আমার তুমি পর্ব-১০

0
1654

#আমার_তুমি
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ১০
,
,
,
,
,
বেডে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে নওশিন।আজ দুইদিন হলো তার জ্ঞান ফিরেছে।ড্রাগস এর কারনে তার স্নায়ু সচল হলেও তাকে শারীরিক ভাবে অনেকটাই অসুস্থ করে দিয়েছে।ডাক্তার এর মতে সে বর্তমানে সুস্থ হলেও ভবিষ্যতে এটার সাইডিফেক্ট দেখা দিলেও দিতে পারে।

দরজা খুলার আওয়াজে নওশিন চোখ মেলে তাকায়। আরিয়ান কে আসতে দেখে মৃদ্যু হাসে।আরিয়ান নওশিনের কাছে এসে তার মাথায় হাত রাখে

আরিয়ানঃমাথা ব্যাথা করছে(মাথায় হাত বুলায়ে)
নওশিনঃহালকা।ব্যাপার না। সে গেছে
আরিয়ানঃনাহ ২ দিন হলো এখানেই বসে আছে খাওয়া নাওয়া সব ভুলে মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা। এমন অবস্থা বানায়ে নিয়েছে।
নওশিনঃএই ভাবে করলে তো অসুস্থ হয়ে যাবে পাগল হয়ে গেলো নাকি ছেলেটা(অস্থির হয়ে)
আরিয়ানঃএতোই চিন্তা তো আমি ডাকছি তুই বলে নে কথা আমার কথা তো শুনলোনা দেখ তোর টা শুনে কি না আমি একে পাঠাচ্ছি
নওশিনঃআরে যাহ চলেই গেলো(আরিয়ান কে আটকাতে আটকাতে)
ভাবেছিলাম আকাশ কে বলবো আমি নিজের বর্তমানের সৃতি হারায় ফেলেছি কিন্তু এই ছেলেটা আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা(বিরবির করে)

নওশিন এর ভাবনার মাঝেই আকাশ রুমে প্রবেশ করে।নওশিন আকাশ কে দেখেই থমকে যায় উশখুশ চুল রক্তিম চোখ জোড়া। পড়নে কুচকানো শার্ট। দুই দিনে সেভ করা দাড়ি টাও আগের চেয়ে বড় হয়ে গেছে।

আকাশ এসেই নওশিনের গালে মুখে হাত বুলালো অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো

আকাশঃতুমি ঠিক আছো তো কষ্ট হচ্ছে। কোন অসুবিধা এখানে(অস্থির হয়ে)
নওশিনঃআমি তো ঠিক আছি কিন্তু নিজের অবস্থা দেখেন কি শুরু করেছেন এইসব এই মূহুর্তে আপনি বাসায় যাবেন আর ফ্রেশ হয়ে আসবেন আর নাহলে এই অবস্থায় আমি হস্পিটাল থেকে বের হয়ে যাবো

আকাশঃজেদি হয়ে গেছো বড্ড সুইটহার্ট। বাট আই লাইক ইট (নওশিনের মুখে নিজের নাক দিয়ে স্লাইড করে)

নওশিনঃকি কি করছেন প্লিজ কেউ চলে আসবে তো(কাপা কাপা কন্ঠে)
আকাশঃএন্ড ইউ রেয়লি থিংক আমি কারো ধার ধারি আমার বউ তাকে আমি টাচ করবো কিস করবো।
নওশিনঃআমি আমি আপনার আমি আপনার (আকাশের ছোয়া যেনো নওশিন কে মাতাল করে তুলছে কথা গুলো পাকিয়ে যাচ্ছে।)

আকাশঃআই নো সুইটহার্ট তুমি আমার শুধুমাত্র আমার #আমার_তুমি।
(নওশিনের ঠোঁটের উপরে হালকা করে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে)
নওশিনঃযান এখান থেকে তাড়াতাড়ি (হালকা ধাক্কা দিয়ে)
আকাশঃযেতে ইচ্ছা করছেনা তোমার ওই নরম নরম ঠোঁট দুইটার স্বাদ নিতে ইচ্ছা করছে(ঠোঁট কামড়ে)

আকাশের কথা ধরণ দেখে নওশিনের লজ্জায় মরি মরি অবস্থা।আকাশ নওশিনের ঠোঁটের দিকে এগুতে নিলেই নওশিন তার মুখের উপরে হাত দেয়।সেটা দেখে আকাশ ভ্রু কুচকে যায়।

নওশিনঃআপনার মুখে গন্ধ আগে ব্রাশ করে আসেন।
(হাসার চেষ্টা করে)
আকাশঃফাইন যাচ্ছি কিন্তু এর পরে যদি আমার রোমান্সে বাধা দেও তাহলে সুইটহার্ট তোমার যে কি করবো একদম পানি ছাড়া গিলে নিবো বলে দিলাম (কামড়ানোর মতো করে)

আকাশ চলে যেতেই নওশিন চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরলো বুকে হাত দিয়ে।
নওশিনঃছেলেটার হলো কি মনে তো হচ্ছে ড্রাগস আমাকে না একে দেওয়া হয়েছিলো আল্লাহ এই ছেলেটা আগে লাগাম হীন কাজ করতো এখন তো মুখ ও লাগামহীন হয়ে গেছে।।

___________
(আমার দুই জায়গায় ভুল হয়েছিলো।নওশিনের বয়স যখন ৬ ছিলো তখন আহান আর ঈশানের বয়স ছিলো ১১। যখন নওশিনের ১২ বছর বয়সে ঘটনা টা হয় তখন তাদের বয়স ছিলো ১৭। তাহলে বর্তমানে ঈশানের বয়স ২৩ বছর।আর আকাশের তখন ছিলো ১৩ তাহলে সে হিসেবে আকাশের বর্তমান বয়স ২৫।আর রামিসা আকাশ এর চাচাতো বোন)

আরিয়ানঃকি হয়েছে মানা করার স্বর্তেও কেনো আমাকে কল করছেন আপনি

আরিয়ান এর ফুফুঃবাবা আরুশি না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে তার ফ্রেন্ড কে কল করেছিলাম আর সে বললো সে নাকি ঢাকা গেছে আমার মেয়ে টাকে নিয়ে আই বাবা

আরিয়ানঃ না বলে চলে গেছে মানে তাও আবার ঢাকায় একা কি শুরু করেছেন আপনারা আগে বনু এখন আবার আরু আই সোয়ার যদি আরুর কিছু হয় আমি খান মঞ্জিলে আগুন লাগায় দিবো।

আরিয়ান রাগে ফোন কেটে আছাড় মারতে যায়েও মারেনা উলটো আরুকে ফোন লাগায়

আরিয়ানঃপিক আপ পিক আপ দা ফোন ড্যাম ইট।

আরিয়ান স্টেশানে পৌছালো। স্টেশান এ পৌছে দেখে ট্রেন আসতে আর ২ মিনিট বাকী।আরিয়ান স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে কিছুক্ষণের মাঝেই ট্রেন আসে আর পেসেঞ্জার গুলো নামতে লাগে

আরিয়ান এদিক ওদিকে নজর লাগায়ে দেখে আরু কোথাও নাই। আরিয়ান এবার চিন্তাই পরে যায়।ওইখান থেকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য স্টেশান মাস্টার এর রুমের উদ্দেশ্য পা বারাতেই পিছন থেকে কেউ এসে জরায় ধরতে যেনো আরিয়ান এর বুক টা শান্ত হয়। এতোক্ষন পরে জানে পানি আসে।ছোট কোমল হাত দুইটাতে ঠোঁটের স্পর্শ দিতেই আরুশির সর্বাঙ্গ কেপে উঠে।

________

সময় কারো জন্য থেমে থাকে না নওশিন আর আকাশের বেলাতেও ঠিক তাই হয়েছে তাদের সময় ও বহমান নৌকার মতো।।।দেখতে দেখতে ১ টা মাস কেটে গেছে।

নিলিমা নওশিনের মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছিলো হঠাৎ করে নওশিন নিলিমার হাত চেপে ধরে

নওশিনঃমামনি
নিলিমাঃকি
নওশিনঃতুমি আমাকে খুনি মনে করো(নিচু স্বরে)
নিলিমাঃনিজের মেয়েকে খুনি ভাবা যায় পাগলীটা
নওশিনঃসত্যি বলছি মামনি সেদিন আমি আহান ভাইয়াকে মারিনি সেদিন

নওশিনের কথা পূরন না হতেই কলিং বেল বেজে উঠে।নিলিমাঃযান আপনার জামাই রাজা চলে আসেছে

নওশিন লজ্জায় সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায়।নিলিমাঃআরে আসতে পরে যাবি তো

কে শুনে কার কথা নওশিন এক দৌড়ে দরজা খুলে হাফিয়ে যায় যার কারনে মাজায় হাত রেখে খানিকটা সামনের দিকে ঝুকে যায় যার ফলে চুল গুলো নওশিনের মুখের উপরে এসে পরে।

আলতো স্পর্শে নওশিনের হ্রদসপন্দন গতি বেরে যায়। কিন্তু পরক্ষনে মনে হয় এই স্পর্শ চেনা হলেও এটা আকাশ না এটা তার আকাশের ছোয়া না।

নওশিন মাথা তুলে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়। দুই কদম পিছাতেই কাউচের সাথে পা বেধে পরে যেতে নিলেই ব্যাক্তিটা এগিয়ে আসে তাকে ধরতে কিন্তু তার আগেয় আকা্শ এসে নওশিন কে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।মাথায় ঠোঁট ছোয়ায়

আকাশঃএক্ষনি তো ফাটাতা মাথা কতোবার বলেছি কেয়ার ফুল হও কেয়ারফুল হও কিন্তু আমার কথা কে শুনে(ধমক দিয়ে)

নওশিনে কানে আকাশের কথা যায়না সে তো সামনে থাকা ব্যাক্তিটাকে দেখতে ব্যাস্ত ৩ টা বছর পরে দেখলো সে এ মুখ।

ঃঈশান(নিলিমা)

__________

ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে আকাশের বুকে থাকা থালির মতো চাঁদ টাকে দেখছে নওশিন। ঠান্ডা বাতাস যেনো নওশিনের অবচেতন মন কে শান্তি দিচ্ছে।
হঠাৎ পেটে আরো হাতের ঠান্ডা স্পর্শ পেয়ে কেপে উঠলো। আকাশের হাতের উপর নিজের হাত দিয়ে আকাশের বুকে মাথাটা এলিয়ে দিলো

আকাশঃসুইটহার্ট(মাদক কণ্ঠে)

কানের কাছে এসে বলায় ধ্বনিটা এতোটাই নেশাক্ত ছিলো নওশিনেরভগায়ের শির দার অব্দি খারা হয়ে গেলো।পা দুইটা ফ্লোরে আকড়ে ধরার জন্য ছোটফোট করছে অনবরত।

আকাশঃআই ওয়ান্ট ইউ সুইটহার্ট রাইট নাও। এন্ড ডোন্ট ওয়ান্ট টু লিসেন এনি এক্সকিউজ।
(নওশিনের ঘাড়ে ঠোঁট দিয়ে স্লাইড করে)

আকাশের ছোয়া যেনো এই মহূর্তে বড্ড প্রয়োজন ছিলো নওশিনে।সে আকশের দিকে ঘুড়ে শক্ত করে ওর গলা জরায় ধরে পা দুইটা উচু করে।আকাশ নওশিন কে নিজের দুইহাত দিয়ে আকড়ে হাওয়াতে তুলে নওশিনের ঠোঁটের ভাজে নিজের ঠোঁট ডুবায় দেয়।।।।।

_____

ঘুমন্ত নওশিনের কপালে কিস করে বিছানা থেকে উঠে পরে আকাশ।নিজের টি-শার্ট নওশিনের শরিরে দেখে মৃদু হাসে সে।নওশিনের উপর চাদর দিয়ে সে ছাদে যায়।ছাদে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটে ওর।

চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে