অভিমান হাজারো পর্বঃ১৪

0
1973

অভিমান হাজারো পর্বঃ১৪
আফসানা মিমি

বাধ্য হয়ে অতশী ত্রস্ত পায়ে হেঁটে রুমে প্রবেশ করলো। কিন্তু রুমে গিয়ে সে অবাকবনে গেল। কারণ স্পন্দন রুমের কোথাও নেই। ব্যালকনিতে যাওয়ার দরজাটাও আটকানো ভিতর থেকে। কই চলে গেল মানুষটা! তার সাথে রাগ করে কি তবে চলে গেছে! বুকের ভিতরটায় একটা অজানা কষ্ট এসে যেন হঠাৎ করে খামচে ধরলো। চোখ মুখ কুঁকড়ে বিছানার এক কোণে ধপ করে বসে বুকের বা পাশের কাপড়ের উপর শক্ত করে চেপে ধরলো। ক্ষণে ক্ষণে যেন ব্যথাটা বেড়েই চলেছে। সে কি একটু বাড়াবাড়িই করছে না স্পন্দনের সাথে! বড় রকমের ভুলটা তো সে-ই প্রথম করেছিল। তার কাজে কষ্ট পেয়েই না স্পন্দন কিছুটা খারাপ ব্যবহার করেছিল তার সাথে। কারণ এটা তার পাওনা ছিল। অন্যকারো সাথে এমন করলে তার চেয়েও রুড বিহেভ সে ডিজার্ভ করতো। তবুও স্পন্দন ক্ষমা করে দিয়ে তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে-ই ধরা দিচ্ছে না স্পন্দনের কাছে। তার কি এরকম করা ঠিক হচ্ছে! স্পন্দনকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কি সে পাপের ভাগিদারী হচ্ছে না! মৃত্যুর আগে স্পন্দনকে অসন্তুষ্ট রেখে মারা গেলে কি আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবে! যা-ই হয়ে যাক না কেন স্পন্দনকে তার প্রাপ্য হকটা দিতেই হবে। চোখ বন্ধাবস্থায়ই কয়েক ফোঁটা অশ্রুকণা গণ্ডদেশ বেয়ে চিবুকে গিয়ে ঠেকলো।

হঠাৎই তার রুমের দিকে কারো পায়ের শব্দ শুনতে পেয়ে সেদিকে তাকিয়ে দেখলো স্পন্দন এগিয়ে আসছে। অতশীর দিকে চোখ পড়া মাত্রই স্পন্দন দরজার মুখে থমকে দাঁড়ালো। ওর চোখে পানি দেখে স্পন্দনের বুকের ভিতর চিনচিনে ব্যথার উপস্থিতি টের পাওয়া গেল। অতশী আর এক মুহূর্তও দেরি না করে দ্রুত পায়ে স্পন্দনের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাকে জাপটে ধরলো। এভাবে এসে ধরায় স্পন্দন কিছুটা পিছিয়ে গেল। খানিকটা অবাক হয়েই সে দু’হাতের শক্ত বন্ধনে আবদ্ধ করে নিল অতশীকে। বুকে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো সে। স্পন্দনের খারাপ লাগাটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে কেন কাঁদছে অতশী!

মাথায় হাত বুলিয়ে স্পন্দন বললো
—“এই অতশী কি হয়েছে তোমার? প্লিজ কান্না থামাও! কষ্ট হচ্ছে আমার।”

অতশীর কোন বিকার নেই। আগের মতো করেই কেঁদে চলেছে। ওর মাথাটা বুক থেকে উঠিয়ে দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো
—“বলো না ভালবাসাটা কি হয়েছে তোমার? তোমার কান্না সহ্য করার ক্ষমতা যে আমার নাই তুমি কি জানো না? কেন আরো কষ্ট দিচ্ছো আমাকে? আমি নিজেকে সামলাতে পারছি না অতশী। আমি পাগল হয়ে যাব। প্লিজ লক্ষ্মীটি আর কেঁদো না!”

অতশীর কান্না থামলো ঠিকই তবে এখনো ফুঁপাচ্ছে। সেই অবস্থায়ই বললো
—“আমাকে ক্ষমা করে দাও স্পন্দন। আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি…..”
অতশীকে কথার মাঝখানে থামিয়ে ঠোঁটে আঙুল রেখে বললো
—“শ্শ্শ্শ…চুপ একটা কথাও না। তার জন্য এভাবে কাঁদতে হবে পাগলী! তোমাকে তো আমি সেই কবেই ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু তুমিই বুঝতে একটু দেরি করে ফেললে। আমাকে আজও পর্যন্ত চিনতে পারলে না তুমি।”

অতশী কয়েকটা মুহূর্ত নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলো। স্পন্দন তাকে ছেড়ে দিয়ে বিছানার ওপর থেকে ওয়ালেট নেওয়ার সময় আড়চোখে অতশীর দিকে তাকিয়ে বললো
—“সাবধানে থেকো। যেদিন বাসায় যেতে চাও সেদিন কল কোরো তোমাকে এসে নিয়ে যাব। অনেকদিন পর যখন এসেছো বাবার বাড়ি থাকো কয়েকদিন।”
অতশী আৎকে উঠলে স্পন্দন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে একটু মুচকি হাসলো। যা কিনা অতশীর চোখে পড়েনি। অতশী ইতস্তত করে শাড়ীর আঁচল হাতের আঙুলে প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে নতমুখে স্পন্দনের কাছে একটু এগিয়ে এসে বললো
—“এখন কি তুমি চলে যাবা?”
—“হ্যাঁ, থেকে কি করবো?
—“বলছিলাম যে আজ রাতটা এখানে থেকে গেলে কি বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে তোমার?”
স্পন্দন ওয়ালেট পকেটে পুরতে পুরতে আড়চোখে অতশীর দিকে তাকিয়ে বললো
—“নাহ আমার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। উল্টো ভালোই হতো আমার জন্য। কিন্তু আমার ভালোটাই বা দেখে কে! কেউ একজন তো চায় না যে আমি এখানে থাকি। তাঁর তো আবার প্রবলেম হয়ে যাবে আমি এখানে থাকলে।”

স্পন্দন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে চলে যাবে আজ। হয়তো অতশীর সাথে হালকা রাগ করেই এমন ডিসিশন নিয়েছিল। কিন্তু একটু আগে বাসায় ফেরার পর অতশীর বাবা আর কাকিমা তাকে জেঁকে ধরেছে কেন চলে যাবে তা বলার জন্য। কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেটাও জানতে চায়লো। অনেক জোরাজুরির পর স্পন্দন রাজী হয়েছে থাকতে। আসলে তারও ইচ্ছে করছিল না অতশীকে ছেড়ে চলে যেতে। কারণ সে ওকে ছাড়া থাকতে পারবে না। মনে মনে বেশ খুশিই হলো।

চকিতে তার দিকে তাকিয়ে অতশী বললো
—“আমার আবার কি সমস্যা হবে!”
—“সেটা তো তুমিই ভালো বলতে পারবে।” কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললো স্পন্দন।
—“প্রথমবার এসেছো না থেকে গেলে লোকে কি বলবে! আর মা, বাবা, ভাবী তারাই বা কি ভাববে?”
—“হাহ্! কে কি ভাববে সেটা নিয়ে বসে আছেন বউ আমার। অথচ একবার জোর দিয়ে বলছেও না থাকতে।” বিড়বিড় করে কথাটা বললো স্পন্দন। অতশী শুনতে না পেয়ে জিজ্ঞাসা করলো
—“বুঝি নাই কি বলছো?”
—“কে কি ভাববে তা নিয়েই বসে থাকো তুমি। আমি যাই।” একটু ভাব নিয়ে চলে যাওয়ার ভঙ্গিতে পা বাড়ালো দরজার দিকে। অতশী ঠিক তার সামনে এসে পথ রোধ করলো। একেবারে কাছে সরে এসে শুধুশুধু বোতামে এলোমেলো হাত চালাতে চালাতে বললো

—“ইয়ে..মানে আজকে না গেলে হয় না!”
স্পন্দন সুযোগ পেয়ে বললো
—“থেকে নাহয় গেলাম। কিন্তু এতে আমার ফায়দা কি? লাভের লাভ কিছু হবে আমি থেকে গেলে? দেখা যাবে উল্টাপাল্টা কিছু করে বসবো, এটা সেটা আবদার করবো তোমার কাছে। যা তোমার পছন্দ নাও হতে পারে। তার চেয়ে বরং তোমার জন্য ভালোই হবে আমি চলে গেলে।”
—“উহুঁ। লাভ তো কিছুটা হবেই। আমি খুশি হব তুমি থাকলে।” বুকে নাক ঘষতে ঘষতে বললো অতশী।
কোমর জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে স্পন্দন জানতে চায়লো
—“কি লাভ হবে শুনি! এই অধমকে খুশি হয়ে কিছু দিবা নাকি আজকে?”
—“দেওয়ার মতো কিছু থাকলে তো দিব!” নতমুখে ক্ষীণ স্বরে জবাব দিলো অতশী। ক্ষণে ক্ষণে তার মুখের রং বদলাচ্ছে।
—“দিলে তো দেওয়ার শেষই নাই। মাথা খাটিয়ে একটু ভাবলেই চলবে শুধু।”
নিজেকে স্পন্দনের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বললো
—“আমার ব্রেইন এতো শার্প না। তাই মাথা খাটালেও কিছু ভেবে পাব না।”
পিছন থেকে দু’হাতে অতশীকে ফের আবদ্ধ করে বললো
—“ঠান্ডা মাথায় ভেবে দ্যাখো। পস্তাতে হবে কিন্তু পরে!”
—“আজ্ঞে না। আমি কোন কাজেই পস্তাই না।” মুখে ঠিকই নির্লিপ্ত ভাব বজায় রেখে কথা বলছে। তবে ভিতরে ভিতরে হাসিতে ফেটে পড়ছে অতশী।
—“পরে কিন্তু কপাল চাপড়ালেও বিশেষ লাভ হবে না এই বলে দিচ্ছি!” অতশীকে ছেড়ে দিয়ে বললো
—“কপাল চাপড়াবো কেন শুধুশুধু?” অবাক হওয়ার ভান করে বললো
—“হুম সেটাই তো! তুমি কেন কপাল চাপড়াবে। চাপড়াবো তো আমি। আচ্ছা আমি যাচ্ছি তবে! যেতে যেতে কপাল চাপড়াই।” বলেই পা বাড়ালো বাইরে যাওয়ার জন্য। সত্যি সত্যিই স্পন্দনের রাগ হচ্ছে কিছুটা।

—“আরে আরে….” বলেই তাড়াতাড়ি করে স্পন্দনের শার্ট খামচে ধরলো দু’হাতে। তার চোখে চোখ রেখে বললো
—“আরে বাহ্! বর মহাশয়ের রাগ হয়েছে! কি করলে আমার প্রিয়তমের রাগ ভাঙবে?”
স্পন্দন কিছু না বলে মুখ শক্ত করে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলো। অভিমানে বুকটা ভারী হয়ে আসছে তার। অতশী কেন বুঝে না তার চোখের ভাষা, মনের আকাঙ্ক্ষা! অতশী তার দুইহাত স্পন্দনের গলায় ঝুলিয়ে গ্রীবাদেশে একটা চুমু খেলো। স্পন্দন চমকে তাকালো তার দিকে। তাকিয়েই ডুবে গেল অতশীর চোখের মাদকতাপূর্ণ চাহনিতে। এ দৃষ্টি আজ অন্যকিছু আবদার করছে তার কাছে। কিন্তু সে কি আগাবে! কিছুক্ষণ দ্বিধাগ্রন্থ অবস্থায় আকাশপাতাল ভেবে শেষ পর্যন্ত অতশীকে পাঁজাকোলে তুলে নিল। অতশীর দুই হাত এখনো স্পন্দনের গলায়ই আবদ্ধ। অতশী কিছু একটা বলতে চায়লো।
—“স্পন্…….” অতশীর কথা শেষ করতে না দিয়ে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো তার অধরোষ্ঠ টেনে নিল। স্পন্দনের আগ্রাসী মনোভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত হয়ে পড়লো অতশীর সর্বাঙ্গ ।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

—“বৌমণি তোমার বাসায় যেতে মন চায়ছে না?”
অরুনিমার কথা শুনে আফরার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মন চায়লেই বা কি! সে কি আর একা যেতে পারবে! অয়ন যদি না নিয়ে যায় তাহলে সে তো আর যেতে পারবে না।
—“আমার চাওয়া দিয়ে কিছু হবে ননদিনী? তোমার ভাইয়ার চায়তে হবে না! নতুন বিয়ে হয়েছে আমাদের। আমার সাথে যদি ও না যায় তাহলে আমি কিভাবে যাব? ও যখন নিয়ে যাবে তখনই নাহয় যাব।”
—“দাঁড়াও ভাইয়া বাসায় আসুক। আমিই বলে দেখি তোমাকে কবে নিয়ে যাবে! আমিও কিন্তু যাব তোমার সাথে।”

আফরা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চুপ করে রইলো। তার মাথার ভিতর এই চিন্তার পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার এসে সদর্পে জায়গা দখল করে নিল। অরুনিমা হঠাৎ তাকে এসে এসব বলছে কেন! সে হঠাৎ যেতে চায়ছে কেন তার সাথে! তাহলে কি সে যা ভাবছে তা-ই! তা হলে মন্দ হয় না। ঘোর কাটলো অরুনিমার কথায়।

—“এইতো ভাইয়া চলে এসেছে!”
—“কেন, কি হয়েছে?” ভ্রু কুঁচকে জানতে চায়লো অয়ন।
—“ভাইয়া তুমি আসলে কি বলো তো! কোন দায়িত্বই কি ঠিকভাবে পালন করবা না?”
—“আমি আবার কি করলাম?” বেশ বিরক্তির সাথেই বললো
—“কি করেছো মানে! বলো কি না করেছো!”
—“উফফ্! এতো না প্যাঁচিয়ে বলবি আসলে হয়েছেটা কি?”
—“আচ্ছা আচ্ছা বলছি, বৌমণির যে আজকে তার বাবার বাসায় যাওয়ার কথা তা কি ভুলে গেছো? নিয়ে গেলা না কেন?” নিজের কোমরে দুইহাত রেখে জানতে চায়লো অরুনিমা।

অয়ন আফরার দিকে তাকিয়ে দেখে মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ও আচ্ছা তার মানে বিচার দিয়েছে তাকে নিয়ে যায়নি বলে! বিচার দেওয়ার কি দরকার ছিল? তাকে বললেই হতো সরাসরি। আর নয়তো নিজেই চলে যেত একা একা। যখন এতোই মন চায়ছিল বাবার বাড়ি যেতে! গম্ভীর কণ্ঠে উত্তর দিল
—“যেহেতু এতোই মন চায়ছিল যেতে তাহলে চলে যেত। ওকে কি কেউ ধরে বেধে রেখেছে নাকি যে যেতে পারবে না!” বলেই রুমে চলে গেল। আর আফরা অবাক দৃষ্টিতে অয়নের গমনপথের দিকে তাকিয়ে রইলো কয়েকটা মুহূর্ত। অয়ন কি তাকে ভুল বুঝলো! অরুনিমার ধাক্কায় সম্বিৎ ফিরলো।
—“বৌমণি, ভাইয়াকে গিয়ে বলো যাও।”
ওর মুখের দিকে একবার তাকিয়ে নিজেদের রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো আফরা। মুখটা কেমন খুশিতে ঝলমল করছে অরুনিমার!

রুমে প্রবেশ করা মাত্রই অয়নের মেঘে ঢাকা কালো মুখটা চোখে পড়লো সবার প্রথমে। ওকে দেখতে পেয়েই বললো
—“বাড়ি যেতে চাও তা বললেই পারতে। অথবা একা একাও চলে যেতে পারতে এতোই যখন তাড়াহুড়ো। তা না করে কোন আক্কেলে গিয়ে তুমি অরুকে গিয়ে বললে আমাকে এটা বলার জন্য? এ বাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই ওর কাছে আমাকে ছোট করিয়েই ছাড়লে? শেষ পর্যন্ত ছোট বোনের কাছ থেকে দায়িত্বজ্ঞানের লেকচার শুনতে হলো!”

আফরা জাস্ট বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সে যা সন্দেহ করেছে তা-ই হলো। অয়ন তাকে ভুল বুঝেছে। এমনটা করতে পারলো অয়ন! অন্তত ওর কাছে তো সত্যিটা জানতে চায়তে পারতো! তারপর না হয় এসব বলতো! সে টুঁশব্দটি না করে বিনাবাধায় মাথা পেতে মেনে নিত। সে কোন এক্সপ্লেইন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। তাই চুপচাপ সেখান থেকে সরে গিয়ে অরুনিমার রুমে চলে গেল। ওর অশ্রুসিক্ত চোখদুটো অয়নের চোখ এড়ালো না। আফরার চোখে পানি এসেছে কেন! অয়নের কিছুটা রাগ হয়েছে সাথে কিছুটা অবাক। আফরা এমন চুপচাপ থাকার মেয়ে না। এমন চুপচাপ চলে গেল কেন কিছু না বলে!

চলবে………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে