আজব প্রেমের কাহিনী part : 7

0
2030

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 7
writer : Mohona

মেরিন: হামম পারবো তো… ✨?? এখন ….
মনে মনে: থেমে যা মেরিন…. উনাকে তো দেখানো যাবে না যে তুই magic জানিস। ধুর ভালো লাগেনা।
নীড়: কি হলো….?…
মেরিন: জল্লাদ বাপের মাথা।
নীড়: কি??
মেরিন: কিছুনা।?।
নীড়: ঠিক করো।
মেরিন গিয়ে নীড়ে গায়ে ফু দিতে লাগলো।
নীড়: can you please explain যে কি করছো??
মেরিন:শুকাচ্ছি।
নীড়:out…. just get out….
মেরিন বেরিয়ে নিজের রুমে গেলো।

.

মেরিন : উফফ ভালো লাগেনা। তারাতারি এই চৌধুরী পরিবারকে ওখানে না নিতে পারলে যে মেয়েটার সাথে আরো খারাপ হবে। কিন্তু তার থেকেও খারাপ হবে এই বদ মানুষটার বেগার খাটতে। তবে এখন নীলা কি করছে? যাই গিয়ে দেখে আসি। কিন্তু এই লোকটা…..

✨??

যখনই এই লোকটা আমাকে ডাক দিবে আমি যেন শুনতে পাই।
ইলি গিলি ফুস।

✨??।

এরপর মেরিন নীলার ওখানে গেলো। গিয়ে দেখলো নীলা versity থেকে বাসায় ফিরতেই মামি যা নয় তাই বকছে। আর এতো এতো কাজ করাচ্ছে। মেরিন মামিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। আর নীলার ভাগের কাজগুলো করে দিলো। তখন ওর কানের পর্দা ফেটে যেতে লাগলো। নীড়ের ডাকে। আসলে নীড় মেরিনকে ডাকছে। মেরিনের কান শেষ হয়ে গেলো।
মেরিন: ও মাগো আমার কান শেষ করে দিলো। উফফ।
মেরিন গেলো।

.

মেরিন: may i come in sir….?….
নীড়: এসে আমাকে উদ্ধার করো।
মেরিন ঢুকলো।
নীড়: আপনি কি মঙ্গল গ্রহ থেকে আসলেন বুঝি? ?।
মেরিন: না আমি তো …..
নীড়: চুপ। no explanation ….. তবে এরপর থেকে আমি ডাকার সাথে সাথে হাজির না হলে শাস্তি দিবো।
মেরিন: ok…
নীড়: এখন যাও আমার জন্য কফি নিয়ে আসো। black কফি।
মেরিন: কফি তো চিনলাম কিন্তু black কফি কি?
নীড়: i m your boss… not you are my.. যে তোমাকে বলবো black কফি কি। যাও। গিয়ে নিজের হাতে আমার জন্য নিজের হাতে black coffee বানিয়ে নিয়ে আসো।
মেরিন: নিজের হাতে….
নীড়: তা নয়তো কি আমার হাতে….
মেরিন: হামম। কিন্তু কোথায় কিভাবে বানাবো??।
নীড়: জাহান্নামে গিয়ে বানাও।
মেরিন: কেন black কফি জাহান্নাম ছারা কফি হয়না?
নীড়: না। এখন যাও। গিয়ে জাহান্নামে থেকে কফি বানিয়ে নিয়ে আসো।
মেরিন নিজের রুমে গেলো।

.

মেরিন: জাহান্নামে যাবো….. ওটাতো পচা জায়গা। ১বার তো ওটার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই কি গরমটাই না লেগেছিলো। আর জাহান্নামে যাওয়ার কি permission আছে? আমি তো চিনিও না। তখন তো পক্ষীরাজ ভুল করে উরে গিয়েছিলো। বইদাদুকে জিজ্ঞেস করি।
মেরিন: বইদাদু….. বইদাদু….. বইদাদু…..
বইদাদু ঘুমিয়েছিলো। মেরিনের ডাকে বেচারার ঘুমের রফা দফা শেষ। বইদাদু এলো।
বইদাদু: বলো।
মেরিন: আমি জাহান্নামে যাবো।
বইদাদু : ভালো ক…. কি??
মেরিন: হামম।
বইদাদু: কিন্তু কেন?
মেরিন: অতো সময় নেই আগে বলো।
বইদাদু: জাহান্নামের হাজর হাত ওপর পর্যন্ত যাওয়ার শক্তিই আছে কেয়ামতের আগে।
মেরিন: তার আগে যাওয়া যায়না?
বইদাদু: না।

মেরিন: আমি কি ওটার হাজার হাত ওপরে দারিয়ে কফি বানাতে পারবো?
বইদাদু: মানে?
মেরিন: boss বলেছে কফি জাহান্নামে গিয়ে নিজের হাতে বানিয়ে আনতে। black কফি।
বইদাদু: হায়রে….. একদম যাওয়ার দরকার নেই।
মেরিন : কিন্তু কফি।
বইদাদু black coffee এনে
বলল: এই নাও black কফি। গিয়ে boss কে দাও।
মেরিন: যদি বলে যে জাহান্নাম থেকে নিজের হাতে বানিয়ে এনেছি কিনা?
বইদাদু: বলবে হ্যা….
মেরিন: মেরিন কখনো মিথ্যা বলেনা।
বইদাদু: আরে।
মেরিন বইদাদুর হাত ধরে
বলল: চলো আমার সাথে।
বইদাদু: কোথায়?
মেরিন: জাহান্নামের হাজার হাত ওপরে।
বইদাদু: এই না। ওখানে যাওয়া যাবেনা। তুমি না রাজকুমারী। তুমি ওখানে কেন যাবে?
মেরিন: তাই তো। তাহলে কফি!!
বইদাদু: রান্না ঘরের আগুন দিয়ে কফি বানাও।
মেরিন: কিন্তু….
বইদাদু: আরে জাহান্নাম মানেই তো শাস্তি। আগুন আর আগুন। আর রান্না ঘরেও আগুন।
মেরিন: হামম।
বইদাদু চলে গেলো।
মেরিন রান্না ঘরে গেলো। রান্নাঘর আর মঙ্গল গ্রহ ২টাই সমান ওর জন্য সমান। মেরিন চোখ বন্ধ করে দেখলো কিভাবে বানাতে হয়। এরপর কফি বানালো। নিয়ে গেলো।

.

মেরিন: may i come in sir……
নীড়: come ….
নীড় কাপটা হাতে নিয়ে বেশ গভীর পর্যবেক্ষন করছে।

নীড় মনে মনে: কেন যেন ভেতর থেকে কেমন ১টা bad feel হচ্ছে।
নীড়: কফিটা কিভাবে বানিয়েছো?
মেরিব: যা দিয়ে বানাতে হয়।
বলেই মেরিন চলে গেলো। নীড় কেবল মুখে দিলো। মনে হলো মুখে ভাতের ভাত বেরিয়ে আসবে।
নীড়: মেরিন……. মেরিন……
মেরিন আসলো।
মেরিন: yes sirrrr…? ..
নীড়: drink it….
মেরিন:?।
নীড়: কফিটা খাও।
মেরিন কফিটা মুখে দিলো। আর দিয়েই ফুরুত করে সেটা ফেলে দিলো। তাও নীড়ের মুখের ওপর।
মেরিন:?।
নীড়:??।
মেরিন মনে মনে: ভাগ মেরিন ভাগ..
নীড়: মুখটা ধুয়ে আসছি। যদি ১পা নরেছো……

.

নীড় washroom থেকে এসে নীড়
বলল: এই officeটা কত তলা?
মেরিন: আমি কি জানি?
নীড়: ?? এই office টা ১০তলা। এখনই তুমি নিচে যাবে।
এরপর নিচের থেকে ওপর পর্যন্ত সিরি পরিষ্কার করবে। সেই সাথে প্রতিটা floor পরিষ্কার করবে। ১বিন্দুও যেন ময়লা না থাকে।
মেরিন: আরে আমি কি cleaner নাকি?
নীড়: যাও।
মেরিন: oh hello…. এগুলো PA এর কাজ না। তাই আমি করবো না।
নীড়: যাও বলছি। না হলে…. না হলে…. তোমার পিছে কুকুর-বিড়াল লাগিয়ে দিবো।
মেরিন গেলো।
নীড় cctv তে দেখতে লাগলো। ২-৩ মিনিটপর কাজ করতে লাগলো।

.

১৫মিনিটপর……
মেরিন: may i come in sir…..
নীড়: co… একি তুমি…..
মেরিন: হামম।
নীড়: কাজ না করে এখানে?
মেরিন: সব কাজ শেষ করেই এসেছি। আর মেরিন মিথ্যা বলেনা।

যেন তেন ভাবে সেদিন ৫টা বাজলো। office ছুটি হলো। নীড় বের হচ্ছে। মেরিনও হেলিয়া দুলিয়া বের হচ্ছে।
নীড়: এই যে miss pa … কোথায় যাবেন এখন ?
মেরিন: সবাই যেখানে যায়।
নীড়: তো কিভাবে যাবেন?
মেরিন: উরে ।
নীড়: এর সাথে কথা বলাই বেকার।
নীড় চলে গেলো।

.

পরদিন…..
নীড় office গেলো। গিয়ে দেখলো যে ওর রুমে ১টা নীলাঞ্জনা ফুল flower vase এ রাখছে। যার পেছনটা দেখা যাচ্ছে। কোমর ছারানো চুল গুলো খোপা করে রেখেছে। নীড় গিয়ে খোপাটা খুলে দিলো। মেরিন পিছে ঘুরল।
মেরিন: আপনি আমার খোপা খুলে দিলেন কেন?
নীড়: my office my mind…. গলায় id card কোথায়?
মেরিন: id card কি?
নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো।
মেরিন : ?।
নীড়: আজকে meeting আছে অথচ সে id card ই পরেনি। idiot… ভাইয়া যে কেন একে select করেছে। দুপুরে যে meeting আছে সেটা মনে আছে?
মেরিন: হামম।
মনে মনে: সেটার জন্যেই এতোকিছু….
নীড়: সেটার file তৈরি করেছো?
মেরিন: হামম।
নীড়: দেখাও।
মেরিন: কেন আপনাকে দেখাবো কেন? meeting এ present করবো।
নীড়: তুমি আমার PA … so show me first…
মেরিন: huh….
মেরিন দেখালো। মেরিনের করা file টা নীড়ের ভালো লাগলেও মুখে না বলল। সেটা copy করে রেখে
বলল: কি তৈরি করেছো?
বলেই file টা মেরিনের মুখে ছুরে মারলো । মেরিন রেগে নীড়ের দিকে তাকালো। মেরিনের গোলাপী চোখ বরাবরই নীড়ের দুর্বলতা।
নীড়: চোখ নামাও।
মেরিন:….
নীড়: চোখ নামাও।
মেরিন:…..
নীড় মেরিনের চুল ধরে সামনে এনে
বলল: বলেছিনা চোখ নামাতে। আর যদি কোনো দিন আমার চোখে চোখ রাখবেনা। আর যদি রাখো তবে চোখ তুলে ফেলবো।
বলেই নীড় মেরিনকে ছেরে দিলো। মেরিনকে ছারতেই মেরিন নীড়ের কলার ধরে নীড়কে ১হাত ওপরে তুলে
ফেলল: আমার চোখ উঠাবি আমার চোখ… আমি তোকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দেবো….
নীড়ের মনে হচ্ছে এগুলো স্বপ্ন।

মেরিন ধপাস করে নীড়কে নামিয়ে রুমে চলে গেলো।

.

কিছুক্ষনপর…..
মেরিন: may i come in sir…
নীড়: come….
মেরিন ঢুকলো।
মেরিন: sorry sir….
নীড় মনে মনে: ভেবেছিলাম তোমাকে বাদ করে দিবো। কিন্তু তুমি…. এখন তোমাকে আমি রেখে রোজ শাস্তি দিবো।
নীড়: ১০মিনিট সময় দিলাম meeting এর জন্য নতুন করে file তৈরী করো। ঠিক ২টায় আমরা ভাইয়ার office এ যাবো।
মেরিন: হামম।

.

২টা বাজে নীড়-মেরিন প্রনয়ের office এ গেলো। meeting শুরু হলো।
প্রনয়: নীড় এই dream project টার জন্য তোমার idea present করো…..
নীড় মেরিনকে প্রনয়ের কাছে ছোটো করার জন্য ঠিক করলো যে মেরিনকে দিয়ে present করাবে। ও মনে করেছে যে মেরিন এটা পারবেনা। কিন্তু নীড় তো জানেনা যে ঘাপলাটা কি….
নীড়: আমার PA এটা present করবে। মেরিন do it…
মেরিন: yes sir….

.

মেরিন সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন: according to this dream project … আমাদের ১টা ভালো location লাগবে। এই project টা যেহেতু আমাদের বাঙালি culture কে western সহ অন্য জগতে তুলে ধরা। আর এদেশের প্রাণ হলো এদেশের গ্রাম। তাই আমার মনে হয় যে এই dream project এর জন্য ১টা গ্রাম দরকার। যেখানে নানা ধরনের ফসলের জমিও থাকবে , ছোট ছোট টিলা বা পাহাড়ও থাকবে। সেই সাথে ১টা বড় জায়গা থাকবে। যেটাতে আমরা আমাদের পছন্দ মতো সেটে পরিনত করতে পারবো। যেহেতু চৌধুরী fashion city টা অনেক বেশি developing …. আর চৌধুরী diamonds ১টা international business …. আর এই dream project টা সফল হলে এই ২টা business কে প্রায়ই একসাথে কাজ করতে হবে। তাইজন্য নিজস্ব ১টা জায়গা থাকলে ভালো হয়। কারন বারবার অন্যকারো জায়গায় না ঠিক করে ১টা জায়গা fix করে নিলেই আমরা সেটাকে আমাদের সকল photoshoot, advertisement অথবা short video তৈরী করার কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারবো। এতে বারবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দৌড় ঝাপ করে বার বার দৌড়াতে হবেনা। ১বার নিলেই যথেষ্ট।
মেরিনের presentation দেখে সবাই অনেক খুশি হলো সবাই তালি দিলো।
প্রনয়: brilliant …. প্রনয় আহমেদ চৌধুরী কখনোই ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। মেরিন….
মেরিন: yes sir….
প্রনয়: thank you…
মেরিন: welcome sir…
প্রনয়: এতো ভালো idea যখন দিলে তখন কোনো ভালো location এর idea দাও।
মেরিন: sir…. আমি ১টা short list তৈরি করেছি।
নাহিল: oh great …. দেখাও।
মেরিন projector on করলো।
মেরিন: sir আমি ব্রাহ্মনবাড়িয়া, যেশোর, রাজনশাহী, খুলনা , বগুরা…. এই ৫টা জায়গা select করেছি। এখন যে জায়গার ছবি গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো এখানকার জায়গা গুলোরই। এরমধ্যে আমার মনে হয় রাজশাহী ই best হবে। কারন এটা আপনাদের hometown … but…
নিহাল:but?
মেরিন: আপনারা গত ৭বছর ধরে রাজশাহী ১বারও জাননি….. তাই হয়তো । i think 2nd এ যশোর better হবে।
নাহিল: হামম।
নিহাল: তাহলে যশোরই যাবো।
প্রনয়: প্রনয় আহমেদ চৌধুরী কখনো 2nd choice accept করেনা। আমরা রাজশাহী ই যাবো।
নাহিল:প্রনয় এটা ভভেবে বলছো?
প্রনয়: হামম।
নীড়: কিন্তু ভাইয়া কামাল ভূইয়া….
প্রনয়: ভূইয়া what? ভুলে যেওনা যে we are চৌধুরী।।। রাজশাহীতেই dream project এর কাজ হবে। next week ই আমরা রাজশাহী যাচ্ছি।

বলেই প্রনয় চলে গেলো।
নিহাল: ভাইয়া…. কি হলো।
নাহিল: জানিনারে।
নীড়: কোনো তুফানের আভাস।
মেরিন মনে মনে:: ঝড়না….. প্রনয়-নীলার প্রেমকাহিনীর শুরু।

.

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে