#Bestfriend
part : 27
writer : Mohona
.
সাগর : তুমি? এখানে?
মোহনা : হামম হামম। তুমি যেখানে আমি সেখানে … সে কি জানোনা… হাহাহা। ভুলে…
সাগর কিছু না বলে গাড়িতে গিয়ে বসলো।
মোহনা : এও কি ফেলে চলে যাবে।
সাগর : দারিয়ে থাকবে না যাবে?
মোহনা দৌড় দিয়ে গাড়িতে বসলো। সাগর গাড়ি চালানো শুরু করলো।
মেরিন : ওয় ঢিংকা চিকা…
নীড় : আরে final dance তখন দিও যখন সাগরের গাড়ি খারাপ হবে। তাও এমন জায়গায় যেখানে ভুলেও কোনো গাড়ি পাওয়া যাবেনা।
মেরিন : এ্যা…? কিন্তু কেন? বিপদ আপদ হলে?
নীড় : কিচ্ছু হবেনা।
একটুপর সাগরের গাড়ি থেমে গেলো।
মোহনা : লে চকোলেট আপনার গাড়িও থেমে গেলো সায়ানের মতো…
সাগর : তুমি সায়ানের গাড়ি করে আসছিলে?
মোহনা : হামম।
সাগর আরো ক্ষেপলো। গাড়ি থেকে নামলো । চেক করে যেটা বুঝলো সেটা এইযে গাড়ি আর চলবেনা । মোবাইল বের করলো দেখলো নেটওয়ার্ক পারলে মাইনাসে নেমে যায়।
সাগর : damn it…
মোহনা : কি হয়েছে?
সাগর : নামো আর হাটো।
মোহনা : না নামবোনা। বসে থাকবো। আর হাটতে পারবোনা।
সাগর : ok fine.. বসে থাকো আমি গেলাম।
বলেই সাগর ওর ব্যাগ নিয়ে হাটতে লাগলো।
মোহনা :এতো আসলেই জল্লাদ। এই জল্লাদ শুনছেন? দারান। আমি আসছি….
.
নীড় : এবার করো ঢিংকাচিকা।
মেরিন : করবোই তো।
নীড় : এখন relax … চুটিয়ে প্রেম করবো তুমি আমি।
মেরিন : ?। আরে আরে গাড়ি ঘোরাচ্ছেন কেন?
নীড় : কারন আমরা shortcut না longcut দিয়ে যাবো।
মেরিন : কি? কেন?
নীড় : কেন কেন কোরোনাতো। তুমি একদম unromantic….
মেরিন : huh… ডেভিল কোথাকার।
নীড় : আমিও করতে পারি huh…
মেরিন : হাহাহা। কিন্তু নীড় আমারনা ভীষন ক্ষুধা লেগেছে… ?…
নীড় : এখন?
মেরিন : হামম।
নীড় : কিন্তু ধারেকাছে তো কোনো দোকান টোকান নেই। এতোক্ষন বললানা কেন বলোতো? কতো দোকান ছিলো।
মেরিন : আরে না পেলে বলবো কি করে? আর এমনিতেও tension থেকে free হলে আমার ক্ষুধা লেগে যায়।
নীড় : আর কি কি শুনতে হবে। আমার কাছে biscuit তো আছে। but with… strawberry cream ।
মেরিন : yuck…
নীড় : chocolates?
মেরিন : কোথায়? দাও দাও।
নীড় : check that…
মেরিন খুলল। আর দেখলে অনেকগুলো chocolate box… আর কোনো কথা না বলে চকোলেট খেতে লাগলো।
নীড় : চকোলেটে খাওয়ার মতো কি আছে?
মেরিন : ?।
নীড় : বলছিলাম কি caring is sharing … তাই বলছি কি একটু sh…
মেরিন : খবরদার আমার চকোলেটে নজর দিবেনা। চোখ তুলে ফেলবো।
নীড় : আজবতো।
মেরিন : আমি জানি আমি আজব ।
নীড় : দারাও দেখাচ্ছি।
বলেই নীড় গাড়ি ব্রেক মারলো।
মেরিন : কি হলো?
নীড় : এখনই দেখবে।
বলেই নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।
.
মোহনা : ও জল্লাদ স্যার সাগর স্যার দারান…
সাগর পিছে ঘুরলো। মোহনা অনেকটা পিছে পরে গিয়েছে। দৌড়ে আসছে।
মোহনা : আপনি মানুষ না রকেট বলুন তো? এতো তারাতারি হাটেন কি করে? একেবারে michael phelps এর মতো।
সাগর : হাটার সাথে phelps এর লিংক কোথায়?
মোহনা : আরে বুদ্ধু he is the fastest runner …
সাগর : হামমম। তবে usain bolt কে?
মোহনা : আমি কি জানি?
সাগর : very good… যে যোগাযোগ মন্ত্রীর নামই জানেনা তার কাছে থেকে এটাই আশা করা যায়। now walk & no talk…
মোহনা : ১ ঘন্টা ধরে হাটছি। আর পারবোনা।
সাগর : তো আপনাকে কোলে নিবো?
মোহনা : নিন । at least কাধে তো নিন ।
সাগর : shut up…
মোহনা : নিন না।
সাগর : তোমাকে কোলে নেই আর তুমি আমার নামের সাথে rapist tag লাগাও।
মোহনা : মানে?
সাগর : হাটো।
সাগর হাটতে লাগলো। সাথে মোহনাও।
মোহনা : আমার না ভীষন ক্ষুধা লেগেছে।
সাগর :আমার মাথাটা খাও।
মোহনা : looking “অ-testy” …
সাগর : তাছারা আর কিছু নেই sorry …
মোহনা : আছে । কোকাকোলা। আপনার ব্যাগে। আমি দেখেছি। দিননা। আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি ।
সাগর : ১টা থাপ্পর দিবো । খালি পেটে কেউ কোকাকোলা খায়?
মোহনা : আমি খাইতো । দিন। না দিলে কিন্তু আপনার ব্যাগ থেকে চুরি করবো ।
.
মেরিন : আবার গাড়ি থামালেন কেন?
নীড় : নামো।
মেরিন : কেন?
নীড় : নামো তো।
মেরিন নামলো। দেখলো ১টা চমৎকার bmw bike দারিয়ে আছে।
মেরিন : awesome ….
নীড় : কেমন লাগলো surprise ?
মেরিন : perfect surprise এর মতো।
নীড় : আমার অনেক দিনের ইচ্ছা এমন পথে তোমাকে নিয়ে bike এ ঘোরার। আর আমি জানি you are crazy about bike… রনি give me that key & take this key…
নীড় গাড়ি রনি কে দিয়ে মেরিনকে বাইকে চরিয়ে উরতে শুরু করলো। ?।
নীড় : ১টা রোমান্টিক গান গাও।
মেরিন : ধুম মাচালে ধুম মাচালে ধুম…
নীড় : তুমি actually পৃথিবীর ৮ম আশ্চর্য ।
মেরিন : হাহাহা। হিরো নাম্বার ওয়ান গান গাইবো তবে? তবে আমার কিন্তু ধুম ২ চরম লাগে।
নীড় : ওই মুভি পাগলি আর গান গাইতে হবেনা। বকবকই করো।
মেরিন : best option … নীড়…
নীড় : বলো….
মেরিন নীড়কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে
বলল : thank you…
নীড় : বোইন ছার না হলে ২জনই মরবো। আর আমি এখন মরতে চাইনা।
মেরিন : হাহাহা।
মেরিন ছারলো।
নীড় : তো thank you কেন?
মেরিন : আমার এই dream টা পুরন করার জন্য।
নীড় : আমি তোমার সব dream পূরন করবো।
মেরিন : শাহরুখ খানের সাথে দেখা করার dreamও?
নীড় : হায়রে।
মেরিন : huh… আচ্ছা নীড় সাগর-মোহনা কি করছে?
নীড় : এখন কি করছে তা জানিনা। কিন্তু আর ২০মিনিট পর গুন্ডাদের সাথে পাঙ্গা হবে।
মেরিন : তোমার নকল গুন্ডাদের চক্করে যদি আসল গুন্ড চলে আসে ?
নীড় : always negative ভাবাটা কি জরুরী?
মেরিন : গুন্ডার কি দরকার?
নীড় : মোহনাকে বোঝাতে হবে যে সব ছেলে এক না। যারা ওর ভাবনার characterless দের মতো।
.
সাগর : অবশেষে কিছু খাওয়া হলো। এই তুমি আর কি খা… লও ঠ্যালা এ দেখি ঘুমিয়েও পরেছে। বসে বসে হেলান ছারাই ঘুমিয়ে পরলো। এখনই ধিরিম করে পরবে না ধরলে। না না ধরবোনা। ধরলেই বলবে যে … কিছু খাবার কিনে নেই। এখান থেকে কিছুদূর গিয়ে রিকশা পাবো। then গাড়ি। উফফ…
মোহনা : ouch…
সাগর : পরেও গেলো। ঠিক হয়েছে।
মোহনা : আমার পা। কোমর…
সাগর : বেশি ব্যাথা পেল নাকি ?
মোহনা : এই দোকানদার মামা কেমন বসার জায়গা বলো তো? হেলান দেয়ার সিস্টেম নেই।
সাগর : মামার ভুল হয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি জানতো যে প্রেসিডেন্ট মোহনা খান মিষ্টি এখানে আসবে। চলো।
মোহনা : আমি আর হাটতে পারবো না প্লিজ…
মোহনা এতো অসহায় ভাবে বলল যে সাগরের খারাপ লাগলো।
সাগর : আরেকটু কষ্ট করো প্লিজ। একটু আগে বারলে রিকশা পাবো….
মোহনা : ততোক্ষন আপনি গান গাইবেন?
সাগর কোনো কথা না বলে ওর রুমালটা মোহনার হাতে বেধে সেই রুমাল ধরে হাটতে লাগলো। মোহনা মহাঅবাক।
মোহনা : এটা কি?
সাগর : i don’t want to “touch” you… or your hand…
মোহনা : আজব তো । যেন কোনোদিন হাত ধরেনইনি।
সাগর : পাপ হয়ে গিয়েছে। বলোতো নিজের জান দিয়ে দেই…
মোহনা : আপনি এতো পেচিয়ে কথা বলছেন কেন?
সাগর : কারন আমি খারাপ ছেলেদের তালিকায়…
মোহনা : …
সাগর : রিকশা… পাশে বসবে না আমি অন্য রিকশা নিবো?
মোহনার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। নিজের হাতটা রুমাল থেকে ছারায়ি রাস্তার একপাশে দারিয়ে পরলো।
সাগর : কি হলো? দেখো request আমি করিনা আর করতে চাইওনা। গেলে চলো না গেলে নেই…
মোহনা কিছু না বলে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে সাগরের হাতে দিলো।
মোহনা : আমাকে খাওয়ানোর টাকা। আর আমার সাথে যখন চলতে এতোই অসুবিধা তখন আলাদা চলাই ভালো।
বলেই মোহনা রিকশা নিয়ে চলে গেলো। সাগর দারিয়ে রইলো। টাকাগুলো এমনভাবে মুঠ করলো যেন মোহনার গলা চেপে ধরেছে। কিছুক্ষন পর সাগরও ১টা রিকশা নিলো। একটুপর দেখলো ২-৩টা বাইক যাচ্ছে। যেটা দেখে ওর doubt হলো। রিকশাওয়ালাকে তারাতারি চালাতে বলল। নীড়ের নকল গুন্ডারা মোহনার ওপর attack করার ভান করলো। সাগর এসে বাচালো। এরপর নীড়ের কথা মতো ১টা বাইক ফেলেই চলে গেলো।
মোহনা : আ…
সাগর : কোনো কথানা । চুপচাপ বসো। বাইকে।
.
নীড় : মের… এ তো দেখি ঘুমিয়ে পরেছে। ভাগ্যেস গাড়িতে ওঠার পর ঘুমালো। চুলগুলো তো ম্যাডামের মুখে এসে disturb করছে। বেধে দেই।
নীড় মেরিনের চুলগুলো বেধে দিলো । এরপর মেরিনের কপালে কিস করলো।
নীড় : এটা এখনও পর্যন্ত আমার জীবনের সেরা সফর। যেটা সরাজীবন মনে থাকবে। এই টুকু পথ তোমার সাথে কতো রঙীন লাগছে। না জানি জীবনের সফর টা কতো রঙীন হবে। i love you my জানপাখি বনপাখি … আমি কখনো তোমাকে নিজের থেকে দূরে করবোনা। যদি আমি বেচে থাকি তবে তোমার পাশে কেবল আর কেবল আমিই থাকবো। কারন তুমি আমার।
.
সাগর : এইযে বাসের টিকিট। ৮টায় বাস ছারবে। সকালে পৌছাবো। রাত হয়ে গিয়েছে। taxi নিলাম না। আর কোনো risk নিতে চাইনা। আলাদা সিট নিবো ভেবেছিলাম ভাবলাম হয়তো আবারও risky হতে পারে। তোমার টিকিট।
সাগর যে রাগে ফেটে যাচ্ছে সেটা মোহনা বেশি বুঝতে পারছে।
সাগর : কি হলো হাত বারাও।
মোহনা হাত সামনে আনলো। হাতে ১টা লাল বেলুন। সেটাতে sorry লেখা।
মোহনা : i am sorry… i was wrong… সবাই একররকম হয়না… আসলে কি ১টা ধা… forget it… please ক্ষমা করে দিন। আমি জানি আমি ওই কথাগুলো বলে আপনাকে hurt করেছি। আপনি অমননা। খুব ভালো। i am sorry…
মোহনা মাথাটা নিচু করে কথাগুলো বলছিলো সাগরের কাছে চোখের পানিগুলো লুকানোর জন্য। কিন্তু পারলোনা। সাগর মুচকা হেসে মোহনার ২গালে হাত রাখলো। বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে মোহনার চোখের পানি মুছে দিলো।
সাগর : hey don’t cry please …
মোহনা : আপনি আর রাগ করে নেই তো… ?
সাগর : না…
মোহনা : সত্যি?
সাগর : সত্যি … চলো….
পরদিন সকালে সবাই পৌছালো।
.
২দিনপর…
খুব ভোরের দিকো মোহনার ঘুম ভেঙে গেলো। বাগানে গেলো। sunrise দেখার জন্য । দেখে এসে দেখো কেউ কালো গোলাপের তোরা ওর আর মেরিনের রুমের দরজার সামনে রাখছে।
মোহনা : এটাই কে সেই ফুলওয়ালা… হয়তো… কে?
সাগরের চাদর মুরি দিয়ে এসেছে।
মোহনা : কে?
মোহনার কন্ঠ শুনে সাগর দৌড় লাগালো। তোরা রাখার সুযোগটাও পেলোনা। পিছে পিছে মোহনাও। সাগর কিছুতেই মোহনার থেকে পিছু ছারাতে পারছেনা। ছাদে চলে গেলো। মোহনা চাদরটা টান দিয়ে সরিয়ে ফেলল।
মোহনা : সাগর…
সাগর : হ্যা আমি… আমিই সে যে রোজ তোমাকে ফুলগুলো দিয়ে যায়। আমিই সে যে তোমাকে ভালোবাসে… কিন্তু সরাসরি বলতে সাহস পায়না…
মোহনা : …
সাগর : মোহোপাখি … আমি তোমাকে ভীষন ভালোবাসি। জানিনা কেন বাসি … শুধু জানি ভালোবাসি … i love you…
মোহনা ঠাস করে সাগরকে থাপ্পর মারলো। এরপর চলে গেলো। সাগর গালে হাত দিয়ে মোহনার চলে যাওয়া দেখছে। হঠাৎ মোহনা ব্রেক মারলো। সাগরের দিকে ঘুরলো।
মোহনা : t think… i love you 2….
বলেই মোহনা ধামধুম করে মোহনা রুমে চলে গেলো।
সাগর : এটা কি ছিলো … যাই ছিলো। ভালোই ছিলো। thank you আল্লাহ…
২জুটি জমিয়ে প্রেম শুরু করলো।
.
৬মাসপর..
এই ৬মাসে নীড়-মেরিন আর সাগর-মোহনা ইচ্ছামতো প্রেম করলো। সাগরের আজও সাহস হয়নি মোহনাকে সত্যি বলার। আর নীড়-মেরিন প্রেম করার পাশাপাশি গোয়েন্দাগিরিও করলো। অনেক কিছু জানতেও পারলো। মেরিন বাসায় গেলো।
কবির : মামনি…
মেরিন : হ্যা বাবা।
কবির : fresh হয়ে একটু নিচে আসোতো ।
মেরিন : ok…
মেরিন fresh হয়ে এলো।
মেরিন : বলো কি বলবে।
কবির : আমি তোমাকে কিছু প্রশ্ন করবো। তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিবে। ok? & no argument …
মেরিন : ok…
কবির : মিষ্টি মামনিকে সাগর চৌধুরীর সাথে দেখলাম। ঘুরতে। হাতে হাত দিয়ে। আমি তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই ঘটনা কি?
মেরিন : বাবা… ওরা ২জন ২জনকে ভালোবাসে…
কবির : হামমম। তুমি মিষ্টি মামনির #Bestfriend… তাইতো?
মেরিন : হামম।
কবির : তাই আমি তোমাকে ১টা দায়িত্ব দিবো।
মেরিন : কি বাবা?
কবির : তুমি মিষ্টি মামনিকে সুন্দর করে বুঝেয়ে বলবে যেন ও ওই সাগর চৌধুরীকে ভুলে যায়। সম্পর্কটার ইতি টানে।
মেরিন : কি বলছো কি বাবা?
কবির : ঠিকই বলছি।
মেরিন : কিন্তু কেন?
কবির : এর পেছনে অনেক বড় কারন আছে।
মেরিন : যে কারনই থাকুক বাবা আমি সাগর-মোহনার সম্পর্ক ভাঙতে দিবোনা।
কবির : তুমি দিবে কি দিবেনা সেটা তোমার ব্যাপার। কিন্তু আমি কবির ফয়সাল খান যখন বলেছি যে সাগর-মোহনা আলাদা হবে তখন হবেই। যেভাবেই হোক। আমি চাইনা ইতিহাসের পাতা আর উল্টা দিকে ঘুরুক। আমি চাইনা খান বাড়ি আবার কোনো কালো প্রহরের সাক্ষী হোক। চেষ্টা করবো শুভ্র জানার আগেই সাগর-মোহনাকে আলাদা করতে। ওদের ১বার আলাদা করলে শুভ্রকে জানাবো।
মেরিন : তুমি সাগর-মোহনাকে আলাদা করতে পারবেনা বাবা। প্রতিপদে বাধার সম্মুখীন হবে।
কবির : কবির ফয়সাল খান পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। আর কবির ফয়সাল খানের পথের বাধা হবে এমন কেই নেই। কারো ক্ষমতা নেই আমার মোকাবেলা করার।
মেরিন : আছে বাবা। আছে।
কবির : আচ্ছা? কার শুনি?
মেরিন : মেরিন বন্যা খানের।
কবির : মামনি… তোমার কোনো আবদার কোনো ইচ্ছা অপূর্ন রাখিনি… কিন্তু প্লিজ এর থেক দূরে থাকো। তুমি জানোনা ওই সাগর চৌধুরীদের পরিবার কতো খারাপ।
মেরিন : আমি জানতে চাইওনা। আমি জানি সাগর ভাইয়া মিষ্টুকে ভালোবাসে। thats more than enough for me… তুমি সাগর-মোহনার থেকে দূরে থাকলে খুশি হবো।
কবির : sorry মামনি… এবার তোমাকে খুশি করতে পারলামনা। আমি ওদের আলাদা করবোই।
মেরিন : পারবেনা তুমি বাবা। আমি মেরিন বন্যা খান কথা দিচ্ছি যে তুমি পারবেনা।
কবির : তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো যে আমি কে?
মেরিন : ভুলিনি বাবা যে আমি তোমার মেয়ে। আর তাই বলছি এই ভাবনা ছেরে দাও।
কবির : তুমিকি indirectly আমাকে challenge করছো?
মেরিন : যদি মনে করো তবে তাই।
কবির : ok then… done…
মেরিন : done…
কবির : আমি কখনো হারিনি মামনি।
মেরিন : কারন তোমার মোকাবেলা কখনো আমার সাথে হয়নি বাবা… all the best & good night…
কবির : good night &&& all the best for tomorrow …
মেরিন : same to you ডার্লিং বাবা….
মেরিন রুমে চলে গেলো।
.
কনিকা : এটা কি ঠিক হলো? ওর জেদ তো তুমি জানোই।
কবির : এবার ওও আমার জেদ দেখবে। মেরিন-মোহনাকে কখনো আলাদা মনে করিনি। আমি চাইনা শোভার সাথে যা হয়েছে তা মিষ্টি মামনির সাথেও হোক। শিখা-শোভাকে হারিয়েছিলাম কিন্তু মেরিন-মোহনাকে হারাতে পারবোনা। আর মোহনার কিছু হলে মেরিনকে বাচানো যাবেনা….
.
চলবে…