বড় বেশি ভালোবাসি part : 3

0
2135

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 3
writer : Mohona

.

মেরিন: কো…নদিনের…. ?…
নীড়: সসসসেই দিনের জন্য…. ম্যাম….
মেরিন: কোনদিন? সেটা বলবেন তো ভাইয়া?
( আসলে মেরিন সেদিন তারাহুরায় ছিলো। কারন admit হওয়ার last date ছিলো। মেরিন যে বেখেয়ালি সেটা তো আর আলাদা করে বলতে হবেনা। আর তাই মেরিনের নীড়ের কথা মনেই নেই।)

নীড়: ম্যাম ভাইয়া ডডাকেন না। আমি আপনার student …
মেরিন:student … ম্যাম? আরে আপনাদের ভুল হ…
মনে মনে : চুপ যা মেরিন চুপ যা… হয়তো এরা ragging করছে। আর যদি তা নাও হয় পরে ঠিকই করবে যদি জানে যে তুই new comer.. টিচার ভাবছে ভাবতে দে তোর বাপের কি? কিন্তু কোনদিনের কথা বলছে? যেদিনের কথাই বলুক আমার বাপের কি? আমি একটু টিচার টিচার ড্রামা করি…. হায় আমার dark chocolate ….
নীড়: ম্যাম….
মেরিন: উফফ চিল্লাচ্ছেন কেন? একদম fire করে দিবো।
নীড়: sorry ম্যাম।
মেরিন: sorry ম্যাম….?। huh… আমি কিন্তু ভীষন রাগী।
ইমান:আসলে ম্যাম সেদিন …
মেরিন: shut up… & you.. মিস্টার dark chocolate … সেদিনের ভুলের জন্য কান ধরে উঠবস করুন।
সবাই: what?
মেরিন: কি হলো ধরুন…
নীড়: ম্যাম…
মেরিন: কোনো কথা না।
বন্ধুরা নীড়ের হয়ে সাফাই দিতে লাগলো।
মেরিন: enough … dark chocolate একা কান ধরে উঠবস করবেনা।
সবাই খুশি হয়ে গেলো।
মেরিন: আপনারা সবাই মিলে কানে ধরে উঠবস করবেন।
সবাই: no way….
মেরিন: করবেন না fire করবো?
৫জন বাধ্য হয়ে ১০বার কানে ধরে উঠ বস করতে লাগলো। সবাই তো অবাক। সারা ভার্সিটির সেরা ৫crush গন কানে ধরে উঠবস করছে। ভাবা যায়। মেরিন তো হেসে কুটিকুটি। যেই হাসি দেখে যে কেউ পাগল হবে। বাচ্চাদের মতো হাসছে।
মেরিন: হয়েছে হয়েছে। মাফ করলাম।
মেরিন চলে গেলো।
আশেপাশের সবার reaction দেখে নীড় ওর ভালোলাগার জগত থেকে বের হলো। আর ভীষন রেগে গেলো।
নীড়: যদি আমাদের টিচার না হতো তাহলে দেখে নিতাম।

.

২দিনপর….
ইয়া: কি রে ২দিন ধরে দেখছি তুই কিছু খুজেই যাচ্ছিস। কি খুজছিস?
মেরিন: dark chocolate …?..
ইয়া: dark chocolate ??
মেরিন: দেখেছিস কোথাও?
ইয়া: হামম।
মেরিন: কোথায় কোথায়?
ইয়া: তোর ব্যাগে….
মেরিন: shut up…. আমি তো ওই dark chocolate এর কথা বলছি। যে ভীষন সুন্দর। চোখ হরিণের মতো, আর চোখের মণি ২টা পুরাই galaxy toffee.. চেহারাটা খরগোশ না না বাঘের মতো , like dairy milk bubble … চুল গুলো শাহরুখ খানের মতো। হাইটে জিরাফ না না জিরাফ না হৃত্বিকের মতো। পুরাই kitkat… ১গালে টোল পরে।।। শাহরুখ খানের মতো। শাহরুখ খানের ২গালেই পরে। হায় কি সুন্দর। গালের টোলটা কিসের মতো জানিস flake এর মতো… গাল ২টা কাঠবিড়ালীর মতো। গাল ২টা chocolate রসোগোল্লার মতো…. ঠোট ২টা আমার মতো গোলাপী,,, না না লাল। red rose.. নাকটা…
ইয়া: ১মিনিট ১মিনিট…তুই কোনো ছেলের কথা বলছিলি?
মেরিন: না আমি dark chocolate এর কথা বলছি। খুজে দে না…
ইয়া: আমি কোথায় পাবো?
মেরিন: আমি জানিনা খুজে আন…
ইয়া: আরে এমন কাউকে কোথায় পাবো? পৃথিবীর শেষ প্রান্তে যেতে হবে যে…
মেরিন: না না… এই কলেজেই আছে। খুজে দেনারে…. তুুই তো ২মাস ধরে আছিস…
ইয়া: তুই পাগল হয়ে গেছিস। তুই তোর স্বপ্নে দেখা prince charming এখানে খুজছিস।
মেরিন: আরে আমি সত্যি বলছি…
ইয়া: চুপ থাক। পাগল । এমন কেউ হয় নাকী?
মেরিন: বললাম তো দেখেছি।
ইয়া: চুপ করবি?
মেরিন: এবার কিন্তু রাগ ওঠাচ্ছিস…
ইয়া: তো কি করবো? এমন কেউ এই কলেজে তো দূরের কথা এই পৃথিবীতেই নেই।
মেরিন: আছে।
ইয়া: নেই।
মেরিন: আছে।
ইয়া: নেই।
মেরিন: আছে।
ইয়া: নেই নেই নেই ন… আআআ…
ছার আমার হাত….
আসলে মেরিন রেগে গিয়ে ইয়ার হাত কামড়ে ধরেছে। মেরিন রেগে গেলে কামড়ে দেয়।
মেরিন: বললাম না আছে…
ইয়া: আচ্ছা আছে। আমাকে ক্ষমা দে।
মেরিন: huh….
মেরিন পানি খেতে লাগলো।

.

ইয়া-মেরিন মুখোমুখি দারানো।
ইয়াকে দেখে আকাশ
বলল: ওই দেখ ইয়া ভাবি।
ইমান: ওই ভাবি কি?
নীড়: ওলে কচি খোকালে…. বোঝেনা। চল যাই ভাবিকে hi hello বলে আসি।
ওরা গেলো।
নীড়: hello ইয়া আপুই….
মেরিন মনে মনে: সেই বাসনা…. সেই voice …
মুখে পানি নিয়েই মেরিন ঘুরলো। আর ঘুরেই নীড়কে দেখে ওর মুখের পানি বেরিয়ে এলো। আর পরলো নীড়ের মুখে।
৫জন: আসসালামু আলাইকুম ম্যাম….
মেরিন: dark chocolate …. এই দেখ এই white no no chocolate রসোগোল্লার কথা বলেছিলাম।
ইয়া মনে মনে: oh no নীড় ভাইয়া। যে জঘন্য রাগী। আমার তো আগেই বর্ননা শুনে বোঝার দরকার ছিলো।
ইয়া: তুই নীড় ভভভাইয়ার কথাই বলছিলি!! (ফিসফিস করে)
মেরিন: হামম।da…
তখনই মেরিনের ভাই মেঘ মেরিনকে ডাক দিলো।
মেঘ: মিষ্টি princess ….
মেরিন: ভাইয়া… ok টাটা bye সবাই….
মেরিন দৌড়ে গিয়ে মেঘের কাধে উঠলো। মেঘও আদরের বোনকে কাধে করে নিয়ে গাড়িতে বসালো। এরপর ভাইবোন চলে গেলো।

.

রাব্বি: ম্যাম তোমার সাথে এভাবে কথা বলছিলো কেন?
ইয়া: ম্যাম ? কোথায় ম্যাম?
সূর্য: এক্ষনি যে গেলো সে…
ইয়া: না না ভাইয়া ও তো ম্যাম না। আমার bestu…. মেরিন। মেরিন বন্যা খান। আসলে আমি আর ও ২জনই scholarship পেয়েছি। আমি তো আগেই timely চলে এসেছি। but ওর আসা না আসা নিয়ে অনেক ঝামেলা ছিলো। সবার ছোটো আর আদরের তো। বাবা-ভাইয়া একা ছারেনা কোথাও। ওরও এখানে আসার ইচ্ছা ছিলো। তাই মেঘ ভাইয়া ওর সাথে এসেছে। কিছুদিনের মধ্যে uncle-aunty ও চলে আসবেন। একেবারে last moment এ form fill up করেছে। এই তো ৮-১০ দিন হবে…
নীড়: অাচ্ছা তো ইনি আমাদের ম্যাম না। new comer…
একে তো আমি….

.

মেরিনদের বাসায়….
মেঘ: মিষ্টি মনি…. হা করো।
মেরিন: হ্যা ভাইয়া…. হা….
মেঘ মেরিনকে খাইয়ে দিচ্ছে।
মেঘ: সেই dark chocolate কে কি পেয়েছো?
মেরিন: হামম। ☺️।
মেঘ: thats great… তবে আমাকে যদি involve হতে দিতে তবে সেদিনই তোমার হাতের মুঠোয় থাকতো তোমার dark chocolate …
মেরিন: আমি জানি। but খান বাড়ির সন্তান কি তুমি একাই?
মেঘ: এমা তা কেন হবে? তুমি তো খান সম্রাজ্যের একমাত্র princess …. we all are your servant…
মেরিন: huh… তাহলে সব পাওয়ার তুমি আর বাবা ই দেখাও কেন? হামম?
মেঘ: আরে বাবা আমরা থাকতে আমার মিষ্টি princess কষ্ট করবে কেন?
মেরিন: huh…কিন্তু dark chocolate এর ব্যাপারে তোমরা ঢুকবেনা। আমি তোমাদের surprise দিবো।
মেঘ: কিন্তু মিষ্টি বাচ্চা…
মেরিন:আমি কিন্তু খাবোনা।
মেঘ: আচ্ছা তুমি যা বলছো তাই হবে। নাও হা করো।
মেরিন: promise ??
মেঘ: ভাইয়ারও promise লাগবে?
মেরিন: উহু। ইলু ইলু ভাইয়া।
( ILU = i love u…)…
মেঘ: ইলু ইলু 2 মিষ্টি কলিজা।
মেঘ মেরিনকে অতুলনীয় আদর করে।

.

পরদিন….
মেরিন নিজের favorite BMW নিয়ে ভার্সিটিতে গেলো। BMW car মেরিনের দুর্বলতা।
গাড়ি থেকে নামার পরই কিছুর মধ্যে স্লিপ খেয়ে মেরিন ধপাস করে পরে গেলো।

মেরিন:আম্মু গো আমার কোম….
তখন মেরিন হাসির শব্দ শুনলো। সামনে তাকিয়ে দেখলো নীড়রা ৫বন্ধু হাহা করে দাঁত ৪০টা বের করে হাসছে।
নীড়: কি গো মিস ম্যা হু না টিচার আমাদের আর কানে ধরে উঠবস করাবেননা…
মেরিন ঠোট উল্টে পা আছরে ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো। নীড়রা বন্ধুরা shocked… এতো বড় মেয়ে এভাবে কাদছে…. তখন ওরা ভালোমতো মেরিনকে দেখল। সাদা ধবধবে ১টা থ্রীপিছ পরেছে। ২টা ঝুটি করেছে। তাও ক্লাস 3-4এর বাচ্চাদের মতো। না চোখে কাজল আর না ঠোটে লিপস্টিক। কেবল কপালে ছোট্ট ১টা সাদা পাথরের টিপ। মনে হচ্ছে ১৫-১৬ বছরের পিচ্চি। নীড় মায়াভরা দৃষ্টিতে দেখেই যাচ্ছে। তখন ওখানে ইয়া এলো।
ইয়া: মেরিন… কি রে তোর কি হয়েছে? মাটিতে বসে আছিস কেন?
মেরিন: কারন আমার বিয়ে লেগেছে তাই.. এ্যা… হ্যা..
ইয়া: কি হয়েছে একটু বলবেন ভাইয়ারা?
নীড় এগিয়ে এলো।
নীড়: এই পিচ্চিটা টিচার সেজে আমাদেরকে কানে ধরে উঠবস করিয়েছিলো সেটারই শাস্তি দিয়েছি….
ইয়া: মেরিন আপনাদের কানে ধরে উঠবস করিয়েছে?
নীড়: yes…
ইয়া মেরিনকে ওঠাতে গেলো। মেরিন এমনভাবে তাকালো ওর দিকে যে ইয়া ভয় পেয়ে পিছিয়ে এলো।

.

ইয়া ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো : পা কি বেশি ব্যাথা করছে?
মেরিন: চোখের সামনে থেকে সর…
ইয়া: তোর পা তো লাল হয়ে গেছে…
মেরিন: পা লাল হয়েছে সেটা দেখলি… but আমার জামাটা যে নষ্ট হলো সেটা দেখলিনা…
ইয়া: তুই কি রে…
নীড় মেরিনের সামনে ঝুকে হাত বারিয়ে
বলল: শোধবোধ হয়ে গেছে।।। now give me your hand….
ইয়া মনে মনে: নীড় ভাইয়ার হাত গেছে ভোগে….
মেরিন নীড়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে দে এক কামড়।
সবাই:?।
নীড় ১টা টু শব্দও করলোনা। শুধু মেরিনকে দেখলো। নীড়ের চোখ লাল হয়ে গেছে। একটুপর মেরিন ছারলো।

.

মেরিন: পাগলের মাথা ছাগলের ঠ্যাং শালি তোকে dark chocolate ভেবেছিলাম কিন্তু তুই তো ১টা strawberry chocolate …. আমি বলেছিলাম আমি তোর টিচার লাগি? তুই ম্যাম ম্যাম বলে মাথা খেয়ে ফেলছিলি। আমার পা তো ভাঙলিই সেই সাথে আমার পিও জামাটাও ধংব্স করলি।
নীড় তো রেগে বোম্ব…. মেরিন মোবাইল বের করলো।
মেরিন: ভাইয়া..??…. এ্যা… হ্যা…হ্যা….
মেঘ: মিষ্টি বাচ্চা কাদছো কেন? আমি এখনি আসছি….
মেরিন মোবাইল রেখে দিলো।
নীড়: এই অসভ্য মেয়ে এই তোমার সাহস…
তখন ইয়া নীড়কে থামিয়ে দিলো।
ইয়া: নীড় ভাইয়া এখন কিছুই বলবেন না। ওর ভাইয়া চলে আসবে।
নীড়: তো….
ইয়া: আরে মেঘ ভা….

.

তখনই প্রচন্ড speed এ ১টা গাড়ি এসে ওখানে থামলো। সে হলো মেঘ। পাগলের মতো দৌড়ে চোখে পানি নিয়ে মেরিনের কাছে গেলো।
হাটু গেরে বসে অস্থির হয়ে
বলল: মিষ্টি বাচ্চা তুমি কাদছো কেন? পরে গিয়েছো? princess অনেক ব্যাথা পেয়েছো? কে ফেলেছে বলো? just tell me the name… i will kill him or her….
মেরিন তো কান্না করতে করতে হাপিয়ে গেছে।
হাপাতে হাপাতে
বলল: ভভভাইয়া আমি স্লিপ খেয়ে পরে গিয়েছি…
মেঘ: কতো করে বলি আমি ক্লাসে দিয়ে আসবো নিয়ে যাবো….
অনেক ব্যাথা করছে সোনা বাচ্চা…
মেরিন : হামম। কিন্তু আমার এই পিও new dress আর shoe টা নষ্ট হয়ে গগগিয়েছে।
মেঘ: same design same brand same color ১০ ১০ টা কিনে দিবো। কান্না থামাও princess …
মেরিন থামলো।
মেঘ: আমার মিষ্টি কলিজা….
মেঘ মেরিনকে কোলে নিলো।
মেঘ: আরে ইয়া… ভালো আছো আপুমনি?
ইয়া: জী ভাইয়া।
হেটে নীড়ের সামনে যেতেই মেরিন
বলল: ভাইয়া ভাইয়া….
মেঘ: হ্যা মিষ্টি কলিজা…
মেরিন: ভাইয়া ভাইয়া এই strawberry chocolate টা হেসেছে আমি পরে গেছি দেখে….
strawberry chocolate শুনেই মেঘ বুঝতে পারলো যে নিশ্চয়ই নীড় মেরিনের অপ্রিয় হবে।
মেঘ: hey u… তোমার সাহস তো কমনা তুমি আমার বোনের ওপর হাসো। আর কখনো এমন ভুল করলে হাসির জন্য আর এই দাঁতগুলো থাকবেনা।
বলেই মেঘ মেরিনকে নিয়ে চলে গেলো।

.

রাতে….
নীড় উরাধুরা নাচছে।
নীড়: উহুহু… she is not our madam… so i can be her adam…..
নীড় মেরিনের কামড় দেয়া জায়গাটায় পাগলের মতো kiss করলো।
নীড়: my cute

.

পাগলি….
৭দিনপর…
৭দিনপর আজকে মেরিন varsityতে এলো। মেরিন গাড়ি থেকে নামলো । নেমে জায়গাটা পা দিয়ে ঘসছে।
নীড়: কি করা হচ্ছে?
মেরিন: check …
নীড়: কিসের check ?
মেরিন: আজকেও ওই strawberry chocolate টা আজকেও কোনো বদমাইশি করেছে কিনা?
নীড়: কি বদমাইশি?
মেরিন: আর বলবেন ন….
বলেই নীড়ের দিকে ঘুরলো।
মেরিন: আপনি?
নীড়: তুমি ঘুরে ঘুরে আমার সামনেই কেন আসো বলতে পারো?
মেরিন : আ….
তখন ইমান এলো।
ইমান: hello আপু…
মেরিন আশেপাশে তাকালো।
ইমান: তোমাকেই বলছি।
মেরিন: আমি আপনার কোন জনমের বোন? আর আপনি কে?
ইমান: আমি ইমান…
মেরিন: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ….!!!
নীড়-ইমান: ?।
ইমান: তুমি কি আমার বোন হবে?
মেরিন: কেন?
ইমান: কারন আমার কোনো বোন নেই।
মেরিন: ওহ। কিন্তু আমার তো ভাইয়া আছে। থাক তবুও আপনি থুরি… তুমি আমার ভাইয়া।
নীড়: ওরে আমার ভাইবোন রে….
মেরিন: ভাইয়া এই লোকটা কে?
ইয়া: মেরিন…. alex sir ক্লাসে ঢুকে পরলো বলে… জলদি আয়….
মেরিন: হামমম। আর এই যে… আমি আপনাকে বোঝাবো কতো ধানে কতো মরিচ। huh…
বলেই মেরিন চলে গেলো।
নীড়: কতো ধানে কতো মরিচ? এটা কি ছিলো?

.

ক্লাস শেষে….
মেরিন-ইয়া ক্যান্টিনে বসে আছে। ইয়া কখন থেকে বকবক করছে। মেরিন কিছুই শুনতে পায়নি। কারন ও কিছু ভাবছে।
ইয়া: মেরিন…??…
মেরিন: চিল্লাচ্ছিস কেন? আমি কি কানে কম শুনি নাকি?
ইয়া: তুই কোন দুনিয়ায় ডুবে আছিস? কি ভাবছিস?
মেরিন: ভাবছি ওই strawberry chocolate কে কিভাবে বোঝাবো যে কতো ধানে কতো মরিচ?
ইয়া: কতো ধানে কতো মরিচ না কথাটা হলো কতো ধানে কতো চাল….
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি? ভাতের সাথে আমরা তরকারী খাইনা…
ইয়া: তো?
মেরিন: তরকারিতে তো মরিচ দিতে হয়। তাইনা?যদিও আমি মরিচ খাইনা…
ইয়া: তুই কি বলিস কিছু বুঝিনা।
মেরিন: তোর বুঝতে হবেনা। পাবলিক বুঝলেই হবে। এখন পারলে idea দে যে ওই strawberry chocolate কে কিভাবে শিক্ষা দেয়া যায়?
ইয়া: নীড় ভাইয়াকে?
মেরিন: হ্যা ওই ক্ষীর কে…
ইয়া: ক্ষীর না নীড়…
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি?
ইয়া: উনাকে না dark chocolate ডাকতি।
মেরিন: তখন কি জানতাম নাকি যে ওই ক্ষীর strawberry এর হবে….
ইয়া: উফফ… দেখ তুই তো আমার ছোটোবেলার bestu… তোকে ১টা কথা বলি নীড় ভাইয়া তোর থেকেও dangerous … তাই ভাইয়ার পিছে আর লাগিসনা।
মেরিন: পিছে লাগবো কেন? আমি তো সামনে লাগবো। প্রতিশোধ নিবো। huh….

.

পরদিন….
মেরিন নীড়ের গাড়ির সব চাকার হাওয়া বের করার কথা ভাবতে ভাবতে ভার্সিটিতে যাচ্ছে। তখন দেখলো ১জায়গায় লোক জরো।
মেরিন: এখানে কি মেলা বসেছে? london এও মেলা হয়?
মেরিন গাড়ি থেকে নামলো। দেখলো নীড় ১টা ছেলেকে ঠাস করে থাপ্পর মারলো। আর লোকটার ৪টা দাঁত পরে গেলো।
মেরিন:?… দাঁতই ফেলে দিলো..
ছেলেটাকে মারতে মারতে নীড়ের চোখ মেরিনের দিকে পরলো। নীড় তাকাতেই
মেরিন তো গাড়ি নিয়ে দে দৌড়।

.

ভার্সিটিতে….
গাড়ি থেকে নেমে….
মেরিন: আম্মুগো… কি ভয়ংকর লোক। ১টা থাপ্পরে ৪ ৪টা দাঁত ফেলে দিলো…!!! আমাকেও যদি by at any chance থাপ্পর মারে? আর আমারও ৪পরে যায়। না না… chocolate খাবো কিভাবে? না বাবা না ওই strawberry chocolate এর পেছনে আর লাগবোনা.. প্রতিশোধও নিবোনা।
নিজে নিজে বকবক করতে করতে মেরিন হাটছিলো। তখন কারো সাথে ব্যাপকভাবে সংঘর্ষ হলো। পরে যেতে নিলে মেরিনের হাত কেউ ধরে ফেলল। না এবার নীড় না। সবসময় কি নীড়ই থাকবে? এবার অন্যকেউ। তার নাম রুবেল।
মেরিন : আমি পরছি না কেন?
মেরিন চোখ খুলল। দেখলো ১টা ছেলে ওর হাত ধরে রেখেছে। মেরিন সাথেসাথে সোজা হয়ে দারালো। আর হাত সরিয়ে নিলো।
মেরিন: সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার?
রুবেল: help করার পরিবর্তে বুঝি এভাবে thank u বলে?
মেরিন: huh… দেখে হাটতে পারেন না?
রুবেল: সামনে আলোর ঝিলিক পরলে আর কি দেখে চলা যায়??
মেরিন: আলোর ঝিলিক? কোথায়?
মেরিন খুজতে লাগলো।
রুবেল: কি খুজছো?
মেরিন:আলোর ঝিলিক।
মেরিনের কথা শুনে রুবেল হাসতে লাগলো।
মেরিন: হাসছেন কেন?
রুবেল: because you r so sweet…
মেরিন: huh… সরুন আমার ক্লাস আছে।
রুবেল: হামম চলো। আমিও যাবো।
মেরিন: কেন আপনি কেন যাবেন?
রুবেল: কারন তুমি আমি same class… we classmate…
মেরিন: আপনি আমাদের ক্লাসে?
রুবেল: হামম।
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি!!!?।
বলেই মেরিন চলে যেতে নিলো।

.

রুবেল: মেরিন…
মেরিন: কি?

রুবেল ১বক্স
chocolate এগিয়ে দিয়ে
বলল: friends ???
মেরিনের চোখ তো chocolate box এ…
মেরিন : আপনাকে তো আমি চিনি না। আপনার টা নিবো কেন? আপনি কি ছেলে ধরা? কে আছো বাচাও….
রুবেল:?।।
মেরিন: বাচাও বাচাও kidnapper…
??

.

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে