আজব প্রেমের কাহিনী part : 8

0
1771

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 8
writer : Mohona

meeting শেষে…..
মেরিন নাচতে নাচতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
মেরিন: টিং টিঙা টিং টিং…. বইদাদুর idea তো কাজে দিলো। ধিনাক ধিনাক….. টিং টিঙা টিং টিং…..
তখনই চারদিকে বাতাস বইতে লাগলো।
মেরিন: oh my প্রিয় আল্লাহ…. আজকেও কি নীল আসবে নাকি….. ?।
তখনই নীল হাজির হলো।
নীল: সেজেছো নীলাঞ্জনা… আজ আমাবস্যা। তোমায় নিয়ে যাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা।
মেরিন: বাহ বাহ বাহ তালি তালি। কি সুন্দর মিলিয়েছো।
নীল: ভালোমতো বলছি চলো আমার সাথে । তা না হলে আমি আজ নিয়েই যাবো তোমায়…. নীল রং পরেছো…. আজ যে আমার দিন।
মেরিন মনে মনে: এ তো জালিয়ে মারলো। প্রতি আমাবস্যায় এসে বিরক্ত করে। দারা দেখাচ্ছি মজা…..

✨??

এখনই নীল না চিল আমার চোকখের সামনে থেকে দূর হোক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

জাদুতে নীলের বদলে মেরিন নিজেই অদৃশ্য হয়ে গেলো।
মেরিন: এটা কি হলো…. নীল তো দারিয়েই আছে। তবে?
নীল: অদৃশ্য হয়ে গেলে বুঝি…. তোমাকে খুজে বের করতে আমার ১মিনিটও লাগবেনা।
মেরিন: ও তার মানে আমি অদৃশ্য হয়েছি।?। পালা মেরিন পালা।
বলেই মেরিন উরে গেলো। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই মেরিন দৃশ্যমান হয়ে গেলো। নীল ওর সামনে দারালো। নীল magic করবে তখনই হুট করে কোথায় থেকে পক্ষীরাজ চলে এলো। আর মেরিনকে কাধে নিয়ে দে উরাল।
মেরিন: আরে পক্ষীরাজ তুই…. awwwe ki cute….
পক্ষীরাজ: চুপ থাক… নীল রং পরেছিস কেন? এখনই পাল্টা।
মেরিন: কিন্তু কেন???।
পক্ষীরাজ: উফফ যা বলছি করনা।
মেরিন: আগে উত্তর দে।
পক্ষীরাজ: আগে পাল্টা।
মেরিন: huh…..
মেরিন পোশাক কালো রঙে পাল্টে নিলো।
মেরিন: এখন তো বল….
পক্ষীরাজ: আরে নীল রঙে নীলের শক্তি বেরে যায়।
মেরিন: ও।তুই এখানে?
পক্ষীরাজ: এসেছিলাম তোর সাথে দেখা কর….
তখন নীল সামনে পথ আটকে দারালো।
নীল: আমার হাতে সময় নেই। দৌড় ভাগ বন্ধ।

মেরিন মনে মনে:

✨??

এই নীল এখনই ১টা শিক্ষা পাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??।

সাথে সাথে নীল ছোট পুতুল হয়ে গেলো।
পক্ষীরাজ: এটা তুই করলি?
মেরিন: জানিনা…. আমি তো বললাম ১টা শিক্ষা পাক।
পক্ষীরাজ: অবিশ্বাস্য।
মেরিন:হামম।

.

পরদিন…..
office এ।
নীড় office ঢুকে দেখে যে or office floor টা ১টা প্লেগ্রাউন্ড হয়ে আছে। সবাই খেলছে। তাও কুমির কুমির।

নীড়: কি চলছে এখানে??? ?।
সবাই দারিয়ে গেলো।
নীড়: ম্যানেজার…. ম্যানেজার…
ম্যানেজার; yes sir…..
নীড়: এসবের মানে কি?
ম্যানেজার: না মানে sir…..
মেরিন: sir…. আমরা কুমির কুমির খেলছিলাম। কারন আপনার আসতে late হবে। ☺️।
নীড়: আগেই বোঝা দরকার ছিলো যে এর পিছে তুমিই আছো। come to my room now…..
বলেই নীড় চলে গেলো।
মেরিন: আচ্ছা।
মেরিন গেলো।

.

নীড়: আমার office টা কি তোমার কাছে শিশুপার্ক মনে হয়??।
মেরিন: শিশুপার্ক কি? ?।
নীড়:আমার সামনেই কি কেবল সব বুঝেও কি অবুঝের ভান ধরো….. যত্তোসব। কালকে meeting এ presentation ওভাবে করলে কেন??। তুমি জানো ভাইয়া রাজশাহী গেলে কি কি হতে পারে….?
মেরিন:হামম। বি…
নীড়: কি?
মেরিন: বিজনেস হতে পারে। ?।

নীড় খেয়াল করলো যে মেরিন ওর চোখের দিকে তাকাচ্ছেনা।
নীড়: ১দিনে কি তুমি ট্যারা হয়ে গেছো।
মেরিন: কেন?
নীড়: ওদিকে তাকিয়ে কথা বলছো কেন?
মেরিন: তো কোন দিকে তাকিয়ে কথা বলবো?
নীড়: আমার দিকে।
মেরিন: আপনিই তো কালকে বললেন। যেন আপনার চোখে চোখ না রেখে কথা বলি।
নীড়: ত….
তখন প্রনয় ভেতরে এলো।
প্রনয়: hello guys …..
নীড়: আরে ভাইয়া তুমি।
প্রনয়:হামম।
নীড়: hey you যাও।
মেরিন: হামম।
প্রনয়: দারাও মেরিন। নীড় ,
প্রথমত ওর নাম মেরিন। আর দ্বিতীয়ত আমি ওর কাছেই এসেছি।
মেরিন: আমার কাছে?
প্রনয়: হামম। i have a gift for you….
মেরিন: সত্যি? ?।
প্রনয়: হামম।
প্রনয় ১টা ঝুড়ি মেরিনের দিকে এগিয়ে দিলো।
প্রনয়: এগুলো সব তোমার।
মেরিন সেগুলো হাতে নিয়ে
বলল: thank u এত্তোগুলা।
প্রনয়: দেখো তো ভেতরে কি আছে….
মেরিন: chocolate …..
প্রনয় অবাক হলো।
প্রনয়: কিভাবে জানলে?
মেরিন: আবাবাবা… ঘ্রাণে।?।
প্রনয়: good… আর শোনো তুমি কিন্তু আমাদের সাথেই রাজশাহীতে যাবে।
মেরিন: হামম হামম।
নীড়: ভাইয়া ও তো staff দের সাথেই যেতে পারবে। আমাদের সাথে কেন?
প্রনয়: আমি বলেছি তাই। ও কেবল আমাদের সাথে যাবেই না… আমদের সাথে আমাদের বাড়িতেই থাকবে।
নীড়: কি??
প্রনয়: হামম। কোনো সমস্যা??।
নীড়: না।?।
প্রনয়: আপুমনি…
মেরিন: হামম।
প্রনয়: তুমি খুব মিষ্টি।
মেরিন: thank you…..

.

》পরীরাজ্যে……
পরীরাজ্যটা একদম নিরব নিটল হয়ে গেছে। কারন পরীরাজ্যতে সবসময় হৈ হুল্লোড় করে বেরানো সবথেকে দুষ্টি পরীটা যে আর। রোজ কিছু কিছু করে পরীরাজ্যে গন্ডগোল করার মতে পরীটা যে আর নেই। গাছের ফুল আজও ফোটে। তবে তারা এখন আর গান গায়না। কেউ পরীরাজ্যের সূর্য, চাঁদ , তারাদের সাথে খেলা করেনা। কেউ চাঁদের ওপর গিয়ে চাঁদ মামা কে উদ্ভট সাজ সাজায়না। চাদ সূর্য তারা ফুল মেরিনকে খুব miss করছে। কনিকা-তারাও এখন আর তেমন করে হাসে না। কেউ রোজ রোজ কবিরের কাছে মেরিনের নামে বিচার নিয়ে আসেনা। কবির মাঝে মাঝে নানা ধরনের রুপ নিয়ে মেরিনকে দেখে আসে।

.

》পৃথিবীতে…..
৫দিনপর…..
আজকে চৌধুরী পরিবার রাজশাহী যাবে। প্রনয় বুদ্ধি করে নীড়কে ১টা কাজ দিলো। আর কাজটা করতে ওর মেরিনকে লাগবে। প্রনয় চায় নীড়-মেরিন ২জন আলাদাভাবে একসাথে যাক। চৌধুরী পরিবার সকালেই বেরিয়ে গেলো।
নীলিমা: প্রনয় বাবা…
মেরিনকে কি নীড়ের সাথে একা পাঠানো ঠিক হবে?
প্রনয়: কিছু হবে না কাকীমনি।
দীদা: আচ্ছা মেরিনকি অনেক সুন্দরী?
নীলিমা: পরীর মতো।

.

ওদিকে…..
সন্ধ্যায়…..
নীড়ের কাজ শেষ হলো।
নীড়: এই যে কামিনকর…..
মেরিন: আপনি কি আমাকে বলছেন…..
নীড়: আপনি ছারা এতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তি কে আছে??
মেরিন: thank u……☺️

নীড়: মাথা ব্যাথা ১টা। বসো গাড়িতে।
মেরিন: হামম।
নীড় গাড়ি চালানো শুরু করলো।

.

লং রোড, লং ড্রাইভ সাথে মেরিন। নীড়ের এক মন বলছে যে এই পথ যেন শেষ না হয়। কথায় কথায় আর মেরিনকে দেখতে দেখতে সময় থেমে যাক। আবার অন্য মন বলছে তারাতারি পথটা শেষ হয়ে যাক। চুপচাপ থাকতে মেরিনের খুবই বিরক্ত লাগছে। নীড় তো চুপচাপ drive করছে। আর মেরিনের reaction গুলো দেখছে। ভীষন হাসি পাচ্ছে।
মেরিন মনে মনে: ধুর ভালো লাগেনা। এভাবে চুপচাপ থাকা যায়? যেখানে চোখর পলকে চলে যেতে পারি সেখানে এই হাতির হালুয়ার সাথে বছর লাগিয়ে যেতে হচ্ছে।
নীড়: miss pa… আমরা কমসে কম ১মাসের জন্য রাজশাহী যাচ্ছি। অথচ আপনি সাথে কেবল আপনার এই লিলিপুট হ্যান্ডব্যাগটা নিয়েছেন। জামা কাপড় কোথায় পাবেন? সেটা ভেবেছেন।
মেরিন: মেরিন কখনো ভেবে কাজ করেনা।
নীড়: দেখা যাবে।
মেরিন ব্যাগ থেকে chocolate বের করে খেতে লাগলো।
নীড়: মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কি এখনও আগের মতোই আছে? এখনো কি হাতির খোরাকই লাগে?
মেরিন: হাতির খোরাক কি?
নীড়: তুমি যা খাও। কেউ এতো খেয়েও এতো perfect কিভাবে সেটাই বুঝিনা।
মেরিন :….
নীড়: আরেকটু সামনে গেলে ১টা লোকাল হোটেল পরবে। সেখান থেকে রাতের খাবার সেরে নিতে হবে। তা না হলে আরো সামনে গেলে হাজার মাথা খুটলেও খাবার পাবেনা।
মেরিন: সেটা আপনার জন্য।
নীড়: মানে?
মেরিন: কিছুনা।

.

১ঘন্টাপর…..
ওরা হোটেলের সামনে নামলো। খাবার order করলো। খাবার খেয়ে মেরিনের এতোটাই ভালো লাগলো যে ও আরো এবং আরো খাবার order করলো। খেতেই লাগলো খেতেই লাগলো। ২০হাজার টাকা বিল করে ফেলল।
সবাই:?।
নীড় তো মোটেও অবাক হয়নি।
নীড় মনে মনে: এর খাওয়া বাসার সবাই দেখলে খুশি হয়ে যাবে। যে এই যুগেও কোনো মেয়ে এতো খাবার খেতে পারে। কিন্তু আবার ভূতে ধরা না ভাবে।
কিছুক্ষনপর আবার গাড়ি চলতে লাগলো।

.

৩ঘন্টাপর……
গাড়ি চলতে চলতে থেমে গেলো। ধোয়া উঠে গেলো।
মেরিন: কি হলো? ধোয়া ছুটছে কেন?
নীড়: গাড়ি আমাদের জন্য রান্না করছে। তুমি আমি আর গাড়ি খাবার খাবো তো। তাই।
মেরিন: ওমা তাই ??!! দারুন তো। কি রান্না হচ্ছে?
নীড়: থাপ্পর আর আছার । ইডিয়ট। নামো।
নীড় চেক করে দেখলো যে ইঞ্জিন গরম হয়ে যাওয়ার জন্য এমন হয়েছে। সেই সাথে টায়ারও পাংচার হয়ে গেলো। ঠিক করতে লাগলো।

.

একটুপর…….
মেরিন: আপনি মানুষ না ঢেড়শ বলুন তো? এই গাড়ির ছাতা ঠিক করতে এতোক্ষন লাগে?
নীড়: ??। ।
মেরিন: কোনো কাজেরই না আপনি।
নীড়: থাপ্পর মেরে না এই গাল ওই পাশে আর ওই গাল এই পাশে নিয়ে আসবো।
মেরিন: সেটাই তো পারেন। huh…
নীড়: ওই তুমি সামনে থেকে সরো তো আমি গাড়ি ঠিক করবো। তুমি থাকলে ঠিক করা যাবেনা।

.

১০মিনিটপর…..
নীড়ের কাজ শেষ হলো।
নীড়: done… এই যে miss pa….
তাকিয়ে দেখলো। নদীর ধারে হাজার জোনাকির ভীরে মেরিন ঘিরে আছে। সাথে হালকা চাঁদের আলো। মেরিন জোনাকি গুলোকে ধরার চেষ্টা করছে।
নীড়: কেন তুমি এতো সুন্দর?
নীড় কতো গুলো ছবি তুলে নিলো।
মেরিন: sirrrrr….. একটু এখানে আসুন না।
নীড় গেলো।
মেরিন: এগুলো কি?
নীড়: জোনাকি পোকা।
মেরিন: awwe ki cute….
নীড় : চলেন।
মেরিন: হামম।
ওরা গাড়িতে উঠলো।
মেরিন: যেতে আর কতোক্ষন লাগবে?
নীড়: ২ঘন্টা।
মেরিন: আবার চুপচাপ থাকতে হবে…..
নীড় মুচকি হেসে
বলল: তুমি কি একটুকুও চুপ ছিলে?
মেরিন: হামম।
নীড়: গত ৫ঘন্টা ৪৭মিনিট ধরে আমার কানের মাথা শেষ করেও যদি বলো যে চুপ ছিলে তাহলে আমি আর কি বলবো?
মেরিন: huh….
নীড়:তুমি ইচ্ছা করলে গান শুনতে পারো।
মেরিন: কিভাবে?
নীড়: ওই বাটনটা প্রেস করো।
মেরিন করলো। আর গান বাজতে লাগলো।
মেরিন: দারুন তো।
তবে যে গানটা বাজতে লাগলো তা নীড়ের কাছে নিজের জন্য perfect মনে হলো। গানটা
হলো:

??
ছায়া হ্যা যো দিলপে কেয়া নেশা…. হ্যা
অ্যায়সা লাগ রাহা হ্যা পেয়ার হো রাহা হ্যা।
?? ।

যেতে যেতে মেরিন ঘুমিয়ে গেলো।

.

দুম করে মেরিনের মাথাটা নীড়ের ঘারে পরলো। সাথে সাথে নীড় break মারলো। মেরিনের দিকে ঘুরলো।
নীড়: কেউ হয়তো সত্যি বলেছে যে জীবনের প্রথম ভালোবাসা ভোলা যায়না। ভালোবাসাকে ঘৃণা করা যায়না। কেন যেন মনে হয়যে আজও তোমাকে ভালোবাসি। তবে সেই ভালোবাসা কখনো হয়তো তুমি বুঝবেই না। হয়তো বুঝতে চাইবেও না। আর আমি অমন মহা প্রেমিক না যে নিজেকে পুরিয়ে তোমাকে আনন্দ দিবো। আমি আমাকে ভালোবাসি।

.

সকালে…..
নীড়-মেরিন পৌছালো। নীড় ভালো মতোই জানে যে এখন কিয়ামত চলে এলেও মেরিনের ঘুম ভাঙবেনা। কোলে নিয়ে গেলেও যে ওর পরিবার ড্রামা শুরু করবে সেটাও জানে। কোনো উপায় না পেয়ে নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিজের রুমেই নিয়ে গেলো। নিজের খাটেই শুইয়ে দিলো। মেরিনের কপালে ১টা চুমু দিয়ে চলে গেলো। কতোদিন পর গ্রামে এসেছে। তাই ঘুরতে বের হলো।

.

পরদিন…….
খাবার টেবিলে….
দীদা: ওই মেরিন কখন আসবে।
মেরিন: এসে পরেছি।
দীদা: এতো দেখি সত্যিই পরী।?।
মেরিন: তুমি কিভাবে জানলে?
দীদা: সবাই জানবে।
প্রনয়: good morning আপুমনি…
মেরিন: morning ….
প্রনয়: নাস্তার পর তো project site এ যেতে হবে। জায়গা select করতে হবে। তুমি কি যেতে পারবে? না মানে লং জার্নি করেছো।
নীড়: ভাইয়া পাক্কা ২৫ ঘন্টা ঘুমিয়ে উঠলো।
প্রনয়: নীড়….
মেরিন: হামম পারবো।
প্রনয়: good…
নীড় মনে মনে: সবার মুখে কি impress impress ভাব? এর খাওয়া দেখে একেক জনের হার্ট এ্যাটাক না হলেই চলে।
তবে নীড়কে অবাক করে মেরিন অল্প খাবারই খেলো।

.

ওরা project site এ গেলো। প্রনয় , নীড় , মেরিন হাটছে।
মেরিন মনে মনে:

✨??

এখনই ১টা বানর আসুক। যেটা আমাদের বিরক্ত করতে থাকে। আর বাধ্য হয়েই প্রনয় নীলার ভার্সিটির পথে যায়।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

। মেরিন জাদু করতেই বানর তো আসলো না। তবে ১টা বিশাল আকৃতির ভাল্লুক আসলো। যা দেখে
মেরিন: আআআ…..
মেরিন দৌড়ে গিয়ে নীড়কে জরিয়ে ধরলো। প্রনয় মিটিমিটি হাসতে লাগলো।
নীড়: ওই সরো। ওই…
মেরিন: ভভভাল্লুক।
নীড়: সে already তোমার ভয়ে পালিয়েছে।
মেরিন: সত্যি?
নীড়: হামম।
মেরিন: সত্যিকারের সত্যি না কি মিথ্যাকারীর সত্যি?
নীড়: সত্যি কারের সত্যি।
মেরিন নীড়কে ছারলো।
নীড়:১টা থা….
প্রনয়: নীড়…….

.

ওরা site দেখে বাসায় ফিরছে। প্রনয় গাড়ি চালাচ্ছে। মেরিন একা পিছে বসে আছে।
আর মনে মনে অকারনে নীড়কে বকছে। তখন হঠাৎ করেই প্রনয় ভীষন জোরে break মারলো।
মেরিন: আম্মুগো….
আসলে গাড়ির সামনে হঠাৎ করেই ১টা মেয়ে চলে এসেছে। ওকে বাচাতে গিয়েই প্রনয় ওভাবে break মারলো। আর মেয়েটা হলো নীলা। আসলে গাড়ির সামনে ১টা ছোট্ট বানর পরেছিলো। সেটাকেই নীলা বাচাতে এসেছিলো। আর এই বানরটা কেন এখানে তা সবাই বুঝবে আসা করি।

প্রনয় মাথা বের করে
বলল: এই অন্ধ চোখে দেখোনা? নাকি মরার ইচ্ছা আছে? অার থাকলে অন্য কারো গাড়ির সামনে যাও। ?।
প্রনয় গাড়ি থেকে নামলো।
প্রনয়: hey you… কানে শোনোনা?
নীলা পিছে ঘুরলো।
আর নীলাকে দেখে প্রনয় তো ক্রাশিতো।
নীলা:sssorry sir…. আসলে এই বববানরটা আপনার গগগাড়ির সামনে পরেছিলো। আআপনি হহয়তো খেয়াল কককরেননি। মমমাফ করবেন।
প্রনয় দেখলো নীলার হাতে বানরটা। যা দেখে অবাক হলো। তবে আরো অবাক হলো নীলার হাত থেকে গলগল করে রক্ত পরতে দেখে।
প্রনয়: একি…. আপনার হাতে দেখি রক্ত পরছে…..
বলেই প্রনয় রুমাল বের করে নীলার হাতে লাগাতে গেলে নীলা সরে গেলো।
নীলা: ধধধন্যবাদ। আআমি বববাসায় গিয়েই ব্যান্ডেজ করে নিবো।
বলেই নীলা চলে গেলো।
প্রনয় তাকিয়েই রইলো।
মেরিন মনে মনে: oh my প্রিয় আল্লাহ thank you… &&& উম্মাহ। প্রনয়-নীলার প্রেমলীলা শুরু হবে এখন।???।
নীড় মনে মনে: oh my goodness…. ভাইয়ার চোখ জীবনে প্রথম স্থির। পলকহীন। আমার ভাইয়া তো দেখি ঘায়েল। ???।

.

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে