#Bestfriend
part : 33 ( last )
writer : Mohona
.
নীড়ের অফিসে…
নীড় : আচ্ছা সাগর মোহনা ওর বাবা-ভাইয়ের ওপর ক্ষেপেছিলো কেন?
সাগর : আরে মমতা খান মোহনাকে খোচা মেরেছিলো। যাতে করে ক্ষেপে গিয়ে মোহনা মমতা খানকে ধাক্কা মেরেছিলো। বুড়ি তেমন ব্যাথা পায়নি। তবুও শুভ্র আর অভ্র মোহনাকে লেকচার দিয়েছিলো।
নীড় : ওহ।
তখন সাগরের ফোন বেজে উঠলো।
সাগরের মোবাইল বেজে উঠলো।
সাগর : হ্যাললো…
…
সাগর : what??
…
সাগর : ok… আরও গভীরে যাও। রাখছি ।
নীড় : কি হয়েছে?
সাগর : ১টা ধামাকাদার খবর পেলাম।
নীড় : কি?
সাগর : চাচ্চুর career বরবাদ শুভ্র খান করেনি। শুভ্র খানের নাম ব্যাবহার করে অন্য কেউ করেছিলো।
নীড় : কি?
সাগর : হামম।
নীড় : তারম…
নীড়ের টেলিফোন বেজে উঠলো ।
নীড় : হ্যাললো… কি? মমেরিন?
সাগর : কি হয়েছে?
নীড় : মেরিন আমার অফিসে।
সাগর : ভালো। কি? এখন?
নীড় : তুই এদিক দিয়ে যা… না না তুই ওদিক দিয়ে যা… টেবিলের নিচে ঢোক…
সাগর just টেবিলের নিচে গেলো আর মেরিন ভেতরে ঢুকলো।
.
মেরিন ঢুকে দেখে নীড় freeze হয়ে রোবটের মতো বসে আছে। চোখ গুলো বড় বড় করে। মেরিন ঘাবরে গেলো।
মেরিন : কি হয়েছে? এমন লাগছে কেন তোমাকে?
মেরিন কাছে যেতে নিলে নীড় হাহা করে হেসে উঠলো। মেরিনকে বরাবরা চেয়ারে বসিয়ে দিলো।
নীড় : তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য…
মেরিন : আমার তো মনে হচ্ছিলো তুমিই ভয় পেয়েছো।
নীড় : কি যে বলো… ?
মেরিন : anyway … আমি তোমার সাথে কিছু জরুরী কথা বলতে এসেছি।
নীড় : বলো…
মেরিন : আচ্ছা আমি গভীরভাবে ভেবে দেখলাম যে সাগর চৌধুরী আমার মতো কোনো step নেয়নি তো?
নীড় : মমমানে?
মেরিন : মানে friendship এর জন্য sacrifice …
সাগর : আব্বে না কর…
নীড় : কি যে বলো … তোমার আর তোমার বাবার মধ্যে কি হয়েছে তা সাগর কি করে জানবে? uncle কি কখনো তোমার মিথ্যা কসম খাবে?
মেরিন : হ্যা তাও ঠিক।
নীড় : তুমি বেশি ভাবছো। আর ওই শয়তানটার নাম আর আমার সামনে নিবেনা। i just hate her i mean him..
সাগর : শালা…
বলেই সাগর নীড়ের পায়ে চিমটি কাটলো।
নীড় : আহ।
মেরিন : কি হলো?
নীড় : কিছুনা… চলো আজকে ২জন একসাথে lunch করি।
মেরিন : ok….
সাগর : বাচলাম।
.
কিছুদিনপর…
সায়ান : are you sure about me…
মোহনা : my family is sure…
সায়ান : বিশ্বাস হচ্ছেনা যে তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজী হলে।
মোহনা : আমারও হচ্ছেনা।
মনে মনে : শালা … কি ভেবেছিস সাগরের ওপর রাগ দেখিয়ে তোকে বিয়ে করবো? নীড়-মেরিনের কবুল বলা শেষ হলেই আমি তোর ব্যান্ড বাজাবো। তোর এমন হাল করবো যা বলার বাইরে হতচ্ছারা। আমি কি আর তেমন মানুষ যে ১জনের ওপর রাগ দেখিয়ে তোকে বিয়ে করবো? অতো বোকা আমিনা।
সায়ান : তাহলে uncle এর সাথে কথা বলি…
মোহনা : okk…
মনে মনে : শালা 5G এর থেকেও স্পিড।
.
পরদিন…
শুভ্র : আপা… এখনই মেয়েটাকে বিয়ের কথাটা বলি কি করে?
মোহনা : কেন? মুখ দিয়ে।
শুভ্র : মামনি… তুমি?
মোহনা : হামম। ভালো আছো আন্টি?
মিসেস জাবিন : হ্যা মা ভালো আছি।
শুভ্র : মামনি…
মোহনা : বাবা… সাগর চৌধুরী ধোকা দিয়েছে বলে আমি কেন move on … করবো না? আর তাছারাও… তুমি তো সবসময়ই চাইতে সায়ানের সাথে আমার বিয়ে দিতে। তবে?
শুভ্র : কিন্তু মামনি ভেবে দেখো।
মোহনা : কখনো ভেবে কাজ করিনি। তাই কখনো আফসোসও করিনি। ১বার ভেবে কাজ করে আফসোস করতে হচ্ছে । তাই আর কখনোই ভেবে কাজ করবোনা…
শুভ্র : হামম।
মোহনা : তবে আমার ১টা ইচ্ছা আছে। আমি আর মেরুন একই দিনে বিয়ে করতে চাই।
শুভ্র : যেমনটা আমার মামনির ইচ্ছা।
.
মেরিনদের বাসায়…
মেরিন : কি বলছো কি বাবা? মিষ্টু সায়ানকে বিয়ে করতে রাজী হয়েছে?
কবির : হ্যা।
মেরিন : কিন্তু ও তো সাগরকে সহ্যই করতে পারেনা।
কবির : হ্যা জানি কিন্তু তবুও রাজী হয়েছে।
মেরিন আর দেরি না করে মোহনার কাছে গেলো।
মোহনা : congrats my কলিজা & me too…
মেরিন : তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? তুই তো সায়ানকে ঘৃণা করিস।
মোহনা : তাকেই বিয়ে করা উচিত যাকে ঘৃণা করি। কারন তার কাছ থেকে কষ্ট পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ?।
মেরিন : দেখ সাগরের ওপর রাগ দেখিয়ে নিজে কেন অন্ধকারে ঝাপ দিবি?
মোহনা : এখানে ঝাপানোর কি আছে? দেখ ২জন একই দিনে বিয়ে করবো। এতে করে ২দিন কাদতে হবেনা। you know … i hate tears…
মেরিন : তুই আমার রাগ উঠাচ্ছিস।
মোহনা : ওই চুপ থাকতো। তোর কানপট্টির নিচে ১টা লাগাবো বলে দিলাম।
মেরিন : কেন করছিস এমন?
মোহনা : আমি জীবনে বিয়ে করিনি… তাই ।
মেরিন : ইইই…
মেরিন দামদুম কিল দিতে লাগলো মোহনার পিঠে। এরপর হাতের সামনে যা পেতে লাগলো সব ছুরে মারতে লাগলো মোহনার দিকে।
মোহনা : ওরে বাবার বাচাওরে। পাগল ক্ষেপেছে রে…
মোহনাকে ধাওয়া করে মেরিন দৌড়াচ্ছে। সারা বাড়ি লন্ডভন্ড করে ফেলেছে ২জন মিলে।
.
মেরিন : সাগর চৌধুরী … ???
মেরিনের গর্জনে সাগর সোফা থেকেই পরে গেলো। মেরিন গিয়ে সাগরের কলার ধরে টেনে তুলল।
মেরিন : কেন কেন কেন তুই আমার মিষ্টুর জীবন নষ্ট করলি ?বল … বল । কি দোষ করেছিলো আমার মিষ্টু। ওর মন ভাঙলি কেন? শুধুমাত্র তোর জন্য মিষ্টু ওই গবেট সায়ানকে বিয়ে করতে যাচ্ছে।
সাগর : কিহ?
মেরিন : হ্যা। আমার মিষ্টু জ্বলে পুরে মরবে আর তুই বউ নিয়ে সুখে থাকবি তা হবেনা তা হবেনা … আগে তোর ওই বউকে খুন করবো তারপর তোকে। কোথায় ও? বল… ওপরে? না কিচেনে?
মেরিন সাগরকে ছেরে দিয়ে নিজের গান বের করে চিরুনী তল্লাসী চালালো ।
সাগর : মোহো কি পাগল হয়ে গিয়েছে? সব তো ভালোই চলছিলো তাহলে কোন দুঃখে ওই গাধাটাকে আবার মাঝে ঢুকাচ্ছে।
মেরিন : কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস ওই রুষাকে?
সাগর : আমার মাথায়।
বলেই সাগর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। সোজা পাগলা গারদে গেলো। মোহনা গরম গরম কফি খাচ্ছিলো।
সাগর : মোহো…. মোহো…???…
সাগরের জন্য ঠুস করে মোহনার গায়ে গরম গরম কফিটা পরে গেলো। মোহনা কফি থেকে বের হতে না হতেই সাগর ওর বাহু ধরে দার করালো। ভয়ংকর লাল হয়ে আছে ওর চোখ। না চাইতেও মোহনা ভয় পেলো। লম্বা ১টা ঢোক গিলল।
সাগর : কোন সাহসে ওই সায়ানকে বিয়ে করার কথা ভাবলে…? ans me damn it…
মোহনা : আআআপ…
সাগর : বলো…
তখন নীড় এসে ঘুষি মারলো।
সাগর : সরে যা নীড়…
নীড় : সরাবো তো তোকে আমি। এই দুনিয়া থেকে।
বলেই নীড় সাগরকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
অভ্র : এই ছেলেটাকে তো আজকে আমি জানেই মেরে ফেলবো।
শুভ্র অভ্রের হাত ধরে ফেলল।
অভ্র : কি হলো বাবা?
শুভ্র : রাগ কমাও ঠান্ডা হও।
অভ্র : কিন্তু বাবা …
শুভ্র : কিছু বলেছি। let me handle this… আর মনে থাকে যেন , সাগরের ধারে কাছেও তুমি থাকবেনা। got it…
অভ্র : বাবা তুমি কেন ওই ছেলেটাকে বাচানোর চেষ্টা করছো?
শুভ্র : তুমি আমার বড় সন্তান । কিন্তু আমার বড় নও।
মনে মনে : অনেক কিছু জানার আছে আমার । সেগুলো clear না হওয়া পর্যন্ত কিছু করা যাবেনা। বিয়েও সম্পূর্ন করা যাবেনা।
.
সাগর : তুই আমাকে এখানে নিয়ে এলি কেন?
নীড় : তো কি করতাম ? শুভ্র আর অভ্র খানের হাতে গুলি খেতে দিতাম? তুই কি পুরো দমে পাগল হয়ে গিয়েছিস?
সাগর : হ্যা পাগল হয়ে গিয়েছি। মোহো কেন সায়ানকে বিয়ে করবে?
নীড় : কেন করবেনা? তুই রুষাকে বিয়ে করতে পারলে ও সায়ানকে কেন বিয়ে করতে পারবেনা?
সাগর : আরে রুষাকে তো আমি বিয়েই করিনি।
নীড় : সেটা তো মোহো জানেনা…
সাগর : তাই বলে ও অন্য কাউকে বিয়ে করবে আর আমি দেখবো?
নীড় : কেন দেখবি কেন? দেখ ঠিক করেছিলাম তোর আর মোহনার বিয়ের দিন আমি মেরিনকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো। কিন্তু সেটা তো হলোনা। খান মেয়েদের তুলে নিয়ে বিয়ে করা খুব কঠিন কাজ। কিন্তু তোর কাজটা তো সহজ। সায়ানকে উরিয়ে ওর জায়গায় বসে পরবি…
সাগর : কেন আমার মুখে কি ঘোমটা থাকবে নাকি মেয়েদের মতো যে কেউ আমাকে দেখবে না…
নীড় : আরে চিল মার। বলবো traditional style এ বিয়ে করবো। সেহরা বেধে। আর ওই সায়ানকে তো মনের মতো ধোলাই দিবো ২জন মিলে।
সাগর : ১টা কথা বলবি?
নীড় : বল মেরে জান।
সাগর : তুই এগুলো বুদ্ধি আনিশ কোথায় থেকে?
নীড় : its talent bro…
সাগর : তোকেই মানায় ইঞ্জিনিয়ার।
নীড় : i know … & i proud of me…
সাগর : ?।
ওদিকে মমতা খান জাবিনকে বলে বিয়ের দিন তারাতারি ঠিক করলো। শুভ্র চেষ্টা করেছে যেন পেছানো যায় । কিন্তু এক মেয়ের জন্য অন্য মেয়ের জীবনে তুফান ওঠাতে পারবেনা। যদি মোহনা রাজী না থাকতো তবে আলাদা কথা হতো।
.
৭দিনপর…
কবির : সরাসরি বিয়ের ব্যাবস্থা করলি কেন? engagement না করিয়েই ডিরেক্ট বিয়ে। কাহিনী কি?
শুভ্র : কারন হয়তো মোহনা-সায়ানের বিয়ে বানচাল হবে ।
কবির : মানে? আর তুই যাচ্ছিসই বা কোথায়? ৭দিন পর বিয়ে।
শুভ্র : বলছি সব বলছি । শোন তোকে এখানে থাকতে হবে আর সবটা সামলাতে হবে ।
কবির : তুই যখন বলছিস। কেন যাচ্ছিস তাতো বলবি।
শুভ্র : প্রমান আনতে। কবির : মানে।
শুভ্র : শোন তবে…
.
মেরিন গাড়ি চালিয়ে বাসায় যাচ্ছে । তখন দেখে রুষাকে। মেরিনের মাথাটা গরম হয়ে গেলো। মেরিন রুষার কাছে গিয়ে সোজা ওর গলা চেপে ধরলো।
মেরিন : খুব শখ না সাগর চৌধুরীর বউ হওয়ার হ্যা? সাগর চৌধুরীর বউ হওয়ার সাধ এবার তোর মিটবে।
রুষা অনেক কষ্টে
বলল : আমি সাগরের বউ নই ।
মেরিন : অমনি… ফালতু কথা। জান বাচানোর জন্য বউনা…
রুষা : সসসত্যি বলছি… সসসাগর আমাকে বিয়ে কককরেনি।
মেরিন গলা ছেরে দিলো ।
মেরিন : মানে?
রুষা : জানিনা কেন সাগর আমাকে সেদিন বউ সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো । আআআমি যা করেছি সসসব সসসাগরের ভয়ে। i swear …
মেরিন : যদি মিথ্যা হয় তবে আমি তোর জান নিয়ে নিবো…
মেরিন : আমার সব প্রশ্নের জবাব কেবল আর কেবল সাগর চৌধুরীই দিতে পারে। কেন এমন জঘন্য খেলা খেলল…
মোহনা সাগরের বাড়িতে গেলো । গিয়ে নীড়কে পেলো।
মেরিন : নীড় তুমি? এখানে?
নীড় মনে মনে : আজকেই আমার জীবনের শেষ দিন… বিদায় পৃথিবী… না নীড়। ভুলে যাস কেন যে তুই কে? তুই নীড়।
মেরিন : তুমি নিজে থেকে বলবে না আমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে?
নীড় : তুমি friendship পালন করেছিলে জবাবদিহি করোনি। so আমিও করবোনা।
সাগর : কিন্তু আমি করবো।
মেরিন : আপনি তো চুপই থাকেন। মিথ্যা বিয়ের নাটক করে …
সাগর : ok… কিন্তু নীড় কেন এসেছে জানো? আমাকে শেষবারের মতো বোঝাতে। তুমি যতোটা মোহোকে ভালোবাসো ততোটা নীড়ও বাসে। আর তাই। যখন জানতে পেরেছে বিয়েটা নকল ছিলো তখন ছুটে চলে এসেছে। কারন ও মনে করেছে মোহোর খুশি আমার কাছে।
মেরিন : নীড় তোমার সাহস কি করে হলো এই লোকটার কাছে মিষ্টুর খুশী চাইতে আশার।
নীড় : মোহনা আমার বোনের মতো। তাই ওর আসল সুখের কাছে এসেছি ।
মেরিন : এই লোক ১টা অমানুষ। কিছু বলারই নেই একে। চলো।
মেরিন নীড়কে টানতে টানতে নিয়ে গেলো ।
.
বিয়েরদিন…
নীড়-সাগর সায়ানকে kidnap করে নিয়ে ইচ্ছা মতো পিটানি দিলো ।
সাগর : শালা… আমার মোহোকে বিয়ে করবি? এতো বড় কলিজা? তোর বিয়ের সাধ মিটিয়ে দিবো । হতচ্ছারা।
নীড় : আমার বোন + শালি + ভাবি কে বিয়ে করার সাহস তোর হলো কি করে রে? আয়নায় চেহারা দেখেছিস? গরুর মতো দেখা যায়। কেবল শিং টাই নেই। আজকে তোর মাথা ২দিক দিয়ে এমনভাবে ফাটাবো যে শিং বেরিয়ে আসবে। এই সাগর তুই ওই দিকে ফাটা আর আমি এই দিক দিয়ে।
সাগর : হাহাহা… best idea… love you ইয়ার। will you marry me…
নীড় : হাহাহা… any time…
.
সন্ধ্যায়…
মেরিন-মোহনা বউ সেজে বসে আছে। অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে। আর অন্যদিকে নীড়-সাগর। সেহরা পরে। সবটাই নীড়ের plan ।
নীড় : ওই আমার বউকে কেমন লাগছেরে?
সাগর : আব্বে সালায় কয় কি? আমিও তো এদিকেই । ক্যামতে কমু…?
নীড় : তোর ছব রং উইরা যাইবো। যখন তোর খোমাটা মোহনা দেকবো। মহাসুন্যে পাঠাইয়া দিবো…
সাগর : আরে ডর দেহাস ক্যালা? অনেক টেনসনে আছি…
নীড় : ওই দেক কাজী ছাহেব আইয়া পরচে।
সাগর : সুকুর আলহামদুলিল্লাহ…
কাজী বিয়ে পরানো শুরু করলো তখন শুভ্র এলো।
শুভ্র : ১মিনিট… আমার কিছু কথা আছে।
কবির : thanks god…
শুভ্র : আমি আমার “মা” … মানে মিসেস মমতা খান কে অনুরোধ করছি ঠিক এই জায়গাটায় আসতে । মমতা খান গেলো।
শুভ্র : আজকে ১টা ভাই ১জন মা কে অপমান করবে…
সবাই : …
শুভ্র : এখানে কেউ হয়তো জানেন না যে আমার বাবা ২য় বিয়ে করেছিলো। তবে ১টা অসহায় মেয়েকে বাচাতে। আমার ছোট বোন শোভা আমার ছোটোমার সন্তান । সে মারা যায়। মমতা খান কখনোই শোভাকে পছন্দ করতোনা। কিন্তু এমন জঘন্য কাজটা যে করবে সেটা ভাবতেও পারিনি। যখন মমতা খানের ভাতিজা … মানে আমার মামাতো ভাই আলম আমার বোনকে ধোকা দেয় তখন মমতা খান অতি চালাকি করে দোষটা সাফোয়ান চৌধুরীর ঘাড়ে চাপায়। আর আলম আমার নাম নিয়ে সাফোয়ানের career বরবাদ করে দেয়। শুধু তাইই নয়… আমার ছোটবোন শোভা suicide করেনি । এই আলম আর মমতা খান খুন করেছিলো । যেটা suicide বলে চালিয়ে দিয়েছিলো। আমার রেদোয়ানের মধ্যে চির শত্রুতা তৈরী করেছিলো। এখন আপনারাই বলুন এই মহিলাকে কি বলবো? মা বলা কি ঠিক হবে? পুলিশে ধরিয়ে দিলে কি অপরাধ হবে? যদি হয়ও তবুও ধরিয়ে দিবো। এই মমতা খান আর আলম কে।
শিখা এগিয়ে এলো ।
শিখা : ছিঃ মমতা খান ছিঃ। আপনি মানুষই না। যদি শোভার বদলে আলম ভাই আমার সাথে এমন করতো তখনও কি এটা করতে? ছিঃ। office নিয়ে যান। এদেরকে।
সবার মেলোড্রামা হলো। এরপর শুভ্র মোহনার কাছে গেলো ।
শুভ্র : মামনি… i am sorry … সাগর যা করেছে তা আমার জন্য করেছে। মেরিন যেমন #Bestfriend এর জন্য ভালোবাসা ত্যাহ করেছিলো তেমনি সাগরও করেছে। ও তোকে ভীষন ভালোবাসে।
শুভ্র সবটা বলল। সব শুনে মোহনার আরো রাগ হলো সাগরের ওপর।
শুভ্র মিসেস জাবিনের কাছে ক্ষমা চাইলো। সায়ান আর মোহনার বিয়ে হবেনা বলে।
নিহাল : ইশ আজকে কেবল সাগর থাকলে আজই বিয়ে গুলো হতে পারতো।
নীড় নিজের সেহরা খুলল।
.
নীড় : কে বলল এখানে সাগর নেই? আছে।
বলেই নীড় সাগরের চেহারাও বের করলো।
সাগর : হ্যালো guys… ?…
নীড়ও সবটা বলল।
সবাই : ?।
নিহাল : বাহ কেয়া বাত হ্যা। east & west… chowdhuriS are best…
রেদোয়ান : শুরু হোক বিয়ের উৎসব।
কবির : সব বিয়ে তে বিয়ে পরে হয়। কিন্তু এই ২জুটির বিয়েতে আগে বিয়ে হবে। এরপর গায়ে হলুদ।
শুভ্র : এরপর সংগীত এরপর রং খেলা।
নিহাল-রেদোয়ান-কবির-শুভ্র : আর সব শেষে engagement …
মেরিন-মোহনা : না… আমরা এই ২জনকে বিয়ে করবোনা।
সবাই : কেন?
২জন : কারন এরা ধোকাবাজ।
সবাই : নানানা। এটা ভুল।
২জন : না না না…. ???…
নীড়-সাগর : বলেকি…
২জন ছুটে গিয়ে মেরিন-মোহনার সামনে হাটু গেরে কান ধরে বসলো।
নীড় : শেষবারের মতো ক্ষমা করো বনপাখি… প্লিজ … বিয়েটা করো
সাগর : মোহোপাখি … আমি চাইনি বারবার তোমাকে hurt করতে… ।ক্ষমা না করে শাস্তি দাও। কিন্তু বিয়েটা করো।
মেরিন-মোহনা : না…
নীড়-সাগর : আর কখনো কোনোদিন ধোকা দেয়া তো দূরের কথা… মিথ্যা কথাই বলবোনা। কসম friendship এর । please forgive us…
মেরিন-মোহনা ২জন ২জনের দিকে তাকালো। এরপর নীড়-সাগরকে ঠাস ঠাস করে থাপ্পর মারলো।
মেরিন-মোহনা : ok… forgive you… but its last time…
নীড়-সাগর : ভালোভাবে বললে কি হতো? থাপ্পর মারার দরকার কি ছিলো???
সবাই : হাহাহা…
মহাধুমধাম করে ওদের বিয়ে হলো। আর সবশেষে engagement হলো।
২৫বছর পর নীড়-মেরিনের ছেলে নির্বন আহমেদ চৌধুরীর সাথে সাগর-মোহনার মেয়ে সাহোনা চৌধুরীর বিয়ে হলো।
.
.
❤❤❤সমাপ্ত❤❤❤
Darun darun darun… So funny… Golpota pore Onek hasi payeche…. Just Wow….. Thanks