Sunday, October 5, 2025







Love warning Part-30(Last Part)

#Love_warning❤️
#your_love_is_my_drug_addiction?
#Last_part
#ফারজানা

“হোয়াটটটটটটটটটটট?”

তিতি আর শিশির একসাথে চিল্লিয়ে বললো কথাটা…….

“তোমরা আগেও বিয়ে করেছো তার মানে আমরা সতীন নিয়ে সংসার করবো। তোমরা এমন কাজ করতে পারলে ছিঃ। তোমাদের একবারও আমাদের কথা মনে পড়লো না। আচ্ছা তোমাদের ওই বউ কি আমাদের থেকে বেশি সুন্দর। বিয়েই যেহেতু করে ফেলেছ তাহলে আমাদের বিয়ে করার কি দরকার। এক বউ নিয়াই সুখী থাকো না। ধন্যবাদ শুভ্র ভাইয়া আজ আপনি ওদের আসল রূপ আমাদের সামনে ধরিয়ে দিয়েছেন।”

তিতি ও শিশির কাদতে লাগলো। তখন অর্ণব বললো…..

“শুভ্র এদের কি বললি আর এরা কি বুঝলো দেখ। এই জন্যই লোকে বলে মেয়েরা বুঝে কম চিল্লায় বেশি”

“ভাবী এই কথা যদি শিশির বলতো তাহলে বুঝা যেতো কজ ওর মাথায় তো এইসবই ঘুরেই কিন্তু আপনি বললেন কথাটা ঠিক যেনো হজম হচ্ছে না ”

শুভ্র তখন সবার দিকে তাকিয়ে পরে বললো…..

“ভাবী আপনারা দুইজন ভুল ভাবছেন। আমি বলেছি অর্ণব প্রবণ বিয়ে করেছে কিন্তু এইটা বলি নাই যে অন্য মেয়েদের বিয়ে করেছে। আমি সব কথাটা বলার আগেই তো আপনারা কান্না শুরু করে দিয়েছেন। এখন শুনুন কিছুদিন আগে প্রবণ আর অর্ণব আপনাদের তুলে নিয়ে অর্ণবের বাংলো বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলো না তখন আপনাদের একটা পেপারে সই করতে বলেছিলো। ওইটা ছিলো কাবিন নামা। আর ওইদিনই বিয়ে হয়ে যায় আপনাদের”

শুভ্রের কথা তিতির অনেক রাগ হয় অর্ণবের প্রতি। তখন সবাই মিলে তিতি কে শান্ত করে। তবুও তিতি রাগ করে বাসায় যেতে লাগলো তখন শুভ্রের মায়াবিনী বললো……

“তিতি কাজটা তুমি ভালো করছো না। অর্ণব ভাইয়া তোমায় ভালোবাসে বলেই হয়তো এই কাজ করেছে। জানো কি তিতি ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি অনেক দুর্বলতা থাকে। মনে সব সময় ভয় থাকে যদি চলে যায়। তাই অর্ণব ভাইয়া প্রবণ ভাইয়া এই কাজ গুলো করেছে। আচ্ছা তুমি শুধু ওদের এই একটায় ভুল দেখে দূরে চলে যাচ্ছো কিন্তু ভাইয়াদের ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো কেনো ভাবছো না। তোমাদের ভালোবাসার মাঝে একটা ভুল এইটা তো কোনো প্রবলেম না তাই না?”

শুভ্র তার মায়াবিনীর কথাগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনছিল। তিতি কথাগুলো শুনে জাপটে ধরে সাথে শিশিরও……

“সত্যিই মায়াবিনী ভাবী তুমি খুব ভালো”

“আমার নাম তো মায়াবিনী না আমার নাম রোদেলা সবাই ভালোবেসে রোদ বলে ডাকে”

তিতি রোদ কে নিয়ে সোফায় বসে পড়ে বললো……

“এখন বলো রোদ তুমি কেনো এইসব করেছো?”

রোদ তখন বলা শুরু করলো…..

“আমার ভাইয়ার নাম তনয়। শিশিরের সাথে ভাইয়ার সম্পর্ক ছিলো তোমরা জানো?”

তনয়ের কথা শুনে সবাই চমকে উঠলো। বিশেষ করে রোদ যে তনয়ের বোন এইটা শুনে……

“আমি আমার ভাইয়ার এইসব কথা আগে জানতাম না। একদিন ভাইয়ার ফোন নিয়ে গেমস খেলছিলাম। তখন শিশির পিকটা দেয় আর সাথে ডিটেলস এ বলে ও কোন মেয়ে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিলো শিশির আর তার ফ্রেন্ডকে। তাই পিকটা আমার ফোনে নিয়ে আসি। এর কিছুদিন পর শুভ্রের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। তখন শুভ্র আমার পিক চাইতো। কিন্তু এরই মাঝে আমি আমার ভাইয়া খারাপ কাজের কথা জেনে যাই।তাই ভয়ে ছিলাম পিক দিবো কি না। যেখানে নিজের ভাইকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো সেখানে শুভ্র কে তো সামনাসামনি চোখে দেখি নাই। তাই পিকটা এডিট করে দেই। আমি শুভ্র কে মন থেকে ভালোবাসি। কিন্তু ও কি ভালোবাসে তার প্রমাণ নেওয়ার জন্য আমি শুভ্রকে বলি নাই কোনটা আমি। শুভ্র বলেছিলো ও হটাৎ করেই চলে আসবে। তার কিছুদিন পর ফোন নষ্ট হয়ে যায় আমার। ভাইয়াকে বলা সত্বেও ফোন কিনে দিলো না। ছোট বেলায় আব্বু মারা যাওয়ার পর আম্মুও কিছুদিন পর মারা যায়। তখন থেকে ভাইয়া আর আমিই থাকি। কিন্তু শিশিরের সাথে খারাপ কাজ করতে গিয়ে ভাইয়া ধরা পড়ে আর পুলিশে দেওয়া হয় তখন থেকে ভাইয়া যেসব মেয়েদেরকে নিয়ে টাইম পাস করেছে তাদের ফ্যামিলির সদস্যরা আমাকে বিরক্ত করা শুরু করেছে। এতদিন এইখানে ওইখানে লুকিয়ে থাকতাম তবুও ওরা কিভাবে যেনো খুঁজ পেয়ে যেতো তাই আজ স্টেশন থেকে অন্য কোনো জায়গায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে আমার ভাইয়ার শাস্তি ভাইয়া তো পাচ্ছে সাথে আমিও”

রোদ কাদতে লাগলো। তিতি শিশির রোদকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। তখন অর্ণব চোখে ইশারা দিয়ে বুঝায় রোদকে এখন শুভ্রই শান্ত করতে পারবে আমরা অন্য কোথাও যাই। তিতি কথাটা বুঝতে পারে শিশিরের কানে ফিসফিস করে বলে এখন শুভ্র রোদকে আলাদা সময় দেওয়ার জন্য।

শুভ্র রোদকে আলাদা রেখে প্রবণ শিশির অর্ণব তিতি চলে যায়……..

“এই যে মায়াবিনী কান্না করবে না। এই দেখো আমি আছিতো। বোকা মেয়ে একদম কান্না করবে না। জানো কত খুঁজেছি তোমায় কিন্তু পাইনি। তোমার ভালোবাসার টানেই তো কত দূর থেকে চলে আসছি। জানো তোমার ভালোবাসা ছিলো আমার কাছে ড্রাগ অ্যাডিসিশন। তাইতো তোমায় ছাড়তে পারছিলাম না। আমার ভালোবাসা সত্যি বলে আজ তোমায় খুঁজে পেয়েছি। দেখো তোমায় কথা দিচ্ছি তোমাকে আর কোনোদিন কষ্ট দিবো না। প্লিজ আর কান্না করো না কষ্ট হচ্ছে তো”

রোদ শুভ্রের কথা শুনে শুভ্র কে জড়িয়ে ধরে। শুভ্র তার মায়াবিনী কে এত কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে……

।।

।।

।।

।।

“প্রবণ তোর বউকে নিয়ে তুই একটু অন্য জায়গায় যা আমরাও একটু রোমান্স করবো তোর বউ তো আবার কাবাব মে হাড্ডি থাকলে সমস্যা যা ভাই”

শিশির তখন অর্ণবের দিকে চোখ পাকিয়ে বললো…..

“আজ আমি কাবাব মে হাড্ডি হয়ে গেছি তাই না। যখন আমি কাজে আসি তখন আমি ভালো আর কাজ শেষ হলেই কিছুনা। একটা প্রবাদ বাক্য আছে না কাজের সময় কাজী কাজ শেষ হলেই পাজি। এখন আমিও তাই হয়ে গেছে”

অর্ণব তখন শিশির মাথায় হাত দিয়ে বললো…..

“না শিশির। তুমি হলে আমার কিউটি বোন। জানো আগে খুব রাগ হতো তিতি সব সময় তোমাকে আমার থেকে বেশি প্রায়োরিটি দিতো কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তোমার মত ফ্রেন্ড বোন কয়জন পায়। তুমি আর তিতি হলেতো একে অপরের ছায়া। তোমাদের ফ্রেন্ডশিপ এর প্রতি রইলো আমার স্যালুট”

“থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। আচ্ছা এত পাম দিয়ে হবে না আমি যাচ্ছি। স্যার চলুন”

প্রবণ শিশিরের কথা শুনে হাসতে লাগলো আর শিশিরের পিছন পিছন যেতে লাগলো…….

তিতি তখন অর্ণবের কলার ধরে বললো…..

“ওই তুমি আমাকে না জানিয়ে বিয়ে কেনো করলে জানো বিয়েতে আমার কত স্বপ্ন ছিলো”

“আরেহ পাগলী ওইটা বিয়ে না ওইটা কাবিন ছিলো। দেখনা তোমায় দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না কিস করে ফেলি তাই কাবিন নামা করে ফেলেছিলাম যেনো সমস্যা না হয়”

“গুড বয়।এখন শুনো আমাদের তো দুইটা জুটির বিয়ের কথা ছিল কিন্তু এখন আরেকটা মোট তিনটা হবে”

“তুমি শুভ্র আর রোদের কথা বলছো?”

“হুম। ওদের কথায় বলছি। একসাথে তিনটা বিয়ে কি মজা হবে হিহিহিহি”

“হুম খুব মজা হবে। আর শুনো আগে থেকে বলে রাখছি হানিমুনে কিন্তু সাজেক যাবো”

“ভাই রে ভাই আগে বিয়েটা হোক পরে ভাবা যাবে”

“ওই তুমি কিন্তু এখন শিশিরের মত বকবক করা শিখে গেছো। ”

“ওর সাথে থাকতে থাকতে তো ওর মত হতেই হবে তাই না”

“তাহলে আমার সাথে থেকে থেকে আমার মত হচ্ছো না কেনো?”

তিতির কোমরে হাত রেখে বললো…..

“এই শুরু হয়ে গেলো আবার আচ্ছা আমায় এত কেনো ভালোবাসো তুমি?”

” কেনো ভালোবাসি জানি না শুধু জানি ভালোবাসি।পৃথিবীর আদিমতম যে সম্পর্ক তার নাম ভালোবাসা। সেই ভালোবাসার জন্য ও ভালোবাসা নিয়ে কতনা কথা! ভালোবাসার কোন সংজ্ঞা নেই। ইতিহাসের পাতায় ভালোবাসার জন্য জীবন বিসর্জন, সিংহাসন ত্যাগ, অর্থ প্রাচুর্য ত্যাগসহ আরো কতনা ঘটনা রয়েছে। ভালোবাসা অমর ও অক্ষয়। ভালোবাসার মৃত্যু নেই। আনন্দ আর বিরহ নিয়েই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা নিয়ে রচিত হয়েছে কত গল্প,কবিতা, উপন্যাস,গান,সিনেমা। ঠিক এমন ভাবেই সৃষ্টি হবে আমাদের ভালোবাসা। ভালোবাসা রূপ গুন দেখে নয় বরং ভালোবাসা আসে হৃদয় থেকে যেখানে তুমি যেমন থাক‌ই না”

“বাহ কবি হয়ে গেছো। ”

“তোমার জন্য কবি কেনো সব কিছুই হতে পারি। কারণ তুমি আমার ভালোবাসা”

তিতি অর্ণব তারা তাদের ভালোবাসায় মুহূর্ত এইভাবে কাটুক ।

।।

।।

।।

।।

“আচ্ছা স্যার আপনি আমার মত মেয়েকে কেনো ভালোবাসলেন?”

“তোমার মত মেয়েকে কে না ভালোবাসবে। জানো সব কমেন্টে পাঠক পাঠিকারা তোমার কথায় বলে। তোমাকে নাকি ওদের সব থেকে বেশি ভালো লাগে। যেখানে তুমি পাবলিকের মনের মত হয়ে গেছো সেখানে আমি তো তোমাকে আমার মেঘ রাজ্যর মেঘ পরী ভেবে নিয়েছি তাহলে বলো কেনো ভালোবাসবো না তোমায়?”

“সত্যি সবাই আমাকে ভালোবাসে?”

“হুম সবাই তোমাকে ভালোবাসে।”

“জানেন হুমায়ন আহমেদ স্যার বলেছেন,প্রেম হয় শুধু দেখা ও চোখের ভাল লাগা থেকে, রাগ থেকে প্রেম হয়, ঘৃণা থেকে প্রেম হয়, প্রেম হয় অপমান থেকে, এমনকি প্রেম হয় লজ্জা থেকেও। প্রেম আসলে লুকিয়ে আছে মানবসম্প্রদায়ের প্রতিটি ক্রোমসমে। একটু সুযোগ পেলেই সে জেগে উঠে। আসল কথা হলো প্রেম কিভাবে এসে ধরা দিবে তা কেউ বলতে পারে না। যেমন প্রথম আপনার ভালোবাসা পেয়ে বুঝলাম না কিন্তু আপনার ঘৃনা দেখে বুঝলাম। আসলে প্রেম ভালোবাসা এমনি হয়”

“বাহ কত বড় হয়ে গেছো তুমি। যাক অবশেষে প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো”

“আবারো মজা নিচ্ছেন”

শিশির গাল ফুলিয়ে অর্ণবের উল্টো হয়ে দাড়িয়ে রইলো। অর্ণব শিশিরকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শিশিরের দুই হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো……

“শিশির কখনো চেঞ্জ হবা না। যেমন আছো তেমন থাকবে। তোমাকে এইভাবে দেখলেই ভালো লাগে তাই বলছি জীবনেও চেঞ্জ হওয়ার চেষ্টা করবে না। আগে থেকেই লাভ ওয়ার্ণীং দিয়ে দিলাম”

“আচ্ছা ওকে। একটা কথা আমাদের বিয়েতে আপনার আব্বু আম্মু আসবে না?”

“আব্বু আম্মু হাহাহা জানো যেদিন থেকে আম্মু মারা গেছে সেদিন থেকে আব্বুও অন্য রকম হয়ে গেছে। আব্বুকে ফোন দিয়ে বলেছি সব। তখন ওই মহিলা বলেছে ওনারা আস্তে পারবে না টাকা লাগল পাঠিয়ে দিবে। কিন্তু ওদের টাকায় আমি বিয়ে করবো না। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে যা টাকা ইনকাম করি তা দিয়েই খুব সুন্দর করে আমাদের বিয়েটা হয়ে যাবে”

শিশির প্রবণের কথা শুনে কিছু বললো না চুপ করে রইলো। প্রবণ শিশির চুপ থাকায় শিশিরের গালে কিস করলো। শিশির চোখ বন্ধ করে পিছন ফিরে প্রবণ কে জড়িয়ে ধরলো………

।।

।।

।।

।।

আজ বিয়ে। একসাথে তিন জুটি। অর্ণবের ফ্যামিলি, তিতির ফ্যামিলি, শিশিরের ফ্যামিলি আর শুভ্রের ফ্যামিলি সবাই আসলো শুধু প্রবণ আর রোদের ফ্যামিলি বাদে। কিন্তু সবাই মিলে রোদ প্রবণ কে এত এত ভালোবাসা দিলো যে ওরা এই কষ্ট ভুলে গেলো। শুভ্রের ফ্যামিলি আর অর্ণবের ফ্যামিলি সামুর কথা শুনে কষ্ট পেলো। আর ঘৃনা করতে লাগলো যে সামু কিনা এত খারাপ হয়ে গেছে।

বিয়েতে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেলো। শিশির আর রোদের প্ল্যান মত কনেরাও বরের জুতো চুরি করবে বলে প্ল্যান করেছে। কিন্তু বরেরাও খুব চালাক ওরাও সাথে করে আরো এক জোড়া জুতা বেশি নিয়ে এসেছিলো।

কনেরা তো খুব রেগে আছে। এইটার শাস্তি দিবে বলে ঠিক করেই রেখেছে…….

তিতির দাদু একসাথে তিনটা বিয়ে দেখে খুশিতে নিজেও নাচতে লাগলো। তিতির দাদুর খুশি দেখে সবাই অনেক বেশি খুশি হলো……

আবির এসে বললো শিশির কে……

“এই যে দুষ্টু মেয়ে এইবার তো বর পেয়ে আমায় ভুলে যাবে”

শিশির আবিরের কথা শুনে আবিরকে খুলে নিয়ে বললো….

“না বাবাই তোমাকে কি ভুলতে পারি বলো তুমি তো আমার ছোট বাবাই”

আবির শিশিরকে চুমু দিলো সাথে শিশিরও। আবির এইবার গিয়ে রোদের কাছে গেলো…..

“এই যে কিউট গার্ল আমায় খুলে নাও”

রোদ আবিরকে খুলে নিয়ে বললো….

“কি সুন্দর পুতুল। পুতুল তুমিও কি বিয়ে করবে তাই তোমার আংকেলের মত সেজেছো?”

“হুম ফুফি মনি। জানো তুমি দেখতে খুব কিউট আজ বড় থাকলে ভালো হতো(শুভ্রের দিকে তাকিয়ে) আচ্ছা শুনো তোমাদের তিনজনের মেয়ে কে আমি বিয়ে করবো। আমার তিনটা বউ হবে। ”

আবিরের কথায় সবাই হাসতে লাগলো। তখন তিতি আবিরের কান ধরে বললো…..

“ওরে দুষ্টু রে এই বয়সে এত পেকে গেছো একদম ফুফাদের মতোই হয়েছো ”

তিতির কথায় শুভ্র প্রবণ অর্ণব বললো…..

“বাবাই শুনো ফুফাঁদের মতই হবে ওকে। আর শোনো আমরা তিনজন তোমার শশুর মশাই আমাদের মেয়েকে তোমার সাথেই বিয়ে দিবো”

আবির হাসতে লাগলো আর সবাকে চুমু দিলো…….

।।

।।

।।

।।

???

বাসরে রাতে……..

“ওই ছাগল আমার টাকা দে ”

তিতি রাগে অর্ণবের কলার চেপে ধরলো….

“আরেহ বউ তুমি টাকার জন্য বাসর রাতে বর মারবে”

“অবশ্যই মারবো। আগে টাকা দে”

“আগামীকাল ব্রেকিং নিউজ হবে বাসর রাতে বউয়ের হাতে স্বামী খুন”

“হোক আগে টাকা পরে কথা”

“টাকা তো পাবেই তার আগে আমি আমার কাজ করি”

বলেই তিতি খুলে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো।( পরে আর জানতে হবে না আপনাদের ?)

।।

।।

।।

।।

“মায়াবিনী এতদিন যা কষ্ট দিয়েছো সব আজ সুদে আসলে গুনে নিবো”

“তার আগে টাকা দেও”

“কিসের টাকা?”

“জুতা নেওয়ার টাকা”

“তোমরা তো হেরে গেছো তাহলে টাকা কিসের?”

“এত কিছু বুঝি না আগে টাকা দেও”

“দিবো না”

“দিবা না দাড়াও”

রোদ শুভ্রের ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো।

“টাকা দেও বলছি”

শুভ্র কে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো রোদ…..

“এই কি করছো মায়াবিনী হিহিহিহি ছাড়ো হাহা মায়াবিনী”

“আগে টাকা দেও”

“টাকা চাই না তোমার”

বলেই ও রোদ কে ফেলে দিলো আর রোদের দিকে তাকিয়ে……

“এই নেও টাকা হাহাহা”

।।

।।

।।

।।

“শিশির উঠো আমি শেষ। আল্লাহ এত ওজন কেনো তুমি মুটি”

শিশির প্রবণের উপরে বসে প্রবণের কলার চেপে ধরে আছে…..

“টাকা দিন আগে পরে কথা”

“দেখো বউ টাকা নাই আমার সব বিয়েতে খরচ হয়ে গেছে”

“শালা ফকির টাকা না দিলে আজ তোর বাসর বন্ধ”

“ওকে বউ দিচ্ছি দেখো বালিশের নিচে টাকা”

শিশির বালিশের নিচে টাকা পেয়ে প্রবণ কে ছেড়ে দিয়ে টাকা গুনতে লাগলো…..

“টাকা গুনা শেষ নাকি রাত শেষ করার ধান্দায় আছো?

প্রবণের কথায় শিশির লজ্জা পেয়ে টাকা গুনা অফ করে দিলো…..

তারপর আর কি কিছুই না সবাই ঘুমালো……

ভালোবাসা এমনি অটুট থাকুক। হাজারো বিপদ এড়িয়ে এগিয়ে যাক ভালোবাসা। সবাই দোয়া করবেন ওদের জন্য।

ভালোবাসা, নরম তুলোর মত আবেগে মোড়ানো, ভাষায় প্রকাশ না করতে পারা স্পর্শকাতর এক তীব্র অনুভূতির নাম। রঙ, রূপ, গন্ধবিহীন এই তীব্র অনুভূতির এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, আর সেটি অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এই আকর্ষণের শক্তি এতটাই প্রবল যার টানে অপরকে পাশে পেতে মানুষ ছুটে যায় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, জয় করে সকল প্রতিকূলতাকে, পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষ ব্যস্ততা, ক্লান্তি ভুলে প্রিয়জনকে বলে “ভালোবাসি, ভালোবাসি…’’

সমাপ্ত……….

বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এতদিন গল্পটার পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনাদের প্রতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ