Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"লাভ টর্চার❤ Part-12 (End Part) | Bangla romantic couple love story

লাভ টর্চার❤ Part-12 (End Part) | Bangla romantic couple love story

#লাভ_টর্চার❤
#Part-12
#Nusrat_Jahan_Abida
.
.
বাসর রাতে বসে বসে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছি। কি কপাল! কিছুক্ষণ আগে ভেবেছিলাম ঘুমিয়ে পড়ি, কে কি দেখবে! ঘুমাতে যাওয়ার জন্য লাইট অফ করতেই বিশাল চিৎকার। ভয়ে লাইট অন করতেই দেখি আমার খাটাশ জামাই আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। তাকে দেখে একটা ঢোক গিলে চুপচাপ বই নিয়ে বসে পড়লাম। তিনি আমাকে পড়তে দেখে আবার মনের সুখে ঘুমাতে গেলেন।
.
.
বাসর রাতে কেউ বই পড়ে তা নিজেকে দেখে জানলাম। কেন যে এই খাটাশের পিছনে লাগতে গিয়েছি! জীবনটা ত্যানা ত্যানা করে দিলো। দেখো, আমার ঘুম নষ্ট করে কি সুন্দর ঘুমাচ্ছে! মন তো চাচ্ছে লাথি মেরে উগান্ডায় ফেলে দিই। উগান্ডারিয়ান-রাও তার থেকে ভালো হবে। ব্যটা খাটাশ!
.
.
মনে মনে বকা দিয়ে আবার বইয়ের দিকে তাকালাম। দেখে মনে হচ্ছে চাইনিজ ভাষা পড়ছি। চাইনিজ বিলাই আর কিছু পায় নি তাই চাইনিজ বই ধরিয়ে দিয়েছে। কেউ আমাকে এই চাইনিজ বিলাই থেকে বাঁচাও! ভেবেই দুক্কু দুক্কু ফিল হচ্ছে। হঠাৎ মনে পড়লো আমার সেই প্রাণপ্রিয় বেস্টুর কথা! নিজে একা জ্বলবো কোন কথা! ওকে নিয়ে জ্বলবো। কথাটা ভেবে দাঁত কেলিয়ে ফোনটা হাতে নিলাম। ফোনে মেধাকে ডেয়াল করছি এমন চোখ গেল শুভ্র ভাইয়ার উপর। আমাকে দেখেই চোখ বন্ধ করে নিলো। আহা! আমার উপর নজরদারি করা হচ্ছে! বুঝাচ্ছি মজা!
.
.
ফোনে মেধার নম্বর ডায়াল করে কানে নিলাম। কল রিসিভ হতেই বললাম,
– হ্যালো, মুরাদ!
.
.
মেধা কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
– জানি, ভুল করেছি। তাই বলে সবসময় এই নামে পচাতে হবে নাকি!
.
.
আমি কন্ঠে অতিরিক্ত আদর মিশিয়ে বললাম,
– এতো ছোট ছোট কথায় রাগ করলে কি হয়! তুমি জানো না, আমি তোমাকে কতটা ভালবাসি!
.
.
মেধা সন্দেহভাজক কন্ঠে বলল,
– বিয়ে হওয়ার খুশিতে পাগল হয়ে গেলি নাকি! বাসর রাত ছেড়ে এসব কি আবোল তাবোল বকছিস!
.
.
বাসর রাত না, কচু! পড়িয়ে পড়িয়ে ইতিহাস উল্টিয়ে দিলো! কিন্তু এখন এসব বলা যাবে না! তাই কন্ঠে মিশ্রিত করে বললাম,
– কি যে বলো! তোমাকে ছাড়া কি আমি বাসর করতে পারি!
.
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

মেধা দ্রুত কন্ঠে বলল,
– নাঊজুবিল্লাহ! কি বলিস এসব!
.
.
আমি শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম। বিলাই চোখ দুটো বন্ধ থাকলেও তার রাগ স্পষ্ট পরিমাণ করতে পারছি। কিন্তু এদিকে আমার বেস্টুর হার্ট ফেল করার অবস্থা! মরে টরে গেলে এমন অদ্ভুদ বেস্টু কোথায় পাবো! তাই ক্ষীণ কন্ঠে বললাম,
– আমি কি বলতে চাই, বুঝো না!
.
.
মেধা কিছুক্ষণ চুপ থাকলো, হয়তো কিছু ভাবছে। কিছুক্ষণ পর বলল,
– তাহলে জিজকে জ্বালানো হচ্ছে! মনে রাখিস, তোর বিয়ে উপলক্ষে কালা ভুনা পিজ্জা চাই! না দিলে জিজকে বলে দিবো যে তুই কিভাবে তাকে কালা ভুনা করছিস!
.
.
তোর বিয়ে হোক আগে! সব শোধ তুলবো! লাজুক কন্ঠে বললাম,
– হোটেলে চলে এসো! হয়ে যাবে!
.
.
মেধা খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
– সত্যি, দোস্ত! লাবু!
.
.
আমিও কন্ঠে ভালবাসা ঢেলে বললাম,
– লাভ ইউ টু!
.
.
কথা শেষ করে আবার পড়তে বসলাম। আহা! কি আনন্দ লাগছে! শুভ্র ভাইয়া চোখ বন্ধ করে সে নিজেকে শান্ত করছে তা বুঝতে পারছি। তিনি ভুলে গেছেন যে, আরোহীর পায়ে শিকল পড়ানো অসম্ভব ব্যাপার! এখন বুঝো মজা! মনের সুখে গান ধরলাম, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!
.
.
সকাল সকাল উঠেই চলে গেলাম রান্নাঘরে। কেননা, 1st impression is the last impression. তাই সবার জন্য নুডুলস রান্না করিছ। নুডুলস রান্না করতে করতেই মামিমণির আগমন। আমাকে রান্না করতে দেখে মামিমণি একটা রাগী লুক দিয়ে বলল,
– তোকে দেখে কেউ বলবে যে, তুই নতুন বউ? সবাই বলবে আমি নতুন বউকে দিয়ে না জানি কতো কাজ করাই। আজ থেকে তোর কিচেনে আসা ব্যান। তোর কাজ হলো খাওয়ার সময় ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়া আর আমার ছেলেকে খুশি রাখা
.
.
আমি মুখ ছোট করে বললাম; প্রথম কিচেনে এসেছি তাও চলে যেতে বলছেন। Not fair. আর নুডুলস বানানো কোনো ব্যাপার নাকি।
– তোর জন্য কোনো ব্যাপার না হলেও আমার জন্য ব্যাপার। আর কাজ করার জন্য তো আমাদের লোক আছে। তাদের কোনো সাহায্যের দরকার হলে আমি করব, তোর টেনশন করতে হবে না। এখন লক্ষ্মী বউমার মতো আমার সাথে চল।
.
.
কথাটা বলে মামিমণি আমাকে তার রুমে নিয়ে গেল। আলমারি থেকে একটা গহনার বক্স হাতে দিল। নিজেই তা খুলে দেখিয়ে বলল; – দেখতো পছন্দ হয় নাকি?
.
.
বক্সে একটা দামী হার চিকচিক করছে। তা দেখে বললাম;
– এটার কি প্রয়োজন ছিল?
.
.
মামিমণি বক্সটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
– প্রথম কিছু রান্না করলি খুশি হয়ে দিব না বুঝি। এখন বল কেমন লেগেছে?
.
.
আমি খুশি হয়ে বললাম,
– অনেক সুন্দর।
.
.
সবাই ডাইনিং টেবিলে চলে এসেছে। সবাইকে নুডুলস সার্ভ করেছি, শুভ্র ভাইয়া বাদে। তা দেখে মামিমণি বলল,
– ওকে দেলি না যে!
.
.
আমি একনজর শুভ্র ভাইয়াকে দেখে বললাম,
– উনি খাবেন না।
.
.
আমার কথায় শুভ্র ভাইয়া অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। মামিমণিও অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন,
– এ কেমন কথা! খাবেন না কেন!
.
.
আমি শুভ্র ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললাম,
– তা তো উনিই জানেন!
.
.
আমার কথা শুনে মামিমণি শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকালো। ভ্রু কুঁচকে বলল,
– তুই না করেছিস!
.
.
শুভ্র ভাইয়া কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। আমি একদিকে চাপা হাসি হাসচ্ছি। শুভ্র ভাইয়া আমাকে চোখে দেখিয়ে মামিমণিকে বলল,
– না মানে, কি না বানিয়েছে কে জানে! তাই বলছিলাম যে….
.
.
মামিমণি কঠিন গলায় বলল,
– বলাবলি বন্ধ! চুপচাপ খা। আরোহী, ওকে নুডুলস দে।
.
.
এখন বুঝো আরোহী কি জিনিস! এমনে তো খেতে চাইতে না, এখন এভাবে খাও। মনে মনে কথাগুলো ভাবছি আর নুডুলস দিচ্ছি।
.
.
সবাই খাচ্ছে এমন সময় মামা বলল,
– শুভ্র, এখন তো বিয়ে করলি! আমরা কেউ কিছু বলি নি। তবে বিয়ে যখন করেছিস এখন না হয় পরিবারিক বিজনেসটা সামাল দে!
.
.
শুভ্র ভাইয়া মামার দিকে একনজর তাকিয়ে খেতে খেতে বলল,
– ড্যাড, আপনি জানেন, আমি নিজে কিছু করতে চাই। নিজের বিজনেস দাঁড় করাতে চাই।
.
.
শুভ্র ভাইয়াকে মামিমণি বাধা দিয়ে বলল,
– এই বিজনেসও তো তোর!
.
.
শুভ্র ভাইয়া মামিমণিকে কিছু বলবে তার আগেই আমি বললাম,
– উনি না হয় নিজেরটা সামলাক! মামাকে আমি হেল্প করবো নে!
.
.
শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– তোর মতো পিচ্ছি বিজনেস সামলাবে! কি না কি করবি! না বাবা, দরকার নেই। আমিই বরং দুটোই সামলাবো।
.
.
আমি মুখ ছোট করে বললাম,
– কিন্তু…..
.
.
মামিমণি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল,
– তুই বরং শুভ্রর হেল্প করিস কেমন!
.
.
শুভ্র ভাইয়া একনজর আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
– আমার এমনেও অ্যাসিস্টেন্ট দরকার! তুই এই কাজটা বেশ ভালোই করতে পারবি।
.
.
খেতে খেতে কথাটা বলল শুভ্র ভাইয়া। শেষমেশ শুভ্র ভাইয়ার অ্যাসিস্টেন্ট হবো! এদিনও দেখে বাকি ছিলো! আল্লাহ! রহমত নাজিল করো!
.
.
সন্ধ্যায় হলরুমে বসে মোবাইল টিপছি এমন সময় ঝাড়ুর এন্ট্রি। আমাকে দেখে একটা রাগী লুক দিয়ে উপরে চলে গেল। নিশ্চয়ই শুভ্র ভাইয়ার সাথে দেখা করতে এসেছে। এই মাইয়ার উপর এমনেও বিশ্বাস নেই। যখন তখন জড়াজড়ি করে। কিন্তু কি করব! আইডিয়া! কিচেনে গিয়ে মামিমণিকে বললাম, মেহমান এসেছে। ব্যস! আর কি লাগে! আমার অতিথিপরায়ণ মামিমণি আমার কাছে খাবার ভর্তি ট্রে দিয়ে বলল,
– যা, গিয়ে শুভ্রর বন্ধুকে দিয়ে আয়!
.
.
এই সুযোগেরই তো অপেক্ষায় ছিলাম। লাফাতে লাফাতে চলে গেলাম শুভ্র ভাইয়ার রুমে, থুক্কু এখন এটা আমাদের রুম। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই হাতে থাকা ট্রে টা পড়ে গেল। শুভ্র ভাইয়া সরে দাঁড়ালেন। শুভ্র ভাইয়ার চোখে আমার জন্য অভিমান দেখছে পারছি। কিছু বলতে যাবে তার আগেই সেখান থেকে ছুটে চলে এলাম। শুভ্র ভাইয়া পিছন থেকে ডেকে চলছেন। কিন্তু আমি যে থামতে পারছি না। অবাধ্য চোখের জলগুলো ঝরেই যাচ্ছে।
.
.
ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি। অবাধ্য চোখের জলগুলো এখনও ঝরেই যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে রুমে প্রবেশ করতেই দেখি শুভ্র ভাইয়া আর রিয়া একে অপরের অনেক কাছে, এতোই কাছে যে এক বিন্দু পরিমাণ দূরত্বও তাদের মাঝে নেই। আর রিয়া তার ঠোঁট শুভ্র ভাইয়ার দিকে…..। আমারই দোষ! আমিই পাগল ভেবেছিলাম যে, শুভ্র ভাইয়া আমাকে ভালবাসে। আরেহ! এতো বছর যে অপমান করে গেলো তার কাছে ভালবাসার আশা করাই পাপ! এই পাপটাই আমি করেছি! আর এর শাস্তি আমি পাচ্ছি। ভীষণ ভাবে পাচ্ছি।
.
.
– তোর এই কান্নার জন্যই বাংলাদেশের অবস্থা ডুবুডুবু!
.
.
শুভ্র ভাইয়ার কথা শুনে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম। এতো কিছুর পরও তার কোন যায় আসে না। যায় আসবেই বা কেন! সে কি আমাকে ভালবাসে নাকি! তিনি তো ঐ ঝাড়ুকে ভালবাসে!
.
.
– এখানে এতো রিয়েক্ট করার কি আছে বুঝি না!
.
.
শুভ্র ভাইয়ার কথায় তার দিকে তাকালাম। কঠিন গলায় বললাম,
– সব দোষই আমার! রিয়েক্ট করেও দোষই করে ফেলেছি! তবে আজ আমি আমার সব দোষ শুধরে নিবো। আর জ্বালাতন করবো না আপনাকে! আমি আপনার ঐ ঝাড়ুকে নিয়ে থাকুন, আমি আমার মতো করে থাকবো।
.
.
কথাটা বলে চলে আসতে নিতেই শুভ্র ভাইয়া আমার হাত ধরলো। আমাকে তার দিকে ঘুরালো। আমি এখনো অন্যদিকে মুখ করে আছি।
– মুখটাও দেখবি না, এতো রাগ! যাই হোক! তো কি যেন বলছিলি ঐ ঝাড়ু মানে রিয়া, তাই না? এখন ওর কাছে গেলে সত্যি সত্যি ঝাড়ু রূপ ধারণ করবে। আমার বিয়ের কথা শুনে ছুটে এসেছিলো। আমাকে নাকি ভালবাসে! আমি না বলাতে উপরেই চড়ে বসেছিলো। ওকে থামাবো তার আগেই তুই চলে এলি। আর অর্ধেকটা দেখেই আমাকে অপরাধী বানিয়ে দিলি।
.
.
চোখে দেখা ভুল হয় তা আমিও জানি। আর এটাও জানি যে এই ঝাড়ু ইচ্ছে করে সব করেছে। যখন চলেছিল তখনই বুঝেছিলাম কিছু না কিছু করবে। তাই তো উপরে দেখতে আসা! তবে শুভ্র ভাইয়াও দুধে ধোয়া না! অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে। অভিমানী সুরে বললাম,
– আমি কে অপরাধী বানানোর!
.
.
শুভ্র ভাইয়া মুচকি হেসে বললো,
– আমার বউ!
.
.
এখন আসছে বউ বলতে! তখন কি বলছিলো! মানি না!
.
.
আমি কিছু বলছি না দেখে শুভ্র ভাইয়া বলল,
– আমার বউ বুঝি অনেক রাগ করেছে। জানিস, যখন থেকে প্রথম ভালবাসা বুঝি তখন থেকেই তোকে ভালবাসি। কিন্তু ইসলামে যে বিয়ের আগের প্রেম হারাম। তাই তোর থেকে দূরে দূরে থাকতাম। কিন্তু তুই যখন নিজেই কাছে আসতি তখন নিজেকে থামাতে কষ্ট হতো, তাই তোকে নানাভাবে অপমান করতাম, যেন তুই কাছে না আসিস! আমি তোকে এতো দ্রুত বিয়ের জালে বাঁধতে চাই নি। ভয় হতো এসবে পড়ে যদি তোর পড়াশুনা, তোর ইচ্ছা, তোর স্বাধীনতা এসব থেকে দূরে সরে যাস! আমি তোকে মুক্ত পাখির মতো উড়তে দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তুই যা শুরু করেছিলি, শেষে না পেরে বিয়েটা করতে হলো!
.
.
ভ্রু কুঁচকে বললাম,
– শেষে না পেরে! মানে আপনি বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করেছিলেন!
.
.
শুভ্র ভাইয়া অন্য দিকে মুখ করে হেসে চলছে। হাসি চেপে মুখে করুণ ভাব এনে বলল,
– তো কি করতাম, বল! যেভাবে ফুসকাওয়ালাদের পিছনে পড়েছিলি, শেষে দেখা যেতো তোর জামাইকে দুলাভাই ডেকে বেড়াচ্ছি। না, বাবা। রিস্ক নিয়ে লাভ নেই! তাই বিয়েটা করেই নিলাম!
.
.
আমার রাগ এখনো ভাঙ্গে নি। কাল রাতে কতো কিছুই না করলো! তখন তো বিয়ে হয়েই গিয়েছিলো, তাহলে এতো কিছু করার কি দরকার ছিলো! মুখ ফুলিয়ে বললাম,
– আগে না হয়, বিয়ের আগের প্রেম ছিলো! হারাম ছিলো! কালকে তো বিয়ে হয়েছিলো। রাতে এমন করলেন কেন!
.
.
শুভ্র ভাইয়া দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,
– আমার বউয়ের বাসর করার ইচ্ছা ছিলো বুঝি!
.
.
আমি রাগ দেখাতেই বললো,
– না মানে, এতো দিন তুই কষ্ট দিলি, ভাবলাম এক রাত না হয় আমিই কষ্ট দিই!
.
.
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
– ওটা কষ্ট না, #লাভ_টর্চার ছিলো।
.
.
শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– #লাভ_টর্চার!
.
.
আমি হুম বলতেই শুভ্র ভাইয়া আমাকে কোলে তুলে নিলো। কানের কাছে মুখ দিয়ে বলল,
– এতদিন তুই #লাভ_টর্চার করেছিস! এখন থেকে আমার পালা!
.
.
কথাটা কানে আসতেই শুভ্র ভাইয়ার বুকে মুখ লুকালাম। তার #লাভ_টর্চার সহ্য করতে যে আমি সারা জীবন রাজি আছি।
.
.
——————————The End——————————
(শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এতো এতো ভালবাসা দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন। শ্রীঘই নতুন গল্প নিয়ে হাজির হবো। ভালবাসা রইলো সকলের জন্য❤)

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ