Dark Mystery পর্ব-২৭+২৮

0
47

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_27
#Sabrina_Summa

মাহিরের আবারও মনে হচ্ছে সুপ্তিই মিস সিক্রেট!
একটু পর মাহির নিজেই নিজেকে ধমক দিয়ে বললো, ” এটা সম্ভবই না। ”

এরপর আবারো খাওয়ায় মনোযোগ দিলো ৷
কোনো এক অজানা কারণে তার বার বার মনে হচ্ছে সুপ্তিই মিস সিক্রেট!

যথারীতি খাওয়া শেষ করে গল্পের আসর বসালো সবাই। তবে এবার আর সুপ্তি তাদের সাথে যোগ দিলো না। সে নিজের রুমে চলে গেল।

সুপ্তির কাছে এ বাসার সবথেকে প্রিয় হলো বেলকনি । তবে সেই বেলকনিতেই আসা হয় না দীর্ঘ দিন ধরে।
এ বাসার সব কিছু যে তাকে বড্ড স্মৃতিকাতর করে তুলে। বার বার অতীতকে নিয়ে ভাবায়।।

তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে আজ বহুদিন পরে বেলকনিতে গেল সে।
কৃত্রিম আলোয় সবই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

আশেপাশে তাকাতে তাকাতে নজর গেল গেটের দিকে ৷ সন্দেহ হলো গেটে কাউকে পাহাড়ায় না দেখে । তাই দ্রুত ছাদে চলে গেলো।
তারপর মিস সিক্রেট রূপে এসে যা দেখলো তাতে তার রক্ত মাথায় উঠলো।

খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে মিস সিক্রেট, এতজনের সাথে পারবে না সে।
তাই মাহফুজ চৌধুরীর কাছে আর্মি ফোর্স চাইলো। নিজেও কল করলো হেল্পের জন্য।

এরপর ধীরে ধীরে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করলো। সে প্রবেশ করতেই সকলেই মনোযোগ তার দিকে চলে এলো।
একজন বলে উঠলো, ” তুই এখানে কি করিস? তোর তো ঢাকা থাকার কথা, তোর এসিস্ট্যান্টের বিয়েতে!”

মিস সিক্রেটের রাগ ক্রমশ বাড়ছে তবে সে বিভিন্নভাবে তাদের মনোযোগ অন্যদিকে নিচ্ছে।
সে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে তাদের উদ্দেশ্য মাহিরকে কিডনাপ করা। কারণ মারার হলে এতক্ষণে মেরেই ফেলতো!

মনোযোগ অন্যদিকে নিতে পেরে মিস সিক্রেট সুপ্তির বাবা মাকে হাতের ইশারায় রুমে যেতে বললো।
ইশারা বুঝতে পেরে তারা খুব সাবধানে রুমে চলে গেল। কিন্তু বিপত্তি ঘটালো সুপ্তির বাবা। তিনি গান নিয়ে বেরিয়ে এলেন।

ফলশ্রুতিতে সকলেই তার দিকে গান তাক করলো।
সাথে সাথেই মিস সিক্রেট ও তানিশাও গান তাক করলো তাদের দিকে।।

মাহির মিস সিক্রেটের পিছনে এসে ফিসফিসিয়ে বললো, ” আমাকে একটা গান দাও।”

মিস সিক্রেট মাহিরকে একটা গান দিয়ে পায়ের কাছ থেকে আরেকটা গান বের করলো ৷ তার দুই হাতে দুইটা গান।

পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে খুনাখুনি হয়ে যাবে।
তবে পার্ফেক্ট টাইমে এন্ট্রি নিলো আর্মি ৷ দুইজনকে গানের টিগারে চাপ দিতে দেখে শুট করলো।

সাথে সাথে পড়ে গেল ফ্লোরে। আর বাকিরা কোনো মতে জান নিয়ে পালালো ৷ কয়েক সেকেন্ডের মাঝে সম্পূর্ণ ঘটনাটা ঘটে গেল। সেদিকে মিস সিক্রেটের কোনো হেলদোল নেই।

সে একবার লাশ দুটোকে দেখে বিরক্ত হয়ে বললো, ” থ্যাংকস টাইম টো টাইম আসার জন্য। বাট এখন এগুলো পরিষ্কার করুন। মারলে আমিও মারতে পারতাম তবে এ বাসায় খুনাখুনি হয় না। সো তাদের লাশ দেখে অভ্যাস নেই। ”
নিজের হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো, ” ২০ মিনিট দিলাম পরিষ্কার করুন। আর কিছু বাহিরে গিয়ে পাহাড়া দিন। ”

সকলের অবাক দৃষ্টি মিস সিক্রেটের দিকে।
তার ক্ষমতা আছে ঠিকই তবে এভাবে আর্মিদের উপর অডার করা মানাচ্ছে না বলেই সকলের ধারণা ৷ তাই যে যার মতোই দাঁড়িয়ে রইলো মিস সিক্রেটকে অবজ্ঞা করে।

এতে অবশ্য মিস সিক্রেটের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না। সে মাহিরের সামনে গিয়ে হাত পাতলো ৷ মাহির কিছু বুঝতে না পেরে হাই ফাই মনে করে হাত মিলালো ৷

কিন্তু মিস সিক্রেট ভ্রু কুচকে বললো, ” আমি আমার গানটা চাচ্ছি ৷ ”

মাহির একটু ইম্বারেস ফিল করলো। তবে গানটা দিয়ে দিলো।

সুপ্তির মা রুম থেকে বের হয়ে বললেন, ” সুপ্তি কোথায়? ”

মিস সিক্রেট কাউকে কল করতে করতে বললো, ” ছাদে। ”

সুপ্তির মা : আজকে এখানেই থেকে যাও। রাত তো ভালোই হলো।

মিস সিক্রেট চলে যেতে যেতে পিছনে ঘুরে বললো, ” আমি থাকলে আবার কেউ পছন্দ নাও করতে পারে! ”
( মাহিরের দিকে তাকিয়ে )

” আমি এতটাও খারাপ নই। তাছাড়াও আমি আবার কি করলাম! ” ( মাহির মনে মনে )

ততক্ষণে মিস সিক্রেট চলে গেছে। তবে তার রাগান্বিত কন্ঠ শুনা গেল, ” আপনাকে আমি খুন করতে বলেছি? আপনার লোক খুন করে বসে আছে। আমি ২০ মিনিট টাইম দিয়েছি তারমধ্যে ৫ মিনিট চলে গেছে। বাকি ১৫ মিনিটে যদি এগুলো পরিষ্কার না হয় তাহলে কি হবে তার জন্য অপেক্ষা করুন। ”

ধীরে ধীরে শব্দ কমে গেল। যার অর্থ হয়তো মিস সিক্রেট চলে গেছে না হয় কল কেটে দিয়েছে।

তখনই কারো ফোন বাজার শব্দ হলো। ফোন রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গেই অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো তীব্র ধমক আর কিছু আদেশ। যা কিছুক্ষণ পূর্বেই মিস সিক্রেট করেছিল তাই আবার রিপিট করা হলো। সকলেই কমান্ড অনুযায়ী কাজ শুরু করলো।

মাহির সবাইকে বলে ছাদে চলে এলো। সুপ্তিকে দেখতে পেয়েই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো। সুপ্তির পাশে দাঁড়িয়ে কপালে হাত দিয়ে বললো, ” দেখি জ্বর এসেছে কিনা!”

সুপ্তি হাত সরিয়ে দিয়ে বললো, ” না আসে নি। ”

মাহির : একটু আগে কি হয়েছে জানো?

সুপ্তি আনমনেই উত্তর দিলো, ” হুম।”

মাহির অবাক হলো। সুপ্তি জানার পরও নিচে গেল না! এমন মেয়ে তো সুপ্তি নয়।

মাহির : কিভাবে জানো?

সুপ্তি : মিস সিক্রেটের সাথে দেখা হয়েছিল। আর নিচে যেতে নাও করেছিল।

মাহির ” ও” বললো।

কিছুক্ষণ নিরব থেকে আবারো বললো, ” পুনে দশটায় তুমি ছাদে কি করো? ”

সুপ্তি : অমাবস্যা দেখি।

মাহির : আচ্ছা। তখন যে তুমি বললে উধাও হওয়ার কাহিনি পরে বলবে! এখন কি জানতে পারি?

সুপ্তি কয়েক মিনিট চুপ থেকে বলা শুরু করলো।।

#চলবে.,.

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_28
#Sabrina_Summa

সুপ্তি কয়েক মিনিট চুপ থেকে বলা শুরু করলো, ” আপু কিভাবে মারা গেছে তা আপনাকে বাবা বলেছে? ”

মাহির : না। তবে আমি জানি। কিছু মানুষের মুখোশ খুলতে গিয়ে।

সুপ্তি : হুম। আপুর মৃত্যুর পর আমি স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না। কয়েক মাস সময় নেই তবে কোনো লাভ হয় না। মানিয়ে নিতে পারি নি এ বাড়িটাকে। কিছুদিন স্কুলে যাই তারপর স্বপরিবারে ঢাকা চলে যাই। সেখানে পড়াশোনা শুরু করি। সাথে নিজের সেইফটির জন্য ফাইটিং এর যাবতীয় সবকিছু শেখা শুরু করি।
এরজন্যই সবাই বলছিল উধাও হওয়ার কথা। মূলত কারো সাথে যোগাযোগ ছিল না + হঠাৎ করে ঢাকা যাওয়া এগুলোই।।

আকাশের দিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে বলে গেল কথাগুলো। অতীত নিয়ে কথা বললে অধিকাংশ মানুষেরই গুছিয়ে বলার সামর্থ্য থাকে না। সুপ্তিও তাদের মাঝে একজন ৷

মাহির চুপ থেকে কথা বুঝার চেষ্টা করলো। তারপর হঠাৎই প্রশ্ন করে উঠলো, ” আচ্ছা, আমরা তো প্রায় সেইম ইয়ারের। তাহলে আমার গ্রেচুয়েশন শেষ হলো আরো দুই বছর আগে। আর তোমার এখনও শেষই হচ্ছে না! কাহিনী কি? ”

সুপ্তি শব্দ করে হেসে উঠলো। অন্য সময় হলে হয়তো সে এত প্রশ্নের উত্তর দিতো না। তবে আজ কেন যেন উত্তরগুলো দিতে ইচ্ছে করছে তার।

সুপ্তি হাসতে হাসতেই বললো, ” লজ্জা দেওয়ার জন্য প্রশ্নটা করলেন!”

মাহির এমন উত্তরে কিছুটা ভড়কে গেল।

সুপ্তি : আসলে আমি এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছিলাম। দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে পাস করে তারপর কলেজে ভর্তি হতে হয়েছে। এইচএসসি টেনে টুনে পাস করি। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেলাম। অবশ্য পাওয়ারও কথা ছিল না। মানুষ কত কষ্ট করেই পায় না আর আমি তো চেষ্টায় করি নি। ভাবলাম দ্বিতীয়বার চেষ্টা করবো কিন্তু দ্বিতীয় বার তো পরিক্ষায় দিতে পারলাম না!

মাহির : কেন? কেন দিতে পারলে না?

সুপ্তি এতক্ষণ হাসি মুখে কথা বললেও এ প্রশ্নে ভ্রু কুচকে তাকালো। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকভাবে বললো, ” সবকিছু একবারে জেনে গেলে পরে জানার ইচ্ছেটা মরে যাবে। ”

মাহিরের মনে হাজারটা প্রশ্ন বাসা বাধছে। তবে করতে পারছে না ।

অন্ধকার নিরব পরিবেশ ভেঙ্গে সুপ্তি বললো, ” জানেন, আমাকেও গুম করা হয়েছিল! ”

মাহির অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।

সুপ্তি একধ্যানে বলা শুরু করলো, ” আপুর মৃত্যুর ঘটনাটা খুব ভাইরাল হয়। অনেক সাংবাদিক আসে আমাদের বাসায়। এত মানুষ আমার পছন্দ হচ্ছিল না। তাই পরের দিন স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও স্কুলের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
সকাল আটটা কি নয়টা। রাস্তাঘাটে মানুষ কম। তারমধ্যে আমি আমার চিরচেনা গলি দিয়ে যাওয়া শুরু করি। সেখানে কিছু বখাটে ছেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো। জীবনে প্রথম সেখানেই ইভটিজিংয়ের স্বীকার হই। অনেক কষ্টে পালিয়ে আসি সেখান থেকে।
আমার ছোট মন পর পর এত বড় বড় ধাক্কা নিতে পারছিলো না ৷ ভেঙে পড়ার পরিবর্তে কিভাবে যে কঠোর হয়ে পড়েছিলাম। ওই যে প্রবাদ আছে না, ‘ একটু শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর! ‘ আমারও ঠিক সেই অবস্থা হয়েছিল।
আপুর মৃত্যুর তৃতীয় দিন আমাকে আমার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কারণ হিসেবে বলা হয় আমি নাকি আমার বোনের সাথে জড়িত।
আমার হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখ খুললে দেখতে পাই অন্ধকার একটা রুম। আশেপাশে কেউ নেই। ”
এতটুকু বলেই থেমে গেল সুপ্তি।

মাহির বলে উঠলো, ” তারপর? তারপর কি হলো?”

সুপ্তি : আমার আর ভালো লাগছে না। আর বলবো না। অনেক বড় লেকচার দিয়ে ফেলছি। পরে আরেকদিন বলবো ৷

বলা শেষ করে হাঁটা শুরু করলো। মাহির হাত ধরে আটকে বললো, ” না, এখনই বলবে। ”

সুপ্তি মাহিরের দিকে ঘুরে বললো, ” বললাম না পরে বলবো! ”

মাহির : কেন এভাবে খেলছো? বলবেই না যখন তাহলে শুরু করলে কেন?

সুপ্তি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আবারও চলে যেতে নিলে মাহির একটান দিয়ে সুপ্তিকে নিজের সামনে এনে বললো, ” তোমাকে এখনই বলতে হবে। বুঝতে পেরেছো! ” ( রেগে )

সুপ্তির রাগ হলো। রাগী চোখেই তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। পরমুহূর্তেই হেসে দিয়ে বললো, ” কেন? ”

মাহির: আমার জানা প্রয়োজন তাই!
( সুপ্তির হাসিতে ভড়কে গেলেও স্বাভাবিক হয়ে বললো )

সুপ্তি : কেন প্রয়োজন?

মাহির এবার প্রচুর রেগে গেল। যা প্রকাশ পেল রক্তবর্ণ ধারণ করা একজোড়া চোখে।

সুপ্তি মাহিরের কানে ফিসফিসিয়ে বললো, ” আপনার কি মনে হচ্ছে আমারো আপুর মতোই…”

এতটুকু বলতেই মাহিরের কাঁপনি খেয়াল করলো সুপ্তি। এতে অবশ্য তার মজাই লাগছে। তাই আরেকটু জ্বালানোর জন্য বললো, ” ওমন কিছু হয়ে থাকলে কি, আমাদের বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাবে মাহির? ”

সুপ্তির এমন প্রশ্নে মাহির রাগান্বিত কন্ঠে বললো, ” সুপ্তি শুধু একবার সত্য বলো। ”

সুপ্তি : বললে কি করবেন?

মাহির : শয়তান গুলাকে খুন করবো।

সুপ্তি হাসতে হাসতে বললো, “তার আর প্রয়োজন পড়বে না। ওই দুইটা অলরেডি উপরে আই মেইন কবরে। আর হ্যাঁ আমার সাথে ওমন কিছুই হয় নি। ”

মাহির স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। আজ সুপ্তির এমন ফাজলামো মাহিরের একদম সহ্য হচ্ছে না।

মাহির : সেখান থেকে ফিরলে কি করে?

মাহিরের এমন সোজাসাপটা প্রশ্নে সুপ্তি আবারও বলা শুরু করলো, ” মূলত আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আপুর মতো করেই খুন করার জন্য। ( “কিন্তু ভাগ্যের পরিক্রমায় ওরাই খুন হলো! ” মনে মনে।)
কিছুক্ষণের মাঝেই বিষয়টা আমি বুঝতে পারি।
আমকর হাতে অলঅয়েস স্মার্ট ওয়াচ থাকে। সেই ওয়াচ দিয়েই ইনফর্ম করি মিস সিক্রেটের টিমকে। তখন অবশ্য মিস সিক্রেট তেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠে নি ।
আমার ওয়াচে থাকা সিম ট্র্যাক করে উদ্ধার করে মিস সিক্রেটের টিম।
এই তিনটে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আমাদের ঢাকা চলে যাওয়া।

” এখন বুঝলাম মিস সিক্রেটের সাথে তোমার পরিচয় কিভাবে! আমি শুধু শুধুই উল্টা পাল্টা ভাবছিলাম। ”

সুপ্তি : রাত তো ভালোই হলো এখন কী আমরা নিচে যেতে পারি?

সুপ্তির প্রশ্নে ভাবনা থেকে বেড়িয়ে এলো মাহির ৷ হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে হাঁটা শুরু করলো। সাথে সুপ্তিও।

#চলবে.,.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে