Sunday, October 5, 2025







Love At 1st Sight Season 3 Part – 56

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 56

writer-Jubaida Sobtii

রাহুল : [ স্নেহার নাকে নাক ঘষে ] নট এডভান্টেজ স্নেহা! নাও আম ইয়র হাজবেন্ড ছুতেই তো পারি! [ বলেই স্নেহার ঠোটের দিক তাকিয়ে মুখ এগুচ্ছিলো, তখনিই ]

স্নেহা : [ চোখ কুচকে বন্ধ করে ] রা..রাহুল! বাট লে..লেইট..

রাহুল : শাট-আপ স্নেহা! মাই মর্নিং কিস্! [ বলেই স্নেহার ঠোটে আলতো করে নিজের ঠোট লাগাতেই হঠাৎ দরজায় নক পড়লো, স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ খুলে তাকালো রাহুলের দিক আর রাহুল আড়চোখে দরজার দিক একবার তাকিয়ে আবারো স্নেহার ঠোটে ঠোট মেশাতেই ব্যস্ত ]

স্নেহা : [ রাহুলের বুকে হাত রেখে ঠেলে দিয়ে ] রাহুলল! দরজায় নক করছে!

রাহুল : [ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ] হ্যা! আমিও শুনেছি!

– আচ্ছা স্নেহা! ওদের কমোন সেন্স বলতে কিছু নেই! এই টাইমেই মানে এই টাইমটাতেই দরজা নক করতে হলো?

– আরে বাবা অন্তত আর দুটা মিনিট পর করলে ও তো…

– এনিওয়ে! লিভ ইট! [ বলেই এগিয়ে গেলো দরজা খুলতে, দরজা খুলতেই রাহুলের কাজিন রোহানী,সাইফা আর জাফসিন,তিনজনই একত্রে বলে উঠলো ]

– গুড মর্নিংং! রাহুল ভাইয়া! [ স্নেহা দূর থেকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে ]

রাহুল : গুড মর্নিং তাই না? ইউউ, বোথ হেল মাই মর্নিং!

রোহানী : কামঅন ভাই! ফুলনাইট তো ভাবীর সাথেই ছিলে, [ চোখ টিপ মেরে ] এবার একটু আমাদের সাথে ও থাকতে দাও! [ বলেই তিনজনই একত্রে হেসে হুড়হুড় করে রুমের ভেতর ঢুকে পড়লো, রাহুলের ও কি আর করার দীর্ঘশ্বাস ফেলে লিভিং সোফার নিচ থেকে সাদা কের্চ গুলো পড়ে সোফার উপর থেকে কালো জ্যাকেটটা গায়ে দিয়ে স্নেহার দিক একবার তাকিয়ে নিচে নেমে গেছে ]

ড্রইং রুমের সোফায় রাহুলের ফুফিরা সাথে বাকী কাজিনগুলো আর দাদী বসে কথা বলছে,নেহাল সোফায় হেলান দিয়ে শুয়ে শুয়ে টেব হাতে নিয়ে গেইমস খেলছিলো, রাহুল গিয়ে নেহালের পাশে বসে টেবটা কেড়ে নিয়ে গেইম খেলা শুরু করে দেই,

নেহাল : [ চমকে উঠে, আবার রাহুলকে দেখে হেসে ] হেইই! ব্রো! গুডড মর্নিংংনিংনিংনিংনিং!

রাহুল : হোয়াট? কি! নিংনিংনিং লাগিয়ে রেখেছিস?

নেহাল : হোহোহো ব্রো! [ রাহুলের পেটে শুরশুরি দিয়ে ] হাউ ওয়াজ দ্যা লাষ্ট নাইট? হুমম..উমম..হুমম!

রাহুল : তোর মাথায় সমস্যা নেই তো? ইডিয়ট! লাষ্ট নাইট কেমন ছিলো তুই দেখিসনি?

নেহাল : উপস্! সরি! সরি! আচ্ছা ভাবী ঠিকাছে এখন?

রাহুল : হুম!

নেহাল : হুমম! বাট আই ফিল রিগ্রেটিং ফর ইউ ব্রো!

রাহুল : হোয়াই?

নেহাল : হিহি! ফর লাষ্ট নাইট!

রাহুল : [ আড়চোখে নেহালের দিক তাকিয়ে ] মজা নিচ্ছিস্ তুই, হ্যাঁ?

নেহাল : [ হেসে রাহুলের কাধে হাত রেখে জড়িয়ে ] কিডিং ব্রো কিডিং!

দাদী : [ মুচকি হেসে ] কি এমন বলছিস রাহুল! আমাদের ও তো শুনিয়ে বল!

নেহাল : [ চোখ টিপ মেরে ] লাষ্ট নাইট গ্রেন্নী লাষ্ট নাইট! [ বলতেই রাহুলের বাকী কাজিন গুলো ও এক্সাইটেড হয়ে লাফিয়ে রাহুলের পাশে এসে বসে ঘুরঘুর করে তাকিয়ে থাকে ]

রাহুল : [ অবাক হয়ে ] এক্সকিউজ মি!

আলিসা : ভাই আমাদের ও বলো না এবাউট লাষ্ট নাইট!

সুজানা : ডিটেইলসে না বললেও চলবে! সামথিং সামথিং শেয়ার তো করতেই পারো হুমম উমম!

রাহুল : লিসেন্ট! তোরা আমায় বারবার এটা মনে করিয়ে দিসনা যে লাষ্ট নাইটে কিছুই…

সুজানা : কিছুই?

রাহুল : ফরগেট ইট! আম হাংড়ি! [ বলেই রাহুল উঠে ডাইনিং টেবলে গিয়ে বসে পড়লো ]

আলিসা : [ কনফিউজড হয়ে ] সুজানা! ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড?

সুজানা : নো!

নেহাল : আম অলসো্! হিহি! [ বলেই দু-তিন লাফে সোফা থেকে পেড়িয়ে ডাইনিং টেবলের দিক চলে যায় ব্রেক ফাষ্ট করতে, চেয়ার টেনে বসে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল মুখে হাত দিয়ে কি যেনো চিন্তা করছে ]

নেহাল : [ রাহুলের মুখের সামনে হাত নাড়িয়ে ] হেই ব্রো ইউ ওকে?

রাহুল : [ মনে মনে কাদো ভাবে ] নো আম নট ওকে! আমার মর্নিং কিস্ মিলেনি আমার কাছে!

নেহাল : ইয়াহ! ইউ থিংকিং এবাউট ভাবীইইই [ চেচিয়ে ] ভাবী..ইয়েস্ ভাবী…

রাহুল : আরে এভাবে চেচাচ্ছিস কেনো!

নেহাল : আরে ঐদিক দেখ ভাবী [ বলেই হাত দিয়ে রাহুলের মাথা ঘুড়িয়ে দেই শিরির দিক, রাহুল ও নেহালের কাধে হাত রেখে হা করে তাকিয়ে থাকে শিরির দিক, স্নেহা রাহুলের কাজিনদের সাথে নামছে শিরি দিয়ে,ঠোটের কোণে মিষ্টি একটি হাসি ঝুলানো ]

রাহুল : [ মুগ্ধকর অবস্থায় ] শাড়ীর কুচি গুলো কি যত্ন করে ধরেছে দেখ! তারাও এই সফট সফট হাতের প্রেমে পড়ে যাবে, আর শাড়ীর আচলটা শিরি দিয়ে কিভাবে বেয়ে আসছে দেখ সমুদ্রের ঢেউ ও মনেহয় এভাবে বয়ে আসে না, সিল্কি সিল্কি চুল, মিল্কি মিল্কি গাল,পিংকি পিংকি ঠোট, হেলিয়ে-দুলিয়ে গ্লামারাস ওয়েষ্ট..

নেহাল : স্টপ! স্টপ ব্রাদার স্টপ! [ রাহুল চমকে উঠে তাকালো নেহালের দিক ]
– আর ডিটেলে যেতে হবে না ব্রো! আই আন্ডারস্ট্যান্ড!

রাহুল : আমি এসব তোকে বলছিলাম কেনো?
– আচ্ছা তুই অন্তত কান চেপে রাখতে পারতি!

নেহাল : হোয়াট! [ কনফিউজড হয়ে ] ওহহ নো! ব্রো আমি পাগল হয়ে যাবো তোর কথা শুনে! [ বলেই গ্লাসে জুস ঢেলে খেতে লাগলো ]

রাহুল : তুই ঠিক ছিলি কবে যে পাগল আজ হবি! [ নেহাল কিছু বলতে যাবে তখনি ]

রাহুল : [ নেহালের কাধে হাত রেখে হেসে হেসে ] আচ্ছা শোন না শোন শোন!

নেহাল : একে তো কনফিউজড করে দিচ্ছিস! তারউপর উল্টো আমাকেই পাগল বলছিস! দিস ইজ নট ফেয়ার ব্রো ওকে!

রাহুল : আচ্ছা! আচ্ছা! শোন ওদিকে তাকিয়ে দেখ স্নেহা কি করছে?

নেহাল : মাথাটা পাশ ফেরালে তো তুই ও দেখতে পাচ্ছিস! আমার থেকে জিজ্ঞেস করার কি আছে?

রাহুল : এক্সুলি আম এংগার উইদ স্নেহা!

নেহাল : [ অবাক হয়ে ] হোয়াটটট? কাল বিয়ে হতে না হতে আজই?

রাহুল : আরে সিরিয়াসলি না আই মিন ওকে আমার বোঝাতে হবে যে আমি ওর উপর নারাজ! তাই তাকাতে চাচ্ছিনা যদি চোখাচোখি হয়ে যায়, [ বিরবির করে ] এমনিতে আজ শাড়ী পড়াতে, চোখ সরিয়ে রাখাটা তো আরো মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে

নেহাল : হোয়াট?

রাহুল : আরে ওসব তুই বুঝবি না! একবার বিয়ে কর তারপর আপনা-আপনি বুঝে যাবি, এখন আপাতত তোকে যা বলছি তাই শোন! ঐদিকে তাকিয়ে বল,কি করছে স্নেহা? [ বলেই নেহালের মাথা ধরে পাশ মুড়িয়ে দিলো ]

নেহাল : কথা বলছে,গ্রেন্নীর সাথে!

রাহুল : [ জুস খেতে খেতে ] কি কথা হতে পারে!

নেহাল : আই থিংক! গ্রেন্নী ভাবীকে গীতালির সাথে ইন্ট্রোডাক্ট করে দিচ্ছে, ফর এক্সাম্পল, স্নেহা তোমার কিচেনে কিছু দরকার হলে গীতালির কাছ থেকেই চেয়ে নিবা! ও হচ্ছে কিচেন কুইন! হিহি এমনই বলছে হবে,

– আচ্ছা ব্রো গীতালিকে কিচেন কুইন এর ডিগ্নীফাইস্ না দিয়ে, শাউট কুইন এর ডিগ্নীফাইস্ দিলে পার্ফেক্ট ম্যাচ হয় তাই না! ওকে আমি গতকাল বললাম মিট লেমন জুসটা দারুণ বানিয়েছিস! ব্রো ও এমন শাউট করে থেংক ইউ বললো না আরেকটুর জন্যই আমার ইয়ার ড্রাম ফেটে যায়নি!

রাহুল : শাট-আপ ইডিয়ট! তোকে গীতালির ডিগ্নীফাইস এক্সপ্লেইন করতে বলিনি! বললাম ঐ দিক তাকিয়ে বল স্নেহা কি করছে,

নেহাল : ওহ ইয়াহ! ভাবী এখন হাসছে রোহানী কি যেনো বলায়! এইদিক ও একটু তাকিয়ে ছিলো!

রাহুল : আমার দিকে?

নেহাল : হেইইই ব্রো আম নট আ নিউজ চ্যানেল ওকে?

রাহুল : [ হেসে ] আচ্ছা আচ্ছা! থামলি কেনো বলতে থাক! তারপর, তারপর..

নেহাল : তারপর তুই নিজেই দেখতে পারবি! কজ্ সবাই এখন এইদিকটাই আসছে![ এইদিকে আসছে শুনে রাহুল আড়চোখে তাকিয়ে দেখলো হ্যা! সত্যি সত্যিই সবাই এইদিকটাই আসছে, মোটামোটি সবাই টেবিলের কাছাকাছি আসতেই ]

রাহুল : [ চেচিয়ে ] আরে নেহাল! প্লিজ! বললাম তো খাবো না তুই খা! আমার খিধে নেই, এক্সুলি আমার মুডই নেই খাওয়ার! [ নেহাল হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো রাহুলের দিক ]

দাদী : মুড নেই মানে? সকাল সকাল তোর মুডের আবার কি হলো?

রোহানী : ভাই! তোমার মুড চলে এসেছে! এবার ব্রেকফাস্ট স্টার্ট করে দাও! [ বলেই রাহুলের পাশের চেয়ার টেনে দিয়ে স্নেহাকে বসার জন্য ইশারা করলো, স্নেহা ও মুচকি একটু হেসে চেয়ারে বসে পড়লো ]

রাহুল : এক্সুলি আমার ক্ষিধে নেই গাইস্! দাদী আমি আসি তোমরা ব্রেকফাস্ট করে নাও!

দাদী : আরে রাহুল! সকালে কিভাবে মানুষের ক্ষিধে থাকেনা? কিছু অন্তত খেয়ে যা! [ রাহুল শুনলো না উঠে চলে গেলো উপরে, স্নেহা ও মুখ গোমড়া করে তাকিয়ে ছিলো রাহুলের চলে যাওয়া, কিছুই বুঝতে পারছিলো না,হঠাৎ কি হয়ে গেছে রাহুলের,খাবার টেবিলে বসার পরও আবার না খেয়ে চলে যাওয়া,

মাথায় নানানরকম চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিলো স্নেহার, সে কি কোনো ভুল করেছে নাকি অন্যকারণে, কিছুই তো বলে গেলো না, কি হয়েছে, তবে কিছু একটা হয়েছে এটাই স্নেহা নিশ্চিত, কিন্তু কি হয়েছে রাহুলের এটা না জানা পর্যন্ত তো স্নেহার নিজের পেঠেও কিছু ঢুকবে না ]

দাদী : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] স্নেহা! তুমি চিন্তা করোনা তুমি খেয়ে নাও! ও তো সবসময়ই এমন ব্রেকফাস্ট না করে ভার্সেটি চলে যায়, ভেবেছিলাম বিয়ের পর অন্তত রুটিন মেইনটেইন করে চলবে!

আলিসা : ডোন্ট ওয়ারি গ্রেন্ড মা! ভাবী যখন এসে গেছে ভাইয়াকে এখন থেকে ভাবীই রুলস্ মেইনটেইন করে চলাবে! আর ভাবীর কথা তো ভাইয়া ইগনোরই করতে পারে না, হিহি তাই না ভাবী? [ মুচকি হাসলো স্নেহা ]

লিনিসা ফুফি : আরে সে তো বড়ই বৌ পাগলা তার কান্ড দেখেই বুঝা যায়, [ স্নেহার পিঠে হাত বুলিয়ে ] তুমি ব্রেকফাস্ট করে নাও স্নেহা,ওর ক্ষিধে লাগলে ও নিজে নিজেই এসে খেয়ে যাবে! ওকে… [ স্নেহা মাথা নাড়ালো ] গুড গার্ল!

[ সবাই হাসিখুশী ভাবেই ব্রেকফাস্ট করছিলো,স্নেহা ও করছে তবে মনটা উপরে রাহুলের দিকই পড়ে আছে,গলা দিয়ে একটা খাবার ও নামছিলো না,সবই নিজ জোড়ে জোড় করে করে মুখে ঢুকাচ্ছিলো নাহলে বাকিরা কি মনে করবে মনে করে, অল্প একটু খেয়েই স্নেহা পানি খেয়ে নিলো ]

গীতালি : [ চেচিয়ে ] ভাবী আরেকটা পরোটা দেই?

স্নেহা : না নাহ! আমার শেষ আর খাবো না!

গীতালি : আরে ভাবী খাবার মজা হয়নাই নাকি? এত্তো একটু কইরায় খাইলেন?
– আমি তো আজকে রাহুল ভাইয়ার ফেভারিট লুচি-ভাজী,আর আলু পরটাও বানাইছি,ভাইয়া তো খাইয়ি নাই আর আপনে তো কবুতরের মতো টুকটুক মুখ লাগাইয়া বলেন খাওয়া শেষ!

স্নেহা : না নাহ! খাবার অনেক মজা হয়েছে, এক্সুলি আমার পেট ভরে গেছে তাই এইটুকুই খেয়েছি!

গীতালি : আইচ্ছা! দুপুরে কিন্তু বেশী কইরা খাইতে হইবে বইলা দিলাম! [ স্নেহা হালকা একটু হেসে মাথা নাড়ালো ]

নেহাল : [ গ্লাসে জুস ঢেলে স্নেহার দিক এগিয়ে দিয়ে ] ভাবী অরেঞ্জ জুস! এটা তো খেতেই হবে!

স্নেহা : থেংক ইউ বাট…

রোহানী : টেক ইট ভাবী! মর্নিং ফ্রেশ জুস! ইটস গুড ফর হেলথ! [ স্নেহার ও কি আর করার জুসের গ্লাস এগিয়ে নিয়ে সামনে রাখলো, গলা দিয়ে পানি নামছে না জুস খেতে তো আরো মুশকিল হয়ে দাড়াচ্ছে ]

দাদী : স্নেহা! তুমি ঠিকাছো তো? রিলেক্স হয়ে খাও! চিন্তিত মনে হচ্ছে!

স্নেহা : নাহ! এ..এক্সুলি আ..আমার ফোনটা উপরে ফেলে এসেছি, মা হ..হয়তো ফোন দিতে পারে!

আলিসা : ডোন্ট ওয়ারি ভাবী তুমি রিলেক্স হয়ে খাও! আমি তোমার ফোন নিয়ে আসছি!

স্নেহা : নানাহ! তুত..তুমি কষ্ট করতে যাবে কেনো, তুমি ব্রেকফাস্ট ফিনিশ করে নাও!আমার তো অলরেডি শেষ,আ..আমি যাচ্ছি, ফোফ..ফোন নিয়ে আসি!

দাদী বুঝতে পেরে মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো, স্নেহা ও খুশি হয়ে উপরের দিক চলে গেলো, রুমের দরজার ধারে আসতেই কানে গিটারের টোন ভেসে আসছে, সাথে রাহুলের গান করা মিষ্টি ভয়েসটুকু, বুকটা স্নেহার কাপতে লাগলো গানটা শুনে, যেদিন প্রথম রাহুল তার গেষ্ট হাউজে গানটা গেয়েছিলো, সেইদিনটির কতো সৃতি স্নেহার চোখে ভেসে যাচ্ছে, আর এক্ষুণি তো রাহুলের কাছে দৌড়ে ছুটে যেতে মন চাচ্ছে,কিন্তু স্নেহা তা করলো না কারণ সে চাই না রাহুল তার গান গাওয়াটা পুরো শেষ না করেই বন্ধ করে দিক, তাই ধীরেধীরেই দরজাটা খুললো,রুমের দু-পাশের জানালা খুলে রেখেছে যেকারণে শীতল হাওয়া অনুভব করছে স্নেহা, বারান্দার দিক তাকাতেই দেখে রাহুল বারান্দার স্লাইডিং গ্লাসটা ও খুলে রেখে দেওয়ালে এক পা বটে রেখে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে, কপালে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলোও এলোমেলো ভাবে উড়ছে, হাতে গিটার নিয়ে বাজাচ্ছে আর বাইরের দৃশ্য দেখে দেখেই গান করে যাচ্ছে..

♪♪ আখে্ মুন্দে তো জা্নে কিসে্ ঢুন্ডে
কে সো্য়া জায়ে না কে সো্য়া জায়ে না
কিসে্ ঢুন্ডে ইয়ে খাহিশোকে্ বুন্দে
কে সো্য়া জায়ে না কে সো্য়া জায়ে না ♪♪
♪♪ মানো্ নিন্দিয়াপি রো্য়া জা্য়ে না
মানো্ নিন্দিয়াপি রো্য়া~~জায়ে না ♪♪

আল্লাহ মুঝে্ দারদে্ কে কাবি্ল বানা্দিয়া,
থুফা্ন কই কাশথি্ কা সা্হিল বানা্দিয়া,
বেচে্নিয়াসা্ মেটে্কে সা্রে জাহান্ কি
যাব্ কুচনা্ বান্ সা্কা তো মেরা দিল্ বানা্দিয়া

ও সা্থিইইইই তে্রে বিনা্ আ~~
রাহি~~কা্ রা~~ দিখে না~~
ও সা্থিইইইই তে্রে বিনা্ আ~~
সা্হিল~~ ধুয়া ধুয়া আ~~

[ গান শেষ করে রাহুল গিটারটা দেওয়ালে ঠেকিয়ে দিয়ে, হাত দুটো পকেটে রেখে ঐ অবস্থায়ই দাঁড়িয়ে আছে, রাহুলের এটাও বুঝার বাকি ছিলো না যে স্নেহা অনেক্ষণ ধরেই ঐদিকে দাঁড়িয়ে তার গান গাওয়া শুনছিলো,

রাহুল জানতো স্নেহা তার কাছে ছুটে আসবে, না বলে মনের প্রতিটা শব্দ জেনে যাওয়াটাই তো রাহুল-স্নেহার ভালোবাসার চিহ্ন!

অবশ্য রাহুল আজকের এই গানটাও স্নেহাকে শোনানোর জন্য গেয়েছে, কারণ রাহুল স্নেহাকে এটাই মনে করিয়ে দিতে চাই, যে তার কাছে স্নেহার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের চেয়ে দামী! যা সে কখনোই ভুলতে পারবে না, মুচকি একটু হাসলো রাহুল, কারণ স্নেহা তার পাশে এসেই দাঁড়িয়েছে, তাকালো না রাহুল বাহিরে শীতল বাতাসে সবুজ গাছপালা গুলোর হেলিয়ে যাওয়া দৃশ্যটুকুই দেখে দেখে বলে উঠলো! ]

রাহুল : এভাবে চুপিচুপি দাঁড়িয়ে থাকবা নাকি কিছু বলবা!

স্নেহা : আপ…আপনি ব্রেকফাস্ট করলেন না কেনো?

রাহুল : বলেই তো এলাম! ক্ষিধে নেই!

স্নেহা : মিথ্যে বলছেন আপনি,সকালবেলা কি কারো ক্ষিধে থাকে না নাকি?

রাহুল : ওহ কামঅম স্নেহা কারো সাথে আমার কমপের করো না! রাহুল ইজ রাহুল! আন্ডারস্ট্যান্ড?

স্নেহা : [ রাহুলের মুখ ধরে তারদিক ফিরিয়ে ] কি হলো আপনার? আমার দিক তাকাচ্ছেনই না! ওদিক তাকিয়ে কথা বলছেন কেনো?

রাহুল : [ স্নেহার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একবার চোখ বুলিয়ে ] হট পিংকিস লাগছো এই শাড়ীতে, আমি উইক হয়ে যাচ্ছি! মানে এক কথায় আউট অফ কন্ট্রোল! ওয়েষ্ট দেখো তোমার, হাটার সময় হালকা একটু পেটও দেখা যাচ্ছে! তখন আমি নিজেকে কতো কষ্টে কন্ট্রোল করেছি জানো?

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] আপনার কি,শাড়ীতে স..সব মেয়েদের দেখলেও এমন হয়?

রাহুল : শাট-আপ! ইডিয়ট! সব মেয়েদের সাথে তোমার কমপের করছো কেনো! তুমি তো তুমিই! তুমি তো স্নেহা! স্নেহা তো স্নেহাই! স্নেহা তো রাহুলের! রাহুল তো স্নেহার! [ হেসে উঠলো স্নেহা রাহুলের কথা শুনে, রাহুল ও মুচকি হেসে স্নেহাকে কাছে টেনে নিয়ে ]

– সব মেয়েদের শাড়ীতে দেখলে ঐ ফিলটা আসে না স্নেহা যেটা তোমায় দেখলে আসে!

স্নেহা : আচ্ছা! কিন্তু আপনি তো এর আগেও একবার আমাকে শাড়ীতে দেখেছিলেন!

রাহুল : কামঅন স্নেহা! তখন তুমি গার্লফ্রেন্ড ছিলে, তাই ফিল আসলে ও মাইন্ডে বাধা দিতো! [ বলেই স্নেহাকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে দাড় করিয়ে ] আর এখন তো বউ হয়ে গেছো! হুমম? কি বুঝলে?

– আচ্ছা! এতো গ্লসি লিপস্টিক লাগিয়েছো কেনো স্নেহা! এমনিতে মাইন্ড কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না! আমাকে আরো থার্সতি বানিয়ে দিচ্ছো!

স্নেহা : হুমম! থার্সতি হলে পানি খান,পিপাসা মিটে যাবে, কিন্তু এখন চলুন ব্রেকফাস্ট করবেন! [ বলেই রাহুলের হাত ধরে এগুতে যাচ্ছিলো তখনিই রাহুল স্নেহার ধরে রাখা হাতদিয়ে স্নেহাকে সহ টেনে এনে আবার একই জায়গায় দাড় করিয়ে নেই ]

স্নেহা : রার..রাহুল! ব্রে…ব্রেকফাস্ট…

রাহুল : [ আংগুল দিয়ে স্নেহার ঠোটে স্লাইড করে করে ] শিসসসসস! বললাম তো ক্ষিধে নেই!

– বাট! পিপাসা পেয়েছে অনেক! [ বলেই স্নেহার ঠোটের দিক ঠোট এগুচ্ছিলো, আর এই দিকে স্নেহার বুক কাপতে লাগলো, জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলছে রাহুলের ঠোট তার ঠোটের দিক যতো এগুচ্ছে ]

রাহুল : [ স্নেহার ঠোটে আলতো করে একটি চুমু খেয়ে ] ইউ নো স্নেহা! আমার ছোয়ায় যখন তুমি জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলো! তখন আমার চোখের ইন্টেনশন কিন্তু ঠিক থাকে না, অনেক জায়গায় চলে যায়! [ কথাটি বলতেই স্নেহা লজ্জা পেয়ে পেছন ফিরে যায়, তা দেখে রাহুল ও তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার পিঠ থেকে চুলগুলো সরিয়ে কাধে রেখে, ধীরেধীরে আংগুলের স্পর্শ দিয়ে স্নেহার পিঠ থেকে কোমোড়, আবার কোমোড় থেকে পিঠ পর্যন্ত স্লাইড করতে থাকে, এর মাঝে রাহুল মুচকি মুচকি ও হাসছে স্নেহার হঠাৎ হঠাৎ কেপে উঠে জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলা দেখে,

কিছুসময় পর রাহুল তার মুখ এগিয়ে স্নেহার পিঠে তার ঠোট দিয়ে স্লাইড করে আলতো একটি চুমু খেলো! আর স্নেহা সাথে সাথেই কেপে উঠে চোখ কুচকে বন্ধ করে তার শাড়ীর আচল শক্ত করে মুঠি বেধে ধরে রাখলো,

রাহুল : [ স্নেহার কাধে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে ] কাপছো কেনো স্নেহা?

স্নেহা : ঠা..ঠান্ডা বাতাস আ..আসছে তাত..তাই!

রাহুল : তাহলে আমাকেই তোমার সুয়েটার বানিয়ে নাও! [ বলেই স্নেহার পেটেরদিক শাড়ীর নিচে আলতো করে হাত রেখে স্লাইড করে ধরে ]

স্নেহা : রার..রাহুল! আমায়..নিন..নিচে যেতে হবে!

রাহুল : [ স্নেহার ঘাড়ের চুল সরিয়ে গভীর একটি চুমু খেয়ে ] তো যাও! আমি কবে না বললাম! [ বলেই স্নেহাকে তারদিকে ফিরিয়ে দেওয়ালে ধাক্ষে লাগিয়ে গলায় এবং ঘাড়ে চুমু খেতে লাগলো, এক পায়ের কের্চ খুলে ধীরেধীরে স্নেহার পায়ে স্লাইড করতে লাগলো,

স্নেহার দম আটকে আসছিলো রাহুলের প্রতিটি চুমুতে,হঠাৎ করেই রাহুলের এমন আদর পাওয়া, যেনো সুখের সাগরে ডুব দিচ্ছে তাকে নিয়ে, শাড়ীর আচল থেকে স্নেহার হাতের মুঠি ছুটিয়ে নিজ হাতে মুঠি বেধে ধরে দেওয়ালে হাত রাখতেই ধাক্ষা লেগে গিটারটাও মাটিতে পড়ে গেলো, এসবে তো রাহুলের খবরই নেই, সে তো স্নেহাকে আদর দিতেই ব্যস্ত! ]

স্নেহা : রার..রাহুল গিগ..গিটার!

রাহুল : [ নাক দিয়ে স্নেহার গলায় স্লাইড করে স্নেহার ঠোটের কাছে নিজের ঠোট এনে ] স্নেহা একটা গান মনে পড়ছে তোমার চোখ আর ঠোট দেখে!

– বলবো? [ স্নেহা মাথা নাড়াতেই রাহুল নটি মাইন্ডেড একটা স্মাইল দিয়েই গান গেয়ে উঠলো ]

♪ পিলু তে্রে নিলে নিলে নেনোসে্ শাবনাম ♪
♪ পিলু তে্রে গীলে গীলে হোঠো্সে্ সা্রগাম ♪
♪ পিলু হে পিনে্ কা মোসা্মম উমমমম….

বলেই হেসে স্নেহার ঠোটে ঠোট মেশাতেই, হঠাৎ দরজার পাশ থেকে..

গীতালি : ভাবী আপনার ফোন তো…

রাহুল : শীটট! [ বলেই তাড়াতাড়ি কের্চে পা ঢুকিয়ে বারান্দায় হেটে চলে যায়! ]

গীতালি নিচের দিক তাকিয়ে,রোবোট হয়ে মোবাইল হাতে হাত বাড়িয়ে দিয়ে থেমে আছে, না তার মুখ দিয়ে কোনো সাউন্ড বেরুচ্ছিলো, না পাশ মুড়ে চলে যাওয়ার শক্তিটুকু আসছিলো,

স্নেহা তাড়াতাড়ি শাড়ীর কুচি ঝেড়ে ঠিক করে, চুল গুলো হাত দিয়ে সমান করে কাধে ঠিক করে এনে গিতালীর দিক এগিয়ে এসে দাড়ালো..

স্নেহা : [ ফোন এগিয়ে নিয়ে ] থেংক ইউ! আ..আমার মনে হয়েছিলো ফোফ..ফোন রুমে রেখে গিয়েছিলাম!

গীতালি : সারি! ভাবী, আমি কিন্তু আপনাদের লঞ্চ দেখিনাই, চোখ নিচে নামাই ফেলছিলাম! আমি তো আপনার ফোন…

– কিন্তু ভাবী আপনেরা দরজা বন্ধ কইরা লঞ্চ করবেননা এইভাবে দরজা খোলা রাইখা কেউ লঞ্চ করে নাকি?

স্নেহা : লল..লঞ্চ মানে?

গীতালি : লঞ্চ মানে বুঝেননা? আপনারা এখন যেটা… বুঝছেন তো?

স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে মাথা নাড়িয়ে ] হুমম!

গীতালি : আইচ্ছা ভাবী আমি নিচে যায়! আমার আবার দুপুরের লেঞ্চ ও বানাইতে হইবো!

স্নেহা : লাঞ্চ?

গীতালি : হো এইডা এইডা! লেঞ্চ, আমার ইংলিশ এতো ভালা না তাই একটু ভুল অয় আরকি! কিন্তু নেহাল ভাইয়ার বাংলার চাইতে বহুদ ভালা আমার ইংলিশ! হি-হি [ বলেই হেসে বেড়িয়ে গেলো, স্নেহা ও হাসতে লাগলো গীতালির কথা শুনে, পেছন ফিরতেই দেখে রাহুল বারান্দার পর্দা সরিয়ে রুমে ঢুকছে ]

স্নেহা : এই গীতালি অনেক মজার তাই না?

রাহুল : হ্যা! মজার তো বেশ! সাথে ওর চিৎকার গুলো ও বিশেষ,পেটে একদমই কথা থাকে না মেয়েটার!

– [ হেসে ] নাজানি নিচে গিয়ে এখন কি কি বলবে ওদের!

স্নেহা : [ চেচিয়ে ] হোহ! মানে কি?

রাহুল : হোহ! মানে হচ্ছে তোমার বোকামিতেই তুমি ফেসে গেছো! নিচে গেলে এখন রোহানীদের কাহানী শোনাতে হবে তোমার উপরে কি কি করেছো!

স্নেহা : আ..আমার বোকামী কেনো হবে? আপনার খেয়াল রাখা উচিত ছিলো দরজা বন্ধ ছিলো নাকি খোলা!

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আমি ভেবেছি তুমি দরজা বন্ধ করেই এসেছো! আমি কি জানি? যে তুমি দরজা ওপেন রেখে এসেছো!

স্নেহা : হ্যা! ওপেন রেখে এসেছি কারণ আমি ও কি জানি যে আপনি…

রাহুল : থামলে কেনো? বলো আমি [ with tedi smile ]

[ স্নেহা আর কিছু বললো না লজ্জা পেয়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে ]

___________ এইদিকে,

গীতালি : [ নিচে গিয়ে ] আমি ভাবছি ভাবী সত্যি সত্যিই মোবাইল আনতে গেছে,তাই টেবিলে মোবাইলডা দেইখা দিতে গেছিলাম!

দাদী : গীতালি তোর বোঝা উচিৎ ছিলো স্নেহা টেনশন করছিলো রাহুল ব্রেকফাস্ট না করায়!
– তাই! আমরা মোবাইলটা দেখার পরেও স্নেহার কাছে পাঠায়নি!

গিতালী : সা্রি সা্রি!

নেহাল : ওহো গিতালী নট সা্রি ইটস্ সরি্!

গিতালী : হা ঐডাই সরি,সারি! একই, আমার মনে ছিলো না,যে রাহুল ভাইয়ার তো এহন বিয়ে হইয়া গেছে,রুমের দরজা নাক দিয়া ঢুকা উচিৎ আছিলো!

নেহাল : গীতালি নাক না ইটস নক! নক দিয়ে ঢুকা উচিৎ ছিলো!

গিতালী : দেহেন আমি কি ইচ্ছা কইরাই তাদের লঞ্চ দেখতে ঢুকছি নাকি? বলছি তো এরপর থেইকা নাক দিয়াই ঢুকমু!

নেহাল : হোয়াট হোয়াট হোয়াট? এগেইন লঞ্চ? ইটস্ কল রোমেন্স! গীতালি রোমেন্স! [ নেহাল আর গীতালির কান্ড দেখে বাকিরা হাসতে লাগলো ]

গীতালি : অইসে সব একই লাগে আমার, এতো বেশি ইংলিশ শিখন লাগবো না আমার! আমি যায় রান্না করতে! [ বলেই চলে গেলো কিচেনের দিক ]

শিরির দিক তাকাতেই দেখে স্নেহা নেমে আসছে, রাহুল ও পেছন পেছন আসছে!

আলিসা : [ চেচিয়ে ] ভাবীইইইই! কাম কাম সি্ট সি্ট! [ স্নেহা হালকা একটু হেসে আলিসার পাশে গিয়ে বসলো ]

নেহাল : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] হোয়াটস্ আপ ব্রাদার!

রাহুল : [ নেহালের পাশে বসে ] ডিরেক্ট কথা বল! কথা পেচাবি না!

রোহানী : ভাই! গীতালি বললো ও নাকি উমম হুমমম দেখেছে!

আলিসা : [ হেসে ] লঞ্চ লঞ্চ দেখেছে! [ বলতেই বাকিরা ও কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো,রাহুল ও মুচকি হেসে স্নেহার দিক তাকালো, স্নেহা লজ্জা পেয়ে হালকা একটু হেসে মাথা নুয়ে আছে ]

রোহানী : ভাবী! আপনার ফ্রেন্ডসগুলো ও এখন আমাদের সাথে হলে অনেক এঞ্জয় হতো তাই না? ওরা অনেক ফানি! আই রিয়েলি লাভ দেম! [ কথাটি বলতেই স্নেহা মুখ গোমড়া করে ফেললো,রাহুল ও স্নেহার চেহেরা দেখে বুঝতে পারছে স্নেহা ঐ নটি কোম্পানির দলদের খুব মিস করছে, নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে স্নেহা রোহানীর কথায় সম্মতি জানিয়ে মুচকি হাসলো, যে হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকা স্নেহার কষ্ট শুধু রাহুলের চোখেই পড়ছে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাহুল উঠে দাঁড়ালো ]

নেহাল : হেই ব্রো হোয়ার আর ইউ গোয়িং নাও?

রাহুল : আসছি আমি! [ বলেই স্নেহার সাথে চোখাচোখি হোওয়ায় স্নেহাকে একটি চোখ টিপ মেরে হেটে বেড়িয়ে গেলো ]

নেহাল : লেডিস্ আমি ও আসছি ওকে? [ বলেই সে ও রাহুলের দিক দৌড়ে বেড়িয়ে গেলো ]

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ