেরা দেখাবি না আমাকে।

চলবে________

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে