একজোড়া চড়ুই পর্ব-১৯

0
1199

একজোড়া চড়ুই?️?️
#পর্ব_১৯
#Writer_Afnan_Lara
?
তাহলে অপু! ভোরবেলা উঠবো কি করে??
.
গান গাইতে হবে না,আমার মাথা গুলিয়ে আসতেছে,তুমি ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও প্লিস

ছোঁয়া হাত পা আর মুখ ধুয়ে চলে এসেছে,শ্রাবণ একেবারে গোসল করে নিয়েছে কারণ ওর গায়ে পুরো এক বালতি পানি ঢেলেছে ছোঁয়া
তারপর রুমে এসে দেখলো ছোঁয়া চাদর টেনে ঘুম দিয়ে দিয়েছে ততক্ষণে
এই মেয়েটা এত বিচ্ছু!
শ্রাবণ ও আর কি করবে,বেচারা উপায় না পেয়ে ছোঁয়ার পাশেই ঘুমিয়ে পড়েছে
.
পরেরদিন সকাল হতেই শ্রাবণ উঠে পড়লো,তখন ৮টা বাজে, তারপর পাশে তাকাতেই দেখলো ছোঁয়া হাত পা ছড়িয়ে এখনও ঘুমাচ্ছে,নতুন বউ কিনা এতক্ষণ ধরে ঘুমাচ্ছে!
এই ছোঁয়া উঠো!
.
ছোঁয়া মুখে চাদর টানতে টানতে বললো “কয়টা বাজে”
.
৮টা!!!জলদি উঠো
.
১১টা বাজলে উঠাইয়েন
.
আরে মা বাবা কি মনে করবে,উঠো,পরে ঘুমাইও,উঠো না
.
ছোঁয়া চোখ ডলে উঠে বসে বললো”আমি তো ভুলেই গেসিলাম,আমার বিয়ে হয়ে গেছে,এখন আমাকে বউ বউ টাইপ এক্টিং করতে হবে”
কথাটা বলেই ছোঁয়া বিছানা থেকে নেমে শ্রাবণের সামনেই শাড়ী চেঞ্জ করা শুরু করে দিয়েছে
.
এই এই!বাথরুম বাইরে
.
তো আমি কি এখন ঘুম থকে উঠে সবার সামনে এইরকম লুক নিয়ে বাথরুমে যাবো নাকি??ওদিকে ফিরেন আপনার সমস্যা হলে
.
শ্রাবণ মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে তারপর উঠে চলে গেলো হাতে ব্রাশ নিয়ে
.
ছোঁয়া শাড়ীটা চেঞ্জ করে দৌড় দিলো পুকুরের দিকে, জলদি করে মুখ ধুয়ে পিছন ফিরতেই দেখলো শ্রাবণের মা হাতে পাতিল নিয়ে চেয়ে আছেন ওর দিকে
ছোঁয়া মুখটা ছোট করে বললো”সরি দেরি হয়ে গেলো,কাল থেকে আর হবে না”
.
সমস্যা নেই,নতুন তুমি,মানিয়ে নিতে সময় নাও
.
ছোঁয়া মুচকি হেসে শ্রাবণের মায়ের হাত থেকে ছোঁ মেরে পাতিল নিয়ে পুকুর ঘাটে মোড়া নিয়ে বসে পড়লো
.
আরে আরে করতেছো কি তুমি!নতুন বউ এসব করে নাকি,ছাড়ো আমি করবো
.
আরে নতুন বউ থাকতে শাশুড়ি এসব করে নাকি,যান আপনার ছেলেকে নাস্তা দেন,আমি বরং এটা সেরে ফেলি
.
মা মুখে হাত দিয়ে চেয়ে আছেন,কি মেয়েরে বাবা!চটপট সব করে ফেলতেছে
মা ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরের দিকে চলে আসলেন
ছোঁয়া পাতিলগুলো মেজে রান্নাঘরের দিকে আসতেছিলো তখন দেখলো শ্রাবণ মুখে ব্রাশ ঢুকিয়ে হাঁটতেছে এদিক ওদিক
ওকে দেখতে পেয়ে হা করে চেয়ে রইলো কারণ ছোঁয়ার হাতে পাতিল তাই
ছোঁয়া মুখ বাঁকিয়ে পাতিল নিয়ে চলে গেলো
মা সবে প্লেটে রুটি ভাজি নিয়েছেন ছোঁয়ার এত তাড়াতাড়ি কাজ হয়ে যাওয়া দেখে উনার আর কাজ আসতেছে না
হা করেই আছেন
ছোঁয়া এবার উনার পাশে বসে উনার থেকে প্লেট নিয়ে বাকি কাজ সেরে ফেলতেছে
.
মা তুমি এত জলদি সব কেন করতেছো,কোনো কাজ আছে নাকি তোমার?
.
না তো!আমি তো এমন করেই কাজ করি
.
ওহ!!(এরকম একটা ছেলের বউই তো চেয়েছিলাম)
হইছে আজ বাদ দাও এসব,আজ এগুলা করা সাজে না ছোঁয়া
.
হুদাই বসে থেকে কি করবো?আপনি বরং যান সবাইকে খেতে ডেকে নিয়ে আসেন আমি এসব সামলাচ্ছি
.
মা মাথা নাড়িয়ে শ্রাবণের কাছে এসে ইয়া বড় হা করে মুখে আঁচল দিয়ে এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললেন'” শ্রাবণ তোর বউ এত চটপটা কেন??নিমিষেই সব সেরে ফেলতেছে,আগে তো এমনটা জানতামই না আমি
.
রুপ দেখেই তো বুঝা যায় না স্বভাব কেমন
.
হইছে,পুরোনো কথা মনে করিয়ে শরম দিস না,চল নাস্তা করবি,তোর বউ এতক্ষণে সব রেডি করে ফেলেছে মনে হয়
.
ছোঁয়া চা বানিয়ে সবাইকে খাইয়ে দিয়ে তারপর রুমে আসলো
.
শ্রাবণ ফোন নিয়ে গেমস খেলতেছে সেই কখন থেকে
ছোঁয়া দাঁত কেলিয়ে ওর পাশে বসলো
.
ঢং করতে হবে না,কাল এত সুন্দর রাতটা তুমি নষ্ট করে দিয়েছো,বেকুব মাইয়া
.
আপনার কারণে,আগে ভেজাল আপনি শুরু করছেন আমি না
.
হইছে যাও যাও,ওহহ একটা কথা
.
কি?
.
মা তোমাকে খুব পছন্দ করেছে
.
?তাই
.
হুম,একদম খুশিতে গদগদ!
.
আজ তো আবার বাসায় ফিরে যাবো তাই না?
.
হ্যাঁ,ওসব ছাড়ো,আমার দিকে তাকাও
.
ছোঁয়া শ্রাবণের কথা মতন ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে ওর দিকে
শ্রাবণ চাইছিলো একটু রোমান্টিক হতে তা আর পারলো না ছোঁয়া এমন ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছে এখন সে কি করবে ভাবসিলো সেটাই ভুলে গেছে,মনে পড়ছে না আপাতত
ছোঁয়া একটু এগিয়ে এসে শ্রাবণের গলায় ঠোঁট দিয়ে স্পর্শ করে চলে গেলো রুম থেকে
শ্রাবণ মুচকি হেসে ওর চলে যাওয়া দেখলো,মেয়েটা পুরোই পাগল
.
বৌভাতের অনুষ্ঠানটাও বেশ নরমালি হয়ে গেলো,গুটি কয়েক আত্নীয় এসেছেন শুধু
বিকেলবেলায় ছোঁয়া আর শ্রাবণ ছোঁয়াদের বাসায় ফিরলো,যেতে যেতে রাত হয়ে গেছে প্রায়ই
গেস্ট রুমে ইতি আর রিয়ান আর ছোঁয়ার রুমে ছোঁয়া আর শ্রাবণ
তার আগে জামাই আদরের পালা
টেবিল ভর্তি সাজানো খাবার দাবার সব শ্রাবণ আর রিয়ানকে শেষ করতে হবে
শ্রাবণ পরিমানমত খেয়ে উঠে দৌড় মেরেছে রিয়ান দৌড় মারতে পারেনি,তাকে ইতির মা জোর করিয়ে আরও এক প্লেট খাবার খাইয়েছে
শ্রাবণ ছোঁয়ার রুমে এসে ভালো মতন চারিদিকটা দেখতেছে
একটা বিছানা,একটা ড্রেসিং টেবিল,আর পড়ার টেবিল
ছোঁয়া খাওয়া শেষ করে রুমে ঢুকে দরজা লাগালো
শ্রাবণ তখন ফুলদানী দেখতেছিলো,পিছন ফিরে তাকাতেই দেখলো ছোঁয়া লাফ দিয়ে বিছানার মাঝখানে এসে বসে নতুন বউয়ের মতন লুক নিয়ে গুটিশুটি দিয়ে বসতেছে
.
কি এরকম বিহেভ করতেছে কেন?ভূতে টূতে ধরসে নাকি?
.
কাল ঝগড়া করতেছিলাম বলে এসব হয়নি,তাই এখন করতেছি,আপনার কি?নিজের চরকায় তেল দেন
.
শ্রাবণ মুখ বাঁকিয়ে কাছে এসে বসলো ওর
.
ছোঁয়া ঘোমটা নিয়ে মাথায় দিয়ে মুচকি হেসে বললো”নিন আমার ঘোমটা তুলুন”
.
যেমন কথা তেমন কাজ,শ্রাবণকে বলা হলো ঘোমটা টা তুলতে সে এত জোরে টান দিলো মনে হয় ছোঁয়ার চুল অর্ধেক ছিঁড়ে গেছে
.
উফ!!আপনার কি হইছে বলুন তো!এত আনরোমানন্টিকতা দেখাচ্ছেন কেন?যেন দুধে ধোয়া তুলসি পাতা উনি,কিছু জানেন না
.
তুমি কি বলছো আস্তে আস্তে ঘোমটা তুলতে?
.
বাতাসের গতিতে টানতেও বলিনি,ওকে?
.
যাই হোক,তুললাম তো
.
মুড়ি খান স্টুপিড, আমি আজ ও ঘুমায় যাবো,আপনার সাথে প্রেম নিবেদন করার শখ মিটে গেছে আমার
.
আরে আরে রাগ করো কেন!এই তো আমি তোমার বরের মতন ভাব ধরলাম
.
বরের মতন ভাব মানে?আপনি কি তাহলে?আমার ভাই লাগেন?
.
এত দোষ কেন খুঁজো,!
.
হুম,বাদ দেন,তারপর?
.
শ্রাবণ হালকা হেসে ছোঁয়ার গালে ঠোঁটটা ছোঁয়াতেই
ছোঁয়া গালে হাত দিয়ে দরজা খুলে চলে গেলো এক দৌড়ে
শ্রাবণ এখনও ভূত দেখার মত বসে আছে,তারপর চোখ বড় করে ভাবলো”এমন দৌড় দিলো কেন!বাথরুম তো এখানেই,সেদিকে কোনদিকে গেলো তাহলে?”
.
ছোঁয়া ছাদে এসে হাঁপাচ্ছে
এই প্রথম কোনো ছেলে আমার গাল স্পর্শ করেছে,আমার কেমন যেনো লাগছে,এমন কেন লাগছে!!
.
শ্রাবণ কোলে বালিশ নিয়ে দরজার দিকে চেয়ে বসে আছে
ছোঁয়া কি আসবে?নাকি সে ঘুমাবে,এই মেয়েটা এরকম কেন বুঝি না,লজ্জা পেয়ে পালালো নাকি অন্য কিছু?
শ্রাবণ আর অপেক্ষা না করেই রুম থেকে বের হলো,সবার রুমের দরজা আটকানো,শুধু ছোঁয়ার মা বাবার রুমের দরজা খোলা,ছোঁয়ার মা পানের বাটুয়া নিয়ে বসেছেন আর ওর বাবা টেবিলে কাগজে কিসব লিখে যাচ্ছেন
শ্রাবণ চারদিক চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারলো ছোঁয়া নিশ্চয় ছাদে
তাই সে ছাদে আসলো,ছোঁয়া ছাদের শেষ কোণায় দাঁড়িয়ে হাত পা নাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে লাফিয়ে যাচ্ছে
.
ছোঁয়া?তুমি ঠিক আছো?
.
ছোঁয়া চোখ খুলে ঢোক গিললো তারপর বললো”কাল!! সব কাল!!!আজ না”
.
মানে?
.
মানে হলো আজ আমাকে টাচ করবেন না
.
কি হইছে টাচ করলে?
.
না করবেন না একদম!আমার গা কাঁপতেছে,ভয় করতেছে আমার
.
তুমি না সকালে আমাকে এমন করে টাচ করেছিলে?তাহলে এখন আমি এমন করে টাচ করায় তোমার এত ভয় করে কেন?আর তুমিই তো চেয়েছিলা আমি একটু রোমান্টিক হই,তো হলাম
.
আমি কি জানতাম নাকি এরকম ফিল হবে,আপনি প্লিস গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন,আমাকে একটু সময় দিন
.
এত রাতে এখানে থেকো না, চলো,তোমাকে টাচ করবো না যাও
.
সত্যি তো?
.
হুম?(নিজের বউকে টাচ না করার গ্যারান্টি দিচ্ছি কেমন হাসবেন্ড আমি!)
.
ছোঁয়া রুমে এসে শুয়ে পড়লো চুপচাপ
পরেরদিন সকাল হতেই ছোঁয়া আগে ঘুম থেকে উঠে পড়লো,শ্রাবণ ঘুমায় এখনও
ছোঁয়া মুগ্ধ চোখে ওকে দেখছে
সরি জামাই!কেন জানি না আমার অন্যরকম লাগলো সবটা,তোমাকে তাই ভালোবাসতে মানা করলাম
.
ছোঁয়া ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে দেখলো ইতি আর রিয়ান সোফার রুমে মিষ্টি করে হাসতেছে কি একটা কথা নিয়ে
ছোঁয়া খুশি হয়ে ওদের দেখে যাচ্ছে,কি কিউট?
তারপর ভাবলো আমি আর শ্রাবণ ও তো এমন হতে পারি কিন্তু ইতি আপু এত সহজে রিয়ান ভাইয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারলো,আমি কেন পারতেছি না
হয়ত আমাদের সম্পর্কটা অনেকদিনের না তাই
যত দিন যাবে ততই একজন আরেকজনকে বুঝবো
.
শ্রাবণ নাস্তার টেবিলে এসে বসেছে,ছোঁয়া ওকে নাস্তা দিতে দিতে ইতি আর রিয়ানের দিকে বারবার তাকাচ্ছে তারপর মুখ দিয়ে বিড়বিড় করে কিসব বলছে আবার হাত ও নাড়াচ্ছে
মনে হচ্ছে কিছু একটা প্রেকটিস করতেছে সে
শ্রাবণ ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করলো,পরে বুঝলো কাহিনীটা তারপর নিজেই হেসে দিলো
রিয়ান চমকে জিজ্ঞেস করলো সে কেন হাসতেছে
শ্রাবণ ছোঁয়ার দিকে চেয়ে বললো”তেমন কিছু না,একটা পাগলের কাজকাম দেখে খুব হাসি পাচ্ছে”
.
ছোঁয়ার মনে হলো শ্রাবণ কথাটা ওকেই বলেছে,ব্রুটা কুঁচকে সে রান্নাঘরের দিকে চললো
শ্রাবণ নাস্তা করে আবার ছোঁয়ার রুমে ফিরে এসেছে
ছোঁয়া বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে নিজেও আসলো রুমে
এসে দেখলো শ্রাবণ বিছানায় বসে পা দুলাচ্ছে
ছোঁয়া দরজাটা লাগিয়ে শ্রাবণ পাশে এসে বসে পড়লো
.
এত স্ট্রং গিরি দেখাতে হবে না,ইতি যথেষ্ট ম্যাচিউর বলেই রিয়ানের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে তুমি নিজেকে ওর সাথে মিলাও কেন?
.
আপনি কি করে বুঝলেন?
.
তোমাকে আমি হারে হারে চিনি,এখন এসব বাদ দিয়ে রেডি হয়ে নাও
.
কেন?
.
ওমা,হানিমুনে যাবো না??সাজেক
.
?ওটা তো আমার প্ল্যান করা ছিল,আপনি জানলেন কি করে?
.
তোমার হানিমুনের জন্য করা লিস্টটা ইতি আমাকে দিয়েছিল সেদিন হসপিটালে
.
আচ্ছা,তাহলে বাকিসব ও নিশ্চয় দেখেছেন?
.
জি,সাজেকের কোণায় কোণায় যাবেন,বাঁশ মুরগী খাবেন
তারপর সাজেক থেকে সোজা খাগড়াছড়িতে আমার বাসায় যাবেন
.
হুম,ওখানেই বেশি ভালো লাগে আমার
আমিও যে একা তুমিও যে একা!!
.
হইছে!!হইছে,দরজা লাগাইছো কেন সে বলো!
.
ইয়ে আসলে ঐ যে স্ট্রং স্ট্রং হইতে চাইলাম তারপর একটু পরেই আপনি মনে করিয়ে দিলেন আসলেই আমি ইতি আপুর মত ম্যাচিউর হইনি এখনও
.
হাহা!যাও চা নিয়ে আসো তারপর বের হওয়া যাবে বাসা থেকে,বেকুব মাইয়া একটা
.
ছোঁয়া মাথায় হাত রেখে জিভে কামড় দিয়ে চলে গেলো
.
শ্রাবণ একটা উপন্যাস খুঁজে নিয়ে পড়ায় মনোযোগ দিয়েছে
.
ইতি রিয়ানের সাথে লুকোচুরি খেলছে,বাসায় কেউ নেই,মা বাবা গেছে হসপিটালে,কারণ তাদের ডায়াবেটিস,সময় করে কদিন বাদেই হসপিটালে ডাক্তার দেখাতে যেতে হয়
পিউ ভাবী আর আবিদ ভাইয়া গেছে মার্কেটে
বাকি রইলো ইতি রিয়ান আর ছোঁয়া শ্রাবণ
ছোঁয়া ইতি আর রিয়ানের লুকোচুরি খেলা দেখে তার ও খুব শখ জাগলো সেও খেলবে
তো রুমে এসে নিজের ওড়না খুঁজে শ্রাবণের হাতে দিয়ে বললো ওর চোখ বেঁধে দিতে,লুকোচুরি খেলবে
শ্রাবণ কিছুক্ষণ বোকার মত চেয়ে থেকে শান্ত গলায় বললো”ইতি আর রিয়ান ও খেলতেছে বুঝি?”
.
ছোঁয়া এতক্ষণ দাঁত কেলাচ্ছিলো,শ্রাবণের মুখে এমন সত্যি কথা শুনে মুখটা ছোট করে বললো”হুম”
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে