অবুঝ ছাত্রী পর্ব-২১

0
1811

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_21

(20পর্বের পর থেকে )

ঠিক আছে খাবো এক সর্তে।
ওকে বলো কি সর্ত।
আমি তোমাকে খেয়ে দিবো আর তুমি আমাকে তাহলে খাবো আমি।
ওকে।রাফিজা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি রাফিজাকে খাই দিচ্ছি।এভাবে সারাটা দিন রাফিজার সাথে দুষ্টুমী করে চলে গেলো।একটা নার্স এসে বলতে,,

ভাইয়া একটু সরেন তো রুগিকে ইনজেকশন দিতে হবে।
ওকে আপু দেও।
না আমি ইনজেকশন দিবো না।আমার খুব ভয় লাগে।
আরে একটুও লাগবে না দাও আমি আছি।
না,আমি দিবো না।
ভাইয়া আপনি একটু রূগিকে ধরেন আমি দেই।এটা দিতেই হবে।
আমি রাফিজার পাশে গিয়ে বসলাম এবং ওকে বললাম আমার হাত শক্ত করে ধরো।
তারপর সে আমার হাত শক্ত করে ধরলো।নার্স ইনজেকশন দিয়ে দিলো।
আচ্ছা আপনি কি বলতে পারে রুগি কবে সুস্হ হবে।বা কবে বাড়িতে নিয়ে যাইতে পারবো।
রূগির সুস্হ হতে বেশি দিন লাগবে না।আপনারা কালকেই রূগিকে নিয়ে যাইতে পারেন।
ওকে ধন‍্যবাদ আপনাকে।রাতে আংকেল আন্টি কেউ আর আসলো না রাফিজার কাছে।আমি ছিলাম তার পাশে সব সময়।
রাতে এখন কই থাকবো শেই নিয়ে চিন্তা।
আপনি কই থাকবেন স‍্যার।
সেটাই তো কই থাকবো আমি।আর সবসময় আমাকে স‍্যার বলো কেনো।এখানে কি আমি তোমাকে স‍্যার বলে ডাকতে বলেছি।শুধু আপনি করে বলবে।
ওকে।তাহলে আপনি আমার পাশে সুয়েন।
না বিয়ের আগে এক সাথে থাকা ঠিক না।তাই তুমি বেডে ঘুমাও আমি এই চিয়ারে ঘুমাবো।
আপনার কষ্ট হবে না।
আরে না এক দিনের বেপার কোন কষ্ট হবে না।তুমি ঘুমাও।
ওকে।
তারপর আমি চিয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছে।কি থেকে কি হয়ে গেলো।কখন যে ঘুমাই গেছি জানি না।হঠাৎ মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে দেকি রাফিজা তার বেডে ছোট বাচ্চার মতো পাদুটো জড় করে সুয়ে আছে।এখন কি সুন্দর নিসপাপ মনে হচ্ছে।কিন্তু ঘুম থেকে উঠলে খুব ফাজলামি করে।কি সুন্দর লাগতেছে রাফিজাকে ঘুমানো অবস্হায়।আর একবার ক্রাস খাইলাম।দেখতে দেখতে প্রায় রাত দুইটা বেজে গেলো।মনে হচ্ছে চোখের ঘুম হারায় গেছে।হঠাৎ কখন ঘুমাই গেছি জানি না।
Good morinig.ঘুমের ধান্দায় বলতেছি ।
কিন্তু কেউ কিছু বলতেছে না।
চোখ খেলে দেখি আরে আমি তো হাসপাতালে আছি।আর দেখতেছি আমার পাশে ঈমান চিয়ারে বসে ঘুমাচ্ছে।
এই যে স‍্যার উঠেন।
হুম মা ডেকো না তো।একটু পরে উঠবো।
কি আমি আপনার মা হই।সাথে সাথে মারতে শুরু করেছি।
আমি চোখ খুলে দেখি রাফিজা আমাকে মারতেছে।কি হলো তুমি সকাল বেলা আমাকে মারতেছো কেনো।
আমি কি আপনার মা হই।(রাগান্নিত হয়ে )
তুমি কেনো আমার মা হতে যাবা।
তাহলে আমি তোমাকে ডাকতেছি আর আপনি বলতেছেন মা এতো সকালে ডাকতেছো কেনো।
আরে আমার মনে ছিলো না যে আমি তমার সাথে হাসপাতালে আছি তাই বলেছি।প্রতিদিন সকালে মা ঘুম থেকে ডেকে উঠায় তো তাই বলেছি।
তাই দেখে আপনি আমাকে মা বলবেন।

কি হয়েছে তোমরা মারামারি করতেছো কেনো।
না আব্বু এমনি।
দরজাই দেখি আংকেল আর আন্টি এসেছে সাথে সকালের খাবারো এনেছে।
মা খাবার গুলো দুই জনে খেয়ে নেও দশটার দিকে তোমাকে বাসায় নিয়ে যাবো।আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসলাম আজকে তোমাকে বাসায় নিয়ে যাইতে পারবো।
ওকে বাবা।আর এখানে থাকতে আর ভালো লাগতেছে না বাবা আর।শুধু বোর লাগতেছে।
ওকে মা আজকেই চলে যাবো এখান থেকে।
ঠিক আছে মা।
তারপর আমারা দুই জনে আন্টিদের আনা খাবার খাইলাম।খেয়ে আংকেল আন্টি দের সাথে গল্প করতে করতে দশটা বেজে গেলো।
বাবা দশটা তো বেজে গেলো কখন যাবো এখান থেকে।

তোমরা রেডি হও আমি হাসপাতালে বিল মিটিয়ে দিয়ে আসি।
ওকে বাবা যাও।
তারপর আংকেল হাসপাতালে বিল মিটিয়ে দিয়ে আসলেন সবাই রাফিজাকে নিয়ে বাসায় যাওয়ার জন‍্য রওনা দিলাম।
বাসায় আসলাম রাফিজাদের হাসপাতাল থেকে আসতে বেশি দেরি হলো না কারন রাফিজাদের বাসা থেকে হাসপাতাল দশ কিলোমিটার হবে তাই।
বাসার সামনে এসে
আংকেল তাহলে আমি বাসায় যাই।
কি বলো বাবা দুপুরে খেয়ে যাইও আর তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
কিনতু আংকেল
কোন কিন্তু না দুপুরে এখানে খেয়ে যেও।
ঠিক আছে।আংকেলের জোড়া জুড়ির করার কারনে আর না করতে পারলাম না।
দুপুরে সবাই এক সাথে খাইতে বসলাম।রাফিজাও সেখানে ছিলো।
ঈমান তোমার তো সামনে পরিক্ষা তাই না।
জ্বি আংকেল।
তাহলে এখন কিভাবে রাফিজাকে বিয়ে করবে তুমি।
আর এদিকে সামনে রাফিজাদেও সামনে পরিক্ষা।
কিন্তু আংকেল।
না আগে তোমরা পরিক্ষাভালো ভাবে দেও দুইজনে।
বাবা আমি পরিক্ষার আগে বিয়ে করতে চাই।
না মা পাগলামি করলে হবে না তোমাদের দুইজনের পড়া এখনো শেষ হয় নাই।আর তোমাদের দুইজনের পরিক্ষা সামনে।
কিন্তু বাবা,,,
কোন কিন্তু না।পরিক্ষা দাও আগে তারপর না হয় বিয়ে নিয়ে কথা বলবো।
ঠিক আছে বাবা।
আমি চুপ করে আংকেলের কথা শুনতেছি।ওনি ঠিক কথায় বলতেছে।পরিক্ষা সামনে এখন বিয়ে করলে দুই জনের পড়া নষ্ট হয়ে যাবে।ওনারা সব সময় তো আমাদের ভালোটাই ভাববেন।
দেখতেছি রাফিজা সবার আগে চলে গেলো তার রূমে।মনে হয় মন খারাপ হয়েছে আংকেলের কথা শুনে।আমি তো আর তারাতারি জাইতে পারবো না তাই হবার সাথে খেয়ে উঠলাম।
আংকেল আন্টি তাহলে আজকে আমি যাই।
যাচ্ছো যাও কিন্তু রাফিজার সাথে দেখা করে যাও।
ওকে আন্টি।তারপর আমি উপরে রাফিজার রূমে গিয়ে দেখি রাফিজা খাটে মন খারাপ করে হেলান দিয়ে আছে।
কি বেপার আমার কলিজা টার মন খারাপ।
চুপ করে আছে।
কি হলো কথা বলবে না।তাহলে আমি চলে গেলাম।চলে যাওয়ার কথা শুনে দেখতেছি পাগলিটা আমাকে জরিয়ে ধরেছে।
কি হলো কান্না করতেছো কেনো।আর কিছু দিনের বেপার তো পরিক্ষাটা আগে দেই তারপর তো বিয়ে করবো।
না আমি যে তোমাকে ছাড়া একদম থাকতে পারবো না।
আরে এমন করে কেউ সামান্ন বেপার নিয়ে কান্না করে।আর প্রতিদিন তো দেখা হবেই।আর ফোনেও কথা বলবো।যখন তোমার আমাকে মনে পড়বে তখন ফোন দিবা কথা বলবো।
ঠিক আছে।আচ্ছা তুমি কি আমাকে কখনো ভূলে যাবে।
আরে আমি কি তোমাকে ভুলতে পারি।তুমি আমার হচ্ছো কলিজা।এই কলিজাটা ছাড়া আমি কি বাচতে পারি বলো।

#চলবে,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে