Bestfriend part : 29

0
2624

#Bestfriend
part : 29
writer : Mohona

.

শুভ্র : আমাকে এখানে ডাকলে কেন কবির? কোনো সমস্যা?
কবির : i have a plan।
শুভ্র : কি?
কবির : ঠান্ডা মাথায় শোন।
শুভ্র : বল।
কবির : আমি জানতে পেরেছি যে সাগর চৌধুরী মিষ্টি মামনিকে ভালোবাসে …
শুভ্র : কি? ওর এতো বড় সাহস…
কবির : ঠান্ডা হ। আমার কথা শোন।
শুভ্র : কি শুনবো। ওই ছেলের কলিজা টা আমি বের করে ফেলবো। তারআগে ওই রেদোয়ান চৌধুরীকে । আমার বোনদেরকে কেরে নিয়ে মন ভরেনি। এখন আবার আমার কলিজার টুকরার পিছে পরলো। আমি।
কবির : শুভ্র। ঠান্ডা মাথায় আমার কথা শোন। দেখ এটা তুইও জানিস আর আমিও জানি যে আমরা চাইলেও রেদোয়ান আর সাগরকে কিছু করতে পারবোনা। কারন শিখা…
শুভ্র : ও আমার কাছে মৃত।
কবির : really …? তাহলে আজও কেন ওর জন্মদিন এলে দান করিস। বল… কেন??
শুভ্র : …
কবির : anyway … সাগর সত্যিই মোহনাকে ভালোবাসে।
শুভ্র : মোটেও না । এটা রেদের plan… আমার বোনদের জীবন নষ্ট করে এবার আমার মেয়ের পেছনে পরেছে।
কবির : না । সাগর মিষ্টিকে ভালোবাসে। সত্যিকারের। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। আর এখন তো মিষ্টিও।
শুভ্র : তারমানে আমার মেয়েটাকে ফাসিয়েও ফেলেছে।
কবির : শুভ্র তুই কি বুঝতে পারছিসনা আমি যে বলছি সাগর সত্যি ভালোবাসে। আমি test নিয়েছি। আরালে থেকে। এমনকি নারকো টেস্টও ।
শুভ্র : হোক। তবুও আমি…
কবির : মিষ্টি ওকে ভালোবাসে।
শুভ্র : so what? আমি মেনে নিবোনা মামনির জন্য সাগরকে। সায়ানের সাথেই বিয়ে হবে মামনির।
কবির : যদি মামনি suicide করে?
শুভ্র :…
কবির : already কাকীমার জন্য মিষ্টিকে তুমি তোমার জন্য হারিয়ে ফেলেছিস। অবশ্যই তোর দোষ ছিলো। তুই জানিস কাকীমার চরিত্রটা কেমন। তবুও… anyway … পুরোনো কথা বাদদে। মিষ্টিকে জোর দিলে মিষ্টি যা তা করতে পারে।
শুভ্র : ও কেবল মার ওপর জেদ দেখিয়ে হয়তো সাগরের ভালোবাসা মেনে নেয়ার ভান ধরেছে।
কবির: না। সাগর-মোহনার বিয়ে দিতে হবে।
শুভ্র : অসম্ভব। আমার মেয়েকে আমি জেনে বুঝে জাহান্নামে পাঠাতে পারবোনা।
কবির : তোকে বিয়ে দিতে বলেছি। মিষ্টিকে জাহান্নামে পাঠাতে না। আর তুই ভাবলি কি করে যে আমি মিষ্টিকে ওই বাড়িতে পাঠাতে বলবো।
শুভ্র : কি বলছিস আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।
কবির : বিয়ের পর সাগর তোর বাসায় এসে থাকবে।
শুভ্র : what?
কবির : yes… এতে করে মিষ্টি safeও থাকবে।
শুভ্র : ঘরে আমি কালসাপ ঢোকাবো।
কবির : ভুলে যাসনা কবির দুশমনকে সবথেকে কাছে রাখতে হয়।
শুভ্র : আমার মন সায় দিচ্ছেনা।
কবির : দিতেই হবে। আমরা ওদের দেউলিয়া করে দিবো। ওদের business মিষ্টির নামে লিখে দিতে বলবো। ১দিকে বিয়ে হবে অন্যদিকে paper sign হবে। আর সাগরও হাতের মুঠোয়। “ঘরজামাই” …
শুভ্র : কিন…
কবির : কোনো কিন্তুনা।

ছলে বলে কৌশলে কবির শুভ্রকে রাজী করালো।

কবির মনে মনে : ক্ষমা করিস শুভ্র তোকে ১টা মিথ্যা বললাম। কিন্তু আমি যে নিরুপায়। সবাই হার মানানো যায়। কিন্তু নিজের সন্তানকে না। মেরিন আমার জীবন। আমি চাইনি মেরিন-মোহনা কারোই কোনো ক্ষতি হোক। কিন্তু মেরিন জেদের জন্য এমনটা করতে হলো। তবুও মিষ্টির safety এর কথা ভেবেই আমি সাগরকে ঘরজামাই করার কথা বললাম। আমি চাইনা মিষ্টির কোনো ক্ষতি হোক।

.

পরদিন…
সারারাত কান্না করে মেরিন মেডিকেল গেলো। মোহনা কথা বলছেনা।
মেরিন : কিরে টম ফুলে আছিস কেন?
মোহনা : সর আমার সাথে কথা বলবিনা। তুই আমার মেরুন হতে পারিসনা। তুই অন্য কেউ।
মেরিন : হ্যা আমি ঘসেটি বেগম। চল।
মোহনা : এই মেরুন বলনা কেন এমন করছিস? কি হয়েছে?বলতো।
মেরিন : কি হবে কিছুইনা।
মোহনা : তুই কিন্তু বেশি করছিস ।
মেরিন : কম বেশির কি আছে ? আমি ওনাকে ভালোবাসিনা তো বাসিনা।
মোহনা : তুই বাসিস। মিথ্যা কথা বলছিস।
মেরিন : মিথ্যা এখন না এতোদিন বলেছি। অভিনয় করেছি নীড়ের সাথে।
মোহনা : কিন্তু কেন? ভাইয়া তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
মেরিন : ভালোবাসা না ছাই। সব ওনার প্রতিশোধ। প্রথমে reject করেছি । সেটারই বদলা নিচ্ছে । জ্যোতিকে ভালোবাসে।
মোহনা : এই কথাটা বলতে তোর বুক কাপলোনা। তুই ভাইয়ার ভালোবাসাকে এভাবে অপমান করতে পারিসনা।
মেরিন : যা সত্যি তাই বলছি।
মোহনা : এটা তুইও জানিস আর আমিও জানি যে তুই আমাকে মিথ্যা বলতে পারিসনা । তবে কেন বলছিস?
মেরিন : আমি মোটেও মিথ্যা বলছিনা।
মোহনা : মেরুন ত…
মেরিন : ম্যাম চলে আসবে। come fast ।

.

রাতে…
মেরিন ছাদে দারিয়ে আছে। বৃষ্টি শুরু হবে। তখন নীড় এসে মেরিনের বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরালো।

মেরিন : আপনি ?
নীড়ের চোখে ভাষা পানি দেখে মেরিনের বুকটা মোচর দিলো।
নীড় : কেন এমন করছো আমার সাথে ? কি অহপরাহধ আমার…
মেরিন নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
মেরিন : you hurt my ego… forced me… আমি আমার মর্জির মালিক… কেউ কখনো আমাকে জোর করেনি। আর আপনি… আপনি বারবার আমাকে জোর করেছেন। আর তারথেকেও বড় কথা আপনার আর জ্যোতিকে দেখলে যে কেউ আপনাদের story বুঝে যাবে। নোংরা সম্পর্ক…
নীড় : মেরিন…
মেরিন : চিল্লালেই সত্যিটা মিথ্যা হবেনা।
নীড় চোখ বন্ধ করে ৩বার জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিলো। রাগটাকে control করার জন্য । মেরিনের ২গালে হাত রাখলো। মেরিন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। নীড় এবারও নিজেকে শান্ত রাখলো
নীড় : জান… এতোদিন যা হয়েছে যা করেছি তাতে যদি তুমি কষ্ট পেয়ে থাকো তবে i am really very sorry… কিন্তু আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি। যদি তুমি এতোদিন অভিনয় করে থাকো তবেও আমি সেটা ভুলে যাবো। এবার তো আমাকে ভালোবাসো… i love you… i really love you… তোমাকে ছারা বাচতে পারবোনা। প্লিজ মেরিন… আমার হয়ে যাও।
নীড় মেরিনের কপালে কপাল ঠেকিয়ে
বলল : আমাকে ফিরিয়ে দিওনা…
মেরিন নীড়কে জোরে ধাক্কা মারলো। গ্রিলে লেগে নীড়ের কপাল কেটে গেলো।
মেরিন : আপনি কি বাংলা ভাষা বোঝেননা? আমি আপনাকে ভালোবাসিনা।

নীড় : আমি কখনোই চাইনি। এমনকি ভাবিও নি নিজের ভয়ংকর রূপটা তোমার সামনে আনবো। নিজের রাগ তোমার ওপর তুলবো না। কিন্তু এবার আনতেই হবে। বাধ্য করলে তুমি। এতোদিন তুমি আমার ভালোবাসা দেখেছো। এবার থেকে ঘৃণা দেখবে। তবে হ্যা বিয়ে আমি তোমাকেই করবো। তোমাকেই বউ বানাবো। সারাজীবন নিজের কাছে রাখবো। তোমাকে নিয়ে যতো স্বপ্ন দেখেছি সব পূরন করবো। কিন্তু ভালোবেসে না ঘৃণা করে। আর জ্যোতির কথা বললেনা … তোমাকে বিয়ে করবো। আর জ্যোতির সাথে প্রেম করবো। জাহান্নামের শাস্তি কেমন হবে কিছুটা তো জানো। তাইনা? শরীরেক চামড়া পুরিয়ে ফেলা হয় । আবার ঠিক করা হয়। আবার পুরানো হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী তোমাকে আঘাত করবো। আবার আদর করবো। আঘাত দূর করতে। আবার আঘাত করবো। আবার আদর করবো। কথা দিলাম।
বলেই নীড় চলে গেলো।

.

পরদিন…
সাগর কপালে হাত দিয়ে বসে আছে।
মোহনা : সাগর।
সাগর : হামমম।
মোহনা : কিছু কি ভাবলে?
সাগর : না… বারবার নীড়ের সেই চেহারাটা চোখে ভাসছে। নীড়কে এভাবে দেখতে পারবোনা। সব হয়েছে মেরিনের জন্য ।
মোহনা : …
সাগর : যদি মেরিনের জন্য নীড় কিছু করে ফেলে তবে আমি কিন্তু ওই ছলনাময়ী মেরিনকে ছারবোনা। মনে রেখো।
মোহনা : সাগর… জানি মেরুন ভুল করেছে। তবে এর পেছনে কোনো বড় কারন আছে। তাই বলে তুমি মেরুনকে ছলনাময়ী বলতে পারোনা। আমি মেনে নিবোনা।
সাগর : কি কি করবে তুমি? হ্যা বলো… তোমার মেরিন ছলনা করতে পারবে… আমার নীড়ের মন নিয়ে খেলতে পারবে আর আমি বলতে পারবোনা। এখনও ওর support করছো?
মোহনা : আরে support এর কি আছে ? আমি মেরুনকে হারে হারে চিনি। ও যা করছে এর পেছনে মোক্ষম কারন আছে। বুঝেছো।
সাগর : কোনো কারন নেই। ও ইচ্ছা করেই এমন করছে।
মোহনা : না। মোটেও না।
সাগর : হ্যা । ও বাজে মেয়ে।
মোহনা : সাগর… খবরদার। খবরদার। ১বার বলেছো বলেছো ২য়বার বলবেনা।
সাগর : কি করবে? বলো । tell me.. just tell me…
মোহনা : ভুলে যাবো যে আমি তোমাকে ভালোবাসি … শেষ করে দিবো এই সম্পর্ক।
সাগর মোহনাকে থাপ্পর দেয়ার জন্য হাত ওঠালো।
মোহনা : থামলে কেন? মারো আমাকে। hit me.. come on… hit me…
সাগর : আমার ভালোবাসার জন্য আমি বন্ধুত্বকে ভুলতে পারবোনা। নীড় আমার #Bestfriend …
মোহনা : মেরুন #Bestfriend … তোমাকে ছারতে পারবো। কিন্তু মেরুনকে না।
সাগর : বেশ তুমি তোমার বন্ধুত্ব পালন করো আর আমি আমার …
বলেই ২জন ২দিকে চলে গেলো। যার যার গাড়ির দিকে। মোহনা সাগরের ২৫গুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে গাড়ির দিকে যাচ্ছে । গাড়িতে কেবল উঠবে তখন সাগর ছুটে এসে মোহনাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
সাগর : i am sorry মোহোপাখি… ভুল হয়ে গিয়েছে ।
মোহনা : হয়েছে হয়েছে। আর ভাব করতে হবেনা। ছারো আমাকে।
সাগর : আগে বলো sorry accept করেছো…
মোহনা : জানিনা…
সাগর : তাহলে ছারবোও না ।
মোহনা : ok ok… করেছি। ছারো।
সাগর ছারলো। মোহনার কপালে চুমু একে দিলো।
সাগর : আমরা অবশ্যই আমাদের নিজ নিজ বন্ধুত্ব পালন করবো। কিন্তু ভালোবাসাকে কেন বাজী লাগাবো? বলো…
মোহনা : তুমিই তো বললা। আমি তো বলিনি।
সাগর : তুমি রাগ করলে বলেই তো।
মোহনা : তুমি রাগ ওঠালে বলেই তো।
সাগর : আমি রাগ ওঠালাম না তুমি।
মোহনা : of course তুমি…
সাগর : তুমি…
মোহনা : তুমি…
সাগর : তুমি…
মোহনা : তুমিইইই … ???…
সাগর : উফফ। মাইক কোথাকার।
মোহনা : huh…
সাগর : i am too much hungry … চলো lunch করে নেই।
মোহনা : ok…

.

২দিনপর…
সাগর নীড়দের বাসায় গেলো।
সাগর : নীড়…
নীড় : i am ok… so please … শ্বান্তনা দিতে এলে চলে যা।
সাগর : শ্বান্তনা দিতে আসবো কেন? আমার কলিজা অতো দুর্বল নয় যে শ্বান্তনা দিবো। আমি তো এসেছি এটা discuss করতে যে মেরিনকে কিভাবে তোর করা যায়।
নীড় : কোনো discussion এর প্রয়োজন নেই। decision has taken… তোর আর মোহনার বিয়ে তারিখ ঠিক হলে বলে দিস। সেদিনই মেরিনকে বউ বানিয়ে বাড়িতে আনবো। মেরিন কেবল নীড়ের।
সাগর : তুই যা করবি তাতে সবসময় আমায় পাশে পাবি । i am always there for you…
নীড় : তুই তো আমার মনের জোর…

.

কিছুদিনপর…
রেদোয়ান চৌধুরী-নিহাল চৌধুরী আর শুভ্র খান-কবির ফয়সাল খান মুখোমুখি বসে আছে ।
রেদোয়ান : whats up… KhanS… হঠাৎ এই মিটিং…
শুভ্র : আমি আমার স্ত্রীকে ভীষন ভালোবাসি।
রেদোয়ান : সবাই বাসে।
শুভ্র : তাই আমি চাই আমারা সোহানার শেষ ইচ্ছা পূরন করতে। সাগরের সাথে মোহনার বিয়ে দিতে।
রেদোয়ান : what ? এই নিহাল আমাকে চিমটি দে তো । আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা।
কবির : রেদ… বাচ্চাদের মতো ব্যাবহার কোরোনা।
রেদোয়ান : বাচ্চাদের মতো ব্যাবহার না করলে যে হিংস্র হতে হবে। আমি চাইনা ২য়বার হিংস্র হতে । তাই নিজেকে বাচ্চাদের মতোই রাখি। anyway continue …
শুভ্র : সাগর-মোহনার বিয়ে হবে। কিন্তু…
রেদোয়ান : কিন্তু আবার কি ?
শুভ্র : বিয়ের মধ্যে ১দিকে বিয়ে হবে আর অন্যদিকে তোমার সব property আমার মেয়ের নামে করে দিতে হবে। না হলেও অন্তত business টা আমার মেয়ের নামে করে দিতে হবে।
নিহাল : এটা কেমন কথা?
রেদোয়ান : নিহাল … চুপ থাক for me… শুভ্র my dearling… আমার business না আমি আমার সব property … আমি মিষ্টি মায়ের নামেই করে দিবো । তুমি বললে বিয়ের আগেই দেই। এখনই। মেয়ের নামে দিতে শর্তের কি আছে।
শুভ্র : আর বিয়ের পর সাগর খান বাড়িতে মানে আমাদের বাসাতেই থাকবে।
নিহাল : এটা কেমন বেহুদা কথা?
রেদোয়ান : নিহাল… শান্ত হ। শুভ্র dearling… আমি এতেও রাজী। কিন্তু বিয়ের দিন আমাদের বাসাতেই সাগর বউ নিয়ে উঠবে। তবে বৌভাতে যে যাবে তোমাদের বাসায় আর ফিরবেনা। ওখানেই থাকবে।
শুভ্র : …
রেদোয়ান : আর কোনো শর্ত?
শুভ্র : না।
রেদোয়ান : নাও তবে মিষ্টি মুখ করো।
৪জন মিষ্টি মুখ করলো।
রেদোয়ান : তোমার পছন্দ মতো বিয়ের দিন ঠিক করে জানিও। খোদা হাফেজ…
বলেই রেদোয়ান আর নিহাল চলে গেলো।

.

নিহাল : এটা কি করলি? ওরা যা বলল তাই মেনে নিলি কেন ?
রেদোয়ান : নিহাল… মিষ্টি আমার মেয়ের চেয়েও বড়। তাই ওপ নামে property দেয়া বড় কথানা। আর সাগরের ওই বাড়িতে থাকা… ও আমার ছেলে … ওর নীলা ওইই জানে। আর তারথেকেও বড় কথা মিষ্টিকে আমার ছেলের বউ বানানোটাই fact…

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে