গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(০৩)

0
3361

গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(০৩)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
দরজাটা খুলেই ভাবিকে বলি! ভাবি তোমরা তসিবার চুক্তি মেনে তসিবার সাথে আমার বিয়ে দিয়েছো কেনো? এখন তো তসিবা যা বলবে তাই শুনতে হবে?

ভাবি:- তসিবার চুক্তি মানে কি?

আমি:- রাতে যে তসিবা আমাকে বলছে ওর শর্ত মেনে চুক্তিপত্রে সাইন করে ওকে বিয়ে করেছি।

ভাবি:- কি তসিবা এমনটা বলছে? বরং আমরা চুক্তি পত্র করেছি কারণ বিয়ের পর তসিবা যদি বিন্তির মত একিই কাজ করে তাহলে এইটার জন্য দায় বার কে নিবে। সেই জন্য কাজী সাহেবকে দিয়ে আমরা একটা চুক্তি নামা করেছি। সবাই শাক্ষি দিয়েছে তসিবার কারো সাথে কোনো রিলেশন নেই আর তসিবা সেই চুক্তিনামা সাইন করেছে। এমনকি সেই চুক্তিনামাই লিখা আছে তোমার অনুমতি ছাড়া তসিবা এক পা বাড়ির বাহিরে বের হতে পারবেনা।

আমি:- কি বলেন কিন্তু তসিবা যে আমাকে তার উল্টাটা বলছে।

ভাবি:- এই দেখো সেই চুক্তিপত্র এখানে তসিবা সহ সবার সাইন আছে। আমি কাগজটা হাতে নিয়ে দেখি তসিবা যা যা বলছে তার কোনো কিছুই নেই। বরং আমি যা বলবো তার সবকিছু ওকে মেনে চলতে হবে। ভাই তসিবা তোমার সাথে মিথ্যা বলছে ভালো করেছো আমাকে কথাটা জিগেস করে। এখন তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও আমরা ঢাকায় ফিরে যাবো।

আমি:- হ্যা তুমি যাও আমি ফ্রেশ হচ্ছি। ভাবি চারদিকে চোখ ভুলিয়ে দেখছে। কিছু একটা বলতে ছিলো কিন্তু না বলে চলে গেছে। আমি তো ভাবছি যেই মেয়েটা সারা রাত ঝগড়া করেছে বিনা কারণে সেই মেয়েটা এমন একটা দৃশ্য দেখে চুপচাপ ওয়াশ রুমে চলে গেলো আমাকে কিছু না বলে! এবার দেখাবো মজা কাকে বলে একবার বাড়িতে নিয়ে নেই কে কাকে অধিকার দেয় সেইটা এখন দেখাবো। ওয়াশ রুমের দরজায় দাড়িয়ে তসিবাকে ডাকতে লাগলাম। তসিবা এই তসিবা এখুনি ওয়াশ রুম থেকে বেরুবে বলে দিলাম। ভিতর থেকে তসিবা বলছে।

তসিবা:- আমার দেরি হবে আর এতটা আওয়াজ হচ্ছে কেনো? আস্তে আস্তে কথা বলেন।

আমি:- দরজাটা খুলো এরপর দেখবে আওয়াজ কাকে বলে! জোরে জোরে ডাকতে আরম্ভ করেছি তখনি তসিবা দরজাটা খুলেছে একটু খানি শুধু মুখটা দেখা যাচ্ছে। তসিবা তুমি রাতে আমার সাথে মিথ্যা বলছো কেনো?

তসিবা:- আপনি থেকে সোজা তুমি বলছেন কারণটা কি? আর এমন ভাবে চেচ্ছান কেনো? চুক্তির কথা গুলি কি ভুলে গেছেন?

আমি:- কিসের চুক্তি? ভাবি আমাকে সবটা বলে দিয়েছে! রাতে আমার সাথে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলতে তোমার লজ্জা করেনি?

তসিবা:- তারমানে সব যেনে গেছেন?

আমি:- হ্যা!

তসিবা:- যাক তাহলে তো ভালোই আমি মজা করেছিলাম আমাকে এবার ফ্রেশ হতে দেন।

আমি:- ধরা খেয়ে রং বদল করে নিয়েছো? বের করছি তোমার মজা বলে তসিবাকে ওয়াশ রুম থেকে টেনে বের করেছি। তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি ফ্রেশ হবো আগে এরপর তুমি হবে।

তসিবা:- আমি ভেজা কাপড়ে থাকলে আমার ঠান্ডা লাগবে। প্লিজ আমার কথাটা শুনেন।

আমি:- তোমার কথা আমি শুনবো এত তাড়া কিসের সবে তো শুরু হয়েছে। তোমাকে ভেজা কাপড়ে দারুন লাগছে দাঁড়িয়ে থাকো কেমন। তসিবা দাঁড়িয়ে আছে আমি গিয়ে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ইচ্ছে করে ফ্রেশ হয়েছি। বের হয়ে দেখি তসিবা হাঁচি দিতেছে বাহা এখন তোমাকে অনেকটা পাগলী পাগলী লাগছে। যাও এবার গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।

তসিবা:- আমি বলেছি আমার ঠান্ডা লাগবে তাও আপনি এমনটা করেছেন?

আমি:- মনে নেই ফ্লোরে তৈল দিয়ে রাখার কথা? আমার বুকের উপর বসে গলা টিপে ধরার কথা? তুমি যেই শর্ত গুলি বলছো আমি ঠিক তার উল্টাটা করবো।

তসিবা:- সত্যি আমি মজা করেছি! আমি তো বুঝতে চায়ছি আপনি মানুষ হিসাবে কতটা কেমন।

আমি:- তার মানে এমন ভাবে? যাও এখন গিয়ে তৈরি হয়ে নাও আমরা ঢাকা যাবো।

তসিবা:- রাতে যা হয়েছে তার জন্য যদি আপনি এমনটা করেন তাহলে তো আপনার বাড়িতে গিয়ে আমি থাকতে পারবোনা!

আমি:- সেইটা তোমার ব্যপার এখন সামনে থেকে সরো আমি বের হবো। তসিবাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে আমি বাহিরে এসেছি। ভাবি ভাইয়া আর আব্বা দাঁড়িয়ে কথা বলছে।

আব্বা:- সৌরভ আয় তোকে তসিবার বাবা মায়ের সাথে আলাপ করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়। (আব্বা আমাকে নিয়ে গেছে ওনাদের কাছে) বেয়াই সাহেব এই হলো আপনাদের জামাই।

আমি:- আস্সালামু আলাইকুম! ওনারা সালামের উত্তর নিয়ে আমার সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলছে।

শ্বাশুরী:- বাবা আমার মেয়েটা একটু জেদি নিজের উপর রাগটা বেশি করে। ওর দ্বাড়া কোনো রকম কষ্ট পেলে ওকে ক্ষমা করে দিও। আর তসিবাকে বুঝিয়ে নিও কেমন?

আব্বা:- আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না যদিও বিয়েটা একটা এক্সিডেন্ট ভাবে হয়েছে! আমরা তসিবাকে মানিয়ে নিবো। তখনি তসিবা এসেছে আমাদের সামনে।

শ্বশুর:- আয় মা তসিবা এদিকে আয়! তসিবা এগিয়ে গেছে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। তসিবার হাতটা আমার হাতে দিয়ে বলে! তসিবাকে তোমার হাতে তোলে দিলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুমি ওকে সব কিছু থেকে আগলে রাখবে!

আমি:- ঠিক আছে!

আব্বা:- আচ্ছা তাহলে আমরা বেরুলাম। বড় বউ সব কিছু গাড়িতে উঠানো হয়ছে?

ভাবি:- হ্যা বাবা সব কিছু নেওয়া হয়ে গেছে।

আব্বা:- তাহলে আমরা গেলাম! সৌরভ চল আমি তসিবার হাত ধরে রাখছি তসিবা আমার হাতটা ছেড়ে ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিয়েছে। তসিবার কান্না দেখে আমার মনটা কেমন একটা করে উঠলো। আমি গাড়ির কাছে চলে এসেছি তসিবার বাবা মা সবাই এসেছে গাড়ির কাছে। তসিবা কান্না করছে।

শ্বশুর:- বাবা বিয়েতে অনেক কিছু হয়ছে সব ভুলে আমার মেয়েটাকে তুমি সূখে রেখো। বিয়ের গঠনা নিয়ে আমার মেয়েকে তোমরা কোনো কিছু বলোনা কিন্তু।

আব্বা:- বেয়াই সাহেব কোনো চিন্তা করবেন না আমরা আছি সবাই তসিবাকে খেয়াল রাখবো। আমরা আমাদের বাড়িতে বউ নিচ্ছিনা আমি আমার মাকে নিয়ে যাচ্ছি। তসিবা গাড়িতে উঠে বসো সৌরভ তসিবাকে হাত ধরে উঠা।

আমি:- হ্যা উঠাচ্ছি! তসিবাকে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করেছি। আমরা দুজনে একদম পেছনে বসেছি ভাইয়া ভাবি মাঝে বসেছে আব্বা ড্রাইভার সাথে বসেছে। তসিবা কান্না করছে আমি তসিবার হাতটা ছেড়ে দিতে ছিলাম কিন্তু তসিবা আরো শক্ত করে ধরেছে। নাটক শেষ হলে কান্না থামাতে পারো আস্তে করে তসিবাকে বলেছি।

তসিবা:- কি বলছেন নাটক মানে কি?

আমি:- সেইটা তুমি ভালো করে বুঝতে পারছো আবার জিজ্ঞেস করছো কেনো? কথা কম বল তুমি কি ভাবছো আমি সব ভুলে যাবো।

তসিবা:- দেখুন বাসর রাতে যা হয়ছে তার জন্য আমি ক্ষমা পাত্রী। এর জন্য যদি আমার সাথে আপনি খারাপ আচরন করেন তাহলে আমার কিছু করার নেই।

আমি:- খারাপ আচরন কেনো করছি তা সময় বলে দিবে। তবে তুমি যতটা সহজ মনে করেছো আমি ঠিক তার উল্টা টাইপের।

ভাবি:- সৌরভ আবার শুরু হয়ে গেলো নাকী?

আমি:- নাহ ভাবি দুজনে গল্প করতেছি।

ভাবি:- কোনটা গল্প আর কোনটা ঝগড়া সেইটা আমি বুঝি সুতুরাং ঝগড়া থেকে বিরতি থাকাই ভালো।

আমি:- ঠিক আছে! তসিবা চুপচাপা হয়ে আছে আমি ওর কাছ থেকে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়েছি। জানালার দিকে তাকিয়ে আছি ঘুম আসছে চোখে। চোখ গুলি বন্ধ করবো তখনি তসিবার মাথা আমার কাদের উপর আমি মাথাটা সরিয়ে দিয়েছি আবার ফেলেছে। তসিবা ঘুমে ভিবোর হয়ে গেছে। হঠাত করে ওর মোবাইলটা আলো জ্বলে উঠছে চেয়ে দেখি একটা মেসেজ তবে মেসেজটা যে পাঠিয়েছে তার নামটা বিন্তি লিখা। মোবাইলটা হাতে নিয়ে লক খুলতে চাচ্ছি কিন্তু পারছিনা যতটুকু পড়তে পারছি সেইটা পড়ে মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে।

(বিন্তির মেসেজ আপু তোমাকে অনেক ধন্যবাদ! আমার আব্বা আম্মা সবাইকে বুঝানোর জন্য। আমার এখন বিয়ে হলে আমার অকালে মৃত্যু অনিবার্য্য ছিলো।) আর কিছু লিখা আছে কিন্তু পড়তে পারছিনা কারন পাসওর্য়াড দিয়ে লক করা। হঠাত গাড়িটা থেমে গেছে বাহিরে তাকিয়ে দেখি আমাদের বাড়িতে এসে পড়েছি। এখন আপদত কিছু বলবোনা বাড়িতে যাই।

আব্বা:- সবাই নামো আমরা এসে গেছি! সৌরভ তসিবাকে নিয়ে আয় আমরা বাড়িতে চলে এসেছি।

আমি:- তসিবা উঠো আমরা এসে পড়েছি! তসিবা উঠেছে সবাই গাড়ি থেকে নেমেছি!

আব্বা:- বড় বউ তুমি ব্যপারটা একটু সামলিয়ে নিও!

ভাবি:- ঠিক আছে! তসিবা তুমি ঘোমটাটা একটু বড় করে দাও!

তসিবা:- ঠিক আছে! তসিবা বড় করে ঘোমটা দিয়েছে। ভাবি তসিবাকে নিয়ে বাড়ির দরজার সামনে গেছে। আব্বা দরজার কলিং বেল চাপ দিয়েছে। দাদি দরজাটা খুলেছে, আম্মা বরণ করার জন্য ঢালা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। যেই আম্মা বরণ করতে যাবে তখনি দাদি বলে।

দাদি:- বড় নাত বউ নতুন বউয়ের চেহারা তো দেখলাম না! ঘোমটাটা উঠাও দেখি নতুন নাত বউকে কেমন লাগছে। যখনি ভাবি ঘোমটাটা উঠিয়েছে তখনি আম্মা বরণ ঢালা হাত থেকে টেবিলের উপর রেখে দিয়েছে। তোরা কাকে বউ করে নিয়ে এসেছিস? বিন্তি কোথায়? কেউ কিছু বলছেনা সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।

আম্মা:- কি হলো সবাই কিছু বলছোনা যে? আর এই মেয়েটা একটা বিয়াদপ আমি ওকে ভালো করে চিনি। কি মেয়ে আমাকে চিন্তে পারোনি ঐ আমি তোমার শপিং মলের শ্বাশুরী মা।

আব্বা:- কি বলছো তুমি?

আম্মা:- হ্যা ঠিকই বলছি! কিছুদিন আগে আমি কেনা কাটা শেষ করে আসতেছিলাম তখন ওর সাথে ধাক্কা লাগে। আমার হাতের সব শপিং ব্যাগ পরে গেছে। আমাকে তো সরি বলেনি যখন আমি বলছি চোখে দেখোনা? সে বলে আমার চোখ গুলি না হয় অন্ধ কিন্তু আপনার গুলি সাথে আছে আপনি দেখে চলতে পারেন না। নিজে অন্ধ আবার আমাকে অন্ধ বলতে আসছে! তখন আমি সাহেদকে ডাক দিয়েছি এমনি মেয়েটা বলে বুড়ির দেখি ছেলে আছে এই তোরা বুড়িটাকে শ্বাশুরী বানাবি কে হাত উঠা। আমাকে নিয়ে ওর বান্ধবীরা সবাই অনেক হাসা হাসি করছে। এই মেয়েকে আমি জীবনেও বউ হিসাবে মানিনা। (তসিবার দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা কান্না করছে আর ভয়ে একদম চুপসে আছে)

আমি:- আম্মা ঐটা দুষ্টমি করে করেছে। এখন বরণ করলে করেন না করলে রাস্তা থেকে সরেন আমার খারাপ লাগছে। বিন্তির সাথে আমার বিয়ে হয়নি যাকে দেখছেন সেই আমার বউ।

দাদি:- কেনো বিন্তির সাথে বিয়েটা হয়নি?

ভাবি:- দাদি মা আপনাকে আমি সব বলছি আগে আমাদের ভিতরে আসতে দেন।

দাদি:-ভিতরে আসবে মানে? আমি তো এই মেয়েকে নাত বউ হিসাবে মানতে পারবোনা বলে দাদি চলে গেছে।

ভাইয়া:- আম্মা কি হলো ওকে বরণ করে নাও।

আম্মা:- এই মেয়েকে আমি বউ হিসাবে মানিনা! বরণ করতে পারবোনা বলে আম্মা চলে গেছে। তসিবা আর আমি দাঁড়িয়ে আছি! ভাবি, আব্বা আর ভাইয়া গেছে দাদি আর আম্মাকে বুঝাতে। তসিবার দাঁড়িয়ে থাকাটা আমার কাছে আনন্দ লাগছে কিন্তু কিছুটা খারাপ লাগছে ওর চোখের পানি গুলি। তাই আমি তসিবার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এসেছি। তসিবাকে ভিতরে এনে সোফাই বসিয়ে দিয়েছি তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে!

আমি:- তুমি বসো আম্মাকে আমি বুঝিয়ে বলতেছি। তসিবা আমার কথা শুনে কিছুটা শান্তি পেয়েছে। আমি উপরে যাচ্ছিলাম তখনি চেয়ে দেখি দাদি আম্মা সহ সবাই এদিকে আসতেছে। তসিবাকে ভিতরে বসা দেখে দাদি শুরু করেছে।

দাদি:- এই মেয়ে তোমাকে আমরা বরণ করিনি অথচ তুমি এই বাড়িতে ঢুকে পড়েছো। তোমার কি কোনো কমন সেন্স বলতে কিছুই নেই নাকী?

আম্মা:- আমি বলেছিনা মেয়েটা একটা বেয়াদব তার প্রমান পেলে তো সবাই।

ভাবি:- তসিবা তুমি দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলে কি হতো?

আব্বা:- তসিবা তুমি কাজটা খারাপ করেছো আমরা তো ছিলাম নাকী?

তসিবা:- আমি তো আসিনি আমাকে ভিতরে নিয়ে এসেছে ওনি। আমার দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

আমি:- তসিবা তুমি মিথ্যা কথা বলছো কেনো? তোমাকে আমি কখন ভিতরে নিয়ে এসেছি তুমি নিজেই তো এসেছো?

দাদি:- এই মেয়ে তো দেখছি কথায় কথায় তর্ক করে। মেয়েটি মুটেও সুবিধার নয় জশিম আমি বলি এই মেয়েকে আজকেই ওর বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।

আব্বা:- অনেক কথা বলা হয়ছে এখন মেয়েটিকে বরণ করে নাও। তসিবা তুমি গিয়ে দরজার সামনে দ্বাড়াও।

আম্মা:- যেহেতু ভিতরে এসে পড়েছে সেহেতু আর বরণ করার কোনো দরকার নেই। যেদিন ওকে আমি আমার ছেলের বউ হিসাবে মানতে পারবো সেইদিন বরণ করবো। শুনো মেয়ে তোমাকে আমি তিন মাস এই বাড়িতে থাকার অনুমতি দিলাম। তিন মাসে তুমি যদি আমার আর মায়ের মন জয় করতে পারো তাহলে তোমাকে বরণ করে বউ হিসাবে মেনে নেওয়া হবে। এবার বলো তুমি রাজি আছো?

তসিবা:- রাজি আছি!

দাদি:- ঠিক আছে আজ থেকে তিন মাস তুমি আমার সাথে থাকবে যেইদিন তোমাকে বাড়ির বউ মানা হবে সেইদিন থেকে তুমি সৌরভের সাথে থাকবে। এখন সবাই যার যার রুমে যাও আর সৌরভ তুই তসিবার সাথে কোনো রকম কথা বলবিনা এই তিন মাস কথা না বলে থাকতে?

আমি:- হ্যা কেনো নই পারবো বলে সোজা হাটা দিয়েছি আর দাদি তসিবাকে নিয়ে ওনার রুমের দিকে হাটা দিয়েছে। তসিবা আমার দিকে পেছন ফিরে তাকিয়ে আছে আমি একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চলে এসেছি। To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে