Monday, October 6, 2025







জানি দেখা হবে পর্ব -০৫

জানি দেখা হবে পর্ব -০৫
লেখা আশিকা জামান

রাতের ঘুমটা বোধ হয় জীবন থেকে হারিয়েই গেল। সারা রাত নাকের জলে চোখের জলে বালিশ ভিজিয়েছ….। কান্না যে অনিশার কোন বাধই মানছেনা।

অনিশার মাথাটা খারাপ হওয়ার যোগাড় হলো এটা শুনে বিয়ে নাকি ৭ দিন পিছিয়েছে….। বিয়ের প্যারা ও আর নিতে পারছেনা।.
না এভাবে আর হচ্ছে না এই ৭ দিনের মাঝে কিছু একটা করতেই হবে।
রুপমের সাথে দেখা করাটা খুব জরুরি….
কিন্তু কিভাবে?

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


কোন একটা উপায় ঠিক বের করতে হবে…
মনে মনে ভাবছে অনিশা।
এর মাঝেই নিহানের ফোন এল।.
এত সকালে কেন,
ফোন করছে নিহান??
হ্যালো (কিছুটা বিরক্তি নিয়ে)
-অনিশা good morning
-good morning…
কেমন আছেন?
-এইতো ভাল। তুমি
কেমন আছ??
– ওই আছি।
– অনিশা চল আজকে মিট করি? তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছে?
– ঠিক আছে, কোথায়??
বাসা থেকে বের হয়া দরকার কিন্তু এখন বললে কেউ রাজি হবে না, তাই নিহানের সাথে বের হওয়ার জন্য অনিশা রাজি হল।
– ঠিক আছে তুমি ১০ টা নাগাদ পার্কে চলে এসো।
– ও কে বাই।
বলে অনিশা ফোন কেটে দেয়…
অনিশা সকাল ৯ টায় রেডি হয়ে তার মা কে বলে বাহিরে যায়। নিহানের কথা শুনে তার মা পারমিশন দেয়।
অনিশা রিক্সা নিয়া সোজা হসপিটালের দিকে যায়..
অনিশার বুকের ভেতরটা আনচাঁন করছে রুপম কে দেখার জন্য।
অনিশা হসপিটালে এসে এদিক ওদিক খুজতে লাগল। কিন্তু কোথাও দেখতে পেল না….
অনিশা তখন রুপমের কথা রিসেপশন
জিজ্ঞাস করল…
” স্যার তো ছুটিতে আছে, বিকেলে চেম্বার এ বসে”
অনিশা উনার কাছ থেকে রুপমের কার্ডটা নিয়া আসে…
অনিশার মন টাই খারাপ হয়ে যায়।
এরপর ও নিহানের সাথে মিট করতে যায় ।

নিহানের ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকাটা ওর কাছে অসহ্য লাগতে লাগলো।
– অনিশা তোমাকে কেমন যেন দেখাচ্ছে…
আর ইউ ওকে?
– না ঠিক আছি।
-চল ফুচকা খাই?
অনিশার ইচ্ছে না করলেও খেতে গেল…
বিরক্ত লাগছে বাট কিচ্ছু করার নাই, বি কুল অনিশা! বি কুল!
নিজেই নিজেকে বলছে…
“অনিশা তুমি কি কিছু বললা??”

“কই নাতো…”
“ওকে বাদ দাও…
আচ্ছা তুমি কি বুঝ না আমার ভালবাসা? হু হু..
এইরকম আর কখনো করবানা?
আমার কতটা খারাপ লেগেছিল বুঝাতে পারবোনা।

আমার ঠেকা পড়েছে আপনার কথায় মরতে
যাওয়ার।ইস কি যে মনে করে নিজেকে। এইসব ন্যাকা ন্যাকা ডাইলগ বিরক্ত লাগসে, কিছু একটা করতে হবে…।
কিছু একটা ভেবে নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে অনিশা বলে উঠলো,
” ও মা গো আমার এত মাথা ব্যাথা করছে কেন?? উ ফ ফ মাথা ছিড়ে যাচ্ছে..”.
” আমি মাথা টিপে দেই?
ভাল লাগবে…”

” না লাগবে না, বাসায় যাব। ”
চান্স পেলেই টাচ করার সখ হয় সব ছেলেদের একি স্বভাব”ও কে গাড়িতে উঠ।

অনিশা সারা রাস্তা মাথায় হাত দিয়া বসে ছিল।
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে অনিশা রুপমের নাম্বার ডায়াল করল, ২ বার কল দিল ধরল না। আবার কল দিতেই ধরল……
‘হ্যালো, ডাঃ রুপম বলছি…
কে? ”
অনিশা চুপ করে আছে..
রুপমের নিঃশ্বাসের শব্দ ওর কানে বাজছে..
“এই হ্যালো, কে বলছেন বলুন তো? কে??
কি বলতে পারছেন না…?
ফাজলামি করার জায়গা পাননা বলেই ফোন কেটে দেয়…।”
অনিশা আরও ২ বার ফোনে দেয়,
কেটে দেয় রুপম লাইনটা।
আবার অনিশা ফোন দেয়…
এইবার রুপম রিসিভ করে..

“হ্যালো, আপনার কি মনে হয়না যে আমি মানুষ, দেখুন আমি একটা ডিপ্রেশন এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমাকে এইভাবে বিরক্ত করবেন না।”
” রুপম, আমি তোমার অনিশা।”
কাপা কাপা গলায় কথাটা বলে অনিশা।
রুপমের এই মূহূর্তে ভালবাসার নদীতে ঝাপ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য ও যে সাতার জানে না।
“চিন্তা করে বলোতো, সত্যিই কি তুমি আমার? নাকি কখনো ছিলা?”
অনিচ্ছা সত্বেও ওকে এখন এই কথাটা বলতেই হল।

অনিশা চুপ হয়ে আছে…
“জানি তুমি বরাবরের মত চুপ হয়েই থাকবে।”
” না আমার তোমাকে অনেক কিছু বলার আছে যা তুমি জান না।”
“আমার কিছু শোনার নেই।”
বলেই রুপম ফোন কেটে দিয়ে অফ করে দিল।
অনিশা প্লিজ আমাকে ক্ষমা কর।
তোমার সাথে কথা বললে যে আমি দুর্বল হয়ে যাব।
আমার তো দুর্বল হওয়া যাবে না
তুমি জান না বাবা মারা যাওয়ার পর আমি পুরা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
তখন মামা আমাকে ঢাকায় নিয়া আসে, আমাকে অন্ধকার থেকে টেনে তুলে আমার মামা।আমার চলার পাথেয় সে, আমার আজ যা আছে সব মামার জন্য। আজ কি করে আমি তোমার জন্য আমার মামার অসম্মান হতে দেই। কি করে আমার ভাই নিহানের সাথে এই বেঈমানি আমি করব।
অনেক ভালবাসি তোমায়, ভাল থেক….
ডাইরিটা লিখে রুপম সিগেরেট ধরাতে লাগল।
অনেকদিন আগে নেশাটা বাদ দিয়েছিল এখন আবার এই নেশায় তাকে ভর করেছে…..

—————————-
—————————-

অনিশা বারবার ফোন দিচ্ছে কিন্তু সুইচড অফ বলছে….
খুব কান্না পাচ্ছে…
রিংটোন বাজছে অনিশা খুশিতে ফোন ধরতে যায় বাট,
স্ক্রিনে নিহানের নাম ভেসে উঠে….।
অনিশার সুইচড অফ করে শুয়ে পড়ে।
সকালে অনিশার মা দরজা লক করে।
অনিশা দরজা খুলে মাকে ভিতরে আসতে বলে।
“মা তোর কি হইসে বল? চেহারার কি হাল বানাইছোস?”
” আমার কিছু হয় নাই মা। ”
” নিহানের সাথে কিছু হইছে?”

” না। প্লিজ মা আমাকে ঘুমাতে দেও, বিরক্ত লাগছে।’
“অনিশা তুই আমার চোখকে ফাকি দিতে পারবিনা। যাচ্ছি এখন, কিন্তু সবটা আমার জানা দরকার, তুমি ভেবে নাও কখন আমাকে সত্যিটা জানাবা।”
বলেই মা চলে গেল…।
অনিশা বার বার রুপমের নাম্বার ডায়াল করছে কিন্তু ফোনটা এখনও সুইচড অফ…
কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না
রুপমের সাথে কথা বলা দরকার। কেন সে এমন করছে? আমাকে জানতেই হবে।
কিন্তু বাসা থেকে তো বের হতে পারবোনা।
কি করা যায়…
” আপি এই আপি?
তুই নিহান ভাইয়ার ফোন ধরিস না ক্যান?”
” ধরি নাই বেশ করেছি। তুই যা এখান থেকে আর আমার সামনে ভুলেও আসবি না। আর আমার সব বিষয়ে কি তোকে কৈফিয়ত দিতে হবে?”
“আপু আমাকে এইভাবে বলতে পারলি? বাবা মা মারা যাওয়ার পর তো তোরাই মানুষ করেছিস, আমিতো আশ্রিতা তাই এমন বলতে পারলি”
রিহা কাদছে…
অনিশা উঠে গিয়ে রিহাকে জড়িয়ে ধরে। ওর এখন খারাপ লাগছে খুব।

“রিহা সরি আমি এইভাবে বলতে চাইনি।
আমি একটা খারাপ সময় পার করছি তাই ওভার রিএক্ট করে ফেলছি।”

“আপু আমি যদি তোমার বোন হয়ে থাকি তাহলে আমাকে সব খুলে বলো। আমি তোমার কষ্ট সহ্য করতে পারি না। প্লিজ বলো…”
অনিশা রিহা কে সব বলে দেয়..
রিহা সব শুনে তাকে রুপমের সাথে দেখা করিয়ে দেয়ার প্ল্যান খুজতে থাকে.
“আপি পাইছি!!”

“কি পাইছিস…??”

“তুমি চাচীকে বল যে তুমি আসুস্থ হসপিটালে যাবা। তাহলেই হল…ব্যাস।”
” তোরে বলছে? গাধী এইটা বললে মা বলবে ভাইয়ার সাথে, নইলে নিহানের সাথে যা।”
” আরে ধুর, তুমি সিক্রেট কিছু বল…
তাইলে আমার সাথে যেতে দিবে।”
“সিক্রেট!! মানে??”
” বল যে অনেক লিউকোরিয়া যাচ্ছে, অনেক চুল্কুচ্ছে হাটতে পাচ্ছি না। ”
“রাইট, থ্যাংকস বনু…”
” ইস্ স আরো আগে যে কেন তোদের দেখা হল না। এখন যে কি হবে???”
রিহা ভেবে পায়না।
যেই ভাব সেই কাজ ওরা বিকেলে রুপমের চেম্বারে চলে আসল।
তারপর ওদের ঢুকতেই দিচ্ছিল না সিরিয়াল মেইন্টেইন না করার জন্য। অনিশা ৫০০
টাকা ঘুষ দিয়ে রুপমের কেবিনে ঢুকল। রুপমতো অনিশাকে দেখে চমকে গেল।
“ধেৎ এখন আবার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে।”
বিড়বিড় করে বলে উঠল।
“হ্যালুসিনেশন না সত্যি আমি। এই ছুঁয়ে দেখ…”.
বলেই হাত বাড়ায় রুপমের দিকে..
রুপমের খুব ইচ্ছা হচ্ছে অনিশার হাতটা ধরতে।
” এখানে ক্যান?? কোনো সমস্যা??

“অবশ্যই সমস্যাতো আছেই তবে সেটা শরিরে নয় মনে।”

” কিন্তু আমি তো সাইক্রিয়াটিস্ট নই। সো আমার টাইম ওয়েস্ট না করলে খুশি হব।”

“তুমি আমার সাথে কেন এমন করছ? রুপম আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।”
রুপম হো হো করে হেসে উঠে..
অনিশা চমকে উঠে এমন নির্লিপ্ত হাসি দেখে।

” আচ্ছা তুমি পারও, কবে তোমাকে কি বলেছিলাম সেটা আমার ভালো করে মনেও নেই। আর এখনো তুমি এটা ধরে নিয়ে বসে আছ। হাউ ফানি অনিশা! আর আমাদের মাঝে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে এটা তোমার মাথায় থাকা দরকার।”

“আমি জানি তুমি এইগুলা মন থেকে বলছ না।
অনিশা উঠে গিয়ে রুপমের হাত ধরে। ”

“প্লিজ তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমি তোমাকে ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারি না। ”
বলেইঅনিশা কাদতে লাগল।
রুপম এক ঝটকায় অনিশার হাত ছাড়িয়ে দিল।

“অনিশা তোমার না দুই দিন পর বিয়ে তুমি আসছ আজকে প্রেম নিবেদন করতে। তোমরা মেয়েরা সব এক। বেটার কাউকে পেলে তার গলায় ঝুলতে চাও। আমার থেকে বেটার পেলে তো আবার আমাকেও ছেড়ে চলে যাবা…..
যে মেয়ে বিয়ের আগের দিন অন্য ছেলেকে প্রেম নিবেদন করতে পারে তাকে আর কি বলব??
ডোন্ট ডিস্টার্ব মি এন্ড গেট লস্ট।”
রুঢভাবেই কথাটা বলল।

” রুপম তুমি এতোটা বদলে গেছো। আমি আবারো বলছি প্লিজ আমকে ফিরিয়ে দিও না। আমি সত্যিই তোমাকে ভালবাসি। তোমার মুখ থেকে ভালবাসি কথা না শুনে আমি যাব না।”

“ও তুমি যাবনা তাই না, আমার মান সম্মান যা ছিল সব তো খুইয়েছো অবশিষ্ট যা আছে তাও যেতে বসেছে, এই শোন তুমি থাক আমি গেলাম…
মানুষকে ডিস্টার্ব করার একটা লিমিট থাকা উচিত…”
বলেই রুপম হনহন করে বের হয়ে গেল…

রিহা রুমে ঢুকল রুপমের বের হওয়া দেখে..
.
“আপি প্লিজ তুই কাঁদিছ না। সব ছেলেরা এক মেয়েদের নিয়া খেলতে তারা মজা পায়।”

ক্লিনিকের সবাই অনিশার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, যেন সে চিড়িয়াখানার জন্তু জানোয়ার।
অনিশা রিহার সাথে বাড়ি ফিরে আসে সারা রাস্তা কান্না করতে করতে…

অনিশা বাসায় এসে সোজা তার রুমে গিয়ে দরজা লক করে দেয়।

” রিহা, অনিশা এইভাবে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করল কেন? আর শোন তোমাদের কার্যকলাপ যথেষ্ট সন্দেহজনক।”

“চাচি তুমি হুদাই টেনশান কর, আরে আপিতো ড্রেস চেঞ্জ করে।”
” তুমাদের যা খুশি তাই কর ও। কিছু বলবনা। বলেই অনিশার মা চলে গেল…”
অনিশা তার রুমের দরজা
খুলছে না সারা সন্ধ্যা সে দরজা লক করে ছিল।
অনিশার মা দরজা ধাক্কাচ্ছে অনিশার দরজা খুলে দেখে নিহান।
নিহানের চোখগুলো লাল হয়ে আছে, মুখ দেখে মনে হচ্ছে রেগে ফেটে পড়বে এখনি।
তোমরা কথা বলো আমি আসছি।
বলেই মা চলে গেল।
কিছুক্ষন দুজনেই চুপ।
“তোমার ফোন কোথায়??”

“আমার কাছে ই…”

“কালকে থেকে তোমার ফোনে গুনে গুনে ১০০ টা কল দিয়েছি ধর নাই কেনো?? আমার ইমোশনের কোন দাম নেই নাকি??
আমি এতটাও বোকা নই যে, তুমি দিনের পর দিন আমাকে ইগনোর করবা আমি কিছুই বুঝবো না।”

অনিশা চুপ..

” আন্সার মি অনিশা, হুয়াই? আজকে চুপ থাকলে হবে না।”

“অনিশা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে লাগল।”
“প্লিজ কাঁদবে না অনিশা।”
“আমকে তো ফ্রেন্ড হিসেবেও ভাবতে পার ও” গলাটা নরম করে কথাটা বললো নিহান।
“ফ্রেন্ড হিসেবে সবটাতো আমি শুনতেই পারি। এবার বল…”

” হুম বলব। আজ আমি সবটা বলব। আমি আর পারছি না এইভাবে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে। আমাকে ছোট বেলায় কেউ একজন খুব ভালবাসত, আমি তখন তার ভালবাসাটা বুঝি নাই। তারপর তাকে আমি হারিয়ে ফেলি। কিন্তু বড় হওয়ার পর তার ভালবাসাটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খেত, আমার সমস্ত আস্তিত্ব জুড়ে সে থাকত, সবসময় চাইতাম সে যেন ফিরে আসে।
এরপর আমার আর আপনার বিয়ে ঠিক হয়। হয়তবা আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন তাই রিসেন্ট তার
সাথে আমার দেখা হয়।
কিন্তু আমি এতোটাই বোকা যে, ভেবেছি ১০ বছর পরও সে আমাকে ই ভালবাসে। কি বোকা আমি!! সত্যিই সে আজকে আমাকে টোটালি রিজেক্ট করেছে, আর আমার ভালবাসাকে সে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। ”
অনিশা আবার কাঁদতে লাগল।
নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে
নিহান উঠে গিয়ে অনিশার মাথায় হাত রাখে…
“অনিশা তুমি এমন বাচ্চাদের মত কাঁদছ কেন?? যে তোমাকে এইভাবে ঠকাল তার জন্য তুমি কাঁদছ? ছি!! তোমার মত একটা ম্যচিউর মেয়ের কাছে এইটা অন্তত আশা করা যায় না। বি প্র‍্যক্টিক্যাল অনিশা।অতীত কে কখনো সামনে টানতে নেই।”
নিহানের ফনের রিংটোন বাজছে…
” হ্যালো অনুপম বল??”
“মা সেন্সলেস হয়ে গেছে। ভাইয়া বাসায় নাই আর ফোন ও ধরছে না। তুমি কি আসবা?”
” তুই থাক আমি আসছি।”

“অনিশা আমি আসি।”
বলেই নিহান চলে গেল।

নিহান ডাক্তার নিয়ে রুপমের বাসায় গেল।
ডাক্তার চেক আপ করে বলল ঠিক আছে এখন।
সেন্স ফিরেছে, প্রেসার এর ওষুধ টা মনে হয় গ্যাপ দিয়েছিল।
অনুপম ডাক্তারকে এগিয়ে দিতে গেল।
” ফুপি তুমি ওষুধ টা কেন খাও নাই?? নিজের শরিরের একটু যত্ন তো নিবা।”

“এই বয়সে আমি আর কি করব বল। আমার রুপম কালকে ড্রিংকস করে বাসায় আসছে। এর থেকে খারাপ খবর আর কি হতে পারে বল? ”
” কি?? ”
এটা হতেই পারে না।
পিছন থেকে অনুপম এসে বলে
“ভাইয়া কয়েকদিন ধরে কারো সাথে ঠিক করে কথা বলে না। সারাদিন হসপিটালে থাকে, রাতেও দেরি করে বাসায় ফিরে, আর ইদানিং দেখছি বেশি করে নাইট ডিউটি করছে। এতো সিগেরেট খায় পুরা রুম সিগেরেট বানাই ফেলছে। তুমি কিছু জানো ভাইয়া?
নিহান চুপ করে শুনে।

” ফুপি তুমি টেনশান নিও না। আমি ওর সাথে কথা বলব।”

নিহান কথাটা শেষ করে রুপমের রুমে ঢুকে।
কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসে।

— ফুপি আমি বাসায় যাই। তোমার সাথে পরে কথা বলবো।
চলবে।।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ