Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 4

বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 4

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 4
writer : Mohona
.

মেরিন: বাচাও …বাচাও kidnapper….??…
নীড় তো দূরে দারিয়ে সব দেখছিলো… আর রাগে কুমাচ্ছিলো। কিন্তু মেরিনের এমন ব্যাবহারে নীড়ও অবাক। নীড় হাসতে লাগলো। মেরিনের চিল্লানোতে অনেকে ছুটে এলো। তবে সবার আগে ইয়া এলো।
ইয়া: কি রে কি হয়েছে?
মেরিন বাচ্চাদের মতো করে ইয়ার পিছনে গিয়ে লুকিয়ে রুবেলের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে
বলল: ওই দেখ..kidnapper… বাচা আমাকে।
রুবেল আর কি বলবে? বেচারার তো অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।
ইয়া: রুবেল তুমি kidnapper???…
রুবেল: what? no? আমি কখন তোমাকে kidnap করছিলাম?
মেরিন: এই তো এখনি। chocolate দিয়ে। অচেনা কেউ তো chocolate দিয়েই kidnap করে…
রুবেল: আরে অচেনা কেন হবো? আমরা classmate তাই chocolate দিয়ে friendship করছিলাম।
মেরিন: তুমি আমার classmate হলে আমি তোমাকে চিনিনা কেন?
ইয়া: মাথামোটা… তুই সারা ক্লাসে আমি ছারা কাকে চিনিস? খালি তো chocolate আর chocolate ..
মেরিন: তো???
ইয়া: কিছুনা।
রুবেল: এখন তো জানলে যে আমি kidnapper নই। এখন তো আমার friend হবে?
বলেই রুবেল chocolate boxটা এগিয়ে দিলো।
মেরিন: তোমার কি মনে হয় আমার বাবা-ভাইয়ার আমাকে chocolate কিনে দেয়ার টাকা নেই??।। আমরা ভিখারী?
রুবেল: এমা ছিঃ ছিঃ তা কেন হবে? আমি তো just…
মেরিন: just what?? আমি তোমার দেয়া জিনিস নেবো কেন?
রুবেল: just friend হিসেবে।
মেরিন: no… মেরিন বন্যা খান কারো কাছে ৠণি থাকেনা….
রুবেল: ok… sorry . রেখে দিলাম chocolate box… এখন কি বন্ধু হতে পারি???
মেরিন: ok….
বলেই মেরিন ক্লাসে চলে গেলো।
নীড়: কি দরকার ছিলো এই ফালতু ফুলতুর সাথে বন্ধুত্ব করার??? ?….

.

পরদিন…
off time এ…
বাইরে হালকা snowfall হচ্ছে।
নীড়রা বন্ধুরা মিলে কফি খাচ্ছে। তখন দেখলো যে কেউ ১জন নিজেকে ৫-৭টা সোয়েটার পরে, কানটুপি, মোজা টোজা, লং সুজ টুজ পরে বাইরে বের হয়েছে।
রাব্বি: এতোটুকু শীতে কেউ এমন প্যাকেট হয়?
আকাশ : who is this গাধা?
সূর্য: i think its গাধী….
ইমান: নীড়ের গাধী।
নীড়:চুপ থাক আমি আসছি।
আকাশ : যাও কাককা যাও…
নীড় গেলো।
মেরিন লাফাচ্ছে আর বরফ ধরছে। আর খাচ্ছেও। একবার সামনে যাচ্ছে আবার উল্টোভাবেই পিছে আসছে। এমন করতে করতে ১বার পিছে এলো। আর ধপাস করে নীড়ের বুকের সাথে ধাক্কা খেলো।
মেরিন: উহ… আম্মু গো… ওই কোন কানার ঘরে অন্ধ এখানে তারখাম্বাটা রেখেছেরে….
মেরিন বাচ্চাদের মতো হাত দিয়ে মাথা ঘষতে ঘষতে মেরিন কথা গুলো বলছিলো। এরপর মাথা তুলল। আর নীড়কে দেখেই
মেরিন
বলল: আবার আপনি?
নীড়: কেন এই ভার্সিটি কি তোমার ভাইয়া কিনে নিয়েছে?
মেরিন: একদম আমার ভাইয়ার নাম নিবেন না strawberry ক্ষীর huh…. মেজাজটাই খারাপ করে দিলো।
নীড়: তোমার আবার মেজাজও আছে?
মেরিন: huh….
নীড়: তোমার কি এতোটাই শীত করছে যে এতোগুলো গরম কাপড় পরেছো?
মেরিন: হ্যা তো?
নীড়: তাহলে ভেতরে যাও ।
মেরিন: যাবোনা… ice cream খাবো….
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নীড়: ice cream !!! এই ঠান্ডায়…. এই মেয়ে কি?
মেরিন ice cream লাফিয়ে লাফিয়ে খেতে খেতে আসছে। আসতে আসেতে কিছুর সাথে বেজে ধরাম করে পরে গেলো। আর ice cream গিয়ে পরলো নীড়ের মাথায়….
মেরিন: উ আম্মুগো….
নীড়: এটা কি হলো???
মেরিন: london এর মাটিও কথা বলে? oy my আল্লাহ!!!
নীড়: সামনে তাকাও। আমি কথা বলছি মাটি না… ?।
মেরিন তাকালো। নীড়কে দেখে মেরিন হেসে কুটিকুটি…. নীড় তো রেগে আগুন….
মেরিন: আপনাকে না অস্থির লাগছে… দারান দারান… pic তুলে নেই….
নীড়: খবরদার যদি pic তুলেছো…
মেরিন: আমি তো তুলবোই….
নীড়: ৪টা দাঁত ফেলানোর ইচ্ছা হয়েছে?
মেরিন থেমে গেলো। আর দিলো দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে মেরিন আবার ধপাস। পরবেই তো। এতো গুলো সোয়েটার, লং সোয়েটার পরে তো মানুষের হাটতেই কষ্ট। তারওপর দৌড়….

.

কিছুদিনপর….
এই কিছুদিনে নীড় মেরিনরে প্রায় altime follow করেছে। ওর সম্পর্কে জেনেছে। মেরিনের মোহে পরে গেছে।
মেরিন: আচ্ছা শোন examএর পর চল ১৫দিনের জন্য বাংলাদেশে যাই।
ইয়া: কোন সুখে?
মেরিন: আরে পহেলা বৈশাখ না…
ইয়া: তো?
মেরিন: তো!!! আরে মঙ্গল শোভাযাত্রা বৈশাখি মেলা বটমূল এগুলো miss হয়ে যাবেনা…
ইয়া: মঙ্গল শোভাযাত্রা কাকে বলে জানিস? যেটা ভোরের দিকে বের হয়… আর তোর তো সূর্যোদয়ই হয় ১০টার পর….
মেরিন: huh… এবার পহেলা বৈশাখের উৎসব করতে পারবোনা… এখানে কি আর অমন করে হবে?
রুবেল: কেন হবেনা?
মেরিন: আরে kidnapper তুমি কোথায় থেকে এলে?
রুবেল: বলা যাবেনা…
মেরিন: huh…
রুবেল: শোনো এই ভার্সিটিতে অনেক বাঙালি আছে।
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি?
রুবেল: না তার কিছুনা… অনেক বাঙালি student & teacher থাকায় প্রতি বছর বাঙালি student & teacher রা মিলে program করে…
ইয়া: তুমি কি করে জানলে? তুমিও তো 1st yearই…
রুবেল: হামম। কিন্তু আমার ভাইয়াও এখান থেকে graduated হয়ে গেছে।
ইয়া: oh… ভালো হয়েছে বল জানু…
রুবেল: ৩বছর ধরে নীড় ভাইয়াদের group ই arrange করে আসছে… grandly… এবারও ওরাই করবে।
মেরিন: কেন?
রুবেল: কারন ওরা best organizer…. বেশিরভাগ program ওরাই handle করে। সেটাও just perfectly …
মেরিন: প্রাণু তবে পহেলা বৈশাখ ফালতুই হবে।
নীড়: কেন ফালতু কেন?
মেরিন: কারন ইমান ভাইয়া ছারা ওই group এসবাই ফালতু। আর সব থেকে বেশি ফালতু ওই strawberry ক্ষীর।
নীড়:strawberry ক্ষীর!!
মেরিন: হামম….
নীড়: ক্ষীর কে?
মেরিন: উফফ ইয়া এতো প্রশ্ন করছে কে রে?
ইয়া দাঁতে দাঁত চেপে
বলল: পিছে ঘুরে দেখ..
মেরিন ঘুরলো। আর ঘুরেই তো shocked…. নীড় বাঘের মতো তাকিয়ে আছে।
মেরিন: আসসালামু আইকুম ভাইয়া….
মেরিনের মুখে ভাইয়া শুনে নীড়ের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো ফাজিল মেয়ে।
বলেই নীড় চলে গেলো। ওরা ৩জন কিছুই বুঝলো না।

.

পরদিন…
মেরিন-ইয়া কোকা কোলা খেতে খেতে রাস্তা দিয়ে হাটছে। কাচের বোতলে…
ইয়া: আচ্ছা রাস্তার মাঝ দিয়ে যে হেটে হেটে খাওয়াটা কি এতোটাই জরুরী…. এটা কি বাংলাদেশ?
মেরিন: বাংলাদেশ না বলেই তো এভাবে খেয়ে আরো বেশি শান্তি। অহরহ গাড়ি আসবে না।
ইয়া: তুই normal কবে হবি?
মেরিন: আমি কি জানি….
মেরিন এদিক ওদিক কিছু খুজতে লাগলো।
ইয়া: কিরে এখন কার বাপের মাথা খুজিস?
মেরিন: তোর….
ইয়া:?।
মেরিন: আরে আমি cc camera খুজছি।
ইয়া: কোন সুখে?
মেরিন: আমার সুখে।
ইয়া:১মিনিট… don’t say যে তুই as usual বোতলটা উল্টা দিকে ছুরে মারবি…
মেরিন: হামম মারবোই তো…
ইয়া: খবরদার না… এটা london … রাস্তায় আবর্জনা ফেললে সোজা police station এ নিয়ে যাবে।
মেরিন: উফফ আবর্জনা কোথায়? এটা তো কাচের বোতল। পরেই ভেঙে যাবে। কেউ যেন না দেখে তাইজন্যেউ তো cc camera খুজছি। আর দেখলে তো আরো ভালো। আমার এতোদিনের জেলে যাওয়ার ইচ্ছা পূরন হবে। awwe ki cute….
ইয়া: তুই আর তোর ইচ্ছা… তুই থাক আমি গেলাম।
মেরিন:১টা উষ্টা মারবো। আর ভয় পাচ্ছিস কেন?আমি আছি তো।
ইয়া: তুই আছিস বলেই তো ভয়।
মেরিন: huh… আমরা কি আজীবন জেলে থাকবো নাকি? ভাইয়া আছে না। পলকে বের করে আনবে।
ইয়া: তুই কি পাগল?
মেরিন: huh…
মেরিন খাওয়ারপর style মেরে বোতলটা ঘুরিয়ে পিছে না ঘুরে উল্টােভাবেই বোতলটা ছুরে মারলো। যেটা ওর স্বভাব। আর সেটা ছুরে মারতেই কোন কাচ ভাঙার আওয়াজ হলো। সেই সাথে গাড়ি break মারার। ইয়া তো oh no বলে তারাতারি পিছে ঘুরলো। কিন্তু মেরিনের ঘুরতে সাহস হচ্ছেনা। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে যে ঘুরেই নীড়কে দেখবে।

.

ও ভয়ের চোটে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে , finger cross করে পিছে ঘুরলো। সামনের চুল গুলো প্রায় baby থুরি চায়না মানে ব্রেঞ্চ cutting …?. অমনই ফর্সা। নাকটা খুব বেশি খারা না…. নাকের মাথায় কালো ১টা তিল। তার ওপর হালকা ঘাম। মাথায় cute ১টা গোলাপী টুপি। পরে আছে গোলাপী লং coat.. সাদা জিন্স। গোলাপী লং জুতো। হাতে গোলাপী মোজা। লেয়ার কাট চুল ঘাড়ের ওপর । ঠান্ডার জন্য গাল ২টাও গোলাপী হয়ে আছে। অস্বাভাবিক cute লাগছে। তারমধ্যে ১চোখ খুলে দেখলো যে নীড় দারিয়ে আছে। দেখেই আবার চোখ বন্ধ করে নিজে নিজেই কি যেন বিরবির করছে। যা দেখে নীড়ের রাগের কোনো প্রশ্নই উঠেনা। বরং ইচ্ছে করছে কোলে নিয়ে নাক-গাল টেনে আদর করতে। নীড় একটু মুচকি হেসে মেরিনের সামনে গিয়ে দারালো। আর শুনতে
পেলো: আমার এবার শেষ। ওই মটু জিহানেরই ৪টা দাঁত পরেছিলো। আমার তো ৪০টা পরবে । থাক মেরিন আফসোস করিসনা। তোর বাপের কি? তোর বাপের তো অনেক টাকা আছে। দাঁত বাধিয়ে নিবি…. তুই কি ভিখারী নাকি?
নীড়ের ইচ্ছা করছে জোরে জোরে হাহা করে হাসতে। কিন্তু এখন হাসলে চলবেনা। তাই অনেক কষ্টে রাগ রাগ ভাব ফুটিয়ে তুলল ।
নীড়: এসবের মানে কি?
মেরিন পিটপিট করে তাকালো। এরপর জোরাতালির হাসি দিয়ে
বলল: ভাইয়া আপনার গাড়ির দাম কতো… আমি এ…
একি আপনার কপাল যে কেটে গিয়েছে….

আসলে কাচের টুকরো লেগে নীড়ের কপাল কেটে গেছে। কিন্তু নীড়ের কোনো খেয়ালই নেই। মেরিনের কথায় খেয়াল হলো।

নীড়: তোমার এতো সাহস যে তুমি আমার কপাল কেটে রক্ত বের করলা? পাজি মেয়ে। তোমাকে আমি পুলিশে দেবো।
মেরিন: সত্যি? yahoo..
বলেই মেরিন লাফ দিলো।
মেরিন: আমি জেলে যাবো। ধিনাক ধিনাক।
বলেই নীড়ের ২গাল টানতে টানতে
বলল: thank u… আপনার গাল ২টা তো মনে হচ্ছে অনেক softy softy…. দারান….
মেরিন হাতের মোজা ১টানে খুলে নীড়ে গাল টানতে লাগলো ।
মেরিন: awwe কি cute… বাঘের মতো গাল।
ইমান-নীড়ের অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।
নীড়: shut up …
মেরিন ঝাড়ি খেয়ে নীড়ের গাল ছেরে ঠোটে আঙ্গুল দিলো।
নীড়: পিচ্চি পুচ্চি কোথাকার? মাথা খারাপের গোডাউন….
মেরিন চিন্তার সুরে বলল: আচ্ছা একটু পরে বকুন… মাথায় ব্যান্ডেজ করে নিন। ?।
নীড়: shut up…. তোমাকে পুলিশে দেবো। আর জেলে গেলে বুঝবে মজা। চকোলেট চোখে দেখবে না। তেলাপোকার স্যুপ, ব্যাঙের ভর্তা, গন্ডারের মাংসের বিরিয়ানি খাওয়াবে….
মেরিন:??।।
নীড়:ইমান আকাশ ওদেরকে আটকে রাখ আমি পুলিশ নিয়ে আসছি…
বলেই নীড় আড়ালে গেলো হাসতে…. পেট ফাটিয়ে হেসে এলো। সাথে ২টা taxi নিয়ে এলো।
নীড়: ইমান তুই ইয়াকে বাসায় পৌছে দে। আমি একে police station এ দিয়ে আসছি।
ইয়া: ভাইয়া ওকে ক্ষমা করে দ…
নীড়: shut up… go… & u… come.
মেরিন: না আমি যাবোনা।
নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন: নামান আমাকে strawberry ক্ষীর… আমি যাবোনা। ওগুলো খাবোনা। আমার ভাইয়া জানলে আপনার খবর করবে।
নীড় কোনো কথা না বলে ওকে নিয়ে taxiতে উঠলো।

মেরিন ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো। নীড় ১টা ঝাড়ি মারলো। মেরিন চুপ।

.

একটুপর…
মেরিন আড়চোখে নীড়কে দেখলো। দেখে ১ আঙ্গুল দিয়ে নীড়ে বাইসেপসে টোকা দিতে লাগলো।
নীড়: কি?
মেরিন: মাথায় ব্যান্ডেজ করে নিন না…
নীড়: লাগবেনা।
মেরিন: আমি করে দেই। সেপটিক হয়ে যাবে যে..
নীড়: দরকার নেই।
মেরিন: please ….
নীড় চাইলেও আর না করতে পারলোনা। মেরিনের ব্যাগে সবসময় স্যাভলন, কটন, ব্যান্ডেজ ঢুকিয়ে রাখে মেঘ। কারন এগুলো মেরিনের regular customer …. মেরিন পরম যত্নে নীড়ের ক্ষত স্যাভলন দিয়ে wash করতে লাগলো। আসলে নীড় রক্ত ওর সহ্য হচ্ছিলো না। কারন নীড়ই যে ওর একমাত্র crush… love at first side… wash করতে করতে ২জনের চোখাচোখি হয়ে গেলো। আর হারিয়ে গেলো। ?। হঠাৎ একটু ঝাকি লাগায় মেরিনের ঠোট নীড়ের চোখে লাগলো। নীড়-মেরিন তো জমে বরফ…. মেরিন ১ঝটকায় দুরে সরে এলো।
নীড় বুঝতে পারলো যে মেরিন ভীষন লজ্জা পেয়েছে। কারন মেরিনর মুখ পুরা লাল হয়ে গিয়েছে। তাই আর ঝামেলা না করে মেরিনকে বাসায় drop করে দিলো।

.

রাতে….
মেরিন….
বিছানায় শুয়ে শুয়ে নীড়ের কথা ভাবছে। taxiএর কথাটা কল্পনা করছে। আর blush করছে।
মেরিন: আপনি অনের পচা strawberry ক্ষীর….খালি crush খাওয়ান। রোজ বাসা থেকে ঠিক করে যাই আপনার ওপর crush খাবোনা। কিন্তু আপনি… huh… খালি crush খাওয়ান। কেবলমাত্র chocolate আমার দুর্বলতা বলেই এতোবার crush খাওয়াতে পারেন মিস্টার dark chocolate …. i hate you.. আচ্ছা আপনার শরীর এখন কেমন আছে? আপনি এতো রেগে থাকেন কেন? থাকেন থাকেন। হবেন তো আপনি আমারই dark chocolate … afterall মেরিন বন্যা খানর নজর পরেছে আপনার ওপর….

নীড়….

নীড় আয়নার সামনে দারিয়ে আছে। আর নিজেকে দেখছে। গাড়ির কথা মনে করছে। অজানা ভালোলাগা কাজ করছে। ঘর ভরা মেরিনের ছবি।
নীড়: তুমি আমার নেশায় পরিনত হচ্ছো। মোহ হয়ে যাচ্ছো। এতে কার বাপের কি? তুমি তো আমার “মোহ” ই… love you কলিজা পাখি….

.

৯দিনপর…
এই ৯দিনে নীড়-মেরিনের অনেক ঝামেলা হয়েছে। নীড় আড়ালে থেকে মেরিনের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। সেই সাথে রুবেলের সাথে friendship দেখে রেগে আগুনও হয়েছে। আর রোজ রাতে মেরিন ঘুমালে ওদের বাসায় গিয়ে সারারাত মেরিনকে দেখে।
আজকে মেরিনের মাথা ব্যাথা বলে মেঘ মেরিনকে দিয়ে গেছে। মেঘ কোলে করে মেরিনকে ক্লাসে দিয়ে এসেছে । ভালো লাগছেনা বলে ২টা ক্লাস করেই মেরিন চলে গেলো।

ছুটিরপর….

আজকে সারাদিনে নীড় মেরিনকে না দেখে অস্থির হয়ে গেছে। ইয়া কে দেখেই নীড় দৌড়ে গেলো।
নীড়: ইয়া…
ইয়া: জী নীড় ভাইয়া…
নীড়: মেরিন কোথায়?
ইয়া: ও তো…
মেঘ: ইয়া…
ইয়া: মেঘ ভাইয়া…
মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা কোথায়? ক্লাসে তো নেই।
ইয়া: ও তো আধা ঘন্টা আগেই ২টা ক্লাস করেই চলে গিয়েছে।
মেঘ: কি? এই মাথা ব্যাথা নিয়ে একা গেলো কেন?
মেঘ সাথে সাথে মেরিনকে ফোন করলো। but switched off পেলো । এরপর বাসায় ফোন করলো। জানলো মেরিন বাসায় যায়নি। মেঘের হাত থেকে mobile পরে গেলো।
ইয়া: কি হয়েছে ভাইয়া?
মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা বাসায় যায়নি…
কথাটা শুনেই নীড়ে বুকটা কেপে উঠলো। তখন ওর মাথায় ২দিন আগের কথাটা মনে পরলো। মেরিন টিটু নামের ১টা ছেলেকে থাপ্পর মেরেছিলো। টিটু ভীষন খারাপ। নীড়ের মাথা থেকেই কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিলো। নীড় দেরি না করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। ছুটলো টিটুর আড্ডা ঘরে…. আর ওখানে গিয়ে যা দেখলো তা দেখে নীড়ের মাথা নষ্ট হয়ে গেলো। মেরিনের ওরনাটা পরে আছে। টিটু মেরিনকে force করছে। আর কি লাগে? নীড় টিটুকে এমন ধোলাই দিলো যে জীবনে নিজের পায়ে দারাতে পারবে কিনা, নিজের হাত ব্যাবহার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। নীড় মেরিনের গায়ে ওরনাটা পেচিয়ে দিলো। মেরিন অজ্ঞান হয়ে নীড়ের বুকে পরলো….

.

চলবে….

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ