Bestfriend part : 9

0
2837

#Bestfriend
part : 9
writer : Mohona

.

নীড় : মোহনা…
সাগর : মেরিন…
২জন: তুই একে চিনিস….? ও তো আমার বনপাখির/মোহোপাখির #Bestfriend …

২জনই মহা মহা মহা অবাক ।
নীড় : মোহনাই তোর মোহোপাখি ? damn it damn it damn it…. মোহনা নাম শুনেই বোঝা উচিত ছিলো ।
সাগর : oh my goodness… যদি আমি জানতাম যে তুই মেরিনের প্রেমেই পরবি তবে কবববে তোকে মেরিনের সাথে মিট করাতাম…
নীড় : তবে মজার বিষয় কি জানিস?
সাগর : না।
নীড় : তুই আর আমিও যেমন same তেমনি মেরিন-মোহনাও ।
সাগর : আবার জিগায়…
নীড় : ১মিনিট… তারমানে মেরিন-মোহনাও তোর কাজিন …
সাগর : এটাই আমার জীবনের সবথেকে তিক্ত সত্য । আর আমার ভালোবাসার পথের কাটা …ছার বাদদে। এখন বলতো এতো ক্ষেপে ছিলি কেন?
নীড় : কি আর বলবো?
নীড় সব বলল ।

.

সাগর : হামমম।
নীড় : কি করবো বল?
সাগর : দেখ এরা খান বাড়ির মেয়ে। নিজের মা বোন বলে বলছিনা … এদেরকে request করা পাথার মাথা ঠোকা এক সমান । আর তুই request কবে থেকে শুরু করলি বলতো? the devil নীড় আহমেদ চৌধুরী request …
নীড় : আরে ভাবলাম জোর করে ভালোবাসা হয়না । সেই সাথে এটাও মনে করলাম যে যদি মেরিনের মনে অন্যকেউ থাকে তাই…
সাগর : হায়রে। এরা খান বাড়ির মেয়ে। এদের মনে কেউ এতো সহজেই ঢুকবে ? এটাও সম্ভব । মেরিনের মনের দুরদুরান্তে কেউ নেই … আর তুই যে politely ওর মনে ঢোকার জন্য নক করছিস তাতে কোনো ঘোড়ার ডিমের মাথাও হবেনা ।
নীড় : তো কি করবো ? gifts? gift দিয়ে sorry বলি।
সাগর : giiiiiift…. সাথে sorry… তুই ১টা gift দিবি then the মেরিন বন্যা খান তোকে কি জবাব দিবে জানিস?
নীড় : কি?
সাগর : আমাকে কি আপনার ভিখিরি মনে করেন । এরপর আসি sorry… চান্দু তুমি মেরিন বন্যাকে থাপ্পর মেরে মিষ্টি করে sorry বলতে গেলে return থাপ্পর খাবা।
নীড় : তো কি ডেভিল গিরি করবো?
সাগর : করতে পারো। no problem … but আমি কিছু জানিনা ।
নীড় : চল কিছু খাই। মহাচিন্তায় আছি। না খেলে চিন্তা কমবেনা।
২জন গিয়ে রাক্ষসের মতো খেলো।

.

পরদিন…
সাগর সার্জারি করছে তাও music on করে । আর মেরিন-মোহনারা দেখছে ।
মোহনা মনে মনে : এই জল্লাদটা এখানেও পৌছে গেলো। আর একে follow করতে হচ্ছে । ভালো লাগেনা কোথাকার । এ যে ভাব দেখিয়ে গান বাজিয়ে surgery করছে যদি ভুল ভাল হয় তখন বুঝবে। huh… শালি হিরো আলম মার্কা আমির খান…
মেরিন মনে মনে : এই চৌধুরী & চৌধুরী তো আমাদের বাচা মুশকিল করে দিলো । huh… চৌধুরী নাম শুনলেই এখন মাথা ঘুরিয়ে বমি আসে । ১টা তো কি জানিনা। আর এটাতো কুতুবমিনার। উফফ ভালো লাগেনা। একে ডক্টর কে বানিয়েছে আল্লাহ জানে। নির্ঘাত ঘুষ দিয়ে হয়েছে। আচ্ছা ওই ঢোলের ১টা ব্যাবস্থা করতে হবে ।আমাকে থাপ্পর মারা ? কিন্তু করবো কি ? ওই হারামির নাম ঢোল অথচ সামনে এলে আমার বুকের মধ্যে ঢোল বাজে ।
সাগর সার্জারি শেষ করলো ।

সাগর : any question students ? কারো কোথাও problem থাকলে বলতে পারো? বা কোথাও কিছু না বুঝলে বলতে পারো?

যাদের যেখানে সমস্যা হয়েছে তারা জানতে চেয়েছে ।
সাগর : এইযে মানিক রতন … আপনাদের কোনো qus নেই?
মেরিন : no sir ।
মোহনা : yes sir…
সাগর : বলুন।
মোহনা : এই সার্জারীর বাহিরে কোনো awwwwe ki cute প্রশ্ন করতে পারি ?
সাগর : কোনো বেহুদা প্রশ্ন করা চলবেনা ।
মোহনা : স্যাররর… medical , hospital related …
সাগর : জিজ্ঞেস করো ।
মোহনা : স্যাররররর…. birthday ই কেন হয়? birth dawn , birth dusk , birth midday , birth noon , birth afternoon , birth evening , birth night কেন হয়না ? কষ্ট করে যদি বলতেন । বাধিত হইতাম।

মেরিন চেষ্টা করেও হাসি আটকাতে পারলোনা । আর সাগর চেষ্টা করেও রাগ আটকাতে পারলোনা ।
সাগর : get out…

সবাই বেরিয়ে গেলো ।

.

২জন গলা ফাটিয়ে হাসছে ।
মেরিন : তোর ভয় করলোনা ?
মোহনা : কেন ভয় করবে কেন ? উনি কি এখন আমাদের স্যার নাকি ? জনম জনম পর ১টা সার্জারী করে টরে দেখাবে number ও দিবেনা tumber ও দিবেনা ।
মেরিন : সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যতোদূর ওই কুতুবমিনার টাকে চিনি ওই শালি শিংকাটা হনুমান কিছুনা কিছু পাক্কা করবে। মহা ধরিবাজ। half percent ও বিশ্বাস করা যায়না ।
মোহনা : বাহ ভালোই তো চিনিস জল্লাদকে। ?। কাহিনী কি? ?। কুছু কুছু ( কুছ কুছু ) হোতা হায়… ( হ্যা )
মেরিন : পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং গলা কাটা ব্যাঙ … সব সময় খালি আজিরা ( আজাইরা ) প্যাচাল পারা ! দারা দেখাচ্ছি মজা।
মেরিন মোহনার পিছে দৌড়াতে লাগলো। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যেতে নিলে নীড় এসে ধরে ফেলল। আসলে ছেলেটা ইচ্ছা করে মেরিনকে ধাক্কা দিয়েছে। ছেলেটার নাম শিপন।
নীড় : তোর এতো সাহস তুই ইচ্ছা করে ধাক্কা মারিস?
বলেই নীড় শিপনকে ১টা ঘুষি মারলো ।
মেরিন : কি বললেন ও আমাকে ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরেছে? সরুন তো দেখি।
মেরিন নীড়কে সরিয়ে শিপনের ধোলাই করতে লাগলো। ইচ্ছা মতো পিটাতে লাগলো । পরে মোহনা এসেও মেরিনের সাথে join করলো । ২জনে মিলে মারতে লাগলো। নীড় এতোক্ষন মেরিনকে থামানোর চেষ্টা না করলেও এখন শিপনের মরে যাওয়ার অবস্থা দেখে নীড় চিন্তিত হয়ে গেলো। ২জনকে সরিয়ে নিলো।

.

মেরিন : আপনি আমাদের বাধা দিলেন কার সাহসে? আপনার সাহস তো খুবই কম ? আর তার থেকে বড় কথা আপনি এখানে কেন ?
মোহনা : কারন আমি আসতে বলেছি।
মেরিন : কিন্তু কেন ?
মোহনা : বন্ধু হওয়ার টেস্ট নেয়ার জন্য।
মেরিন : what??
মোহনা : হামমম। ভুলে গিয়েছিলি যে আমি একে promise করেছিলাম ।
মেরিন : তুই নে তোর টেস্ট আমি গেলাম huh…
মোহনা : ওই দারা.. দারা।
মেরিন : না ।
মোহনা : কেন?
মেরিন : কারন ওই লোকটাকে আমার সহ্য হচ্ছেনা ।
মোহনা : ক্যালা ?
মেরিন : কারন ও… কিছুনা । ঢোল কোথাকার।
মোহনা : উফফ আরো শোন না। দেখি এ কেমন powerful & smart … যদি powerful & smart হয় তবে friend বানিয়ে নিবো। আর লোহা দিয়ে লোহা কাটার মতো চৌধুরী দিয়ে চৌধুরী কাটবো । awwwwe ki cute…
মেরিন : কি? ???।
মোহনা : আমার কান…
নীড় : excuse me…
মোহনা : আপনি এখানে কেন এলেন?
নীড় : একটু কথা ছিলো তোমার সাথে।
মেরিন : আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই।
নীড় : sure? ভেবে বলছো?? ?
মেরিন মনে মনে : এ এমনভাবে বলছে কেন ?
নীড় : মোহনা i want to say something ….
মোহনা : what?
নীড় : মেরিনের ১টা ইচ্ছা ছিলো ।
মোহনা : কি ?
মেরিন : কিছুনা। তুই ৫মিনিট দারা আমি ১০মিনিটে আসছি ।

বলেই মেরিন নীড় হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো ।

.

মেরিন : ওই মিঞা ওই … কি ভাবেন নিজেকে হ্যা? কি ভাবেন নিজেকে ? কি বলতে যাচ্ছিলেন আপনি মিষ্টুকে ? হ্যা ?
নীড় বাকা হেসে মেরিনের ২কাধে ২হাত রাখলো । আর মেরিন ৪৪০ ঝটকা খেলো। মেরিনের কাধে হাত দেয়ার থেকে ওকে ৪৪০V ঝটকা দিলে হয়তো ও বেশি খুশি হবে ।
নীড় : নাচছো কেন ?
মেরিন : হহাত সরান কাধ থেকে ।
নীড় : ok..
বলেই নীড় কাধ থেকে হাত সরিয়ে মেরিনের কোমড় জরিয়ে নিজের সাথে ধরে মিশিয়ে নিলো।
মেরিন : you…
নীড় টুপ করে মেরিনের গালে কিস করে দিলো। মেরিনের চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম । নীড় মেরিনের কপাল থেকে চুলগুলো সরাতে সরাতে
বলল : my dear বনপাখি … আপনি যদি আমার কথা না শোনেন তবে আপনার কাহিনী আমি সুন্দর করে আপনার মিষ্টুর কাছে বলে দিবো। then আপনার মিষ্টু কি করবে just imagine …
মেরিন কল্পনা করলো । যে সত্যিটা জেনে মোহনা friendship ভেঙে দিলো।
মেরিন : না… ???..
নীড় : আমার কান। যাই হোক কল্পনা করা শেষ হলে মোহনার কাছে যাই ।
বলেই নীড় মেরিনের কাছ থেকে সরে গেলো । মোহনার দিকে যাওয়া ধরলো ।
মেরিন : আমি তোকে দেখে নিবো শালি কানকাটা তেলাপোকা , শিংকাটা হনুমান , ডানাকাটা ডাইনোসর , নাক কাটা গরু …
নীড় ঘুরলো ।
নীড় : like really …?
বলেই নীড় আবার মেরিনের খুব কাছে গিয়ে দারালো ।
নীড় : নাও দেখ আমাকে।
মেরিন দেখবে কি ? ওর তো হাত-পা কাপছে। এমনিতেই নীড় সামনে এলে heart beat fast হয়। আর তারমধ্যে এতোকাছে দারিয়ে । heart টা মনে হয় বেরিয়েই যাবে।
নীড় : কি হলো দেখো।

.

সাগর মোহনাকে বকতে বকতে বের হচ্ছে।
সাগর : এই মেয়ে জীবনেও মানুষ হবেনা। কি সব প… আরে এটা কি দেখছি? নীড় জানু দেখি মাঠে নেমে পরেছে? আমিই তাহলে পিছিয়ে থাকবো কেন?

মোহনা : এরা কথা বলতে গিয়েছে না বিয়ে করতে?
তখন সাগর ফিসফিস করে মোহনার কানের কাছে
বলল : বিয়ে করতে …
মোহনা লাফিয়ে উঠলো । পিছে ঘুরলো। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। এরপর বুকে থুথু দিয়ে থাপ্পর দিলো ৩টা ।
মোহনা : আপনি তো আসলেই জল্লাদ। যেকোনো সময়ে মানুষের heart attack করিয়ে দিবেন ।
সাগর : আর কারো করাতে চাইনা। তোমারটা করাতেই চাই।
মোহনা মনে মনে : এর সাথে কথা বলা এখন বেকার । এর থেকে ভালো মেরুন আর ঢোলের কাছে যাই। শালি চৌধুরী … তোকে আমি চৌধুরী দিয়েই কুপোকাত করবো।
বলেই মোহনা হাটতে লাগলো।
সাগর : মোহোপাখি কোথায় যাচ্ছেন?
মোহনা ৩৬০° কোণে পিছে ঘুরলো।
মোহনা : কি বললেন আপনি ?
সাগর : কি শুনলে তুমি ?
মোহনা : আ…
তখন মোহনা মেরিনের ডাক শুনলো।
মোহনা : huh…
মোহনা মেরিনের কাছে গেলো ।

.

মোহনা : ?
মেরিন : এএএভাবে তততাকিয়ে আছিস কেন?
মোহনা : শুরুতে তো কথা বলতে চাসনি ? এরপর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলি । এরপর ২৫কেজির বেশি সময় ধরে প্যাচাল পারলি। এখন বলতো কাহিনী কি?
নীড় : হ্যা বলো তো কাহিনী কি?
মেরিন : তুই আমাকে জিজ্ঞেস করছিস কাহিনী কি? আমি থাকতে তুই এই গলাকাটা ব্যাঙ টাকে friend বানাবি । যে কিনা আমার ৭ জনমের শত্রু।
মোহনা : এই ঢোল তোর ৭ জনমের শত্রু কবে ছিলো ? তোর ৭জনমের শত্রু কুতুবমিনার?
মেরিন : কুতুবমিনার তো কেবল এই জনমের শত্রু । আর ঢোল তো ৭জনমের শত্রু ।
মোহনা : !!!
মেরিন : ৭জনমের শত্রু… যাই হোক এখন চল । তোকে drive করতে দিবো এখন। ?।
মেরিন : সত্যি??? ?।
মোহনা : একদম awwwe ki cute সত্যি । চল।
মেরিন : চল ।
নীড় : আমি কি তোমাদের car এ আসতে পারি?
২জন : কেন আপনার কি গাড়ি নেই?
মেরিন : মনে হয় uncle সব নিয়ে নিয়েছে। নিবেই তো যে বাসি ice cream … huh…
মোহনা : taxi নিয়ে follow করেন।
বলেই ২জন গাড়িতে উঠলো।
নীড় : এরা আসলেই ভিন্ন গ্রহের প্রাণী। চল বাবা নীড় এদের follow কর।
নীড় ২জনকে follow করলো। বিশ্বের যতো আজগুবি টেস্ট নীড়কে দিতে হলো।

.

৩দিনপর…
মেরিন-মোহনা শপিং করতে গিয়েছে । তখন মোহনা শিখাকে দেখতে পেলো।
মোহনা : মেরুন মেরুন … তোকে জল্লাদ কুতুবমিনারের মায়ের কথা বলেছিলাম মনে আছে?
মেরিন : হামমম।
মোহনা : ওই যে ওই যে ।দেখ।
মেরিন শিখাকে দেখলো। আর দেখে মনে হলো কোথায় যেন দেখেছে ।
মেরিন মনে মনে : কোথায় যেন দেখেছি?
মোহনা : কি ভাবছিস?।
মেরিন : কিছুনা। চল আজকে এর band বাজাই। মনের সুখে।
মোহনা : চল মেরি জান।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে