Sunday, October 5, 2025







Love At 1St Sight Season 3 Part – 34

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 34

writer-Jubaida Sobti

জারিফা স্নেহার হাত ধরে কেক কাটিয়ে মুখে তুলে দিলো স্নেহার…

স্নেহা : উমমম! অনেক টেষ্টি! [ বলেই জারিফার হাতের দিক খেয়াল করে দেখে ব্যান্ডেজ করা ]

– আরে! এসব কিভাবে হলো?…

জারিফা : ওহ ওটা! ব্যাস ভার্সেটি থেকে আসার সময়, ছোটখাটো এক্সিডেন্ট হয়েছিলাম…

স্নেহা : [ জারিফার হাতে টেনে নিয়ে ] এক্সিডেন্ট?.. আমাকে কিছু বলিসনি যে ?…ফোন করে বলতে পারতি?…

মার্জান : [ স্নেহার কাধে হাত রেখে জড়িয়ে ] আরে স্নেহা! এতো টেনশন নিচ্ছিস কেনো?…এক্সিডেন্ট এর কারণে আজ না কি রোমান্টিক সিন দেখতে পেলাম ভার্সেটিতে জানিস! [ স্নেহা কনফিউজড হয়ে তাকালো ]

মার্জান : ও যে গাড়ীর সাথে ধাক্ষা খেয়ে এক্সিডেন্ট হয়েছিলো, ঐ ড্রাইভারটাকে না রিদোয়ান এসে…এমন এমন এমন ভাবে কেলিয়েছে…[ হেসে হেসে ]ওহ মাই গড…নেক্সট টাইম ও আর গাড়ী চালাতে পারবে কিনা আমার মনে হচ্ছে না… [ এক্সাইটেড হয়ে ] তারপর কি হয়েছে জানিস!

– [ জারিফার কাছে এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ] রিদোয়ান সবার সামনে জারিফাকে কোলে তুলে নিয়ে নিজের গাড়ীতে বসিয়েছিলো…

জারিফা : [ লজ্জা পেয়ে খাটে বসে ] আচ্ছা হয়েছে এবার!

মার্জান : আরে বলতে দেনা! কি রোমান্টিক ছিলো স্নেহা! তুই তো জানিস না, আমি তো এই প্রথম লাইভ দেখেছি এসব…

– ও হ্যা! তারপর… কি সফট কন্ঠে বলেছিলো…

– জারিফা!

– বেশি লেগেছে?… তখন তুই জারিফার চেহেরাটা দেখলে না স্নেহা…[ বলতেই জারিফা উঠে মার্জানের মুখ চেপে ধরে ]

জারিফা : ব্যাস! হয়েছে!

স্নেহা : [ একটু হেসে খাটে বসে ] বাহ! তাহলে অনেক রোমান্স হয়েগেছে! [ বলতেই জারিফা আর মার্জান দুজনেই স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু হেসে পাশে এসে বসে ]

মার্জান : তা তো অবশ্যয়! তবে আমরা আরেকটা রোমান্স দেখিনি!… [ বলেই আড়চোখ দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে ]

স্নেহা : [ বুঝতে পেরে ] আ..আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আসি! [ বলেই উঠে যাচ্ছিলো… তখনি জারিফা আর মার্জান দুজনেই দুদিক থেকে দু-হাত টেনে আবার বসিয়ে দেই ]

জারিফা : আরে স্নেহা! এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেনো…? বলনা! [ ফিসফিসিয়ে ] কি কি করেছিস!

স্নেহা : [ ঢোগ গিলে ] কি কি করেছি মানে?…

মার্জান : দেখ! এখন এটা বলিস না যে তেমন কিছুই হয়নি…যেটা তোরা ভাবছিস!

– কিছু না কিছু তো হয়েছেই তাই না!

– [ স্নেহার কানের কাছে এসে ] ফর এক্সাম্পল, হাত ধরা, কাছে আসা, জড়িয়ে ধরা, কিস্ করা…

স্নেহা : কে…কেক কেটেছি! ডিনার করেছি ব্যাস! এসবই হয়েছে!

মার্জান : হোয়াট! এমন ডেট করেছিস তোরা?…কি নিরামিষ! রাহুল এতো বোরিং দেখেতো মনে হয় না!

জারিফা : আমার তো মনে হয় না রাহুল! বোরিং! তবে হ্যা! হতেও পারে বোরিং, কার সাথে ডেট করছে সেটা ও তো দেখতে হবে তাই না?…
[ স্নেহা জারিফার মাথায় বাড়ি দিয়ে হেসে উঠে ]

স্নেহা : আচ্ছা! এসব কথা ছাড়…তোদের আরেকটা কথা বলি…

জারিফা : হুম বল!

স্নেহা : কাল বাবা-মা আসছে! মামার বাসায়!

– আর আমি ডিসাইড করেছি! কালই ওদের রাহুল আর আমার কথা জানিয়ে দিবো…

মার্জান : [ এক্সাইটেড হয়ে ] বাহ! বাহ! বাহ!…কি নিউজ ছিলো স্নেহা!..হ্যা বলেদিস তারপর ভালো থেকে একটা তারিখ ডিসাইড করে বিয়েটা তাড়াতাড়ি করেনে,

জারিফা : আরে এতো তাড়াতাড়ি?..আমার ভালো ড্রেস নেই পড়ার! শপিং করতে টাইম লাগবে তো!

স্নেহা : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] গার্লস্ আই এম সিরিয়াস ওকে?…

জারিফা : বাট আই এম অলসো্!

স্নেহা : আগে বাবা-মা কে তো জানাতে দে!

মার্জান : সো্ হোয়াট! জানিয়ে দিবি না দিবি এটা তোর ব্যাপার…আমরা তো শুধু বিয়ের দিন গুনছি!

– হলে থাকবে বড় করে বোর্ডে লিখা, রাহুল ওয়েডস্ স্নেহা!

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইকুয়েল রাস্নেহা!

মার্জান : ওয়াও দারুণ তো! রাস্নেহা! এটা তো তোদের কাপল টিটল নেম হয়ে গেছে!

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইয়েস্!

– [ হাত দিয়ে স্নেহার মুখ তুলে ] বাহ! স্নেহা তুই বউ সাজবি… তোর বিয়ে হবে…শশুরবাড়ী চলে যাবি [ কাদো কন্ঠে ] আমার তো কান্না আসছে স্নেহা তুই আমাদের ফেলে শশুরবাড়ী চলে যাবি.. [ স্নেহা অবাক চোখে তাকালো ]

মার্জান : [ শকড হয়ে তাকিয়ে জারিফার পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে ] ডোন্ট ক্রাই ডোন্ট ক্রাই!

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] আজিব ব্যাপার! তোরা পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?…

মার্জান : আরে আমি কি করলাম..যত্তসব ওভার একটিং এর দোকান জারিফা!

জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] আরে স্নেহা! তোর যদি এখন বিয়ে ঠিক হয়! তাহলে তুই বলে বিয়ের ডেট টা একটু পেছনে দিয়ে দিশ! নাহলে আমি যদি আগের ড্রেসটাই পড়ি তাহলে কেমন দেখাবে?…ওটা দিয়ে তো আমি একশো দেড়শো এর উপরে ফটো তুলে ফেলেছি… উফফ! [ বলেই মাথায় হাত দিয়ে টেনশন করতে লাগলো ]

[ স্নেহা জোড়ে একটি শাস ফেলে দুজনের দিক একবার একবার তাকিয়ে, উঠে ওয়াশরুম চলে যায়, মার্জান মুখ চেপে হাসতে থাকে ]

পরদিন সকালে,

মার্জান : [ ভার্সেটির জন্য রেডি হতে হতে ] স্নেহা!

স্নেহা : হুম!

মার্জান : তুই না তোর মামার বাড়ী যাবি?..

স্নেহা : [ গায়ে শাল মুড়িয়ে ] হ্যা! যাবোই তো…

মার্জান : তাহলে ভার্সেটি যাচ্ছিস যে?..

স্নেহা : মামার বাসায়! দুপুরবেলা যাবো,

জারিফা : [ ব্যাগ গোছাতে গোছাতে ] হ্যা! মামার বাসায় দুপুরবেলা যাবে, সকাল বেলায় রাহুলকে এক পলক না দেখলে কি হয়! [ স্নেহা মুচকি হাসে ]

মার্জান : আচ্ছা সেটাও ঠিক,
________________________________

In varsity,

রাহুল গাড়ীর দরজা খোলা রেখে ড্রাইভিং সি্টে বসে স্মোক করছে, রিদোয়ান পেছনের সি্টে দরজা খোলা রেখে বসে, আর আসিফ পাশে তার গাড়ীর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্মোক করছে,

রিদোয়ান : আরে রাহুল ওরা দুজন দুজনের সাথে এমন রিয়েক্ট করে যেনো একজন আরেকজনের দুশমন!

আসিফ : ও আমার দুশমনই, এমন মেয়ে আমি আমার জন্মে দেখিনি…কথায় কথায় ট্যাড়ামি!

রাহুল : [ হেসে ] দুশমনকে বাঁচাতে বাঁচাতে, কোনো মোহাব্বত না করে বসো দোস্ত! [ রিদোয়ান হেসে উঠে ]

আসিফ : [ হেসে ] মোহাব্বত?..আর ওকে?..সো্ ফানি!

– আর এমনিতেও ওকে আর ফলো করার প্রয়োজন মনে করছিনা রাহুল! ও স্ট্রং আছে, সামলিয়ে নিতে পারবে,

রিদোয়ান : আরে! তাও মেয়ে মানুষ বলে কথা…এমনিতেও তো তোর আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই..এই কাজটাই করতে থাক!

আসিফ : এক্সকিউজ মি! খেয়েদেয়ে কাজ নেই বলে আমি ওর পেছন পেছন ঘুরবো নাকি! [ বলতেই হঠাৎ খেয়াল করে রিদোয়ান সিগারেট টা ছুড়ে ফেলে গাড়ী থেকে বেড়িয়ে দাঁড়ায়, রাহুল আর আসিফ অবাক হয়ে পাশফিরে তাকাতেই দেখে জারিফা! ]

জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] আপনাকে না নিষেধ করেছি এসব কলকারখানার ধোয়া খেয়ে পেট না পুরাতে! [ জারিফার কথা শুনে রাহুল আর আসিফ লুকিয়ে হেসে উঠে, ধীরেধীরে হাত নামিয়ে না দেখে মতো রাহুল ও তার সিগারেট টা মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ঢেকে রাখে ]

রিদোয়ান : এক্সুলি! এটা আমি খাচ্ছিলাম না…নতুন বেড়িয়েছে তো তাই একটু টেষ্ট করে দেখছিলাম!

জারিফা : [ নাক ফুলিয়ে ] টেষ্ট করছিলেন?..

আসিফ : আরে, রিদ! তুকে তো আমি আর রাহুল নিষেধ করেছিলাম, দেখ ভাই এসব খাস না…জারিফা যখন নিষেধ করেছে তুই কথাটা রাখ!

[ রিদোয়ান আড় চোখে তাকালো ]

আসিফ : [ হেসে ] কিরে রাহুল! ঠিক বলেছিনা আমরা নিষেধ করেছিলাম তো ?…

রাহুল : [ কি বলবে কনফিউজড হয়ে আবার একটু হেসে ] আ..ইয়া..ইয়াহ!

রিদোয়ান : আচ্ছা?… [ বলেই এপাশওপাশ তাকিয়ে দেখে স্নেহা কোথায় ]

জারিফা : আপনি এদিকওদিক কি দেখছেন?…

রিদোয়ান : তুমি তোমার বাকি ফ্রেন্ডসদের ওদিক ফেলে রেখে এসেছো কেনো?…ওদের ও ডাকো?..

জারিফা : কেনো?.. ওদের ও কি আপনি সিগারেট টেষ্ট করাবেন নাকি?..

রিদোয়ান : আরে না পাগল নাকি?..আচ্ছা ওকে!

– [ বলেই চেঁচিয়ে ] স্নেহা! [ স্নেহা আর মার্জান ফিরে তাকিয়ে দেখে রিদোয়ান ইশারা করছে কাছে আসতে ]

আসিফ : [ হেসে ] হোয়াট এ আইডিয়া রিদ! রাহুল তুমনে হাসি্ তো পাসি্!

রাহুল : Listen! [ with tedi smile ]

রিদোয়ান : আমি শুনছিনা কিছু! [ জারিফার দিক এগিয়ে গিয়ে ] দেখো তো কি হয়েছে আমার কানে কিছু শুনছিনা কেনো!

আসিফ : [ হেসে ] জারিফা! কষিয়ে একটা থাপ্পড় দাও তারপর শুনবে! [ বলতেই মার্জান আর স্নেহা এগিয়ে আসায় মার্জানের দিক চোখ পড়লো মার্জান মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায় ]

রিদোয়ান : ওহ! ইয়াহ ফার্ষ্ট অফ অল! [ হ্যান্ডশেক করে ] উইশ ইউ এ ভেরি ভেরি হ্যাপি বার্থডে স্নেহা!

স্নেহা : থেংক ইউ!

আসিফ : [ চেঁচিয়ে ] অহ! শিট [ বলেই স্নেহার দিক এসে, হ্যান্ডশেক করে ]… হ্যাপি বার্থডে! স্নেহা! অল দ্যা বেষ্ট ফর আপকামিং ডে!

স্নেহা : [ হেসে ] থেংক ইউউ! [ রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে, স্নেহা ও একটু হেসে চোখ ফিরিয়ে নেই ]

রিদোয়ান : স্নেহা! [ স্নেহা তাকালে ]

– রাহুলের কের্চ গুলো খুব দারুণ হয়েছে তাই না! [ বলতেই সবাই রাহুলের জুতার দিক তাকালো, রাহুল বুঝতে পেরে হেসে রিদোয়ানের দিক তাকায়, ]

রিদোয়ান : [ চোখ মেরে ] আরে রাহুল একটু হেটে দেখানা…কেমন লাগছে হাটলে দেখি!

আসিফ : ইয়াহ! রাহুল একটু হেটে দেখা!

রিদোয়ান : আচ্ছা যা একটু পা সামনে বাড়িয়ে দেখা ওটাও চলবে! [ রাহুল রিদোয়ানের দিক তাকিয়ে একটু হেসে পা হেচড়িয়ে সামনে বাড়ালো ]

আসিফ : আরে পায়ের নিচে কিছু একটা মনে হচ্ছে রাহুল?..

জারিফা : কি আজিব! আপনারা ওনার পা নিয়ে পড়ে আছেন কেনো?..[ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আই থিংক আপনার জুতাগুলো ওনাদের বেশি পছন্দ হয়েছে দু-জনকে দু-টো দান করে দিয়েন…নাহলে ওনাদের নজরে দেখবেন জুতা গুলো আজই ছিড়ে গেছে [ বলতেই সবাই হেসে উঠে ]

মার্জান : [ স্নেহার দিক ফিসফিসিয়ে ] কিছু তো গড়বড় হচ্ছে স্নেহা! তোর কি মনে হয়!

স্নেহা : আই ডোন্ট নো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না…

রিদোয়ান : আরে রাহুল! আসিফ যে বললো তোর জুতার নিচ কিছু আছে সত্যি নাকি?… [ রাহুল আর কিছু বললো না তেডি স্মাইল দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গাড়ীর দরজা বন্ধ করে সরে দাঁড়ায়, সাথে সাথেই সবার নজর একসাথে রাহুলের জুতার নিচেই যায় ]

রিদোয়ান : [ হেসে চেঁচিয়ে ] ওহ আচ্ছা সিগারেট খাচ্ছিলি! লুকিয়ে রেখেছিস আগে বলবিনা! সরি দোস্ত! সরি! সরি! [ বলেই চোখ টিপ মারে ]

রাহুল : হয়েছে? ড্রামা?… [ with tedi smile ]

রিদোয়ান : আসলে স্নেহা! ওকে আমি নিষেধ করেছি এসব না খেতে…বললাম এসব খেলে ক্যান্সার হয়! ধুমপান সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক! ক্ষতিকারক! বার বার বলতে লাগলাম তাও শুনেনা…

জারিফা : [ নাক ফুলিয়ে তার দিকে ফিরিয়ে ] এক্সকিউজ মি! আপনি নিষেধ করেছেন?…

রিদোয়ান : [ হেসে ] ডার্লিং তুমি আবার এভাবে ভালোবাসার চোখে তাকিয়ে আছো কেনো?…চলো তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো!

[ বলেই জারিফা আর কিছু বলে উঠার আগেই টেনে অন্যপাশ নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়,
মার্জান কিটকিটিয়ে হেসে উঠে,

রাহুল তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক…আর স্নেহা একবার রাহুলের দিক আরেকবার অন্যদিক দিক তাকিয়ে ফেলছে ]

রাহুল : [ স্নেহার কাছে এসে ] তুমি আজ তোমার মামার বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো! ভার্সেটিতে এলে যে!

মার্জান : দুপুর!..দুপুরবেলা যাবে! আপনি টপিক চেঞ্জ করবেন না…স্নেহা ধ্যানে আছে আপনাকে কি পানিশমেন্ট দেওয়া যায় চিন্তা করছে!

রাহুল : ঐ তুমি ও ওদের মতো আমার সাথে দুশমনি শুরু করে দিলা!

মার্জান : নো, নো জিজাজি! আমি দুশমনি করবো কেনো?…তবে আমি আমার ফ্রেন্ড কে এতো তাড়াতাড়ি বিধবা দেখতে চাই না!

রাহুল : [ হেসে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তাই?..তবে মারা গেলে বোধ হয় খুশিই হবে! তাই তো কিছু আন্সার দিচ্ছে না…

মার্জান : আহা! আসলে ও এখন লিষ্ট গুনছে যদি আপনি মারা যান…তাহলে নেক্সট কাকে বিয়ে করবে ওটাই ভাবছে!

রাহুল : [ হেসে মার্জানের চুল টেনে দিয়ে ] তোমাকে তো পড়ে দেখে নিবো! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে টেনে অন্যপাশ নিয়ে চলে যায়,]

[ মার্জান হাসতে থাকে হঠাৎ আসিফের দিক চোখ পড়ায় নাক ফুলিয়ে মুখ ভেংগিয়ে সামনে রাহুলের গাড়ীর বনাটের উপর উঠে বসে, আসিফ ও তার কান্ড দেখে হেসে অন্যপাশ তাকিয়ে ফেলে ]
________________________________

রাহুল : স্নেহা! কি হয়েছে কিছু বলছো না কেনো?…

স্নেহা : কেনো?.. মার্জান বলছে শুনতে পাননি?..আমি লিষ্ট গুনছি! কাকে বিয়ে করা যায়!….

রাহুল : ওহ রিয়েলি! [ বলেই স্নেহার কাছে এগুই, স্নেহা ঘাবড়ে গিয়ে পেছনে পা বাড়াতেই গাড়ীর সাথে ধাক্ষা খেয়ে দাড়িয়ে পড়ে ]

রাহুল : সইতে পারবে তো আমার মারা যাওয়ার খবর?…

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে মাথা নুয়ে ] দেখেন উলটা পালটা কথা বলবেন না!

রাহুল : তাহলে বললে যে লিষ্ট গুনছো!

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] ওটা তো এমনিতে বলেছি, রাগ করে আপনি স্মোক করেছেন তাই!

রাহুল : [ একটু হেসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে স্নেহার দিক ]

– ওকে আই উইল ট্রাই! এমনিতেও আগে থেকে অনেক কমিয়ে দিয়েছি!

স্নেহা : হোয়াট?..ট্রাই মানে?..[ হাত এগিয়ে দিয়ে ] প্রমিস্ করেন..আজকে থেকে এসব আর ছুঁয়ে ও দেখবেন না!

রাহুল : [ হেসে ] কামঅন স্নেহা! এটা কি হুট করেই ছাড়া যায় নাকি?…

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] যায়! চেষ্টা করলে পারবেন! এখন আর কথা না বাড়িয়ে প্রমিস করেন!

রাহুল : [ স্নেহার কান্ডে একটু হেসে স্নেহার হাতের উপর হাত রেখে ] ওকে প্রমিস!

স্নেহা : [ ব্লাশিং হয়ে হেসে ] থেংক ইউ!

[ হঠাৎ পেছন থেকে কেউ কেশে উঠার আওয়াজ আসলো, রাহুল আর স্নেহা দুজনেই ফিরে তাকিয়ে দেখে জারিফা আর মার্জান এসেছে ]

জারিফা : সরি! ফর ডিষ্টার্বিং ইউ গাইস্ এক্সুলি এটা বলতে আসলাম যে স্নেহা আমরা ক্লাসে যাচ্ছি! তোর হলে ক্লাসেই আশিস!

স্নেহা : আমিও আসছি ওয়েট! [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] বাই রাহুল! আমি যাওয়ার সময় দেখা করবো আপনার সাথে…

রাহুল : ওয়েট! আমার তোমাকে কিছু দেওয়ার ছিলো..

স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে ] কিহ?..

মার্জান : আচ্ছা! আমরা ঐদিকে সামনের দিকই আছি! [ বলেই জারিফার হাত ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ ]

জারিফা : [ হাত ছুটিয়ে কনফিউজড হয়ে স্নেহার কাছে এগিয়ে এসে গলার চুল গুলো সরিয়ে ] আরে স্নেহা!কিভাবে হয়েছে এসব! এভাবে লাল কেনো হয়েছে?…

স্নেহা : [ শকড হয়ে গলায় হাত রেখে ] লা..লাল হয়েছে মানে?…

মার্জান : আরেহ! হ্যা তাই তো!

জারিফা : আই থিংক কিছু কামড়িয়েছে?… [ বলতেই স্নেহা চোখ বড় করে শকড হয়ে তাকালো রাহুলের দিক ]

[ রাহুল হেসে ঘাড়ে হাত রেখে চুলকাতে চুলকাতে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি চুল সামনে এনে দিয়ে ] তোদের লাগছে হয়তো! আ..আই থিংক ঠা..ঠান্ডায় হয়েছে!

[ Rahul give a tedi smile ? ]

জারিফা : ওওহ!

রাহুল : আ..আই থিংক ঠান্ডায় হয়েছে মনে হচ্ছে না! কোনো মশা কামড়িয়েছে! এমনই লাগছে!

জারিফা : [ হেসে ] ইয়েস্ জিজাজি! রাইট! মশাই কামড়িয়েছে হবে!

[ স্নেহা কিছু বললো না আড়চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে আবার অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

জারিফা : ওকে স্নেহা! আমরা ঐ দিকটা আছি তুই আয়! [ বলেই হেটে চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ, আবার পেছন মুড়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে ]

– বাই দ্যা ওয়ে! জিজু…মশাটা কতো বড় হবে?… [ বলতেই রাহুল তেডি স্মাইল দিতে লাগলো ]

জারিফা : আ..আই থিংক আপনার হাইটের সমান তো হবেই তাই না?

– [ চোখ মেরে ] এম আই রাইট জিজাজি?.. [ রাহুল মুচকি হেসে ব্লাশিং হয়ে অন্যপাশ তাকিয়ে ফেলে, জারিফা আর মার্জান হাসতে হাসতে সামনের দিক এগিয়ে চলে যায় ]

[ স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে লজ্জা লেগে উঠলো স্নেহার, কি আজিব ব্যাপার-স্যাপার, কাধের ব্যাগ ঠিক করে নিয়ে দৌড়ে চলে যাচ্ছিলো, ঐ মুহূর্তেই রাহুল হাত ধরে আটকিয়ে ফেলে ]

রাহুল : হোয়ার আর ইউ গোয়িং?

– কামঅন স্নেহা! এটা তো শুধু ট্রেলার ছিলো, পিকচার এখনো বাকি আছে [ with tedi smile ]

স্নেহা : [ মাথা নিচু করে ] আ…আই থিংক আমার এখন যাওয়া উচিৎ!

রাহুল : আচ্ছা? তো যাও!

[ স্নেহা রাহুলের ধরে রাখা হাতের দিক তাকালো, কেমনি যাবে ধরে রাখলে! ]

রাহুল : একবার ছেড়ে দিলে আর ধরছি না কিন্তু, স্নেহা!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে তাকিয়ে ] মানে?..

রাহুল : [ হেসে] রিলেক্স স্নেহা! আই জাষ্ট কিডিং!

স্নেহা : [ গোমড়া মুখে ] কেনো? কেনো করবেন এমন মজা?…

রাহুল : ওখে স্নেহা!

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] আপনি জানেন! আমার এই ধরনের মজা মোটেও পছন্দ না!

রাহুল : [ স্নেহাকে কাছে টেনে ] ওকে ওকে! আম সরি! আম সরি! [ বলেই স্নেহাকে জড়িয়ে বুকে টেনে নিচ্ছিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলকে সরিয়ে ] রাহুল!

রাহুল : [ আশেপাশে তাকিয়ে একটু হেসে ] অওহ! সরিইইই!…

স্নেহা : আচ্ছা আমার লেইট হচ্ছে রাহুল!

রাহুল : ইয়াহ! এক সেকেন্ড [ বলেই.. পকেট থেকে একটি প্যাকেট বের করে তা থেকে একটি টিপ ছুটিয়ে স্নেহার কপালে লাগিয়ে দিলো, স্নেহা অবাক হয়ে হেসে উঠে ]

রাহুল : এমনিতে আমার মেয়েদের সাজগোছ সম্পর্কে তেমন আইডিয়া নেই! তবে গতকাল তোমাকে এটা লাগাতে দেখেছিলাম…

– আমার খুব ভালো লেগেছিলো! তাই আসার সময় কিনে এনেছি,

[ স্নেহা একটু হেসে টিপের প্যাকেট টা হাতে এগিয়ে নেই, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে রাহুলের দিক মুচকি হেসে চলে যায়, রাহুল ও পকেটে হাত রেখে তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে থাকে ]

স্নেহা সামনের দিক এগিয়ে যেতেই,

জারিফা : ওহো! কাম কাম স্নেহা! মেরি জান!

মার্জান : [ স্নেহার কাধে হাত রেখে ] কাল তো অনেক বলছিলি, কি কি হয়েছে মানে! কেক কেটেছি আর ডিনার করেছি ব্যাস তাই না?…

স্নেহা : কা..ক্লাসে লেইট হচ্ছে [ বলেই দৌড়ে হেটে চলে গেলো ]

জারিফা : [ চেঁচিয়ে ] আরে স্নেহা! [ বলেই জারিফা আর মার্জান দুজনেই পেছন পেছন দৌড়ে এগিয়ে গেলো ]

In Class, স্যার লেকচার দিয়ে যাচ্ছে,স্নেহা নোট করছে,

জারিফা : [ স্নেহাকে ধাক্ষিয়ে ফিসফিসিয়ে ] ঐ স্নেহা বলনা! কি কি করেছিস!

মার্জান : বল স্নেহা! আই এম সো্ এক্সাইটেড ইয়ার!

[ স্নেহা চুপ করে লিখেই যাচ্ছে ]

জারিফা : আরে কি আজিব বলনা স্নেহা! আচ্ছা হালকা একটু বল..সব বলিস না…

মার্জান : [ স্নেহার হাতের কলম টেনে নিয়ে ] স্নেহা! মাই ডিয়ার! বল বল আরেকবার বলতে হলে না এই কলম দিয়ে তুকে খুন করবো আজ আমি!

স্নেহা : আরে? নোট করছি তো! এইদিকে দে!

মার্জান : হ্যা করিস! ইচ্ছা মতো করিস..কিন্তু এর আগে আমাদের এটা বলে দে… তোর গলায় লাল রাংগুলির রাজ কি! হুম হুম?

জারিফা : [ হেসে ] বল বল স্নেহা! [ ধাক্ষিয়ে ] আরে বলনা…

স্নেহা : [ আর না পেরে কানে হাত দিয়ে ] ওকেইইই! ওকে…বলছি!

– [ চোখ নামিয়ে মাথা নিচু করে ] কিক…কিস্ করেছিলো…

জারিফা : অওওও! স্নেহা!

মার্জান : এত্তো জোড়ে স্নেহা! আই থট রাহুল বোরিং বাট ও তো জখমি করে দিলো.. [ বলতেই জারিফা মুখ চেপে হেসে উঠে ]

স্নেহা : [ লজ্জা পেয়ে ] হয়েছে মার্জান! কলম দে এইবার!

মার্জান : নো নো স্নেহা! তারপর বল আরো সামথিং..হুম হুম!

স্নেহা : আরে! পাগল নাকি আরো সামথিং মানে!

জারিফা : [ আংগুল দিয়ে স্নেহার মুখে স্লাইড করে ] মানে…জখম কি শুধু, ওহ সরি! কিস্ কি শুধু গলায় করেছে অর…নাকি…আরো অন্যকিছু ও.. মানে

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] ছিঃ জারিফা! [ বলতেই ক্লাসের সবাই স্নেহার দিক তাকায় ]

স্যার : হোয়াট হ্যাপেন স্নেহা!

স্নেহা : [ দাঁড়িয়ে ] আব…নো নো স্যার নাথিং!

স্যার : অলরাইট! সি্ট ডাউন! [ স্নেহা বসে আড় চোখে দু-জনের দিক তাকাতেই দেখে জারিফা আর মার্জান দুজনেই মিটিমিটি করে হাসছে! আর কিছু না বলে স্নেহা ব্যাগটা হাতে নিয়ে অন্য সিটে এগিয়ে গিয়ে বসে পড়লো ]

ভার্সেটি ছুটির পর,

জারিফা : যা মেরি জান! রাহুল ওয়েটিং ফর ইউ!

মার্জান : বাই দ্যা ওয়ে স্নেহা তোর ফিল কেমন হয়েছিলো?..হুম! বলনা বলনা?

স্নেহা : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আজিব এখনো ওসবে পড়ে আছিস? আমি যাচ্ছি! বাসায় ফিরতে লেইট হতে পারে! [ বলেই হাটা শুরু করে ]

জারিফা : [ হেসে চেঁচিয়ে ] ওকে! অল দ্যা বেষ্ট! স্নেহা!

[ স্নেহা বেড়িয়ে বারান্দার দিক খুজলো রাহুলকে ফোন দিচ্ছে রিসিভই করছে না, পার্কিং এর দিক দেখবে বলে গার্ডেন পেড়িয়ে হেটে যাচ্ছে হঠাৎ কেউ এসে হাত টেনে গাছের নিচে এনে দাড় করালো ]

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] রাহুল! ভয়ে পাইয়ে দিলেন তো!

রাহুল : ভয় পাওয়ার কি আছে! [ with tedi smile ]

স্নেহা : আপনাকে ফোন করছিলাম রিসিভ করছিলেন না…

রাহুল : [ পকেটে হাত দিয়ে ] ওহ শিট! মোবাইল গাড়ীতেই ফেলে এসেছি!

স্নেহা : আচ্ছা! আমি যাচ্ছি এখন! আপনার সাথে পরে ফোনে কথা বলবো! বাই! [ বলেই চলে যাচ্ছিলো হুট করেই রাহুল আবার টেনে পার্কিং এর দিক নিয়ে যাচ্ছে ]

– আরে রাহুল! আবার কই নিচ্ছেন?..

রাহুল : [ পার্কিং এ এনে গাড়ীর দরজা খুলে দিয়ে ] চলো উঠো!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে] আপনি!

রাহুল : নট ওয়ান মোর ওয়ার্ড প্লিজ! উঠো,

[ স্নেহা আর কিছু বললো না, উঠে বসলো, রাহুল ও গিয়ে ড্রাইভিং সিটে উঠে বসে ]

স্নেহা : আপনার আবার কষ্ট করার কি দরকার ছিলো! আমি যেতেই পারতাম!

রাহুল : [ হেসে ] কষ্ট?..কামঅন স্নেহা! তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা সেকেন্ড আমার জন্য সর্গের মতো আর তুমি বলছো,

– [ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ] হোয়াটেবার! [ with tedi smile ]

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে হেসে ওপাশ ফিরে যায় ]

রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে মেম!.. যাবো কোন জায়গায়?…

স্নেহা : [ একটু হেসে ] সি্.পি রোড! থার্ড সেন্টার, হাউজ নং টুয়েন্টি ওয়ান!

রাহুল : ওখেই!

[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে তাকিয়েই থাকে রাহুলের দিক.. মনে মনে ভেবে যাচ্ছে, কি হ্যান্ডসাম লাগছে রাহুলকে, ইচ্ছে করছে তার খোচা খোচা দাড়ি গুলো একটু ছুয়ে দেখবে ]

হঠাৎ,

রাহুল : একটা খুব ভালো কাজ করেছো কি জানো?…

[ স্নেহা চমকে উঠে তাকালো ]

– তোমার ঐ ডিস্কাস্টিং ওভারটাইম ডান্স ক্লাসটা ছেড়ে দিয়ে,

স্নেহা : হোহ! মোটেও ডিস্কাস্টিং না ডান্স একটা পেশোন রেসপেক্ট দিতে শিখুন!

রাহুল : [ হেসে ] ইয়া…আই লাভ ইয়র সেক্সি ডেন্স! বাট নট ইয়র হোপলেস্ জব! [ স্নেহা শকড হয়ে তাকালো ]

– আরে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?..

স্নেহা : আপনি কিছুর তারিফ করলে বার বার এই বাজে ওয়ার্ডটা ইউজ করেন কেনো?…

রাহুল : এক্সকিউজ মি! আই সে্ সেক্সি! নট সেক্স! দুটোর আলাদা মিনিং আছে ওকে! [ with tedi smile ]

স্নেহা : ওকে ওকে স্টপ!

রাহুল : ওকেই [ বলে হাসতে থাকে ]

কিছুসময় পর,

স্নেহা : ওকে ওকে! রাহুল! এইখানেই থামান!

রাহুল : বাট এটা তো হাউজ নং আ… [ জানালা দিয়ে তাকিয়ে ] নাইন্টিন!

স্নেহা : যদি বাবা দেখে ফেলে আপনার সাথে এসেছি! তাই একটু আগেই নামছি!

রাহুল : [ হেসে ] Shut-up স্নেহা এতো ভয় পাচ্ছো কেনো?…দেখলে দেখবে আরকি!

স্নেহা : না নাহ! রাহুল! যদি দেখে বাবা না বুঝে হুট করেই আপনার উপর রেগে যায়?

রাহুল : সো্ হোয়াট! রাগলে রাগবে…তারপর পরে বুঝিয়ে দিবো…

স্নেহা : [ একটু হেসে ] বাই!

– আর হ্যা মনে করে আপনার ফোন গাড়ী থেকে নিয়ে নিবেন!

রাহুল : ও হ্যা! [ স্নেহা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায় ]

রাহুল : আরে স্নেহা!

স্নেহা : [ জানালা দিয়ে ] বাই রাহুল! [ বলেই হেসে হেটে সামনের দিক চলে যায়, রাহুলের ও আর কি করার,গাড়ী ব্যাক দিয়ে সে ও ফিরে যায় ]
________________________________

বেল বাজাতেই স্নেহার মামী এসে দরজা খুললো,

মামী : আরে স্নেহা! আয় আয় ভেতরে আয়…তোর অপেক্ষায় করছিলাম! [ স্নেহা পা ধরে সালাম করে ভেতরে ঢুকলো, স্নেহার মা এগিয়ে আসতেই স্নেহা ও এগিয়ে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ]

মা : কি হয়ে গেছিস স্নেহা! এভাবে শুকিয়ে কাঠের মতো? …খাবার-দাবার ঠিক মতো করিস না তাই তো?…

স্নেহা : করি মা! আচ্ছা বাবা কোথায়?..

মা : আছে ভেতরে আছে,

রাশু : [ চেঁচিয়ে ] ওহো আপু! হ্যাপি বার্থডে…আমার জন্য কি এনেছো?..

স্নেহা : বার্থডে আমার আর গিফট দিবো তোকে?..

রাশু : আমিও এনেছি! হুম!

স্নেহা : কি এনেছিস!

রাশু : বাদাম ছোলার ভর্তা!

স্নেহা : এইদিকে আয় তুই [ বলতেই রাশু হেসে দৌড় মারে ]

হঠাৎ,

স্নেহার বাবা : [ রুম থেকে বেড়িয়ে এসে ] স্নেহা! কেমন আছিস তুই কবে এসেছিস!

স্নেহা : এইতো বাবা..ভালোই এক্ষুনি এলাম!

বাবা : [ হেসে স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে ] অনেক বড় হয়ে গেছে আমার স্নেহা! দেখলে তো? শহরে একা থেকে পড়ালিখা করছে!

– তো বল পড়ালিখা কেমন চলছে!

স্নেহা : হ্যা! ভালো.. তোমার শরীর ঠিকাছে তো এখন ?..

বাবা : হ্যা! ওসব আর কি বয়স হয়ে গিয়েছে! এসব শরীর-টরীর তো খারাপ হবেই!

– আচ্ছা তুই বয়! রেষ্ট কর..ভার্সেটি থেকে এসেছিস বুঝি?..

স্নেহা : হ্যা! সমস্যা নেই! আমি ঠিকাছি!

আমরিন : [ স্নেহার মামাতো বোন ] আরে স্নেহা?.. [ বলেই এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে ]

স্নেহা : [ হেসে ] তুমি?..কবে এলে?..

আমরিন : এইতো সকালেই এলাম!

স্নেহা : আচ্ছা? তোমার বেবি কোথায় ?..

আমরিন : ভেতরেই আছে,

বাবা : যা স্নেহা! ভেতরে গিয়ে রেষ্ট কর!

[ স্নেহা ভেতরে গিয়েই তার মামাতো বোন আর তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে গল্পসল্পে ব্যস্ত ]

দুপুরে,সবাই একসাথেই লাঞ্চ করলো,

মা : স্নেহা!

স্নেহা : হ্যা?..

মা : একটু এদিক আয়! [ বলেই ভেতরের রুমে গেলো ]

স্নেহা : [ রুমে এসে ] হ্যা বলো!

মা : এদিকে বয়!

স্নেহা : [ পাশে বসে ] আচ্ছা তুমি না আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলেছো কোথায় হুম?..

মা : [ হেসে ] দেখ স্নেহা! হঠাৎ করে এসব শুনলে হয়তো তুই সারপ্রাইজ না হয়ে, তোর খারাপ ও লাগতে পারে, তুই তো জানিস কয়েকদিন আগে আমাদের কি অবস্থা ছিলো! সব শেষ হয়ে যাচ্ছিলো…রাশুর পড়ার খরচ ও বেড়ে গিয়েছিলো কোন দিক থেকে কি করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না…

– হঠাৎ করেই কেউ এসে আমাদের সাহায্য করে, আমরা তার থেকে টাকা নিতে চাইছিলাম না! কিন্তু ওনি তোর বাবাকে বললো আমাকে আপনার ভাই মনে করে এই কর্তব্যটা পালন করতে দেন! আপনার যদি তাও সংকোচ হয় তাহলে আমাকে আপনি টাকা গুলো ধীরেধীরে শোধ করে দিবেন!

স্নেহা : আচ্ছা? ভালোই তো মানুষটা! কিন্তু তাও টাকা শোধ করে দিবে বলোনি?..

মা : হ্যা বলেছি!

স্নেহা : ঠিক বলেছো! যারই হোক টাকা শোধ করেই দেওয়াটাই বেটার!

– আচ্ছা! কিন্তু অনি আমাদের এসব ব্যাপারে কিভাবে জানলো..?

মা : বাড়ী নিলামের জন্য ব্যাংক থেকে অর্ডার এসেছে.. যারা কেনার জন্য আগ্রহী তারা এসে বাড়ী দেখে যাচ্ছিলো, উনি নাকি খামার বানানোর জন্য জায়গা খুজছিলো, তখন ব্যাংক থেকে জায়গার কাগজ ওনার কাছে ও যায়, তারপর আমাদের বাড়ী এসে জিজ্ঞেস করলো কেনো নিলাম হচ্ছে?…
তখন সব খুলে বললো তোর বাবা! আর উনি আমাদের সাহায্য করতে চাইছিলো!

স্নেহা : ভাগ্যিস ঠিক সময়ে উনি হেল্প করেছে…আমার তো টেনশনই হচ্ছিলো এতোটাকা কিভাবে জমা করবো কয়েকদিনে!

মা : স্নেহা!

স্নেহা : হ্যা!

মা : উনি বলেছে ওনার ছেলে তোর একই ভার্সেটিতেই পড়ে, তোর সিনিয়র,

– তোকে খুব পছন্দ করেছে ছেলেটা! ফ্যামিলি ও অনেক ভালো, ছেলে ও দেখতে যেনো হাজারে একটা, উনি তোকে নিজের ছেলের বউ করতে চাই!

[ মায়ের কথা শুনে স্নেহা চমকে গেলো, এমন লাগছিলো যেনো পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, ]

মা : তাকে কিভাবে ধন্যবাদ দিবে খুজেই পাচ্ছিলো না তোর বাবা! তখনি উনি বলে উঠে…ধন্যবাদ দিতে হবে না..শুধু দু-পরিবারকে এক করার সুযোগ করে দিন এতেই চলবে! আমরা তো অবাক হলাম!

– [ মুচকি হেসে ] তারপর উনি বললো আপনার মেয়েকে আমি নিজের মেয়ে বানাতে চাই!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] কিক…কিন্তু! মা এসব…

মা : আমি জানি তোর শুনে এমনই লাগবে! আমার তো এর চেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছিলো কেঁদে কেঁদে পুরোদিন পার করে দিয়েছিলাম..

– বিয়ের কথা শুনলে প্রত্যেক মেয়েরই এমন হয়! সাভাবিক…পড়ে মানিয়ে যাবে ধীরেধীরে!

– [ একটু হেসে ] ও হ্যা! তোর স্ট্যাডি ও কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না…ওরা বলেছে তুই যতোটুকু চাস ততোটুকু পড়বি!

[ হতাশ হয়ে গেলো স্নেহা, কি বলবে এসময় কিছইু বুঝতে পারছে না ]

মা : এসব শুনে, এমন পরিবার দেখে তোর বাবা ও আর না করতে পারেনি! বরং খুশিতে কাঁদতে বসেছিলো! বলছে আমার স্নেহার জন্য এমনই একটা পরিবারের চেয়েছিলাম..তা আল্লাহ মিলিয়েই দিলো…

– আমাদের বিপদে ওরা এগিয়ে এলো.. তোর কথা বলায় তোর বাবা ও হ্যা বলেদিয়েছে!

– ওরা এটাও বলেছে! তোর মতামত ও জেনে নিতে, কিন্তু তোর বাবা বলেছে তুই তোর বাবা যেটা ভালো বলে সেটাই করিস,

[ ভাষা হারিয়ে ফেলেছে স্নেহা! মুখ দিয়ে আর একটা শব্দই বের হচ্ছে না খালি ঢোগ গিলছে আর এক পলকে তাকিয়ে মায়ের কথা শুনছে ]

মা : ও হ্যা! এটা দেখ [ বলেই পাশ থেকে একটা প্যাকেট এগিয়ে নিলো ] এই শাড়ীটা তোর বাবা নিজ হাতে পছন্দ করে কিনেছে তোর জন্য!

স্নেহা : শা..শাড়ী কেনো?…

মা : আজ বিকেলে ওরা তোকে দেখতে আসবে! তখন এটা পড়বি!

স্নেহা : [ চেঁচিয়ে ] আজ?..

মা : হ্যা কি হয়েছে?..

স্নেহা : না বলছিলাম যে ওরা তো আমাকে দেখেছে তাই না…আবার আজ দেখতে আসার কি প্রয়োজন!

মা : [ একটু হেসে ] আরে পাগলী দেখেছে তো শুধু ছেলে তাই না?…আর ওভাবে দেখা এক কথা আজ দেখা এক কথা..

– সবাই মিলে কথাবার্তা বলবে,সব ঠিকটাক করবে তারপরই তো বিয়ে হবে তাই না?…

[ স্নেহা কোনো জবাব দিলো না চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো ]

মা : [ চোখ মুছে দিয়ে ] আরে কাঁদছিস কেনো বিদায় কি আজ দিবো নাকি পাগলী?…

– আচ্ছা তুই যেনো কি বলবি বলেছিলি?.. [ বলতেই স্নেহার মামাতো বোন আমরিন রুমে ঢুকে ]

আমরিন : কি কথা হচ্ছে মা মেয়ের?.. হুম?..

স্নেহার মা : আরে! এইদিকে আয়! তুই ওকে রেডি করে দে!

আমরিন : হ্যা! হ্যা! এমনভাবে রেডি করে দিবো যাতে হবু বর তার চোখই সরাতে না পারে!

স্নেহার মা : [ একটু হেসে ] সাজানোর ও কি দরকার আমার মেয়েকে ও তো এমনিতেই ও দেখতে সর্গরাণীর মতো,

[ স্নেহার শুধু রাহুলের কথায় মনে পড়ছে এই মুহূর্তে, ইচ্ছে করছে দৌড়ে ছুটে যাবে রাহুলের কাছে, জড়িয়ে ধরবে তাকে টাইট করে ]

মা : আরে হ্যা স্নেহা! বলনা কি বলবি?..

স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যা?…নাহ! কিক..কিছুনা!

মা : কিন্তু তুই বলেছিলি যে কি যেনো বলার আছে?..

স্নেহা : তে..তেমন কিছুনা!

মা : আচ্ছা! [ বলেই মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে উঠে চলে যায় ]

বিকেল হয়ে গেলো,

স্নেহা ড্রেসিং টেবল এর সামনে বসে আছে,মেজেন্ডা রঙের শাড়ী পড়ে, আমরিন স্নেহাকে সাজিয়ে দিচ্ছে,

আমরিন : আরে স্নেহা! কি হয়েছে তোর, মুখটা এমন গোমড়া বানিয়ে রেখেছিস কেনো?.. [ স্নেহা কোনো জবাব দিলো না ]

আমরিন : [ ফিসফিসিয়ে ] স্নেহা! কোনো লাভার-সাভার আছে নাকি?.. [ বলেই চোখ মারে ]

[ স্নেহা হতাশ হয়ে চোখ তুলে তাকালো আমরিনের দিক, না চাইতেও একটু হেসে মাথা নাড়িয়ে অন্যপাশ তাকিয়ে ফেললো, হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ালো, আমরিন ভেতরে আসতে বললে দেখে স্নেহার বাবা এসে ঢুকলো ]

বাবা : [ স্নেহার দিক এগিয়ে এসে ] বাহ! পরী লাগছে আমার মেয়েকে!

[ স্নেহা কিছু বলবে বলে তার বাবার দিক তাকিয়ে ঢোগ গিলতে লাগলো ]

বাবা : [ স্নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে ] আমি জানতাম তুই আমার কথা ফেলবি না, আমার মান রাখবি! আর আমি তো তোর ভালোই চাইবো!…হুম?.. [ গোমড়া মুখে একটু হাসলো স্নেহা! ]

বাব : আরে! অনেকে আমার কান ভরিয়েছে তোর সাথে নাকি কোন ছেলের কি কি চলছে! কিন্তু আমার তোর উপর পুরো বিশাস ছিলো! আমার মেয়ে কখনোই এসব ফালতু কাজ করবে না!

[ দম আটকে গেছে স্নেহার, তার বাবার কথা শুনতেই ,গলা শুকিয়ে আসছে,]

বাবা : আচ্ছা তুই তাড়াতাড়ি তৈরী হয়েনে! ওরা এক্ষুণি চলে আসবে আমি নিচে যাচ্ছি ওদের রিসিভ করতে!

[ বলেই স্নেহার বাবা চলে যায়, জমিয়ে রাখা চোখের পানি গুলো টপ করেই গাল বেয়ে পড়লো স্নেহার! ]

আমরিন : স্নেহা?..তুই ঠিকাছিস তো?..

স্নেহা : [ চোখ মুছে হেসে ] হ্যা! চোখে কিছু ঢুকেছে হয়তো তাই!

আমরিন : আচ্ছা আমি আসছি! তুই বস!

[ বলেই বেড়িয়ে গেলো, স্নেহা ধীরেধীরে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো, নিজের দিক তাকিয়ে রইলো, খুব অসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে, কিছুই করতে পারছে না,

রাহুলের তেডি স্মাইল, বার বার স্নেহার কানে চুল গুজে দেওয়া,জোড় করে করে কোলে তুলে নেওয়া, এসব মনে করছে আর হাসছে,

হঠাৎ কপালের দিক তাকাতেই আজ সকালে রাহুল পড়িয়ে দেওয়া টিপটার কথা মনে পড়লো, তাড়াতাড়ি নাক ফুলিয়ে কপাল থেকে টিপটা খুলে আয়নায় লাগিয়ে দিলো, আর মনে মনে ভাবছে টিপ পড়িয়েছে রাহুল আর ওকে কেনো দেখাবে? শুধু রাহুলই দেখবে আর কেউ না,

বিরক্তি হয়ে পাশ মুড়ে ধীরেধীরে মোবাইল টা হাতে এগিয়ে নিয়ে খাটে বসলো, ডায়াল লিষ্টে রাহুলের নাম্বারটা এনে তাকিয়ে আছে আর চোখ থেকে জল ফেলছে, রাহুলকে এখন বলবে কিনা ও ভাবছে! আবার ভাবছে, রাহুল তো হুট করেই রেগে যায় না জানি আবার কি তোলপাড় করে বসে,সব তাড়াহুড়োতে করলে ও ঠিক হবে না, থাক ঐ ছেলেটাকেই বুঝিয়ে বলে দিবো যে আমি রাহুলকে ভালোবাসি ওকে বিয়ে করতে পারবো না ]

কিছুক্ষণ পরই আমরিন এগিয়ে এলো,

আমরিন : ওয়াও স্নেহা! ছেলে কি হ্যান্ডসাম রে,

স্নেহা : [ শকড হয়ে মনে মনে ] এসেই গেছে! উফফ…

আমরিন : পুরাই ফরমাল গেটাপে! যেমন লম্বা তেমন হ্যান্ডসাম!

স্নেহা : [ মনে মনে ] হুহ! আমার রাহুলের থেকে কমই হবে!

হঠাৎ,

রাশু : [ দৌড়ে এসে ] ওয়াও আপু! কি গাড়ী নিয়ে এসেছে জানো?..ঐ যে তোমাকে দেখিয়েছিলাম না একদিন…ঐরকম রেড কালারের,

স্নেহা : [ মনে মনে ] আজিব তো! তাতে কি হয়েছে রাহুল থেকে ও আছে এমন! ওর টা আরো সুন্দর,হোয়াইট কালারের!

– রেড! ইয়াক ছিঃ এটা কোনো কালার?

আমরিন : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] আরে স্নেহা! তুই কি ভাবছিস মনে মনে?..

স্নেহা : [ মনে মনে ] আমি?..পাগলই তো হয়ে গেছি! তোমাদের মতো পাগলামো টপিক নিয়ে ভাবছি!

হঠাৎ,

স্নেহার মা : আরে আমরিন! স্নেহাকে নিয়ে আয়! [ বুকটা ধুপ করে উঠলো স্নেহার ভয়ে,কেমন যেনো লাগছে, শরীর কাঁপতে লাগলো,কি ভেবেছিলো আর কি হয়ে যাচ্ছে, ]

আমরিন : [ হেসে ] স্নেহা! আমার তো মনে হচ্ছে! তোকে আজই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে তোর চেহেরার কি না হাল করে রেখেছিস,

স্নেহা : এ..এখন যেতে হবে?.. আরেকটু পরে গেলে হয় না?..

আমরিন : আরে এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেনো?..[ ফিসফিসিয়ে ] ওর সামনে গেলে লজ্জা পাস এখন না! [ বলেই টেনে বের করে ড্রইং রুমে এগিয়ে নিয়ে যায়, স্নেহা তার বাবার দিক তাকালো ]

বাবা : আয় স্নেহা! [ বলেই স্নেহাকে এগিয়ে নিয়ে সোফায় বসতে দিলো, স্নেহা সোফায় বসতে যাবে তখনি আড়চোখে পাশে তাকাতেই স্নেহা থমকে যায়, বাজ ভেঙে পড়েছে যেনো মাথায়, মনে মনে ভাবছে ” সামির “? ও…? কিক..কিন্তু ও তো আমার আর রাহুলের ব্যাপারটা ও জানে!

সামির ও স্নেহার দিক তাকিয়ে একটু হাসলো, স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ ফিরিয়ে ফেলে, ]

বাবা : বয় স্নেহা!

স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যা! [ বলেই বসলো ]

চলবে….

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ