Dangerous_Villain_Lover
part 15
#writer_Tanjina_Akter_Misti
পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে ছোঁয়া কিন্তু বেশিক্ষণ এই শান্তি থাকলো না। ফোন বেজে উঠলো যা এখন ছোঁয়া পৃথিবীর সব চেয়ে বাজে মুহূর্ত ছোঁয়া চোখ মুখ বিচ্ছিরি করলো কিন্তু চোখ খুলল না সাথে ফোন ধরলো ও না ইগনোর করে যাচ্ছে ঘংমের মধ্যে ফোনটাকে। কিন্তু এই ফোন থামছে না শব্দ টা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই বালিশ উঠিয়ে কানে চেপে ধরলো নাহ তবুও ফোন থামছে না আজকে পণ করেছে যে পযর্ন্ত না উঠাবো ইনি থামবে না। রেগে চোখ বন্ধ করেই ফোন হাতলিয়ে খুজতে লাগল অবশেষে পেয়ে ও গেল ওই ভাবে চোখ বন্ধ রেখে ফোন কানে ধরলো আজ ইচ্ছে মতো বকে দিমু আমার ঘুম নষ্ট কলা তাই না।
— কে রে তুমি আমার এই সুন্দর ঘুম নষ্ট করছিস। আর একবার যদি ফোন করিস না পচা পানিতে চুবামো তোরে।
বলেই এক মুহূর্ত ও দেরি না করে ফোন কেটে দিল। ঠিক হয়েছে আমাকে ডিসটার্ব করা না বুঝ ঠেলা। আবার ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করলো ছোঁয়া কিন্তু বেশিক্ষণ রাখতে পারলো না আবার ফোন বেজে উঠলো রাগে দুঃখে আরও বকা ভেবে ফোন রিসিভ করে কিছু বলতে যাবে কিন্তু তা হয়ে উঠলো না ঔপর পাশ থেকে স্যার এর কণ্ঠ শুনে। ছোঁয়া লাফ দিয়ে শুওয়া থেকে উঠে বসলো তারপর চোখ ঠলে ফোন দেখলো আবার কানে নিলো। এটা তো স্যার ই তাহলে তখন ও কী স্যার ছীলো এইজন্য এতো কিছু বলছে কিন্তু স্যার এতো রাতে কেন কল করলো।
— স্যার আপনি এতো রাতে।
— এসব কি ছোঁয়া তুমি এসব ভাষা ব্যবহার করছো।
— সরি আসলে ঘুমের মধ্যে ছিলাম তো কিন্তু আপনি এতো রাতে ফোন কেন দিয়েছেন।
—নিচে আসো ফাস্ট আমি অপেক্ষা করছি?
—হোয়াট এতো রাতে আমি নিচে কেন যাব। আর আপনি অপেক্ষা করছেন মানে কি আপনি কি নিচে?
—হুম তারাতারি আস। বাই
—স্যার আমার কথা টা তো শুনেন আমি
ফোন হাতে নিয়ে দেখি কল কেটে দিয়েছে কি মুশকিলে পরলাম। এখন নিচে যাব স্যার অপেক্ষা করছে কি হচ্ছে কি এসব? আর এতো রাতে কেন আবার ফোন বেজে উঠলো স্যার কল করেছে।
—কি হলো জান তুমি আসছো না কেন?
—এতো রাতে আমি আসতে পারবো না স্যার আমার প্রবলেম হবে। আর আপনি কি করছেন এখন আমি কিছু বুঝতে পারছি না।
—ছোয়া আমার মাথা খারাপ করো না। তুমি যদি না আস তাহলে আমি উপরে চলে অসবো তাও মেইন দরজা দিয়ে তখন সবাই দেখলেও কিন্তু আমার কিছু হবে না।
—কি বলছেন কি স্যার আপনি উপরে আসবেন না না প্লিজ স্যার এমন করেন না। আববু দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
— ওকে আসবো না তুমি নিচে আসো।
— আচ্ছা।
ছোঁয়া চিন্তায় পরে গেল কি করে বের হবে। যদি কেউ টের পায় তো কি যে হবে আল্লাহ জানে। কিন্তু স্যার কি সত্যি এসেছে নাকি মিথ্যে বলছে। ভেবেই বারান্দায় চলে গেল ছোঁয়া দেখার জন্য সত্যি এসেছে নাকি। নিচে তাকিয়ে দেখে স্যার সত্যি দাড়িয়ে আছে আমি তাকানোর সাথে সাথে রেগে তাকায় ইশারায় নিচে যেতে বলে তারাতারি আমি তো শক হয়ে তাকিয়ে আছি আমি একটুর জন্য ভেবেছিলাম হয়তো মিথ্যা বলছে কিন্তু এখন তো দেখছি সত্যি এসেছে। কি আর করবো বাধ্য হয়ে নিচে যাওয়ার জন্য বের হলাম আববু আম্মুর রুমে উকি দিয়ে গেলাম না তারা ঘুমে আছে আমি তারাতারি বেরিয়ে এলাম বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
স্যার এর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে আছি সাদা শার্ট ইন করা, চুল গুলো এলোমেলো হয়ে আছে কিন্তু তবুও অসম্ভব সুন্দর লাগছে কেমন জানি নেশা ধরা চোখে তাকিয়ে আছে আমি অবাক হয়ে তাকালাম এভাবে কেন তাকিয়ে আছে। আমি স্যার এর দৃষ্টি ঠিক করে নিজের দিকে তাকালাম আর হাত দুটো বুকে চেপে ধরলাম আমি তারা হুরা করতে গিয়ে ওরনা না নিয়েই এভাবে চলে এসেছি লজ্জা এখন নিজের চুল নিজেরই ছিরতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিভাবে এলাম আমি অসহ্য আর স্যার কি লুচ্চা এভাবে তাকিয়ে ছিলো রাগ লজ্জায় আমি স্যার এর থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে আছি সামনে আর এগুতে পারছি না।
হঠাৎ এক জোর হাত আর কোমর ধরে নিজের মধ্যে বন্ধি করে ফেলল তাকিয়ে দেখি স্যার মুখে দুষ্টু হাসি মন চাইছে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয় ইডিয়েট। এভাবে আসতে না বললে কি আমি এভাবে আসতাম। স্যার আমার কোমরে চেপে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আমি লজ্জা নিচের দিকে তাকিয়ে আছি হঠাৎ স্যার এর হাত আমার কানের পেছনে টাচ করে আর আমি কেপে উঠি আমার হাটবির্ট বেরে গেছে এভাবে আর এক মুহূর্তে থাকলে আমার সিউর হ্যাট অ্যাটাক হয়ে যাবে।
–স্যার ছারুন আমাকে।
–উহু
— এসব কি স্যার ছারুন প্লিজ এটা আমার বাসা কেউ দেখে ফেললে কি হবে ভাবতে পারছেন।
— আই ডোন্ট কেয়ার।
— ছারুন প্লিজ আপনি কেয়ার র না করলে ও আমি করি বিকজ।
স্যার আমার মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে দিল,,, চুপ
স্যার আমার কপালে চুমু খেলো আমি আর কিছু না ভেবে স্যার কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। এখনো ও হার্টবিট জোরে জোর হচ্ছে। আমার ধাক্কা খেয়ে স্যার হাত ধরে আহ করে উঠো আমি হঠাৎ স্যার কে ব্যাথিত হতে থেকে ভয় পেয়ে গেলাম। আমার জন্য কি ব্যাথা পেল কিনা দেখার জন্য ছুটে স্যার এর কাছে গিয়ে হাত ধরে বললাম।
— কি হয়েছে স্যার দেখি?
–কিছু না
স্যার হাত সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে আমি জোর করে হাত ধরে টেনে দেখতে লাগলাম। আর যা দেখলাম তা দেখে আমি আতকে উঠলাম। কারণে স্যার এর হাতে জখম হয়েছে কেটে সেখানে রক্ত শুকিয়ে আছে কিন্তু স্যার সেখানে ব্যান্ডেজ করে নি।
— একি স্যার আপনি হাতে কি হয়েছে আর ব্যান্ডেজ করেননি কেন?
— ও কিছু না এমনি একটু
— এইটা একটু কতো খানি। আপনি দাড়ান আমি আসছি।
বলেই ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল রাহুল ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। ছোঁয়া দ্রুত ফাস্ট ওয়ার বক্ম নিয়ে বেরিয়ে আসে।
রাহুল ছোঁয়ার দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে পলক ফেলছে না। ছোঁয়া এমন ভাবে ব্যান্ডেজ করছে আর ফূ দিচ্ছে যেন ব্যাথা ছোঁয়া পেয়েছে রাহুল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া দিকে। এটাই তো চেয়েছিল রাহুল ছোঁয়া ও ওকে ওর মতো ভালোবাসুক ওর কষ্ট কষ্ট পাক তাই হচ্ছে ভেবেই রাহুল খুশি হয়ে উঠলো ছোঁয়া ব্যান্ডেজ শেষ করে রাহুল হাতে ঠোট ছুয়ো দিলে রাহুল চোখ বন্ধ করে তা উপভোগ করতে লাগল।
চলবে❤
[ দেরি করার জন্য সরি ইনশাআল্লাহ এখন থেকে প্রতিদিন দেবো দুটো গল্প ছিলো তাই লেট হতো এখন একটা প্রতিদিন দিতে চেষ্টা করবো]