অভিমান হাজারো পর্বঃ১৩

0
1939

অভিমান হাজারো পর্বঃ১৩
আফসানা মিমি

অয়নের ঘুম ভাঙার পর দেখে আফরা খাটের এক কোণে জড়সড় হয়ে ঘুমিয়ে আছে অন্যদিকে ফিরে। ওর ঘুমন্ত মুখটা দেখার ইচ্ছা হতেই একটু ঝুঁকে দেখার চেষ্টা করলো। কিন্তু আফরা নড়চড় শুরু করায় আবারো নিজের জায়গায় ফিরে চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো। আড়মোরা ভেঙে আফরা দেখে অয়ন ঘুমিয়ে আছে। সকালের হালকা আলো রুমের ভিতর প্রবেশ করেছে। যার ছিটেফোঁটা অয়নের মুখেও এসে পড়ছে। কপালে কিছু চুল এলোমেলো হয়ে লেপ্টে পড়ে থাকায় আলগোছে চুলগুলো সরিয়ে মাথার চুলে কিছুক্ষণ হাত বুলালো। ইচ্ছে করছিল কপালে একটা চুমু দিতে। কিন্তু তা না করে বুকের বামপাশে যেখানে হৃদপিণ্ড থাকে সেখানে একটা চুমু দিয়ে বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে বাইরে চলে গেল।

এতোক্ষণের আটকে রাখা নিঃশ্বাসটা ফুঁৎ করে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় ধরফর করে উঠে বসলো। আফরা আর কিছুক্ষণ তার কাছে বসে থাকলে টের পেয়ে যেত কিভাবে ধুকপুক করছিল হৃদপিণ্ডটা। আরেকটুর জন্য বোধহয় হার্টএটাক হয়নি। মেয়েটা তো আচ্ছা ত্যাঁদড়! আর কোন জায়গা পায়নি চুমু দিতে! যেখানে বেশি লাফালাফি করে সেখানেই চুমু দিতে হলো! তাকে হার্টএটাক করিয়ে তবে শান্তি হবে এই মেয়ের।

অয়নের ফুফু আলেয়া বেগম শান্তিপ্রিয় মানুষ। কোন হাউকাউ, ঝামেলা, ঝগড়াবিবাদ এসবের ধারেকাছেও উনি পা মাড়ায় না। আফরা নিচে নামার পর ওকে সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে। অবশেষে তার ভাইয়ের ঘরে একটা মেয়ের আগমন হলো। ঘরটা যেন এতোকাল যাবৎ ফাঁকা পড়ে ছিল। নারী ছাড়া সংসার অসম্পূর্ণ যে। বড্ড দুশ্চিন্তায় ছিলেন অয়নের মা মারা যাবার পর থেকে। এখন উনি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন। অয়নের বড় বোন সিমলার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে এতোদিন কাজের লোকেরাই দেখেশুনে রাখতো সব। এখন আফরার হাতে সবকিছু বুঝিয়ে দিবে।

কিচেনরুমে নিয়ে গিয়ে সবকিছু দেখাচ্ছে। আফরাকে বলে দিয়েছে এখন থেকেই যেন এটা নিজের সংসার মনে করে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। পরে সবার জন্য চা বানিয়ে আনতে বললো। আফরা এই দায়িত্বটা পেয়ে যেন বেশ খুশিই হলো। খুশিমনে সবার জন্য চা বানিয়ে দিয়ে এলো। কোমরে শাড়ীর আঁচল গুঁজে এক চুলায় কষা গরুর গোশত বসিয়ে রুটি বেলতে লাগলো। অয়ন নিচে নেমে আফরার এমন গিন্নী রূপ দেখে চমকে নিজের জায়গায়ই স্থির হয়ে রইলো।

—“উফফ্ বৌমণি! তোমাকে যা লাগছে না এই গিন্নী রূপে! কেউ একজনের তো চোখের পলকই পড়ছে না যেন। মুগ্ধ চোখে দেখছে তোমাকে।”

পিছন থেকে হঠাৎ অরুনিমা এসে আফরার দুই কাঁধে উঁকি দিয়ে বললো। প্রথমে একটু চমকে গেলেও শেষের কথাটার মানে বুঝলো না সে। তাই রুটি বেলতে বেলতেই জানতে চায়লো
—“কার চোখের পলক পড়ছে না ননদিনী?”
—“কার আবার! তোমার প্রাণপ্রিয় বর মহাশয়ের। দ্যাখো না কিভাবে হা করে তোমাকে দেখছে পিছন থেকে।”

এমন কথায় আফরা চকিতে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো অয়ন ড্যাবড্যাবিয়ে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তার দিকে। সাথে সাথেই যেন লজ্জারা এসে ভীড় করলো তার গালে ও গ্রীবাদেশে। আফরার হঠাৎ এভাবে তাকানোতে অয়ন কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে সেখান থেকে দ্রুত প্রস্থান করলো। লালে টকটক হয়ে যাওয়া গালে টুকা দিয়ে আফরা বললো
—“ওহ্হো! কি লজ্জা দেখেছো!” অতঃপর ফিসফিস করে বললো “তা আমার গুণধর ভাই কি লজ্জা ভাঙাতে সক্ষম হয়নি গতরাতে? যদিও ফার্স্ট নাইট বলে কথা! তার উপর আবার পছন্দের বিয়ে। যে কিনা দেখতে গিয়েই একেবারে বিয়ে করে নিয়ে এলো।”

আফরার অবস্থা হয়েছে এমন যেন সে লজ্জার নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছে। অরুনিমার কথার কি জবাব দেবে তা ভেবে না পেয়ে নতমুখে তাকে রান্নাঘর থেকে ঠেলে বের করে দিল। আল্লাহ্! এতো লজ্জাও কেউ কাউকে ইচ্ছে করে দেয়! মেয়েটার মুখে কোন লাগাম নেই। কেমন অকপটে এসে এসব বলে ওকে লজ্জা দিতে শুরু করলো! উফফ্ সামনে না জানি মেয়েটা আরো কত লজ্জাকর পরিস্থিতিতে ফেলে ওকে আল্লাহ্ মালুম!

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


বেশ কিছুক্ষণ হলো অতশী বাবার বাড়ি এসেছে। এসেই বাবাকে জড়িয়ে ধরে সমানে কান্না শুরু করলো। যেন মনে হচ্ছিল কত যুগ পর তার বাবাকে দেখেছে! অথচ তিন চারদিন আগেই মাত্র তার বাবা গিয়ে দেখা করে এসেছে। সেদিনও এভাবেই কান্না করছিল। আজ হঠাৎ স্পন্দন দুপুরে বাসায় ফিরে অতশীকে গিয়ে বললো সে যেন রেডি হয়ে নেয়। অতশী কারণ জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলে না। শুধু বলেছে এক জায়গায় যাবে ওকে নিয়ে। অতশী আর কথা বাড়ায়নি। বিকেলবেলা রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ে। গাড়ি যখন ওর বাসার সামনে এসে থামে তখন সে অবাক হয়ে স্পন্দনের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকায়। স্পন্দন কিছু না বলে ওকে নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে। সেই থেকে বাবাকে দেখামাত্র কান্না জুড়ে দিয়েছে।

আজ নিয়ে দুইদিন হলো স্পন্দন এ বাড়িতে এসেছে। কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে তার কাছে। আসার আগে ভাবেনি এমন লাগবে। পাশের বাড়ি থেকে অতশীর সেইম বয়সের কয়েকজন মেয়ে এসেছে নতুন জামাই দেখতে। কারণ স্পন্দন বিয়ের পর এই প্রথম এ বাড়িতে এসেছে। অতশীর বরকে দেখেনি বলে আজ তারা আসামাত্রই এসে ভীড় করেছে। স্পন্দন সবার সাথে হালকা পাতলা কথা বলছে। একেবারে না বললে খারাপ দেখায়। পরে আবার বলবে অতশীর জামাই একগুঁয়ে, কারো সাথে কথা বলে না, ভাব দেখায়। শুধুমাত্র এজন্য দুয়েকটা কথা বলছে তাও মেপে মেপে। হেংলামি স্বভাবটা স্পন্দনের মাঝে নেই। কিন্তু স্পন্দন তো আর জানে না যে অপরদিকে একজন রাগে ফুঁসছে। রেগে যাওয়া লাল টুকটুকে গাল দেখাটা মিস করে ফেললো বেচারা।

“আমার সাথে কথা বলার সময় উনার মুখে হাসির দেখা পাই না। যেন হাসলে জরিমানা দিতে হবে! কিন্তু অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় ঠিকই খি খি করতে পারে দাঁত কেলিয়ে। অসভ্য বেটা! ঘরে বউ রেখে পরনারীর সাথে কথা বলতে লজ্জা করে না! এখানে এসেছে কই বউকে টাইম দিবে, তা না করে বর মহাশয় অন্যকাউকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন একটা ভাব ধরেছে যেন আমাকে চেনেই না। আসবে না আর আমার কাছে? তবে আজ আসুক সাহেব, যদি খবর না করেছি তো আমার নামও….”

অতশী নিজের সাথেই বিড়বিড় করে এসব বলে বলে সারা ঘরময় পায়চারি করছে। রাগে সারা মুখমণ্ডল লাল বর্ণ ধারন করেছে। যেন একটু টুকা দিলেই রক্ত ঝড়বে। সেই মুহূর্তে তার কথার মাঝখানে বাগড়া দিয়ে কে যেন পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। অতশী বুঝতে পেরে মুখ ঘুরিয়ে রাগে ফুঁসছে। স্পন্দন সামান্য মুচকি হেসে অতশীর কাঁধে চিবুক ঠেকিয়ে গন্ধ শুঁকার ভঙ্গিতে কয়েকবার শ্বাস টেনে বললো

—“কারো কলিজা পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি মনে হচ্ছে! উম্মম্ম….গন্ধটা কিন্তু দারুণ! বেশ টেস্ট হবে মনে হচ্ছে। কেউ কি সুযোগ দিবে একটা টেস্ট করতে!”
—“কত সুন্দরী রমণীই তো আজকাল চোখের সামনে এভেইলএবল পাওয়া যায়। তাদের ফেলে এসে আমার কাছে কি? তাদের কাছেই যাক না টেস্ট করতে।” অতশী আগের ভঙ্গিতেই দাঁড়িয়ে আছে।
—“গুড আইডিয়া! তবে কেউ যে ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে আমি অন্যকারো কাছে গেলে। আমি আবার চাই না অন্যকারো কাছে গিয়ে তাকে কষ্ট দিতে। কারণ তার কাছেই যে আমার স্বর্গসুখ বিদ্যমান!”
—“যার যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে। আমি বাধা দেওয়ার কে! আমি তার কেউ না।” খানিক অভিমান ঢেলে কথাগুলো শেষ করলো অতশী।

মুহূর্তেই স্পন্দন এক হেঁচকা টানে অতশীকে ঘুরিয়ে তার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বললো
—“এই মেয়ে! তুমি জানো না তুমি আমার কে? এটা নিয়ে মনে কোন সংশয় আছে? থাকলে বলে ফেলো আমি ক্লিয়ার করে দেই। তোমার এমন ধরনের কথাবার্তা সত্যিই খুব কষ্ট দেয় আমাকে। তুমি বুঝেও কেন বুঝো না অতশী আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি! কতটা প্রবলভাবে তোমাকে আমি চাই! কখনো কি বুঝবে না আমার আগ্রাসী মনের আকাঙ্ক্ষা!”

নিজেকে স্পন্দনের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো
—“আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার চাওয়ার কোন মূল্য আমি পাইনি। ভালবাসার বদলে উল্টো অপমান, অবহেলা পেয়েছি। হয়তো এটাই আমার ভাগ্যের লিখন। যে যেমন কর্ম করবে, সে তেমন ফলই ভোগ করবে। তুমি নিজে কাউকে ভালবাসা দিলে না ভালবাসা পাবে! নিজে কারো সাথে এমন অবিচার করে কারোর কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার আশা কিভাবে করো?”
—“মানুষ মাত্রই ভুল। যদি মানুষের দ্বারা ভুল না-ই হতো তাহলে তো সে আর মানুষ থাকতো না। হয়ে যেতো ফেরেশতা। তুমি একটা ভুল করে যে ক্ষত আমার কলিজায় সৃষ্টি করেছো তা সহজে শুকানোর মতো নয়। আর এ দাগ সহজে মুছার মতোও নয়। তবুও আমি তোমার ভালবাসার চাদরে এ দাগ ঢাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি বোধহয় ভুলে গেছি ঘা সহজে শুকালেও দাগ সহজে মুছে যায় না। তোমার ভালবাসার চাদরের ছায়ায় আমার আগের দেওয়া অবহেলাগুলোই স্থান পেলো। কিন্তু সেই ছায়ার খোঁজ আমার মতো অভাগা পেলেও কোন যোগ্যতা-ই নেই সেখানে আশ্রয় নেওয়ার। অথচ সেই অবহেলাগুলো স্থান না দিয়ে আমাকে যদি একটু ঠাঁই দিতে তাহলে বোধহয় আমার চেয়ে সুখী কেউ হতো না। এখানে থাকা লাগে বুচ্ছো! এই কপালে থাকা লাগে।”

স্পন্দন আর কিছু না বলে অতশীকে পাশ কাটিয়ে রুমের লাগোয়া মিনি ব্যালকনিতে গিয়ে রেলিংয়ে হাত ভর করে অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো নির্নিমেষ। অতশীর সাথে সে যতই সহজ হতে চায়ছে অতশী যেন ততই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে তার থেকে। সে দুই কদম আগালে অতশী চার কদম পিছু হটে যায়। কবে এই বৃহদাকার অভিমানের পাহাড় গলে ধারায় রূপ নিয়ে তাকে ভেজাবে অতশী! সে যে চাতক পাখির ন্যায় অপেক্ষায় আছে অতশীর ভালবাসার বৃষ্টিতে ভেজার।

—“কিরে মা জামাই নাকি একটু পর চলে যাবে!”

ড্রয়িংরুমে বসে অতশী, অতশীর কাকিমা আর তার বাবা মিলে কি নিয়ে যেন কথা বলছিল। হঠাৎই তার বাবা উপরের কথাটা বলে উঠলো। অতশী চমকে গেল কথাটা শুনে। স্পন্দন চলে যাবে! রাগ করে চলে যাবে সে! সেই সে তখন রুম থেকে বের হয়ে এসেছে তারপর আর কোন হয়নি স্পন্দনের সাথে। খাবার টেবিলেও তার সাথে কথা বলেনি। তবে বাকিদের সাথে প্রয়োজনীয় টুকটাক কথা বলেছে। এরপর আবার রুমে গিয়ে ঢুকে বসে আছে। সে ফিরতি আর রুমে গিয়ে স্পন্দনের মুখোমুখিও হয়নি কথাও হয়নি। তার ব্যবহারে হয়তো স্পন্দন কষ্ট পেয়েছে তাই চলে যাওয়ার সিদ্ধন্ত নিয়েছে। নয়তো এ রাতের বেলা কেউ চলে যায়! তাও আবার নতুন জামাই! অতশীর ঘোর কাটলো তার কাকিমার কথায়।

—“অতশী, আজকে প্রথম জামাইবাবাজি এ বাড়িতে এসেছে বিয়ের পর। আজকের রাতটা না থেকেই যদি চলে যায় তাহলে আমাদের সম্মানটা কোথায় যাবে বলতে পারিস? আর তার বাড়ির মানুষই বা কি ভাববে যে আমরা আপ্যায়ন করতে পারি না বিধায় সে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। চলে যাবে কেন বলেছে কিছু?”

অতশী এখন কি জবাব দেবে! সে তো এ ব্যাপারে জানেই না কিছু। এখন বাবা আর কাকিমাকে তো কিছু একটা বলতে হবে।
—“কাকিমা আসলে ও কারো বাসায় গিয়ে রাতে থাকতে পারে না। আনকমফোর্টেবল ফিল করে। চিন্তা কোরো না আমি বলে দেখছি থাকে কিনা।”
—“ওমা এটা আবার কেমন কথা! কারো বাড়িতে থাকা আর শ্বশুরবাড়িতে থাকা কি এক হলো নাকি! তুই গিয়ে জামাইবাবাজিকে জিজ্ঞেস করে দ্যাখ তো কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি এখানে থাকতে! আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো। তবুও যাতে আজকের রাতটা থাকে।”

চলবে………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে