একজোড়া চড়ুই পর্ব-০৯

0
1049

একজোড়া চড়ুই?️?️
#পর্ব_৯
#Writer_Afnan_Lara
?
কি হলো বলো??এখন বলতে হবে,এই মুহূর্তে!!
.
শুনার জন্য তৈরি তো??
.
ঢং করবা না একদম,চুপচাপ বলো
.
আপনি আপনার বাথরুমের কি অবস্থা করে রাখেন সেটা বলে দিব?
.
কিহ!!তাহলে আমিও বলবো তুমি রজনীগন্ধা চোর
.
?
.
?
.
আচ্ছা বলবো না,হুহ

গুড মর্নিং বাচ্চারা!!তোমাদের নতুন ম্যাম,ছোঁয়া তাবাসসুম,তোমাদের আঁকা শেখাবে
.
গুড মর্নিং টিচার!!
.
ছোঁয়া তো গাল টিপা শুরু করসে এক এক করে সব বাচ্চাদের,একেকটা কিউটের ডিব্বা!
.
শ্রাবণ হাতে বই নিয়ে ক্লাস করাতে যাচ্ছিলো ছোঁয়ার এমন লুতুপুতু দেখে মনে মনে হাসলো কারণ এই বাচ্চাগুলো কিছুক্ষণ বাদে এমন দুষ্টুমি করবে যে মাথা খারাপ করার মতন
ঘন্টা পড়তেই শ্রাবণ আবার তার ক্লাস থেকে বেরিয়ে টিচার্স রুমের দিকে যাচ্ছিলো ছোঁয়া যে ক্লাসে এখন সেদিকে তাকাতেই দেখলো ছোঁয়া বাচ্চাদের কোলে বসিয়ে আঁকা শেখাচ্ছে
শ্রাবণ তো রীতিমত অবাক!এটা কি করে সম্ভব, এত তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের সাথে মিশলো কি করে
.
ওকে বাচ্চারা আমি যাই,তোমরা সবাই কাল আসার সময় বাসা থেকে নিজের মনমত একটা গ্রামীন দৃশ্য একে আনবে,নিজেই আঁকবে কারোর হেল্প নিবে না
তাহলে তোমাদের ভুল হলে আমি শুধরিয়ে দিতে পারবো,ঠিক আছে?
.
আচ্ছা ম্যাম!!
.
ছোঁয়া মুচকি হেসে ক্লাসরুম থেকে বের হতেই দেখলো শ্রাবণ ভূত দেখার মত মুখ করে আছে
.
কি ব্যাপার?এরকম করে চেয়ে আছেন কেন?
.
না,আসলে আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল তুমি তো বাচ্চাই,আর একটা বাচ্চার সাথেই আরেকটা বাচ্চার বন্ধুত্ব্ব হতে পারে
.
?আমাকে খোঁচা মারা ছাড়া আপনার আর কোনো কাজ নেই নাকি
.
হুম আছে,আমি এখন আরেকটা ক্লাস করাতে যাবো
.
ছোঁয়া মুখ বাঁকিয়ে টিচার্স রুমে ঢুকতে গিয়েই দেখলো ফুচকাআলাকে
ছোঁয়াকে আর পায় কে,এক দৌড়ে সেদিকে ছুটলো সে

আচ্ছা শ্রাবণ ছোঁয়াকে দেখেছো??
.
কেন স্যার?
.
আসলে ক্লাস ফ্লোরের আর্ট ক্লাস এখন,কিন্তু ছোঁয়া ক্লাসে যায়নি,তাহলে গেলো কই
.
ছোঁয়া তো,নিশ্চয় টই টই করে ঘুরতেসে সে
.
তোমার তো রিলেটিভ হয়,কল করে নয়ত একটু খুঁজে দেখো,কিছুক্ষণ বাদে স্কুল পরিদর্শক আসবেন,প্রথমদিনই ক্লাস ফাঁকা দেখলে ওর চাকরিটা যাবে
.
আচ্ছা আমি দেখতেসি
.
ছোঁয়া মুখে ফুচকা পুরে দেখলো একজন কোর্ট পরা লোক গেট দিয়ে ঢুকে ওর দিকে চেয়ে আছে তার আশেপাশে কয়েকজন লোক ও আছে
লোকটাকে দেখে ভদ্র মনে হয়,, বয়স্ক ও
ছোঁয়া ফুচকাটা গিলে চুপ করে তাকিয়ে রইলো
কে লোকটা সে চিনতে পারলো না
তারপর আরেকটা ফুচকা নিয়ে হাত বাড়িয়ে বললো”খাবেন?”
.
খাবো!
.
ছোঁয়া নিজের প্লেট থেকে একটা ফুচকা নিয়ে উনার হাতে দিয়ে দিলো
উনি খেতে খেতে বললেন আরেকটা প্লেট অর্ডার করতে
ছোঁয়া চোখ বড় করে বললো “আরে না!!ঢাকায় তো ৪০টাকা প্লেট,এখানে ৬০টাকা চাইতেসে,আমার তো মনে হয় এখন সপ্তাহে ৬দিন খেতে পারবো,আর পারবো না
.
৬দিন??৬০টাকা হওয়ায় ৬দিন খেতে পারবা,৪০টাকা হলে কদিন খেতে?
.
দিনে ২বার করে খেতাম
.
বাপরে,তা এই স্কুলে কেন?
.
আমি তো এই স্কুলের আর্ট টিচার
.
আচ্ছা,আই লাইক ইট!স্কুলের আর্ট টিচাররা এমন চটপটা হলে বাচ্চাদের খুব সহজেই আর্ট শেখানো যায়
.
আপনি কে?
.
উনি স্কুল পরিদর্শক, আসসালামু আলাইকুম স্যার
.
শ্রাবণের কথা শুনে ছোঁয়া চোখ বড় করে চেয়ে আছে তারপর ঢোক গিলে বললো”আসসালামু আলাইকুম স্যার,আসলে আমি আপনাকে চিনতে পারিনি,আই এম রিয়েলি ভেরি সরি
.
ইটস ওকে,তোমার সাথে আলাপ হয়ে ভালোই লাগলো,আর ফুচকাও খাওয়া হলো,এই ফুচকার দোকানের আজকে আমার তরফ থেকে তোমার জন্য ফুচকা ফ্রি করে দিলাম যাও,টাকা আমি দিব,যত খুশি খাও
.
কিহহহহ!
.
জি!
.
ছোঁয়া তো লাফিয়ে উঠলো খুশিতে,শ্রাবণ মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,এই মেয়েটা এত চটপটে,,এর হাসবেন্ডের কপালে দুঃখ আছে
.
ছোঁয়া অনেক অনেক ফুচকা খেয়ে এবার ক্লাস করাতে গেলো
স্কুল ছুটি হতেই শ্রাবণ তার বই আর ব্যাগ গুছিয়ে বের হতে নিতেই দেখলো ছোঁয়া পেটে হাত দিয়ে বসে আছে
আর কাঁচুমাচু করতেসে
.
কি হইসে,আর ফুচকা খাবেন,এবার আমি টাকা দিব,আরও খান
.
ছোঁয়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে,তারপর ভ্যাত করে কেঁদে দিলো হুট করেই
শ্রাবণ হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে কি এমন বললো সে যে এমন কেঁদেই দিলো
.
তুমি এমন কাঁদতেসো কেন,স্যার ম্যাডামরা কি ভাববে,কাঁদা থামাও
.
ছোঁয়া চোখ মুছতে মুছতে বললো “শরীর খারাপ করতেসে,বমি আসতেসে”
.
শ্রাবণ পড়েছে মহাবিপদে,এই কম বয়সি মেয়েরা কেন চাকরিতে নামে??তাও এত বড় দায়িত্বের,এদের মনে হলো এখনও বাচ্চামো
তাই তো এত এত ফুচকা খেয়ে বসে আছে আর সাথে শরীরটাও খারাপ করে বসে আছে আমি এখন এরে নিয়ে কি করবো
.
শ্রাবণ ছোঁয়ার হাত থেকে ফোন নিয়ে ফুয়াদকে কল করলো,বললো ছোঁয়াকে নিয়ে যেতে,ফুয়াদ বললো সে ভার্সিটিতে,ইমপরট্যান্ট ক্লাস আছে,আসা সম্ভব না,সে যেন ছোঁয়াকে তাদের বাসায় দিয়ে আসে
.
শ্রাবণের এমনিতেও মন মেজাজ ভালো না তার ভেতর একবার এক ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাও এই ছোঁয়ার কারণে
এর বিয়ে হলে এর হাসবেন্ড থেকে বিন্দু বিন্দু করে ক্ষতিপূরণ নিব আমি!
.
কি ভাবেন এত?
.
ভাবতেসি তোমার চুল ধরে টেনে তোমার খালার বাসায় নিব নাকি পা ধরে টেনে হিচড়ে নিব
.
আপনি এমন করে বলতে পারলেন?ফ্রিতে কিছু পেলে আপনি আমার মত হামলিয়ে পড়তেন না?
.
অবশ্যই পড়তাম তবে আমি ফুচকা কম খাই,ফ্রি পাবো শুনলে আমি স্যারকে দেখিয়ে ভাত তরকারি খাইতাম
.
আপনার সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট!
.
চলো এখন!তোমাকে তোমার খালার বাসায় দিয়ে আসি,এড্রেস জানো তো?
.
জানি না তো,তবে বিল্ডিং এর রঙ মনে আছে,কমলা রঙ
.
ও মাই গড,এই মেয়ে কি বলে,শুনো তোমাকে আমি বুদ্ধি দি তুমি সোজা তোমার বাড়ি ফিরে যাও,এই বয়সে চাকরি করা তোমার জন্য দুষ্কর
.
আপনাকে ভাবতে হবে না
.
তাহলে আমি আসি,টাটা
.
আরে আরে,আমি কই যাবো
.
তোমার ফুয়াদ ভাই ফোন ধরতেসে না,তোমার খালার নাম্বার দাও,এড্রেস নিব
.
আমার ফোনের ব্যাটারি শেষ
.
কিহ?মাত্রই তো দেখলাম ১৩%
.
আমার ফোনে ১৩% মানে হলো ৩%,বুঝলেন,হিসাব বুঝেন না
.
১৩% মানে ৩% এটা আবার কেমন হিসাব
.
আপনাকে কে টিচার বানাইসে?
.
তোমার মত পিচ্চি মেয়েকে কে টিচার বানাইসে আমি তার মুখ দেখতে চাই

স্যার!
.
হ্যাঁ বলো
.
স্যার স্কুল তো ছুটি,সবাই চলে গেসে,আপনারা কি যাবেন না,আসলে আমি টিচার্স রুমে তালা লাগাইতাম
.
ওহ শিট!১২টার বেশি বেজে গেসে,আমার আবার টিউশনিতে যেতে হবে,বাই!
.
আরে আরে,আমি কই যাবো
.
শ্রাবণ ছোঁয়ার হাত ধরে বেরিয়ে পড়লো
.
ছোঁয়া বাইকে বসে ফুচকার দোকানের দিকে চেয়ে আছে,পেট ব্যাথা না হলে আরও ফুচকা খেতো সে,সে দেখেছে সেই স্কুল পরিদর্শক ফুচকাআলাকে ৫০০টাকার নোট দিসে,সেই হিসেবে এখনও এক প্লেট পুচকা পাবে সে,বাকিসব খেয়েছে
শ্রাবণ একটা ছাত্রের অভিবাবকের সাথে কথা বলতেসে
ছোঁয়া বাইক থেকে নেমে ফুচকা আলার কাছে গিয়ে পাওনা বাকি ফুচকা প্যাক করে নিয়ে আবার ফেরত চলে আসলো
হিহি,এগুলা ফ্রিজে রেখে কাল খাবো,আজ আর খাওয়া যাবে না
.
শ্রাবণ কথা বলা শেষ করে এসে বললো ছোঁয়ার খালার নাম্বার মুখস্থ বলতে,ছোঁয়া দাঁত কেলিয়ে বললো সে জানে না
.
শ্রাবণের রাগ হচ্ছে,১টায় তার টিউশনিতে যেতে হবে,ক্লাস ৫এর ২৩জন ছাত্র ছাত্রীকে সে নিজের বাসায় প্রাইভেট পড়ায়
এদিকে ছোঁয়া এড্রেস জানে না ফোনটাও অফ হয়ে গেসে
.
শ্রাবণ বাইক স্টার্ট দিয়ে বললো ছোঁয়া যেন ওর সাথে ওর বাসায় বসে থাকে,ফোনে চার্জ দিয়ে যা করার করবে,ছোঁয়া ও রাজি হলো
বাসায় ফিরেই শ্রাবণ দেখলো তার স্টুডেন্টরা অলরেডি এসে গেসে
সে চাবি দিয়ে তালা খুলে সবাইকে ঢুকতে বললো,সবাই গেলো স্টাডি রুমে
শ্রাবণ হাত থেকে ব্যাগ রেখে ওদের একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে আবার ফেরত এসে দেখলো ছোঁয়া কোথাও নেই,দরজা বন্ধ,তার মানে বাসায় আছে,বেড রুমে এসে দেখলো ছোঁয়া বালিশ জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে
এই মেয়েটা কখন কি করে বা কি করবে তা বুঝা যায় না,আমাকে পাগল করে ছাড়বে
শ্রাবণ ওর ফোনটা চার্জে লাগিয়ে চলে গেলো পড়াতে
.
ছোঁয়া আরামসে ঘুমাচ্ছে হাত পা ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে
ঘুম ভাঙ্গতেই মনে পড়লো সে তো তার বাসায় না,লাফ দিয়ে উঠে বসে গেলো সে,বিছানা থেকে নেমে সামনের রুমের দিকে গেলো,বাচ্চাদের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না,ছোঁয়া পা টিপে টিপে সেদিকে যাচ্ছে
.
আমি এখানে
.
ছোঁয়া চমকে পিছন পিরে তাকালো,কালো টিশার্ট আর থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরে শ্রাবণ রান্না করতেসে
.
ছোঁয়া হাফ ছেড়ে বললো”আমার ফোন কোথায়?”
.
চার্জে,দয়া করে এবার আপনার ফ্যামিলির কাউকে ডাকুন,নয়ত বাড়িআলা এসে বলবে বাসায় মেয়ে এনে রাখতোসি,তাও অবিবাহিত
.
হু,যাচ্ছি যাচ্ছি
.
ছোঁয়া মাথায় হাত দিয়ে ফোন নিয়ে ফুয়াদকে ফোন করলো তারপর সোফায় গিয়ে বসে পড়লো ধপ করে
শরীর খারাপ হয়েছে তো একেবারে হয়েছে
.
আমি কিন্তু শুধু আমার জন্যই রান্না করেছি,আপনাকে দিতে পারবো না বলে দিলাম
.
দিতে হবে না,ঢং,আপনি যে কিপটা জানা আছে আমার
আমি যাই,ফুয়াদ ভাইয়া কল করেছে
.
বাই বাই,আবার যেন দেখা না পাই
.
?******
.
******
.
কাল আপনার খবর করি দিমু
.
আমিও!
.
ছোঁয়া মাথা ধরে নিচে গিয়ে ফুয়াদের বাইকে উঠলো,তারপর আসলো বাবার কল,বাইকে বসেই বাবার সাথে কথা বললো,বাবা জানালো ইতিকে নাকি পরের মাসের ১তারিখে রিয়ানের পরিবার দেখতে আসবে,ছোঁয়া খুব খুশি হলো,পরের মাসে এমনিতেও ছুটি পাবে কারণ সব ক্লাসের পরীক্ষা শুরু,৬দিন ধরে পরীক্ষা হয়ে তারপর আর্ট পরীক্ষা,তাকে শুধু একদিন গার্ড দিতে হবে
তো এতদিন সে ফ্রি থাকবে,বাসায় ফিরে যাবে তখন,আহা কি মজা!!
.
শ্রাবণ খাবার খেয়ে মায়ের সাথে কথা বললো,মায়ের নাকি ইতিকে অনেক পছন্দ,ওমা মা এটা কি বলে,যে মেয়েকে আমি পছন্দ করি না তাকে কিনা আমি বিয়ে করবো,কখনওই না
রাগ করে ফোনই কেটে দিলো সে
.
তারপর নিজের এক গাদা জামা কাপড় ধুয়ে বারান্দায় মেলে দিয়ে আসলো
ঘুমাতে এসে বিছানায় এক টুকরো কাপড় পেলো,সম্ভবত রুমাল হবে,লেখা আছে ছোঁয়া,আবার রঙতুলি দিয়ে সুন্দর আর্ট ও করা,এটা মনে হয় ছোঁয়া আর্ট করেছে,আর যাই হোক আঁকার হাত ভালো
একটু ঝাল বেশি তবে সবার সাথে মিলিয়ে চলতে পারে এরকম শক্তি আবার সবার থাকে না

ছোঁয়া বাসায় ফিরে গোসল করে নিলো,ছোঁয়া যে রুমে আছে সে রুমের সামনে এটাচড আরেকটা বাড়ির বারান্দা,মানে এত চিপাচিপি করে বাসা বানাইসে যে হাত দিয়ে পাশের বারান্দা থেকে সব লুটে নিয়ে নেওয়া যাবে
আর সেটা যদি হয় ছোঁয়া তো কথাই নেই
.
ক্রিং ক্রিং!!
.
কে?
.
আরওয়া!!আমি পাশের বাসার রিতা আন্টি
.
ওহ,আচ্ছা আসতেসি
.
আরওয়া দরজা খুলতেই উনি হনহনিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলেন,বললেন আরওয়া যেন তার মাকে ডাকে
তো ছোঁয়ার খালা রান্নাঘর থেকে আঁচল দিয়ে হাত মুছতে মুছতে এসে বললেন কি হয়েছে
.
কি হয়েছে মানে,আমি গোটা আমড়ার আচার বানিয়ে বারান্দায় রোদে দিসিলাম,একটু রোদ এসেছিল বলে
.
তো?
.
তো আপনি জানেন??১৭টা আমড়া দিয়ে আচার দিয়েছিলাম আর এখন ১৬টা
.
তে আমরা কি করবো?
.
আপনাদের বাচ্চাদের মধ্যে কেউ আমার সেই আমড়াটা খেয়েছে
.
কি বলেন,আমার আরওয়া আর ফুয়াদ এমন করে না,ওরা খেলে ১৭টা গোটাই খেয়ে নিতো,কিপটামি করে শুধু একটা খেতো না
.
আপনি এসব কি বলতেসেন,তাহলে কে খেয়েছে?
.
ছোঁয়া নয়ত!!ছোঁয়া এদিকে আয় তো মা!
.
ছোঁয়া বই পড়তেসিলো,,খালামণির ডাকে এসে দেখলো কোকিলা মোদির মত এক মহিলা চোখ রাঙিয়ে ওর দিকে চেয়ে আছে
পরনে দামি শাড়ী,গায়ে গহনাও আছে,আবার বড় করে টিপ লাগাইসে,জোকারের মত লাগতেসে,নিজেকে কি ভাবে কে জানে
.
ছোঁয়া তুই আমড়ার আচার খেয়েছিস পাশের বারান্দা থেকে?
.
তুমি আমার একটা আমড়া খেয়ে নিসো!!!
.
ছোঁয়া চমকে বললো””একটা??!””
.
তা নয়ত কি!,তুমি গোটা একটা আমড়া খাইসো!?
.
না আন্টি,আমি আসলে….
.
নতুন আসছো বলে কি না বলে আমার একটা আমড়া খাবা!
.
আন্টি আমি তো একটা খাইনি,আমি তো ২টা খাইসিলাম
.
কিহহহহ!
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে